Banner Advertiser

Sunday, December 25, 2016

[mukto-mona] যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত কর ও বিচার কর।



যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত কর ও বিচার কর।

দেশ ও জনগণের স্বার্থে সরকারের উচিত- নরখাদক,বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রদ্রোহী। সংবিধানবিরোধী।কুচক্রী ও ষড়যন্ত্রকারী সন্তু লারমাকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করা ও বিচার করা।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিমন্ত্রী ও বিশেষ সুবিধায় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার জন্য চরম ঔদ্ধত্যমূলক ও রাষ্ট্রদোহিতামূলত কর্মকা- প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। উপজাতি সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র সন্তু লারমা এবং তার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। সন্তু লারমার উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালি উচ্ছেদ করে একচ্ছত্রভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্তৃত্ব স্থাপন। গত জুমুয়াবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। তিনি বলেছেন, 'সন্তু লারমা চায় না, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা থাকুক। তাকে (সন্তু লারমা) এই অধিকার কে দিয়েছে? ওই ব্যক্তি কিভাবে ওখান থেকে বাঙালিদের সরে যেতে বলে? সে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নয়। তার বাংলাদেশের আইডেন্টিটি নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কি ছিল তাও কেউ জানে না। 
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, ড. তারেকের এ কথা যথার্থ। কিন্তু অতীব আফসোস ও গভীর পরিতাপের বিষয় হলো- এ বিষয়ে বহুদিন যাবৎ লেখালেখির পরও এখন পর্যন্ত তথাকথিত কোনো বুদ্ধিজীবী মুখ খুলেনি। ড. তারেক মুখ খুললেন এবং বললেন, কিন্তু অনেক দেরিতে বললেন। বাস্তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যারা মুখে ফেনা তুলে তারা মূলত দেশের এক দশমাংশ ভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো চিন্তাই করে না। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমা গংদের চক্রান্ত তাদেরকে বিচলিত করে না।
অথচ বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার এই অপতৎপরতার প্রধান উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর এর পেছনে কাজ করছে মার্কিন সম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ইহুদী লবিং। সিএচটি কমিশন হলো ইহুদী সম্রাজ্যবাদীদের দোসর। ফলে পাহাড়ে তৈরি হয়েছে দেশবিরোধী কিছু উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন। জেএসএস এবং ইউপিডিএফ যাদের মধ্যে প্রধান। এরা সশস্ত্র এবং সংগঠিত। দেশবিরোধী আর এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতারা কিন্তু শুধু বিদেশী নয়, দেশী হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, সোশাল ওয়ার্কার, মানবাধিকার কর্মী, এনজিও তথাকথিত সুশীল ব্যক্তি ইত্যাদি ছদ্মবেশে পাহাড়ে অবস্থান করে এরা বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তা দিয়ে চলেছে আর এই অর্থের ৯০ ভাগই ব্যবহার করা হচ্ছে মায়ানমার ও ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নের নাম করে বিভিন্ন সংস্থা পাহাড়ে এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিয়ে চলেছে এমনকি এরা কূটনৈতিক সহায়তাও পাচ্ছে বিদেশ থেকে।
আমরা দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা আজকে পাহাড়ে বাঙালি উচ্ছেদ করে শুধু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেই লিপ্ত নয়, বরং সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ঘৃণ্য নীলনকশা বাস্তবায়নে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সন্তু লারমার পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতার সময়ও পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করে ঘৃণ্য রাজাকারের ভূমিকায় ছিল এবং মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশবাসীকে হত্যা করেছিলো।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা পাহাড় থেকে বাংলাদেশীদের হটানোর নেপথ্যে 'উপজাতি'দেরকে 'আদিবাসী' বলে প্রচার করছে। যা বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী। কারণ সংবিধানে এসব নৃ-গোষ্ঠীকে 'উপজাতি' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা ও রাজাকার পুত্র ত্রিদিব রায় অতীতে বলেছিলো- 'আদিবাসী নয়, সবাই উপজাতি'। কিন্তু বর্তমানে হঠাৎ করে কয়েক বছর ধরে এই কুটকৌশলের অধিকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা কেন আদিবাসী ইস্যু নিয়ে নাক গলাচ্ছে?
সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা কিছুদিন পর পর নানা হুমকি ও হুঁশিয়ারী দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপকে উস্কে দিচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে পাহাড়। এর আগেও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা নানা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে হাজার হাজার বাঙালিকে শহীদ করেছিলো। ১৯৭৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে ঘুমন্ত মানুষের উপর রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম কলঙ্কজনক অধ্যায় লংগদু গণহত্যা করে ৩৮ হাজার বাঙালিকে হত্যা করেছিলো বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস। বাঙালিদের প্রত্যেকটি গ্রামে অগ্নি সংযোগসহ লুটতরাজ, সামনে যে বাঙালিকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙালি নারীদের গণসম্ভ্রমহরণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। এছাড়া কাউখালী গণহত্যা, বেতছড়ি গণহত্যাসহ প্রায় ১৫টির মতো গণহত্যার মাধ্যমে এই সন্তু লারমা সে প্রায় লাখখানেক বাঙালিকে হত্যা করেছে।
সঙ্গতকারণেই আমরা বলতে চাই, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে কোনো প্রকার স্বাধীনতা বিরোধীদের অভয়ারণ্য হতে পারে না। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী, সরকারবিরোধী এবং সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দেয়ার পরও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমার বিরুদ্ধে এখনো আইনের প্রয়োগ করা হয়নি। তাকে দেয়া প্রতিমন্ত্রীর সুবধিা প্রত্যাহার করা হয়নি।
অথচ যারা পাহাড়ে বাঙালি উচ্ছেদের কথা বলে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। সংবিধানবিরোধী। তারা বাংলাদেশবিদ্বেষী। দেশবিরোধী এসব কুচক্রী ও ষড়যন্ত্রকারীদের এদেশে থাকার, চলার, সংগঠন করার, বক্তব্য দেয়ার কোনো অধিকার নেই। তারা ১৯৭১-এর শান্তিকমিটির মতো দেশে অশান্তি বিস্তার করছে, বিদ্বেষ তৈরি করছে। বৈষম্য লালন করছে। এরা ষড়যন্ত্রকারী এবং কুচক্রী। এরা এদেশে অবাঞ্ছিত। এদের উৎখাত করতে দেশবাসীকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 
তাই সরকারের উচিত, সন্তু লারমাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। সেইসাথে পাহাড়ে বাঙালিদের সুরক্ষা এবং শান্তির পরিবেশ কায়েম করার জন্য যথাযোগ্য সামরিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা।




__._,_.___

Posted by: sahosi bangladesh <sahosi.bangladesh786@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___