আসুন দেখা যাক বি এন পির উপদেষ্টাগন জিয়া কে কিভাবে মুল্লায়ন করেন
সিনেমার মতো ফ্ল্যাশব্যাক-৫
জিয়াউর রহমানের সমর্থকরা খাল খননের জন্য তাঁকে অমর করে রাখতে চায়। শফিক সাহেব তাঁকে 'আয়াতুল্লাহ খালকাটি' নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তাঁর মতে আর একদল খননকারী অর্থাৎ 'কূপ খননকারী'দের সঙ্গে খাল খননকারীদের সংঘাত লেগেই থাকত। এই খননকারীদের পেছনে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হতো। শফিক সাহেব লিখেছেন, এদের সত্যিকারের কোন উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো উচিত ছিল। আসলে সেনানায়কের সমর্থকরা কিছু একটা খুঁজে বের করে তাঁকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চেষ্টা করে। এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ দেশে-বিদেশে আছে। জিয়াউর রহমানের খাল খনন এমনি একটি প্রয়াস। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল তা শফিক রেহমানের বই পড়লেই জানা যায়। তিনি বিএনপির প্রথমসারির একজন বুদ্ধিজীবী।
তারিক ইব্রাহিম 'যায়যায়দিনের' একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন। শুনেছি এটি তাঁর ছদ্মনাম। তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাস সম্বন্ধে আমার কিছুই জানা নেই। 'যায়যায়দিনের' সম্পাদক ছিলেন শফিক রেহমান এবং তারিখ ইব্রাহিম ছিলেন ওই পত্রিকার নিয়মিত লেখক। এভাবেই আমি সমস্ত জিনিসটাকে দেখছি। ইব্রাহিম সাহেবের লেখা 'বিশ্বাসহীনতার রাজনীতি' প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে। বইটিতে সাধারণভাবে জিয়া পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলী স্থান পেয়েছে আর তাই স্বাভাবিকভাবেই পূর্ববর্তী ঘটনা বলির কিছু উল্লেখ রয়েছে। 'পেশাছুট প্লাস দলছুট = জিরো প্লাস জিরো = জিরো 'প্রবন্ধটির শুরুতেই তিনি প্রশ্ন করেছেন, 'আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র কি শেষ পর্যন্ত উচ্চাকাক্সক্ষী ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে?' তারিখ ইব্রাহিম লিখেছেন যে, জিয়াউর রহমানের শাসনামল থেকেই ব্যাপারটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শুরু হয়। জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন। শূন্যহাতে তিনি কাউকে কাছে ডাকেননি। রাজনীতিকে যারা আখেরগোছানোর হাতিয়ার হিসেবে মনে করতেন তাদের প্রায় সবাই জড়ো হয়েছিল জিয়াউর রহমানের পাশে। প্রলোভন দেখিয়ে ছোট-বড় সব দল থেকে জিয়া সাহেব লোক বাগিয়েছিলেন। নানা দলছুট লোকদের নিয়ে তিনি তাঁর বেসামরিক রাজনৈতিক ভিত্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল বিএনপি। নানা মত ও আদর্শের (আসলে আদর্শহীনতার) জগাখিচুড়ি এই দল। ইব্রাহিম সাহেবের মতে 'এই খিচুড়ি দিয়ে দেশ শাসন করতে গিয়ে জিয়াউর রহমান সামগ্রিকভাবে দেশের এবং ব্যক্তিগতভাবে নিজের ক্ষতি করেছিলেন।' হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। 'এসব দল-বদল, নীতি-আদর্শ বদল, পেশা বদল করা মানুষদের দ্বারা দেশ-জাতি বা সমষ্টির কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়।' আমাদের দুই সেনানায়কের মন্ত্রিসভায় আর একদল মানুষকে দেখা যেত যাদের পেশাছুট বলা যায়। এদের কেউ কেউ ছিল (অব)। পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত এসব ব্যক্তি রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই রাজনীতির উচ্চপদে পুনর্বাসিত হন। কেউ কেউ সম্ভবত নিজের পেশায় একঘেয়েমি বোধ করছিলেন। উত্তেজনার আশায় তাঁরা রাজনীতিতে যোগ দেন। একবার এ ধরনের রাজনীতিতে যোগ দিলে আর ফেরার পথ থাকে না। রেল লাইন ধরে দৌড়ালেও পরে এসে নত মস্তকে বসে পড়তে হয়। আমরা কয়েক জাতীয় পর্যায়ের নেতাকে দেখেছি বহুবার দল থেকে বহিষ্কৃত হতে এবং আবার নত মস্তকে ফিরে আসতে।
জিয়া-পরবর্তী সময়ের বিএনপির চিত্র আমরা দেখতে পাই 'শাহ আজিজের সোনার মুকুট' ও 'বিএনপিতে টানাপোড়েন' নামক দুটি অধ্যায়ে। একদিকে বিচারপতি সাত্তার আর অন্যদিকে বেগম জিয়া। তারপর একদিকে শাহ আজিজের নেতৃত্বে প্রাক্তন মুসলিম লিগাররা আর অন্যদিকে ডাঃ চৌধুরীকে ঘিরে অন্যরা। ইদানীং অধ্যাপক মান্নান সাহেব একটি প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, 'ওরা যে কোন মূল্যে বেগম জিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।' আসলে জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ছাড়া বিএনপির ইতিবাচক দিক আর কী আছে?
• ওয়াহিদ নবি
লেখক : রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের একজন ফেলো
Sent: Friday, September 2, 2016 1:38 AM
To: pfc-friends@googlegroups.com
Cc: bangladesh-progressives googlegroups; mukto-mona@yahoogroups.com
Subject: Re: {PFC-Friends} Khaleda posts her first tweet
I wonder whether the lady understands the concept of tweeting, let alone composing it independently?--
"Founding Day Call – Let us unite to defeat authoritarianism, win democracy and freedom."
— Begum Khaleda Zia (@BegumZiaBD) September 1, 2016
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com .
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout .
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
__._,_.___