Banner Advertiser

Wednesday, August 10, 2016

[mukto-mona] বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিসালদার মোসলেউদ্দিন জার্মানিতে



বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিসালদার মোসলেউদ্দিন জার্মানিতে  

প্রিয়.কম's picture

প্রিয়.কম

Wed, 10/08/2016 - 9:48pm

ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের একজন সাবেক রিসালদার মোসলেউদ্দিন খান জার্মানিতে পলাতক আছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার বাসস-কে বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার পলাতক খুনি মোসলেউদ্দিন জার্মানিতে বসবাস করছে। তবে জার্মানির কোথায় মোসলেউদ্দিন বসবাস করছে, এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতি ১৫ আগস্ট ৪১তম জাতীয় শোক দিবস পালন করছে। জার্মানিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা রিসালদার মোসলেউদ্দিনকে সে দেশে দেখেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন খুনির মধ্যে পলাতক ৬ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে তিনজন যথাক্রমে সাবেক লে. কর্নেল এসএইচএমবি নুর চৌধুরী কানাডায়, লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং রিসালদার মোসলেউদ্দিন খান জার্মানিতে বসবাস করছে।

তিনি বলেন, তাদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, যদিও তারা কোথায় লুকিয়ে আছে এ ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক বাসস-কে জানান, মোসলেউদ্দিনকে শনাক্ত করতে এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কাছে তার ছবি পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইন্টারপোল বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অবস্থান জানতে আরও তথ্য চেয়েছে। মোসলেউদ্দিনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক খুনিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিবরন অনুযায়ী, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নুর চৌধুরী ও মেজর বজলুল হুদা সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। বজলুল হুদার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। নুর চৌধুরী এখনো পলাতক রয়েছে।

অপর পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ভারতে পলাতক রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন সঠিক সরকারি তথ্য নেই। অপর পলাতক আসামিরা হলো বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ এবং শরিফুল হক ডালিম।

ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর এর আগে পলাতক আসামিদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে একজন বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসলে এবং ইন্ডেমোনিটি অদ্যাদেশ বাতিল করার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। এই কালো আইনের জন্য এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। সবোর্চ্চ আদালত আপিল ডিভিশনের রায়ের পর ১০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

তারা হলেন সাবেক লে. কর্নেল ফারুকুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), শাহরিয়ার রশীদ খান এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যাঞ্চার) ও সাবেক মেজর বজলুল হুদা।

ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের পর হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে প্রত্যাবাসন চুক্তি না হলেও সাবেক সামরিক সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে দেয়।

১৯৭৫ পরবর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। ১৯৯৬ সাল পযর্ন্ত তারা নানা ষড়যন্ত্র ও দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে এসে কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের পথ প্রশস্ত হয়।

লে. কর্নেল রাশেদ চৌধুরী ১৯৮৪ সাল পযর্ন্ত নাইজেরিয়ায় কনসুলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সর্বশেষ বদলি হয় টোকিওতে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করে।

রিসালদার মোসলেউদ্দিনকে তেহরান ও জেদ্দায় পোস্টিং দেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন মো. কিসমত হাসেম অটোয়ায় এবং লে. আব্দুল মজিদ ত্রিপোল্লিতে কূটনীতিক হিসেবে চাকরি পায়।

লে. কর্নেল মো, আব্দুল আজিজ পাশা রোমে বাংলাদেশ মিশনে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ পায়। আজিজ পাশা ১৯৮০ সালের ১৭ জুন অভ্যুত্থান ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে তিনি অভ্যুত্থান সম্পর্কে স্বাক্ষ্য দিতে সম্মত হওয়ায় সরকারের সাথে একটি সমঝোতায় পৌছেন। তাকে রোমে কূটনীতিকের চাকরি দেওয়া হয়। আজিজ পাশা নাইরোবিতেও দায়িত্ব পালন করেন। তার সর্বশেষ পোস্টিং ছিল জিম্বাবুইয়ে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পাশা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাদীন জোট ক্ষমতায় আসার পাশাকে মরনোত্তর চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয় এবং তার পরিবারকে পেনশনসহ সকল সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়। তাকে চাকরি থেকে অবসর দেখানো হয়।

- See more at: http://www.priyo.com/2016/Aug/10/231468#sthash.1vSFgHOV.dpuf








__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___