Banner Advertiser

Wednesday, May 15, 2013

[mukto-mona] Re: [notun_bangladesh] ETV footage on police action



All

BNP - জামাত-রাজাকার তাদের বাচ্চা - আত্মীয় -সমর্থকরা বেশীর ভাগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা,

Please watch and listen carefully,

 https://www.facebook.com/photo.php?v=337697929685514&set=vb.303166479805326&type=2&theater

Your favorite and supporting TV (we call it a Razakar TV) told 6 people were killed in that operation,

But you, liars are telling, হাজার হাজার killed!

What a broad day open lie!

 

See also how dead men are walking out from Shapla Chottor after 6th May Operation

https://www.facebook.com/photo.php?v=161251724047934&set=vb.147364782103295&type=2&theater

 

 

 

মতিঝিলের অপপ্রচার নিয়ে বিজিবি প্রধানের Open চ্যালেন্জ

 দয়া করে দেখুন,

https://www.facebook.com/photo.php?v=10201186788902715&set=vb.1560249691&type=2&theater

কই, এখন পর্যন্ত জামাত-BNP-রাজাকারের কোনো নেতা -ফেতা তো BGB প্রধানের এই Open চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে পারলেন না!

আসলে জামাত-BNP-রাজাকার তাদের বাচ্চা - আত্মীয় -সমর্থকরা শুধু

মিথ্যা, মিথ্যা-সত্য মিশ্রিত কথা-তথ্য , Phoshop ছবি  গুজব বানাতে ছড়াতে ব্যাস্ত এবং

এই ধরেনের খরাপ কাজ করতেই জামাত-BNP-রাজাকাররা তাদের বাচ্চা -আত্মীয় -সমর্থকরা চ্যম্পিয়ান

ধিক তোদের !

ধিক (নাপাকিস্থানী ) জামাত-BNP- রাজাকার তাদের বাচ্চা - আত্মীয় -সমর্থকদের

ধিক তোদের চির দিন - যতদিন বাঙালী থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে !

 
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন

সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন

 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু

 

শুভেচ্ছান্তে


Engr. Shafiqur  Rahman Anu
Auckland,
New Zealand
N.B.: If any one is offended by content of this e-mail, please ignore & delete this e-mail. I also request you to inform me by an e- mail - to delete your name from my contact list.

 

 



On Mon, May 6, 2013 at 6:56 PM, Isha Khan <bdmailer@gmail.com> wrote:



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] 'যুদ্ধাপরাধ বিচার স্বচ্ছ, রায়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র' !!!!!!



'যুদ্ধাপরাধ বিচার স্বচ্ছ, রায়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র'
তারা রায়ের কপি দেখেছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন- জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
সমকাল প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ অভিহিত করে ট্রাইব্যুনালের দেয়া চারটি রায়েই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জেরার্ড র‌্যাপ।'যুদ্ধাপরাধ বিচার স্বচ্ছ, রায়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র'
 
তার সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এসব রায় হয়েছে বলে মনে করেন জেরার্ড র‌্যাপ।
 
আধাঘণ্টার এই বৈঠকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনাও উপস্থিত ছিলেন।
 
আইনমন্ত্রী বলেন, "তারা রায়ের কপি দেখেছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।" ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও রায় ও বিচার প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
 
আন্তর্জাতিক আদালত এবং বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের রায়ের তুলনা করে তারা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ অভিহিত করেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
 
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত জেরার্ড র‌্যাপ দু'দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছান। সেদিনই তার সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতাদের আইনজীবীরা।
 
এসময় তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন 'পরিবর্তনে' যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান। বৈঠকে আইনজীবীদের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যিনি ট্রাইব্যুনালেও জামায়াত নেতাদের আইনজীবী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুরু থেকেই এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে জামায়াতে ইসলামী।
 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এ পর্যন্ত চার জামায়াত নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাজার রায় দিয়েছে। এদের মধ্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বহিষ্কৃত জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
 
কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আপিল করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। দণ্ডপ্রাপ্ত চার জামায়াতনেতা কারাগারে রয়েছেন।
20
 
0
 
0
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ ৮ম কিস্তি ॥




বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৩, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না
মুনতাসীর মামুন
॥ ৮ম কিস্তি ॥
২. এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা তা পারেনি। অথচ, বঙ্গবন্ধু সে কারণেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এই ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্ব আসা দরকার এবং এর খোল-নলচে পাল্টে যুগোপযোগী করা দরকার। এটি একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। তৃণমূল পর্যায়ে তারা কী করতে পারে সে অনুযায়ী কার্যক্রম সাজানো দরকার। ইমাম প্রশিক্ষণ যদি সঠিক হতো তা'হলে বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা সাঈদীর মৃত্যুদ- হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে খতরনাক ব্যবহার করেছেন তা করতেন না। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ। 
৩. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারটি রায়েই জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন বা ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চতুর্থ রায়ে বিষয়টি আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৯৭১ থেকে এখনও এই দলটি একই ধরনের আচরণ করে আসছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে তারা কর্মকা- চালাতে পারে কিনা বিষয়টি সবার ভেবে দেখা উচিত। চতুর্থ রায়ের পর সরকার বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মামলা করতে পারে। এ দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। 
গত ৩৫ বছরের কথা বাদ দিই, গত ছয় মাসে তাদের যে হিংস্র চেহারা আমরা দেখেছি, সে প্রেক্ষিতেও একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের কর্মকা- নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এর আগে আন্দোলনের নামে কোনও দল এত পুলিশ র‌্যাব আর সীমান্তরক্ষী হত্যা করেনি। এ দলটি এখন নিষিদ্ধ করা উচিত কি উচিত নয়?
৪. হেফাজতে ইসলাম জামায়াতী ধারায় একই ধরনের কাজ করছে। প্রকাশ্যে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও এর কর্মকা- রাজনৈতিক। একমাত্র রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন ও সরকার উৎখাতের দাবি ও আহ্বান জানায়। রাজনৈতিক কারণে, সংগঠনটির প্রধান আহমদ শফীকে কোন কিছুর জন্য দায়ী না করে সংগঠনটির মহাসচিব ও অন্যান্যÑ যেমন, বাবুনগরী, ফয়জ্জুল্লাহকে দোষী বলা হয়। যে, যতই বলুক, দায়দায়িত্ব আহমাদ শফীরই। সরকার বা দলের যে কোন কর্মকা-ের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা বা নন্দিত করা হয়, সৈয়দ আশরাফকে নয়। 
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের ভেতর ঢুকে গেছে, অপকর্মগুলো তাদের। আওয়ামী লীগের টার্গেট যেহেতু বিএনপি সে জন্য এ রকম বক্তব্য তারা রাখতেও পারে। হেফাজতের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের- অনুপ্রবেশ ঘটেনি তা বলব না, কিন্তু হেফাজতের সব কর্মকা-ের দায়িত্ব বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের উক্তি বিভ্রান্তিকর অপকৌশল। হেফাজত যদি মনে করে বিএনপি-জামায়াত তাদের সংগঠন দখল করেছে তা'হলে আহমাদ শফী ও অন্য নেতাদের সংগঠনটি লুপ্ত করতে হবে। হেফাজতীরা জামায়াতী কাজকর্ম করবে আর বলা হবে তারা এর জন্য দায়ী নয়, এটি হতে পারে না। আর হেফাজতীদের এ ধরনের কর্মকা- যদি অব্যাহত থাকে তা'হলে তাদেরও নিষিদ্ধ করার দাবি উত্থাপন করতে হবে। 
৫. এ বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, মাদ্রাসাগুলোই জঙ্গী মৌলবাদের কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালের পর থেকে আদর্শগত ও নির্বাচনী কারণে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ এদের ব্যবহার করেছে এবং তোয়াজ করেছে। আর এই তোয়াজ করতে করতে মাদ্রাসাগুলো নিজের জমি দৃঢ় করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যারা এদের নিয়ে খেলছে ভাবছে, তারাই বিপদে পড়বে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান। 
মাদ্রাসা তোয়াজের মধ্যে এক ধরনের ভণ্ডামি আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি এত ভাল হয় তাহলে এসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলেমেয়েরা কেন ইংরেজী স্কুলে বা বিদেশে পড়ে? জামায়াত-বিএনপির কোন নেতার ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়েনি। আওয়ামী লীগেরও নয়। শুধু তাই নয়, আমি দেখেছি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরাও প্রথমেই একটি মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষকতা করেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেন না। তাদের ছেলেমেয়েরাও মাদ্রাসায় পড়ে না। আল্লাহ কি বলেছেন, মাদ্রাসায় পড়লে বা টাকা দিলে সওয়াব বেশি হবে? সুতরাং, প্রতি বাজেটে মাদ্রাসা বাজেট বাড়ানো উচিত নয়। যেসব মাদ্রাসায় যুগোপযোগী শিক্ষা দেয়া হবে সরকার সেগুলোর ক্ষেত্রেই শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারে। মাদ্রাসা শিক্ষার কথা উঠলেই আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই। এবিএম মূসা যথার্থই লিখেছেন-
"মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যাকাত ও কোরবানির চামড়া বেচা অর্থ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দানের অর্থের ওপর নির্ভরশীল। মাদ্রাসা শিক্ষাকে এসব কিছুর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে পুরোপুরি সরকারের নজরদারি, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বর্তমান অসাম্প্রদায়িক সরকারকেই নিতে হবে। এর জন্য দশ বা বিশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু কোরবানির পশুর চামড়া বেচা অর্থ, যাকাত ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের বৃহত্তর কোনও উপকারে আসবে না। আর সে-কারণেই তাদের দিয়ে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- করিয়ে নেয়া সম্ভব।" 
৬. কত রকমের এবং কত মাদ্রাসা আছে বাংলাদেশে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে আছে কিনা জানি না- আলিয়া, কওমি, ফোরকানিয়া, হাফিজিয়া ইত্যাদি অনেক রকমের মাদ্রাসা। সব মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে নয়। সব ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা হবে কমপক্ষে তিন লাখ। কারণ, কুড়ি বছর আগে এই সংখ্যা ছিল আড়াই লাখের কাছাকাছি। এ তথ্য দিয়েছেন সাহিত্যিক গবেষক হায়াৎ মামুদ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে তিন লাখের কাছাকাছি মাদ্রাসা এক অস্বাভাবিক ব্যাপার। এ মুহূর্তে আমি জানি না, সব ধরনের মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন কী না। না হলে, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য যে সব নিয়ম কানুন মানতে হয়, একটি মাদ্রাসা স্থাপনের জন্যও তা চালু করতে হবে। এবং সরকারী শিক্ষাক্রম চালু না করলে সে মাদ্রাসার অনুমতি দেয়া যাবে না। খাস জমিতে মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না। যত্রতত্র মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না।
মাদ্রাসার হালহকিকত নিয়ে সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে একটি নিবিড় জরিপ করা জরুরি। অধিকাংশ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে অভিযোগ, তারা জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা মাদ্রাসার জন্য অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। যেসব মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে সেসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে এবং শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৭. সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের কি উচিত নয় তৃণমূল পর্যায়ে বোঝানো যে মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক স্কুল উত্তম? কোরবানির চামড়া বা দান ধ্যানের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাধীন জীবিকা উত্তম? সরকারী উপজেলা অফিসারের কাজ কী? তারা কি মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শন করেন নাকি অফিসে বসে শুধু দরিদ্র প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর হম্বিতম্বিই করেন? শুধু তাই নয়, যে সব রাজনৈতিক দল হেফাজত/জামায়াত সমর্থক (এদের ভিত্তি মাদ্রাসা) বা জামায়াতের নেতাদের সন্তানরা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা উন্নয়ন বা সামাজিক কর্মীদের কর্মকা-ের অংশ হতে পারে ভ- রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া প্রবল ভূমিকা পালন করতে পারে।
৮. রাজনৈতিক কারণে এবং মাদ্রাসা তোষণের স্বার্থে বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসার ডিগ্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করেছে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় করছে এবং এভাবে যুগোপযোগী শিক্ষার সর্বনাশ করছে। লক্ষ্য করবেন, সুশীল সমাজের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললেও এসব বিষয়ে বাতচিত করেন না; কারণ, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়ে।
মাদ্রাসার বিভিন্ন ডিগ্রীকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করা হয়েছে। এটি হতে পারে না। মাদ্রাসায় দেয়া নম্বর আর সেক্যুলার স্কুলে দেয়া নম্বরে পার্থক্য আছে। এভাবে শিক্ষার উন্নয়ন করা যাবে না।
৯. মাদ্রাসা শিক্ষিত যে কেউ যে কোন সময় যে কারো বিরুদ্ধে মুরতাদ, মুশরিক, কাফের, নাস্তিক ইত্যাদি ফতোয়া দেয়। এ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে এবং ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এ ধরনের কর্মকা- শুধু সংবিধানবিরোধীই নয়, রাষ্ট্র বিরোধীও। এ ধরনের ফতোয়া আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি নাগরিক সমাজকেই তুলতে হবে।
১০. এখন থেকে আমরা যেন মুসলমানত্ব পরীক্ষা দিতে অগ্রসর না হই। যে ভাষায় মৌলবাদীরা কথা বলবে সে ভাষায়ই উত্তর দিতে হবে। যুক্তি বুঝলে কেউ জামায়াত-বিএনপি বা জঙ্গী মৌলবাদের সমর্থক হয় না। এরা শক্তি বোঝে। 
১১. অধ্যাপক আবদুল মান্নান এক প্রবন্ধে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের বড় মাদ্রাসাগুলোতে সব সময় বড় রকমের সাহায্য করে আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ীরা। তারা যদি একইভাবে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করত তা হলে কোন মন্তব্য ছিল না। কিন্তু, শুধু মাদ্রাসায় সাহায্য করবে এবং বাইরে পরিচিত হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হিসেবে তা কাম্য নয়, এটি এক ধরনের ভ-ামি। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে; ইবনে সিনায় চিকিৎসা নেয়াও এক ধরনের ভ-ামি। আমি স্বাচিপের অনেক নেতাকে অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা সংগঠনের সমর্থকদের আহ্বান জানান এসব প্রতিষ্ঠান বয়কটের জন্য। তারা সেটি পারেননি। এভাবে, আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে তুলে ধরি বৃহত্তর স্বার্থের বিপরীতে কিন্তু সমালোচনা করি নিয়ত সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের দলগুলোকে। এও এক ধরনের ভণ্ডামি। এসব স্বার্থবুদ্ধি পরিহার না করলে মৌল-জঙ্গীবাদী ও এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। 
১২. রাজনৈতিক নেতা হলেই তিনি যা খুশি করতে পারবেন বা বলতে পারবেন- এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। রাজনীতিবিদদের অসত্য ভাষণ, বিভ্রান্তিকর উক্তি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, ২৫০০ মানুষের মৃত্যু। এই যে প্রচার এটি দেশবিরোধী। যখন-তখন 'গণহত্যা' শব্দ ব্যবহার 'গণহত্যা'কে খাটো করে দেখা। পৃথিবীর অনেক দেশে আইন আছে স্বাধীনতা বা মুক্তিসংক্রান্ত কোন কিছুকে অস্বীকার করা অপরাধ। আইনত দ-নীয়। ইউরোপে 'হলোকাস্ট ডিনাইল' অপরাধ। এখানেও সে ধরনের আইন করা বাঞ্ছনীয়।
একটি প্রস্তাব করা যেতে পারে। তরুণ কিছু আইনজীবী যদি একটি সংগঠন করেন 'প্রো বোনো' জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা করার জন্য তা'হলে ভালো হয়। রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিটি উক্তি যদি চ্যালেঞ্জ করা যায় তাহলে হয়ত রাজনীতিবিদদের সবার উর্ধে, আইনের উর্ধে কাজ করার মানসিকতা হ্রাস পাবে।
রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন উক্তি নিয়ত চ্যালেঞ্জ করা হয় না দেখে আজ এই বিপত্তি। 
১৩. হরতাল করা এবং না করার অধিকার সবার আছে। হরতালের সহিংসতা রোধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির কথা বিবেচনা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। কয়েক মাস আগে আমি কুয়ালালামপুর ছিলাম। আমি যাওয়ার কয়েকদিন আগে এ রকম একটি হরতাল হয়েছিল। হরতালকারীরা কয়েকজন হকারের পণ্যের ও কয়েকটি (বোধ হয়) সাইনবোর্ডের ক্ষতি করেছিলেন। হরতাল যে দল ডেকেছিল সে দলকে বলা হয় ক্ষতিপূরণ দিতে। না হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। তাদের আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এখানেও যে দলের ডাকা হরতালে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি সে দলকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার জন্য উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন কিনা তা বিবেচনা করুন। (চলবে)
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৩, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২

Also Read:
 
বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩, ২৬ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ প্রথম কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩, ২৭ বৈশাখ ১৪২০

রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ দ্বিতীয় কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ তৃতীয় কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
শনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০
রবিবার, ১২ মে ২০১৩, ২৯ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ চতুর্থ কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
সোমবার, ১৩ মে ২০১৩, ৩০ বৈশাখ ১৪২
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ পঞ্চম কিস্তি ॥
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-05-13&ni=135164

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩, ৩১ বৈশাখ ১৪২
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ ষষ্ঠ কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন

বুধবার, ১৫ মে ২০১৩, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না      ॥ সপ্তম কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন

 ويقترح رجل الله يتصرف [ Man proposes, Allah the Almighty disposes]

†f‡¯Í †Mj †eMg wRqvi Ôeøy wcÖ›UÕ


http://www.amadershomoy2.com/content/2013/05/07/news0036.htm

হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম










__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] সাংবাদিক - টোকাই কড়চা !!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Wednesday, May 15, 2013 2:37 PM
Subject: [Pro-Muslim] সাংবাদিক - টোকাই কড়চা !!

 
সাংবাদিক - টোকাই কড়চা !!

প্রভাতের সুর্য উকি মারছে পূব আকাশে , রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিলের শাপলা চত্তর যেনো একটা মৃতপুরী ! সাংবাদিক হিসাবে এসেছি তথ্য সংগ্রহ করতে , পেয়ে গেলাম ১২ বছরের মতো এক টোকাই কে ! তার সাথে আলাপ করে যা পেলাম তা নিম্নরূপ :

সাংবাদিক : তোমার নাম কি ?

টোকাই : আমাগো আবার নাম আছে নি ? সবাই আমাগো টোকাই হিসাবে জানে !

সাংবাদিক : কাল রাতে তুমি কি এই চত্তরে ছিলে ?

টোকাই : ছিলাম না মানে ? দুপুর থিকাই তো আমি এই শাপলা চত্তরে !

সাংবাদিক : বলতো গভীর রাতে কি হয়েছিলো ?

টোকাই : এই খানে আসার পর আমার বয়সী কয়েকটা মাদ্রাসার পোলার লগে খাতির হইয়া যায় , হেগো লগে বইয়া আমি ওয়াজ , নাথ আর মাঝে মাঝে নেতা গো ভাষণ হুনছিলাম ! রাত গভীর হইয়া গেলে চারিদিকে আল্লাহ আল্লাহ জিকির শুরু হইয়া যায় ! হঠাত চারিদিকে বাতি বন্ধ হইয়া গেলে অন্ধকারে জিকির করতে লাগলাম , মাদ্রাসার পোলাগো কইলাম অন্ধকার কইরা ভালই করছে , কারণ জিকির তো অন্ধকার-অল্প আলোতে করে জানি ! কিন্তু হঠাত কইরা গুলির আওয়াজ , আলো আর পুলিশ-রেবের চিত্কারে জিকির ফালাইয়া সবাই দেয় দৌড় ! আর এই কি সেই দৌড় , উল্টাইয়া পইরা আবার কোনো রকমে সোজা হইয়া এইছা দৌড় যে মনে হইছিলো কয়ডা দিন আগে বাংলাদেশ গেমস এ আইলে এরা নির্ঘাত সোনার মেডেল পাইয়া যাইত ! এগো ঈমানের জোর দেইখা আমি হাসুম না কাদুম কিছুই বুঝতে পারি নাই হেই সময় ! হেরা বলে আইছিল ধর্মের লইগা শহীদ হইতে ! ভুয়া গুলির আওয়াজ আর আলোর ঝলকানিতে শয়তানের মত পালাইয়া গেলো হক্কলে !

সাংবাদিক : এদিকে জামাত-বিএনপি বলছে যে হাজার হাজার লোক মারা গেছে পুলিশ-রেবের গুলিতে ! তুমি কি বলো ?

টোকাই : ডাহা মিথ্যা কথা ! পুলিশরে দেখছি যারা পালাইতে গিয়া পইরা গেছিলো , হেগো মাটির থিকা তুইল্লা পানি খাওইয়া পালাইয়া যাওয়ার পথ দেখাইয়া দিতে ! লঞ্চ ডুবলে আর গার্মেন্টসের বিল্ডিং ধৈস্সা পড়লে আমরা দেখছি কেমনে হাজার হাজার আত্তীয় স্বজন লাশের খোজে আইস্যা ভির করে , এই হানে ও তাই হইতো এতক্ষণে !

সাংবাদিক : তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ! তোমার মত আমাদের বিরোধী দল , সুশীল সমাজ যদি সত্য কথা বলতো তা হলে দেশ অনেকদুর এগিয়ে যেতো !
বিষয়: রাজনীতি
 
এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন | | প্রিয়তে রাখুন




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Very nice, logical criticism of the Prothom Alo survey!



Dear Probhash Amin,
 
Many thanks for your very nice, logical criticism of the Prothom Alo survey!
 
Have you read another logical criticism of the same item by  মোফাজ্জল হোসাইন সুমন,সাবেক সভাপতি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগোসিয়েশন এন্ড অরগানাইজেশনাল কনফ্লিক্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত.
 
I am posting his article too.

দৈনিক প্রথম আলোর জরিপ,

কিছু মানুষের বিজয়োল্লাস কিংবা কারো গালাগালি এবং আমার কিছু বিশ্লেষণ

লেখক: মোফাজ্জল হোসাইন সুমন,সাবেক সভাপতিঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি,

বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগোসিয়েশন এন্ড অরগানাইজেশনাল কনফ্লিক্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত

Mon, May 13, 2013, 10:40 am BDT

 

দৈনিক প্রথম আলোর -২০ এপ্রিলে পরিচালিত একটি জরিপ নিয়ে জনমনের প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। আমি সব সময় বিষয়ের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি, এখানেও করব। প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু তত্ত্ব কথা নিয়ে আসব, পরে ভাবলাম যে একজন গবেষকের ভাষায় নয় খুবই সাধারণ ভাষায় লিখব এবং সেই চেষ্টাই চালাব।  আমার টার্গেট গ্রুপ রাজনীতি সচেতন সবাই, কিন্তু তাদের সবার গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে আমার ধারণা নাও থাকতে পারে। তাই প্রথম আলো ধরনের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো পদ্ধতিতে গবেষণা করতে পারত কি পারত না সেই বিতর্কে আমি যাব না। তবে আমি কিছু প্রশ্ন করব যার উত্তর আপনারা নিজেরা মিলানোর চেষ্টা করবেন এবং সে বিষয়ে সিদ্ধান্তও আপনাদের।

 

অনেকেই বলছেন, মাত্র তিন হাজার মানুষের উপর চালানো জরিপে পরিপূর্ণ কোনো ফল বা চিত্র পাওয়া যায় না। আমি বলব যায়, সেই তিন হাজার জন যদি ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে মোটামুটি হলেও জ্ঞান রাখে। সহজ একটি উদাহরণ দেই, ধরুন আপনি বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের জন্য একটি জরিপ চালাচ্ছেন এবং আপনার জরিপে আপনি ১০০০০ জনের ইন্টারভিউ নিলেন যাদের অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে না তো আপনার সেই জরিপ আসলে কোনো কাজে দেবে না। ক্ষেত্রে আপনি যদি ৫০০ ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপরও জরিপ চালান সেটি বেশ উপযোগী হবে।

 

এবার লক্ষ্য করি, প্রথম আলো কোন কোন বিষয় এর উপর জরিপ চালিয়েছিল-

. নির্বাচনকালীন সরকার . দেশের চলমান পরিস্থিতি এই প্রেক্ষাপটে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ . জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ . বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের শঙ্কা এবং . বিতর্কিত বিভিন্ন দলের সাথে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জোটবদ্ধতা।

 

তো এরকম জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জরিপ চালানোর ক্ষেত্রে আমরা আসা করতেই পারি প্রথম আলো এই বিষয়ে যাদের সচেতনতা আছে তাদেরকে জরিপের নমুনা হিসেবে বেছে নেবেন। এই সাধারণ জ্ঞানটুকু আমরা আশা করতেই পারি।

 

চলুন দেখি প্রথম আলো তাদের প্রাপ্ত ফল কে কিভাবে প্রকাশ করেছে

. তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ

. শতকরা ৮৫ ভাগ মনে করে দেশের অবস্থা খারাপ

. শতকরা ৮১ ভাগ মনে করে, মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি সরকার

. প্রায় প্রতি জনে একজন মানুষ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে জানে না ( দয়া করে এই বিষয়টি একটু মাথায় রাখবেন)

. বেশির ভাগ মানুষ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিতর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্রব সম্পর্ক অপছন্দ করে

. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, প্রশ্নের জবাবে পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের মতামত প্রায় কাছাকাছি।

 

এবার আমার পয়েন্টগুলোতে আসছি।

 . প্রথম বিষয়টিতে আসছি, শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মত দিতে গিয়ে প্রথম আলো লিখেছে "আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার ব্যাপারে দেশের মানুষ প্রায় একযোগে মত দিয়েছে" দেখুন তাদের জরিপে নমুনা সংখ্যা ছিল ৩০০০। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটির উপর। ১৫ কোটি ধরলেও নমুনাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় লাখে জন। তো এক লাখ মানুষের মাঝে মাত্র জন মানুষের মত নিয়ে কিভাবে তারা সেটি লাখ মানুষের মত হিসেবে চাপিয়ে দেয় সেই প্রশ্নটি আপনাদের কাছে আর সেটি কতটুকুই গ্রহণ যোগ্য? চাপিয়ে দিয়েছে বলছি এই জন্য যে তারা যখন বলে "দেশের মানুষ একযোগে মত দিয়েছে" তখন ব্যাপারটি তাই দাঁড়ায়।

 

. এবার একটু ক্রম ভেঙ্গে নাম্বার পয়েন্টে আসছি। তারা জরিপে পেয়েছে যে দেশের প্রতি জনে একজন মানুষ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে জানে না অর্থাৎ দেশের কোটি মানুষের এই ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই! এটাকি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? এই মিডিয়ার যুগে যেখানে দেশের প্রায় সব যায়গায় ক্যাবল সংযোগ চলে গেছে সেখানে দেশের প্রায় কোটি মানুষ প্রায় মাস ধরে চলা আন্দোলন সম্পর্কে কিছুই জানবে না!

ধরে নিলাম শতকরা হিসেবে জনে এক জন জানে না। তো আমার প্রশ্ন যে শতকরা জনের একজন দেশে মাস ধরে আন্দোলন সম্পর্কে জানে না তারা কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জামায়াত নিষিদ্ধ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে কি নেবে না এই ব্যাপারগুলোর মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মত দেবে বা দিলেও সেটিকে আপনি কিভাবে জাতীয় মত হিসেবে গ্রহণ করবেন? সিদ্ধান্ত আপনাদের।

 

. প্রথম আলো তাদের পুরো রিপোর্টটি একটি লিঙ্কে দিয়েছিল।

http://www.prothom-alo.com/imagefiles/Opinion_Poll_April_2013.pdf

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-11/news/351302#Scene_5

 

 

এই লিঙ্কটি পরবর্তীতে মুছে দেয়। প্রশ্ন হলো আপনারা কেন এই তথ্যগুলো মুছে দিয়েছেন? ভয়টি কোথায়?

 

আপনারাতো রিপোর্টটি মুছে দেননি? তবে কেন রিপোর্ট এর পুরো বিবরণ মুছে দিয়েছেন? প্রিয় পাঠক কেন মুছে দিয়েছে আপনারাই উত্তরটি খুঁজে বের করুন।

তবে সৌভাগ্যক্রমে আমি সেটি সেভ করে রেখেছিলাম, কারণ সেটি দেখার পরই  একটি সন্দেহ আমার মনে জেগেছিল।

প্রথম কমেন্ট আপনারা সেই তথ্যের লিঙ্ক পাবেন। আসছি সেখানে,

 

. জরিপটি চালানো হয়েছে ১১৩৭ জন গ্রামীণ পুরুষ, ১১১৩ জন গ্রামীণ নারী, ৩৭৫ জন শহুরে পুরুষ ৩৭৫ জন শহুরে নারীর উপর

 

. যাদের উপর জরিপটি চালানো হয়েছে পেশাগত দিক বিবেচনায় তাদের সংখ্যা ৪৪. শতাংশই গৃহিণী অর্থাৎ ১৪৮৮ নারীর মধ্যে ১৩৪৪ জনই গৃহিণী এবং অধিকাংশই গ্রামীণ গৃহিণী। প্রশ্ন হল আমাদের এই গ্রামীণ গৃহিণীর কয়জন এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সচেতন, প্রশ্নটি আপনাদের কাছেই।

 

. এরপর কৃষকদের সংখ্যা ১৫. শতাংশ অর্থাৎ এই তিন হাজার জনের ৪৬২ জনই কৃষক। অনেকে বলতে পারেন কৃষকরা আমাদের বিশাল একটি অংশ এবং অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু তারা আমাদের রাজনীতি নিয়ে কতটুকু মাথা ঘামান সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ আর যদি সচেতনই হতেন আমাদের সমাজে কৃষকদের এই দুরবস্থা হতো না। বিবেচনার ভার আপনাদের। দেখুন এই তিন হাজার জনের মধ্যে ১৮০৬ জনই কৃষক এবং গৃহিণী।

 

. দেখুন আরো একটি ব্যাপার এই রাজনৈতিক অস্থিরতায় যারা বেশি দুর্ভোগের শিকার যেমন আমাদের গার্মেন্টের বোনেরা, কর্মজীবী নারী, তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব এই জরিপে ছিল না। কেন করা হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরটি আপনারাই খুঁজে বের করুন।

 

. এই অবস্থায় বেশি ক্ষতির শিকার হন বড় এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, তবুও দেখুন এই জরিপে তাদের প্রতিনিধিত্ব কী রকম। দশজনের বেশি কর্মচারী আছে রকম ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র . শতাংশ, অর্থাৎ পুরো জরিপে এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র জন, আর - জন কর্মচারী আছে এরকম ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। অথচ জামায়াত-শিবির এর তাণ্ডবে এবং বিএনপির হরতাল অবরোধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বোধ হয় তারা হয়েছেন। যেখানে গৃহিণীর সংখ্যা ১৩৪৪ সেখানে সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৪৫ জন, যাদের অধিকাংশই আবার অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

 

. এই জরিপে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল ইত্যাদি পেশায় জড়িত এরকম মাত্র জনের মতামত নেয়া হয়েছে, উল্লেখ্য কোনো অধ্যাপক বা সমমর্যাদার কারো অভিমত নেয়া হয়নি। সবচেয়ে মজার বিষয় যেটি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (পুলিশ, ট্রাফিক, আনসার ইত্যাদি) পেশার মাত্র জনের মতামত নেয়া হয়েছে। আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, পরিবহন মালিকদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়নি, কেন নেয়া হয়নি তারা কি জামায়াত-বিএনপির বিপক্ষে মতামত দিতেন কি না সে কারণে? না, সেটি আপনাদের বিবেচনা।

 

. এবার আসি শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায়। ২২. শতাংশ নিরক্ষর অর্থাৎ ৩০০০ জনের ৬৬৬ জন এর কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই, . শতাংশের অর্থাৎ ১১১ জনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৭৭, এটা কিভাবে সম্ভব যাদের কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই তারা এই জাতীয় ইস্যুতে সঠিক মত দেবেন আর আপনি সেটি জাতীয় মত হিসেবে চালিয়ে দেবেন।

 

. এর মধ্যে ১১. শতাংশের, মানে ৩৪৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণী বা তারও নিচে। এই অবস্থায় মোট সংখ্যা ১১২৫। ৫ম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আছেন ৩৬. জন মানে ১০৯৫ জন। অর্থাৎ তিন হাজার জনের কেউই ১০ম শ্রেণী পাশ করেনি। খুব জানতে ইচ্ছে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কিংবা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ ( অন্য অর্থে গণতন্ত্রের যবনিকা) এই বিষয়গুলোতে এই মানুষেরা কতটুকু সচেতন। প্রিয় প্রথম আলো তাদের সম্পর্কে আপনাদের দেয়া রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সত্যি বলে ধরে নিলে আপনারা যে বলেন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়, শাড়ি বা লুঙ্গির বিনিময়ে ভোট বিক্রি হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা এত সভা সেমিনার করেন, রাজনীতিবিদদের ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করেন, তো এই মানুষগুলো এত সচেতন হলে এই কালো টাকা যায় কোথায়? না কি অন্য কারো ভুঁরিভোজ হয় যাতে নির্বাচনের আগে কোনো জনপ্রতিনিধির কোনো বাজে খবর কোথাও না ছাপানো হয়।

 

সর্বশেষ যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আলোকপাত করব, সেটি হচ্ছে এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে কি নেবে না, এই বিষয়টি জনমনে আছে কি নেই সেই প্রশ্ন করার অধিকার প্রথম আলোকে কে দিয়েছে? তারা তো এই অবস্থায় জনগণ কী ভাবছে সেটিও জানতে পারত, যেহেতু তারা রাজনৈতিক সচেতন তাই বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কেও তারা নিশ্চিত জানত? কেন সেনাবাহিনী? প্রশ্ন রেখে গেলাম আপনাদের কাছে।

জয় বাংলা, জয় গণতন্ত্র।



--

দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন

সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন

 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু

 

শুভেচ্ছান্তে


Engr. Shafiqur  Rahman Anu
Auckland,
New Zealand
N.B.: If any one is offended by content of this e-mail, please ignore & delete this e-mail. I also request you to inform me by an e- mail - to delete your name from my contact list.


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___