ফিরে দেখা পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর
আবদুল মান্নান
http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2016/11/03/424391
www.kalerkantho.com মানব সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রাচীন রোম, গ্রিস, ব্রিটেন, চীন বা আরব ভূমিতে একসময় |
From: Nurul Bachchu <bachchuhaq13@yahoo.com>
Sent: Thursday, November 3, 2016 3:58 AM
To: Bangladeshi Americans; Bangladesh-progressives Googlegroups; NewEngland Awami League; Bhin-Golardho Naseem; Shah DeEldar; Gonojagoron Moncho; Suhas Barua; Naheed Sitara; Quazi Nuruzzaman; Borakh Bash; 71' GDNC NEW ENGLAND; Osman Gani; Farida Majid; Osman Gani; Mina Farah; Bazlul Wahab; Abu Kamal; Shah DeEldar; Firoze Khan; Hakikul Chowdhury; NewEngland Awami League; Bipul Kamal; Dr.Gholam Mostofa; Baman Das; Abdul Momen; Saokot Hossain; Tamanna Karim; American Bangladeshi; Helal Uddin; Shah DeEeldar; Iqbal Yousuf; Bangladeshi Americans; Sitangshu Guha; Khoniker Othithee; Baduiz Khan; Shah Mahmood
Subject: জাতীয় ৪ (চার) নেতা হত্যা
Sent: Thursday, November 3, 2016 3:58 AM
To: Bangladeshi Americans; Bangladesh-progressives Googlegroups; NewEngland Awami League; Bhin-Golardho Naseem; Shah DeEldar; Gonojagoron Moncho; Suhas Barua; Naheed Sitara; Quazi Nuruzzaman; Borakh Bash; 71' GDNC NEW ENGLAND; Osman Gani; Farida Majid; Osman Gani; Mina Farah; Bazlul Wahab; Abu Kamal; Shah DeEldar; Firoze Khan; Hakikul Chowdhury; NewEngland Awami League; Bipul Kamal; Dr.Gholam Mostofa; Baman Das; Abdul Momen; Saokot Hossain; Tamanna Karim; American Bangladeshi; Helal Uddin; Shah DeEeldar; Iqbal Yousuf; Bangladeshi Americans; Sitangshu Guha; Khoniker Othithee; Baduiz Khan; Shah Mahmood
Subject: জাতীয় ৪ (চার) নেতা হত্যা
জাতীয় ৪ (চার) নেতা হত্যার কারন ব্যাখ্যা করতে যেয়ে খুনী ফারুক সাংবাদিক এন্থনী মাসকারেণহাস -কে জানায় যে ... "শেখ মুজিবকে আমরা যেভাবে উৎখাত করেছি, খোন্দকার মোশতাকও সেইভাবে উৎখাত হতে পারে। ঐ অবস্থায় ভারতের সহায়তায় কোন পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে গেলে, জেলে আটক জাতীয় চার নেতার যে কোন একজনকে টেনে এনে পাল্টা সরকার গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। সুতরাং, তাদেরকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করাটাই আমাদের কাছে নিরাপদ মনে হয়। " ফারুক - রশীদ মিলে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। রশীদ -ফারুক একমত হয় যে, মোশতাককে হত্যা বা পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটলে প্রথম কাজ হবে, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরকারের শূন্যতা পূরনের জন্য সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ানো। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে একটা "জল্লাদ বাহিনী " দ্রুত কেন্দ্রীয় কারাগারে ছুটে গিয়ে তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী এবং কামরুজ্জামানকে হত্যা করবে। হত্যা করার কাজটি দেওয়া হয় ফারুকের বিশ্বস্ত "তিন থেকে পাঁচ সদস্যের " একটা জল্লাদ বাহিনীর উপর। এই দলটা ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিনের দল যারা ১৫ই আগষ্ট শেখ ফজলুল হক মনিকে হত্যা করেছিল অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়। ফারুক আরো জানায় যে, পরিকল্পনাটি করা হয়েছিল তাৎক্ষণিকভাবে যা স্বংয়ক্রীযভাবে কাজ করে!!
খোন্দকার মোশতাক তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে অনেক বাধা -বিপত্তির সম্মুখীন হয়। তার সবচেয়ে মাথা ব্যথার কারন ছিল সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদটি নিয়ে। কারন, রশীদ -ফারুক সেনাবাহিনী প্রধানের গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে মেজর জেনারেল শফিউল্লাহর পরিবর্তে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে স্থলাভিষিক্ত করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু মোশতাক জিয়াকে সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদটিতে নিয়োগ প্রদানে অনীহা পোষন করে। কারন হলো, পাকিস্তান ফেরত সেনাবাহিনীর বিপুল অংশের সেনা কর্মকর্তার সাথে জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা!! কে চায়, তার বিপজ্জনক প্রতিদ্বন্দ্বীকে মেনে নিয়ে পদায়ন করতে!! তাছাড়া, মোশতাকের পছন্দ না হলেও রশীদ -ফারুক বিমান বাহিনীর প্রধান হিসাবে তোয়াবকে নিযুক্ত করে। পরবর্তীতে, রশীদ -ফারুকের পছন্দ অনুযায়ী মোশতাক জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদটিতে নিয়োগ দেয়। অবশ্য মোশতাকের কূটবুদ্ধিতে সেনাবাহিনীতে ডিফেন্স স্টাফ প্রধানের একটি পদ সৃষ্টি করা হয় শুধুমাত্র জিয়ার কার্যকারিতা নজরদারি করার জন্য। মোশতাক বাংলাদেশ রাইফেলস -এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে ডিফেন্স স্টাফ প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেয়। তাছাড়া, পদোন্নতির দিক দিয়ে জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফকে চীফ অব জেনারেল স্টাফ হিসাবে নিয়োগ দেয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে একটি ধারনা সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় যে, বিদ্রোহ, ধ্বংস, হত্যা সেনাবাহিনীর অফিসার আর জোয়ানদের জন্য অনুমোদন যোগ্য!! তাই, মোশতাক তার ক্ষমতা নিরংকুশ করার জন্য সম্ভাব্য সকল প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে ফেলার পদক্ষেপ নেয়। মোশতাক অনুধাবন করে যে, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দই তার নিরংকুশ ক্ষমতার অন্তরায়। তাই, কালবিলম্ব না করে মোশতাক ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে জাতীয় ৪ (চার) নেতাকে আটক করে ফেলে। পরবর্তীতে আটক অবস্থায় জাতীয় ৪ নেতাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। উল্লেখ্য, মনসুর আলী তখনো প্রধানমন্ত্রী। তাকে বঙ্গভবনে ডেকে পাঠানো হয়। খন্দকার মোশতাক তাকে উচ্ছ্বাস ভরে গ্রহণ করে এবং টেলিভিশনে তা দেখানো হয়। অথচ, টেলিভিশনে যখন এই দৃশ্য দেখানো হচ্ছিলো তখন মনসুর আলী খানকে জোর করে সংগোপনে জেলে ঢুকানো হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান এবং তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্যেও তাই ঘটে। .
__._,_.___