Banner Advertiser

Thursday, September 8, 2016

[mukto-mona] Re: {NA Bangladeshi Community} Re: {PFC-Friends} জাদুঘর থেকে সরানো হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক



'জিয়া আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি'

প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬  

বিকাশ দত্ত ॥ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জের রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে 'একজন আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি' বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল। রায়ে তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গং দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোঁচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙ্গে ডাকাতদের মতো জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করে। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সংবিধান সামান্যতম বিচ্যুতকে রক্ষা, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা প্রদান করা সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা এক কথায় সংবিধান হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজে সরকারী কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে, দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে, অসৎভাবে, হত্যাকারীদের দোসর হয়ে, জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও জেনারেল জিয়া মুক্তিযুদ্ধেরবিরোধী তথা স্বাধীনতাবিরেধী রাজাকার, আলবদর,আলশামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এ দেশে পুনর্বাসন করেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল এমন কথা বলেছেন। ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দুই বিচারপতির দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১১ আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার অবৈধ রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি আশরাফুল কামালের রায় প্রকাশ পায়। গত ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করে। এতে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি ১২৫ পৃষ্ঠার এই রায়টি বাংলায় লিখেছেন।

রায়ে তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দ্ইু লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। এর পরেও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে? জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের দোসরই হননি,বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত,সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরও জঘন্য কাজটি করেন তা হলে তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, আবু সাদাত সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়া জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের সাহায্য-সহযোগিতা এবং লালন-পালন করেছেন; বাঙালী জাতি তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে। এবং এদের পদ-পদবি সকল কিছু প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবি। তাই মহান জাতীয় সংসদকে এমন দৃষ্টান্তমূলক আইন প্রণয়ন করতে হবে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন জঘন্য অপরাধের চিন্তাও কারও মনে উদয় না হয়।

যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় এবং যারা আমাদের পবিত্র সংবিধানকে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের জন্য ইচ্ছেমতো তছনছ করে, সংবিধানকে সামরিক ফরমানের নিচে স্থান দেয়Ñএই ধরনের ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী। জাতীয় সংসদ এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে বলে আমি আশা করি। জাতীয় সংসদ কর্তৃক উপরে উল্লিখিত আইনটি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আপাতত একটি ঘৃণা চত্বর স্থাপন করা জরুরী। যেখানে গিয়ে সাধারণ জনগণ ঐসব ব্যক্তির প্রতি তাদের ঘৃণা প্রকাশ করে আসতে পারবে। একমাত্র তা হলেই ভবিষ্যতে আর কেউ প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের মতো ঘৃণ্য কাজ করার সাহস পাবে না।

রায়ে আরও বলা হয়, জনগণ অবাক হয়ে দেখে,হালিমা খাতুন বনাম বাংলাদেশ গং{৩০ ডিএর আর (এসসি) ১৯৭৮ পাতা ২০৭} মামলায় সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি ফজলে মুনিম সংবিধানকে প্রক্ল্যামেশনের তথা সামরিক ফরমানের নিচে স্থান দেন তথা 'সংবিধানকে "সামরিক ফরমান এবং আদেশের নিচে মর্মে ঘোষণা করেন । যাকে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ঐতিহাসিক সিদ্দিক আহম্মেদ বনাম বাংলাদেশ সরকার "{সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন ১৯৮৬} মামলায় বলেছেন ংবফরঃরড়ঁং"। রায়ে আরও বলা হয়, আমাদের আপীল বিভাগ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত অষ্টম সংশোধন আইনকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী বলে ঘোষণা করে আইনটি অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা ও বাতিল করেন। সেখানে একজন সরকারী কর্মচারী যিনি আর্মি রুলস ভঙ্গ করে বেআইনী এবং অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিলেন (মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান), তিনি তার একক ইচ্ছায় সংবিধানের মূল কাঠামো এবং সংবিধানের স্বকীয়তা ভঙ্গ করে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবলিত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬টি রাতের আঁধারে প্রণয়ন করেন, সে ব্যাপারে তৎকালীন আপীল বিভাগ উক্ত সুপীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবলিত ৯৬ অনুচ্ছেদ অসাংবিধানিক এবং বাতিল মর্মে ঘোষণা করতে পারেনি।

আইনের শাসন গণতন্ত্রের অন্যতম মুখ্য শর্ত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব হবে যখন রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ সংবিধান মোতাবেক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে থেকে যার যার দায়িত্ব সঠিক এবং ন্যায়ানুগভাবে পালন করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম? আমরা দেখলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংবিধানসম্মত দেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একদল চাকরিচ্যুত প্রাক্তন সামরিক বাহিনীর লোক যখন সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে তখন আমাদের সুপ্রীমকোর্ট নীরবে সেই হত্যাকা- অবলোকন করে। আমাদের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রীমকোর্টকে আমরা সেদিন কোন রুল ইস্যু করতে দেখিনি। বরং আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখি যিনি সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন বলে শপথ গ্রহণ করেছিলেন সেই বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তার শপথ ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সহযোগী হয়ে ঐ দিন তথা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সন্ধ্যা ছয়টায় বেআইনীভাবে, অসাংবিধানিক-ভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করেন। এবং আমরা আরও দেখি কিভাবে একটি দেশের প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম খুনীদের দোসর হয়ে সংবিধান প্রদত্ত তার দায়দায়িত্ব পালন না করে অবৈধভাবে সংবিধানকে পদদলিত করে দেশের রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন এবং তার চেয়েও জঘন্যভাবে দেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে বাতিল করেন। এরা জাতীয় শত্রু তথা রাষ্ট্রদ্রোহী তথা জনগণের রায় হত্যাকারী। এদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। আশা করি, সে ব্যাপারে জাতীয় সংসদ প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবে। বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙালী এদের ঘৃণাভরে স্মরণ করবে।

বিচারপতি আশরাফুল কামাল তার রায়ে আরও উল্লেখ করেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পরবর্তী প্রতিটি সাংবিধানিক সঙ্কটে আমাদের তৎকালীন সুপ্রীমকোর্ট তার সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সুপ্রীমকোর্ট সেসব সাংবিধানিক ক্রান্তিলগ্নে সংবিধান তথা দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। অথচ এদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ ,শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এদেশের বীর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক সঙ্কট এবং সাংবিধানিক সঙ্কটে রক্ত দিয়ে এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে সঙ্কট মুক্ত করে পুনরায় দেশকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় ফিরিয়ে এনেছে।

রায়ে আরও বলা হয়, যেহেতু অভিজ্ঞ বিচারকের সঙ্কট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছ, সেহেতু আমি মনে করি সুপ্রীমকোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ বছরে উন্নীত করা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই লক্ষ্যে আমি মহান জাতীয় সংসদের নিকট সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছদের (১) উপধারা সংশোধনপূর্বক বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬৭ এর স্থলে ৭৫ করার প্রস্তাব করছি।

দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি তার রায়ে বলেন, সুপ্রীমকোর্টের আইনগত একজন আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্তৃক তার একক খেয়াল-খুশি মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক বিচারক অপসারণ প্রক্রিয়া সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্তে সামরিক ফরমান উপড়ে ফেলা তথা অবৈধ এবং অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করে বাতিল করা, যা আমাদের তৎকালীন সুপ্রীমকোর্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সুপ্রীমকোর্টেকে সেই লজ্জা থেকে তথা কলঙ্কমুক্ত করেছেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক তার পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ের মাধ্যমে ২০০৫ সালে। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের আপীল বিভাগ ২৯-৩-২০১১ সিভিল রিভিউ দরখাস্ত নং ১৭-১৮/২০১১এর রায়ে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবলিত ৯৬ অনুচ্ছেদটি কবরস্থ করেন। সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের জাতীয় সংসদ সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) আইন ২০১৪ (২০১৪ সালের ১৩ নং আইন) প্রণয়ন করে আমাদের সংবিধানকে কলঙ্কমুক্ত করেন। বিচার বিভাগের সত্যিকার স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ত্রিশ লাখ বাঙালীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত সংবিধানকে আমরা ফেরৎ পেলাম। সে কারণে আমি বর্তমান জাতীয় সংসদকে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অর্থাৎ দরখাস্তকারী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) আইন, ২০১৪ আইনটি সংবিধানের বিধানাবলীর সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথা অসাংবিধানিক।

গত ১১ আগস্ট দুই বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর অপর বিচারপতির রায় প্রকাশ হলে একসঙ্গে দেখে এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপীলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নবেম্বর সুপ্রীমকোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ নবেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। গত বছরের ১০ মার্চ এ রুলের শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেয় হাইকোর্ট। এর মধ্যে ২৫ এপ্রিল অসদাচরণের জন্য সুপ্রীমকোর্টের কোন বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে 'বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানি করেছেন শীর্ষ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি। ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্ল্যামেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয় সংসদকে।

- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/216127/'জিয়া-আর্মি-রুলস-ভঙ্গকারী-অবৈধ-দখলদার
Related:
আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি জিয়া

'জিয়া আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার' -


Note:

" ......  জিয়াউর রহমানের সংসদে শাহ্ আজিজুর রহমান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন বলেন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের কি সত্যিই দরকার আছে? 
স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহ্ আজিজুর রহমান এবং নিজামীর ভূমিকা একটি শিশুও জানে। ........জিয়াউর রহমান শাহ্ আজিজকে তার প্রধানমন্ত্রী করেছিল।....." স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি -মিনা ফারাহ 
                                           জনকন্ঠ বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১৭ প্রকাশিত 


2016-09-08 21:17 GMT-04:00 RANU CHOWDHURY <ranu51@hotmail.com>:

"আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি জিয়া"


আমি বিচারের পুরো রায়টি দেখিনি। কেউ কি অনুগ্রহ করে জানাবেন জিয়াউর রহমান কখন, কোন আর্মি রুলস ভঙ্গ করেছিলেন এবং কখন অবৈধভাবে  ক্ষমতা দখল করেছিলেন ?

  1. তা কি একাত্তরের মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার সময় ? যদি তাই হয়, তবে কোন সামরিক আইন ভঙ্গ করেছিলেন: পাকিস্তানের না বাংলাদেশের ?
  2. পঁচাত্তরে ১৫ই আগস্ট ? তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন আর্মির ডেপুটি চিফ। জেনারেল সফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান এবং ছিলেন আরো ১০ দিন। জিয়া কর্তৃক আইন ভঙ্গের নিদর্শন কোথায় ?

  3. পঁচাত্তরের ৭ ই নভেম্বরে ? তার পূর্বে তিনিতো ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররাফ কর্তৃক অন্তরীণ ছিলেন। ঐ দিন সিপাহী-জনতা বিদ্রোহ করে জিয়াউর রহমানকে মুক্তি করে এবং পুনরায় সেনা প্রধান রূপে অধিষ্টিত করে। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে জাস্টিস সায়েম ছিলেন, জিয়া নয়।   

কোন প্রমানের উপর ভিত্তি করে হাই কোর্টের জজ সাহেব তাঁর রায় দিয়েছিলেন ?




From: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>
Sent: Thursday, September 8, 2016 11:31 PM
To: Quazi Nuruzzaman; pfc-friends@googlegroups.com
Cc: rashed Anam; bangla-vision@yahoogroups.com; bangladeshiAmericans@googlegroups.com; N.E. AWAMI LEAGUE; Anwar Kabir Rumi; anis.ahmed@netzero.net; BDPANA@yahoogroups.com; New England Bnp; Bazlul Wahab; Baman Das; qamruddin chowdhury; Farida Hossain; Dr. Jamir Chowdhury; Dr.Gholam Mostofa; Khondkar_Karim@uml.edu; letter Daily Star; Sitangshu Guha; Mohammad Gani; nabdc@googlegroups.com; Alochona Groups; quamrul hassan; Hussain Suhrawardy; Javed Helali; ranu51@hotmail.com; Jalal Khan; Jamal G. Khan; Jamil Jamil; Khoniker Othithee; Muazzam Kazi; NewEngland Awami League; Mahbubur Rahman; Syed Margoob; Osman Gani; mahmud rahman; Suhas Barua; Tareque Ahmed; tamanna karim; Md Uddin; Wasim Chaudhuri; Iqbal Yousuf; zainul321@yahoo.com; LA Discussion

Subject: Re: {NA Bangladeshi Community} Re: {PFC-Friends} জাদুঘর থেকে সরানো হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক
 

***আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি জিয়া'-

হাইকোর্ট
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জের রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে 'একজন আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি' বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
 




From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Post Card <abahar.canada@gmail.com>
Sent: Thursday, September 8, 2016 11:51 PM
To: Quazi Nuruzzaman
Cc: rashed Anam; pfc-friends@googlegroups.com; bangla-vision@yahoogroups.com; bangladeshiAmericans@googlegroups.com; N.E. AWAMI LEAGUE; Anwar Kabir Rumi; editor@prothom-alo.com; anis.ahmed@netzero.net; BDPANA@yahoogroups.com; New England Bnp; Bazlul Wahab; Baman Das; qamruddin chowdhury; Farida Hossain; Dr. Jamir Chowdhury; Dr.Gholam Mostofa; Khondkar_Karim@uml.edu; letter Daily Star; Farida Majid; Sitangshu Guha; Mohammad Gani; nabdc@googlegroups.com; Alochona Groups; quamrul hassan; Hussain Suhrawardy; Javed Helali; ranu51@hotmail.com; Jalal Khan; Jamal G. Khan; Jamil Jamil; Khoniker Othithee; Muazzam Kazi; NewEngland Awami League; Mahbubur Rahman; Syed Margoob; Osman Gani; bangladesh-progressives@googlegroups.com; mahmud rahman; Suhas Barua; Tareque Ahmed; tamanna karim; Thikana Thikana; Md Uddin; Wasim Chaudhuri; Iqbal Yousuf; zainul321@yahoo.com; LA Discussion
Subject: Re: {NA Bangladeshi Community} Re: {PFC-Friends} জাদুঘর থেকে সরানো হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক
 
WHEN FASCISM GROWS UNABATED

This is what happens when fascism grows unabated. Even when Zia was in power, Faroque wanted to get rid of the last traces of Mujib footholds. Zia as a moderate leader arrested Faroque and put him in Jail in Barishal. For this Zia made Faroque his personal enemy.

When BNP came power with Khaeda Zia, it was necessary for the BNP to put down Mujib's fascism by highlighting his fascist activities: Mujib killing the opposition members, the man-made famine, his betrayal of surrender, Bank robbing etc. and their impact on Bangladeshi lives. It was necessary to teach these issues in textbooks, hang few people for selling Bangladesh to India and propagate the issue globally. Such things were done in Europe about Mousseline and Hitler. Instead of that many BNP members like Moudud wanted to accommodate Mujib in BNP's Bangladesh history. Many BNP members couldn't forget the demagogue, the Surowardhy's musclemen- Mujib who betrayed with the people elected him.

Therefore, part of the blame should go to even Zia, and Khaleda Zia for being too soft on Mujib and his cronies.

In her role as the opposition leader, Khaleda Zia couldn't even sent 5 people to protest the removal of the Zia sign from the airport.

The problem is: Khaleda Zia is doing democratic politics against a reincarnated fascist regime introduced by Mujib and backed by India.

Remember, due to the lack of strong leadership, Hasina even sent sand trucks to block Khaleda receiving food.

This is what happens when fascism grows unabated. If Khalida is a true patriot, time is ripe for Khaleda and her General secretary to step down and pass on the leadership to a more effective leader, otherwise the future of Bangladesh is going to be worse than this.

Is Khaleda strong enough to demolish Hasina created buildings of malice beginning from textbooks to foreign loans to built structures made of bamboos?


2016-09-07 21:48 GMT-04:00 Quazi Nuruzzaman <quazinuru@yahoo.com>:
Stop the destructive  politics of revenge at once, or the people should liquidate the meanest mentality, eliminate from the face of the planet for the protection of our independence and sovereignty and democracy as our backs have reached the walls. We have to wage that war now at any costs at any places. She has crossed the limits, now is the time for her to leave for good.

Quazi Nuruzzaman

Sent from my iPhone

On Sep 7, 2016, at 7:06 PM, rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com> wrote:

বাকশালী ইতিহাস রচনার চেষ্টা !!  জনগনের মন থেকে সরাবে কিভাবে ?? ইতিহাস থেকে সরাবে কিভাবে ? যে জাতি নিজেদের বীরদের সন্মান দিতে পারে না, সে জাতিতে বীর জন্ম নেয়া বন্ধ হয়ে যায়, স্বৈরাচারী আর খুনি জন্ম নেয় !! এই বাকশাল একইভাবে আমাদের জাতির সম্মানিত নাগরিক ডক্টর ইউনুসকে একের পর এক অপমানিত ও  পর্যদুস্থ করেছে, শুদু মাত্র রাজনৈতিক একদলীয় ক্ষমতা দখলের জন্য !! 

2016-09-07 15:10 GMT-04:00 Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>:

From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk)


আধিপত্যবাদী ভারতের সেবাদাস ফ্যাসিবাদী বাকশাল সরকার, জাদুঘর থেকে জিয়ার স্বাধীনতা পদক সরিয়ে নিয়েছে। ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর কালরাতে জনগণের উপর যখন ইয়াহিয়া-কিসিঞ্জারের বর্বর সামরিক অভিযান নেমে এসেছিল, তখন মুজিব নিজের, ও নিজের পরিবারের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আত্মসমর্পণ করেন। দিশাহারা জনগণের সামনে তখন বিদ্যুৎ চমকের মত যে সিংহপুরুষ আবির্ভূত হন তিনি জিয়া। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত করেন এবং সারা দেশে বিদ্যুৎ শিহরণ সৃষ্টি করে স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়, অদম্য মনোবল ও কালজয়ী প্রেরণা সৃষ্টি করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে জিয়ার অবদান অপরিসীম। তিনি ভারতের চক্রান্তে শহীদ হন। তবে, দেশপ্রেমিকদের কাছে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সিংহপুরুষ, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ও কালজয়ী প্রেরণা হিসাবেই বেঁচে থাকবেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তার সেবাদাস ফ্যাসিবাদী বাকশাল সরকারের অবশ্যই পতন হবে। নীচে দেখুন পদক সরানোর সংবাদঃ   


জাদুঘর থেকে সরানো হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক

ইত্তেফাক রিপোর্ট, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ইং ১৮:৫৫ মিঃ

http://www.ittefaq.com.bd/national/2016/09/07/83680



জাদুঘর থেকে সরানো হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক
 
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেয়া স্বাধীনতা পদক জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তে বুধবার পদকটি সরিয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ।
 
২০০৩ সালে তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। ওই পদক্ষেপ জিয়াকে উপরে তোলার চেষ্টা হিসেবে দেখে জাতির জনককে অবমাননার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সমপ্রতি জিয়াকে দেয়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। 
 
সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ বলেন, জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই পদক বাতিল করার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ওই পদকটি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। মিউজিয়াম থেকে পদকটি নিতে আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন।'
 
তিনি বলেন, ওই কমিটি (পদক সংক্রান্ত কমিটি) পুরস্কার দেয়, ওই কমিটিই পুরস্কারটি প্রত্যাহার করেছে। তারা বলেছে, মিউজিয়ামে কর্ণারটি থাকবে না।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি নিয়ে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
 
জাতীয় জাদুঘরের একজন উপ-পরিচালক বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই কর্মকর্তা এসে পদকটি নিয়ে যান।
 




--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you had subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community forum". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to nabdc@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to nabdc@googlegroups.com.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to nabdc+unsubscribe@googlegroups.com.
Visit this group at https://groups.google.com/group/nabdc.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___