'সাম্প্রদায়িক মিডিয়া ভারতের ঐক্যের জন্য হুমকি'
কলকাতা প্রতিনিধি
কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া ভারতের ঐক্যের জন্য হুমকি বলে মন করে 'রিহাই মঞ্চ' নামে একটি সংস্থা। সংস্থার সদস্য প্রতীক সরকার বলেন, মুসলিমদের ধর্মীয় পতাকাকে একটি সংবাদ চ্যানেল পাকিস্তানের পতাকা বলে বিহারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সৃষ্টি করলেও ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার ঐতিহাসিক 'ভারত ছাড়' আন্দোলনের ৭৫তম বার্ষিকীতে রিহাই মঞ্চের পক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশের লখনৌর হজরতগঞ্জস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া'র বিরুদ্ধে ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া-ভারত ছাড়' স্লোগানের মধ্য দিয়ে ধর্না কর্মসূচিতে রিহাই মঞ্চের মুখপাত্র শাহনওয়াজ আলম তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমাদের মিডিয়া যেভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তির পায়ে লুটিয়ে পড়ছে তা সমাজের ঐক্যের জন্য গুরুতর হুমকি। দেশের বহুবর্ণীয় সমাজে দরিদ্র, সংখ্যালঘু এবং দলিতদের ওপরে যেভাবে আরএসএস সংশ্লিষ্ট গুণ্ডারা একনাগাড়ে আক্রমণ করছে তা দেশের একতা এবং সামাজিক কাঠামোর জন্য বিপজ্জনক। যদিও সাম্প্রদায়িক মিডিয়ার পক্ষ থেকে তাদের মহিমান্বিত করা হচ্ছে।
শাহনওয়াজ আলম বলেন, আরএসএসের কল্পনাপ্রসূত হিন্দু রাষ্ট্রে দলিত, দরিদ্র এবং সংখ্যালঘুদের কোনো স্থান নেই। মিডিয়া হাউসের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য থাকায় গরুর গোশতের নামে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতা মিডিয়া হাউসে আলোচনার অংশ হয়নি।
দিল্লি থেকে ধর্না মঞ্চে আসা সাংবাদিক অভিষেক শ্রীবাস্তব বলেন, কর্পোরেট মিডিয়াতে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের খবর অদৃশ্য হয়ে গেছে। মিডিয়া ফ্যাসিস্ট শক্তির স্ব-মুখপাত্র হয়ে উঠেছে। এজন্য 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া'র বিরোধিতা করা হল প্রকৃত দেশপ্রেম। আম-জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা এবং তাদের খবর পরিবেশন করার জন্য এক বিকল্প মিডিয়া গ্রুপ দাঁড় করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শারদ জয়সওয়াল বলেন, দেশের কয়েকটি সংবাদপত্র আজ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ম্যারাথন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি মুজাফফর নগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় সংবাদপত্র, চ্যানেলের নেতিবাচক প্রচারণার কথা উল্লেখ করেন এবং সেসময় গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে কীভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জনতাকে উসকানি দেয়া হয়েছিল, ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল তার উল্লেখ করেন।
কর্পোরেট এবং বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থে আদিবাসীদের ওপরে দমন পীড়নের খবর লুকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রিহাই মঞ্চের লখনৌ শাখার মহাসচিব শাকিল কুরেশি। আজকাল রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট ঘরানা খবর দেখানোর পরিবর্তে খবর লুকানোর জন্য বিনিয়োগ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মানবকণ্ঠ/এসসি/এসএস
মঙ্গলবার ঐতিহাসিক 'ভারত ছাড়' আন্দোলনের ৭৫তম বার্ষিকীতে রিহাই মঞ্চের পক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশের লখনৌর হজরতগঞ্জস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া'র বিরুদ্ধে ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া-ভারত ছাড়' স্লোগানের মধ্য দিয়ে ধর্না কর্মসূচিতে রিহাই মঞ্চের মুখপাত্র শাহনওয়াজ আলম তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমাদের মিডিয়া যেভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তির পায়ে লুটিয়ে পড়ছে তা সমাজের ঐক্যের জন্য গুরুতর হুমকি। দেশের বহুবর্ণীয় সমাজে দরিদ্র, সংখ্যালঘু এবং দলিতদের ওপরে যেভাবে আরএসএস সংশ্লিষ্ট গুণ্ডারা একনাগাড়ে আক্রমণ করছে তা দেশের একতা এবং সামাজিক কাঠামোর জন্য বিপজ্জনক। যদিও সাম্প্রদায়িক মিডিয়ার পক্ষ থেকে তাদের মহিমান্বিত করা হচ্ছে।
শাহনওয়াজ আলম বলেন, আরএসএসের কল্পনাপ্রসূত হিন্দু রাষ্ট্রে দলিত, দরিদ্র এবং সংখ্যালঘুদের কোনো স্থান নেই। মিডিয়া হাউসের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য থাকায় গরুর গোশতের নামে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতা মিডিয়া হাউসে আলোচনার অংশ হয়নি।
দিল্লি থেকে ধর্না মঞ্চে আসা সাংবাদিক অভিষেক শ্রীবাস্তব বলেন, কর্পোরেট মিডিয়াতে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের খবর অদৃশ্য হয়ে গেছে। মিডিয়া ফ্যাসিস্ট শক্তির স্ব-মুখপাত্র হয়ে উঠেছে। এজন্য 'কর্পোরেট, বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িক মিডিয়া'র বিরোধিতা করা হল প্রকৃত দেশপ্রেম। আম-জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা এবং তাদের খবর পরিবেশন করার জন্য এক বিকল্প মিডিয়া গ্রুপ দাঁড় করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শারদ জয়সওয়াল বলেন, দেশের কয়েকটি সংবাদপত্র আজ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ম্যারাথন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি মুজাফফর নগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় সংবাদপত্র, চ্যানেলের নেতিবাচক প্রচারণার কথা উল্লেখ করেন এবং সেসময় গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে কীভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জনতাকে উসকানি দেয়া হয়েছিল, ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল তার উল্লেখ করেন।
কর্পোরেট এবং বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থে আদিবাসীদের ওপরে দমন পীড়নের খবর লুকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রিহাই মঞ্চের লখনৌ শাখার মহাসচিব শাকিল কুরেশি। আজকাল রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট ঘরানা খবর দেখানোর পরিবর্তে খবর লুকানোর জন্য বিনিয়োগ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মানবকণ্ঠ/এসসি/এসএস
__._,_.___