Banner Advertiser

Monday, May 13, 2013

[mukto-mona] একটি ভূমিকম্প হলে কী হবে : Jayjaydin Editorial today



মঙ্গলবার, মে, ১৪, ২০১৩: জ্যৈষ্ঠ , ১৪২০ বঙ্গাব্দ: ৩ রজব সানী, ১৪৩৪ হিজরি, ০৭ বছর, সংখ্যা ৩৩১

একটি ভূমিকম্প হলে কী হবে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সুনাম আছেমানুষ মানুষের পাশে এগিয়ে আসার বড় ধরনের উদাহরণও আছেঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলার অভিজ্ঞতাও আছেকিন্তু সুনামি ও ভূমিকম্পের মতো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই সাভারের ভবনধস প্রমাণ করেছে দ্রুততম সময়ে বিপর্যয় সামলানোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা আমাদের একেবারেই নেই         এস এম মুকুল

ভাবতেও গা শিউরে ওঠেআট মাত্রার একটা ভূমিকম্প হলে এই বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা শহরের কী অবস্থা হতে পারে? সাভারের ভবন ধসের চিত্র সে ভয়কে রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত করেছেআল্লাহ না করুন, আট মাত্রার ভূমিকম্প যদি হয়েই যায় তবে এক ম্যাসাকার পরিস্থিতি তৈরি হবে, এই ভেবে ভয়টা হয়কে কাকে সাহায্য করবে? কত কত ভবন যে মিশে যাবে মাটির সঙ্গে, তার হিসাব নেইপুরান ঢাকার অবস্থা কী যে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবাই যায় নানতুন ঢাকার আধুনিক ভবনগুলোর অবস্থা নাজুক জলাশয়ের ওপর নির্মিত হয়েছে বনশ্রী, আফতাবনগর, বসুন্ধরা, উত্তরা ইত্যাদি এলাকাশক্তিশালী একটা ভূমিকম্প ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে যে কোনো সময়এ বিষয়ে প্রায়ই সতর্ক করা হচ্ছেকিন্তু কতটুকু সতর্ক হচ্ছে বাংলাদেশ? প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত আমরা?
মানবসভ্যতার উন্নতির পথ ধরে খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও অবকাঠামো তৈরিতে সারা বিশ্বে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছেএতে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি ভূমিকম্প, সুনামি, হারিকেন ক্যাটরিনা, রিটা, উইলমা, সিডর, আইলাসহ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি বাড়ছেভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগএর থেকে বাঁচার উপায় নেই বললেই চলেবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারও ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর নয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার আমেরিকা ক্যাটরিনা ও উইলমারের মোকাবেলা করতে পারেনিবাংলাদেশ এখনো ভয়াল সিডর ও আইলার পরিণতি মোকাবেলা করছেপ্রযুক্তিনির্ভর জাপান, পারমাণবিক শক্তির অধিকারী ভারত এমনকি পাকিস্তানও পারেনি শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতেএই বাস্তবতা স্মরণ রাখতে হবে
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ভূমিকম্প ঝুঁকিপ্রবণ ১০ শহরের মধ্যে আছে ঢাকার নামবিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই রাজধানী ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবেঢাকার পরিণতি নিয়ে বহু লেখালেখিও হচ্ছেকিছু দিন পর পরই ঢাকায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয় সিলেটের শ্রীমঙ্গল, আসাম সীমান্তের ডাউকি ফল্ট বা টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টের যে কোনো একটিতে রিকটার স্কেলে ছয় থেকে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৩০ শতাংশ ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে কমপ্রিহ্যানসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (সিডিএমসি)-এর এক জরিপে বলা হয়েছে, সাড়ে সাত বা আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় শহরের ৪০ ভাগ ভবন ধসে পড়বেজরিপে আরো বলা হয়েছে, মধুপুর ফল্টে দিনের বেলায় ভূমিকম্প হলে ঢাকায় প্রায় ৩১ হাজার মানুষ প্রাণ হারাবেআহত হবে আরো ৫০ হাজারএকই মাত্রার ভূমিকম্পটি রাত ২টায় হলে প্রাণ হারাবে ১ লাখ ২১ হাজারেরও বেশি মানুষআবার ঢাকার মধ্যে পুরান ঢাকার হতাহতের ঝুঁকি আরো বেশি
আমরা জানি, ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে ভয়াবহ সুনামিতে নিহত হয় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে সাত দশমিক নয় মাত্রার ভূমিকম্পে স্কুল ও হাসপাতালসহ বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েতখন শিশুসহ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়আবার হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ভূমিকম্প দেশটির জন্য চরম মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছিলঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ আর পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে শোকে হতবিহ্বল হয়েছিল পোর্ট অব প্রিন্সের জনগণখোলা আকাশের নিচে আশ্রয়কী করবেন তারা? শোকের কান্নায় কাতর হবেন নাকি মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাবেন? এমন ভয়ানক বিপর্যয়ে কে কাকে সাহায্য করবে? কী করার ছিল হাইতির জনগণের অথবা সরকারের? দেশের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদটিও ধ্বংস হয়ে গেছেপ্রেসিডেন্ট আশ্রয় নিয়েছেন বন্ধুর বাসায়যেখানে সেখানে গণকবরস্কুল, হাসপাতাল, সরকারি অফিস, আবাসিক এলাকা, সুপার মার্কেট সবই বিধ্বস্তদেশটির পার্লামেন্ট, প্রেসিডেন্ট ভবন এবং অর্থ, যোগাযোগ, সংস্কৃতিবিষয়ক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অফিস ভেঙে পড়েছে
জাপানি সংস্থা সিডিএমপি দুই বছর গবেষণার পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, মিয়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারে যে কোনো সময় আট দশমিক পাঁচ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎপত্তি হবেএ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ১৮৯৭ সালে ওই বর্ডারে একবার ভূমিকম্প হয়েছিলওই স্থানে যে কোনো সময় আবার ভূমিকম্প হবেই মিয়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারের ওই স্থান থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ১৩০ আর কক্সবাজার থেকে ওই স্থানের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারমিয়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারে আট দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে চট্টগ্রামে এর আঘাত হবে সাত দশমিক পাঁচ মাত্রারএতে চট্টগ্রামের ১ লাখ ৪২ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছেহতাহত হতে পারে লাখো মানুষ
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকা নগরীর অর্ধেকেরই বেশি ভবনের ভূমিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা নেইপুরান ঢাকায় প্রকৌশলীদের পরামর্শ, ডিজাইন বা সাহায্য ছাড়াই তৈরি হয়েছে ৬০ শতাংশ বাড়িঘর৬৫ শতাংশ বাড়িই ইট-সুরকির তৈরিসমীক্ষায় প্রাপ্ত উপাত্ত দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় ৫.৫ রিকটার স্কেল মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এবং সাত-আট রিকটার স্কেল মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ দালানকোঠা, ভবন বা ঘরবাড়ি ধসে পড়বেঢাকার প্রায় ৬৫ শতাংশ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণসবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে নরম মাটিতে কিংবা জলাশয় ভরাট করা জায়গায় ৯ থেকে ১৪ তলা ভবন তৈরিএতে ভূমিকম্পে পুরো বাড়িই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছেবর্তমানে ঢাকা মহানগরীতেই প্রায় ২ কোটি লোকের বসবাসসুতরাং ৬০ ভাগ ভবন ভেঙে পড়লে কী পরিমাণ লোকের প্রাণহানি ঘটতে পারে তা সহজেই অনুমেয়ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩ লাখ ২৬ হাজার বসতবাড়ির ওপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, সাত থেকে সাড়ে সাত মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে রাজধানীর প্রায় ৭২ হাজার বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে৮৫ হাজার ভবনের মাঝারি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারেসমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের কারণে ৯০ হাজার মানুষ হতাহত হবেভূমিকম্পটি যদি দিনের বেলায় ঘটে তবে হতাহতে সংঝ্যা দাঁড়াতে পারে ৭০ হাজারের মতো
ভূমিকম্পের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছেদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ জেলা ছাড়াও রংপুর, বগুড়া, ঢাকা এবং কুমিল্লা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছে কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলআর এ দুটো অঞ্চলের মাঝামাঝি অবস্থানে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর পাশাপাশি বৃহত্তর দিনাজপুর এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার আংশিক এলাকা
ভূমিকম্প ঝুঁকি থেকে বাঁচতে বাড়িঘর নির্মাণের সময় প্রকৌশলীদের দিয়ে নকশা তৈরি, তত্ত্বাবধান ও জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাতাদের মতে_ ১. ভূমিকম্পের পরে ভেঙে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার ও আগুন নেভানোর জন্য দমকলকে প্রস্তুত রাখতে হবে ২. বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ইত্যাদি সার্ভিসকে নিয়ে সমন্বি্বত ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা ৩. ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় পাড়ায়, মহল্লায় স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়াসেখানে জনসাধারণের পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, টেকনিশিয়ান, মিস্ত্রি ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিতদের অন্তর্ভুক্ত করা ৪. স্থানীয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, পূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গ্যাস, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড, অগি্ননির্বাপণ বিভাগ ইত্যাদি সংস্থার উদ্ধারকারী দল, প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামাদিসহ সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত এবং সমন্বিত থাকা ৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাসাবাড়ির জনসাধারণকে ভূমিকম্প মোকাবেলায় সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক মহড়া অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা এবং ৬. দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ টিমের সাহায্য নেয়া উচিত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সুনাম আছেমানুষ মানুষের পাশে এগিয়ে আসার বড় ধরনের উদাহরণও আছেঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলার অভিজ্ঞতাও আছেকিন্তু সুনামি ও ভূমিকম্পের মতো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেইসাভারের ভবনধস প্রমাণ করেছে দ্রুততম সময়ে বিপর্যয় সামলানোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা আমাদের একেবারেই নেইবিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ অঞ্চলের ৫০০ কিলোমিটার এলাকায় আট দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পেরও আশঙ্কা আছেফলে ইন্দোনেশিয়ার মতো বাংলাদেশের উপকূলেও ভয়াবহ সুনামি দেখা দিলে পরিণতি কী হতে পারে ভাবা যায়? মনে রাখা দরকার, কয়েক বছর আগে ভূমিকম্পে তুরস্কের একটি অঞ্চল ব্যাপক ধ্বংসলীলার শিকার হয়দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কটি দেশ যেমন_ ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ উপকূলে যে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস হয় তাতে হাজার হাজার কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও দেড় লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেএ ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস ছিল স্মরণকালের মারাত্মক বিপর্যয়বাংলাদেশ কী ভাবছে?

এস এম মুকুল: প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক
ষবশযড়শসঁশঁষ@মসধরষ.পড়স

 

 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ ষষ্ঠ কিস্তি ॥




মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩, ৩১ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না
মুনতাসীর মামুন
॥ ষষ্ঠ কিস্তি ॥
যা সবাই মনে করেছিল অসম্ভব, তাই হলো সম্ভব। বাংলাদেশে তাই বলি দুইয়ে দুইয়ে কখনও চার হয় না। একটা অনিশ্চয়তা থেকে যায়। ভোরে ঢাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
নিরাপত্তা বাহিনী যখন শাপলা চত্বর মুক্ত করতে যায় তখন সব টেলিভিশন কর্মী, সংবাদকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। চারটি লাশ পাওয়া যায়, যা হেজাবিরা স্টেজের কাছে রেখেছিলেন পরে জনমনে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য। একজন পুলিশ মারা যায়। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনকারী হিসেবে খ্যাত অধুনা হেজাবিদের মুখপত্র নয়াদিগন্তের খবর অনুসারে পুলিশ-র‌্যাব হেজাবিদের পালানোর জন্য পথ করে দিয়েছিলেন বা কিভাবে পালাতে হবে সে পথ নির্দেশ করে দিচ্ছিলেন। তাদের খবর অনুযায়ী সারাদিনে শহরে মৃত্যুর সংখ্যা ১৬। 
পরে সিদ্ধিরগঞ্জ-কাঁচপুরে মাইক দিয়ে মিথ্যা প্রচার করলে আবার সংঘর্ষ বাঁধে এবং তাতে কিছু মৃত্যু হয়। আমার এক সহকর্মী, যার বাড়ি রাউজানে, জানালেন, তাদের গ্রামের মসজিদের ইমাম তাঁকে ফোন করেছিলেন। ইমামকে টাকা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় হেজাবিরা এভাবে টাকা দিয়ে লোক পাঠায়। অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে অভিভাবকদের না জানিয়ে কিশোর ছাত্রদের ঢাকায় নিয়ে আসে। সেই ইমাম কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় আসেন এবং শহীদ বা গাজী না হয়ে পাজি হিসেবে এক দৌড়ে যাত্রাবাড়ী আসেন। সকালে গ্রামে ফোন করে জানেন, না জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ইমাম এখন তদবির করছেন চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য। 
হেফাজতীরা পিছু হটলেন কেন? কারণ হেফাজতীদের নেতারা প্রচুর টাকা খেয়েছিলেন। তাঁদের কর্মীদের মাঝে সে টাকা ভাগ করে দেননি। কোন কোন ক্ষেত্রে যাওয়া-আসার খরচ দিয়েছেন। টাকা খেয়ে একটা পর্যায় পর্যন্ত আন্দোলন করা যায়। টাকা খেয়ে ইসলাম নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, কোরান পোড়ানো, লুটপাট আর আগুন লাগিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ করার পর টাকা খেয়েও আর আন্দোলন করতে পারবেন না। ইতোমধ্যে বাবুনগরীদের বিরুদ্ধে টাকা খেয়েও টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে। 
ইসলামের হেফাজত করার বিধান নেই। সৃষ্টিকর্তাই বলেছেন, তিনি এর হেফাজত করবেন। কিন্তু রসুল (স.) ও চার খলিফার পর ইসলামের স্বঘোষিত হেফাজতকারীরা মাঠে নেমে পড়েন এবং ইসলাম শান্তির ধর্ম থেকে অশান্তির ধর্মে পরিণত হয়। নানাজনের উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যায় নবীর (স.) শান্তির ইসলাম তিরোহিত হয়। এ অবস্থা চলে নবম শতক পর্যন্ত। আব্বাসীয় যুগে খলিফা মামুন তাঁর রাজত্বের শেষ দিকে এ ভুল বুঝতে পারেন। আমীর আলী লিখেছিলেন, 'মানুষের মনকে অপরিবর্তনীয় মতবাদের বন্ধনে আবদ্ধ করার ফলে মামুন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। রাজত্বের শেষ চার বছর রাষ্ট্রকে ধর্ম-প্রভাব থেকে মুক্ত করতে এবং প-িতবর্গ ও শাস্ত্রজ্ঞগণ মানুষের বুদ্ধিকে যে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিলেন তা ছিন্ন করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন।' এ মুতাজিলাদের বা যুক্তিবাদীদের ধারণা ছিল এরকম। মামুন মুতাজিলা মতবাদ গ্রহণ করেন যার মূল কথা হলোÑ'মানুষ ভাল ও মন্দের বিচারে স্বাধীনতার অধিকারী...আল্লাহর গুণাবলী তাহার সত্তা থেকে পৃথক নয় এবং কোরান সৃষ্ট বস্তু। মানুষের কার্যাবলী সম্পর্কে কোন চিরস্থায়ী বিধি নেই, যে স্বর্গীয় অনুশাসনসমূহ মানবের আচরণকে নিয়ন্ত্রিত করে তা উন্নতি ও পরিবর্ধনেরই ফল এবং বিশ্বনিয়ন্তা সমগ্র বিশ্বকে যে পরবর্তনের অধীন করেছেন তাও ঐ পরিবর্তনের অধীন।'
এর ফলে বিজ্ঞান, শিক্ষা, সাহিত্যে অভাবনীয় উন্নতি হয়। এই সময়টুকুকে ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা হয়। মুসলমানরা যে সব বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাহিত্য সম্পর্কে গর্ববোধ করেন তাঁরা ঐ সময়ই বিকশিত হয়েছিলেন। মুতাজিলাদের প্রভাব বেশিদিন ছিল না। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের উত্থানের ফলে মুতাজিলারা হটে যান। হাম্বলী অনুসারীদের কারণে পরবর্তীকালে অসহিষ্ণুতা, অবিরত বিশৃঙ্খলা, দাঙ্গা ও রক্তপাত শুরু হয়, যা আজও বহমান। 
পাকিস্তান আমলেও শাসকগণ ইজতেহাদের পথ বন্ধ করে দেয়। গুরুত্ব দেয় তকলিদের ওপর। ইজতেহাদ প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যায় বাঙালী। বঙ্গবন্ধুর আমলটুকুকে ইজতেহাদের সময় বলা যায়। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ইজতেহাদ লুপ্ত হয় এবং তকলিদের প্রভাব বাড়তে থাকে। নানা ব্যক্তি, গোষ্ঠী ইসলামের স্বঘোষিত ঠিকাদার হয়ে দাঁড়ায়, হেফাজত যার নবতম সংস্করণ। আজ ইজতিহাদের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হেজাবিরা। বর্তমান সরকারকে ইজতিহাদের পথই বেছে নিহত হবে এবং এ কারণে প্রয়োজনে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন ততটা কঠোর হতে হবে। 

বিএনপি করতে হলে প্রধান যে বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে তা'হলো অবিরত মিথ্যাচার করার ক্ষমতা ও মানুষের প্রধান গুণ লাজলজ্জা বিসর্জন দেয়া। যে যত মিথ্যাচার করতে পারবে সে তত বড় নেতা হতে পারবে। হেফাজতী ঘটনা থেকে কয়েকটি উদাহরণÑ
বিএনপির এক নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে দেখলাম ৬ তারিখ সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, হাজার হাজার লোক মারা গেছে। সিএনএন, আল জাজিরা বলেছে, আড়াই হাজার লোক মারা গেছে। এর আগে হেজাবিদের তরফ থেকে রটানো হয়েছিল, আট হাজার মারা গেছে। অবাক হলাম, সারারাত টিভি দেখলাম, সংবাদ দেখলাম, কোথাও তো এই সংখ্যা শুনলাম না। তাড়াতাড়ি আল জাজিরা ধরলাম। বাংলাদেশ সম্পর্কিত খবরে বলা হলো মৃতের সংখ্যা ১৪। 
৫ তারিখ মোহনা টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে সুন্দরবন সাব-সেক্টরের অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ছিলাম। তিনি শ্রোতাদের এক প্রশ্নের জবাবে জানালেন, সাদেক হোসেন খোকা ও শাহজাহান ওমর (বিএনপি নেতা) টেলিভিশনে বলেছেন, সাঈদীকে তিনি চেনেন, তার সঙ্গে সাঈদীর যোগাযোগ ছিল। জিয়াউদ্দিন জানান, খোকা আরেকটি অনুষ্ঠানে জানান, টেলিফোনে তার সঙ্গে জিয়াউদ্দিনের কথা হয়েছে। জিয়াউদ্দিন জানিয়েছেন, সাঈদীর ব্যাপারে খোকা যা বলছেন [অর্থাৎ সাঈদী যুদ্ধাপরাধী নন] তা সত্য নয়। জিয়াউদ্দিন বললেন, 'এরা দু'জনই ডাহা মিথ্যা বলছেন। তাদের সঙ্গে গত ১০ বছর আমার কোন দেখা- সাক্ষাত নেই। মুক্তিযোদ্ধারা এ রকম মিথ্যাচার কী ভাবে করেন?' ৯ তারিখ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সঙ্গে দেখা। বাচ্চুকে ঠাট্টা করে জিজ্ঞেস করলাম, 'বাচ্চু তোর জিগরি দোস্ত খোকা এত ডাহা মিথ্যা বলেন কীভাবে? টেলিভিশনে, সংবাদ সম্মেলনে চোখ খোলা রেখে নির্ভয়ে মিথ্যা বলছেন।'
বাচ্চু বললেন, 'খোকা হিসেবে সাদেক হোসেন রাজনীতিতে জয়েন করেছিল। এখন তো তার পরিচিতি হয়ে গেছে সাদেক হোসেন ধোঁকা।'
অর্থাৎ, বিএনপি করলে মিথ্যাচার করতে হয়, ধোঁকাবাজ হতে হয়। 
৬ তারিখ রাতে ২৪টা টেলিভিশনে ২৪টি টক শো হয়েছিল। প্রত্যেকটিতে বিএনপির পাতি নেতা বা সহানুভূতিশীল নেতাদের আনা হয়েছিল। প্রত্যেকে বলতে লাগলেন যে, কমপক্ষে আড়াই হাজার ব্যক্তি মারা গেছেন। অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সঞ্চালক ফুটেজ দেখালেন। ভবি ভুলবার নয়। এক টিভিতে ব্যারিস্টার খোকন এই অভিযোগ তোলার পর তথ্যমন্ত্রী ইনু বললেন, নাম ঠিকানা দেন। খোকন জানালেন, তার প্রত্যেক এলাকার উপজেলায় মানুষ মারা গেছে। ইনু বললেন, নাম ঠিকানা দেন। এক পর্যায়ে খোকন দুটি ছবি দেখালেন। একজন দর্শক পরে জানালেন, ছবিটি নাকি ছিল হাইতির কলেরায় মৃতদের লাশের ছবি। যুক্তিতে না পেরে খোকনের মতো চিৎকার করে ব্যারিস্টার বলতে লাগলেন, গুলি হলো কেন? গুলি হলো কেন?
অর্থাৎ বিএনপি করলে যুক্তি মানা চলবে না, গায়ের জোর দেখাতে হবে। 
এমকে আনোয়ারকে তাঁর সহকর্মীরা জানতেন মাথা খালি আনোয়ার হিসেবে। ইদানীং প্রথম সারির নেতা হওয়ার বাসনায় তিনি বেশি কথা বলছেন। সংবাদ সম্মেলনে এমকে বললেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দেবাশীষের নেতৃত্বে কোরান পোড়ানো হয়েছে। চিন্তা করুন, বাংলাদেশে হিন্দুরা এখন শুধু নাগরিক হিসেবে থাকতে চায়, ভোটাধিকার চায় না, সেখানে এক হিন্দু নাগরিক সবার সম্মুখে কোরান পোড়াবে, একথা কোন পাগলও বিশ্বাস করবে না। এই নির্জলা মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য ছিল ৬ মে থেকে যাতে দাঙ্গা লাগানো যায় এবং হেজাবিরা যে কোরান পুড়িয়েছে সে নিয়ে যাতে আলোচনা অন্যখাতে যায়। 
অর্থাৎ, বিএনপি করলে মনেপ্রাণে সাম্প্রদায়িক হতে হবে অথবা দাঙ্গা লাগাতে হবে। 

অনেক বিএনপি নেতা বারবার বলছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চেও নাকি এমনটি হয়নি, যা হয়েছে ৫ মে রাতে। এরকম বর্বর গণহত্যার কথা চিন্তা করা যায় না। গণহত্যা শব্দটি বার বার তারা ব্যবহার করছে। এর একটি উদ্দেশ্য, ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে খাটো করে দেখানো এবং জনমানসে এ ধারণার সৃষ্টি করা যে, ১৯৭১ সালে তেমন কিছু হয়নি। ফলে, যুদ্ধাপরাধ মামলা জিঘাংসামূলক। প্রকৃত গণহত্যা এখন হচ্ছে এবং এর জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার করা হবে। ২৫ মার্চ ঢাকা শহরেই প্রায় দু'লাখ শহীদ হয়েছেন। 
অর্থাৎ বিএনপি করলে সংবিধান বিরোধী হতে হবে। সংবিধানে উল্লেখিত মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত যাবতীয় শব্দাবলি উপেক্ষা করতে হবে। 
৬ মে বিকেলে আমরা অনেকেই একটি এসএমএস পেয়েছি। তাতে লেখা ছিল, ভারতীয় এজেন্টরা মতিঝিলে হত্যাকা- চালিয়েছে এবং এখনও চালাচ্ছে। এর অর্থ এই সরকার ভারতের দালাল। অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে এই উক্তি করা হয়নি। 
বিএনপি বা হেজাবি হলে পাকিস্তানমনা হতে হবে। 
টেলিভিশনের টক শোতে বিএনপি/হেজাবি সমর্থকদের সাংবাদিকদের অনেকে বলেছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। টেলিভিশনে ধারণকৃত চিত্র তাঁরা দেখালেন। কিন্তু বিএনপি সমর্থক বা নেতারা বার বার জানালেন, ঘটনা সত্য নয়। তাঁরা তখন নয়া দিগন্ত, ইসলামী টিভি কেন বন্ধ করা হয়েছে এ প্রশ্ন তুলতে লাগলেন। এ দু'টি টিভি যে হেজাবিদের মুখপত্র হিসেবে অনবরত মিথ্যা এবং ৫ ও ৬ মে এমনভাবে সংবাদ পরিবেশন করছিল যে, সারাদেশে দাঙ্গা লেগে যেত। টিভিতে দেখান হলো হেজাবিরা মৃতের ভান করে পড়ে আছে। লাঠির খোঁচা খেয়েই চটপট উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়াচ্ছে। সেটিও মানতে তাঁরা রাজি নন। সত্য কোনভাবে গ্রাহ্য করা যাবে না। 
অর্থাৎ বিএনপি করলে নির্লজ্জ বা বেহায়া হতে হবে। আমার এক বন্ধু অনেক আগে বলেছিলেন, ভদ্রলোক হলে বিএনপি করা যাবে না। 
হেফাজতী/হেজাবি সমাবেশ ও পরবর্তী ঘটনা নিয়ে বিএনপি নেতারা যা বলছেন এসব তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। 
বিএনপি যে আড়াই হাজার মৃত্যুর কথা বলছে তার কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। আড়াই হাজার মানুষ হত্যা করতে হলে কত বুলেটের প্রয়োজন এ হিসাবও তাদের নেই। রবার বুলেট আর বুলেট এক হলে এক ধরনের বুলেটের নাম রবার বুলেট হতো না। কাঁদানেগাস দিয়ে মানুষও হত্যা করা যায় না। আড়াই হাজার মৃতদেহ সরাতে গেলে কত ট্রাক লাগে। টিভিতে কিন্তু কোন ট্রাকই দেখায়নি। ২৫০০ মানুষ মারা গেলে পুরো ঢাকা শহরের একাংশ স্বজনহারাদের আহাজারিতে ভরে যেত। স্বজন হারাদের প্রায় দেখাই যায়নি। আড়াই হাজার কেন এক শ' লাশও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গুম করা সম্ভব নয়। ডিএমপি কমিশনারের ব্রিফিং বিশ্বাস না করলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দেখুন। ২৫০০ মারা গেলে সারা পৃথিবীর সাংবাদিকরা ঢাকায় চলে আসতেন। হেজাবিরা ভেবেছিলেন, তাঁদের অনেক মিথ্যাচারের মতো বা ক্রমাগত মিথ্যাচার করলে মানুষ তা বিশ্বাস করবে। কিন্তু সরকার একটি কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই অভিযানের সময় দেশী-বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। ফলে, এ বারের মিথ্যাচার সফল হয়নি। 
আমার মনে হয়েছে, টক শো বা খবরের কাগজে বিএনপির নেতাদের মন্তব্যের বিপরীতে একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়নি; বিষয়টি উল্লেখ জরুরী ছিল। সংঘর্ষে যাঁরা মারা গেছেন তার জবাবদিহিতা সবাই চাইছেন। কিন্তু পটভূমিটা সবাই এড়িয়ে গেছেন। একজন নাগরিকের মৃত্যুও কারও কাম্য নয়। কিন্তু সে যদি নিজে আত্মহত্যা করতে চায়?
সৈয়দ আশরাফ সন্ধের আগে শাপলা চত্বর খালি করে দিতে বলেছিলেন। হেজাবি নেতারা তো তা করেনইনি বরং আশরাফকে নিয়ে ঠাট্টা করেছেন। সারাদিন তারা যে তা-ব চালিয়েছে সেটি কি আন্দোলনের মধ্যে পড়ে? আগুন লাগানো, ভাংচুর, লুট কী অপরাধ নয়? অপরাধ হলে তো ব্যবস্থা নিতে হবে। লক্ষ্য করবেন, হেজাবিরা যখন ঢাকা শহর অগ্নিকু-ে পরিণত করছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছুঁড়ছে তখনও কিন্তু পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। করলেও তা অপরাধ হতো কিনা সন্দেহ। গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে প্রথমে অনুরোধ করে তাদের চলে যেতে। হেজাবি নেতারা রাজি হয়নি। কারণ তারা তো সরকার গঠন করতে এসেছে, চলে যেত নয়। এর পর পুলিশ এ্যাকশনে যায়। অতর্কিতে যদি পুলিশ হামলা করত তা'হলেও না হয় দোষ দেয়া যেত। আর এ কেমন কথা, কিছু গু-াপা-া সারা শহরে অরাজকতা চালাবে কিন্তু সরকার কিছু বলতে পারবে না!
অনেকে বলেছেন, বিদেশে এরকম সমাবেশ ভাঙতে গিয়ে সমাবেশকারীদের বেশ মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, এত বড় সমাবেশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করে এত কম সময়ে কোথাও মানুষ সরান যায়নি। এই প্রথম অনেকে পুলিশের প্রশংসা করে বলছেন, হেজাবিদের হাত থেকে ঢাকা শহর বাঁচানো যাবে কেউ আশা করেননি। অনেকে এও বলছেন, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রচুর নিন্দামন্দ করা যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহকে ধন্যবাদ, আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন না। ১৯৭৫ সালের পর আর কেউ ধর্ম ব্যবসায়ীদের এমনভাবে কোণঠাসা করার সাহস করেননি। তবে এটিও মনে রাখার দরকার, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন না পেলে এ কাজ করা যেত না। এখন তিনি আর দোদুল্যমানবতায় ভুগছেন না। ভুল হোক ঠিক হোক তিনি একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এবং এখনও সেই সিদ্ধান্তে অটল আছেন। পাঠক, আপনারা বলতে পারেন, আমি ১৪ দলের সমর্থক। তাই অযথা তাদের প্রশংসা করছি। তাহলে বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে সিনিয়র সাংবাদিক এবিএম মূসার কথা ধরা যাক। গত চার বছরে কোন লেখায় তিনি বর্তমান সরকারের কোন প্রশংসা করেননি। এখন তিনি অসুস্থ। তারপরও লিখেছেন, 'গতকাল (৭ মে) আমি এই সরকারের প্রশংসা করেছি হেফাজত ও ধর্মাশ্রয়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে শক্ত হাতে দমন করার জন্য। মহাজোট সরকারের অনেক কিছুই সমর্থন করি না সত্য; তার মানে এই নয়, দেশে তালেবান সরকার চাই। হেফাজতী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানে দুঃখজনক প্রাণহানি ঘটলেও উপযুক্ত সময়ে সরকারের এই অভিযানকে আমি স্মরণ করি। কারণ তারা অবরোধ ও সমাবেশের নামে হত্যাসহ নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়েছিল, তাতে আরও বেশি প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ফন্দি এঁটেছিল হেফাজত।' [আমাদের সময়, ৮-৫-১৩]
বাংলাদেশ ব্যাংক লুটের পরিকল্পনা, অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষতি সাধন, লুট, পুলিশ হত্যা, নারকীয় সব কর্মকা-, দেশের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি, সর্বোপরি কোরান পোড়ানোর পরও শেখ হাসিনা হেফাজতী নেতাদের প্রধান আহমাদ শফী ও তার অনুচরদের সৌজন্যের সঙ্গে হাটহাজারী পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ কথাটি যেন হেফাজতী নেতারা মনে রাখেন। তাদের সবাইকে আদালতে চালান দিলেও হেফাজতীরা ছাড়া কেউ সমর্থন করত বলে মনে হয় না।
কওমি মাদ্রাসাগুলো চলে যাকাত, কোরবাণীর চামড়া ও অনুদানের ওপর। প্রশ্ন উঠছে, তারা যদি ১-২ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে থাকে তা'হলে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছে। এ টাকা এলো কোত্থেকে? এবিএম মূসা সাহসী মানুষ। তিনি লিখেছেন, 'আমি নাম ধরে বলতে পারি ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক নাশকতার অর্থ জুগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করছে।' [ঐ] সরকারের উচিত এ বিষয়ে আলাদা একটি তদন্ত করা। আরেকটি বিষয়ও উল্লেখ্য, আমরা নিয়মিত ট্যাক্স দিই। এসব ধর্ম ব্যবসায়ীরা বা তথাকথিত ইসলামী দলগুলোর নেতারা কি ট্যাক্স দেয়? আমরা ট্যাক্স দিই কিনা তা সব সময় কর্তৃপক্ষ নজর রাখে, এসব নেতার ক্ষেত্রে? যদি এরা ট্যাক্স না দেয় তা'হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে, আমাদের বলতে হবে, সরকার পক্ষপাতিত্ব করছে, যা অসংবিধানিক। 
[চলবে]
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩, ৩১ বৈশাখ ১৪২

Also Read:
বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩, ২৬ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ প্রথম কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩, ২৭ বৈশাখ ১৪২০

রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ দ্বিতীয় কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ তৃতীয় কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০
রবিবার, ১২ মে ২০১৩, ২৯ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ চতুর্থ কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
সোমবার, ১৩ মে ২০১৩, ৩০ বৈশাখ ১৪২
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ পঞ্চম কিস্তি ॥
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-05-13&ni=135164

 
ويقترح رجل الله يتصرف [ Man proposes, Allah the Almighty disposes]

†f‡¯Í †Mj †eMg wRqvi Ôeøy wcÖ›UÕ


http://www.amadershomoy2.com/content/2013/05/07/news0036.htm

হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম








__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Thanks to Gen. Hussain Muhammad Ershad for the statement "...people do not want to see hartal...)



Dear Readers,

My salam / nomosker / good morning to all of you (in accordance with your religious believe / priority). Would you please join me to:

1. Thank Gen. Hussain Muhammad Ershad (from the core of your heart, like me) for pronouncing that "...people do not want to see hartal because of killing and destruction of property in arson attacks in the name of caretaker government issue...".
2. This is exactly what the general Bangladeshi people (excluding the power-mongering unwanted elements) want to hear from an aged and experienced politician like Gen. Ershad. Does anybody know his email address? I want to thank him personally.
3. I request Gen. Ershad to please promote it. I want to let him know that the peace loving Bangladeshi people do not want any further hortal where picketing, arson, and loss of lives happen.
4. Political (or even non-political) parties can call hortal only if it is non-violent (such as carrying banner telling that "We are not working" or similar).
5. I really want to see other nice political leaders, like Gen. Ershad, to express their support against violent hortals.

With best regards,
Em Pannah (a.k.a. Muktijodha Emarat Hossain Pannah)
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Dr. Em Pannah
Doctor of Management (Cybersecurity, Privacy, and Identity Theft), MS, MSc., CISSP, CAP, CISM, NSA-IAM, NSA-IEM, Foundations of Cybersecurity
Cybersecurity Professional, Textbook Writer/Publisher, and Adjunct Assistant Professor in USA
Primary email: epannah@yahoo.com | Secondary email: em.pannah@faculty.umuc.edu
Primary phone: (443) 690-3955 | Secondary phone: (301) 358-9232
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------



From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: manik195709@yahoo.com
Cc: bestfriend20878@yahoo.com; abid.bahar@gmail.com; manik195709@yahoo.com; khabor@yahoogroups.com; liaquat707@me.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com; history_islam@yahoogroups.com; amsmel@aol.com; abid.bahar@gmail.com; farukbd5@yahoo.com; saeva@aol.com; fsiddiq1@swarthmore.edu; zoglul@hotmail.co.uk; mbimunshi@gmail.com; sonarbangladesh@yahoogroups.com; chottala@yahoogroups.com; shamsher.mchowdhury@gmail.com; Canada.bnp@gmail.com; masudreza2000@yahoo.de; finlandbnp@gmail.com; bnphamilton@gmail.com; msalauddin67@yahoo.com; jukhan@gmail.com; notun_bangladesh@yahoogroups.com; reform-bd@yahoogroups.com; Motamot.editor@gmail.com; ibnmasum@gmail.com; iqra@sympatico.ca; pfc-friends@googlegroups.com; bd_mailer@yahoo.com; alaldulal@aol.com; farhadmazhar@hotmail.com; faruquealamgir@gmail.com
Sent: Monday, May 13, 2013 3:56 PM
Subject: [reform-bd] People don't want to see two ladies: Ershad

 

People don't want to see two ladies: Ershad

E-mail PrintDecrease Font SizeIncrease Font Size
Reported by: UNBconnect
Reported on: May 13, 2013 22:07 PM
Reported in: Politics
News - People don't want to see two ladies: Ershad
Rangpur, May 13 (UNB) - Jatiya Party chairman HM Ershad on Monday said the people of the country do not want to see the two ladies – Sheikh Hasina and Khaleda Zia - in power any more.

Addressing a public gathering at Latifpur in Mithapakur upazila, the JP chief, however, said people want Jatiya Party to form the next government with people's mandate.

Ershad said Jatiya Party needs to win 151 seats in the next general election to go to power.

About frequent shutdowns, he said people do not want to see hartal because of killing and destruction of property in arson attacks in the name of caretaker government issue.

Ershad at the gathering introduced Fakhru- uz-Zaman Jahangir as a party candidate for Mithapakur constituency in the next general election.

He went to Latifpur to see for himself the two orphans of Shahin Mia and Jannati Begum, victims of Tazreen factory fire incident.


.
Thursday, May 9, 2013 1:01 AM
Subject: [ History Islam & Beyond . . .] Re: CRY BANGLADESH CRY! INDIA'S PUPPET GOVERNMENT KILLING BANGLADESHI CITIZENS!

 











2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>
THIS IS NOT IN YAHYA'S 1971






2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>













2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


2013/5/9 Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>
লাশ গুলো কিভাবে গুম করা হল তা এই চাচার মুখে শুনুন
এই বৃদ্ধ চাচাও এই জালিম সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেল না | চাচার মুখ থেকে শুনুন, আহত যেমন বেশি ঠিক তেমনি নিহত এর সংখ্যা ও বেশি লাশ গুলো কিভাবে গুম করা হল তা এই চাচার মুখে শুনুন

https://www.facebook.com/photo.php?v=393971664053181&set=vb.435316696482558&type=2&theater



৬ মে শাপলা চত্তরে গনহত্যার দৃশ্য...
৬ মে শাপলা চত্তরে গনহত্যার দৃশ্য...


https://www.facebook.com/photo.php?v=393967944053553&set=vb.435316696482558&type=2&theater


On Thu, May 9, 2013 at 12:40 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:


On Thu, May 9, 2013 at 12:38 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:
Photo


On Thu, May 9, 2013 at 12:34 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:


On Thu, May 9, 2013 at 12:29 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:
Video: 5th May Midnight Massacre In Bangladesh: Death 2500

https://www.facebook.com/photo.php?v=370897983031759&set=vb.204480719673487&type=2&theater

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=189535591196357&set=a.178968852253031.1073741828.178946618921921&type=1&theater



VIDEO: শাপলা চত্তর এর গনহত্যার প্রমান- Video 01

***শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন সত্য ঘটনা
অভিযানে কেউ নিহত হয়নি, গুজব ছড়ানো হচ্ছে: বেনজির
০৮ মে,২০১৩
এর জবাব ভিডিও -১
((((((শাপলা চত্তর এর গনহত্যার প্রমান)))))))
— with

https://www.facebook.com/photo.php?v=521684314559715&set=vb.100001544542822&type=2&theater





https://www.facebook.com/photo.php?fbid=187482461404800&set=a.144935832326130.31731.144504062369307&type=1&theater



https://www.facebook.com/photo.php?fbid=631417253539167&set=a.435320413148853.117552.435316696482558&type=1&theaterhttps://www.facebook.com/photo.php?fbid=631117160235843&set=a.435320413148853.117552.435316696482558&type=1&theaterhttps://www.facebook.com/photo.php?fbid=630948350252724&set=a.435320413148853.117552.435316696482558&type=1&theater

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=631573140190245&set=a.435320413148853.117552.435316696482558&type=1&theater



INDIAN ARMY COMMANDO
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=630616986952527&set=a.435320413148853.117552.435316696482558&type=1&theater






https://www.facebook.com/photo.php?v=370897983031759&set=vb.204480719673487&type=2&https://www.facebook.com/photo.php?fbid=460839243992221&set=a.131485583594257.31719.100001984478971&type=1&theater
theater
 
LINKS:
http://www.guardian.co.uk/world/2013/may/06/bangladesh-protest-violence-people-dead
http://ireport.cnn.com/docs/DOC-968401
http://www.saudigazette.com.sa/index.cfm?method=home.regcon&contentid=20130507164683
http://www.economist.com/blogs/banyan/2013/05/bangladesh
http://www.huffingtonpost.com/2013/05/06/bangladesh-clashes_n_3221788.html?utm_hp_ref=world#slide=614020
http://online.wsj.com/article/SB10001424127887323372504578466733888700990.html
http://www.nytimes.com/2013/05/07/world/asia/two-days-of-riots-in-bangladesh-turn-deadly.html?_r=0

Useful links
http://alalodulal.org/2013/05/05/end-of-an-era/
https://www.facebook.com/media/set/?set=a.132059026987956.1073741834.100005515774681&type=3
http://www.saudigazette.com.sa/index.cfm?method=home.regcon&contentid=20130507164683
https://www.facebook.com/standingforbangladesh
http://ireport.cnn.com/docs/DOC-968401
http://www.humanrights.asia/news/ahrc-news/AHRC-STM-088-2013#.UYfZEnbW2Et.twitter
http://www.ikhwanweb.com/article.php?id=30914

THE ECONOMIST
http://www.economist.com/blogs/banyan/2013/05/bangladesh





____________________________________________________________
23 foods to kill belly fat
These surprising foods boost your metabolism and flatten your stomach.
thefatburninghormone.com




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___