ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সায়মা খান ;
যিনি সম্মুখ সমরে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অসংখ্যবার সাবমেশিনগান হাতে নিয়ে রণচিৎকারে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ব্যুহের উপর ঝাপিয়ে পরেছিলেন এবং একই সাথে ফিল্ড হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করেছিলেন। তিনি একাধারে পাকস্তানী সেনাবাহিনীর আতঙ্ক প্রাণনাশী দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রক্ষাকারী সেবিকা।
আমি জানি, আমার স্ট্যাটাসটি যদি উপরের প্যারাতেই শেষ করে দেই, তাহলে বেশ কিছু লাইক এবং কমেন্টবক্সে উপচে পরা সেল্যুট ও সম্মাননা জমা হবে। বিষয়টা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ; আগেও এরকম দেখেছি।
অথচ গত দুই দিন ধরে হেফাজত যাকে প্রাণে মেরে ফেলার ঘোষণা দিচ্ছে,
যাকে দেশ ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে,
যাকে মুক্তিযুুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা শেখাচ্ছে, সেই সুলতানা কামালও একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ও ফিল্ড হসপিটালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সেবিকা। তিনি শুধু একা নন, দুইবোন একসাথেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন।
আর আজকে এমনই ঘোর কলিকাল যে, সুলতানা কামালের মতো সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকেও হেফাজতের মতো একটি পরজীবী গোষ্ঠির কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি শুনতে হচ্ছে ! এবং কাদের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে ? যাদের নেতা আহমদ শফী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঘৃণ্য মুজাহিদ বাহিনীর সদস্য ছিলো ...
শেইম ... !!!
__._,_.___