Banner Advertiser

Saturday, April 29, 2017

[mukto-mona] Please read




প্রকাশিত: দৈনিক যুগশঙ্খ, কলকাতা সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৪। শনিবার ২৯শে এপ্রিল ২০১৭।

 

পশ্চিমবঙ্গে আমার দিদি আর বাংলাদেশে আমার আপা ইসলামী মৌলবাদের তোষণ করছেন?  

 

বাংলাদেশে হিন্দু তথা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্যাম্ব আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা সেমিনারে অংশ নিতে অতি সম্প্রতি কোলকাতা গিয়েছিলাম। শতাব্দী পুরোন এই শহরের সাথে আমার পরিচয় সেই একাত্তর থেকে। বরাবরই এই তিলোত্তমার রূপে মুগ্ধ ছিলাম। তবে এবারের অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। বলা যায়কিছুটা তিক্ত। ভেবেছি, কোন কোলকাতা?  কোলকাতা তো আমি চিনিনা! প্রেস-কনফারেন্সে একথা বলেওছি। এও বলেছি, কোলকাতায় আমরা অভ্যর্থনা পেতেই অভ্যস্ত, কিন্তু এবার কষ্ট পেলাম। কষ্ট বা মানষিক নির্যাতন যাই হোক না কেন, প্রশ্ন তুলেছি, বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত, কোলকাতায়ও কি তাই? কিছু সংখ্যক ছাত্রযুবার অসভ্য আচরণে কি কোলকাতা মসীলিপ্ত হবে? জানিনা,কোলকাতা আগের মত লজ্জাশীলা কিনা, কিন্তু আমরা 'লজ্জা' পেয়েছি।  

 

দাউদ হায়দার তার কবিতায় একই সাথে কৃষ্ণ মুহম্মদকে গালি দিয়েছিলেন, মুহম্মদের সমর্থকরা তাকে বাংলাদেশ থেকে খেদিয়ে দেয়, কিন্তু কৃষ্ণের অনুসারীরা কোলকাতায় তাকে আদর করে বরণ করে নেয়। সেটা সত্তরের দশক। এরপর নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে কলকাতায় আসেন, তিনিও সসম্মানে জায়গা পান। তবে বেশিদিন নয়, তাকে বিতাড়িত হতে হয়? মোল্লাদের খুশি করতে বামরা একরত্তি মেয়ে তসলিমাকে বিদায় করে! যেদেশে দ্রৌপদীর সন্মান রক্ষায় 'মহাভারত কাণ্ডের' সৃষ্টি সেদেশে আর এক নারীর অবমাননায় কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় বুঝতে অসুবিধা হয়না, "সময় অনেক পাল্টাইছে" জ্যোতিবাবু-বুদ্ধদেব বসুরা শুধু যে ভারতীয় উপমহাদেশে বাম রাজনীতির বারোটা বাজিয়েছেন তা নয়, কোলকাতার সর্বনাশ করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের ধ্বজাধরেই 'উদার কোলকাতার' কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে দিচ্ছেন। 

 

তাই এবার কোলকাতার কিছু সংখ্যক যুবার আচরণে লজ্জা পেলেও অবাক হইনি। পহেলা এপ্রিল শনিবার যাদবপুর ভার্সিটির পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিং মিলনায়তনে দিনব্যাপী বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের অন্তত: তিন ডজন সংগঠনের অর্ধ-শতাধিকের বেশি মানবাধিকার নেতাকর্মী তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের রাজনীতি নিয়ে ওখানে কারো মাথাব্যথা ছিলোনা। বরং বাংলাদেশ বাইরে থেকে আমরা যারা গিয়েছিলাম তারা বলার চেষ্টা করেছিলাম যেএকাত্তরে আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতার জন্যে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আবার এসেছি, আপনাদের দ্বারে, সাহায্য চাই, বাংলাদেশের হিন্দু অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন হওয়া থেকে বাচাঁন। আমরা আপনাদেরই ভাইবোন, বন্ধু-পরমাত্মীয়, আমাদের বাঁচান, আমাদের কথা বলুন, আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা আরো বলতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদ জঙ্গীবাদ মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠেছে, সবাই মিলে ওই দানব রুখতে হবে, নইলে শুধু আমরা নই, আপনারাও ভালো থাকবেন না? পাশের বাড়ীর আগুন আপনার বাড়িতেও লাগবে। 

 

কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষের দিকে একদল ছাত্রযুবা প্রথমে হলে ঢুকে। তারপর বাইরে এসে হলের দেয়ালে কিছু পোষ্টার লাগায়। কেউ একজন সেই পোষ্টার ছিড়ে ফেলেন। এনিয়ে হৈচৈ ধাক্কাধাক্কি হয়। ভার্সিটির নিরাপত্তা কর্মীরা এসময় মেইনগেট বন্ধ করে দেন। যারা হৈচৈ করছিলো তারা তখন গেটে অবস্থান নেয়। শ্লোগান, একতরফা খিস্তি-খিউর চলতে থাকে। শুনেছি আমাদের বাংলাদেশের এক বন্ধুকে ওরা হেনস্তা করেছে। ইতোমধ্যে সবাই বিদায় নিতে থাকে এবং শেষে আমরাও চলে আসি। রাতে শুনলাম 'টি ভুয়া এফআইআর হয়েছে। পরের দিন আমাদের সম্মেলটি ছিলো একাডেমী অফ ফাইন আর্টসে। ওরা সেখানেও বিক্ষোভ করে। ভেতরে অবশ্য আমরা সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলেছি। আমেরিকা, কানাডা, বৃটেন বাংলাদেশের অতিথিরা ঘটনা বর্ণনা করেন। সবার মনেই প্রশ্ন ছিলো, এই বিক্ষোভ কেন এবং কার বিরুদ্ধে, কারা করছেন? ইসলামী মৌলবাদীরা সেটা করতে পারতেন, কিন্তু যতটা শুনেছি, ওরা নাকি অতি বাম

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও এই অতি বামরা বিরোধিতা করেছিলো। দেশের প্রথম নির্বাচনে ওদের একটি শ্লোগান ছিলো, 'রইলো তোদের নির্বাচন, চললাম আমরা বৃন্দাবন' বুঝলাম ওরা বৃন্দাবনে যায়নি, কলকাতায় চলে এসেছে! অতি বাম আর ইসলামী মৌলবাদ একই জিনিস। বলা যায়, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তা হটাৎ এরা আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপলো কেন? জানা গেল, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিছু সময়ের জন্যে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং বক্তব্য দিয়ে চলে যান, এতেই নাকি ওদের রাগ? তার ওপরের রাগটা কি আমাদের ওপর না ঝাড়লে চলতো না? স্থানীয় রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি পক্ষ-বিপক্ষ থাকতেই পারে, কিন্তু আমাদের সেমিনারের আয়োজক তো বিজেপি ছিলোনা? ছিলো, মানবাধিকার সংস্থা ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট এট্রোসিটিজ অন মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ বা ক্যাম্ব। এর দরজা তো সবার জন্যেই দরজা খোলা ছিলো। অন্যরা আসেননি কেন? এই অনুষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো, কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে সচেতনতা সৃষ্টি করা যে বাংলাদেশে অমুসলমানরা প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হচ্ছে। 

 

কেউ হয়তো বলতে পারেন, ক্যাম্ব কেন? কারণ ক্যাম্ব বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করে এবং আমরা দেড় দশক ধরে ক্যাম্বের সাথে কাজ করছি। ২০০৫-এও ক্যাম্ব বালিগঞ্জে একটি বড়সড় সম্মেলন করেছিলো এবং আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন উঠতে পারে, বিজেপি সভাপতি কেন? কারণ দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায়। আমরা সম্পর্কটা রাখতে চাই সরকারের সাথে, কোন দলের সাথে নয়। ২০০৫- প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপবাবু (আশা করি নামটি ভুল বলিনিআমাদের যথেষ্ট সমাদর করেছিলেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকালীন  আমরা বহুবার মন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করেছি বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে। এমনকি ২০১৪ সালের ২১শে এপ্রিল আমরা ৯টি দেশের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধিদল ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখাজীর সাথে দিল্লিতে দেখা করেছিলাম। দুর্ভাগ্য আমাদের, তিনি কিছু করেননি। যেমন এখনো ভারত সরকার বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্যে কিছুই করছেন না? পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো রাখঢাক না রেখে ইসলামী মৌলবাদীদের সহায়তা করছেন

 

এবারো আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। দু'তিনবার আবেদন করেছি, এপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি। তিনি দেননি। আমরা পরিষ্কার জানিয়েছিলাম, বাংলাদেশের ওপর একটি সেমিনারে অংশ নিতে আমরা বহির্বিশ্বের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কোলকাতায় আসছি। আমরা আপনার সাথে দেখা করতে চাই, আমাদের একটি এপয়েন্টমেন্ট দিন। উনি দেননি। হয়তো ইমরান-সিদ্দিকুল্লা বাহিনী রাগ করবেন, তাই তিনি সাহস পাননি। এপয়েন্টমেন্ট তো দেনইনি, এমনকি সৌজন্যমূলক একটি জবাবও দেননি। আমরা যখন হোয়াইট হাউজ বা বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখি তারা একটি সৌজন্যমূলক জবাব দেন। এমনকি গত দুই বছর ধরে আমি বহুবার দিল্লিতে মোদীজির অফিসের সাথে যোগাযোগ করছি। তারা কিছুই করছেন না, কিন্তু বারববারই সৌজন্যমূলক উত্তর দিতে ভুল করেননি। এটা ভদ্রতা। কলকাতা তো আগে কখনো এতটা অশালীন ছিলোনা? মমতা দিদি কখন এতটা নিচে নামলেন? অবশ্য মোল্লা তোষণ করলে তো ওপরে ওঠা যায়না

 

যাদবপুর ভার্সিটির ভাষণে আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, আপনি আমাদের দিদি, আমাদের দিকে একটু তাকান। আমাদের কথা বলুন। বিধানসভায় আলোচনা করুন। আমাদের তিস্তা দিন। সাথে বলুন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। এসময় মঞ্চে উপবিষ্ট সম্মেলনের উদ্ভোধক ত্রিপুরার গভর্নর :তথাগত রায় আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, 'শিতাংশু আপনার দিদি আর দিদি নাই, বেগম হয়ে গেছেন' পরিপূর্ণ হলঘর এতে উচ্ছসিত হয়। বক্ত্রিতা শেষে নেমে এসে দাদাকে বলেছিলাম, দাদা, আমি অতিথি, এতটা রুষ্ট হই কি করে? দাদা মাথা নেড়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যেমন আমার দিদি, তেমনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার আপা, কিন্তু দিদি বা আপা দু'জনের কেউই তো আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছেন না, বরং দু'জন্যেই পাল্লা দিয়ে ইসলামী মৌলবাদের তোষণ করে যাচ্ছেন। সমস্যা সেখানেই

 

একদা কোলকাতায় বাঙালি ঘটি শব্দ দু'টির যথেষ্ট ব্যবহার থাকলেও ধারণা করি এখন ততটা নেই। কারণ বাঙালরা দীর্ঘ সময় পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছেন। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ১৯৪৭ সালের পর থেকে তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশে হতে প্রায় কোটি হিন্দু নিখোঁজ। এদের সিংহভাগ নিশ্চিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের সবার ঠিক মনে আছে তারা কতটা জমি ছেড়ে এসেছেন; কিন্তু কি জন্যে তারা পালিয়েছেন সেই কারণটা বেমালুম ভুলে গেছেন। তারা নোয়াখালী, বরিশাল বা নারায়ণগঞ্জের দাঙ্গার কথা ভুলে গেছেন? তারা মনে করতে চাননা কেন তারা পিতৃপুরুষের ভিটামাটি ছেড়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে এসেছেন। ভারতে এসে এরা রাতারাতি কমিউনিষ্ট হয়ে যান। তারা ভুলে যান যারা বাংলাদেশ থেকে আসেননি বা আসতে পারেননি তারা তাদেরই ভাই-বোন-বন্ধু, পরমাত্মীয়? এমন স্বার্থপর, আত্মভোলা বাঙালীর জন্যেই হয়তো বলা হয়, ' পলায়তি তিষ্টতি' কিন্তু চামচিকার মত বেঁচে থেকে কি লাভ?

 

কোলকাতায় ফিলিস্তিন নিয়ে বড়বড় সমাবেশ হয়, নিকারাগুয়া নিয়ে বিক্ষোভ হয়; কিন্তু পাশের দেশে স্বজাতি ভাইবোনেরা যে প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছে, বা বংশ নির্বংশ হয়ে যাচ্ছে, এনিয়ে কোন আন্দোলন হয়না, কেউ কোন উচ্চবাচ্য করেন না? বাংলাদেশে যে অমুসলিমরা 'শ্লো-জেনোসাইডের' শিকার তা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। ভাবটা এই যে, আমরা পালিয়ে এসেছি, তোমরা থাক বা মর তাতে আমাদের কি? পক্ষান্তরে আমরা দেখি পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশের ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বা শাহবাগে প্রগতিশীল আন্দোলনের বিপক্ষে বিশাল মিছিল! তখন সত্যি ভাবতে হয়, কোন কোলকাতা? কষ্ট হয় যখন দেখি কোলকাতার এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর ইসলামী মৌলবাদ তোষণ করছেন। এথেকে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন হতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা রুপা গাঙ্গুলী কেউই বাদ যান না? কুলাঙ্গার কবির সুমনের প্রসঙ্গ নাই-বা টানলাম। 

 

বাংলাদেশের মানুষ অতিশয় অতিথি বৎসল। আমাদের ঢাকাই জামদানী বা পদ্মার ইলিশের কদর অনেক। জামদানি বা ইলিশের 'পোষ মানাবার' একটি আশ্চর্য্য গুণ আছে। বেশিদিনের কথা নয়, অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী চব্বিশ ঘন্টা ঢাকায় অবস্থান শেষে ফেরার পথে বিমানবন্দরে বলে এলেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো আছেন। আমাদের জামদানির কি অপূর্ব গুন্? অমর্ত্য সেন সার্টিফিকেট দিলেন বাংলাদেশে নাকি চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান! বলি মশাই, এতই যদি সম্প্রীতি তাহলে বাপ্-কাকার হাত ধরে রাতের অন্ধকার সীমান্ত পারি দিয়েছিলেন কেন? যান না এখন ফিরে? আরো অনেকে আছেন, এখন নাম নিলাম না। এরা হলেন, 'গোদের ওপর বিষফোঁড়া' বাংলাদেশে প্রতিদিন হিন্দুর বাড়ী পুড়ছে, মন্দির ভাঙছে, নাবালিকা ধর্ষিতা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হচ্ছে, ওনারা তা দেখেন নানাসিরনগর, নন্দীরহাট, রামুর ঘটনা এদের চোখে পড়েনা। ওনারা কয়েক প্রহর বাংলাদেশে অবস্থান করে লম্বা ঢেকুর তুলে এয়ারপোর্টে সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন? 'সেইম'

 

ওনাদের চোখে পড়েনা যে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা কমছে তো কমছেই; আর কিছুদিন পর সেখানে হিন্দু দেখতে হলে মিউজিয়ামে যেতে হবে? তাই বলছিলাম, মমতার কোলকাতা গিয়ে এবার লজ্জা পেয়েছি। কোলকাতার মানুষ ৪৭-৪৮- দাঙ্গার কথা ভুলে গেছে। সরওয়ার্দীর পর কোলকাতায় আর দাঙ্গা হয়নি। সামনে হবেনা এর গ্যারান্টি কিন্তু নেই? পূর্ব-পাকিস্তান বা বাংলাদেশে বহুবার দাঙ্গা হয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চলছে হিন্দুর ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতন। সাম্প্রদায়িক নির্যাতন বিষয়টি সম্পূর্ণ একতরফা, এমনকি তাতে রাষ্ট্রের সায় বা অংশীদারিত্ব থাকেএসব দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের কারণ কিন্তু একটাই; দাদারা কারণটা খুঁজে বের করুন। আর যদি বের করতে না পারেন বা করতে না চান, তবে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করুন, ইসলামী মৌলবাদ ধেয়ে আসছে। আগে নাহয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কোলকাতা চলে এসেছেন, এবার কলকাতা ছেড়ে কোথায় পালাবেন? কথায় আছে, 'চাচা আপন বাঁচা' দাদা, নিজে নাহয় পালিয়ে বেঁচে গেলেন, উত্তরসূরির জন্যে কি রেখে গেলেন?

 

আমেরিকা থেকে শিতাংশু গুহ। 

নিউইয়র্ক। ২২ শে এপ্রিল ২০১৭। 

guhasb@gmail.com








__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___