Banner Advertiser

Sunday, December 4, 2016

[mukto-mona] জাতিসংঘ ও ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে



জাতিসংঘ ও ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে

সুব্রত বিশ্বাস : ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন, উচ্ছেদ, তাড়িয়ে দেওয়া, মন্দির ও দেবতা ভাঙচুর চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আক্রমণ নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর এবং গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর। উভয় ক্ষেত্রেই মন্ত্রী, এমপি, সরকারী দল এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীর যৌথ যোগসাজসে সংঘটিত হয়েছে। পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং মানবাধিকার কর্মীদের পরিদর্শন তথ্যে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। আর এটাও ঠিক, দু'টি ঘটনাই সাথিয়া অভয়নগর রামু সহ অসংখ্য ঘটনায় বিচারহীনতারই পরিণতি। বরং সাথিয়ার বনগ্রাম, রাজশাহীর অভয়নগর, নোয়াখালীর বেগমগজ্ঞ এবং রামুর ঘটনার পর নাসিরনগর ও গোবিন্দগঞ্জের ঘটনা আরও ভয়াবহ। স্বাভাবিকভাবে দেশে বিদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, প্রগতিশীল সংগঠন প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানাতেই পারে।

07272016_08_SUBRATA_BISWAS

নিউইয়র্কে বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদও সম্ভবত তারই অংশ এবং একই উদ্দেশ্য থেকে। ইতিমধ্যে ছোট খাটো প্রতিবাদের পর জাতিসংঘ ও ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে দু'টি প্রতিবাদ সমাবেশ তারা করেছে। পত্রপত্রিকায় দেখেছি ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে আরেকটি প্রতিবাদ সভার কর্মসূচী রয়েছে। এরই মধ্যে লক্ষ্য করলাম একটি ওয়েবসাইট পত্রিকার জনৈক সম্পাদক প্রতিবাদ সভার নেতৃত্বদানকারী মিঃ শিতাংশু গুহকে উদ্রবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। একইভাবে লক্ষ্য করলাম যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেসবুকে একটি পোস্টিং-এ বলছেন, এক শ্রেণীর বাংলাদেশ বিরোধী গ্রুপ পৃথিবীর বড় শহর নিউইয়র্কের রাস্তায় দেশের ভাবমুর্তি বিনষ্ট সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে ১৬ কোটি মানুষের সকল ধর্মের শান্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এসবকে অজুহাত করে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হলে বাধ্য হয়ে তখন তাদেরকে কিছু করতে হবে। সোজাসুজি কারো নাম উল্লেখ না করলেও সম্পাদক ও সভাপতি উভয়ের বক্তব্যের রেষ বা ইঙ্গিত যে সংখ্যালঘু প্রতিবাদ সভাকে উদ্দেশ্য করে বলাইবাহুল্য।

প্রথমত শিতাংশুবাবু আদৌ উগ্রবাদী কি না তার চেয়ে বাস্তব সত্য শিতাংশুবাবু সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। প্রতিবাদ বিস্তৃতি পাওয়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা নতুন করে দেশের বাহিরেও প্রকাশ হয়ে পড়ছে। যদিও ঘটনা এবং বিচারহীনতার ধারাবাহিকতায় এই মুহূর্তে প্রতিবাদের বিকল্প দেখিনা। তাই অনেকের আতে লাগছে সেজন্য অযথা অপবাদ খোঁজা হচ্ছে। আর যাদের আতে লাগে এবং যারা অপবাদের সংজ্ঞা খোঁজেন তাদের কাউকে কিন্তু কখনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না। তবে যেহেতু রুহিঙ্গারা মুসলমান সেক্ষেত্রে তারা বিশ^ মুসলিমদের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নামতে ভুল করেন না। যদিও এর প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। সুতরাং ঘটনাকে ঘোলাটে করতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী, ভারতের দালাল, এক পা বাংলাদেশে আরেক পা প্রতিবেশী দেশে এসব নতুন কোন বিষয় নয়।

তবে প্রতিবাদ করলে যাদের আতে লাগে তাদেরকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে সংখ্যালঘুরা কামকাজ ফেলে খুব সাধে কি এসব প্রতিবাদ করছে। বিএনপি আমলের ২০ হাজার সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা না হয় বাদ দিলাম। কারণ বিএনপি আমলের বলে হয়তো সভাপতি সাহেব বা তার দলের দায় নেই। সভাপতি সাহেব তথা আওয়ামী আমলের সাথিয়া, অভয়নগর, ঠাকুরগাঁও, পিরোজপুর, বাগেরহাট, বেগমগঞ্জ, হাটহাজারী, রামু সহ অগণিত ঘটনা তাও বাদ দিলাম। মেনে নিলাম সভাপতি সাহেবরা কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু নাসিরনগর এবং গোবিন্দগঞ্জে কি করেছেন? বয়েসের কারণে মন্ত্রীর মুখে মালাউনের বাচ্চা বেফাস কথাও না হয় মেনে দিলাম। ডিভিশন্যাল পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে মন্ত্রী,এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ১৮জন দলীয় নেতাকর্মী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার নাম এসেছে। তাদের একজনকেও কি অভিযুক্ত করা হয়েছে। অধিকন্তু ৩ জন নিরীহ কর্মীকে ঘটনার শিকার বানিয়ে সবাইকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। রসরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিকল্পিত এবং মিথ্যা এখন পুলিশই বলছে। ঘটনার সাথে জড়িত মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ে স্বীকার করার পরও রসরাজ মুক্তি পায়নি। হয়তো রসরাজ এক সময় মুক্তি পাবে। কিন্তু রসরাজের জীবনে রস কি ফিরে আসবে? শুনেছি তার পরিবার ইতিমধ্যে প্রতিবেশী দেশ পাড়ি দিয়েছে। গুজব তৈরি করে শুধু রসরাজ নয় কয়েক শত হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ ও লুটপাট হয়েছে, হিন্দু মেয়েদের উপর অত্যাচর হয়েছে এবং তা একবার নয় সরকারের নজরে আসার পর তিনবার হয়েছে। যারা মালাউনের বাচ্চার ওপর ইসলাম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে এসব কা- করলো তাদের কিছু হয়েছে?

একই চিত্র তো গোবিন্দগঞ্জেও। এমপি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ মিলিতভাবে আক্রমণ করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন সাথে থেকে সহযোগিতা করেছে। এটা একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সাঁওতালরা এদের সবের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। বলা যাবে এতে কেউ গ্রেফতার হয়েছে? অধিকন্তু পুলিশ সাওতালদের খঁজে বেড়াচ্ছে। এভাবে বিচারহীনতার চরম পরিণতি ভোগ করছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ধারাবাহিক এই বিচারহীনতার পরিণতিতে প্রতিনিয়ত দেশের সর্বত্র উচ্ছেদ, মুর্তি-প্রতিমা ভাঙ্গার মহরত চলছে। গতকালই রাজশাহীতে ৫টি মন্দির, মাধবপুরে একটি, ঝালকাটিতে দু'টি মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে।

তারপর প্রতিবাদ ছাড়া সংখ্যালঘুদের সামনে আর কি অবশিষ্ট আছে। প্রতিবাদ করতে যেয়েও তো নিস্তার নেই। প্রতিবাদের কারণে সাংবাদিক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে। অথচ প্রতিবাদ করায় মন্ত্রী মশায় কারো চোখ তুলে নেবার হুমকি দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়না। কারো সাহায্য চাইলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার হুমকি আসে। সুতরাং জনাব সভাপতি ও সম্পাদক সাহেব সংখ্যালঘুরা যাবে কোথায়। এরাতো এই বাংলাদেশেরই মানুষ। আপনারা সংখ্যাগুরুদের ছাড়া আর কার কাছে সংখ্যালঘুরা বিচারপ্রার্থী হবে। তাই বলছিলাম কি, নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে বাস্তবতার নিরিখে ব্যাপারটি ভাবলে ভালো হয়না।










                                               


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___