Banner Advertiser

Friday, March 17, 2017

[mukto-mona] Re: ১৯২০ সালের এই দিনে




2 hrs

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পরিবেশ ভাবনা


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, তাঁর ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নানামুখি কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তাঁর দূরদর্শী কর্মকা-ের মধ্যে অন্যতম ছিল পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা। বঙ্গবন্ধু সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের গুরুত্ব উপলদ্ধি করেছিলেন এবং দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে তিনি বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেন

Courtesy: News Channeli

 


From: Borakh Bash <borakhbash@gmail.com>
Sent: Friday, March 17, 2017 4:33 AM
To: New England Awami League; Bangladeshi Americans; Abu Kamal Azad; Akm Rahman; anowarboston@yahoo.com; New England Awami League; Bhin-Golardho; bachchuhaq13; hakikul chowdhury; bangladesh-progressives googlegroups; Shah Deeldar; Shah Deeldar; Dr.Gholam Mostofa; Arongo Bhai; pfc-friends@googlegroups.com; Farida Majid; Mina Farah; Osman Gani; nislam@gmail.com; khanboston@gmail.com; Helal Uddin; saokot hossain; Lokman Hossain; NURUL HAQ-BACHCHU; tamanna karim; bipul kamal; kalim ullah; naheed Sitera; quazi nuruzzaman; Nazda Alam; osman gani
Subject: ১৯২০ সালের এই দিনে
 

আজ ১৭ মার্চ, সেই মহামানবের জন্মদিন, যাঁর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। যিনি বাঙালীর পরিচয়ের প্রতীক। বাঙালীর চেতনায় যিনি স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল। যাঁকে নিয়ে বাঙালীর অহঙ্কার কোনদিন ফুরাবে না।

মহাবিশ্বজীবনের তরঙ্গেতে নাচিতে নাচিতে

নির্ভয়ে ছুটিতে হবে, সত্যেরে করিয়া ধ্রুবতারা।

মৃত্যুরে না করি শঙ্কা।...

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পঙ্ক্তিগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে ধ্রুব সত্য হয়ে দেখা দিয়েছিল। মৃত্যুকে পরোয়া না করে নির্ভয়ে পথ চলার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন, সত্যকে ধারণ করেছিলেন বুকে। একজন মানুষ যে দেশ ও জাতির সমার্থক শব্দ হয়ে উঠতে পারেন, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখাতেই আমরা পাই, '...মানুষ হয়ে জš§লাভ করে আবার চাইবে কে, বিশ্রাম পাব কোথায়। মুক্তি পেতে হবে, মুক্তি দিতে হবে, এই যে তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য'Ñএ কথাগুলো যে মহান বাঙালীর জীবনে ধ্রুব সত্য হয়ে দেখা দিয়েছিল তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার নিভৃত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জš§। গ্রামবাংলার সবুজ শ্যামল ও নিবিড় প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠা শেখ মুজিব ছোটবেলা থেকেই ছিলেন রাজনীতি ও সমাজ সচেতন- তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বিশ্লেষকদের লেখায় এর প্রমাণ আমরা পাই। অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার, প্রতিবাদী। টুঙ্গিপাড়ার খোকা নেতৃত্বের গুণে একদিন হয়ে ওঠেন বাঙালী জাতির প্রতীক। স্কুল জীবনেই অংশ নেন সক্রিয় রাজনীতিতে। কৈশোরেই কারাবাস শুরু। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদান করায় জীবনে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে খ্যাত হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা।

বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের নেতা। আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে অর্জন এই স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই সংগ্রামে তিনি ছিলেন নেতা। তাঁর নামে পরিচালিত হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধ তো একদিনের ব্যাপার নয়। দীর্ঘ সময়ের পরাধীন জাতিকে একটি যুদ্ধের জন্য, একটি ভূখ-ের স্বাধীনতার জন্য, স্বতন্ত্র জাতিসত্তার জন্য তৈরি করতে হয়েছে। প্রয়োজন হয়েছে রাজনৈতিক প্রস্তুতির। জাতিকে তৈরি করতে হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকা-ের ভেতর দিয়ে। বাঙালী জাতি বার বার তার স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় দিয়েছে। আলাদা জাতিসত্তার পরিচয় দিতেও পিছপা হয়নি। যে বাঙালী স্বতন্ত্র পরিচয় তুলে ধরে নিজেদের মতো করে, সেই বাঙালীকে সংগঠিত রাখার কঠিন কাজটি করেন দক্ষ হাতে বঙ্গবন্ধু।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে হক-ভাসানী-সোহ্রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটায়। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকরা বাঙালীর এই বিজয়কে মেনে নিতে না পেরে ৯২-ক ধারা জারি করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান মার্শাল ল' জারি করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলের একটি কনভেনশনে বঙ্গবন্ধু বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ওই ৬ দফা পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর ভিত কাঁপিয়ে দেয়। শেখ মুজিবের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে জেনারেল আইয়ুব খান একটার পর একটা মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে থাকেন। পূর্ব পাকিস্তানে ৬ দফার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। সেই সময় রাজনীতির প্রধান আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে ৬ দফা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীদের নামে আইয়ুব খান তখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার জেনারেল আইয়ুবের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় গোটা বাঙালী জাতি। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাঙালী তাদের প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে আনে। তিনি আবির্ভূত হন বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে। তারা তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

এরপর যে ইতিহাস রচিত হলো, সে ইতিহাস সবারই জানা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালীর ভবিষ্যত নির্ধারিত হওয়ার পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদাতা। জাতির আত্মপরিচয় এনে দিয়েছিলেন বলেই জাতির পিতা তিনি।

এই বাংলার শ্যামল প্রান্তরে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাঁর কথায় আশ্চর্য এক জাদু ছিল। আকৃষ্ট করতে পারতেন মানুষকে। ভালবাসতেন দেশের মানুষকে। তাঁর চিন্তা-চেতনাজুড়ে ছিল বাংলা ও বাঙালী। আজীবন বাঙালীর কল্যাণ চিন্তা করেছেন তিনি। বাঙালীকে বিশ্বের একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। জাতিকে তিনি সেই মর্যাদার স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তিনি বাঙালী জাতিকে একটি অভীষ্ট লক্ষ্যে স্থির করতে পেরেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্বদেশ বিষয়ক নিবন্ধের ভূমিকায় লিখেছেন, 'মানুষের একটা দিক আছে যেখানে বিষয়-বুদ্ধি নিয়ে সে সিদ্ধি খোঁজে। সেখানে আপন ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা নির্বাহে তার জ্ঞান, তার কর্ম, তার রচনাশক্তি একান্ত ব্যাপৃত। সেখানে সে জীবরূপে বাঁচতে চায়।

কিন্তু মানুষের আর একটি দিক আছে যা এই ব্যক্তিগত বৈষয়িকতার বাইরে। সেখানে জীবনযাত্রার আদর্শে যাকে বলি ক্ষতি তাই লাভ, যাকে বলি মৃত্যু সেই অমরতা। সেখানে বর্তমানকালের জন্য বস্তু সংগ্রহ করার চেয়ে অনিশ্চিত কালের উদ্দেশে আত্মত্যাগ করার মূল্য বেশি। সেখানে জ্ঞান উপস্থিত- প্রয়োজনের সীমা পেরিয়ে যায়, কর্ম স্বার্থের প্রবণতাকে অস্বীকার করে। সেখানে আপন স্বতন্ত্র জীবনের চেয়ে যে বড় জীবন সেই জীবনে মানুষ বাঁচতে চায়।' বঙ্গবন্ধুর জীবনে আমরা মানুষের জীবনের এই দিকটিকে খুঁজে পাই। তিনি ব্যক্তিগত বৈষয়িকতার বাইরে। অনিশ্চিতকালের উদ্দেশ্যে তাঁর আত্মত্যাগ। তাঁকে হত্যা করে বিস্মৃতির অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যায়নি। মৃত্যু তাঁকে দিয়েছে অমরতা। এই একই ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আরও লিখেছেন, 'আমাদের অন্তরে এমন একজন আছেন যিনি মানব অথচ যিনি ব্যক্তিগত মানবকে অতিক্রম করে 'সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট:'। তিনি সর্বজনীন সর্বকালীন মানব।" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই সর্বজনীন ও সর্বকালীন মানব, রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'যাঁর আকর্ষণে মানুষের চিন্তায় ভাবে-কর্মে সর্বজনীনতার আবির্ভাব।'




__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___