Banner Advertiser

Sunday, September 15, 2013

[mukto-mona] বিএনপি আর স্বাধীনতা বিরোধীদের মিথ্যাচার !!



বিএনপি আর স্বাধীনতা বিরোধীদের মিথ্যাচার !! 

১ . রক্ষিবাহিনী নাকি ভারতীয় সসস্ত্রবাহিনীর সদস্য দের দ্বারা গঠিত ছিল ৷ '৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর একজন ভারতীয়কেও খুঁজে পাওয়া যায়নি রক্ষিবাহিনিতে ! উল্টো সেই দিন পুরো বাহিনিকেই বাংলাদেশ আর্মিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো ৷

২ রক্ষীবাহিনীর হাতে নাকি ত্রিশ হাজার জাসদ কর্মী নিহত হয়েছিলো ! কিন্তু '৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর একটি পরিবারও নিহতদের বিচার চেয়ে এগিয়ে আসেনি বা বিচার চায়নি ! ( অনেকটা শাপলা চত্তরের মত মিথ্যা প্রচার) !

৩ বিএনপি এবং তার সমর্থকরা গলাবাজি করে আসছে যে জিয়া নাকি '৭৫ এর পর দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করে , ডাহা মিথ্যা কথা ! আসল কথা হলো সেই সময় দেশে ১৮ টি দল থাকা সত্তেও জিয়া '৭৫ এর নভেম্বরে বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য দলগুলোকে ভেঙ্গে চার বছর পর বিএনপি গঠন করেন আর সেই দল নিয়ে গণতন্ত্রের লেবাসে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন তার ছিলো !

৪ বিএনপির নেতৃত্তাধীন স্বাধিনতাবিরধীরা দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার করে আসছিলো যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ নাকি ভারতের করদ রাজ্যে পরিনত হয়ে যাবে আর দেশে নাকি ইসলাম ধর্ম থাকবে না , মসজিদে নাকি আযানের পরিবর্তে উলুধ্বনি হবে ! এই অপপ্রচারের পরও আওয়ামী লীগ দুই দুইবার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু তার কিছুই হয়নি !

৫ ফারাক্কা বাঁধ নিয়েও কম অপপ্রচার হয়নি ! আওয়ামী বিরোধীরা এতদিন বলে এসেছে যে ফারাক্কার জন্য নাকি বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাবে ! কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে দেশের উত্তরাঞ্চলে মরুভূমির বদলে সবুজ বিপ্লব ঘটে গেছে ! ফারাক্কা বাধের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে আবাদী জমির সীমানা বেড়ে গেছে , প্রলয়ংকরী বন্যা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে , বাম্পার ফলন হয়েছে আর মঙ্গাও দূর হয়ে গেছে !

৬ দুর্নীতি নিয়েও কম অপপ্রচার হচ্ছে না ! খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব হিসাবে ফালু আর হারিস চৌধুরী যে ভাবে "আঙ্গুল ভুলে কলা গাছ" হয়েছে , জননেত্রী শেখ হাসিনার বেলায় তার কিছুই হয়নি ৷ তা ছাড়া বাংলাদেশের ধনী লোকদের তালিকা করলে দেখা যাবে যে তাদের ৭০% বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত , যাদের বেশির ভাগ দুর্নীতি করে ধনী হয়েছে !
বিষয়: রাজনীতি
২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশি হাইকমিশনার




নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশি হাইকমিশনার

মৃনাল হাসান০৬ আগস্ট,২০১৩
মৃনাল হাসান

আমেরিকা নরেন্দ্র মোদীকে তাদের দেশে যেতে ভিসা দেয়নি। কারণ তার হাতে রক্ত, সংখ্যালঘু মুসলিমদের রক্ত। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, 'আমি নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না।'

২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উগ্রবাদী হিন্দুরা প্রায় দুই হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। গুজরাট বিধানসভার সাবেক সদস্য ও কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরিও ওই দাঙ্গায় নির্মমভাবে নিহত হন। মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই দাঙ্গায় তিনি উগ্র হিন্দুদের মদদ দিয়েছিলেন এবং ওই সময়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দাঙ্গা প্রতিরোধে কার্যকারি কোনো ব্যবস্থা তিনি নেননি।

কিছুদিন আগেও এই চরম উগ্রবাদি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'রাস্তায় একটি কুকুরের মৃত্যুতেও তিনি ব্যথিত হন। কিন্তু মুসলমানের মৃত্যুতে তিনি কষ্ট পান না।'

২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। মোদীকে সামনে রেখেই বিজেপি তাদের নির্বাচনী ছক কষছে। এতে দলের ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের উদারপন্থি শরিকরা নাখোশ। প্রতিবাদে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এনডিএ জোট থেকে ইতোমধ্যে বেরিয়ে গেছেন।

এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, যিনি বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার অন্যতম ক্রীড়ানক এবং অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের উপর রামমন্দির নির্মাণে বদ্ধপরিকর, তিনিও দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন- মোদিকে দলের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ প্রচারণার দায়িত্ব দেয়ার কারণে।

পরে দলের সিনিয়র নেতা ও সভাপতির অনুরোধে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন আদভানি। নিজ দলেও মোদী একজন বিতর্কিত এবং সারা ভারতেও তিনি বিতর্কিত। তার এই বিতর্কিত অবস্থান সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এবং ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম নিধনযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয়ায়।

কয়েকদিন আগে এই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার তারিক এ করিম। তার এ সাক্ষাৎ নিয়ে ভারতে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির টেলিগ্রাফ পত্রিকা মন্তব্য করেছে, এই বৈঠক বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগকে কতটা সাহায্য করবে তা বলা না গেলেও নরেন্দ্র মোদীর ওয়েবসাইটে এই সৌজন্য সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে।

অনুমান করা যায় আগামী দিনে নির্বাচনী প্রচারেও এই সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হবে যে, শুধু ভারতের মুসলমানদের কাছেই নয়, ভারতের বাইরের মুসলমানদের কাছেও নরেন্দ্র মোদী সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন।

শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারিক এ করিমকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ভারতে হাইকমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারের আস্থাভাজন তারিক এ করিম সরকারের নির্দেশেই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

আর এই সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে বিজেপিকে রাজি করানো। আওয়ামী লীগ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতও বাংলাদেশে এই দলটিকেই তুলনামূলক পছন্দ করে, তবে প্রকাশ্য উদারনীতি কথা বলে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ভালো অবস্থানে।

মহাজোট সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ এই সময়ে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান না হওয়া সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। তাই শেষ মুহূর্তে এসে দিল্লির সঙ্গে একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে মরিয়া ঢাকা। মনমোহন সরকারের মনোভাবও ইতিবাচক। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর সমর্থন না পাওয়ায় সরকার কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারছে না।

কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য বিরোধী দল বিজেপি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে। মনমোহন সরকার এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কারণ, লোকসভা ও রাজ্যসভায় তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, যার জোরে তারা কোনো চুক্তি বিল হিসেবে পাস করাতে পারবে। তাই বিরোধী দলের দারস্থ হতে হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দল না রাজি। 
ভারত সরকার যখন ব্যর্থ তাদের বিরোধী দলকে রাজি করাতে, তখনই সেই প্রায় অসম্ভব মিশনে নেমেছে বিদেশ সফরে রেকর্ডধারী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মি. করিম। এই কারণেই মি. করিম নিজ উদ্যোগে সাক্ষাৎ করেছেন মোদীর সঙ্গে।

কয়েকদিন আগে দীপু মনি সাক্ষাৎ করেছেন লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে। উদ্দেশ্য তাদের সমর্থন আদায় করা। কিন্তু কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার ভাষ্যমতে, দীপু মনিকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। দীপু মনির সর্বশেষ চেষ্টা, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মি. করিমের বৈঠক, যদি তাদের মন গলানো যায়। বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘ ইতিহাস পাঠে, মনে হয় না কিছু হবে।

তবে এই বৈঠকে লাভবান হয়েছে মোদী নিজে। সে তার কলঙ্ক আড়াল করার প্রয়াস পেয়েছে। ইতোমধ্যে বিজেপির ওয়েবসাইটে ওই বৈঠকের ছবি ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, ভোটারদের কাছে একটা বার্তা পেছানো হচ্ছে যে, মুসলিম বিশ্বের কাছেও মোদীর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রতি এই ভারতের বৈরী নীতির খেশারত দিতে হচ্ছে। আমাদের পদ্মা নদী শুকিয়ে গেছে ফারাক্কার কারণে, তিস্তা, ফেনী নদীর ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি। সিলেটকে মরুভূমি বানাতে টিপাইমুখে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা ঝুলে আছে। সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বিএসএফের নিত্যকর্ম। বাদ ছিল ট্রানজিট, সেটাও দেয়া হয়ে গেছে। বিনিময়ে তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তাও ভারত আটকে দিয়েছে বিরোধী দলের অসম্মতির অজুহাতে।

আমাদের সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে গোপনে, বিরোধী দল এবং জনগণ তার কিছুই জানতে পারে না। আর ভারত সরকার বিরোধী দলের সমর্থন ছাড়া আন্তর্জাতিক চুক্তি করে না। সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস পাঠে আমাদের বোধোদয় হলো না। উদার হস্তে তাদের দিয়ে চলেছি, কিছুই আটকে রাখতে পারিনি। আর সর্বশেষ এমন একজন ব্যক্তির দারস্থ হতে হলো, যার হাতে রক্ত, যার রাজনীতি সংখ্যালঘু মুসলিম হত্যার কলঙ্কে নিমজ্জিত।

লেখক: ব্যাংক কর্মকর্তা
ই-মেইল: mreenalhasan@yahoo.com


  1. Bangla envoy meets Modi - bdnews24.com

    গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দীর্ঘ বৈঠক

    ৮ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২ |








__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] The Life of Buddha [Please watch videos]



I have special appreciation for Buddhism. I have so far watched the last words of Buddha. It is excellent. 

Sent from my iPhone

On Sep 14, 2013, at 12:53 PM, Sudhir-Architect <ar_sudhirkumar@yahoo.com> wrote:

 

Please watch videos:

Buddha - A Documentary About Buddhism
56.33 Mins

The Last Words of the Buddha 8.10 Mins


http://www.youtube.com/watch?v=GBL1PGYDXII

Seven Wonders of the Buddhist World (full documentary) 1.14.02 Mins

The Legend of Buddha (Buddhist Film) HQ 1.27.25 Mins

The Life of Buddha (BBC Documentary) + Eng Sub (HQ)


49.48 mins
 
Thanks & Regards,


Sudhir Srinivasan
B.Arch, MSc.CPM, Dip.ID, Dip.CAD, Dip.PM, Dip.LD
| Architect |




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] তালেবানদের ‘বাবা’



তালেবানদের 'বাবা'

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ২০:৪৪, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৩
      

দারুল উলুম হাক্কানি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সামি উল-হক। ছবি: রয়টার্সখ্যাতি তাঁর তালেবানদের 'বাবা' হিসেবে। পাকিস্তানের কট্টরপন্থী এ মৌলভি তালেবান বাহিনীর নেতা মোল্লা ওমরকে মনে করেন 'ফেরেশতার মতো মানুষ'। তিনি এমন এক মাদ্রাসা চালান, যেটিকে তিনি 'জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়' বলে প্রচার করেন।

ইনি মাওলানা সামি উল-হক। চোখে চশমা পরেন, কথা বলেন নিচু স্বরে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অনেক মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। দুদেশের তালেবানদের ওপরেই তাঁর সমান মতাদর্শিক প্রভাব।

আফগান সীমান্তের কাছে এক সাদামাটা ও ধূলিময় পাকিস্তানি শহরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দারুল উলুম হাক্কানি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি মহাসড়ক থেকে বেশ খানিকটা ভেতরে। ১৯৯০-এর দশকে এ মাদ্রাসাটি থেকেই তালেবান আন্দোলনের উত্পত্তি। এটি এখনো উগ্র ইসলামপন্থী তৈরির এক বিশাল কেন্দ্র।

সম্প্রতি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সামি উল-হক কোনো রাখঢাক ছাড়াই তালেবানদের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানান। পশতু ভাষায় 'তালেবান' শব্দের অর্থ 'শিক্ষার্থী'। তিনি তাঁর তালেবানদের প্রতি এতটাই সন্তুষ্ট যে, তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস খুব শিগগিরই তালেবানেরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরবে। সামি উল-হক তাঁর নিজ শহর আকোরা খাত্তাকে বসে রয়টার্সের প্রতিনিধিকে সাক্ষাত্কার দেন।

সামি উল-হক বলেন, 'ওদের শুধু একটা বছর সময় দিন, পুরো আফগানিস্তানে ওরা সুখ-শান্তি এনে দেবে। পুরো আফগানিস্তান ওদের পক্ষে চলে যাবে। আমেরিকানরা চলে গেলে, মাত্র এক বছরেই এসব ঘটবে।'

তালেবানদের সঙ্গে সামি উল-হকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকলেও, তাঁর মাদ্রাসা পাকিস্তান সরকারের অনুমোদিত। তালেবানদের নিয়ে পাকিস্তান সরকারের দ্বিধান্বিত মনোভাবের একটি পরিচয় এ ঘটনার মধ্যদিয়েই মেলে।

সামি উল-হক স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর গলায় গলায় পিরিত। কাবুলের সরকার দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের দ্বিমুখীনতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। কাবুল বলছে, ইসলামাবাদ একই সঙ্গে উগ্রবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে আবার প্রকাশ্যে ওইসব উগ্রবাদীদের দমনের জন্য হম্বিতম্বি করছে।

১৯৮০-র দশকে দারুল উলুম হাক্কানির শিক্ষার্থীরা বই ফেলে হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত কমিউনিস্টদের হটাতে তারা মার্কিন বাহিনী ও আফগান মুজাহিদিনদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। এদের অন্যতম মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী লেজ গুটালে তিনি তালেবান আন্দোলন শুরু করেন। ধারণা করা হয়, এখন তিনি আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের পশতু এলাকায় লুকিয়ে আছেন।

সামি উল-হক যখন মোল্লা ওমর প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর চেহারা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ওমর এখন কোথায়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জোরে হেসে ওঠেন। বলেন, 'সে খুব ধার্মিক মুসলমান, খুবই ধর্মপ্রাণ। যথেষ্ট অতিথিপরায়ণ। কোনো রাজকীয় আকাঙ্ক্ষা নেই বলে সে খুব সাদামাটা।'

উর্দু ও পশতু ভাষায় সামি উল-হক আরও বলেন, 'সে খুবই বুদ্ধিমান। রাজনীতি বুঝে আর বহিরাগতদের চালাকি সহজেই ধরতে পারে।... সে তো কোনো আক্রমণকারী নয়, ফেরেশতার মতো মানুষ।'

সামি উল-হকের মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠা ১৯৪৭ সালে। এটি দেওবন্দ ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় পরিচালিত। উঁচু দেয়াল ও কাঁটাতারে ঘেরা এ মাদ্রাসাটিতে এখন প্রায় চার হাজার ছাত্র পড়াশোনা করে। 

সামি উল-হক বলেন, তাঁর ছাত্রদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার বিষয়টিও জানান তিনি: 'গত জুলাই মাসে পাকিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে এসেছিলেন। তিনি এ অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।' তবে সামি উল-হক জানান, যত দিন আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি সেনারা থাকবে, তত দিন শান্তির কোনো আশা নেই। তিনি বলেন, 'এটি মুক্তির জন্য যুদ্ধ। বিদেশিরা চলে না যাওয়া পর্যন্ত এটি থামবে না।'

ধারণা করা হচ্ছে, সামি উল-হকের তত্পরতায় তালেবানেরা আলোচনার টেবিলে ফিরবে। কিন্তু তালেবানেরা কি তাঁর কথা শুনবে?

সামি উল-হক বলেন, 'ওরা আমার ছাত্র। আমাদের রীতিতে, শিক্ষক হলেন বাবা, একজন আধ্যাত্মিক নেতার মতো। মুক্তির জন্য আফগানদের লড়তে দেওয়া উচিত। বিদেশিরা চলে যাক, তারপর ওরা যা করতে চায় করুক।'

http://www.prothom-alo.com/international/article/47596/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E2%80%99

পাঠকের মন্তব্য ( ৮ )

  • User Picture
    রুবেল হাসান২০১৩-০৯-১৫ ২১:০১ via computer
    ১১

    পাকিস্তান রাষ্ট্রটা অল্পদিনে ধ্বংস হবে , অবশী আলামত ইতিমদ্ধে দেখা দেওয়া শুরু হয়েছে ।

  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২১:১৮ via computer
    ১১

    আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলোর দিকে বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসার দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।আমার আশঙ্কা হয় এরা না জানি কখন ওইসব বর্বর তালেবানদেররূপ পরিগ্রহ করে! বিশেষভাবে ধর্মীয় শিক্ষায় সংস্কার আনা জরুরী বলে মনে করছি। যুগ যুগ ধরে হাদিস ও অন্যান্য নামে ইসলামের মধ্যে যে ইহুদীবাদী ইসরাইলী সংস্কৃতি ঢুকেছে সেগুলোর মূলোৎপাটন জরুরী মনে করছি। পুরনো মান্ধাতার আমলের ধর্মীয় শিক্ষাই এসব জঙ্গি উৎপাদনের মূল কারন।

    • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২২:২৯ via computer
      ১০

      আপনি লিখেছেন, "যুগ যুগ ধরে হাদিস ও অন্যান্য নামে ইসলামের মধ্যে যে ইহুদীবাদী ইসরাইলী সংস্কৃতি ঢুকেছে সেগুলোর মূলোৎপাটন জরুরী মনে করছি।" ইসলাম সম্পর্কে কতটা অজ্ঞতা ও বিদ্বেষ, থাকলে একজন লোক এরকম কথা বলতে পারে,এটা সুস্থজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের বুঝার কথা। সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের উচ্ছিষ্টই যাদের রুটি-রুজিরএকমাত্র অবলম্বন, তাদের কাছে সত্য কোনদিনই ভাল লাগবেনা এটাই স্বাভাবিক।

  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২১:৫৮ via computer
    ১২

    বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের (গ) রাষ্ট্র "সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন৷" তালেবানরা যেহেতু সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সুতরাং বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদেরকে সমর্থন করাইতো রাষ্ট্র ও জনগণের দায়িত্ব। নাকি, আফগানিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৈতৃক সম্পত্তি ?

    • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২২:৩১ via computer

      তা, সবক্ষেত্রে সংবিধান মানেন তো? বিশেষ করে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা,তক্তাব্ধায়ক সরকারের বিলুপ্তিসহ সকল বিষয়? আফগানিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৈতৃক সম্পত্তি না,আবার কিছুদিন আগে তালেবানদের হাতে নিহত সুস্মিতা, বিন লাদেন-টুইন টাওয়ারে নিহতরা-ধর্মের নামে মিথ্যা বলে হত্যা করা মানুষেরা-শিক্ষার জন্য তৈরি স্কুল কলেজ-বৌদ্ধদের বামিয়ানে ধর্মীয় মূর্তি-ইসলাম ধর্মত্যাগী লোকেরা এরা কেউই তালেবানদের পৈতৃক সম্পত্তি না।

  • User Picture
    Akhter Hossain২০১৩-০৯-১৫ ২২:১২ via computer

    koomi Madrasha Taliban style . lets wait and see they will make Bangladesh Afghanistan .

  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২৩:০৭ via computer

    তার মানে, সংবিধানের যেটুকু আপনাদের মন মত সেটুকু মানবেন !

  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১৫ ২৩:২২ via computer

    তার আফিম আর হিরোইন চাষাবাদের খামারের কথা কিছু বললেন না ??




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Popular Joy , Electrifies People !!!!



টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ জয়ের নির্বাচনী প্রচারে মানুষের ঢল
মহিউদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্বাচনী প্রচারে জনতার ঢল নামে। টঙ্গী থেকে শুরু করে মুক্তাগাছা পর্যন্ত পথে পথে নানা বয়সী মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারাভিযানের প্রথম দিন রবিবার তিনি টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত একাধিক পথসভায় বক্তৃতা করেন। এ সব পথসভায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে প্রতিটি মানুষের আবাসন নিশ্চিত করবে। আয় বাড়বে দ্বিগুণ। দেশে প্রতিষ্ঠা করা হবে কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ ইলেক্ট্রনিক্স কারখানা। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে অন্ধকার নামবে। দেশে আবার ফিরে আসবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বোমাবাজ, জঙ্গীবাদ এবং সেই হাওয়া ভবন। নারীরা হারাবে চাকরি; মানুষ না খেয়ে মরবে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে পথে পথে হাজার হাজার ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়। নৌকা প্রতীক সংবলিত তোরণও দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তার দুই ধারে সব শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও সেøাগানে-সেøাগানে জয়কে স্বাগত জানান। গাড়িবহরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। এ সময় জয়ও গাড়ির মধ্য থেকে হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। 
সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে টঙ্গী টিএসসি কলোনি মাঠের প্রথম পথসভায় উপস্থিত হলে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেন। টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন জয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি গাজীপুর চৌরাস্তার চান্দনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হয়ে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আ ক ম মোকাম্মেল হক এমপির সভাপতিত্বে আরেকটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পথসভাগুলো হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে জনসভায় রূপ নেয়। জয়কে দেখতে সমবেত সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। 
এ সব পথসভায় সমবেত মানুষের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন জয়। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেবেন কিনা? এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ হাত তুলে নৌকায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করেন। 
জয় বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেব। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আরও বাড়ানো হবে। টঙ্গী-গাজীপুরে ইলেক্ট্রনিক্স ফ্যাক্টরি বানাব, সেখানে আপনারা চাকরি পাবেন। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হবে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত সময়ে যেখানে অন্ধকার ছিল সেখানে বিদ্যুত দিয়েছি। আপনাদের এই ফ্যাক্টরি আর বন্ধ করতে হচ্ছে না, কাজ করতে পারছেন। পানি, বিদ্যুত, গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছি। 
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করব; সে ওয়াদা রক্ষা করেছি। দেশের উন্নয়ন করার কথা ছিল; আমরা করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল, আমরা করেছি। এখন মোবাইলে টাকা পাঠাতে পারছেন। সব শ্রেণীর মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে বেতন-ভাতা আরও বাড়াব। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ছিল, প্রতিবছর বোমা হামলা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হতো। আহসানউল্ল¬াহ মাস্টার ও শাহএএমএস কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলা করে আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেখানে ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। সে সময় ৪০০ নেতাকর্মী আহত হন। সবই হয়েছিল হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায়। 
বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত বিপ্লব' সমাপ্ত এবং ভিশন-'২১ বাস্তবায়নে আবারও আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আমাদের ওয়াদা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করব; ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। আমরা সে কাজ অর্ধেক শেষ করতে পেরেছি। বাকিটুকুও শেষ করতে চাই। এ জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। 
তিনি রবিবার দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ সার্বিকভাবে এগিয়ে যাবে। চলতি মেয়াদে আমাদের সরকার মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছে। আবারও ক্ষমতায় এলে এ আয় আরও দ্বিগুণ করা হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। মানুষের চাকরির পথ প্রশস্ত হবে। 
গাজীপুরে দুটি নির্ধারিত পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ভালুকায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর অনুরোধে আরও দুটি অনির্ধারিত পথসভায় যোগদান করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ভালুকা বাজারের রায়হানা মার্কেটের সামনে পথসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান। 
বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, বিএনপির পাঁচ বছরে দেশে সন্ত্রাস, হত্যা, জঙ্গীবাদ ছিল। তারা ক্ষমতায় এলে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে ফিরে আসবে জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি ও কালো দিন। ফিরে আসবে হাওয়া ভবন। বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যাবে, দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। 
জয় বলেন, বিএনপি আমলে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আমরা সেই সন্ত্রাস কমিয়েছি। গত সাড়ে চার বছরে একটি বোমা হামলাও হতে দেইনি। তিনি বলেন, বিএনপিপন্থীরা বলছে, নারীরা ক্লাস ফাইভের বেশি পড়তে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মেয়েরা চাকরি হারাবে, তাদের আয়-উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, তা বন্ধ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি তাও বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের উন্নয়নকাজের বিবরণ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমরা দেশকে দুর্নীতি কমিয়ে বিশ্বের ৪০তম স্থানে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আরও কমাব। আগামীবার ক্ষমতায় এলে গাজীপুরের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স কারখানা করে দেব। রেডিও-টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফ্রিজ এখানে তৈরি হবে। মানুষের আয় আরও বাড়বে। 
গাজীপুরে পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তিনি দুটি অনির্ধারিত সভায় বক্তব্য রাখেন। আবু রায়হান মার্কেট ও ভালুকায় তিনি হ্যান্ডমাইকে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দেয়ার বিকল্প নেই। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে আবার জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ফিরে আসবে। তিনি দুপুরের খাবার খান ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসে। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাক্ষাত করেন। দুপুরের খাবার শেষ করে তিনি মুক্তাগাছা জনসভায় যোগ দেন। সেখানে লাখো জনতার কাছে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার জন্য ভোট চেয়ে বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, আপনাদের আয় হবে দ্বিগুণ। ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়া হবে। আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। একাত্তরে সোনার বাংলা গড়ার বিপ্লব শুরু করেছিলেন আমার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বিপ্লব গত নির্বাচনে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুরু করেন। সে বিপ্লবের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করতে হবে। পুনরায় নির্বাচিত হলে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চেহারা পরিবর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জয় বলেন, এখানে আমার নানা এসেছেন তিনবার, আমি এসেছি প্রথমবার। আবারও আসব। ইচ্ছা ছিল সারাদেশ ভ্রমণ করে গত ৫ বছরে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখব। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেছি। ওয়াদা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভাকে প্রথমশ্রেণীতে উন্নীত করব, তা করেছি। ১৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৪ হাজার ক্লিনিক, সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি উন্নয়ন করার। সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছি। বিএনপি কিছুই করেনি। মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ওয়াদা ছিল ডিজিটাল ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ব, করেছি। এখন আপনারা মোবাইলে টাকা পাচ্ছেন, টাকা পাঠাতে পারছেন। আমাদের সাড়ে ৪ বছরে কোন বোমা হামলা হয়নি। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে পারছে না। ওয়াদা করছি, রূপকল্প-'২১ বাস্তবায়ন হলে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ। যেখানে দারিদ্র্য, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে প্রতিবছর মঙ্গা হতো, খাদ্যের অভাবে মানুষ মারা যেত। সেই জায়গায় এ সাড়ে ৪ বছরে একটি মানুষও খাদ্যাভাবে মারা যায়নি। জয় বলেন, জঙ্গীরা লাইন দেয়ার অপেক্ষায় আছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে আছে। প্রতিসপ্তাহে আমরা তাদের গ্রেফতার করছি। বিএনপির আমলে দেশকে বলা হতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। এখন বাংলাদেশ রাইজিং স্টার। আমরা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই না। দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেখানে নিচু করতে পারি না। এ জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। আপনারা নৌকায় ভোট দিলে দারিদ্র্য আসবে না। 
কেএম খালিদ বাবু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনতার ভারে কানায় কানায় ভরে যায়। মুক্তাগাছার সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জিমনেসিয়ামে কর্মিসভায় যোগ দেন জয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি। 
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল হোসেন, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জোবায়দুল হক রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (গণমাধ্যম) মাহবুবুল হক শাকিল, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন এবং আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক হাসিবুর রহমান।
পথে পথে তোরণ ॥ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ময়মনসিংহ আগমন উপলক্ষে টঙ্গী থেকে শুরু করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় তোরণ নির্মাণ করেন আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জনতার ভালবাসয় সিক্ত ॥ বিমানবন্দর পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার দুই ধারে প্রচ- রোদ উপেক্ষা করে মানুষ দাঁড়িয়ে জয়কে অভিনন্দন জানান। তিনিও হাত নেড়ে সাধারণ মানুষের অভিনন্দণের জাবাব দেন। 
দেয়াল লিখন ॥ জাতির জনকের দৌহিত্রের আগমনকে সামনে রেখে পুরো জেলার দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন সেøাগান লেখা হয়। তাঁকে বাংলার আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা আখ্যায়িত করা হয়। আরও লেখা হয়েছে ভিশন-'২১ এর সফল রূপকারের আগমন ময়মনসিংহবাসীর জন্য গর্বের। 
পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ॥ রাস্তার দুই ধারে, রোড ডিভাইডার, দোকানপাট, বিল্ডিংয়ের ছাদে বড় বড় বিলবোর্ড, ডিজিটাল পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো হয়। 
মোটর শোভাযাত্রা ॥ দুপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসে মোটরসাইকেল মিছিল নিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান তরুণরা। 
প্রার্থীদের শোডাউন ॥ জয়ের নির্বাচনী প্রচার অভিযানের এ সফরকে কেন্দ্র করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান ও জনসমর্থন তুলে ধরতে ব্যাপক শোডাউন করেন। ভালুকা, ত্রিশালসহ ভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের পক্ষে কর্মীদের সেøাগান দিতে দেখা যায়।
তারুণ্যের উদ্দীপনা ॥ জয়ের ময়মনসিংহ সফরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। তিনি তাঁর গাজীপুরের পথসভায় শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যত আখ্যায়িত করে উৎসাহিত করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা তাঁর বক্তব্যে অবিভূত হয়ে হাততালি দিয়ে তাঁর বক্তব্য শ্রবণ করে।
স্থানীয় পত্রপত্রিকায় জয়ের আগমনের খবর ॥ স্থানীয় পত্রপত্রিকায়ও জয়ের ময়মনসিংহ আগমনকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। দৈনিক মাটি মানুষসহ সব পত্রিকার শিরোনাম ছিল জয়ের এ সফরকেন্দ্রিক। 
আজ টাঙ্গাইলে সমাবেশ ॥ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের মধুপুর রানীভবানী মাঠে সজীব ওয়াজেদ জয় সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। দুপুর ১২টায় রানীভবানী হলে কর্মিসভায় অংশগ্রহণ করবেন তিনি। বিকেল ৪টায় মির্জাপুর আব্দুল গণি হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৫টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___