[Attachment(s) from Sitangshu Guha included below]
বিএনপি শেষপর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদেরও একই পরামর্শ দেবে,'গিয়া যুইল্যা পর'
হেফাজতের পিঠে সওয়ার হয়ে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় যাবার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিনত হলো। কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি এখন বিএনপি-জামায়েত-হেফাজত। মান রাখি না কুল রাখি অবস্থা; ক্ষমতা দূর অস্থ; যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর চেষ্টাও ভেস্তে যাচ্ছে -দু:শ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে মৌলবাদী নেতাদের এবং তাদের বন্ধু বিএনপির। এদের কোমর ভেঙ্গে গেছে। হেফাজতকে দিয়ে কাজ হলোনা; অভূত্থানও হলোনা। তাই আবার হরতাল; তাও অসফল।
অন্যদিকে কামরুজ্জামানের ফাসীর রায় হলো। আনন্দে উচ্ছসিত হলো দেশ। বিএনপি-জামায়েত-হেফাজত প্রতিবাদ করতে ভুলে গেলো। হৈ-হুল্ল্যাহ-মারদাঙ্গা-জ্বালাও-পোড়াও হলো না। এর কারণ সরকার কঠোর হস্তে হেফাজতিদের নৈরাজ্য দমন করেছেন; ওরা ভীত-সন্ত্রস্থ। কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় একবার এক লোকের রাশি গণনা করে বলেছিলেন: 'আপনার মৃত্যু হবে কাশী-তে। ক'দিন পর এক মামলায় ঐ লোকের ফাসীর রায় হয়। ওই লোক তখন আবার ভানুর সাথে দেখা করে জানতে চান, তার তো মৃত্যু হবার কথা কাশীতে; কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মৃত্যু হবে ফাসিতে, এটা কি করে সম্ভব। ভানু সব শুনে তাকে বলেন: কাশী আর ফাসিতে তফাৎ শুধু 'ক' আর 'ফ' এবং তারপর তাকে পরামর্শ দেন, 'গিয়া যুইল্যা পর'। ধারণা করি বিএনপি শেষপর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদেরও একই পরামর্শ দেবে,'গিয়া যুইল্যা পর'।
হেফাজতকে নিরাপদে ঘরে পাঠিয়ে সরকার একদিকে যেমন বিএনপি-জামাতী ষড়যন্ত্র নস্যাত করেছেন, তেমনি জনগনের আস্থা অর্জন করেছেন। এটা শুভ লক্ষণ। দেশে-বিদেশে এতে সরকারের ভাবমুর্তি বেড়েছে। স্থিতিশীলতা রক্ষা সরকারের দায়ীত্ব; সরকার সাফল্যের সাথে তার দায়ীত্ব পালন করেছেন। ধন্যবাদ। সামনে যুদ্ধাপরাধীদের রায় হবে এবং রায় কার্যকর করার সময় বিএনপি-জামাত-হেফাজত সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইবে; সরকার কঠোর থাকলে সমস্যা হবে না। স্থিতিশীলতা রক্ষা করতেই হবে। মৌলবাদ ও তাদের সৃস্ট সন্ত্রাস ঠেকাতে হবে। এ দুটো হলে মহাজোট সামনে জনতার ভোট আবার ক্ষমতায় আসবে। সমস্যা ছিলো, আছে এবং থাকবে; কিন্তু শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকলে জয় সুনিশ্চিত।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীর রায় কার্যকর হতে শুরু করলে বিএনপি-জামায়েত মাখামাখি কমবে বা বন্ধ হবে। একেবারে বন্ধ হবে বলে মনে হয়না। কারণ এরা একে অপরের পরিপূরক; একজন ছাড়া অন্যজন অচল। তবে কিছু সময়ের জন্যে হলেও সম্পর্ক শীতল হবে। নির্বাচন হবে ওই সময়টায়। প্রধান প্রধান যুদ্ধাপরাধীরা নাই; বিএনপি-জামাত অসংগঠিত; নির্বাচনের জন্যে উপযুক্ত সময় বটে। তবে তত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় নির্বাচনের প্রশ্নে কিছুটা সমস্যা থাকলেও এরআগে একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান বেরিয়ে আসবে। যে পদ্ব্তিতেই নির্বাচন হোক না কেন, জয় হবে মহাজোটের। বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের মাধ্যমে একই সরকার পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসার একটি রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
নির্বাচন নিয়ে এ লেখা নয়। মুসাভাই'র সদ্য এক কলামে দেখলাম তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনা সঠিক; খালেদা ভুল। অর্থাৎ মুশাভাইর মত যারা অভিমানে দুরে সরে গিয়েছিলেন তারাও ঘরে ফিরে আসবেন। প্রগতিশীল শক্তি চায়, এই সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসুক। আশার আলো দেখতে চায়; শুনতে চায় অভয় বাণী। দেশে দেশে স্বাধীনতার নেত্রিত্ব দেয়া দল সবসময়ই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে; বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ ছিলো এর ব্যতিক্রম। ৪২ বছর পর হলেও এর প্রয়োজন এখনো আছে। কারণ, দেশকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে অর্থাৎ যে মন্ত্রে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো সেই লক্ষে পৌছে দিতে এটা প্রয়োজন। 'লেট বেটার দ্যান নেভার'--দেরিতে হলেও এটা ভালো।
দেশ উল্টো পথে হাটতে পারেনা। দেশ মিনি-পাকিস্তান হতে পারেনা। আফগানিস্তান হতে পারেনা। বাংলাদেশ বাঙালির; জয় বাংলা আমাদের শ্লোগান; লাল-সবুজ আমাদের পতাকা। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি- আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। যাদের এসব পছন্দ নয়; বাংলাদেশ তাদের নয়; তারা তাদের পছন্দমত দেশে পাড়ি জমাতে পারেন; পাকিস্তানে যেতে পারেন; বা অন্য যেখানে খুশি যেতে পারেন। বাংলাদেশ থাকতে চাইলে এসব মেনেই থাকতে হবে। মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একবার ওদের সুযোগ দিয়েছিলেন মানুষ হবার জন্যে। ওরা মানুষ হয়নি। দেশের মানুষ বা শাহাবাগিরা বঙ্গবন্ধু নন, আর সুযোগ দেয়া চলবে না। সামনের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এই ফয়সালা হোক, দেশ চলবে গণতান্ত্রিক পদ্বতিতে এবং দেশ চালাবে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি।
Attachment(s) from Sitangshu Guha
1 of 1 File(s)
__._,_.___