Banner Advertiser

Saturday, April 29, 2017

[mukto-mona] রাজনীতিতে একক নেতৃত্ব শেখ হাসিনার !!!!!!!!



 

রাজনীতিতে একক নেতৃত্ব শেখ হাসিনার

28 Apr, 2017
দেশের রাজনীতিতে এখন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার একক নিয়ন্ত্রণ। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে প্রথমে সংসদের বাইরে, পরে আস্তে আস্তে রাজপথেও একরকম ধরাশায়ী হয় বিএনপি। নিবন্ধনহীন জামায়াত এখন নির্বাচনী রাজনীতির অনেক দূরে, সর্বশেষ হেফাজতও চলে এসেছে শেখ হাসিনার কব্জায়। তবে এ হেফাজতকে বশে আনা নিয়ে প্রগতিশীল রাজনীতিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।
হেফাজতে ইসলামকে বশে আনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা হয় মানবকণ্ঠের। দলের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক একাধিক সূত্র জানায়, সর্বশেষ ভারতসহ চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেন। এসব সফরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বেশ প্রশংসা করেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়করা। তবে এসব আলোচনায় হেফাজত ও শাপলা চত্বর প্রসঙ্গও উঠে আসে। হেফাজতের ওপর সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কতটা নিয়ন্ত্রণ তাও উঠে আসে বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়। তাই কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে স্নাতকোত্তর সনদ প্রদানের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে হেফাজতে ইসলামকেও মূলধারায় নিয়ে এসে ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে নিষ্কণ্টক করে নিজের রাজনৈতিক কৌশলেরই জানান দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলেন, ২০০৮ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সংবিধান সংশোধন করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে শেখ হাসিনা এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। শুধু ক্ষমতায়ই নয়; দিন দিন তিনি তার নেতৃত্ব দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে করে তুলছেন বিশ্বময়। উল্টোদিকে ঘরোয়া রাজনীতিতে কোণঠাসা হচ্ছে বিএনপি। তাদের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একাত্তরে গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুদণ্ড ভোগ করার পর, জামায়াত এখন রাজনীতি বাদ দিয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া। বাংলাদেশের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন এবং এর পরবর্তী সহিংসতার বিষয় আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্র দেশগুলো জানত। সব সামলে শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ছিল বিশ্বনেতাদের। সম্প্রতি বিভিন্ন সফর ও আন্তর্জাতিক সভা- সেমিনারে অংশগ্রহণ এর প্রমাণ। বিশ্বনেতাদের প্রশ্ন ছিল হঠাৎ ১৩ দফা নিয়ে গজিয়ে ওঠা হেফাজতকে নিয়ে। এ প্রতিক্রিয়াশীল জনগোষ্ঠীকে কিভাবে মূলধারায় নিয়ে আসবেন, এমন প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এসেছে। ভারত সফর শেষ করেই শেখ হাসিনা হেফাজতকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কব্জায় নিয়ে নিলেন। এর প্রস্তুতি ছিল কয়েক মাস আগ থেকেই। দলের নেতারা বলছেন, হেফাজত তাদের অতীত ভুলে শান্তির পথে শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
চলতি এপ্রিলের ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখ ভারত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। ১১ তারিখ দিল্লি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওইদিন বিকেলেই তিনি হেফাজতের কওমি আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সরকারি সনদের ঘোষণা দেন। এর আগে আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) সম্মেলনে ঢাকায় আগত বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ৬ মার্চ থেকে ৮ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক জোটের সামিটে অংশ নেন। এর আগের মাসে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেন। বছরের শুরুতে ১৬ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের দুই নেতা জানান, এসব সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে। এসব আলোচনায় উঠে এসেছে প্রতিক্রিয়াশীল হেফাজতের বিষয়টিও।
দলের নেতারা বলছেন, ভারত সফরের পর প্রধানমন্ত্রী অনেকটাই ফুরফুরে। প্রকাশ্যে তিনি বলেছেন, বন্ধুত্বের জন্য গিয়েছি, বন্ধুত্ব পেয়েছি। আর এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের পরপরই খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যেই হেফাজতকে সরকারি সনদের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণার মধ্যেই রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। বিএনপির শঙ্কা তাদের বাদ দিয়ে আবারো নির্বাচন করতে পারে আওয়ামী লীগ। খোদ দলটির মহাসচিব নিজেই এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এর পরপরই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এক আলোচনায় বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনেও ওয়াকওভার দিতে পারে। এমন আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে আগামী নির্বাচনে ভরাডুবির বিষয়ে তারা নিজেরাই শঙ্কিত। নির্বাচনে আসবে কি না, এ নিয়ে তারা নিজেরাই দিশেহারা।
বিএনপি-জামায়াতকে রাজনীতির মাঠে পর্যুদস্ত করার পর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী হেফাজতকে মূলধারায় নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভোটের রাজনীতিতেও এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, হেফাজত অন্তত সরকারের বিরোধিতা করে আর রাজপথে নামবে না। হেফাজতকে স্বীকৃতি দেয়ার পর বিএনপির অস্বস্তি আরো বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধর্মাশ্রিত দলটি কওমি সনদ ঘোষণার পরপর প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ মানবকণ্ঠকে বলেন, কাওমি সনদের বিষয়টি নিয়ে শুধু হেফাজত নয়; দেশের অনেক জ্যেষ্ঠ আলেমদের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে এত বড় একটি জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে এসেছেন, এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক পর্যায়েও যাবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের আরেকটি উজ্জ্বল দিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক বিরোধিতা, সীমিত সম্পদ এবং নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শেখ হাসিনা তার দৃঢ় ও আপসহীন সিদ্ধান্তের দ্বারা দেশকে উন্নয়নের পথে যেভাবে পরিচালিত করেছেন, তার কল্যাণেই বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, অথচ পূর্বে দীর্ঘ সময় ধরে দেশটি ছিল খাদ্য ঘাটতির মধ্যে। এই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনা এবং দেশবাসী বিশ্বসভায় সাধুবাদ পেয়েছেন। দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান দেশের সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে একাধিক পদকে ভূষিত করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সহস াব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এমডিজি-৪ পুরস্কার (২০১০)। আইটি খাতে অভূত সাফল্যের জন্য সাউথ-সাউথ পুরস্কারে তিনি ভূষিত হন ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে তাকে সাউথ-সাউথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়Ñ বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলোতে নেতৃত্বের দূরদর্শিতার স্বাক্ষর হিসেবে। ২০১৫ সালে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন, এগুলো হচ্ছেÑ জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় সফলতার জন্য 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার এবং টেলিযোগাযোগ খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার পুরস্কার বা 'আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড'।
কওমি শিক্ষার্থীদের মূলধারায় নিয়ে আসাকে শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও রাষ্ট্রনায়োকোচিত সিদ্ধান্ত মনে করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোনো বিকল্পও দেখছেন না তিনি। খালিদ বলেন, পঁচাত্তর থেকে বর্তমান অবধি বাংলাদেশের সফলতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের হাল ধরার পর দলকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে আবার বিরাট গণভিত্তি দিয়েছেন। সফল রাজনৈতিক আন্দোলন যেমন পরিচালনা করছেন, তেমনি নৈরাজ্যজনক আন্দোলনও সফলভাবে দমন করেছেন শেখ হাসিনা। তিন-তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া, দেশকে নেতৃত্ব দেয়া, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মতো সাহসী ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসী সব পদক্ষেপ নেয়া, বিএনপি-জামায়াতসৃষ্ট সব ধরনের নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা, আন্তর্জাতিক সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে তাদের রক্তচক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়াÑ এসব কাজ করে তিনি শুধু বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া নয়; বৈশ্বিক রাজনীতিতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেমন তার বিকল্প কিছু নেই; তেমনি বিশ্বপরিমণ্ডল শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত ও পঠিত ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিন মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি ও দৃষ্টি আকর্ষণমূলক কার্যের জন্য সারা বিশ্ব থেকে ১০০ জন শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থান অগ্রভাগে (১৩তম)। এসব কিছুই প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বময় নেতৃত্বের স্মারক।
মানবকণ্ঠ


__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___