বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: কেরি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের পথে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে দর্শনার্থী বইয়ে জন কেরি এ মন্তব্য লেখেন।
এক দিনের বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
জন কেরিকে জাদুঘরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও বঙ্গবন্ধুর নাতি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। প্রায় ৪০ মিনিট জন কেরি সেখানে অবস্থান করে জাদুঘর ঘুরে দেখেন। এ সময় দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষরও করেন তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথাও লেখেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দর্শনার্থী বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে জন কেরি লেখেন, 'একটি সহিংস ও কাপুরুষোচিত ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে সাহসী ও উজ্জ্বল এক নেতৃত্বকে কেড়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বন্ধু হতে পেতে গর্বিত এবং তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় সমর্থক। আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।'
দর্শনার্থী বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে জন কেরি লেখা—
.
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/961516/
কোন ভাবেই বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে সফররত মার্কিন মন্ত্রীকে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরআগে জন কেরিকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট জেনেভা থেকে সোয়া ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে জন কেরিকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জন কেরি রাজধানীর একটি হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। হোটেল থেকে তিনি সরাসরি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। জন কেরি সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক চলছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ব্যাপারে অংশীদারিত্ব জোরদারসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও উপস্থিত আছেন।
বিকেলে ধানমণ্ডির ইএমকে সেন্টারে নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন জন কেরি। এরপর মিরপুরে একটি পোশাক শিল্প-কারখানা পরিদর্শন এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জন কেরির।
মানবকণ্ঠ/এফএইচ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/08/29/152520.php#sthash.IVaXWwOH.dpuf
'বাজার সম্প্রসারণ ও বঙ্গবন্ধুর খুনীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা'
কূটনৈতিক রিপোর্টার | ২৯ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বৈঠকে পন্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা ...
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেরির বৈঠক
কূটনৈতিক রিপোর্টার | ২৯ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বেলা ১২টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান কেরি। বৈঠকের পর মার্কিন ...
__._,_.___