Banner Advertiser

Thursday, December 1, 2016

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} Please read



Nice write up, Sitangsuda,

Thank you for expressing your concern for the Muslim Rohinga though with some pessimism towards a meaningful resolution. Let's be hopeful and continue to bring it to the world's attention to stop this ethnic cleansing. This is another holocaust in progress that the world promised to not have another one after millions of Jews were exterminated.

You've also brought up the issues with the minorities in Bangladesh. These are of course some burning issues facing Bangladesh, now among others. Afterall , a critical analysis. Qudos to you

Minority must always be protected, wherever they. Minorities must always be considered, a sacred trust from the God almighty for the majority. If the majority fails in their obligation, they lose their rights as well. Sadly that's actually the norm in our so called modern global civilization, now and we as such suffer the consequences.

Thank You.


On Dec 1, 2016 3:15 PM, "Sitangshu Guha" <guhasb@gmail.com> wrote:

মানবতা যখন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশ তখন বসে থাকতে পারেনা
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব এখন সরগরম। রোহিঙ্গা নির্যাতন দু:খজনক এবং এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বাংলাদেশ বিশ্বকে মায়ানমারের ওপর চাপ দেয়ার আহবান জানিয়েছে। জাতিসংঘের রিফিউজি বিষয়ক এজেন্সির জন ম্যাককিসিক বিবিসিকে বলেছেন, এটা এথনিক ক্লিনজিং। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে। কিছু চীনেও ঢুকেছে। চীন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এখনো চুপ। চুপ মায়ানমারের নেত্রী নোবেল বিজয়ী অং সান সূচি। সূচি কি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে পারবেন? পারবেন কি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিরুদ্ধে যেতে? বাংলাদেশে আমরা কি পারি? রোহিঙ্গাদের বেদনা আমরা বুঝি, কারণ আমরা ভুক্তভুগী। আর বুঝি বলেই এর সমাধান চাই। এও জানি আপাতত: এরকোন সমাধান নেই। 

সরকার বলছেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবেনা। কার্যত: ইতিমধ্যে লাখখানেক ঢুকে পড়েছে। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছেন, বাংলাদেশ এমনিতে ঘনবসতিপূর্ণ, আর চাপ নেয়া যাবেনা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক একধাপ এগিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা যারা ঢুকে গেছে তাদের ফেরৎ পাঠানো উচিত এবং আর যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্যে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। দেশের সুধীজনের মতামত মোটামুটি এরকম যে, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা দেয়া হোক, বার্মার ওপর চাপ দেয়া হোক, কিন্তু রোহিঙ্গারা যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হোক। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। মানবতা যখন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশ তখন বসে থাকতে পারেনা। 

কিছু লোক রোহিঙ্গাদের জন্যে বর্ডার খুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। একই গোষ্ঠী এই ইস্যু নিয়ে অসংখ্য ভুয়া নিউজ ও ছবি প্রচার করেছে। মিডিয়া বলছে, রাখাইন অঞ্চলে গতমাসে বেশকিছু বার্মীজ পুলিশ-মিলিটারি নিহত হয়েছেন। এরপর থেকে সৈন্যরা সেখানে হামলা চালাচ্ছে। তারা বলছে, জঙ্গি মারছে। এই জঙ্গি-মিলিটারি ফাইটে সাধারণ রোহিঙ্গারা শরণার্থী হচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজিবি ওদের আশ্রয়-খাদ্য-ওষুধপত্র সবই দিচ্ছে, তবে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা, বরং বোঝানো হচ্ছে নিজদেশে ফিরে যাওয়ার জন্যে। এসব শরণার্থীরা জঙ্গি তা কেউ বলছেন না, কিন্তু শরণার্থীর ভীড়ে জঙ্গি যে বাংলাদেশে ঢুকবে না, এর গ্যারান্টি কোথায়? রামু'র ঘটনায় রোহিঙ্গারা জড়িত ছিলো। রোহিঙ্গাদের সশস্র ট্রেনিং-র প্রচুর সংবাদ মিডিয়ায় এসেছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে আমরা মনে করি সরকারের নীতিই সঠিক।

আরাকান অঞ্চলে বেশকিছু সশস্ত্র গ্রূপ কাজ করছে। অস্ত্রহাতে রোহিঙ্গাদের জ্বিহাদের ডাক দেয়া ভিডিও ঘরে বসেই দেখা যায়। রোহিঙ্গা নির্যাতন প্রশ্নে বিশ্ব হয়তো একারণে খুব একটা সরব হবেনা। তদুপরি মায়ানমারে একটি গণতান্ত্রিক সরকার বহাল। এই সরকারকে তারা ঘাটাতে চাইবেন না! তদুপরি, সুচির সরকার যে পুরোপুরি সেনা নিয়ন্ত্রণমুক্ত সেটা নাও হতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল। রোহিঙ্গা শব্দটি সর্বত্র স্বীকৃত নয়। এই রোহিঙ্গারা আসলে কারা? বার্মা বলে এরা বাংলাদেশী। আমরা জানি এরা বাংলাদেশী না। মূলত: রোহিঙ্গারা ইয়েমেনি, সেটা দীর্ঘদিনের ইতিহাস। এখন তারা আরাকানবাসী। ৯১-৯২ সালে বাংলাদেশে বাংলাদেশে আড়াইলাখ রোহিঙ্গা ঢুকে। বিশ্ব সম্প্রদায় তখন বাংলাদেশকে চাপ দিয়েছিলো, কারণ বার্মায় তখন সামরিক সরকার, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার। বেগম জিয়ার সরকার তখন বাধ্য হয়েছিলো রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে। 

সরকারি গণনায় আড়াইলাখ হলেও আসলে তখন পাঁচলাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমার কখনোই তাদের ফেরৎ নেয়ার কথা বলেনি। ওই রোহিঙ্গারা এখন কোথায়? সৌদি আরবে প্রায় চার লক্ষ রোহিঙ্গা আছে, এদের মধ্যে ২লক্ষ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। ওআইসি ভুক্ত অন্যান্য দেশে প্রায় ২লক্ষ রোহিঙ্গা আছে; ইন্দোনেশিয়ায় ৩০হাজার। বাংলাদেশে যেমন রোহিঙ্গাদের আচরণ নিয়ে আমরা অখুশি, সৌদি আরবসহ অনত্র একই অবস্থা। আরাকান অঞ্চলে এখন বেশ ক'টি গ্রূপ যুদ্ধরত। কোন গ্রূপ বার্মার পুলিশ/মিলিটারি মেরেছে আমাদের জানার দরকার নাই। মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মারলে আমাদের দায়িত্ব আছে; জঙ্গি মারলে আমাদের দায়িত্ব নাই। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্যে 'সিকিউরিটি এলার্ট'। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের চায়না। 

আসলে ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের মানুষ রোহিঙ্গা শব্দের সাথে পরিচিত হয়। ওটা জেনারেল জিয়া, জেনারেল আমিন আহমদ চৌধুরী ও জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু'র ব্রেইনচাইল্ড। পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্রোহ দমন এবং পাহাড়ে ইসলামীকরণ পরিকল্পনা থেকে প্রসূত। এ মুহূর্তে ওই অঞ্চলে ইসলামী উম্মার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ চলছে। একজন ক্যাপ্টেন জানাচ্ছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নুতন করে একটি 'রোহিঙ্গা-ফিলিস্তিন' ইস্যু দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এত অবাক হবার কিছু নেই। ইরাকে আইএস মার্ খাচ্ছে। শিগগিরই তাদের নুতন ক্ষেত্র প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশকে সতর্ক না হয়ে উপায় নাই। তবে এই ইস্যুতে রামু'র একজন বৌদ্ধভিক্ষু ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ চমৎকার বলেছেন, রোহিঙ্গা নিপীড়ন প্রশ্নটি ধর্মের নয়, মানবতার। 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নাসিরনগর ও সাঁওতাল ইস্যু চাপা পরে গেছে। যারা আন্দোলন করছিলেন তাদের আবার আর একটি রামু, নাসিরনগর, নন্দীরহাট, সাতক্ষীরা বা সাঁওতাল ঘটনার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। তবে এরমধ্যে সু-সংবাদ যে, সরকার সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করছেন। নুতন আইনে বিচার হবেতো? আশা করা যায়, নুতন আইন যেন অর্পিত সম্পত্তি আইন বা পার্বত্য শান্তি চুক্তির মত নাহয়। অর্থাৎ চুক্তি আছে, আইন আছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। লোক দেখানো মুখ রক্ষার আইন দরকার নাই। আইন হোক, কিন্তু আইনের চাইতেও বড় কথা সংখ্যালঘু সমস্যা নিরসনে সরকার ও দেশের মানুষের সদিচ্ছা জাগ্রত হোক। রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে আমরা যেমন মিয়ানমারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক চাইছি, ঠিক তেমনি নিজদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে আমরা আমাদের দেশের মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক কামনা করতে পারি। 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
২৫শে নভেম্বর ২০১৬। নিউইয়র্ক। 




--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Rezaul Karim <rezaulkarim617@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___