Banner Advertiser

Friday, April 7, 2017

[mukto-mona] Re: অনেক চিত্কার করেছেন - - বর্তমানের বাংলাদেশ ভারতের দালাল



চমত্কার বিশ্লেষণ !
Adyel A Hossain
অনেক চিত্কার করেছেন। বর্তমানের বাংলাদেশ ভারতের দালাল। কারণ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষ কি নতুন? কবে থেকে এই ভারত বিদ্বেষ বাঙালি সমাজে প্রথিত কেউ কি হিসাব করেছেন? কেন এই বিদ্বেষ? হাসিনা খুব খারাপ। মানলাম। হাসিনা দেশ বেচে দিবেন ভারতের কাছে। মানলাম। মনে পড়ে বিল ক্লিনটন বাংলাদেশে এসেছিলেন হাসিনা পষ্ট উচ্চারণে বলেছিলেন, বন্দর পাবে না। ১৯৭৫ থেকে টানা ২০ বছর ক্ষমতার বাহিরে আওয়ামী লীগ। এই সময়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি ছিল? ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে কি তখন গোলাপের চাষ হত? তখন কি সীমান্তে বাঙ্গালীর লাশ পড়েনি?
জিয়া বলেছিলেন আমার জানামতে নওগাঁর সাপাহার থানায় কোন চিনির কল নাই। সাপাহার থেকে সারা বাংলাদেশে চিনির সাপ্লাই আসে কি করে? মনে পড়ে?
কে হত্যা করেছিল জিয়াকে? আপোষহীন নেত্রী কি জয়া হত্যার বিচার এর কথা স্বপ্নেও ভেবেছিলেন? করেছিলেন জিয়া হত্যার বিচার? কেন করেননি? তাঁর তো আরও বেশি বেশি করে সেই হত্যার বিচার করবার কথা ছিল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সকলেই দোষ দেন শেখ হাসিনাকে নৌ-বিহার করেছিল বলে। চিত্কার করেন। সেই সময়, কোথায় ছিল ২ দিন আপোষহীন নেত্রী সে প্রশ্নের জবাবে মুখ টিপে হেসে স্বৈরাচারী এরশাদ শাহী কি ইঙ্গিত করেছিলেন। মনে পড়ে?
হাসিনাকে চাই না আমরা। ভালো কথা। কার হাতে দেশকে তুলে দিতে চাই?
গাছের নামেই গাছের ছাল বিক্রি হয়। অর্জুন গাছের ছাল কিনতে হলে আপনাকে বলতে হবে অর্জুন গাছের ছাল দিন। এর অর্থ কি ছালের মধ্যে কোন গুন নাই? কেবল গাছের নামে গাছের ছাল বিক্রি হয়।
শেখ হাসিনাই দীর্ঘ দিন পর জাতির পিতার (তাঁর বাবার) হত্যার বিচার করেছিলেন। সকল ধমক উপেক্ষা করে। ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলে জাতির জনকের হত্যাকারীদের। আতে ঘা লাগে - না? তাই আজ প্রশ্ন তোলেন অমুক মুক্তি যোদ্ধা কি পেল তমুক মুক্তি যোদ্ধার মূল্যায়ন কি? কোথায় ছিল সেই সব প্রশ্ন যখন ১৯৭৫ এর পর টানা দশ বছর আওয়ামীলীগ কোন শ্লোগান দিবার মত রাজনৈতিক শক্তিহীন হয়ে তাঁদের অস্তিত্ব নিয়ে বাংলার মাটিতে টিকে ছিল। তখন কেন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন অবমূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নি। তখন কি রাজাকার আলবদর আলশামসদের প্রতিষ্ঠিত করবার প্রত্যয়ে ব্যস্ত ছিলেন? শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা চ্যুত করে কাকে ক্ষমতায় বসাতে চান?


বাংলাদেশের রাজনীতি সংস্কৃতি ধ্বংস করল কারা? BNP ক্ষমতায়। বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে সরাসরি একটি বিষয় উত্থাপন করলেন শুনলাম ছেলের বিয়ে ঠিক করেছেন; কোক এর বিয়ের কার্ড তো পেলাম না! উত্তরে খা-লেদা জিয়া বলেছিলেন, যথা সময়ে পেয়ে যাবে। শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন সেই বিয়েতে। কোকো শেখ হাসিনার পায়ে হাত দিয়ে ছালাম করেছিল।


২১ এর আগস্ট এর পর আপনারা কি সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আশা করতে পারেন নাকি করা উচিৎ? তাঁর পরও শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী হয়ে কোকো এর মৃত্যু সংবাদ শুনবার পর সহানুভূতি বা সমবেদনা বা BNP এর ভাষায় বলা যায় নাটক করতে গিয়েছিলেন খা-লেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে। কি করেছিল সেই বাড়ী? পুরা জাতি সাক্ষী। একটা মৃত বাড়ীর দরজা বন্ধ হয়েছিল। মৃত বাড়ীর এই দরজা কেবল শেখ হাসিনার মুখের উপর বন্ধ হয় নাই; হয়েছিল আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর। মানুষ আপনারা? কি আশা করেন সেই শেখ হাসিনার কাছে? জানি কিচ্ছু আশা করবার যোগ্যতা আমাদের/আপনাদের নাই। তাঁর পরও এই শেখ হাসিনা আপনাদের উপহার দিয়েছেন সহিষ্ণুতা। সহ্য করেছেন অপমান। কোন টু শব্দ উচ্চারণ না করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফিরে এসেছিলেন।

     কাকে স্বৈরাচারী বলেন? কে দেয় নাই আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার? গণতন্ত্র কাহাকে বলে? গণতন্ত্র তো মানুষের জন্য। যে কিনা মৃত বাড়ীর দরজা বন্ধ রাখে সে ধার্মিক কিনা সে প্রশ্ন তো অনেক পরে। মনে রাখবেন মানুষ না হলে ধার্মিক হওয়া যায় না। ধার্মিক হতে হলে প্রথমেই মানুষ হতে হয়। ছাগল সকল ধর্মের মানুষের খাদ্য। ছাগল ধার্মিক কিনা সে প্রশ্ন ওঠেনা।
যখন কোন মানুষ প্রশ্ন তোলে অমুক মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন হয়নি। তমুক মুক্তি যোদ্ধা অবহেলিত। ঠিক তখন জেনে রাখবেন এই আদিখ্যেতার পেছনে খুব সংগঠিত ভাবেই একটি বদ উদ্দেশ্য বিরাজ করে। আর তা হল মুক্তি যুদ্ধ ও মুক্তি যোদ্ধাদের প্রশ্ন বিদ্ধ করে রাজাকার আলবদরদের সামনে আনবার পাঁয়তারা মাত্র।
আমিও বলি এখনকার আওয়ামী লীগ খুবই খারাপ কিন্তু বিকল্প কি? কাকে আনতে চান ক্ষমতায়? মুক্তি যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাবকে খুব সম্মান করেন না? তাহলে কেন নামের আগে বীরাঙ্গনা কথাটা জুড়ে দিয়ে নামটি উচ্চারণ করেন না?
কি দালাল ভাবছেন কোন দলের? ভাবতে থাকুন। তবে জেনে রাখুন – এ কেবলই আত্ম জিজ্ঞাসা।




From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>
Sent: Friday, April 7, 2017 4:01 AM
To: RANU CHOWDHURY
Cc: pfc-friends@googlegroups.com; LA Discussion; Ahmed Khan; Zainal Abedin; nabdc@googlegroups.com
Subject: Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 

From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk) 


রানু ভাই,  শিলিগুড়ি করিডোরের ভূ-কৌশলগত (geo-strategic) দিক এবং সে এলাকায় ১৯৭১-এর যুদ্ধে স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসাবে আপনার অভিজ্ঞতা বর্ণনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


উঃ পূঃ ভারত বা ৭ বোন রাজ্য নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আবারও তিক্ত হয়েছে। চীন অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অন্তর্গত বলে দাবি করে থাকে। গত ৪ এপ্রিল ২০১৭ ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু দালাইলামাকে নিয়ে অরুণাচল সফর করলে, চীন রাগান্বিত হয়। তারা আজ বেইজিং থেকে প্রকাশিত তাদের 'গ্লোবাল টাইমস' পত্রিকায় ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখে, "With a GDP several times higher than that of India, military capabilities that can reach the Indian Ocean and having good relations with India's peripheral nations, coupled with the fact that India's turbulent northern state borders China, if China engages in a geopolitical game with India, will Beijing lose to New Delhi?" (Please see: India's use of Dalai Lama card tactless, http://www.globaltimes.cn/content/1041035.shtml)। 

অবশ্য তারা শান্তি ও সহযোগিতা চায় বলে উল্লেখ করেছে। 


সীমান্তবর্তী দেশগুলির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের কথা বাদ দিলেও, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, এমন কি ভুটানের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক ভাল নয়, বরং তারা চীনের সঙ্গে বন্ধু ভাবাপন্ন। বাংলাদেশের সঙ্গেও চীনের রয়েছে মৈত্রী, যা ভারত ভাঙতে চাচ্ছে, কিন্তু তা পারবে না বলেই আলামত দেখা দিচ্ছে। 




From: RANU CHOWDHURY <ranu51@hotmail.com>
Sent: 06 April 2017 20:25
To: Outlook Team
Cc: pfc-friends@googlegroups.com; LA Discussion; Ahmed Khan; Zainal Abedin; nabdc@googlegroups.com
Subject: Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 

ধন্যবাদ, জাগলুল ভাই, প্রয়োজনীয় মূল্যবান তথ্যের জন্য।  

ভারত বাংলাদেশকে তার করায়ত্তে রাখার পেছনে অন্য যে মূল্যবান দিকটি আছে তা খুব কম বিশেষজ্ঞরাই উল্লেখ করছেন। মনে পড়ে এ বিষয়ে আপনি একবার লিখেছিলেন। বিষয়টি হলো, স্ট্রাটেজিক।

১৯৪৭ থেকেই ভারত পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল, বিশেষ করে পাকিস্তান যেখানে তার চির শত্রু। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যর সঙ্গে, যাকে সাত বোন (Seven Sisters ) বলা হয়ে থাকে, যোগাযোগের ভীষণ অসুবিধা। স্থল যোগের একমাত্র মাধ্যম হলো বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ১৬ মাইল প্রস্থ Chicken Neck বা শিলিগুড়ি করিডোর। এই শ্লথ ও দুর্গম পথ দিয়ে চলা আমার সুযোগ হয়েছিল আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময়। ভারী,বহুমাত্রিক বা বিশালাকার কোনো বস্তু সেই পাহাড়ি সরুপথে, যাতে কিনা আছে "৩৬ বোগদা (thin tunnels)", চলাচল বলতে গেলে অসম্ভব। তাইতো ভারতের প্রয়োজন বাংলাদেশের। 

এই "সাতবোন" ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক অনুন্নত (আমি দেখেছি )। সেখানে কমিউনিস্ট মুভমেন্ট সচল, কোথায়ও তীব্র। ওদিকে উত্তর দিক মাঝে মধ্যে চীন হুমকি দিয়ে বসে যে এ অঞ্চল তার তিব্বতের অংশ। ১৯৬২ র কথা মনে পড়লে ভারতীয়দের এখনো পিলে চমকায়, এই বুঝি চীনারা সাত কনেকে বধূ বানিয়ে নিয়ে গেলো। তাইতো মার্কিনদের চীন-বিরোধী মনোভাবের সুযুগ নিয়ে তাদের সঙ্গে আঁতাত। এখানেই ভারতের কাছে বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়োজন, তার connectivity র স্বার্থে। যদি চীন-ভারতের মধ্যে এ অঞ্চলে কোনো অঘটন ঘটে, তখন বাংলাদেশেরও খবর আছে। আমাদের সামরিক বিশেষজ্ঞরা এ দিকটা খুব অল্পই ঘেটেছেন। আপাতত তারা ভারতের তাঁবেদারীত্বর বিষয়টিই দেখেছেন, দূরের কিছু নয়।   

মাথামোটা পাঞ্জাবিরা বাঙালীদেরকে দূরে ঠেলতে ঠেলতে পুরো পূর্ব পাকিস্তানটাই হারিয়ে বসলো। এখন তথা কথিত "তীক্ষ্ন বুদ্ধিওয়ালা", অথবা কবুদ্ধিসমৃদ্ধ চানৈক্যগোষ্ঠীও একই ভুল করছে। বাংলাদেশকে বন্ধু হিসাবে না মেনে করদ রাজ্য বানানোর বাসনায় শত্রূ করে ফেলেছে। সঙ্গে আছে তাদের সেবা দাস হাসিনার আওয়ামী গোষ্ঠী। ভারতের সাথে ফলপ্রসূ (win-win) সম্পর্ক আমরা অবশ্যই গড়ে তুলতে পারি, যা হবে পরস্পর সমতা ও সর্বভৌমত্বের (sovereign equality) ভিত্তিতে। অথচ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, বর্তমান বেআইনী (un-elected) সরকার সেই সুযোগ না নিয়ে, একতরফা ভাবে "জো হুকুম" মেনে ভারতের মর্জিমতো সব স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে। এমনকি সামরিক কর্তৃত্বও।        

জনগণের ঐক্য, সেনাবাহিনীর ঐক্য এবং সেনা-জনতার ঐক্য অবশ্যই অতীব প্রয়োজন। কিন্তু নুন আন্তে না পান্তা পুরোয়। 


From: nabdc@googlegroups.com <nabdc@googlegroups.com> on behalf of Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>
Sent: Thursday, April 6, 2017 11:29 AM
To: RANU CHOWDHURY
Cc: pfc-friends@googlegroups.com; LA Discussion; Ahmed Khan; Zainal Abedin; nabdc@googlegroups.com
Subject: {NA Bangladeshi Community} Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 

From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk) 


ধন্যবাদ, রানু ভাই, আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। সংবাদটি আমি যে পত্রিকা থেকে নিয়ে সঞ্চালন করি, সেখানে লেখকের নাম ছিল না। যাহোক, একটু সন্ধান করে একটি ফেইসবুকে এই লেখাটি পেলাম যেখানে লেখকের নামের উল্লেখ আছে, তা হচ্ছেঃ মিরাজ খন্দকার নীচে দেখুনঃ  


প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
30/03/2017
মিরাজ খন্দকার 
http://analysisbd.com/2017/03/30/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F/                                                 

আপনি ঠিকই বলেছেন, তাজউদ্দীনের উপর চাপিয়ে দেওয়া ৭-দফা চুক্তি, মুজিবের উপর চাপিয়ে দেওয়া ২৫-বছরের গোলামী চুক্তি এবং বর্তমানে হাসিনার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে ২৫-বছরের গোলামী চুক্তি বা তার বদলে যে সমঝোতা স্মারক (ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে চুক্তির সর্তগুলিই আদায় করা), সেগুলির লক্ষ্য একই, বাংলাদেশকে ভারতের অধীন একটি আশ্রিত বা করদ রাজ্য বানানো। 


তবে, এবার সেনাবাহিনী ২৫-বছরের গোলামী চুক্তির বিরোধিতা করেছেন, যে কারণে হাসিনার সফর দুবার পিছিয়েছে। তবুও একটি স্মারকে স্বাক্ষর করার জন্য হাসিনা নাকি জেঃ বেলালকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লীতে যাচ্ছেন। তবে, এমনও হতে পারে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবং দেশপ্রেমিকদের শক্তি বৃদ্ধিতে, ভারত পিছু হটতে বাধ্য হতে পারে, স্মারকে যাই লেখা হোক না কেন।    


মনে হচ্ছে, এই চুক্তি উপলক্ষে দেশপ্রেমিকদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। চারদিক থেকে এই চুক্তি বা স্মারকের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে তা বেশ লক্ষ্যনীয়।

 

জনগণের ৯০% ও সেনাবাহিনীর ৯০% আধিপত্যবাদ বিরোধী, তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এক কাতারে আনা প্রয়োজন। সেকাজ ১৯৭২-৭৫ এ করা হয়েছিল, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রাতে ও গোপনে; সহরে, বন্দরে, গ্রামাঞ্চলে তথা দেশের সর্বত্র। জনগণের ঐক্য, সেনাবাহিনীর ঐক্য এবং সেনা-জনতার ঐক্য, - দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য এ তিনটি ঐক্য খুবই প্রয়োজন। মনে হয়, সে ঐক্য আবারও গড়ে উঠছে।


আপনি এও ঠিক বলেছেন যে, এই সম্পূর্ণ মনুষ্যত্বহীন চরম ফ্যাসিবাদী সরকারকে অপসারণ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে কাজ এগুচ্ছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরাও আমাদের মত প্রচার কাজ চালাতে থাকব। অনেকে বলছেন, এ সরকারের পতন হলে, মুজিব ও তার কন্যা হাসিনার নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে। মুজিবের নাম অবশ্য মুছে গিয়েছিল, কিন্তু ১৯৯৬-এর হাসিনা সরকার ও ১/১১ ২০০৭-এর চক্রান্তের ২টি সরকার তা সাময়িক ফিরিয়ে এনেছে, কিন্তু ইতিহাস জলেমদেরকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে থাকে, এবং এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। 



 




From: nabdc@googlegroups.com <nabdc@googlegroups.com> on behalf of RANU CHOWDHURY <ranu51@hotmail.com>
Sent: 06 April 2017 05:51
To: pfc-friends@googlegroups.com; LA Discussion; Ahmed Khan; Zainal Abedin; nabdc@googlegroups.com
Subject: {NA Bangladeshi Community} Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 


"প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?" লেখাটি কার বুঝা গেলো না। জনাব রাজা মিয়ার বদৌলতে তা প্রথম দেখতে পাই, তাই  সম্ভবতঃ এটা তাঁরই প্রতিবেদন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি বিষয়গুলো অতি সহজ ভাবে অথচ খুবই পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। একজন প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রও এটা পড়ে আর্শ্চর্য্য হবে যে কেন আমাদের সরকার (অনির্বাচিত) বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ এভাবে বিকিয়ে দিতে চলেছে !

মুক্তি যুদ্ধকালীন তাজউদ্দীন সরকারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভারতের ইন্দিরা সরকার উল্লিখিত ৭ দফা চাপিয়ে দেয়। দফাগুলোর দিকে নজর দিলে পরিষ্কার হবে যে ভারত বাংলাদেশকে কি মনে করে এবং কি বানাতে চায়। সে সময় ভারতের সামরিক ও বেসামরিক সাহায্য অস্বীকার করার কথা নয়। তবে কথা হলো, তার মূল্য আমরা কীভাবে দিনের পর দিন পরিশোধ পরিষদ করে এসেছি। এখন পরিশোদের মাত্রা ছাড়িয়ে নিজেদের সবকিছুই দিল্লীর পাদপীঠে বিকিয়ে দিতে যাচ্ছি : দেশের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা, এমনকি প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাও। মুজিব ইন্দিরার ২৫ দফাতে যুদ্ধকালীন ৭ দফার একটু হেরফের হয়েছে মাত্র, বিষয়বস্তু ঠিকই আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ভারতের করায়ত্তে। কর্নেল মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন (জিয়াউর রহমান নয় ) প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকুরীচুত হন (দেখুন Hidden Pride of Freedom Fighters, Holiday, অগাস্ট ২০, ১৯৭২)। 

শোনা গিয়েছিলো এই প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আমাদের সামরিক কর্তা ব্যক্তিরা কিছুটা বিরূপ ছিলেন, কিন্তু তা "ম্যানেজ" করা হয়েছে। মধ্য ও নিন্ম পর্যায়ে কিছুটা বিদ্রোহের আভাসও নাকি এসেছিলো, যদিও তার যথার্থতা পাওয়া যায়নি। ভাবতে আশ্চর্য লাগে এই সামরিক বাহিনীর পূর্বসূরিরাই একদিন মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বাবাধীনতা এনেছিলেন। সেই মুক্তি যোদ্ধারাই পরবর্তীতে বাংলাদেশের এক দুর্যোগ ক্রান্তিকালে দেশটাকে মহা বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। হালুয়া-রুটিতে এতো মোহো থাকলে সামরিক বাহিনীতে যোগদান কেন ? ঘোমটা-চুড়ি পড়ে রাস্তায় দাঁড়ালে আয় কম হবে না। কীকরে এরা ভুলে গেলো যে একদিন কোরানের বাণী সহ শপথ করেছিল যে প্রয়োজনে জানের বাজি রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। 

মোদ্দা কথা, হবে তাই যা হাসিনা-মোদী চাইবে। চারদেয়ালের ভিতরে বসে ঘোষনাপত্র পড়ে বা কিছুটা চেঁচামেচি করে কিছুই হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আন্তে হলে, দেশে গণতন্ত্র নিশ্তিত করতে হলে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, চলমান ফ্যাঁসিবাদী ভারত তোষা গোষ্ঠীকে হটাতেই হবে।  



From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>
Sent: Wednesday, April 5, 2017 9:48 PM
To: pfc-friends@googlegroups.com; LA Discussion; Ahmed Khan; Zainal Abedin
Subject: Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 

From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk) 


Thank you, Ahmed Khan Bhai. 




From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Ahmed Khan <2005.khan@gmail.com>
Sent: 05 April 2017 21:00
To: pfc-friends@googlegroups.com; firstname lastname
Cc: LA Discussion
Subject: Re: {PFC-Friends} প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত?
 
Thank you for sharing this article.

This is a national problem, (regardless party barrier), expeting lot of reactions, but don't see much. We know some of our BD writers (specially who writes to vorer kagoj) never highlights this kind of info, I am cc'ing to Br. Joinal Abedin who has strong writting skils about BD issues. Joianal bhai, expecting a more details article on this issue in coming Thikana, IA.

Regards,
A. Khan

2017-04-05 12:43 GMT-07:00 Outlook Team <zoglul@hotmail.co.uk>:

From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk


প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত মরিয়া কেন ভারত? 
30 Mar, 2017                                                             


বাংলাদেশে এখন গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো প্রতিরক্ষা চুক্তি। জঙ্গী সমস্যার মূলেও রয়েছে এই চুক্তি এমনটাই মনে করেন অনেকে। ভারতের এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উঠে পড়ে লাগার কারণ হিসেবে নিরাপত্তা বিশারদরা নিন্মোক্ত কারণগুলোকে দায়ী করছেন।

ক. চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং-এর বাংলাদেশ সফরের কার্যকারিতা, 
খ. চীন থেকে বাংলাদেশের দুটো সাবমেরিন ক্রয়, 
গ. ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমেই সম্প্রসারিত সামরিক শক্তি, 
ঘ. বাংলাদেশকে চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতাহীন করার পরিকল্পনা ও 
ঙ. বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলেও যাতে ভারতের প্রতি বাধ্যবাধকতা থাকে।

স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরে যখন ভারতে এই প্রথমবারের মতো হিন্দু মৌলবাদী শক্তি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, তখন এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর দেশপ্রেমিক নাগরিক সাধারণকে বিচলিত না করে পারে না। যেখানে ভারত নিজেই একটি অর্থসঙ্কটে নিপতিত দেশ তারা কি স্বার্থে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার প্রতিরক্ষা ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে যৌথ সহযোগিতায় প্রতিরক্ষা সরাঞ্জাম তৈরি হবে। এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ আরো নিবিড় করা হবে। বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির আরো বাড়ানো হবে। বাংলাদেশের জন্য সামরিক নৌযান নির্মাণেও ভারত সাহায্য করবে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর পরিধি আরো বাড়ানো হবে। সর্বতোভাবে বাংলাদেশকে বিশেষত এর সেনাবাহিনীকে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রণে নেয়াই ভারত সরকারের উদ্দেশ্য। বিগত দীর্ঘ বছরগুলোতে ভারতের তরফ থেকে এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব কখনোই আসেনি।

যদিও একাত্তরে প্রবাসী সরকারের সাথে ইন্দিরা গান্ধির এমনই একটা চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তিতে সেটা নস্যাৎ হয়ে যায় শেখ মুজিবুর রহমান রাজি না হওয়ার কারণে।

চুক্তিগুলো হলো-
১. ভারতীয় সেনা বিশেষজ্ঞদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে একটি প্যারামিলিটারী ফোর্স বা আধা সামরিক বাহিনী গঠন করতে হবে। 
২. ভারতীয় সেনা বিশেষজ্ঞদের অধীনে যাবতীয় সামরিক সরঞ্জামাদি ক্রয় করতে হবে। সমস্ত সামরিক যান ও যন্ত্রপাতি ভারতের কাছ থেকেই কিনতে হবে। 
৩. ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে ও তত্ত্বাবধানে স্বাধীন বাংলাদেশের যাবতীয় ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে। 
৪. ভারতীয় পরিকল্পনাবিদগণই বাংলাদেশের উন্নয়নের ফর্মুলা ও পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। 
৫. বাংলাদেশের সমস্ত বৈদেশিক ও কূটনৈতিক কর্মকান্ড ভারতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং তা কোনভাবেই ভারতের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুন্ন করতে পারবে না।
৬. ভারতের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কারো সাথে কোন চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে না। 
৭. এই চুক্তিটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের আগে স্বাক্ষরিত হলো এবং চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সৈন্য ভারতীয় সেনারা যে কোন সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাদের প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে পারবে।
এর মধ্যে ১,২ এবং ৭ নং বর্তমান প্রতিরক্ষা চুক্তির সাথে মিলে যায়। শেখ মুজিব যে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন তারই মেয়ে সেই চুক্তি করে দেশ বিক্রীর ব্যবস্থা করছে।

# প্রতিরক্ষা চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো উভয়পক্ষ সক্রিয় এবং পারষ্পরিকভাবে প্রতিরক্ষা বিষয়ে কাজ করবে। 
প্রতিরক্ষা তিনভাবে হতে পারে-
ক) বাইরের থেকে আক্রমণ
খ) দেশের ইন্টারনাল সমস্যা
গ) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ।

ক) বাইরের থেকে আক্রমণঃ
বাইরের আক্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই। পৃথিবীতে আমাদের কোন শত্রুরাষ্ট্র নেই। তাই কেউ আক্রমন করবে সে সমস্যা আমাদের নেই। তদুপরি আমরা ভারত দ্বারা ঘেরাও হয়ে থাকার কারণে আমাদেরকে কেউ আক্রমণ করতে হলে ভারতকে টপকাতে হয়। তাই কোন কারণে আমাদের শত্রু সৃষ্টি হলেও আক্রমণ সহজ নয়। এক্ষেত্রে মূল সমস্যা ভারতের। ভারতের শত্রু অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাকিস্তান ও চীন। কোন কারণে পাকিস্তান ও চীন দ্বারা আক্রান্ত হলে ভারত বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করবে। এতে অযথা আমাদের শত্রু বাড়বে। এখানে ২য় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। মূল শত্রু জার্মান হলেও আমেরিকা জাপানের উপর আক্রমণ করে জার্মানকে সতর্ক করেছে। চীন ও পাকিস্তানও সে রকম সুযোগ নিতে চাইবে। তারা বাংলাদেশে বড় ধরণের আক্রমণ করে ভারতকে সতর্ক করবে। তারা যদি পরমাণু অস্ত্র ভারতে চার্জ করে তাহলে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া বা সমঝোতায় আসার সম্ভাবনা নেই। ভারত তার প্রতিশোধ নিবেই। কিন্তু বাংলাদেশে আক্রমনটাই এখানে ভারতের শত্রুদের জন্য ভালো স্থান হবে। বাংলাদেশকে আক্রমণ করে ভারতকে চাপে ফেলতে চাইবে।

খ) দেশের ইন্টারনাল সমস্যাঃ
আমাদের দেশে যে জলদস্যু কিংবা সন্ত্রাসী, মাদক চক্র সবগুলো আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রন সম্ভব। আমাদের পাহাড়ে যে সমস্যা তাও আমাদের সেনাবাহিনী দিয়েই নিয়ন্ত্রন সম্ভব। আমাদের ইন্টারনাল সমস্যা যা আছে তা সবই আমাদের নিয়ন্ত্রনে। এর মধ্যে আমরা মনে করি ভারত যদি সম্পৃক্ত হয় তাহলে আমাদের সমস্যা কমার চাইবে বাড়ার সম্ভাবনাই বেশী। আমাদের পাহাড়ে মাঝে মাঝে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় তার মূল কারণ ভারত। সস্ত্রীক নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার মাছরাঙ্গা টিভির সাংবাদিক সাগর সারোয়ারের কর্ণেলকে আমি যেমন দেখেছি বইতে তিনি এমনই ইঙ্গিত করেছেন। এছাড়া আমরা শ্রীলংকার তামিল টাইগারের কথা জানি, নেপাল, ভূটানের সাথে ভারতের সম্পর্কও জানি। সে সমস্ত বিষয় থেকে আমরা যদি শিক্ষাগ্রহন করি সেক্ষেত্রে ভারত আমাদের ইন্টারনাল সমস্যায় জড়িত হলে আমাদের জন্যই যে অকল্যাণকর হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আবার ভারতে নানান ধরণের ইন্টারনাল সমস্যা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাদক চক্র রয়েছে। মাওবাদী সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে তারা যদি আমাদের ব্যবহার করে তবে তা হবে আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এর মাধ্যমে আমরা অহেতুক কিছু রাষ্ট্রের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়বো। সেক্ষেত্রে যারা ভারতের শত্রু তারাও আমাদের শত্রুতে পরিণত হবে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা জড়িত হলে চীনের সাথে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হবে। আবার বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষেই মাওবাদীদের আস্তানা। আসাম, মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ইত্যাদি অঞ্চলে থাকা মাওবাদীরা আমাদের শত্রুজ্ঞান করে আমাদের দেশেও সন্ত্রাস চালাবে। যেটা আমাদের জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করবে। এটা আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য হুমকি হবে। আর বিষয়টা এমন না যে একটা যৌথ অভিযানের মাধ্যমে তাদের নির্মূল করা সম্ভব। এটা ভারতের একটা স্থায়ী সমস্যা। প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ভারত সেই সমস্যাটা আমাদের উপর চাপিয়ে দিবে।

গ) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদঃ
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একমাত্র রাষ্ট্র যারা তাদের উগ্রবাদী সমস্যা সম্পূর্ণভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে আরেকটি পর্যবেক্ষন হলো ২০০৫ সালে সারাদেশে বোমা হামলার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা সন্ত্রাসী সংগঠন জেএমবি মূলত র' এর তত্ত্বাবধানে সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে ভারতের সাহায্য নেয়া মানে হবে শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়া। বাংলাদেশে যতবারই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ইস্যু এসেছে ততবারই 'র' এর নাম এসেছে। আরেকটি পর্যালোচনা হচ্ছে এদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু জঙ্গিবাদের জন্য সহায়ক নয়। এদেশের পারিবারিক বন্ধন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা কোনটাই জঙ্গীবাদের জন্য সহায়ক নয়। এদেশের ইসলামপন্থী সকল গ্রুপ, পুরো আলেম সমাজ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে। যখন জেএমবির উত্থান হয়েছিল তখন প্রতিটি মসজিদ থেকেই জেএমবির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। তাই এই কথা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা চলে এদেশে জঙ্গীবাদ স্থায়ী কোন সমস্যা নয়। এদেশে জঙ্গীবাদের পক্ষে কোন জনসমর্থন নেই। তাই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বেগ পেতে হবে না। বাংলাদেশে কোন এই ধরণের জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হয়নি হবেও না। জঙ্গীবাদ পুরোটাই সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর চক্রান্ত। এক্ষেত্রে ভারতও কম দায়ী নয়। 

# প্রতিরক্ষা চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রতিরক্ষা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি আমরা না চাইতেই ভারত প্রতিরক্ষা খাতে আমাদেরকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চায়। এটা ভারতের একটা কৌশলগত চালাকি। ওরা জানে আমরা রাষ্ট্র হিসেব দরিদ্র। এখানে প্রতিরক্ষা খাতে আমরা খুব সামান্যই ব্যয় করি এবং করবো। ওরা আমাদের ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে অস্ত্র ক্রয় করার জন্য। এই অস্ত্র আবার ক্রয় করতে হবে ভারত থেকেই। ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক রাষ্ট্র। ওরা নিজেরাই নিজেদের অস্ত্রের কোয়ালিটির ব্যপারে আস্থাবান নয়। তারা অস্ত্র রপ্তানি করতে চাইলেও সারাবিশ্বের কেউ সাড়া দেয়নি। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে তারা সেই নিন্মমানের সরঞ্জাম আমাদের উপর চাপিয়ে দেবে। নেপালের সাথে ১৯৫০ সালে ভারতের যে সামরিক চুক্তি হয়, তাতে উল্লেখ আছে, নেপাল ভারতের অনুমতি ছাড়া তৃতীয় কোন দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করতে পারবে না। ভারত সিকিমের সাথেও সামরিক চুক্তি করেছে। এরপর ভারত সিকিমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশটি দখল করে নেয়। শ্রীলঙ্কার সাথেও ভারত অনুরূপ আচরণ করেছে।

চুক্তিতে আমাদের সমস্যাঃ
১- আমরা ভারত ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবো না।
২- ভারতের নিম্নমানের অস্ত্রতেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। 
৩- ভারত আমাদের অস্ত্রের সক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে। 
৪- রাশিয়া এবং চীন যাদের থেকে আমরা নিয়মিত অস্ত্র ক্রয় করি তাদের সাথে সম্পর্কের ঘাটতি হবে। 
৫- ভারত ভিন্ন আমাদের আর মিত্র থাকবে না। যা আমাদেরকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করে তুলবে। 
৬- আমরা ওদের থেকে অস্ত্র কিনতে বাধ্য থাকবো বিধায় ভারতের নির্ধারিত মূল্যেই আমাদের ক্রয় করতে হবে। 
৭- এই চুক্তি ২৫ বছরের জন্য হওয়া মানে কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের একটি প্যারামিলিটারি বাহিনীতে পরিণত হবে।

এই চুক্তিতে ভারতের সুবিধাঃ
১- আমাদের সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা
২- নিম্নমান ও অচল অস্ত্র উচ্চমূল্যে বিক্রয় করতে পারা 
৩- মিত্রবিহীন বাংলাদেশকে ইচ্ছেমত ব্যবহার 
৪- আমাদের অস্ত্র ও জনবল দিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা সমস্যা সমাধান করা।

# সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ
প্রতিরক্ষা চুক্তির আরেকটি দিক হলো দুই দেশের সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ হবে। শক্তির দূর্বলতায় আমরাতো ভারতকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো না, বরং ভারতই আমাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে তাদের বাংলাদেশভীতি দূর করবে।
সমস্যাঃ
১- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও কৌশল সম্পর্কে পুরো ধারণা ভারত পেয়ে যাবে। 
২- প্রশিক্ষণে ও কৌশলে মৌলিকত্ব বলে কিছু থাকবে না। 
৩- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্যাপকহারে র' এর প্রভাব সৃষ্টি হবে। 
৪- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য দেশের সাথে যৌথ কার্যক্রমে ভারত বাধা হয়ে দাঁড়াবে। 
৫- মোট কথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের অধিনস্থ একটা বাহিনীতে রুপান্তরিত হবে।
# চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো উভয়পক্ষ পারষ্পরিক ডিফেন্স তথ্য আদান প্রদান করবে।

এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় একটা সংকট সৃষ্টি করবে। এখানে যদিও বলা হয়েছে উভয়পক্ষ তথ্য আদান-প্রদান করবে কিন্তু এটা মোটেই বিশ্বাস যোগ্য নয়। কারণ যে ভারত গঙ্গা চুক্তির পর এই পর্যন্ত একবারও ঠিকমত পানি দেয় নি সেই ভারত তাদের ডিফেন্স তথ্য বাংলাদেশকে দিবে এটা বিশ্বাস করা পাপ। এর মাধ্যমে চুক্তির দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ডিজিএফআইকে হাত করবে ভারত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বলে আর কিছু থাকবে। ভারতকে সব তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ একটি পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত হবে। চুক্তি করা মানে আমাদের জান মালের নিরাপত্তা ভারতের কাছে বন্ধক রাখা।

সবচেয়ে বড় কথা হলো স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন পারষ্পরিক বিষয়ে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের শোষন করেছে। প্রতিটা চুক্তিতে আমাদের থেকে প্রাপ্তি বুঝে নিয়েছে কিন্তু আমাদের হিস্যা দেয় নি। মৈত্রী চুক্তি, গঙ্গা চুক্তি এগুলোর অন্যতম। ভারত আমাদের থেকে বেরুবাড়ি বুঝে নিয়েও তিন বিঘা করিডোর দেয় নি। কথা ছিল ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে আমাদের তিস্তা চুক্তির মাধ্যমে পানির নায্য হিস্যা বুঝিয়ে দেবে। অথচ নতজানু হাসিনা সরকার ভারতকে সব সুবিধা (বিনা শুল্কে ট্রানজিট ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার) দিয়েও আজ পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি করতে পারেনি। এক তিস্তা চুক্তির মূলা দেখিয়ে একের পর এক চুক্তি করে নিচ্ছে। হাসিনা ৭ এপ্রিল ইন্ডিয়া যাচ্ছে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে সেই সাথে ইন্ডিয়ার সহায়তায় নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে। হাসিনা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয় তাই জনগণের ইচ্ছার মূল্য এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে ভূলন্ঠিত করতে সে কুন্ঠাবোধ করে না।


 



--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you had subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community forum". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to nabdc@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to nabdc@googlegroups.com.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to nabdc+unsubscribe@googlegroups.com.
Visit this group at https://groups.google.com/group/nabdc.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you had subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community forum". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to nabdc@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to nabdc@googlegroups.com.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to nabdc+unsubscribe@googlegroups.com.
Visit this group at https://groups.google.com/group/nabdc.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___