Banner Advertiser

Monday, August 25, 2014

[mukto-mona] জামায়াতকে আন্দোলন করার টাকা দিয়েছে ভারতের সারদা গ্রুপ



জামায়াতকে আন্দোলন করার টাকা দিয়েছে ভারতের সারদা গ্রুপ

জামায়াতকে আন্দোলন করার টাকা দিয়েছে ভারতের সারদা গ্রুপ
 জাতীয় ডেস্ক  ২৬ আগস্ট ২০১৪, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন

ঢাকা: ভারতের সারদা গ্রুপ শুধু ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলোকেই নয়, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনকে অর্থ জুগিয়েছে। সারদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেন ভারতের এক প্রভাবশালী নেতার (বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য) মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ওই সংগঠনগুলোকে কয়েক শ কোটি টাকা দিয়েছেন।

ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ওই দেশটির নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় 'সারদা মানি ফ্যান্ড বাংলা ফ্লেইমস' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। 

এদিকে সোমবার কলকাতায় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় রাজ্যসভা সদস্য আহমেদ হাসান ওরফে ইমরান। তিনি কলকাতার দৈনিক কলকাতা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের পাশাপাশি এ দেশের নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দারা সারদা কেলেঙ্কারির বিষয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে কাজ করছেন। ওই তথ্য থেকে তারা ধারনা করছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সুদীপ্ত সেন বড় অঙ্কের নগদ অর্থ ঢেলেছেন। আর সেগুলো তিনি পাঠিয়েছেন এমন একজন প্রভাবশালী রাজনীতিকের মাধ্যমে, যিনি বর্তমানে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিবিআই ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, রাজ্যসভার ওই সদস্যের বিষয়ে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কিত বেশ কিছু নথি কয়েক দশক ধরেই রয়েছে। ওই সংস্থাগুলোর সবাই রাজ্যসভার ওই সদস্যের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও ইসলামপন্থী কট্টর বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে অবগত। ভারতের ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সিমির শীর্ষস্থানীয় নেতাও ছিলেন ওই রাজনীতিক।

নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিবিআই ও ইডি জানতে পেরেছে যে সারদার চিট ফান্ড স্কিমের আওতায় জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ কেন্দ্রীয়ভাবে কলকাতার সল্ট লেকে সারদা গ্রুপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা করা হতো। এরপর হিসাব-নিকাশের পর কয়েক শ কোটি টাকা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। নগদ টাকা বড় আকারের ব্যাগে ভরে সারদা গ্রুপের অ্যাম্বুল্যান্সে করে সরানো হতো। সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপনে ভারতীয় মুদ্রা (রুপি) বাংলাদেশি মুদ্রা (টাকা) ও ইউরোপীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করা হতো। মুদ্রা পরিবর্তনের কাজটি করা হতো কলকাতার এক ব্যক্তির বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়কেন্দ্রে। এরপর রাতের আঁধারে ওই টাকা ও মুদ্রা কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা পাচার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, সুদীপ্ত সেন মূলত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতো কট্টর দলকে অর্থায়ন করতেন। তবে এর বাইরে বড় অঙ্কের অর্থ যেত বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন স্থানে। ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওই অর্থ পাঠানো হতো ওই দলগুলোর নেতাদের জন্য।

গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন, ভারতীয় নাগরিকদের কাছ থেকে সারদা গ্রুপের সংগ্রহ করা কয়েক হাজার কোটি টাকা 'বাংলাদেশে ভারতবিরোধী কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো'র কাছে পৌঁছেছে। এর বাইরে অতীতে বাংলাদেশে যাদের তৎপরতা ছিল, এমন আরো কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সারদার অর্থ পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিবিআই ও ইডি রাজ্যসভার ওই সদস্যের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে গোয়েন্দা ব্যুরোর সাবেক অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে মুদ্রা পাচারের বিষয়ে তারা জানতেন না। রাজ্যসভার ওই সদস্যের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর সাবেক বিশেষ পরিচালক দানেশ চন্দ্র নাথ বলেছেন, ওই ব্যক্তি কে তা আমরা সবাই জানি। এটা দুঃখজনক যে অতীতের কর্মকাণ্ড জানার পরও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহমেদ হাসান ওরফে ইমরান নামের ওই ব্যক্তিকে নির্বাচনে জিতিয়ে এনে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন। ২০০১ সালে যখন সিমি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে সিমির নেতার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার (মমতা) জানার কথা। ক্ষমতার সর্বোচ্চ ও পবিত্রতম স্থানে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ব্যক্তিদের পরিকল্পিতভাবে বসানো উদ্বেগের।

দানেশ চন্দ্র নাথ কলকাতার সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (এসআইবি) যুগ্ম পরিচালক হিসেবে ছয় বছর কাজ করেছেন। 

তিনি বলেন, আহমেদ হাসান ওরফে ইমরান আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই সিমির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে তাকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

তিনি ভারতের পূর্বাঞ্চলে জামায়াতে ইসলামীর আমির-ই-হল্ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি কলকাতার ১৯ দরগা রোড থেকে কলম নামের একটি বাংলা ম্যাগাজিন প্রকাশ শুরু করেন। পরে তা ৪৫ ইলিয়ট রোডে স্থানান্তর করা হয়। দরগা রোডে ওই ম্যাগাজিনের কার্যালয়টি সিমির অতিথিশালায় পরিণত হয়েছিল। 

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিমির সঙ্গে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) যোগসূত্র ছিল। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে আইডিবির সদর দপ্তর আবুধাবিতে বলা হলেও এটি আসলে সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের পূর্বাঞ্চলে আইডিবির শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন আহমেদ হাসান ওরফে ইমরান। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে মামুল আল-আযম ছিলেন আইডিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইমরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কলম ম্যাগাজিন দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরের পর সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে ইমরানের যোগাযোগ হয়। তিনি পত্রিকাটি সারদা গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দিলেও সম্পাদক পদে থেকে যান। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে ইমরানের পরিচয় করিয়ে দেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ কুনাল ঘোষ। তিনিও একজন সাংবাদিক। সারদা গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কাজ করতেন। গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। 

দৈনিক কলম পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি কলম পত্রিকার 'সাংবাদিকতার নীতির প্রশংসা' করেছিলেন।
সারদা গ্রুপের আর্থিক লেনদেন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইমরানকে দুই দফা নোটিশ পাঠিয়েছিল। তবে তিনি তা অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় সদস্য হিসেবে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি খুব ব্যস্ত আছেন। এরপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাকে কড়া ভাষায় গতকালের মধ্যে তাদের অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই তিনি কলকাতার সল্টলেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কার্যালয়ে হাজির হন। সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তিন মাস আগে ইডি তাকে চিঠি দিয়েছিল। ওই চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য আজ এসেছেন।

একই সঙ্গে ইমরানের আরও দাবি, কলম পত্রিকা সাপ্তাহিক ছিল। ওটা দৈনিক করার জন্য সারদার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। চিট ফান্ডের কোনো টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় তিনি জানতেন না।

আহমেদ হাসান ইমরানকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা তৃণমূল শীর্ষ নেতানেত্রীসহ অনেককেই নতুন করে ভাবাচ্ছে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

এর আগে ইডির জেরার মুখে পড়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, অভিনেত্রী অপর্ণা সেনসহ বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তি।

দুই দিন আগে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তা দেবব্রত সরকারসহ আরো দুজনকে গেফতার করেছে সিবিআই। প্রতিদিন সারদা-কাণ্ডে নতুন তথ্য উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই যেকোনো দিন বড় কোনো তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে বলেও জোর জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

ব্রেকিংনিউজ/এসআইএস


Also read:

 RvgvqvZ‡K UvKv w`‡q‡Q fvi‡Zi mvi`v MÖæc

Avgv‡`i mgq.Kg : 25/08/2014

 

jamate

আওয়ামী লীগ সরকারের weiæ‡× Av‡›`vjb M‡o †ZvjvB wQj j¶¨ //  

 

http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/08/25/87505.htm#.U_pYwMVdU-0

Saradha Money Fanned Bangla Flames

Posted on August 24, 2014 in 

Investigations reveal that main accused Sudipto Sen has funded terrorist outfits in Bangladesh through a TMC Rajya Sabha MP.

Details at :  http://m.newindianexpress.com/top-news/355223

Saradha Money Fuelled Fire against Awami League Govt

  1. The New Indian Express ‎- 21 hours ago
    KOLKATA: Saradha Group chairman Sudipto Sen, prime accused in the ... The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka and ... finance these radical outfits, mainly the Jamaat-e-Islami Bangladesh, but ...




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৬ (২৫ আগস্টের পর)



মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -  
মুনতাসীর মামুন
(২৫ আগস্টের পর)

ডালিম লিখেছেন, "সমস্ত প্রবাসী সরকারের মধ্যে শুধু দুজন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা দৃঢ়তার সঙ্গে করে গিয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন কর্নেল ওসমানী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ। এই দুইজন ছাড়া সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রায় সবাই এবং আমলাদের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনেকেই ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পক্ষপাতিত্ব করছিলেন।"[পৃ১৯৬]
মন্তব্য নিষ্প্রেয়োজন। ১৯৭৫ সালে খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ভূমিকা রেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে জিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ থামাতে ওসমানী যথাযথ ভূমিকা পালন করেননি।
আওয়ামী লীগে কলহ ছিল একথা কেউ অস্বীকার করেননি। ভারতীয় প্রশাসনের একাংশ শুধু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মুক্তি সংগ্রাম চলুক সে চেষ্টা করেছিল সেটাই বা কতটা সঠিক? কিন্তু তাজউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা নয়, আওয়ামী লীগের একাংশই অনাস্থা জ্ঞাপন করছিলেন। ৩ ও ৪ জুলাই শিলিগুড়িতে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দের বৈঠক ডাকা হয়। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আলোচনা হয়। মাঈদুল হাসান লিখেছেন-
"আওয়ামী লীগরে ভেতরে একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে তাজউদ্দিনের যোগ্যতা এবং তার ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা নিয়ে নানা বিরুদ্ধ প্রচারণা চলতে থাকে। কর্নেল ওসমানীর বিরুদ্ধেও এই মর্মে প্রচারণা চলতে থাকে যে, মুক্তিযুদ্ধ ব্যবস্থাপনায় তার অক্ষমতার জন্যই মুক্তি সংগ্রাম দিনের পর দিন স্তিমিত হয়ে পড়ছে। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা ছিল। মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করার ব্যাপারে তাদের মৌলিক অনীহার কারণেই খুব নগণ্য পরিমাণ অস্ত্র তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে। কূটনৈতিক স্বীকৃতির প্রশ্ন তারা নানা অজুহাতে এড়িয়ে চলছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত তাদের সমর্থন লাভ করবে কিনা, তাও সন্দেহজনক। এ সব প্রচার অভিযান ভারতের উদ্দেশ্য ও তাজউদ্দিনের যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টির ব্যাপারে তৎপর ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমদ।" [মাঈদুল হাসান, মূলধারা'৭১, ইউপি এল, ঢাকা ২ সং, ৫ম মুদ্রণ, ২০০৮, পৃ.২৪৪] মিজান চৌধুরীও যোগ দিয়েছিলেন মোশতাকের সঙ্গে। ১৯৭৫ সাল পরবর্তী মিজান চৌধুরীর নানা কর্মকা-ের সূত্র পেয়ে যাই আমরা এখানে কিন্তু এতসব বাদানুবাদ সত্ত্বে "অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল থাকেন।" এরপর উল্লেখ করা হয়েছে কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলনের কথা। ডালিমের মতে, ৮ জুলাই সেক্টর কমান্ডারদের এক সম্মেলন ডাকা হয়। 'কর্নেল ওসমানীর নির্দেশে।' এখানে সন্দেহ হয় ওসমানীর এত বড় একটি সম্মেলন আহ্বানের ক্ষমতা ছিল কিনা? নাকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডেকেছিলেন? ডালিমের ভাষ্য অনুযায়ী-"সম্মেলনের কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই একদিন ঘটল এক ঘটনা। ক্যাবিনেট মিটিংয়ে কর্নেল ওসমানী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে পরিষ্কার ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, 'ভারতের গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ যদি মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকেন তবে শুধু শিখ-ী কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেব।"[পৃ.১৯৬] তিনি বলেন, ইসলামাবাদ থেকে দিল্লীর ক্রীড়নক হতে তিনি রাজি নন। "ঐ বক্তব্যের পর তিনি একটি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে সকলকে স্তম্ভিত করে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন।" [ঐ]
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। "মন্ত্রীবর্গ সবাই কেটে পড়লেন।" ডালিম প্রধানমন্ত্রীকে এক ধরনের হুমকি দিয়ে জানান ওসমানীর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করাতে হবে। তিনি একটি বক্তৃতা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে বলেন, "আপনি যদি সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলেন তবে আপনি আপনার যাত্রাপথে নিঃসঙ্গ হবেন না।" [পৃ.১৯৭]
ডালিম ও তার বন্ধুরা ওসমানীকে বোঝবার ভার নিলেন। একজন মেজর হঠাৎ নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় চলে যাবেন ও প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি-ধমকি দেবেন তা মেনে নেয়া কষ্টকর। পুরো বর্ণনা পড়লে মনে হবে, মেজর ডালিমের চিন্তাচেতনা ওসমানীকে প্রভাবিত করেছিল দেখেই তিনি সচেতন হয়ে ওঠেন এবং পদত্যাগ করেন।
না, এরপরও ঘটনা আছে। কনফারেন্সের দিন ঘনিয়ে আসছে। সেক্টর কমান্ডাররা এসে উপস্থিত হচ্ছেন। ওসমানীর পদত্যাগের খবরে সবাই উত্তেজিত। ডালিম সেক্টর কমান্ডারদের পুরো ঘটনাটা জানালেন।
কনফারেন্স শুরু হলো। ওসমানী নেই। সবার কাছেই বিষয়টি অস্বস্তিকর। ডালিমের ভাষায়,"যাই হোক তাজউদ্দিন লম্বা চওড়া ভাষণ শুরু করলেন। তার ভাষণে তিনি সবাইকে জানালেন সেক্টর কমান্ডারদের অনাস্থাবশত কর্নেল ওসমানী পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন।"[পৃ.১৯৯] এ বক্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হলো। তখন ডালিম সেক্টর কমান্ডারদের ভারতীয় নীলনকশার এবং ওসমানী না থাকলে যে ভারতীয় নীলনকশা ঠেকানো যাবে না সে কথা বোঝালেন। তাঁরা বুঝলেন এবং ওসমানী Assurance দিলেন ভারতীয় নীলনকশা ঠেকাবেন। ওসমানী পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে আশ্বাস দিলেন।
অন্যদিকে জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে প্রায় ধমকের সুরে বললেন, "আপনি কোন যুক্তির ভিত্তিতে সকালে আপনার বক্তব্যে বললেন সেক্টর কমান্ডারদের অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কর্নেল ওসমানী পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জবাবে কিছুটা বিব্রত হয়ে তাজউদ্দিন সাহেব বললেন, তার কাছে খবর রয়েছে যে বেশ কিছু কমান্ডার ওসমানীর ওপর অনাস্থা পোষণ করছেন।" [পৃ.২০১]
জিয়া তাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ওসমানী ছাড়া কেউই গ্রহণযোগ্য নয়। ওসমানীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সেনাপতি করা যেতে পারে কিন্তু তার পরিণতি কী হবে সেটি যেন প্রধানমন্ত্রী ভেবে রাখেন।
"কথার ধরন থেকে বুদ্ধিমান তাজউদ্দিন আহমদ বুঝে নিলেন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডাররা ইতোমধ্যে অনেক কিছু জেনে গেছেন। পর্দার অন্তরালে পাশা খেলার চালগুলো সম্পর্কেও হয়তবা অবগত হয়ে পড়েছেন। তাই কেঁচো খুঁড়তে সাপ রেবিয়ে না পড়ার জন্য মেজর জিয়ার অনুরোধ মেনে নিতে রাজি হলেন তাজউদ্দিন।"[পৃ.২০১]
এভাবে ডালিম, নূর ও মতি ভারতীয় নীলনকশা নস্যাত করে দেন ও তাদের 'আত্মপ্রত্যয়' বেড়ে যায়। ডালিমের পুরো বিবরণটি পর্যালোচনা করলে তার চিন্তার ধরনটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং ১৯৭৫ সালে কেন ডালিম ও নূর সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন তা স্পষ্ট হবে-
১.ভারতীয়রা ভাল লোক নয়। নিজ স্বার্থে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত রাখতে চেয়েছে। ২. আওয়ামী লীগের শান্ত/ এমপি. সিভিলিয়ানরা কাজের নয়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাই মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা রেখেছে এবং ভারতীয় নীলনকশা প্রতিহত করেছেন। ৩. পাকিস্তান থেকে ফেরার পর ডালিম ও তার স্যাঙ্গাত নূর প্রবাসী সরকারের সদর দফতরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং প্রায় নীতিনির্ধারক হয়ে ওঠেন, ওসমানীকে সেনাপতি রাখার ব্যাপারে তার অবদান অনস্বীকার্য। ৪. দু'ব্যক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল- খোন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান।
৫.হিন্দুরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে তাদের মাথাব্যথাও ছিল না। অন্য কারও লেখায় বালিগঞ্জ ও থিয়েটার রোডের এ ধরনের বর্ণনা বা ওসমানীর পদত্যাগ নাটক সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত কোন তথ্য পাইনি। তাই ডালিমের তথ্যের সত্যতা নিরূপণ কঠিন। কিন্তু বর্ণনাটি যে অতিরঞ্জিত এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মঈদুল হাসানের বই থেকে ওসমানী নাটকের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাই যেটি ডালিমের মতো অতিরঞ্জিত নয়। মঈদুল লিখছেন, বাঙালী যোদ্ধাদের ভারতীয়দের কাছে আশা ছিল প্রচুর, অন্যদিকে এই আশা পূরণে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি। ফলে, যারা যুদ্ধ করছিলেন এবং বিভিন্ন সেক্টরের প্রধানরা গোলাবারুদ ও লোকবল কম থাকায় নিরাশ হয়ে পড়ছিলেন এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্মেলনের আহ্বান জানানো হয়। (চলবে)
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১




জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                   
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৪ (২৩ আগস্টের পর) 
মুনতাসীর মামুন
 প্রকাশ : রবিবার, ২৪ আগষ্ট ২০১৪, ৯ ভাদ্র ১৪২১

সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৫ (২৪ আগস্টের পর)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ :  সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১
 

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___