Banner Advertiser

Tuesday, February 14, 2017

[mukto-mona] একজনের কারণে ঝুঁকিগ্রস্ত এনআরবিসি ব্যাংক



 
It looks like, Banking System in Bangladesh is under Mafia control. Mafias are draining Banks through gigantic loans using false identities and starting business ventures abroad. These loans are never paid back. It appears that - they have cornered Mr. Farasat Ali , and I am really worried about his future there.
__________________________________________________________________________


 একজনের কারণে ঝুঁকিগ্রস্ত এনআরবিসি ব্যাংক

ফখরুল ইসলাম ও সানাউল্লাহ সাকিব | আপডেট: | প্রিন্ট সংস্করণ




ফরাসত আলী ও শহীদুল আহসান
ফরাসত আলী ও শহীদুল আহসাননতুন প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংককে 'ঝুঁকিগ্রস্ত' ব্যাংকে পরিণত করেছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহীদুল আহসান একাই। তিনি এনআরবিসি বা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের একজন গ্রাহক মাত্র। কিন্তু নিজ ব্যাংক পরিচালনার পাশাপাশি শহীদুল আহসান পুরো এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, এনআরবিসি ব্যাংক আইন না মেনে শহীদুল আহসানকে ঋণ দিয়েছে, আইন লঙ্ঘন করে বেনামি শেয়ার কিনেছেন শহীদুল আহসান এবং অবৈধভাবে তিনি ব্যাংকটির পর্ষদ সভায়ও অংশ নিয়েছেন।
শহীদুল আহসানের কার্যকলাপ-গুলোকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সহায়ক জামানত ছাড়াই তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানকে এনআরবিসি ব্যাংক ৩০১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, যা ব্যাংকটির মূলধনের ৫৬ শতাংশ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের 'একক গ্রাহকের ঋণসীমা' নীতির লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁর বেনামি শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়ার যোগ্য।
আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশেষ যে নয়টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়, এনআরবিসি ব্যাংক তারই একটি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল এ ব্যাংকের ইচ্ছাপত্র (এলওআই) দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফরাসত আলীর নামে। তবে প্রতিষ্ঠাকালে ব্যাংকটিতে ২০ জন পরিচালকের নাম থাকলেও নানা কৌশলে ৫ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন জার্মানপ্রবাসী প্রকৌশলী আবু মোহাম্মদ তুষার ইকবাল রহমান, কানাডায় একটি কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিরোজ হায়দার খান, ফিনল্যান্ডে একটি কোম্পানির সিইও তমাল এস এম পারভেজ, রাশিয়ায় তিনটি কোম্পানির অন্যতম মালিক রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু এবং যুক্তরাজ্যে তিনটি কোম্পানির এমডি মোহাম্মদ আদনান ইমাম।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফরাসত আলী প্রথম আলোকে বলেন, 'আগে যে যা কথা বলত, সব বিশ্বাস করতাম। ৩০ থেকে ৩৫ বছর দেশের বাইরে ছিলাম বলে শুরুর দিকে অনেক কিছু বুঝতে পারিনি।' এ কারণেই কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তার আগে ৩ জানুয়ারি নিজের মালিকানাধীন মহাখালীর আহসান টাওয়ারে বসে শহীদুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, 'ব্যাংকের ভেতরে ফরাসত আলীর বিরুদ্ধে একটা দল আছে। দলটি পর্ষদ সভায় অস্ত্র নিয়ে তাঁকে মারতেও গিয়েছিল। আমরা তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছি।' পর্ষদ সভায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'একটা সভায় ফরাসত আলী আমাকে ডেকেছিলেন বলে গিয়েছিলাম। এটা তো আমার দোষ না।'
নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এনআরবিসি ব্যাংকে গত ডিসেম্বরে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিজে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেও এনআরবিসি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসানো নিয়ে আপত্তি তাঁর। শহীদুল আহসান বলেন, সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়ার আগেই এনআরবিসি ব্যাংকে সরাসরি পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়াটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঠিক হয়নি।
শহীদুল আহসান সম্প্রতি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। জানতে চাইলে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, 'বিএবির এক সভায় ২২-২৩টি ব্যাংকের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। শহীদুল আহসানকে ভাইস চেয়ারম্যান করার ব্যাপারে কেউ বিরোধিতা করেননি।'
এজি এগ্রোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ
..শহীদুল আহসানের ব্যবসায়িক গ্রুপের নাম আহসান গ্রুপ (এজি)। এনআরবিসি ব্যাংক এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এজি এগ্রোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি সত্ত্বেও ১৮৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিগ্রস্ত করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একাধিক ব্যাংক থেকে আগেও বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া আছে এজি এগ্রোর।
ঋণের বিপরীতে এজি এগ্রো যে কিস্তি দিয়ে যাচ্ছে, তার উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। কারণ, কিস্তির অর্থ এসেছে এনআরবিসি ব্যাংকের উত্তরা শাখার গৃহনির্মাণ ঋণগ্রহীতা আজিজ চৌধুরী, তাঁর পুত্র সালাউদ্দিন চৌধুরী ও তারেক চৌধুরী এবং এ পরিবারেরই মালিকানাধীন স্টাইলিশ গার্মেন্টসের ঋণ হিসাব থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্দেহ, এজি এগ্রো কিস্তি দিচ্ছে বিভিন্ন নামে নেওয়া তাঁরই ঋণের অর্থ থেকে।
এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক কামরুন নাহার ওরফে সাখীর বিকল্প পরিচালক এ কে এম শফিকুল ইসলাম এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের বিকল্প পরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক। বিকল্প দুই পরিচালকই এজির পরিচালক ও উপদেষ্টা। নিয়ম লঙ্ঘন করে তাঁদের উপস্থিতিতেই এজি এগ্রোর ঋণ অনুমোদন করে পর্ষদ।
এজি এগ্রোকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ফরাসত আলী তাঁর অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছিলেন পরিচালক আবু বকর চৌধুরী ও তমাল এস এম পারভেজকে। ২০১৫ সালের ৩ জুন এক ই-মেইল বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন, 'এক মাস আগেই ৮০ কোটি টাকা হয়েছে, শহীদুল আহসান এখন এসেছেন ১৫০ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নিয়ে।'
ফরাসত আলী অবশ্য প্রথম আলোর কাছে সম্পূর্ণ উল্টো বক্তব্য দেন। বলেন, 'এজি এগ্রোকে আরও ঋণ দিতে পারলে আমাদেরই ভালো হতো, ব্যাংকের মুনাফা বাড়ত।'
জমির অতিমূল্যায়ন
আহসান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেগমগঞ্জ ফিড মিলকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১১৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকটির নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ শাখা। বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেছে, ঋণ আবেদনপত্রে সিল, স্বাক্ষর ও তারিখ নেই। ঋণ দিতে শাখা সুপারিশও করেনি।
এ নিয়ে ব্যাংকের তৎকালীন বিকল্প পরিচালক এ এম সাইদুর রহমান এক চিঠিতে এনআরবিসি ব্যাংককে জানিয়েছিলেন, 'নোয়াখালীর এক প্রত্যন্ত এলাকায় জমির যে মূল্য দেখানো হয়েছে, তা শুধু অতিমূল্যায়ন নয়, একে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।'
বেগমগঞ্জ ফিডকে এজির স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলে স্বীকার করতে চান না শহীদুল আহসান। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এজি এগ্রো ও বেগমগঞ্জ ফিডের ঠিকানা একই অর্থাৎ ৭৬, মহাখালী। বেগমগঞ্জ ফিডের নামে নেওয়া ঋণের ছদ্মাবরণে সুবিধাভোগী হচ্ছে এজি এগ্রো। শহীদুল আহসানের ভাই শফিকুল আহসান ও মিরাজুল আহসান বেগমগঞ্জ ফিডের পরিচালক। দুই প্রতিষ্ঠানই একে অন্যের হিসাবে বিপুল অর্থ স্থানান্তর করেছে।
আবার এজির মালিকানাধীন মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ওয়েবসাইটে বেগমগঞ্জ ফিডকে এজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান দেখানো হয়েছে। মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সে এজির মনোনীত পরিচালক শফিকুল আহসান। তিনি বেগমগঞ্জ ফিডের এমডি ছিলেন। কেউ যাতে বেগমগঞ্জ ফিডকে সহজে এজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মনে না করতে পারে, সে জন্য ঋণ অনুমোদনের পরই ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর শফিকুল আহসানকে এমডি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শহীদুল আহসান এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, 'বেগমগঞ্জ ফিড আমার কোম্পানি না।' বেগমগঞ্জ ফিড এজির সহযোগী এবং আপনার ভাই এতে এমডি ছিলেন—এ তথ্য তুলে ধরলে তিনি বলেন, 'এটা আমার ভাই, না কালা চোরার, তা আমি জানি না।'
বেনামি শেয়ার
এনআরবিসি ব্যাংকে শহীদুল আহসানের বেনামি শেয়ারও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কামরুন নাহার, এ বি এম আবদুল মান্নান ও আমির হোসেন—এনআরবিসি ব্যাংকে এ তিন পরিচালকের বিনিয়োগের টাকা এসেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে। এ শাখায় তাঁদের নামে সঞ্চয়ী ও ফরেন কারেন্সি (এফসি) হিসাব খোলা হয় তাঁদের অনুপস্থিতিতে। কামরুন নাহারের হিসাব খোলার পরিচয়দানকারী শহীদুল আহসান ও অন্য দুজনের পরিচয়দানকারী আহসান গ্রুপের কর্মকর্তা ওমর ফারুক।
দেশের নয়টি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন চট্টগ্রামের দুই ভাই মিজানুর রহমান শাহীন ও মজিবুর রহমান মিলন। কামরুন নাহার সেই মিজানুর রহমান শাহীনের স্ত্রী এবং নিজেও একজন ঋণখেলাপি। তাঁদের কাছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকেরই পাওনা ৩০০ কোটি টাকা। অথচ খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রেখে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(৬)(ঊ) ধারার লঙ্ঘন করে কামরুন নাহার এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক হন।
কামরুন নাহার ২০০৯ সালের পর থেকে দেশে ছিলেন না। কানাডা থেকে দেশে এসেছেন তিনি গত মাসে। দেশে না থাকলেও কামরুন নাহারের সই জাল করে আটটি পর্ষদ বৈঠকে তিনি এবং এ বি এম আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন বলে দেখানো হয়। আবার কামরুন নাহারের পক্ষে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নেন শহীদুল আহসান।
কামরুন নাহার এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের ২০১৫ সালের লভ্যাংশের অর্থ ২০১৬ সালের ২ মে তাঁদের সঞ্চয়ী হিসাবে জমা হয়। একই দিন দুজনের টাকা তুলে নেন এজির কর্মকর্তা ওমর ফারুক। তুলে কামরুন নাহারের অংশ শহীদুল আহসানের ব্যক্তিগত হিসাবে এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের অংশ এজির আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রিন প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের হিসাবে জমা দেন। দুই দিন পরই কামরুন নাহারের হিসাব থেকে আসা টাকা তুলে নেন শহীদুল আহসান।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কামরুন নাহার এবং এ বি এম আবদুল মান্নানের ছদ্মাবরণে তাঁদের নামে ৪৩ কোটি ৭১ লাখ টাকায় কেনা শেয়ারের মালিক মূলত শহীদুল আহসান; যা ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৪ক (২) ধারার লঙ্ঘন এবং ১৪ক(৩) ধারা অনুযায়ী এ শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়ার যোগ্য।
বেনামি শেয়ার সম্পর্কে শহীদুল আহসান বলেন, 'মান্নান সাহেব আমার মামা। মামাকে ব্যাংকে বিনিয়োগ করতে বলেছিলাম। এটা কি আমার দোষ?'
টাকা তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে শহীদুল আহসান বলেন, 'ওমর ফারুককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল বলেই না টাকা তুলতে পেরেছে। আর পাওনা বা প্রয়োজনে ওমর ফারুক আমাকে টাকা দিয়েছে। এখানে তো অনিয়মের কিছু নেই।'
শেয়ার হস্তান্তরেও অনিয়ম
প্রতিবেদন মতে, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংকের পর্ষদ সভায় কামরুন নাহারের অনুপস্থিতিতে তাঁর শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। তার এক সপ্তাহ আগে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরাসত আলীর কাছে কামরুন নাহারের নামে একটি আবেদন আসে, যাতে দুবাইপ্রবাসী ব্যবসায়ী মো. হারুনের নামে কামরুন নাহারের শেয়ার হস্তান্তরের কথা বলা হয়।
আবেদনে মো. হারুনের ঠিকানা দেওয়া হয় মহাখালীর আহসান টাওয়ার। ফরাসত আলী পর্ষদ সচিবের কাছে এই আবেদনের উৎস জানতে চেয়েও জবাব পাননি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এটা ভুয়া আবেদন।
কামরুন নাহারের ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা থেকে ফরাসত আলীর কাছে ২০১৬ সালের ৪ ও ৫ অক্টোবর পাঠানো একাধিক ই-মেইল বার্তা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কামরুন নাহার এসব বার্তায় তাঁর সশরীরে উপস্থিতি অথবা কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশনের লিখিত নিশ্চয়তা ছাড়া শেয়ার হস্তান্তর না করার আবেদন জানান।
মো. হারুনের নামে কামরুন নাহারের শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদুল আহসান বলেন, 'মো. হারুন দুবাইয়ের এক ভদ্রলোক। তার শেয়ার কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। মনে হয় কামরুন নাহারকে দিয়ে কেউ অভিযোগ করিয়েছে।'
টিভি চ্যানেলে তিন কোটি টাকা
এনআরবিসি ব্যাংক থেকে পাওয়া কাগজপত্রে দেখা গেছে, ঢাকা বাংলা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস চ্যানেলের (ডিবিসি) আয়ের অন্যতম জোগানদাতা শহীদুল আহসান। চ্যানেলটির এমডি তিনি এবং এর স্টেশনও আহসান টাওয়ারে।
চ্যানেলটির সঙ্গে বছরে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বিজ্ঞাপন দেওয়ার চুক্তি করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। বিজ্ঞাপন বাবদ প্রতি মাসে ব্যাংকটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করবে। এর সঙ্গে থাকবে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও অন্যান্য খরচ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিজ্ঞাপন চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ডিবিসির চেয়ারম্যান। আর ডিবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম—যিনি এনআরবিসি ব্যাংকেরও পরিচালক। বিজ্ঞাপন চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর ডিবিসি আবেদন করলে ব্যাংকের পর্ষদ দুই দিন পরই তা অনুমোদন করে দেয়।
গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রকাশ অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকে শহীদুল আহসানের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে গভর্নর ফজলে কবির জবাব দেওয়ার দায়িত্ব দেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীকে। সুর চৌধুরী তখন বলেন, 'এনআরবিসি ব্যাংকের অবস্থা সত্যিই ভালো না। এ কারণেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে হয়েছে।'


__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___