Banner Advertiser

Tuesday, December 4, 2012

[mukto-mona] কালের পুরাণ : জামায়াতে ইসলামীর হরতাল ও বিএনপির নৈতিক সমর্থন!



কালের পুরাণ

নৈতিক সমর্থন!

সোহরাব হাসান | তারিখ: ০৫-১২-২০১২


একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে 'মিথ্যা মামলা' আখ্যা দিয়ে এই মামলায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর হরতাল পালনে আমরা মোটেই বিস্মিত হইনি। স্বাধীনতার পর প্রায় চার দশক তারা হেসেখেলে কাটালেও ৪১ বছরে এসে কট্টর মৌলবাদী এই দলটি প্রথম কঠিন সত্যের মুখোমুখি হলো। দলের সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের অকাট্য প্রমাণসহ এখন বিচারের সম্মুখীন। বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক আইন ও দেশীয় আইনের সব শর্ত মেনেই এই বিচার হচ্ছে, অতএব আইনগতভাবে একে চ্যালেঞ্জ করা অসম্ভব, যে কারণে জামায়াতে ইসলামীর দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকেরা কোটি কোটি ডলার খরচ করে বহির্বিশ্বে প্রচারণা চালিয়ে, লবিস্ট নিয়োগ করেও সুবিধা করতে পারেননি।
দ্বিতীয় যে পন্থাটি তাঁদের সামনে খোলা ছিল সেটি হলো আইনি লড়াই। সেটি তাঁরা পুরোপুরিই করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে পক্ষপাত বা একদেশদর্শিতার প্রামাণ্য অভিযোগ কেউ আনতে পারেননি। আদালত উভয় পক্ষের দুর্বলতা ত্রুটিগুলো কেবল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েই দেননি, প্রভাবশালী মন্ত্রী-নেতাকে শোকজ করেছেন। অতএব, মিথ্যা মামলা ও সাজানো নাটকের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। 
মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি সেনাদের বর্ধিত অংশ হিসেবে ভূমিকা পালনকারী দলটি যে পদ্ধতিগত অপরাধ সংঘটন করেছে , তার জন্য যে তাদের এভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, সে কথা কখনোই ভাবেনি। কেননা, এই দলেরই দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা কয়েক বছর আগেও রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, মন্ত্রিত্ব করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার করার অঙ্গীকার করেও রক্ষা করেনি। সে কারণে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন, বর্তমান সরকার আদৌ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে কি না? কিন্তু আশার কথা হলো, যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। আর এই বিচার যতই যৌক্তিক পরিণতি পাচ্ছে, ততই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে তাঁরা এই বিচারকে মোকাবিলা করতে রাজপথে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন, আইন হাতে তুলে নিয়েছেন। 
এর মাধ্যমে একাত্তরের ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত দলটির দুটি মৌলিক দুর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রথমত, অভিযুক্ত নেতারা প্রকৃতই যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দ্বিতীয়ত, তাঁরা দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এত দিন তাঁদের হামলা-আক্রমণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন জনজীবন ও সম্পদ ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। হরতালের নামে তাঁরা সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন। 
গত দুই দিনে বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা প্রমাণ করেছে যে, এই দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন না। ১৯৭১ সালে যেই রাজনৈতিক মতাদর্শ এথনিং ক্লিনজিংয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই মতাদর্শ আজও তাঁরা ত্যাগ করেননি। যেই রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী তখনো নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেনি, এখনো পারছে না।
স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতির পুনরুত্থান ঘটে জিয়াউর রহমানের আমলে। আওয়ামী বাকশালিদের ঠেকাতে এই সামরিক শাসক স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ব্যবহার করেছেন, রাজাকার-আলবদরদের জেলখানা থেকে বের করে এনে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছেন। জামায়াতের রাজনীতি প্রথমে শুরু হয়েছিল ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগের নামে। ১৯৭৯ সালের সংসদে এই দলের ৯-১০ জন সাংসদ নির্বাচিতও হয়েছিলেন এই ব্যানারে। ১৯৮০ সালে জামায়াতে ইসলামী দলটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এবং একই বছর পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযম দেশে ফিরে আসেন। এরপর দলটি কখনো সামরিক স্বৈরাচারের সহায়তায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান করেছে, কখনো তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে নানা সেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের মৌলবাদী রাজনৈতিক ধ্যানধারণা থেকে এক কণাও সরে আসেনি। বাংলাদেশের বিপদ এখানেই।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী এই প্রথম দেশব্যাপী হরতাল পালনের দুঃসাহস দেখাল। কিন্তু এককভাবে তাদের সেই শক্তি আছে কি? হরতালের আগের দিন যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াতের কর্মীরা কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে ফেললে স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রতিরোধ করে কয়েকজন কর্মীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এই দলটির প্রতি বৃহত্তর জনগণের সমর্থন নেই। তাহলে তারা হরতাল পালনের দুঃসাহস দেখাল কীভাবে?
তারা সেই দুঃসাহস দেখাতে পেরেছে বিএনপির জোরে। সোমবার রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 'দেশের প্রচলিত আইনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল (সোমবার) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে তাদের ডাকা হরতাল কর্মসূচি যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক। জামায়াতের কর্মসূচি বানচালের জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে মাঠে নামানো ন্যক্কারজনক। এ পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী আহূত আগামীকালের হরতালের প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নৈতিক সমর্থন ঘোষণা করছে।' 
বাংলা ভাষায় নৈতিক শব্দের অর্থ নীতিগত বা নীতিঘটিত। কারও নীতির সঙ্গে একমত পোষণ করলেই কেবল তাকে নৈতিক সমর্থন দেওয়া যায়। এর মাধ্যমে মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয়তাবাদী বিএনপির নীতিগত বা আদর্শগত ফারাকটি একেবারেই মুছে ফেলা হলো। 
অথচ কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচির দায়িত্ব তাঁরা নেবেন না। এমনকি ১৮ দলও তার দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এখন সেই দল আহূত অনৈতিক ও অন্যায্য দাবিতে করা হরতাল কর্মসূচির প্রতি নৈতিক সমর্থন জানাল বিএনপি। 
আমরা জানি না গতকাল বিভিন্ন স্থানে হরতালের পক্ষে যারা মিছিল করেছে, যারা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের মধ্যে জামায়াতের ব্যানারে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন কি না? থাকলেও তা অস্বাভাবিক নয়। পুকুরে বড় মাছ থাকলে ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ছোট মাছই বড় মাছ খেয়ে ফেলছে। অর্থাৎ বিএনপির নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী কখনোই সমর্থন জানায়নি, কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থন আদায় করে নিল। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? 
বিএনপির নেতারা বলতে চাইছেন জামায়াতে ইসলামী একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সভা-সমাবেশ করার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু সেই সভা-সমাবেশ করার অধিকারের নামে রাস্তায় ভাঙচুর-জ্বালাও-পোড়াও কিংবা পুলিশের ওপর হামলা চালানো গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। দ্বিতীয়ত, তাদের এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? জামায়াতে ইসলামী বলেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে 'মিথ্যা মামলা' দায়ের করা হয়েছে, সাজানো নাটক করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে তাঁরাই সাজানো নাটক বলতে পারেন, যাঁরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের এবং মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। বিএনপি এখন তার প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। এত দিন বিএনপির নেতারা বলে আসছিলেন, তাঁরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধী নন, তবে বিচার-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে চান। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির অবস্থান সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে। প্রশ্ন হলো, বিএনপির নেতৃত্বের এই মতিভ্রম ঘটল কেন? যুদ্ধাপরাধের বিচার সমগ্র জাতির দাবি। এ দাবিকে অগ্রাহ্য বা বিরোধিতা করার অর্থ হলো বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। 
যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াত কোটি কোটি টাকা খরচ করে, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ কোনো মুসলিম দেশের সমর্থন তারা পায়নি। এখন বিএনপি তাদের ছত্রধার হিসেবে আশ্রয় দিল। 
যুদ্ধাপরাধের বিচার গোপন নয়, প্রকাশ্য। বিবাদীপক্ষের ঝানু ঝানু সব কৌঁসুলি সওয়াল-জবাব করেছেন, যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেছেন; বাদীপক্ষের সাক্ষীদের পাশাপাশি বিবাদীপক্ষের সাক্ষীদেরও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই বিচার-প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক পরিণতিতে যাওয়া উচিত।
কিন্তু সেই প্রক্রিয়া থামিয়ে মাঝখানে জামায়াত-শিবিরের এই যে তাণ্ডব, এই যে সন্ত্রাসী তৎপরতা, এই যে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতি বিএনপি নৈতিক সমর্থন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অগণন শহীদের আত্মাকে অপমানই করেননি, নিজেদের নৈতিক পরাজয় ঘটিয়েছে। 
বিএনপির ভেতরে যেসব মুক্তিযোদ্ধা আছেন, দলের ভেতরে যে তরুণ প্রজন্ম একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, তারা নিশ্চয়ই শীর্ষ নেতৃত্বের এই অন্যায় আদেশ মানবে না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্মই বা কেন একাত্তরে তাদের নেতাদের অপরাধ, কলঙ্ক ও গ্লানির দায় নেবে?
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে বর্তমান দলীয় রাজনীতি কিংবা ভোটের হিসাব-নিকাশ মেলানো রাজনৈতিক গাদ্দারি ছাড়া কিছু নয়। 
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohৎab03@dhaka.net

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-05/news/310689


Also read:

Rvgv‡Zi niZvj, weGbwci mg_©b : ey‡S wbb Av`‡k©i eÜb:

†fv‡ii KvMR : 05/12/2012

ggZvRDÏxb cv‡Uvqvix : 

http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2012/12/05/87594.php


Related:


'আশরাফ ও মঈনুদ্দীনের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিলেছে'
Tue, Oct 9th, 2012 3:37 pm BdST
 



Related:
রাজাকারদের মুজাহিদের স্বাক্ষর করা পরিচয়পত্র দেয়া হতো
যুদ্ধাপরাধী বিচার
মাহবুব কামালের সাক্ষ্য


বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর ২০১২, ১৯ আশ্বিন ১৪১৯




রাজাকাররা কামারুজ্জামানের কথায় ওঠাবসা করত

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০১-১০-২০১২


 যুদ্ধাপরাধী বিচার: সুবহানের বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪ নভেম্বর ...


http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-01/news/294145


শান্তি কমিটি আলবদর রাজাকারের সিংহভাগই ছিল জামায়াতী ....


বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১১ আশ্বিন ১৪১৯
2012/9/24 SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>


eyw×Rxex nZ¨vi g~j bvqK gvBbywÏb I Avkiv‡di wePvi Abycw¯'wZ‡ZB

ag©všÍwiZ Kiv, jyUcvU, †`kZ¨v‡M eva¨ Kivmn bvbv ai‡bi Awf‡hvM Avbv n‡q‡Q|

 আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মুজাহিদ: শাহরিয়ার কবির


http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c9817c634fbcce10748f531feed40332&nttl=20120913050520138606 

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩১ ভাদ্র ১৪১৯
যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যার পলাতক তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই
চৌধুরী মাইনুদ্দিন ব্রিটেনে ও আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে, পলাতক অবস্থায়ই বিচার শুরু
শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ৩১ ভাদ্র ১৪১৯


শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80_%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8 

মাঈনুদ্দিন-আশরাফুজ্জামান ১৬ বুদ্ধিজীবীর ঘাতক


চৌধুরী মঈনূদ্দীন সহ তিন পলাতক যুদ্ধাপরাধী নিয়ে চ্যানেল ফোরের সেই বিখ্যাত ডকুমেন্টারিটি!



মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ৩০০টির অধিক পোস্ট লিঙ্ক নিয়ে তৈরী হল সামহোয়্যার ইন ব্লগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আর্কাইভ:



 আলবদর প্রধান ছিলেন নিজামী, উপপ্রধান মুজাহিদ ॥ জেরায় শাহরিয়ার কবির
দার্শনিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ সুলতানা কামালের জবানবন্দী...
বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৮ ভাদ্র ১৪১৯

মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৯-২০১২

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-11/news/288426

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পক্ষের প্রতীক ছিলেন গোলাম আযম
যুদ্ধাপরাধী বিচার
সুলতানা কামালের জবানবন্দী

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-09-11&ni=108832

Related:
আলবদর ১৯৭১ - ১৬ (শেষাংশ)
মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৭ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১৫ 


সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৬ ভাদ্র ১৪১৯
 
আলবদর ১৯৭১ -১৪



রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯

 আলবদর ১৯৭১ -১৩ : আলবদর ১৯৭১ ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যা ... ..
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৪ ভাদ্র ১৪১৯

বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040



আলবদর ১৯৭১ -১২
শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১১

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২১ ভাদ্র ১৪১৯

 আলবদর ১৯৭১ - ১০

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২০ ভাদ্র ১৪১৯


আলবদর ১৯৭১ - ৯

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৯ ভাদ্র ১৪১৯
  আলবদর ১৯৭১ 

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-09-02&ni=107855 
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৮ ভাদ্র ১৪১৯
 আলবদর ১৯৭১  - 
শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৭ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ -    
শুক্রবার, ৩১ আগষ্ট ২০১২, ১৬ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ - ৫ 
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগষ্ট ২০১২, ১৫ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৪
বুধবার, ২৯ আগষ্ট ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
মঙ্গলবার, ২৮ আগষ্ট ২০১২, ১৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
সোমবার, ২৭ আগষ্ট ২০১২, ১২ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১  - ১ 
রবিবার, ২৬ আগষ্ট ২০১২, ১১ ভাদ্র ১৪১৯ 





৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

৭১ জামায়াতে ইসলামীর বর্বরতার আরেকটি নৃশংস উদ্যোগ হচ্ছে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর কায়দায় আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন এবং জামায়াতের ঘাতকদের দ্বারা সুপরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যা
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারএকাত্তরে তাঁরা কে কোন দলে ছিলেন, কী করেছেন

http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=124&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4

একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি

http://www.prothom-alo.com/detail/news/215745

থেমে থাকেনি গোলাম আযমের চক্রান্ত:
"... বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করতে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। জামায়াতে ইসলামীর এ সাবেক আমির ২০০২ সালে প্রকাশিত তার নিজ জীবনী 'জীবনে যা দেখলাম' বইয়েও তা অকপটে স্বীকার করেছেন । ......."
"...১৯৭২ সালের জানুয়ারি গোলাম আযম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। ..."

রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম:

১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেন।

থেমে থাকেনি গোলাম আযম:
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=8983&Itemid=53
দেশ স্বাধীনের পরও পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতা বিপন্নের ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতক গুরু গো'আয


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] তুরস্কে লাখো মানুষের সমাবেশ --বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি--Big gathering in Turkey for release of Jamaat leaders



Great News!
 
It is time to file criminal cases against Sheik Hasina, colleagues and her family members with the International Court of Justice and/or with any court in western countries for killing innocent people mercilessly, extra judicial killing through para-military troops, looting millions of dollars, directly involve in national and international bribery scandals, money laundering by Sajeeb and Putul (her children), doing illicit (prostitute) businesses through Sahara Khatoon at her hotel-cum residence, political persecutions to the opponents, destroying national infra-structures, etc.
 
Salute to the Turkey people for taking stand against current Bangladeshi cruel regime.

--- On Mon, 12/3/12, Muhammad Kalam <mkalam@verizon.net> wrote:

From: Muhammad Kalam <mkalam@verizon.net>
Subject: RE: [KHABOR] তুরস্কে লাখো মানুষের সমাবেশ --বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি--Big gathering in Turkey for release of Jamaat leaders
To: khabor@yahoogroups.com
Date: Monday, December 3, 2012, 7:06 PM

 
The Turks have been infiltrated by Razakars!!
 
From: khabor@yahoogroups.com [mailto:khabor@yahoogroups.com] On Behalf Of SAHANNAN
Sent: Sunday, December 2, 2012 5:39 PM
To: dahuk@yahoogroups.com; 'sahannan sahannan'; khabor@yahoogroups.com; mukto-mona@yahoogroups.com; inquisitive_sisters@yahoogroups.com; 'lutful bari'; 'mkorim korim'; 'abdul aziz'; maftabuzzaman@gmail.com; 'M Mahmudul Hasan'
Subject: [KHABOR]
তুরস্কে লাখো মানুষের সমাবেশ --বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি--Big gathering in Turkey for release of Jamaat leaders
 
 
 
তুরস্কে লাখো মানুষের সমাবেশ

বাংলাদেশের জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি

আবুল কালাম আজাদ এজাজ কাদরী তুরস্ক থেকে
তারিখ: ডিসেম্বর, ২০১২
তুরস্কের কাদিকয় স্কয়ারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশের একাংশ
বিচারের নামে জামায়াত নেতাদের নির্মূল করার ষড়যন্ত্র বাতিল তাদের মুক্তির দাবিতে গত রোববার তুরস্কের ঐতিহাসিক বসফরাস প্রণালীর তীরবর্তী কাদিকয় স্কয়ারে লাধিক লোকের বিােভ করেছে বৃহ রাজনৈতিক দল সাদাত পার্টি। জামায়াত নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে দুনিয়াব্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়ে মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে এক ঘরে করে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন বক্তারা
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাদাত পার্টির প্রধান প্রফেসর . মোস্তফা কামালাক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের চলমান নির্যাতন যুগে যুগে মুসলমানদের ওপর চালানো নির্যাতনের ধারাবাহিকতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের ওপর সুনামি বয়ে যাচ্ছে। এমনকি সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না তারা। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশের নির্যাতন ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে। তিনি শেখ হাসিনাকে ইহুদিদের পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান
মিসরের মতাসীন দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান . মোহাম্মদ বদিই বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছাত্রশিবির সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রায় সব নির্বাচনেই দলটি অংশ নিয়েছে এবং জাতীয় সংসদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সফল ভূমিকা রেখেছে। তা সত্ত্বেও জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। গোলাম আযম মাওলানা সাঈদীসহ আওয়ামী লীগ সরকার যাদেরই গ্রেফতার করেছে, তারা বেশির ভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধে নয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান সময়ে দুনিয়ার কোথাও নির্যাতনের নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে মানুষ হত্যার রাজনীতির খেলা খেলছে সরকার; যার পরিণাম আগেও ভালো হয়নি, ভবিষতেও ভালো হবে না
সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্ট দারফুরি আল হাজ ইউসুফ সমাবেশে বলেন, জামায়াত নেতাদের মুক্তি না দিলে অচিরেই আরব বিশ্বের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। সাদাত পার্টি এর আগে দাবিতে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করে। অন্য দিকে নেতাদের মুক্তি দাবি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, মানবাধিকার সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ বিােভ অব্যাহত রেখেছে
সমাবেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ইসলামিক ফোরাম অব ইউরোপের অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আবুবকর। তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি আইন বিচার প্রক্রিয়া থেকে মানবাধিকার আইনবিষয়ক সংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
সাদাত পার্টির সাথে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মারওয়ান ঈসা, আংকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের প্রধান আহমেদ আভজি, যুব সংগঠনের সভাপতি আতিক আদা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিরিয়ার ইখওয়ানুল মুসলিম প্রধানসহ অন্য একাধিক ইসলামি দলের নেতারা। দুপুর থেকেই ইস্তাম্বুলের আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল
অস্বচ্ছ প্রতিহিংসার ট্রাইব্যুনাল দিয়ে যে যুদ্ধাপরাধ বিচার করা হচ্ছে, তা বাতিল গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সাদাত পার্টির সমাবেশে দেড় লাখ লোকের উপস্থিতি তুর্কি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ আলোচনার ঝড় তুলেছে
বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন, সুদান, সিরিয়া, আরাকানসহ সমগ্র পৃথিবীতে ইসলাম মুসলমানদের ওপর চলমান জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে সাদাত পার্টির কেন্দ্রীয় উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয় বলে জানিয়েছেন সমাবেশ আয়োজকেরা। একই সাথে বাংলাদেশের ইসলাম ইসলামি দলগুলোর সাথে সরকারের আচরণ অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ জানানোও সমাবেশের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন বক্তারা