ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো উদ্যোগই সফল হয়নি
কামরুল হাসান
রাজনৈতিকভাবে ২০১৬ সাল বিএনপির রাজনীতি কিংবা সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রমই সফলতার আলো দেখেনি। দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করেও নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে পারেননি দলটির নেতারা। বরং আরো বেশি হতাশায় পড়তে হয়েছে তাদের। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যু পেয়েও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বিএনপি নাসিক নির্বাচনে পৌনে এক লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বাড়িয়েছে হতাশার পরিধি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় এ বছর। রাজপথের কর্মসূচি থেকে বিএনপি সরে এলেও প্রশাসনের অনুমতি সংক্রান্ত জটিলতায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে বিএনপির সব কার্যক্রম। অপরদিকে এই বছরটিতে দলটি বেশ কয়েক গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত নেতাকে হারিয়েছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে গত বছর সমাবেশের অনুমতি না পেলেও দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় ২০ দফা শর্তের বেড়াজালে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বছরটি শুরু করে বিএনপি। এরপর ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলকে ঘিরে 'ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়' বুক বেঁধেছিলেন দলটির নেতাকর্মী-সমর্থকরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, সরকারের নানামুখী চাপ সত্ত্বেও একটি সফল কাউন্সিল সম্পন্ন করে দলটি। কিন্তু সেই সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর 'বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়' পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা আসে। স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদসহ ৫৯২ জনের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ভুলে ভরা এ কমিটি গঠনে চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ দলের নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন নেতাকর্মীরা। এ কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়ায় অনেকের অসন্তোষ, শূন্যপদসমূহ পূরণ না হওয়ার হতাশা এবং রাজপথে দলীয় কর্মসূচি না থাকা, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় এ 'ঢাউস' কমিটিও বছর শেষে দলকে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি।
কূটনৈতিক অঙ্গনেও দলটির কার্যক্রম চলে ঢিমেতালে। বছরের শুরুতেই দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের অন্যতম সদস্য শমশের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগ, ড. ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা আর অন্য সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যেও বাংলাদেশে সফররত বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলটির চেয়ারপার্সন। এর অংশ হিসেবে সৌদি প্রিন্স, চীনা প্রেসিডেন্ট জিন পিং ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পান খালেদা জিয়া। তবে চীনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে শিমূল বিশ্বাসের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় তখন।
এদিকে, জাতীয় জাদুঘর থেকে জিয়ার পদক থেকে সরিয়ে ফেলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নারী-শিশু নির্যাতনের মতো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিংবা জনগণের অধিকার রক্ষার অনেক ইস্যু পেলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া চলতি বছরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে 'ব্যাপক কারচুপি'র অভিযোগ করলেও এ ইস্যুতে 'শক্ত প্রতিবাদ' গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। উল্টো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এরও কোনো সুরাহা করতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশে। সুন্দরবনের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে আগস্ট মাসে। ২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্তকে 'গণবিরোধী' আখ্যা দিয়ে প্রকল্পটিকে বাতিলের দাবি জানান খালেদা জিয়া। কিন্তু এ ইস্যুতে সক্রিয় কোনো কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি। কেবল 'তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি' নামে একটি নাগরিক সংগঠনের বিক্ষোভের কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় দলটি। এ নিয়ে বিএনপিকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।
নেতাকর্মীদের হতাশা বাড়িয়ে এ বছরই পূর্ণ হয়েছে বিএনপির ক্ষমতার বাইরে থাকার এক দশক (১০ বছর)। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ে পাঁচবার সরকারে থাকা এই দলটি। এর আগে কখনোই এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকার রেকর্ড নেই বিএনপির। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেছেন দলের কেউ কেউ। ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তারা বলেছেন, দলের স্থায়ী কমিটির তিনটিসহ একাধিক পদ এখনো শূন্য রয়েছে। সারাদেশে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে চারবার সময় বাড়িয়েও তৃণমূল পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপি ও যুবদলসহ 'মেয়াদোত্তীর্ণ' অন্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও এখনো ঘোষিত হয়নি।
সমালোচনা বাড়ছে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশান কার্যালয়কেন্দ্রিক নানা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। কিন্তু দলটির হাইকমান্ড এসব বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি কখনো। গুটিকয়েক নেতার কাছে পুরো বিএনপি জিম্মি হয়ে পড়লেও দলের অন্য নেতাদের সমন্বয় করে শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এক নেতার এক পদসহ সারাদেশের সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৬ সালের পুরোটাজুড়েই তিনি ছিলেন নিরুত্তাপ।
নতুন বছরের প্রথম মাস তথা জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বিএনপিকে হারাতে হয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী ড. আর এ গণিকে। ১৫ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। এ ছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর দলের আরেক নীতিনির্ধারক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ মারা যান। তার মৃত্যু অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন হান্নান শাহ। ১/১১ পরবর্তী সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলসহ আরো প্রায় ৩০ জন নেতাকে হারাতে হয়েছে বিএনপিকে।
মানবকণ্ঠ/এনআই
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে গত বছর সমাবেশের অনুমতি না পেলেও দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় ২০ দফা শর্তের বেড়াজালে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বছরটি শুরু করে বিএনপি। এরপর ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলকে ঘিরে 'ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়' বুক বেঁধেছিলেন দলটির নেতাকর্মী-সমর্থকরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, সরকারের নানামুখী চাপ সত্ত্বেও একটি সফল কাউন্সিল সম্পন্ন করে দলটি। কিন্তু সেই সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর 'বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়' পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা আসে। স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদসহ ৫৯২ জনের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ভুলে ভরা এ কমিটি গঠনে চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ দলের নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন নেতাকর্মীরা। এ কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়ায় অনেকের অসন্তোষ, শূন্যপদসমূহ পূরণ না হওয়ার হতাশা এবং রাজপথে দলীয় কর্মসূচি না থাকা, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় এ 'ঢাউস' কমিটিও বছর শেষে দলকে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি।
কূটনৈতিক অঙ্গনেও দলটির কার্যক্রম চলে ঢিমেতালে। বছরের শুরুতেই দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের অন্যতম সদস্য শমশের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগ, ড. ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা আর অন্য সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যেও বাংলাদেশে সফররত বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলটির চেয়ারপার্সন। এর অংশ হিসেবে সৌদি প্রিন্স, চীনা প্রেসিডেন্ট জিন পিং ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পান খালেদা জিয়া। তবে চীনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে শিমূল বিশ্বাসের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় তখন।
এদিকে, জাতীয় জাদুঘর থেকে জিয়ার পদক থেকে সরিয়ে ফেলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নারী-শিশু নির্যাতনের মতো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিংবা জনগণের অধিকার রক্ষার অনেক ইস্যু পেলেও সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া চলতি বছরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে 'ব্যাপক কারচুপি'র অভিযোগ করলেও এ ইস্যুতে 'শক্ত প্রতিবাদ' গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। উল্টো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এরও কোনো সুরাহা করতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশে। সুন্দরবনের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে আগস্ট মাসে। ২৪ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্তকে 'গণবিরোধী' আখ্যা দিয়ে প্রকল্পটিকে বাতিলের দাবি জানান খালেদা জিয়া। কিন্তু এ ইস্যুতে সক্রিয় কোনো কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি। কেবল 'তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি' নামে একটি নাগরিক সংগঠনের বিক্ষোভের কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় দলটি। এ নিয়ে বিএনপিকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।
নেতাকর্মীদের হতাশা বাড়িয়ে এ বছরই পূর্ণ হয়েছে বিএনপির ক্ষমতার বাইরে থাকার এক দশক (১০ বছর)। সর্বশেষ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ে পাঁচবার সরকারে থাকা এই দলটি। এর আগে কখনোই এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকার রেকর্ড নেই বিএনপির। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেছেন দলের কেউ কেউ। ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তারা বলেছেন, দলের স্থায়ী কমিটির তিনটিসহ একাধিক পদ এখনো শূন্য রয়েছে। সারাদেশে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে চারবার সময় বাড়িয়েও তৃণমূল পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে পারেনি বিএনপি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপি ও যুবদলসহ 'মেয়াদোত্তীর্ণ' অন্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও এখনো ঘোষিত হয়নি।
সমালোচনা বাড়ছে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশান কার্যালয়কেন্দ্রিক নানা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। কিন্তু দলটির হাইকমান্ড এসব বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি কখনো। গুটিকয়েক নেতার কাছে পুরো বিএনপি জিম্মি হয়ে পড়লেও দলের অন্য নেতাদের সমন্বয় করে শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এক নেতার এক পদসহ সারাদেশের সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৬ সালের পুরোটাজুড়েই তিনি ছিলেন নিরুত্তাপ।
নতুন বছরের প্রথম মাস তথা জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বিএনপিকে হারাতে হয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী ড. আর এ গণিকে। ১৫ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। এ ছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর দলের আরেক নীতিনির্ধারক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ মারা যান। তার মৃত্যু অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন হান্নান শাহ। ১/১১ পরবর্তী সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলসহ আরো প্রায় ৩০ জন নেতাকে হারাতে হয়েছে বিএনপিকে।
মানবকণ্ঠ/এনআই
শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭ পৌষ ১৪২৩, ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৩৮
সম্পর্কিত বিষয়:
নাসিক নির্বাচন বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ
Dec 10, 2016 - নাসিক নির্বাচন বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চহাসান মোল্লা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। ... এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের প্রচারণার মাঠে নামতে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনেও উদ্যোগ নিতে জোট নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপিপ্রধান।
ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে টালমাটাল বিএনপি | রাজনীতি | Jugantor
www.jugantor.com/.../ঘুরে-দাঁড়ানোর-পরিবর্তে-টালম...
May 21, 2016 - জাতীয় কাউন্সিলে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। উল্টো ধারাবাহিক ইস্যুতে ... সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে দলের করণীয় কী হবে তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিষয়টি ... তাদের উদ্দেশ্য বিএনপি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। তিনি বলেন, চাপ দিয়ে ...ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে টালমাটাল বিএনপি | রাজনীতি | Jugantor
www.jugantor.com/.../ঘুরে-দাঁড়ানোর-পরিবর্তে-টালম...
May 21, 2016 - জাতীয় কাউন্সিলে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। উল্টো ধারাবাহিক ইস্যুতে ... সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে দলের করণীয় কী হবে তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিষয়টি ... তাদের উদ্দেশ্য বিএনপি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। তিনি বলেন, চাপ দিয়ে ...
__._,_.___