Banner Advertiser

Thursday, May 25, 2017

[mukto-mona] Re: লেফটেনেন্ট কর্নেল যায়ীদ অপহরন ও গুম! Another Nerve Breaking Story!



বিএনপিকে আবারো সন্ত্রাসী সংগঠন বললো কানাডার ফেডারেল কোর্ট
 
<<  ইমিগ্রেশন  ডিভিশনের সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিএনপি সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত আছে, সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিলো, সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হতে পারে'- এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারন আছে। কাজেই বিএনপির সদস্য হিসেবে  'এস এ' ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট এর ৩৪ (১)(এফ) ধারা মোতাবেক  কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য।

ইমিগ্রেশন ডিভিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেডারেল কোর্টে  জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করেন 'এস এ'। ফেডারেল কোর্টের বিচারক জে, ফদারগিল  আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে ফেডারেল কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগের আবেদনটিও তিনি নাকচ করে দেন।  >>
http://notundesh.com/details.php?link=4488&&%20category=%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0

 

কানাডার ফেডারেল কোর্ট আবারো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছে। ফেডারেল কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দেওয়ার আবেদনও বিচারক নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে বিএনপির ব্যাপারে কানাডার ফেডারেল কোর্টের দুই দুইজন বিচারকের  মন্তব্যের বিরুদ্ধে  উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ১২ মে দেওয়া ফেডারেল কোর্টের বিচারকের এই রায় মঙ্গলবার লিখিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এর একটি কপি নতুনদেশ ডটকমের হাতেও রয়েছে।

 আদালতের নথি থেকে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী যুবদল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পাওয়া একজন নেতার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন সংক্রান্ত জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বিচারক জে ফদারগিল এই  মন্তব্য করেন।

 




From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of RANU CHOWDHURY <ranu51@hotmail.com>
Sent: Thursday, May 25, 2017 1:35 AM
To: nabdc@googlegroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; Jalal Uddin Khan; Zoglul Zoglul; AbidBahar PostCard; Quazi Nuruzzaman; rashed Anam; Mohammad Gani; Sameer Syed; Isha Khan; zainul abedin; Rezaul Karim; S Akhter; Muazzam Kazi; Shah Deeelder
Subject: {PFC-Friends} লেফটেনেন্ট কর্নেল যায়ীদ অপহরন ও গুম! Another Nerve Breaking Story!
 

Forwarding a story how a brave and honest Bangladesh Army commando officer faced his fate at the hands of RAW and Hasina's intelligence.



 
 

কেস: লেফটেনেন্ট কর্নেল যায়ীদ অপহরন ও গুম!


লেঃ কর্নেল আবদুল্লাহ্ আলী যায়ীদ, বীর, পিএসসি, এমএ, এমডিএস, এমবিএ ঢাবি। ১০ম বিএমএ লং কোর্সের পদাতিক বাহিনীর অফিসার। যিনি ছিলেন একাধারে কমান্ডো এবং প্যারাট্রুপার। দেশের একমাত্র এলিট ফোর্স ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের জন্মলগ্ন হতেই জড়িত ছিলেন এই দুর্ধর্ষ অফিসার। আজকের অনেক সিনিয়র কমান্ডোরা প্রায় সবাই উনার ছাত্র ছিলেন।

২০১১ সালে লেঃ কর্নেল যায়েদ ময়মনসিংহ সেনানিবাসে ARTDOC হেডকোয়ার্টারে GSO-1 (strategic) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। জুলাই মাসের প্রথম ১০ দিন তিনি সাময়িক ছুটিতে ছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে। ১০ই জুলাই রাতে ঢাকা সেনানিবাসের এএফএমআই মসজিদ হতে মাগরিব নামায পড়ে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরে ৩/৪ জন সশস্ত্র বেসামরিক পোশাকধারী সদস্য অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক অপহরন করে কর্নেল যায়ীদকে। পরে জানতে জানা যায়, অপহরনকারীদের মধ্যে ছিল মেজর আবুজার (বর্তমানে লেঃকঃ) এবং মেজর আলম। সেখানে থেকে গাড়িতে তুলে কর্নেল যায়ীদকে বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হয় দিনের পর দিন, চরম নির্যাতন করা হয়, স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য নানাবিধ চাপ ও অত্যাচার চলতে থাকে। ৫০ দিন নিখোঁজ রাখার পরে তার স্ত্রীকে তার অবস্খান সম্পর্কে প্রথম জানানো হয়।

সেনাবাহিনীতে যায়ীদ ছিলেন অসম্ভব ধরনের সাহসী এবং বুদ্ধিদীপ্ত অফিসার, যিনি পার্তব্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর কাছে ছিলেন যমের মত। ৮৫-৮৬ সালে রাঙামাটির মারিশ্যা জোনের ক্যারেঙ্গাতলায় লেঃ জেড নামে শান্তিবাহিনীর মনে ছোবল ধরে বসেছিলেন যায়ীদ, ঐ সময় শান্তিবাহিনী তার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১ লাখ টাকা। ভয়াবহ শান্তিবাহিনী শাসিত এলাকাতে যায়েদী একজন মহাজনের ছদ্মবেশে রাতের পর রাত একাকী বাজারের ব্যাগে মাত্র একটা সাব-মেশিনগান নিয়ে উপজাতিদের পাড়া চষে বেড়াতেন। ১৯৯১ সাল থেকে রাঙামাটি রিজিয়নের বরকল জোনের সাব-জোন কমান্ডার হিসাবে 'নিজের লাশেরও দাবী নেই' মর্মে লিখিত দিয়ে শান্তিবাহিনী দমনে বেশ কয়েকটা ক্রস বর্ডার অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যায়ীদ, যার জন্য তখনকার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইকবাল করিম ভূইয়া (পরে সেনা প্রধান) লিখেছিলেন, "মেজর যায়ীদ একজন দুর্ধর্ষ অফিসার, যিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রস বর্ডারসহ যেকোন ধরণের অপারেশনের জন্য এক নম্বর বাছাইকৃত অফিসার।"

যায়ীদকে অপহরনের পরের দিন ১১ জুলাই তারিখে ১ জন মহিলাসহ ৩ জন পুরুষ বেসামরিক পোষাকে তার সেনানিবাসের বাসায় ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় ডাকাতি করে প্রায় সব কিছুই লুট করে নিয়ে যায়। ঐ বাসা হতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার দামী দামী মালামালসহ সকল ধরনের সার্টিফিকেটগুলোও নিয়ে যায়, যা অদ্যাবধি ফেরত দেয়া হয়নি। জানা যায়, এই লুটপাটের নেতৃত্বে ছিলেন একজন মহিলা মেজর আফরিন (৪৮ বিএমএ লং কোর্স)।

পরবর্তী ১০ মাস নির্মম ও অমানবিক অত্যাচার চলে যায়ীদের ওপর, যা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর ভয়াবহতাকেও হার মানায়। যায়ীদকে নিয়ে গাজীপুরের গহীন জঙ্গল থেকে শুরু করে রাতের পর রাত অবস্থান পরিবর্তন করা হতো। ২৪ ঘন্টাই তার চোখ-হাত-পা বেধে একটা বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হতো। সারাদিনে মাত্র ২ বার চোখ বাধা অবস্হায় বাথরুমে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হতো। দিনে ২ বার খাবার দেয়া হতো চোখ-হাত-পা বাধা অবস্হায়। প্রায় প্রতি রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হতো নির্জন কোন স্থানে--রাতভর চলতো অমানবিক শারীরিক নির্যাতন, সারা শরীরে ইলেক্ট্রিক শক্, গোপনাঙ্গে ইলেট্রিক শক্, হাত-পায়ের নখে সুই ঢুকানো, লাথি-ঘুষি-প্রহার ইত্যাদি সবই চলতো। এর ফলে তার চোখেও সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ২০/২৫ বার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ক্রস ফায়ারের স্পটে, এ মুহুর্তই জীবনের শেষক্ষণ বলে প্রস্তুত করা হতো একটা বুলেটের ব্যালেষ্টিক গতি নীরিক্ষার জন্য! না, শেষ পর্যন্ত যায়েদীকে হত্যা করা হয়নি।

১০ই জুলাই ২০১১ থেকে ৩৭ দিন পরিবার ও স্বজনরা জানতে পারেনি যায়ীদ কোথায় আছে বা অদৌ বেঁচে আছে কি না। যায়ীদের ছোট ভাই সামরিক কর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন--একটা সংবাদের আশায়। কিন্তু কেউ কোনও খবর দেয়নি। স্বজনরা এসময় তার লাশ খুঁজে বেড়াত, কোথাও কোনো মৃতদেহের খবর পেলেই ছুটে যেতো! নানা অত্যাচার নির্যাতন করেও যখন জিজ্ঞাসাবাদকারীরা যায়ীদের কাছ থেকে তাদের চাহিদামত স্বীকারোক্তি পায়নি, তখন হুমকি দিলো- তাদের কথামত জবানবন্দী না দিলে যায়ীদের ১০ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে এনে চোখের সামনে ধর্ষণ করবে!! কারণ, তারা একাজ করে একাধিক অফিসারের জবানবন্দী নিয়েছে এবং এরা এব্যাপারে অভিজ্ঞ। এসকল জিজ্ঞাসাবাদকালে সাথে অংশ নিত বেশ কয়েকজন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্তকর্তা।

৩৭ দিন পর পরিচালক মিলিটারী অপারেশন্স (DMI) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিদওয়ান ও আর্মি সিকিউরিটি ইউনিটের সিও লেঃ কর্নেল হামিদের দয়া হলো। যায়ীদকে জানায়, আন্ধা যমপুরী বের করে উন্নত কোন অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। বাস্তবে এরপর শুরু হলো নির্যাতন-অত্যাচার ও অবিচারের নির্মমতার ২য় ধাপ। বন্দী যায়ীদের হাত-পা-চোখ আরো শক্ত করে বেঁধে উঁচু একটা গাড়ির একটা সীটের সাথে বেধে ফেলা হলো। গাড়ি চলতে থাকে, অনেক পরে হঠাৎ করে গাড়ীটা কঠিন ব্রেক করে দাড়িয়ে যায়, সাথে সাথে ৩/৪টা লোক গাড়ী থেকে নামিয়ে ঐ বাধা অবস্হায় লাথি মেরে লাশের মতো গড়িয়ে পাকা রাস্তার উপর ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। তাহলে এতদিন পর বুঝি মুক্তি মিললো যায়ীদের! কিন্তু না, চোখ খুলেই দেখতে পেলো ইএমই লেঃ কর্নেল নাছিরের বাহিনী ঘিরে আছে। নাসির বলছে, 'কি চিনতে পারছ যায়ীদ'? নাসির যায়ীদের পূর্ব পরিচিত, একত্রে বেশ কিছু সামরিক কোর্স করেছেন। হাত বাধা অবস্থায় নাসিরের লোকেরা যায়ীদকে উঠায় আর্মি হেডকোয়ার্টার অফিসার্স মেসের (বর্ধিত) অংশের ৪র্থ তলার সর্ব পূর্ব দিকের রুমে। রুমের ভিতর ২টি সিসি ক্যামেরা, বাথরুমের দরজা ভাঙ্গা, চারদিকে গ্রীল করা, দরজা-জানালায় কোন পর্দা নেই। এই রুমে তাকে ঢুকিয়ে সাথে সাথে দরজা তালা বন্ধ করে দিলো। শুরু হলো হাত-পা-চোখ খোলা অবস্থায় গোপন কয়েদী সেলের জীবন। ১৫ ফুট বাই ১২/১৩ ফুট তালাবদ্ধ, বাইরে সারাক্ষণ ৩/৪ জন সশস্ত্র সেনা গার্ড, এই অবস্হায় খোলা টয়লেটে টয়লেট করাটা বোধহয় সবচেয়ে কঠিনতম একটি পরীক্ষা। একজন চৌকস পদাতিক অফিসার হয়ে অধীনস্ত সৈনিকদের চোখের সামনে ২৪ ঘন্টার প্রতিটি মুহুর্ত পার করাটা যে কতোটা নির্মম কষ্ট ও বেদনার, তা একজন ভুক্তভোগি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।

এরপর শুরু হলো তদন্ত আদালত। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হালিম, লেঃকঃ শায়েখ, ইঞ্জিনিয়ার্স (বর্তমানে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ব্রিগেডের কমান্ডার) লেঃকঃ মনিরুজ্জামান (১৬ বিএমএ লং কোর্স) ও ১ জন মেজরের মিলিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালতের বিচার। কিন্তু এই আদালত তাকে অধিকাংশ প্রশ্নই করেছিলো তার এক কোর্সমেট লেঃ কর্নেল হাসিনুর রহমান ডিউকের বিষয়ে, যে ছিল কিনা ১০০% সৎ, একজন অসীম সাহসী সেনা কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কোন সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে তদন্ত কমিটি কর্নেল যায়ীদকে তার (নিজের) সততা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞাসাবাদ করে, অথচ যে কর্নেল চাকরী জীবনে কখনও কোনো টিএ বিল নেয়নি। কারণ, ট্র্যাভেল করার সময় যে খরচ হয়, বিল করার সময় তার চেয়ে বেশী বিল করতে হয়। তাকেই, সততা নিয়ে প্রশ্ন? কি বিচিত্র এই দেশ!!

এর মাঝখানে রমজান আসে, আসে ঈদ। কর্তৃপক্ষের নিকট বহুত অনুরোধ ও অনুনয়-বিনয় করেও ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি পায়নি লেঃকর্নেল যায়ীদ। এ সকল নিকৃষ্টতম কাজগুলো একাই নিয়ন্ত্রণ করতো তখনকার লগ এরিয়ার একিউ লেঃ কর্নেল মনিরুজ্জামান। অফিসার নামের এ কলংকিত ব্যক্তিটি নিজের প্রমোশনের জন্য সকল ধরনের অন্যায় কাজগুলো হাসিমুখেই করতো।

ঐ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা যায়ীদকে বিভিন্ন ব্যক্তির রেফারেন্স দিয়ে প্রশ্ন অবান্তর ও নাটকীয় প্রশ্ন করতে থাকে। কর্নেল যায়ীদ ঐসব বায়বীয় অভিযোগ দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করে, এবং তাদেরকে অনুরোধ করে সাজানো নাটকের ব্যক্তিদেরকে ক্রস-এক্সজামিন করতে, সেনা আইন অনুযায়ী তা ছিল অবশ্য করণীয়। কিন্তু ঐ তদন্ত কমিটি সে অনুরোধ অগ্রাহ্য করে। ফলে পুরা তদন্ত রিপোর্টাই অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা। তদন্ত কমিটির মূল কাজ ৪/৫ দিনের মাঝে শেষ হলেও কালো হাতের ইশারায় অজ্ঞাত কারনে স্বাক্ষর নিতে উপস্থাপন করা হয়েছিল ২ মাস পরে। গুমের সাড়ে তিন মাস পর শেষ হলো এই তদন্ত রিপোর্ট। ২রা নভেম্বর ২০১১ লেঃ কঃ মনিরুজ্জামান কর্নেল যায়ীদের বন্দী সেলে এসে জানায়, "স্যার, আপনার তো কোন দোষ প্রমান পাওয়া যায় নাই। তাই, আপনাকে ৫/৭ দিন পর কুরবানী ঈদের আগেই ছেড়ে দেয়া হবে।"

রোজার ঈদের দিন দুপুরে হঠাৎ যায়ীদের সামনে হাজির করা হয় তার স্ত্রী ও সন্তানদের। দরজা খোলা রেখে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে দুইজন অফিসার সামনে বসে থাকতো। ছোট ছেলে হঠাৎ করেই বলে বসলো--- আব্বু তুমি কি চোর? তোমাকে এরা তালা মেরে পাহারা দিচ্ছে কেনো?" সন্তানের প্রশ্নে কোনো জবাব দিতে পারেনি যায়ীদ! সেদিন ছিলো কর্নেল যায়ীদের গুম হওয়ার ৫০তম দিন।

শুরু হলো মুক্তির জন্য প্রহর গননা করা। কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত আরো ৩ মাস তাকে ঐভাবেই কয়েদী সেলে বন্দী রেখে মার্চ ২০১২ সালের প্রথম দিকে জানানো হলো যে, তাকে সেনা আইনে ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল (FGCM) করা হবে। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতন যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে যায়ীদের। শুরু হলো এফজিসিএম, আনা হলো ৩টি চার্জ, যার সাথে তদন্ত আদালতের রিপোর্টের কোনো মিল নাই। কর্নেল যায়ীদকে কোন প্রকার ডিফেন্ডিং ব্যক্তি/ উকিল/ অফিসার নেয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হয় নাই। বলা হলো নিজেই নিজেকে ডিফেন্ড করতে হবে। গুম ও বন্দী অবস্থায় কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে শুরু হলো বিচার প্রক্রিয়া। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল (৬ লং কোর্স) ছিলেন প্রধান বিচারক। কোর্টের শুরুতেই তিনি আদেশ দিলেন যে, ১ নং চার্জের ক্ষেত্রে কোন ডিফেন্স যেন নেয়া না হয়, কিন্তু যার কারনে যার সাথে জড়িয়ে এই চার্জ আনা হলো তাকে পর্যন্ত স্বাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়নি। অথচ, এটা করা হলে লেঃ কঃ যায়ীদ নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করে চাকরী ফেরত পেতেন। কারণ, বাকী ২টা চার্জ তিনি বন্দী থাকা অবস্থাতেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন। এখানে যদি সামরিক আইনগুলো সঠিকভাবে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পালন করা হতো, তাহলে কর্নেল যায়ীদ নিজেকে ১০০% নির্দোষ পালন করতে পারতেন।

এরপরে ২৪ এপ্রিল ২০১২ সম্পূর্ণ অবৈধভাবেই যায়ীদকে চাকরী থেকে ডিসমিস হয়। এভাবে গুম ও অপহরণ করে প্রায় ১০ অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অবৈধভাবে বন্দী রেখে, অবৈধ তদন্ত রিপোর্টের মাধ্যমে, কোন ডিফেন্ডিং প্রক্রিয়া ছাড়াই একজন ১০০% সৎ, মেধাবী , দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে প্রায় ৩০ বছর চাকরী শেষে শূন্য হাতে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে যায়ীদের কোর্সেমেটরা যখন জেনারেল হয়ে বিভিন্ন ডিভিশন নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন যায়েদী সন্তানদের স্কুলের বেতন ঠিকমতো দিতে পারেন না, পরের দিন সন্তানদের নিয়ে কি খাবেন, তাও জানেন না! ২৪শে এপ্রিল ২০১২ যখন যায়ীদকে মুক্ত করা হয়, তখন লেঃ কঃ মনিরুজ্জামান ও অন্যান্য সম্পৃক্ত অফিসারবৃন্দ হুশিয়ারী দিয়েছিলেন যে, গত দশ মাসের প্রতিটি মুহুর্তের কর্মকান্ড তাদের কাছে ভিডিও রেকর্ড করা আছে। কাজেই সাবধান!

একজন সার্ভিং সেনা অফিসারকে অস্ত্রের মুখে গুম করে ১০ মাস অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করে বহুবার ক্রসফায়ার হতে ফেরত এনে অনেকবার ফাঁসিতে ঝুলানোর ট্রায়াল করে, এমনকি তার শিশু কন্যাকে রেপ করে জবানবন্দী আদায় করতে চাওয়াটা কোন্ আইনে পড়ে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা এই সব জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে, কল্পনা করা যায়? পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো আইনে এধরণের ঘৃণ্য জঘন্যতম কাজকে বৈধতা দেয়া হয়েছে? একজন সার্ভিং সেনা অফিসারের সাথে এহেন জঘন্য কার্যক্রম করা কয়েকবার হত্যার চাইতেও ঘৃন্যতম অপরাধ। যেখানে সেনা আইন অনুযায়ী কাউকে অ্যারেস্ট বা বন্দী করা হলে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, অথচ যায়ীদকে ১০ মাস অবৈধ বন্দীখানায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল।

ঠিক কী অপরাধের জন্য যায়ীদকে এরকম কঠিন অমানবিক অত্যাচার করা হলো শাস্তি দেয়া হলো, তার সঠিক কারন যায়ীদ বা তার পরিবার আজও জানে না। অপারেশন ক্লিনহার্টে ৩টি জেলার দায়িত্ব পালনকারী একমাত্র ব্যাটালিয়ন কমান্ডার যিনি তখন ১৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করে বড় বড় সন্ত্রাসীদেরকে বন্দী করেন, এটা কি সেই কারন? নাকি ছোটবেলা হতেই যায়ীদ একটু ধর্মভীরু স্বভাবের হওয়াটা কারন হতে পারে? নাকি ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে পিলখানায় নির্যাতিত হওয়ায় ও পিলখানার ঘটনা নিয়ে একটু বেশী আবেগ প্রবণ হওয়া? তবে কি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশপ্রেমের বলিষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে 'নিজের লাশেরও দাবী নেই' লিখিত দিয়ে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিকবার ক্রস বার্ডার অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়া? নাকি একজন সুদক্ষ কমান্ডো অফিসার হওয়া (যিনি যেকোনে স্থানে যেকোনো পরিস্থিতিতে অপারেশন চালানোর জন্য সিলেক্টড), তার চরম পরিণতির জন্য দায়ী? তবে প্রতিটি জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রতিবেশী দেশের অফিসারদের উপস্থিতি এবং তাদের প্রশ্নে প্রতীয়মান হয়েছে ভারতীয়দের চাহিদা অনুযায় হয়েছিল ঐ গুম, নিগ্রহ এবং অত্যাচার।

রাষ্ট্রের কাছে এর কোনো সঠিক জবাব পাওয়া যাবে কি?



--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___