Banner Advertiser

Wednesday, March 14, 2012

[mukto-mona] তসলিমা নাসরিনঃ কতোটা সফল নারীবাদে ?



তসলিমা নাসরিনঃ কতোটা সফল নারীবাদে ?

আঠারো শতকের শেষভাগে পৃথিবীতে একটি নতুন চিন্তাধারার জন্ম হয়। বাস্তবিক পক্ষে এই চিন্তাটির উৎস প্রাচীনকাল থেকেই পরিলক্ষিত হয়ে আসছে মানব সমাজে। কিন্তু তার সফল ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখা যায় আঠারো শতকে মেরি ওলস্টোনক্র্যাফটের 'দি ডিণ্ডিকেশন অফ দি রাইটস অফ ওম্যান' প্রকাশিত হওয়ার পরে। এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে- সেই মূল্যবান চিন্তাধারাটি, যা আন্দোলনরূপ লাভ করেছে তা হল 'নারীবাদ'। নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বিদ্রোহী মেরি মূলত নারীদেরকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন পুরুষ-গৃহের কারাগার থেকে। তিনি নারীকে নারী হিশেবে দেখতে চান নি, চেয়েছেন মানুষ হিশেবে। নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে, প্রতিক্ষেত্রেই। তার মতে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে মানুষ হতে শেখায় না; নারী হিশেবে বড় হতে শিক্ষা দেয়। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের একজনও একই প্রসঙ্গে বলেছিলেন আজ থেকে প্রায় ১৩০ বছর আগে। বেগম রোকেয়া। তিনি শুধুমাত্র নারী জাগরণের অগ্রদূতই ছিলেন না; ধর্মের বিভিন্ন কাঠামোকেও অতিক্রম করেছেন নিজ সাহিত্য শক্তিগুণে। এবং সীমাতিক্রম করেছেন সমাজের অনেক প্রাচীন প্রথার বিরুদ্ধে। তিনিও এমত প্রকাশ করেন যে, পুরুষের লক্ষ্য ও নারীর লক্ষ্য ভিন্ন নয়। তাদের স্বার্থ সমান-সমান্তরাল। এভাবে পৃথিবীতে ঐ সময় নারী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর অনেকেই নারীমুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন। লিখেছেন অনেক প্রবন্ধ-গ্রন্থ। নারীবাদের আরেক মহান সত্তা হলেন সিমোন দ্য বেভোয়ার। ইউরোপের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এক সুবিশাল,শক্তিশালী ও মহান তত্ত্বের জন্ম দেন। যা প্রকাশিত হয় 'দ্য সেকেণ্ড সেক্স' গ্রন্থে। তিনি নারী আন্দোলনকে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে দেন এবং আবিষ্কার করেন নারীর সীমাবদ্ধতা। নারী যে মানুষ ভিন্ন আলাদা কোনো বস্তুসামগ্রী নয় এই বস্তুজগতের, তা প্রকাশ পায় তার বিখ্যাত এই উক্তিতে-'কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী ।' তিনি অত্যন্ত জ্ঞানলব্ধ, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ও সমগ্র শিল্পকলার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এই গ্রন্থ ও উদ্‌ঘাটন করেছেন আধুনিক নারীবাদ। এভাবে সমগ্র পৃথিবী জুড়েই চলতে শুরু করে একটি নতুন আলোড়ন, একটি নতুন বিস্ফোরণ; যা নারীবাদ। এখানে উত্তর-পূর্ব আরো অনেকের নাম উল্লেখ করা প্রয়োজন নারীবাদের ক্ষেত্রে। তার হলেন- রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, লুসি স্টোন, কেডি স্ট্যান্টন, সুজ্যান অ্যান্থনি, ফ্যানি রাইট, স্টুয়ার্ট মিল, হেন্রিক ইবসেন, রোসা লুকেম্বার্গ, ভার্জিনিয়া উল্ফ এবং আরো অনেকে। নারী আন্দোলনের,জাগরণের পথিকৃৎ হিশেবে এরা খ্যাত। নারী আন্দোলনের তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় তারা সুগভীর পথ দেখিয়েছেন সমগ্র নারী বিশ্বের জন্য।


বিশ্বে নারীদের বর্তমান অবস্থান,পরিস্থিতির দিকে দেখলে এটি অবশ্য মনে পড়ে যে, নারাবাদী এই তাত্ত্বিক বক্তব্য ওতোটা সহজে ভূমিকা রাখতে পারবে না নারীর অবস্থা উৎক্রমনের ক্ষেত্রে। তবে এটিও সত্য যে নারীর বাস্তব অবস্থান তুলে ধরতে এই বহুমাত্রিক তত্ত্বগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে নারীর অবস্থান অগ্রগতির বিপরীতে। সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান নিয়ে হোমার থেকে হেগেল পর্যন্ত সকলেই মত দিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই নারী অধিকার দিতে রাজি হন নি। হোমার, ইস্কাইলাস, সফোক্লিস, সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল সকলের কাছেই সমাজ মানে পুরুষ সমাজ। আমাদের পুরুষ নির্ধারিত সমাজ কাঠামোর মূলে রয়েছে পুরুষের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। পুরুষরা বরাবরই এমন নারী প্রত্যাশা করে, যে তার ক্রতদাসী হয়ে সংসার ধর্ম পালন করবে। তার অধীনে, মূলত তাকে প্রভু বলে নিজের জীবন কাটিয়ে দেবে এবং বিশ্বটা কখোনোই নিজের চোখে দেখবে না। তার পুরো বিশ্বের প্রতিটি বিন্দুতেই থাকবে পুরুষের দেওয়া একটি বাধ্যবাধকতা। যেটির অধীনে আবন্ধ থাকবে নারী। এভাবে একটি কল্পিত, কিন্তু বাস্তব হাত নারীকে মুক্তির পথ থেকে দূরে রেখেছে প্রথম থেকেই। প্রতিবেশ পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে দু একজন উপলব্ধি করেছে মুক্তির চেতনা। নিজেকে মুক্ত করতেও সফল হয়েছে তারা এই বদ্ধ সমাজ কাঠামো থেকে। তারা উপলব্ধি করেছে পুরুষের ঘর থেকে মুক্তি পাওয়াটাই একমাত্র মুক্তি লাভের পথ নয়; বরং সমাজ কাঠামো যেখানে তাদেরকে আটক করেছে সেখান থেকে মুক্তিলাভ করাটাই আসল মুক্তি। এই চেতনার প্রসার সম্প্রসারেই আজ নারীবাদের সূত্রপাত ঘটেছে। 

আমাদের বাংলাদেশে নারীবাদের এক অন্যতম জনপ্রিয় নাম হল- তসলিমা নাসরিন। তিনি বাংলায় নারী স্বাধীনতার পক্ষে অনেক মূল্যবান ভূমিকা রেখেছেন। তার গ্রন্থ; বিশেষ করে তার উপন্যাস, কলাম, কবিতা ইত্যাদিতে উঠে এসেছে নারীবাদের বিস্তৃত আলোচনা ও সংগঠন। মূলত এত দুঃসাহসিকভাবে নিজেকে প্রকাশ আর কোনো বাঙালির দ্বারা সম্ভব হয় নি। এখানে দুঃসাহসিক শব্দটির বিপক্ষে অন্য যেকোনো শব্দ প্রয়োগ করলে এই পূর্বোক্ত কথাটি সত্যতা হারাবে। কেননা তার দুঃসাহসিকাতা শুধুমাত্র সাহসিকতার পরিধি অতিক্রম করেছে তা নয়; উপর্যুপরি তা উশৃঙ্খলতায় রূপ নিয়েছে। এজন্যই তিনি বিতর্কিত ও সমালোচিত। 

তসলিমা নাসরিনের গল্প,কবিতা,উপন্যাসকে অনেকেটা সাহিত্য বলা চলে না। কেননা সাহিত্য কতগুলো সুসংবদ্ধ শিল্পকলার ফল। যেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট চেতনা অপরিহার্য নয়, কিন্তু শিল্পগুণ ঠিক রাখা অপরিহার্য। মূলত সাহিত্য সৃষ্টির জন্য যে সৃজনী শক্তির প্রয়োজন হয় তা কোনো সত্তা নয়; অথচ আত্নপ্রকাশ ও মানবিক সংযোগ ও বিনিময়ের লক্ষে প্রাণিত একটি সত্তা; যা তার চেতনা,বোধ,বিশ্বাসকে কারিগরি রূপ দিয়ে গঠন কোরে সর্বজনসমক্ষে কোনো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার প্রকাশ করে। বাস্তবিকই শিল্পবোধ না থাকলে সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়। উগ্রতা বা প্রলাপ কখনো সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে না। আলোচ্য তসলিমা নাসরিনের বৃহৎ রচনাকে পর্যবেক্ষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, সেগুলো অনেকটাই সাহিত্যমূল্যহীন। 

তসলিমা নাসরিনের লেখার একটি বড় অংশ হল যৌনতা। যেটিকে আমরা অশ্লীল বলে থাকি। আসলে যৌনতা অশ্লীল নয়। কিন্তু এই শব্দটির ব্যবহারই নির্ভর করে তা শ্লীল না-কি অশ্লীল। তথাকথিত অশ্লীল উপন্যাস 'লজ্জা' এর জন্য তাকে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে দেশছাড়া করা হয়েছে। একথা সত্য যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পশ্চাৎপদ ধর্মজীবীরা ধর্ম দ্রোহীতার কথিত প্রাচীন অভিযোগ এনে এসব প্রতিভাবান লেখকদের সৃষ্টিশীলতা বিরুদ্ধে অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে। কিন্তু একটু গভীরে লক্ষ্য করলে এটা দেখা যাবে যে তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে এটা অনেকটাই ভিন্ন ছিল। এটুকু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তিনি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, প্রক্রিয়াশীলতা দেখিয়েছেন নিজের পক্ষে নিজেই। এজন্যই তিনি বিতর্কিত। 

ড.হুমায়ুন আজাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,"মৌলবাদিরা কোন চক্রান্ত থেকে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, তা আমি জানি না। তবে এ-ধরণের গুজব শোনা যায় ভারতের বিজেপি এর সংগে সংশিষ্ট ছিল, এমনকি তসলিমা নাসরিন নিজের বিরুদ্ধে মিছিলের আয়োজন নিজেই করেছিল বলে আমরা শুনেছি। বাঙলা একাডেমির বইমেলায় মিছিল হচ্ছিল, ছোট মিছিল, আমি নিজে তা বাধা দিতে গিয়েছিলাম, পরে শুনি ওটার আয়োজন সে-ই করেছে। তাই আমি আর বাধা দিই নি। বাঙলা একাডেমির তখনকার মহাপরিচালক আমাকে জানিয়েছিলেন মিছিলটি তসলিমা নিজেই আয়োজন করেছে। তসলিমা চেয়েছিল একটি মহাগোলোযোগ হোক। তাহলে সে সাড়া জাগানো ঘটনা বা ব্যক্তিতে পরিণত হবে।"

এ থেকে বোঝা যায় অনেকাংশেই তসলিমা নাসরিন খ্যাতির পিছনে দৌঁড়োতে দৌঁড়োতে রচনা করেছেন তার রচনাবলি। সমালোচনার মাধ্যমে এগুলোর স্থূলতা পরিষ্কার হচ্ছে ক্রমশই। 

তসলিমা নাসরিনের নারী অধিকার বা নারী মুক্তির যে চেতনা তাও অনেকটা ভুল ভাবে প্রোথিত হয়েছে। কেননা তার রচনা থেকেই ষ্পষ্ট হয় এটি। তসলিমা সমাজের উচ্ছৃঙ্খল পুরুষ সমাজের প্রতিরোধে যে উচ্ছৃঙ্খল নারী সমাজের রূপ এঁকেছেন তা সুস্থ সমাজের পরিপন্থী। আসলে আমাদের সমাজ কাঠামো এমন ভাবে পুরুষরা নির্মান করেছে যেখানে সকল সংস্কৃতির ধারক-বাহকও পুরুষই। ফলে সমাজের এই কাঠামোকে আগে না পাল্টাতে পারলে শুধুমাত্র সংস্কৃতির পরিবর্তনে সমাজে নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠালাভ করবে না। তসলিমা বলেছিলেন,'আমরা আমোদিত হতে চাই, পুরুষ শরীর দেখে। আমরাও তৃষ্ণার্ত হতে চাই,আহ্লাদিত হতে চাই।' এটি কেমন সুস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা ?(!) তিনি পুরুষ চিত্রকরদের তুলির ছোঁয়ার শিল্প হয়ে ওঠা নারীর নিতম্ব দেখে যদি বদলা হিশেবে চিত্রকরদের পুরুষাঙ্গ আঁকতে চান; তাহলে তা কি অসুস্থ মস্তিষ্কের পরিচয় দেয় না (?)। ধর্ষণের বদলা ধর্ষণ, বেলেল্লাপনার বদলা বেলেল্লাপনা, পতিতাপল্লির বদলা পতিতাপল্লি হতে পারে না। ভোগবাদী পুরুষের বিপক্ষে নারী ভোগবাদী আন্দোলনের সার্থকতা থাকাটা কল্পনারও অযোগ্য। এভাবে ভোগবাদের চূড়ান্ত রূপ যৌনতার বিপনন সাজিয়ে নারীবাদের অগ্রগতি সম্ভব নয়। 

তসলিমা নাসরিনের আরেকটি দিক হল তার সাম্রাজ্যবাদের দিকে অগ্রসর হওয়া। বর্তমানে পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সমাজ কাঠামোতেও এসেছে নতুন ধারনা, নতুন মতবাদ। প্রাচীনকালের সেই কৃষিসমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রিয়া বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ আমরা অনেকগুলো সমাজ কাঠামো পেয়েছি। মার্ক্সবাদী সমাজকাঠামো, যা সাম্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে; একমাত্র সেখানেই নারীর মুক্তি সম্ভব। কেননা স্বামী ভিত্তিক সমাজ কাঠামোটি হল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রূপ। যা পুঁজিবাদের প্রথম সংগঠন। আজকের বিশ্ব প্রায় পুরোটাই পিতৃতান্ত্রিক। দাসসমাজ, সামন্তসমাজ, পুঁজিবাদী সমাজ- পিতৃতন্ত্রকেই ধারণ করে। আর এ সমাজেই দেখা দেয় শ্রেণি বিভাজন। এর সাথে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি শ্রেণি বিভাজনকে আরো জোরদার করে। পৃথিবীর শাসকরা তাই ধর্মকে একটি হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহার করে আসছে প্রথম থেকেই। ধর্মের নামে যুদ্ধ-কলহ করে ঠেকিয়ে রাখা হচ্ছে সাম্যবাদ। আর ধর্মকে হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি হল- ধর্মীয় নিতিগুলোর ভাঙন ও ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দেওয়া। তসলিমা নাসরিন এ ক্ষেত্রে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দিচ্ছেন। নাস্তিকতার উদ্দেশ্য এটা হতে পারে না যে- ধর্মের তথাকথিত আদর্শ মানবদের অবজ্ঞা করা। তিনি 'দ্বিখণ্ডিত' বইয়ে হযরত মুহম্মাদ সাঃ কে 'যৌনবিকৃত', 'ভণ্ড' ইত্যাদি বলেছেন। যা ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দিয়ে ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টি করছে। আর ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টি ফলে সাম্যবাদ আরো দূরে চলে যাচ্ছে। দূরে চলে যাচ্ছে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীবাদের একামাত্র মূল মন্ত্রটি। আর ব্যাপ্তি লাভ করছে নারীর একমাত্র শত্রু পুঁজিবাদ ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের তৎপরতা। 

উপমহাদেশের বিখ্যাত যুক্তিবাদ মনষ্ক প্রবীর ঘোষ তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে বলেছেন-

"তসলিমা জেনে বা না জেনে বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদকে এককাট্টা করেছে, তীব্রতর করেছে। ফলে মুক্তমনের মানুষ আর ধর্মীয় মৌলবাদী মানুষ বিভাজিত হয়েছে। শোষণ মুক্তির জন্য শোষিত মানুষরা এককাট্টা হতে পারেনি। তসলিমা সাম্রজ্যবাদীদের ইচ্ছেকেই শেষ পর্যন্ত জয়ী করেছেন।"

তসলিমা নাসরিনের এই নারীবাদী চিন্তাভাবনা নারী আন্দোলনকে কিছুটা এগিয়ে দিলেও নারীদের মুক্তির পথে অন্তরায়। নারীবাদী সেজে নারীবাদের প্রতি আক্রমণ।

-মাজ্‌হার



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[ALOCHONA] Akhaura-Agartala Rail Link: India announces take-up connectivity project



Akhaura-Agartala Rail Link: India announces take-up connectivity project

India yesterday announced taking up the rail connectivity project linking Agartala, capital of the northeastern state of Tripura, with Akhaura in Bangladesh in a bid to improve ties between the two countries.

The proposal to take up the Agartala-Akhaura rail line project, envisaged in the joint communiqué during Prime Minister Sheikh Hasina's visit to Delhi in January, 2010, was made by Indian Railways Minister Dinesh Trivedi.
Presenting his ministry's budget in Parliament yesterday, he said, "To have cordial and improved relations with the neighbouring countries, Indian Railways takes up projects to provide rail connectivity to such countries.
"This year, it is proposed to take up a project to connect Agartala with Akhaura in Bangladesh."

This will also help establish connectivity with inaccessible areas in the northeast as the journey from Kolkata to Tripura via Bangladesh will result in significant savings in time and distance travelled, he added.

Agartala is 1,650km from Kolkata and 2,637km from New Delhi via Guwahati, capital of Assam state, and West Bengal, whereas the distance between the Tripura capital and Kolkata through Bangladesh is just about 350 km.

Under the railway budget proposal this year, India will build a 15km railway track linking Agartala with Akhaura, which is also an important railway junction connected with Chittagong port, Sylhet and Dhaka.Trivedi, in his budget, did not mention how much money would be earmarked for Agartala-Akhaura link but the total cost of the proposed project is estimated at Rs 252 crore.

"The Indian Railway Construction Company (IRCON) would lay the new railway tracks on both sides of the border," Northeast Frontier Railways (NFR) Chief Administrative Officer (Construction) Arvind Sewary had told reporters recently.

The project is expected to be completed by 2014.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=226395
------------

India prioritises to implement all deals, says new envoy 

India attaches top priority to successfully implement all the agreements and MoUs signed between the two countries, Pankaj Saran, Indian high commissioner to Bangladesh, said yesterday.

"I am specially assigned here to work on rapid implementation of all agreements and Memorandums of Understanding (MoUs) signed between India and Bangladesh," he said while presenting his credentials to President Zillur Rahman at Bangabhaban.

During the meeting, Pankaj said the Indian government has been working with Bangladesh giving top priority to Teesta water sharing issue, and expressed his hope that it would be resolved as soon as possible. "My first job is to make the relationships deeper and stronger between the two countries," he said adding that the two countries are enjoying excellent relations.

The envoy said the Indian government has expressed keenness to open more border haats (markets) between the two countries in the days to come. "The people of the two countries have been enjoying an excellent trading atmosphere at the border haats being operated in Kurigram district," he added.

Describing Bangladesh as a potential country, Pankaj said it has been achieving economic progress tremendously and would soon turn into a developed nation.Welcoming the high commissioner to Bangabhaban, President Zillur Rahman said India is the friendliest country of Bangladesh. He also recalled the contributions of India during the country's Liberation War.The president thanked the government and people of India for their support and cooperation to Bangladesh.Zillur Rahman also assured his all-out support and cooperation to the Indian envoy in discharging his responsibilities in Bangladesh.

Earlier, the high commissioner was given a guard of honour by the President's Guard Regiment on Bangabhaban premises.

http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=226361


__._,_.___


[Disclaimer: ALOCHONA Management is not liable for information contained in this message. The author takes full responsibility.]
To unsubscribe/subscribe, send request to alochona-owner@egroups.com




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Burqa banning after RAJUK, now Syedpur's Lions school and college: Minority Islam in Muslim majority Bangladesh



 Mr. Chakrabarty is a self claimed analytical man, though he forgot to spell it properly.  Some 'divine revelation' to some 'maharshi' is the 'holy book' on Islam.  Not even citations from the 'holy book' are enough to these 'anlytical' men to convince that the 'maharshi' was what was called 'a roving bandit' by Prof. Mancur Olson. The Surah I cited is a small one, but enough to prove the point that the 'revelations' always served the whims of the 'maharshi'  Fortunately, in those days even Muslims could be critical of their Prophet and their companions, now they can't.

Of course, nobody should expect an iota of common sense who considers totally illiterate fools as 'avatars' and 'maharshis.'  May be the followers of such avatars and maharshis would soon reveal the truth by going into trance(samadhi).  A small dose of 'somerasha' may help to bring about 'samadhi' soon.

"We expect more civility."  Who is this 'we'?  If these 'we' consisted of any moderator, my postings would be forbidden by now.  I don't have to learn 'civility' from functional illiterates.  I do not write here for the consumption for persons lacking even minimum 'anlytical' abilty.

On Wed, Mar 14, 2012 at 9:29 PM, subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:
 

1. Again the same typical "school-masterly" temper! This is not your pathsala. We expect more civility. By this time you should have recognized (a man full of himself will never do that any way) that this forum is visited by anlytical and informed people with broadness of mind. You ridiculed Vivekananda as he praised Islam and ridiculed Bankim also as he praised Muslim rulers. Now it is Rabindanath's turn. It has been revealed that he called Muhammad the maharishi of Islam. Probably you will ridicule him soon. That's your choice. I will not stoop as low as you do. Can you please directly go to your arguments without insulting a blogger? Thanks.
 
2. We have been discussing the veiling of women according to Islam. All of a sudden you have quoted a Sura (Verse CHI) without any relevance. I do not what you are trying to prove.
 
3. I read the juicy descriptions that you sent as quotes from well known references. It all sounded like myth to me. They were in such details. I simply questioned the reliability. (Let 100 percent muslims accept these as facts. I do not care. I am an analytical man. I love to go into the depths of the matter.) I did a little research and found that these accounts are not accepted by a big percentage of the readers. There are reasons. Muhammad lived during 570-632, Ibn Ishaq 704-766 (or 761?), and Bukhari during 810-870. About four genrations passed before Ishaq started recording the history and minimum eight generations passed before Bukhari strated his project. We have to take note of the fact that these accounts are not based on written documents. These are based on oral traditions. Traditions have been told and retold again and again. Volumes of traditions both Ishaq and Bukhari collected were so huge that they themselves had to use their own judgements to discard many of them. We also need to understand that when the narration of a fact travels from mouth to mouth over genrations it easily gets distorted. We the blind believers take any thing to be infallible and absolute if it comes from a revered author. We are afraid to challenge him. Only a brave inquiring mind is able to reveal further truths.       
 

From: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, March 13, 2012 8:48 PM

Subject: Re: [mukto-mona] Burqa banning after RAJUK, now Syedpur's Lions school and college: Minority Islam in Muslim majority Bangladesh
 
Ahadith by Bukhari is the most acceptable there is.  Any half wit not appreciating Bukhari, Tabari, Waquidi, Ibn Ishaq, Ibn Kathir etc. should read the gibberish 'holy verses' and try to interpret in his own way.  Read the verse CXI.  It is a short one.  "Perish the hands of Abu Lahab, and perish he!/  .... He shall roast at a flaming fire/ and his wife,..., upon her neck a rope of palm-fiber."  Abu Lahab was an uncle of the prophet, and two of his sons were married to two of the prophets daughters before the advent of Islam.

On Tue, Mar 13, 2012 at 10:00 AM, Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:
 
In this account from WikiIslam the prophet (maharishi in Ranindranath's term) has been shown to be most open minded. This account even seems to be 
dubious. I did a little google search to discover that the account by Ibn Ishak who on time scale was closest to prophet as a biographer has not been ununimously accepted. Acceptance of Bukhari seems to be less. 
It is really almost impossible to come up with the real truth. Research should continue. 
Sent from my iPhone
On Mar 11, 2012, at 9:29 PM, Kamal Das <kamalctgu@gmail.com> wrote:
 
 The holy Koran has 'revelations' from earlier sources as well, e.g., Oracles of Delphi and other temples, the Old and New Testaments etc.  Other literature on Islam cites to Umar being proud on receiving the revelation on hijab before the Prophet.

Now, may I add from WikiIslam,
"The reason that Muslim women wear the hijab today is not a spiritual one, nor is it a matter of piety. Covering the hair/face cannot be considered an act of modesty because Muslim men are not required to cover theirs. The sole reason they do it is because Umar bin Al-Khattab, a companion of Muhammad, wished that Muhammad would reveal verses from Allah requiring women to wear it. When Muhammad did not oblige, Umar did not pray to Allah for assistance. Umar knew he had to make it personal for Muhammad himself in order to bring the revelation down. He followed Muhammad's wives out when they went to go to the toilet and made his presence known. When Muhammad heard of this, the revelation that Umar had so wanted was sent down from Allah. Umar knew where these revelations were really coming from, which is why he pestered Muhammad and harassed his wives instead of asking Allah.
Although the revelational circumstances for the hijab were ridiculous, the consequences that we can see to this day, are not. The requirement for the hijab has had the effect of placing full responsibility for Muslim-male self control onto the females - freeing the men of responsibility for their actions if they see an unveiled woman. Lack of self control is not an inherent attribute to men, because men in non-Islamic societies do not have such self control issues; when it is rare to see a woman covered so in these societies. The hijab's purpose, as revealed and to this day, is designed to protect Muslim females from the now acceptable behavior of Muslim males; behavior which has been deemed socially acceptable precisely because of the requirement of Muslim females to wear the hijab."
One may notice that the Prophet did not prevent Umar from stalking his wives even to the place of defecation.  It might so happen that he actually instructed to spy on them.

 
Thank you for sharing the source of your post. We can learn from it as well.

However do note that, ALL revelations in the holy Qur'an were revealed to prophet Muhammad (PBUH) NOT anyone else. Hazrat Omar (RA) might have wished for the clearer direction about the level of modesty required and that is acceptable to me. Revelations only came to messengers of Allah (SWT) not to anyone else. It would be a mistake to think Allah revealed any verse to Omar (RA).

A complete body cover excluding the eyes

Also note that, the covering the whole body but eyes is not part of the revelation. It is an assumption and there are differences of opinions among scholars of Islam. Generally some scholars feel women are required to cover whole body ( Including face except eyes) but majority of Islamic scholars feel just covering head and rest of the body is required. So you may see Muslim women with face veil (Niqaab) and others cover their heads and body (Hijab). So there are differences of opinions about "Levels of modesty" among scholars.


Shalom!


-----Original Message----- From: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com> To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Mar 11, 2012 7:42 am Subject: Re: [mukto-mona] Burqa banning after RAJUK, now Syedpur's Lions school and college: Minority Islam in Muslim majority Bangladesh
 
Narrated 'Aisha: The wives of the Prophet used to go to Al-Manasi, a vast open place (near Baqia at Medina) to answer the call of nature at night. 'Umar used to say to the Prophet "Let your wives be veiled," but Allah's Apostle did not do so. One night Sauda bint Zam'a the wife of the Prophet went out at 'Isha' time and she was a tall lady. 'Umar addressed her and said, "I have recognized you, O Sauda." He said so, as he desired eagerly that the verses of Al-Hijab (the observing of veils by the Muslim women) may be revealed. So Allah revealed the verses of "Al-Hijab" (A complete body cover excluding the eyes).
Sahih Bukhari 1:4:148 The quotation above is one of the versions of the story.
2012/3/10 Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
 
I read somewhere (maybe K, Armstrong) that veil was a sign of aristocracy and that's why prophet's wives and other women had to wear it. I believe every sura has to be analyzed in the light of the given context. 
Sent from my iPhone
On Mar 9, 2012, at 10:44 AM, qar <qrahman@netscape.net> wrote:
 

The 'wahi' on the imposition of 'Burkha' came to Umar (RA), not to the prophet (pbuh). 

>>>>>>> You are wrong AGAIN! Get a grip on yourself.....
"O; Prophet (Muhammad)! Tell thy wives and thy daughters and the women of the believers to draw their cloaks close round them (when they go outside)........

[ Source: Al Qur'an 33:59 ]
For basic info on this topic, click on the link below..
By: Prof. Maqsood Jafri
Shalom!
-----Original Message----- From: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com> To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com> Sent: Fri, Mar 9, 2012 6:10 am Subject: Re: [mukto-mona] Burqa banning after RAJUK, now Syedpur's Lions school and college: Minority Islam in Muslim majority Bangladesh
 
The 'wahi' on the imposition of 'Burkha' came to Umar (RA), not to the prophet (pbuh).  Across the history of Islam, the use of burkha or other versions of purdah by Muslim women was never universal.
2012/3/8 Nayan Khan <udarakash08@yahoo.com>
 
What is going on in Bangladesh one after another?
 
 

Wed 7 Mar 2012 10:30 PM BdST

rtnnনীলফামারী, ৭ মার্চ (আরটিএনএন ডটনেট)-- সৈয়দপুরে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে বোরকা ও স্কার্ফ পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ড্রেসকোড পালনের অজুহাতে এ মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে পর্দা পালনে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকার প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় দিন দিন ক্ষোভ দানা বাঁধছে। জানা গেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বিলি চলাকালে কর্তৃপক্ষ উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয় যে, আজ থেকে স্কুলে আসতে হলে বোরকা বা স্কার্ফ পরা চলবে না। এরপরও কেউ তা পরে তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরদিন কিছু শিক্ষার্থী বোরকা ও স্কার্ফ পরে স্কুলে গেলে তাদের বোরকা ও স্কার্ফ ক্লাসে গিয়ে খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকে না খোলার কারণে তাদেরকে ক্লাসে অপমান করা হয় এবং সিন্ধান্ত অনুসরণে কঠোরভাবে পুনরায় নির্দেশ দেয়া হয়।এরপরও গত শনিবার কোনো কোনো ছাত্রী বোরকা ও স্কার্ফ পরে গেলে তাদের অ্যাসেম্বিলির সময় সবার সামনে তা খুলতে বাধ্য করা হয়। এর পর বিষয়টি ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকসহ সৈয়দপুরের সচেতন মহলে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় �=A
=




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না


----- Forwarded Message -----
From: AbdurRahim Azad <Arahim.azad@gmail.com>
To: khabor <khabor@yahoogroups.com>; notun_bangladesh@yahoogroups.com; chottala@yahoogroups.com; SonarBangladesh@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, March 14, 2012 6:13 PM
Subject: [KHABOR] পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না

 

পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না 


Read the whole story at:
http://www.dailyinqilab.com/
March 15, 20112



Re: [mukto-mona] Awami League's moral defeat



I am also worried, worse days could be ahead for Bangladesh.
 
I have been reluctant to criticize Awami League. Because, I think Awami League is the best political option that is available in Bangladesh right now. But I am fearful; their misdeeds and mistakes could put the country in another round of serious descent.
 
While Mahfuz Anam's editorial was in the spirit of helping Awami League to come to better senses, look at the doctored version of it in Mukto-Mona and other forums (Awami League's moral defeat: Govt holds Dhaka city hostage). Naturally, the opposition wants to exploit the faults of Awami League.
 
Setting aside the comparison between bad and worse, the country needs to get out of the jungle culture. Civilized behavior from Awami League can do a lot of good for Bangladesh. I am certainly disappointed with them, and my sincere advice to them would be like what Mahfuz Anam has offered.
 
Sukhamaya Bain
 
===============================================
From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, March 13, 2012 12:23 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Awami League's moral defeat

 
Is AL really unsure about itself as has been asserted by Mahfuz Anam? To me it looks AL is oversure about itself. It happens when the party perception is that whatever it is doing is perfect and whatever the opposition is doing is bad. This perception makes the ruling party think that it will have absolute support from the majority for whatever action it will take against opposition. This also indicates that the ruling party is gradually getting isolated from the general masses although it hardly realizes it. The situation gets worse for the party because of the blind and motivated support it gets from a handful of opportunists. I think AL is currently suffering from group think syndrome. A very small group is deciding on the major issues and the rest are keeping their mouths shut in fear that they may lose their jobs, positions, or opportunities. 
Looks like bad days are ahead. Time for Mohiuddin Anwars to rejoice is knocking on the door. 

Sent from my iPhone

On Mar 13, 2012, at 3:36 AM, "Mohiuddin Anwar" <mohiuddin@netzero.net> wrote:

Sukhamya Bain had the coiurage to tell the truth. Other pro-Baksalis blindly follow their Jononetri.

---------- Original Message ----------
From: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Subject: Re: [mukto-mona] Awami League's moral defeat
Date: Tue, 13 Mar 2012 07:53:09 +0600

 
Politics is not exactly a place of moral standard.

On Tue, Mar 13, 2012 at 5:36 AM, Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com> wrote:
 
I agree with practically everything that Mahfuz Anam wrote here.
 
Sukhamaya Bain
=================================
 
.

 


 
 
 


____________________________________________________________
53 Year Old Mom Looks 33
The Stunning Results of Her Wrinkle Trick Has Botox Doctors Worried
consumerproducts.com
=




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] যেভাবে জনসমুদ্র !!!!!!



This was a mass gathering of supporters of Pro-Liberation .
Where as BNP led gathering was dominated by Anti-Liberation forces (70%) !!!!


যেভাবে জনসমুদ্র
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যেন রীতিমতো জনারণ্য! বিএনপির মহাসমাবেশের একদিন পর পাল্টা শোডাউন হিসেবে রাজধানীবাসী দেখল জনসমুদ্রের গর্জন! আর এই সমুদ্রের গর্জন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর তাদের রক্ষার ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। বুধবার লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে ১৪ দলের জনসভায় তীব্র জনস্রোতে কয়েক ঘণ্টার জন্য যেন থমকে গিয়েছিল ঢাকা মহানগরী। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার, নবাবপুর, সিদ্দিকবাজার, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, পল্টন, বিজয়নগর, জাতীয় প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, কার্জন হল পর্যন্ত চতুর্দিকের দীর্ঘ পথই ছিল জনতরঙ্গ। যেন জনতরঙ্গের শুরু আছে, শেষ নেই। জনতরঙ্গ থেকে ভেসে আসা লাখো মানুষের গগনবিদারী একই সেøাগান- 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই নাই', বীর বাঙালী ঐক্য গড়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কর।'
বিএনপির মহাসমাবেশের জবাব দিতে বুধবার রাজধানীতে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিত ঘটিয়ে বেশ ভালই পাল্টা জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দল। জনসভার প্রস্তুতি ছিল ব্যাপকই। কিন্তু কর্মসূচীতে এমন যে গণবিস্ফোরণ ঘটবে তা আয়োজকদেরও হতবাক করে দেয়। সকাল থেকেই সাজ সাজ রব পড়ে এই জনসভাকে কেন্দ্র করে। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ-গুলিস্তানের চতুর্দিকে এত মানুষের স্থান সঙ্কুলান হবে না এটা আঁচ করতে পেরে মঞ্চের চতুর্দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথেই শত শত মাইক টাঙিয়ে দেন আয়োজকরা।
কিন্তু বিকেলের আগেই তীব্র জনস্রোতে রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয় জনসভা। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের দুই সড়কের মোহনায় বিশাল মঞ্চ হলেও বিকেলের পূর্বেই জনসমাগম পশ্চিমে প্রেসক্লাব, উত্তরে কাকরাইল, পূর্বে পল্টন এবং উত্তরে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ ছাড়িয়ে সিদ্দিকবাজার, নবাবপুর, ফকিরাপুল ছাড়িয়ে যায়। পল্টন ময়দানেও হাজার হাজার মানুষকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হওয়ার সময়ও বিভিন্ন স্থান থেকে জনসভায় মিছিল নিয়ে লোক আসতে দেখা গেছে।
সকাল থেকেই এ জনসভাকে কেন্দ্র করে ১৪ দলের মধ্যে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। বেলা ১২টার আগেই পল্টন থেকে পুরো গুলিস্তান-বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকায় গড়ে তোলে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে-ট্রাকে করে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন জনসভাস্থলে। জনসভার মঞ্চ থেকে সকাল থেকেই পরিবেশন করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বজ্রকঠিন ভাষণ আর গণসঙ্গীত। আয়োজক চৌদ্দ দল হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হাজার হাজার সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো।
বেলা ১২টা থেকেই ঢাকা মহানগরীর ৪৬ থানা, এক শ'টি ওয়ার্ড, ১৭টি ইউনিয়ন এবং ১৫টি নির্বাচনী এলাকা থেকে ব্যান্ডের তালে তালে নেচে-গেয়ে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। মিছিলে মিছিলে কার্যত পুরো ঢাকা যেন কিছু সময়ের জন্য থমকে যায়। আওয়ামী লীগ তাদের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অজস্র সংগঠন মিছিল নিয়ে আসতে থাকে সমাবেশস্থলে। বিশেষ করে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও বিশাল বিশাল মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে কয়েক শ' রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা গণমিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে এলাকার পুরো পরিবেশই যেন পাল্টে যায়।
বেলা তিনটায় সমাবেশ শুরুর আগেই প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এক পর্যায়ে দুই বর্গকিলোমিটার এলাকায় যেন মানুষের বাঁধভাঙ্গা স্রোত নামে। এক পর্যায়ে একদিকে জিরো পয়েন্ট, পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব, অন্যদিকে গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার, জাতীয় স্টেডিয়াম, ফকিরাপুল, সচিবালয় হয়ে কার্জন হল, কাকরাইল, বিজয়নগর সর্বত্রই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তবে সারাদেশ থেকেই ব্যাপক নেতাকর্মী ঢাকায় আসায় তাদের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি আয়োজকরা। একদিক থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এলেও অন্যদিকে শত শত লোককে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শুরুর পর পরই চলে যেতে দেখা গেছে। নিজ নিজ জেলায় দ্রুত ফিরতেই নেতাকর্মীদের এই আসা-যাওয়া ছিল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই।
ঢাকার আশপাশের জেলাসহ ঢাকা মহানগরীর ১৫ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে আসা বিশাল বিশাল মিছিল নগরবাসীর দৃষ্টি কাড়ে। বিশেষ করে আসলামুল হক আসলাম ও ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে শত শত গাড়ির বহর নিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে হাজার হাজার নেতাকর্মীর শোডাউন সবার দৃষ্টি কাড়ে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবের হোসেন চৌধুরী, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, কামাল আহমেদ মজুমদার, হাবিবুর রহমান মোল্লা, এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, নসরুল হামিদ বিপু, মিজানুর রহমান খান দীপু, রহমত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মোল্লা, গাজীপুর থেকে মেহের আফরোজ চুমকি, নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাভার থেকে তালুকদার মুরাদ জয়ের নেতৃত্বে আসা বিশাল বিশাল মিছিল ছিল উল্লেখ করার মতো।
শুধু ঢাকা আশপাশের জেলা বা ঢাকা মহানগরীরই নয়, সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, ভোলা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জসহ অসংখ্য জেলা থেকেও হাজার হাজার নেতাকর্মী বাস-ট্রাকে চড়ে এসে জনসভায় যোগ দিতে দেখা যায়। দুপুর থেকেই তীব্র জনস্রোত ও মিছিলের কারণে এই পুরো এলাকায় প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বিএমএ, এসেনসিয়াল ড্রাগস, টিএ্যান্ডটি ফেডারেল ইউনিয়নসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসংখ্য সংগঠনও মিছিল নিয়ে চৌদ্দ দলের জনসভায় যোগ দিতে দেখা যায়
আয়োজক চৌদ্দ দল হলেও এই জনসভাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। সুবিশাল এ গণর‌্যালিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার অসংখ্য সাধারণ মানুষকে অংশ নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হাজার হাজার মাুনষকে নিয়ে বড় বড় শোডাউন সবার দৃষ্টি কাড়ে।
বিশাল এই জনসমুদ্র থেকে চৌদ্দ দলের কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে দীপ্ত শপথ- যতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন না হবে ততদিন রাজপথ ছেড়ে যাবে না মহাজোটের নেতাকর্মীরা। সারাদেশের পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার জানিয়ে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকার-আলবদরদের ঠাঁই হবে না। বিরোধী দল যতই ষড়যন্ত্র করুক, বাংলার মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।
এমন বাঁধভাঙ্গা মানুষের গণজোয়ার অনেকদিনই দেখেনি রাজধানীবাসী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নামা বিএনপি-জামায়াত জোটের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথে রাজধানীতে লাখো মানুষের বাঁধভাঙ্গা স্রোত নামিয়ে বুধবার বড় ধরনের শোডাউন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দল। সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিএনপির মহাসমাবেশের তিনগুণ লোক সমাগম ঘটিয়ে ভালই শোডাউন করল চৌদ্দ দল।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: Fwd: COURAGEOUS SPEECH !!!!!!!!!




----- Forwarded Message -----
From: muhammad ali <eastsidepc71@gmail.com>
To: Mainka <manik195709@yahoo.com>
Sent: Wednesday, March 14, 2012 4:29 PM
Subject: Fwd: COURAGEOUS SPEECH !!!!!!!!!



---------- Forwarded message ----------
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
Date: 2012/3/14
Subject: COURAGEOUS SPEECH !!!!!!!!!
To:


Heartiest gratitude to  Hon. Sheikh Hasina for her courageous , pragmatic , truthful speech which will inspire the whole nation to be united to fight the Corruption , Terrorism in Bangladesh . Kindly read the news below about the successful grand rally .

Respectfully,
Dr. Muhammad Ali Manik

পাকিস্তানে চলে যান
জনসমুদ্রে খালেদার উদ্দেশে শেখ হাসিনা : পেছনের দরজা ভুলে যান, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জনতার মহাসাগরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুই নম্বর পথে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন ভুলে যাওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছেন। দুই নম্বর পথে ক্ষমতায় যেতে চান, বাংলাদেশে আর কোনদিন তা হবে না। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের দিন শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, জনতার মহাসাগরে যে ঢেউ জেগেছে, অবশ্যই বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। এখন থেকে গণতান্ত্রিক পথেই দেশ চলবে, অন্য কোন পথে নয়। বিরোধীদলীয় নেত্রী যতই চেষ্টা করুক রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের বাংলার মাটিতেই বিচার হবে, কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না। বাংলাদেশের মাটিতে পরাজিত শত্রু রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।
একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে খালেদা জিয়ার অর্থ গ্রহণের তীব্র সমালোচনা করে চৌদ্দ দল নেত্রী বলেন, 'থলের বিড়াল আজ বেরিয়ে পড়েছে। আপনি '৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, আজও নিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের প্রতি যদি আপনার এতই দরদ থাকে তবে সে দেশেই চলে যান। বাংলাদেশে থেকে দেশের মাটিকে আর কলুষিত করবেন না। আওয়ামী লীগ কখনই কোন বিদেশী শক্তির কাছে মাথা নত করে না। বরং বিরোধীদলীয় নেত্রীই মাথা নত করেন তাদের কাছে, যাদের আমরা একাত্তরে পরাজিত করেছি। এ জন্য তাঁর লজ্জা পাওয়া উচিত।
চৌদ্দ দল আয়োজিত তীব্র জনস্রোতের সামনে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যুদ্ধ করে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত থাকবে। গত তিনটি বছরে প্রতিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, আগামী নির্বাচনও অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। ক্ষমতায় থাকতে নৌকার ভোট ঠেকাতে অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। আগামী নির্বাচনেও পারবেন না ইনশাল্লাহ্।
বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের সামনে বুধবার বিকেলে চৌদ্দ দল আয়োজিত জনসভায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটিয়ে বড় ধরনেরই শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে এ জনসভার আয়োজন করা হলেও তীব্র জনস্রোতে এক পর্যায়ে জনসভাটি রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে মূল মঞ্চ নির্মাণ করা হলেও জনসভার বিস্তৃত পুরো বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, গুলিস্তান উপচিয়ে একদিকে জিরো পয়েন্ট থেকে কার্জন হল, গুলিস্তান থেকে সিদ্দিকবাজার, বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার থেকে নবাবপুর, গুলিস্তান থেকে ফকিরাপুল এবং জিরো পয়েন্ট থেকে মুক্তাঙ্গন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
চৌদ্দ দলের সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। দুপুরের আগেই পুরো এলাকা মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে সকাল থেকেই মূল মঞ্চ থেকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর বজ্রকঠিন ভাষণ এবং গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বিকেল চারটার দিকে যখন প্রধানমন্ত্রী জনসভার মঞ্চে আসেন তার আগেই প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকায় মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রায় ৪০ মিনিটের ভাষণে ১২ মার্চ বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিলেও তাঁর দেয়া ৯০ দিনের আলটিমেটাম এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন কথা বলেননি।
চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক ও জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ১১ দলের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মইনউদ্দিন খান বাদল এমপি, সাম্যবাদী দলের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, ন্যাপের এ্যাডভোকেট এনামুল হক, গণআজাদী লীগের হাজী আবদুস সামাদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাৎ হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের এমএ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, আশরাফুন্নেসা মোশাররফ এমপি, নাজমা আখতার এমপি ও এসএম বদিউজ্জামান সোহাগ। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ওবায়দুল কাদেরসহ চৌদ্দ দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
বিশাল এ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া সাংবিধান পথ পছন্দ করেন না, তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানের মতোই তিনি (খালেদা) অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় দখলে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আজ থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। খালেদা জিয়া কথায় কথায় বিদেশী দালাল খুঁজে বেড়ান। আজ পাকিস্তানের আদালতে আইএসআইর সাবেক প্রধান হলফনামা দিয়ে বলেছেন, '৯১ সালের নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে তারা টাকা দিয়েছেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছে দেশ তিনি দেশ বিক্রি করতে চান বলেই তিনি ক্ষমতায় থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসীদের দিয়ে গ্রেনেড মেরে মানুষ খুন করিয়েছেন। আজও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এবং স্বাধীনতার মাস মার্চকে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আলবদরদের বাঁচানোর জন্য বেছে নিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য তিনি ঢাকা অচল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন শুরু হয়েছে তখন তিনি (খালেদা জিয়া) হত্যা, সন্ত্রাস, বোমা ও আগুন দিয়ে মানুষ খুন করে নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী যতই চেষ্টা করুন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না। খালেদা জিয়া ও তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষায় মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছেন, বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। কিন্তু রক্ষা করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে, রায়ও কার্যকর হয়েছে। ইনশাল্লাহ্ বাংলার মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না।
১৮ মার্চে বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশব্যাপী তা-ব, বোমা ও আগুন দিয়ে মানুষ খুনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থেকে আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করিনি। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই ১৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার নামে ফজরের নামাজের সময় বোমা মেরে, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে মানুষ হত্যা করার পরও আপনাদের কোন কর্মসূচীতে আমরা বাধা দেইনি। বিরোধী দল লংমার্চ, গাড়ি মার্চ, সভা-সমাবেশ সবই করেছে। শুধু একটি শর্ত ছিল কর্মসূচীর নামে তারা বোমাবাজি, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর করবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের পাঁচ বছরের শাসনামলে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, খালেদা জিয়া কর্মসূচীতে বাধা প্রদানের কথা বলেন, কিন্তু তাঁর পাঁচ বছরের শাসনামলে একদিনও আমাদের রাস্তায় পর্যন্ত দাঁড়াতে দেননি। নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য জোটের ক্যাডাররা ছয় বছরের শিশু কন্যাকে পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে। হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা, নির্যাতন করেছে। দেশের এমন কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ নেই যে যার গায়ে খালেদা জিয়ার হাতের নির্যাতনের দাগ নেই। আমরা ক্ষমতায় এসে সে পথে যাইনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই প্রতিশোধের রাজনীতি করিনি।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ারা বিচার বিভাগ-প্রশাসন-সংসদ সবকিছুকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। ভুয়া সার্টিফিকেটধারীকে বিচারক করেছেন, ভোট চুরির জন্য প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেন, প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ এবং প্রায় ১৩শ' কর্মকর্তাকে ওএসডি করেন, দলীয় লোককে নিয়োগ দিতে বিসিএসের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ফাঁস করেন। আপনার (খালেদা) মুখে বড় বড় কথা মানায় না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পাঁচ বছর দেশ চালাননি, বরং সবকিছু ধ্বংস করে গেছেন। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করে অর্থ বানানো আর বিদেশে পাচার করাই ছিল তাঁর একমাত্র কাজ। ক্ষমতায় থাকতে প্রায় দেড়শ' স্যুটকেস করে সম্পদ পাচারের ঘটনাও দেশবাসী জানে। আর তাঁর দুই পুত্রের বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা মার্কিন ফেডারেল কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এফবিআই বাংলাদেশে এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে তাঁর দুই পুত্রের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের তথ্য। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করে নিজেও জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। এসবের কী জবাব দেবেন আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া? ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়া সার্থক হয়েছেন শুধুমাত্র জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, দুর্নীতি করে অর্থ বানানো আর নির্বিচারে মানুষ হত্যা। আর কিছুতেই তিনি সফলতা দেখাতে পারেননি।
দেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর অনেক টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছি। সংবাদপত্রগুলোও যে যেভাবে খুশি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে, আমরা কোথাও কোন বাধা দেইনি। খালেদা জিয়া সাংবাদিক নির্যাতনের কথা বলেন, কিন্তু তাঁর আমলে ১৬ সাংবাদিককে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে, প্রায় ১৮শ' সাংবাদিককে নির্যাতন করেছেন। যাদের অনেকেই আজ পঙ্গুত্ব নিয়ে বেছে রয়েছেন।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনই ব্যর্থ হয় না। গত তিন বছরে আমরা দেশে বোমাবাজি করতে দেইনি, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি হতে দেইনি। দেশে সুশাসন কায়েম করেছি। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছি, খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলেছি। জিনিসপত্রের দাম কমিয়েছি, মানুষের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। দেশে আজ কোথাও দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই, খাদ্যের অভাব নেই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মডেল হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। তিনি বলেন, এই তিন বছরে আমরা ৬৮ লাখ ৫১৬ জন বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছি, সাড়ে চার লাখ বেকারকে সরকারি চাকরি দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে ভারতপ্রীতি, আর বিরোধী দলের গেলে ভারতবিরোধী- এটাই খালেদা জিয়ার নীতি। তিনি কখনও দেশের স্বার্থ রক্ষা করেননি। আমরা গঙ্গার ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছি, আর উনি (খালেদা) দিল্লী গিয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন। ক্ষমতায় থাকতে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে একটি কথাও বলেননি। কিন্তু আমরা ভারত সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, এ বাধা নির্মাণের প্রাক-জরিপে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে রাখতে হবে। বিএনপি-জাতীয় পার্টি ২৮/২০ বছর ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু দেশের সীমানা নির্ধারণ করেননি। আমরা তা করেছি।
দেশের অর্থনীতি খারাপ- খালেদা জিয়ার এ অভিযোগের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নয়, উনার (খালেদা) নিজের অর্থনীতি খারাপ হতে পারে। জনগণের অর্থসম্পদ চুরি করে সম্পদশালী হয়েছেন। বিদ্যুতের নামে খাম্বা দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন। জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছেন। সরকারী অর্থ ব্যয় করে উনার দুই ছেলেকে কি শিক্ষা দিয়েছেন? একজন সন্ত্রাস গ্রেনেড মারা আর দুর্নীতি করে বিদেশে অর্থ পাচার, আর অন্যজন ড্রাগে গ্রাজুয়েশন করেছে। দেশের মানুষের শান্তি উনার (খালেদা) পছন্দ হচ্ছে না। তাই স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে তিনি নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছেন। কিন্তু কোন লাভ হবে না। আমরা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবই ইনশাল্লাহ।

১৪ দলের নেতারা যা বলেন
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু কেউই আওয়ামী লীগকে দমাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তখন আপনি খালেদা জিয়া দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু দেশের মানুষ আপনাদের চিনে ফেলেছে। খালেদা জিয়া আইএসআই থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করেন উল্লেখ করে সাজেদা চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের টাকায় রাজনীতি করার জবাব দিতে হবে। জনগণ জানতে চায় মাসে মাসে আপনি কত টাকা পান? পাকিস্তানের টাকা নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন তা হবে না।
উপদেষ্টাম-লীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দলের এ মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করে জনগণ প্রমাণ করেছে, মার্চ মাস বঙ্গবন্ধুর মাস। মার্চ মাস আওয়ামী লীগের মাস। মার্চ মাস শেখ হাসিনার মাস। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আপনি যাদের সঙ্গে নিয়ে হুংকার দিচ্ছেন তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে হুংকার দিয়ে বাংলার জনগণকে পরাজিত করা যাবে না।
উপদেষ্টাম-লীর আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা আজকে সমাবেশ ডেকেছিলাম। হয়ে গেছে মহাসমাবেশ। আর মহাসমাবেশ পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে তাহরীর স্কয়ার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ আজকে শেখ হাসিনার ডাকে মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে। তিনি শেখ হাসিনা নির্দেশে দেশের মানুষকে একাত্তরের মতো আবার গর্জে উঠে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেয়ার আহ্বান জানান। রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আল্টিমেটাম দিয়েছেন, কিন্তু সেটা কিসের আল্টিমেটাম? আল্টিমেটাম কী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায়, আপনার দুর্নীতিবাজ পুত্রদের রক্ষায়, আল্টিমেটাম কী আপনার দুনীতি রক্ষায়? যদি তাই হয় তাহলে কোন ছাড় নেই। রেলমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, '৭২-এর সংবিধান, জাতির জনকের বিষয়ে কোন ছাড় নয়।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে বোমাবাজি, নৈরাজ্য কেন- এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে আইএসআইয়ের 'পোষা ময়না' উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা তাকে যা বলেন, তিনি তাই করেন।
সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সমাবেশ করলেও সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেননি। খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে। তার বক্তব্য ছিল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবিসহ ঘাতকদের জড়ো করা হচ্ছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার জন্য। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতার জন্য খালেদা জিয়া সফল হননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে প্রায় ৫ হাজার দুইশ' নির্বাচন হয়েছে, তার সবগুলোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এসব নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল বিএনপিসহ কোন দল, গণমাধ্যম কেউই কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন দেশে- বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আর তাই যদি হয় তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না? অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের বলেন, আন্দোলন করে নাকি আমাদের হটিয়ে দেবে। কিন্তু আমরা বলতে চাই- আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি কেউ জানে না। কাজেই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণকে আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গীমুক্ত বাংলাদেশ চান, নাকি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জঙ্গী দেশ চান? তিনি বলেন, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালতের রায়ে বাতিল করা হয়েছে তা আর ফিরে আসবে না। ন্যাড়া বার বার বেল তলায় যাবে না। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি বলে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নয়। তবে তাদের সমাবেশে যখন দেখা যায় গোলাম আযম, নিজামীদের মুক্তি দাবি সম্বলিত পোস্টার, তাদের সমাবেশে টাঙ্গানো হয় যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি সম্বলিত সেøাগান, তখন এর অর্থ কী দাঁড়ায়? তিনি নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংসদে আসার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান।
জাসদের হাসানুল হক ইনু মহাজোট গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, খালেদা- নিজামীর সরকার যখন আফগান স্টাইলে দেশ পরিচালনা করছিল, দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল সেই প্রেক্ষাপটে মহাজোট গঠন হয়। গত তিন বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন দেশকে অন্ধকার থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে তখন খালেদা জিয়া আবারও দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। খালেদা জিয়ার আল্টিমেটামের জবাবে ইনু বলেন, উনি সমস্যার সমাধানের কথা বলেননি। কোন প্রস্তাবও দেননি। উনি দিয়েছেন উৎখাতের হুমকি। যদি উনি নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প কোন প্রস্তাব দিতেন তাহলে বুঝতাম উনি গণতন্ত্রের কথা বলছেন। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার ডাকে লাখ লাখ মানুষ আজকের মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে। বিরোধী দল বলেছিল, ১২ মার্চের সমাবেশ রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হবে। আসলে ১২ মার্চ খালেদা জিয়াদের রাজনৈতিক কবর রচনা হয়েছে । জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া বলেন, দেশে একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, অন্যদিকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হবে।
ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিতে হবে।
জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইনুদ্দিন খান বাদল খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গ ত্যাগ করলে আপনার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তা না হলে আলোচনা হবে কীনা তাও সন্দেহ আছে।
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

 





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___