চরমপত্র - এম আর আখতার মুকুল বেপরোয়া ও অপ্রতিরোধ্য, দুঃসাহসী অথচ সংযত ও সহিষ্ণু ৬৩ বছর বর্ষীয় 'চির যুবা' এম আর আখতার মুকুল-সসেই যে ছোটবেলায় বাঙালি ঘরাণার রেয়াজ মাফিক দু'দুবার বাড়ি থেকে পরায়ন-পূর্ব দিয়ে শুরু করেছিলেন জীবনের প্রথম পাঠ-তারপর থেকে আজ অবধি বহু দুস্তর ও বন্ধুর চড়া-উৎরাই, বহু উত্থান-পতন ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে যেতে হলেও আর কখনও তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি; রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছ পা হননি কোনও পরিস্থিতিতেই। যা আছে কপালে, এখন একটা জেদ নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন অকুতোভয়ে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই তার বিজয়ী মুকুটে যুক্ত হয়েছে একর পর এক রঙ্গিন পালক। জীবিকার তাগিদে কখনও তাকে এজি অফিসে, সিভিল সাপ্লাই একাউন্টস, দুর্নীতি দমন বিভাগ, বীমা কোম্পানিতে চাকুরি করতে হয়েছে। কখনওআবার সেজেছেন অভিনেতা, হয়েছেন গৃহশিক্ষক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার, বিজ্ঞাপন সংস্থার ব্যবস্তাপনা পরিচালক, সুদূর লন্ডনে গর্মেন্টস ফ্যাক্টরিরর কাটার। প্রতিটি ভূমিকাতেই অনন্য সাফল্যের স্বাক্ষর। কখনও হাত দিয়েছেন ছাপাখান, আটা, চাল কেরোসিন, সিগারেট, পুরানো গাড়ি বাস-ট্রাকের ব্যবসায়। করেছেন ছাত্র রাজনীতি। ১৯৪৮-৪৯ সালে জেল খেটেছেন। জেল থেকেই স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অংশগ্রহণ করেছেন ভাষা আন্দোলনে, হাসিমুখে বরণ করেছেন বিদেশের মাটিতে সাড়ে তিন বছরের নির্ভাসিত জীবন; যখনই যা-কিছু করেছেন, সেটাকেই স্বকীয় মহিমায় সমুজ্জ্বল করে তুলেছেন। সাংবাদিকতা পেশায় নিযোজিত ছিলেন প্রায় দুই যুগের মতো। কাজ করেছেন বেশ কিছু দেশী-বিদেশী পত্র-পত্রিকা ও বার্তা সংস্থায়- বিভিন্ন পদ ও মর্যাদায়। বেশিরভাগ সময় কেটেছে দুধর্ষ রিপোর্টার হিসেবে। সফরসঙ্গী হয়েছেন মেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, ইস্কান্দার মীর্জা, আইয়ুব খান, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন ভুট্টোর মতো বড় নেতাদের। সাংবাদিক হিসেবে ঘুরেছেন দুই গোলাধ্র্বের অসংখ্য দেশ। দেখেছেন বিচিত্র মানুষ, প্রথ্যক্ষদর্শী হয়েছেন বহু রুদ্ধশ্বাস চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রবাহের, সাক্সী ছিলেন বহু ঐতিহাসিক মুহূর্তের। বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবন। বঙ্গবন্ধুর উষ্ণ সান্নিধ্য ও ভালবাসা তার জীবনের এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি।
Read more at: http://www.amarboi.com/2013/07/charompatra-m-r-akhtar-mukul.html
Read more at: http://www.amarboi.com/201
Watch YouTube video::
Charom Patro - M. R. Akhtar Mukul.
__._,_.___