Banner Advertiser

Thursday, November 14, 2013

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'চেনাফুল'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'চেনাফুল'

চেনা ফুল তোমায় খুঁজে দিতে;
কত বুনো ফুল হারাবে আমায়,
দুপুর মন আমার; ভিজবে বলে;
চেয়ে রয় আজো, অনিশ্চিত
অতৃপ্তিতে।

এই ভালো এই অধরার খেলা
বেয়ে চলা; কুলে নয় ভেড়া,
অবশিষ্ট আমাতে; এই ভালো লাগা,
স্বেচ্ছা বিলাসে; অস্পৃশ্য সেই
চলাচল।

মুখোমুখি হবার এক ইউটোপিয়া
ক্ষনে;
দেখবে আমায় তুমি অদ্ভুত চোখে,
অপ্রুস্তুত ভানে আমিও দেখবো
তোমায়,
মরিচিকা ভেবে; হয়তোবা কোন
ভ্রান্তিবিলাসে।


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=38079

You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.

Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] এস.ডি.বর্মন ।



শচীন দেববর্মণের কুমিল্লার আদি নিবাস কি রক্ষা করা যায় না?
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
উপ-মহাদেশের কিংবদন্তি গায়ক ও সুরকার শচীন দেববর্মণ ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লার চর্থায় এক বিশাল রাজপ্রাসাদসম অট্টালিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তদানীন্তন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের অর্থানুকূল্যে যুবরাজ নবদ্বীপচন্দ্র বর্মণ ৬০ একর জমিতে, সামনে পিছনে বড় দীঘি ও পৃথক অন্দর মহলসহ, এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। শচীনদেবের মা রাজকুমারী নির্মলা দেবী তদানীন্তন মনিপুর রাজ্যের রাজবংশের সদস্য ছিলেন।
চর্থার বাসভবনেই শচীন বাবু তাঁর জীবনের প্রথম ১৯টি বছর অতিবাহিত করেন। স্কুলপর্ব শেষ করে ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গীতের চর্চা চালিয়ে গেলেন। পিতা নবদ্বীপ চন্দ্র বর্মণ ছিলেন নিপুণ সেতার শিল্পী ও মার্গ সঙ্গীতের গায়ক। মা নির্মলা দেবী ও সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। তাদের হাতেই শচীনের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রথম হাতেখড়ি।
তাঁর আত্মজীবনীমূলক লেখা 'সরগমের নিখাদ' থেকে জানা যায়, গ্রামবাংলার লোকসঙ্গীতের প্রতি তাঁকে প্রথম আকৃষ্ট করেন বাড়ির দুই গৃহভৃত্য, মাধব ও আনোয়ার। মাধব সহজ সুর করে রামায়ণ পড়ে শোনাত যা যুবরাজকে করত মোহিত। অপরদিকে আনোয়ার দোতারা বাজিয়ে ভাটিয়ালি গান গেয়ে তাঁকে গ্রামবাংলায় নিয়ে যেত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার গ্রাম ও গ্রামান্তরে লোক গানের খোঁজে ঘুরে বেড়িয়েছেন শচীন দেব।
পরবর্তীতে তাঁর অনুপম সৃষ্টি হিন্দী ও বাংলা গানগুলো আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভাটিয়ালী, ভাওইয়া, সারি, মুর্শিদী, বাউল, ঝুমুর গানের ভিত্তির ওপর রচিত। শচীন বাবু যে অপূর্ব সঙ্গীত জগৎ তৈরি করেছিলেন তার মূল উপাদান হচ্ছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও আমাদের লোকগীতির এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। পরবর্তীতে রবীন্দ্রসঙ্গীত তৃতীয় ধারা হিসেবে যোগ দেয়।
চর্থার রাজপ্রাসাদেই গড়ে উঠেছিল সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারার এক অপূর্ব মিলন কেন্দ্র। সেখানে আসতেন আলাউদ্দিন খাঁ, হিমাংশু দত্ত ও অন্য দিকপালরা। বিদ্রোহী কবি কাজী নজুরুল ইসলাম অনেকবার এসেছেন কুমিল¬ার চর্থায় এই রাজপ্রাসাদেও গান গেয়েছেন শচীন দেবের সঙ্গে।
উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯২৫ সালে কুমিল্লা ছেড়ে কলকাতায় গেলেন শচীন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করলেন। একই সঙ্গে সঙ্গীতের তালিম নিলেন কৃষ্ণ দেব, বাদল খান, ভীষ্ণদেব চট্টোপাধ্যায়, শ্যামলাল ক্ষেত্রী প্রমুখের কাছ থেকে। কলকাতায় তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতে উচ্চশিক্ষা নিলেন। তাঁর অনেক হিন্দী গান রবীন্দ্রসঙ্গীতের আদলে গাওয়া।
১৯৩১ সালে তাঁর বাবা তদানীন্তন ত্রিপুরার প্রধানমন্ত্রী নবদ্বীপ মৃত্যুবরণ করেন। শচীনবাবু ইচ্ছা করলে ত্রিপুরা বা কুমিল্লায় ফিরে এসে একটি উচ্চ রাজপদে অধিষ্ঠিত হয়ে রাজপ্রাসাদেই আরাম আয়েসে দিন কাটাতে পাতেন। কিন্তু সঙ্গীত পাগল শচীন দেব সেই সব প্রলোভন উপেক্ষা করে সঙ্গীতের কঠিন জীবন বেছে নিলেন।
কলকাতার 'ত্রিপুরা প্যালেস' ছেড়ে উঠলেন ভাড়া করা ছোট এক ঘরে। কিন্তু সঙ্গীত জীবনে প্রবেশটা মসৃণ ছিল না। তদানীন্তন সর্ববৃহৎ বেকর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানি এইচএমভির অডিশনে ফেল করলেন শচীন ১৯৩২ সালে। কারণ তাঁর নাঁকি কণ্ঠস্বর ও গানের সুর ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রত্যাখ্যাত শচীন সাধনা চালিয়ে গেলেন ও সার্থক হলেন। ঐ বছরই হিন্দুস্তান মিউজিক্যাল প্রডাক্টস বের করল শচীনের প্রথম রেকর্ডকৃত দুটি গান। পল্লীগীতির আদলে গাওয়া 'ডাকিলে কোকিল রোজ বিহানে' ও ঠুমরী অঙ্গের রাগপ্রধান গান 'এ পথে আজ এসো প্রিয়।' গান দুটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেল। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি শচীন দেববর্মণকে।
১৯৩৮ সালে শচীন দেব প্রেম করে বিয়ে করলেন তাঁরই ছাত্রী ও কমলনাথ দাসগুপ্তের দৌহিত্রী সঙ্গীতশিল্পী মীরা ধরকে। শচীন দেবের সঙ্গীত জগতের তিনি ছিলেন আজীবন সাথী। তাঁর অনেক জনপ্রিয় গানের রচয়িতা মীরা দেবী।
শচীন কর্ত্তা ১৯৪৪ সালে মুম্বাই পাড়ি দিলেন বিখ্যাত বাঙালী চিত্র পরিচালক শশধর মুখার্জীর আমন্ত্রণে। তাঁর সুরারোপিত গান 'মেরা সুন্দর স্বপ্না বীত গ্যায়া' তদানীন্তন বলিউডে বিশাল সাড়া জাগালো। গানটির গায়িকা ছিলেন আমাদের ফরিদপুরের শিল্পী গীতা রায় (পরে দত্ত) একের পর এক হিট গানের সুরকার শচীনবাবু অত্যন্ত কম সময়ে নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন মুম্বাই ফিল্ম জগতের এক দিকপাল হিসেবে। পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত হলেন ১৯৬৯ সালে আর শ্রেষ্ঠ গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ডজন খানেক বার।
কিংবদন্তি গায়ক শচীন দেবের অনেক ভক্ত ছিলেন সারা উপমহাদেশে। তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর প্রিয় নাতিকে নামকরণ করলেন তাঁর প্রিয় গায়কের নামে। নাতিটি ক্রিকেট জগতের কিংবদন্তি ব্যাটস্ম্যান শচীন টেন্ডুলকার।
কুমিল্লা থেকে হাজার মাইল দূরে বোম্বাই গিয়েও শচীন দেব বাংলাদেশকে ভুলেননি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি গান গেয়ে আমাদের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেন ও উদ্বাস্তুদের জন্য সাহায্য তহবিল গড়ে তোলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর লেখা 'তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল' গানটির মধ্যদিয়ে উজাড় করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সব ভালবাসা। যার শেষ পঙক্তিটি ছিলো 'বাংলা জনম দিলা আমারে, তোমার পরান, আমার পরান, এক নাড়িতে বাঁধারে। মা-পুতের এই বাঁধন ছেঁড়ার সাধ্য কারও নেই, সব ভুলে যাই তাও ভুলিনা, বাংলা মায়ের কোল।'
গভীর পরিতাপের বিষয়, শচীন বাবু বাংলাদেশকে না ভুললেও আমরা তাঁকে ভুলে গেছি। বছর কয়েক আগে সস্ত্রীক কুমিল্লায় বেড়াতে গিয়েছিলাম পুত্রবধূ ডেনা ও নাতি ফয়সালকে নিয়ে। কুমিল্লা আমার প্রিয় শহর। পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের জেলা প্রশাসনের ট্রেনিং নিতে এই শহরে আমার প্রথম পোস্টিং হয়েছিলো ১৯৬৯ সালে। এই শহরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমাকে আজও মোহিত করে।
চর্থার শচীন দেববর্মণের বাসভবনটি দেখতে গিয়েছিলাম। পাকিস্তানী আমলে তাঁর প্রাসাদসম বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় ও সেটা মিলিটারি গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বাংলাদেশ আমলে প্রথমে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে ও বর্তমানে হাঁস-মুরগির খামার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দীঘি দুটিতে মাছের চাষ হচ্ছে। খামারের সরকারী ভবন শচীন বাবুদের আদি রাজপ্রাসাদটি প্রায় ঢেকে ফেলেছে। সেই ভবনটি পিছন দিক দিয়ে অতি কষ্টে ঢুকে এক জরাজীর্ণ প্রাসাদসম বাড়ির ভগ্নাংশের সামনে দাঁড়াই। মনে হচ্ছিল যুগযুগ অবহেলা ও অযতেœ বাড়িটি যেকোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়বে। ভবনটির বুকে শিলালিপিতে লেখা আছে তার গৌরবময় নাম ও পরিচয়। লেখা আছে কবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এখানে এসেছিলেন ও গান গেয়েছিলেন শচীন দেবের সঙ্গে। সারা বাড়ি ঘিরে রেখেছে জঙ্গল ও হাঁটু সমান উঁচু উঁচু ঘাস।
আমাদের জাতীয় দৈন্য ও উদাসীনতা দেখে রাগে দুঃখে চোখে পানি আসছিল। সারা কুমিল¬া শহরে কি হাঁস-মুরগি ও মাছের খামারের জন্য আর কোন জায়গা ছিল না? এই প্রাসাদসম অট্টালিকা কি সারানো যায় না? এটাকে শচীনবাবুর স্মৃতিভবন হিসেবে গড়া যায় না? শুধু এই ভবনটিকে পুঁজি করে কুমিল্লাকে গড়া যেত উপমহাদেশের এক বিখ্যাত সঙ্গীত কেন্দ্র ও প্রদর্শনশালা হিসেবে। মুম্বাই ও কলকাতার সিনেমা জগতের দিকপালরা আসতেন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। প্রতিবছর ১ অক্টোবর লোকগানের এক আর্ন্তজাতিক জলসা বসান যেত এখানে। সেই রাত কুমিল¬ায় ভাল ঘুম হয়নি।
বার বার মনে হয়েছে আমাদের জাতীয় দৈন্য ও উদাসীনতা কি এতটাই অপরিসীম? নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কি এতটাই অক্ষম? সরকার ও কুমিল্লাবাসীর কাছে আমার আকুল আবেদন, এই ঐতিহ্যবাহী ভবনটি রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন ও গড়ে তুলুন শচীন স্মৃতি সঙ্গীত ভবন আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য। সেটাই হবে আমাদের সুযোগ্য সন্তান শচীন দেবের প্রতি আমাদের যোগ্য সম্মান।

লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিব।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Radical Islam & Hindutva: Can they be equated?





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] মার্ক্সবাদীদের প্রতি

প্রিয় মডারেটর, আমি মুক্ত মনায় কিভাবে লেখা পাঠাতে হয় সেই পেজ পড়ে এই
লেখাটার চেষ্টা করেছি। আমি আপনার ব্লগে দারুচিনি দ্বীপ নামে মন্তব্য করে
থাকি। আমি http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=37992 এই লেখাটা আর কিছু
মন্তব্য পড়ে, একজন কে উত্তর দিতে গিয়েই লেখা আকারে দেয়ার চেষ্টা করেছি।

আমি জানি না যে লেখার শিরোনাম কি মেইলের সাব্জেক্ট হিসাবে ইউজ করতে হয়
নাকি, নিজে যে নামে মন্তব্য করছি সেই নাম। আমার এই সিমাবধতাকে
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি। নিচে শিরোনাম সহ লেখাটা দিলাম,
আর লেখার শেষে আমার নিক নেমের সাক্ষর। বিনীত

দারুচিনি দ্বীপ


মার্ক্সবাদী দের প্রতি

( মার্ক্সবাদের সপক্ষে নামক লেখায় কিছু মার্ক্সবাদীদের; বিশেষ করে
সুব্রত সরকার কে প্রশ্ন করতে গিয়ে ভাবলাম যে লেখা আকারে দেবার চেষ্টা
করি)

প্রথমে একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু । কিছু মানুষ আজকাল ধুয়া তোলে, "পুঁজিবাদ,
সমাজতন্ত্র বুঝিনা, আমি চাই মানুষের পেটে ভাত থাক"! খুবই ভাল কথা সন্দেহ
নেই, কিন্তু এর বাস্তবতা কতখানি

আপনি নিজে যদি একবেলা পেটভরে খাবার খান, তবে যে অন্য আরেকজন কে বঞ্চিত
করেই খাবারটা খাচ্ছেন এটা বোঝেন কি? যেখানে দুনিয়াতে বিলিওন মানুষ না
খেয়ে থাকে আর বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরে, সেখানে আপনি যদি ৩ বেলা শুধু
মাত্র ভাত খেয়েও থাকেন তবু কি সেটা স্বার্থপরতা নয়? আপনি কি আরেকজন কে
বঞ্চিত করেই খাবারটা খাচ্ছেন না? একটু পৃথিবীর মোট জিডিপি কে জনসঙ্খ্যা
দিয়ে ভাগ করেই দেখুন না যে ১% এর সম্পদ কেড়ে নিলেই কি বাকি ৯৯% এর পেট
ভরে যাবে?

সেখানে কিছু প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মারক্সিস্ট শুধু যে ৩ বেলা খাবার খান
তা নয়, শীত কালে খুবই আরামদায়ক পোশাক পড়েন, অনেকের হয়ত গাড়িও আছে। যেখানে
কত লোক কঠিন শীতের ভেতরে খালি গায়ে ফুটপাতে শুয়ে হিহি করে কাঁপছে, আর
মৃত্যুর প্রহর গোনার পাশাপাশি এই বসে আছে যে কখন কেউ তাদের একটা গরম
কাপড় দিয়ে যাবে?

তাহলে এখানে আপনারা নিজেরা এত আরাম করেন, আর মুখে সমানাধিকারের বুলি
আওড়ান, কিন্তু কাজের কাজ কতটা করছেন এখানে?

আধুনিক পুঁজিবাদের এই বিরাট যদি দাঁড়িয়ে থাকে লক্ষ কোটি মানুষের অদৃশ্য
কান্না ঘাম রক্ত অশ্রুর গ্রহ-সমান জেলির উপরে, তবে এদের জন্য কতটা কি
করেছেন আপনারা?

অন্তত ইন্টারনেট বিলটা ( মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য আর পানি সবচেয়ে
গুরত্ব পুর্ন, ইন্টেরনেট ছাড়াই মানুষ দিনের পর দিনে খুব ভাল ভাবেই
বেঁচেছে, আমি ইন্টারনেট ব্যবহারের বিরুদ্ধে না, আমি শুধু এই অপ্সহন
মার্ক্সিস্ট দের জন্যেই তুলে রাখছি) না দিয়ে তো সেটাও তাদেরকে সব
মারক্সিস্ট দিয়ে দিতে পারেন, যেন সবাই একটা করে কম্বল পায়, সেটা করেন না
কেন?

বড়বড় আর্টকেল ছাপিয়ে আর শীতের ভিতরে হিটিং সিস্টেমে ঘুমিয়ে, গরমের দিনে
এসি গাড়িতে চড়ে ( সবাই না অনেকেই), বড় বড় মানবতার বুলি আওড়ানো যত সহজ,
এইগুলো বিসর্জন দিয়ে কাজটা বাস্তবের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা ঠিক ততটাই
কঠিন। এই সহজ জিনিসটা কেন যে অনেক মানুষ অনুধাবন করতে পারেন না কে জানে।

<blockquote> আপনারা প্রত্যেকেই ভালো ক্যারিয়ারের মানুষ, অত্যন্ত
নিরাপদ জীবন যাপন করেন। ফলে ভবিষ্যৎ জীবনের অনিশ্চয়তা আপনাদের ভাবায় না।
ভাবায় যা খুশী করতে পারবার স্বাধীনতা, যা খুশী বলতে পারবার স্বাধীনতা
থাকা না থাকার প্রশ্ন।এই কারণেই আপনারা কোন তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই মধ্যবিত্ত
শ্রেণীর ইমার্জেন্স দেখেন, মিলিওনার হতে দেখেন কিন্তু ১% পার্সেন্ট
ভার্সাস ৯৯% আন্দোলন দেখেন না।</blockquote>

এখানে আমি সবিনয়ে প্রশ্ন করতে চাই যে মার্ক্সবাদের পুজারী হিসাবে কি
নিজেরা সত্যি এই ৯৯% এর ভিতর পড়েন? আপনাদের জগত কাপানো বিপ্লবী চে
গুয়েভারা হাভানা চুরুট ঠোটে নিয়ে পোজ দেয়া ছবি বা আইকন কি আপনাদের চোখ
খুলে দিতে পারে না? ফিদেল ক্যাস্ত্রোর কোহিবা চুরুট ফোঁকাটা নিশ্চয়ই ভুলে
জান নি কেউ? একটা হাভানা চুরুটের দাম কত? আর কিউবানদের উপার্জন কত সেটা
কি আপনারা জানেন না? নাকি বলবেন যে উনারা রাষ্ট্রীয় কাজে এবং জনগনের
সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাই কিছু বাড়তি সুবিধা তাদের প্রাপ্য?

সেখানে আমার প্রশ্ন হল যে সেই কিছুটা সুযোগসুবিধা আসলে কত বেশি হতে পারে?
চিরকাল সমাজতন্তের নামে যে রাষ্ট্রীয় ধনতন্ত্রের জন্ম হয়েছে, এবং সেখানে
দেশের সব সম্পদ যে ১% মানুষের চেয়েও অনেক কম লোকের হাতে থাকে সেটা কি
সত্যি আপনারা বোঝেন না? আদর্শবাদ কি আপনাদেরকে এতটাই চিন্তাশুন্যহীন
রোবটে পরিনত করেছে?

মানুষের বেঁচে থাকতে দরকার খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান আর চিকিৎসা। ক্ষুধা
যেখানে সর্বগ্রাসী, সেখানে না হয় আরেকটি মৌলিক চাহিদা যেটা কিনা শিক্ষা
সেটা বাদ দিয়ে গেলাম। তো আপনারা মার্ক্সবাদীরা তো এখানে বলবেন যে আপনারা
তো এই বঞ্চিত মানুষদের জন্যেই কাজ করেন।

তবে আমি বিনীত প্রশ্ন করতে চাই যে আসলে কি কাজ করেছেন এবং কতখানি করেছেন,
এর একটা প্রমান সহ বিস্তারিত বর্ননা দিচ্ছেন না কেন? নাকি বলবেন যে এ
নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন আর লেখালেখি করছেন যেন জনসচেতনতা বারে?

সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হল, " ফেসবুক, বা কোন ফোরামে লম্বা লম্বা লেখা
দিয়ে, আর আবেগপুর্ন কিছু বাগাড়ম্বর করার চাইতে আমার মনে হয় পারলে এই
সময়টা সরাসরি সেই বঞ্চিত মানুষদের পিছনেই ব্যয় করুন না কেন?

আর কিছু না ছাড়তে পারেন, প্রথমে সাইবার লাইফের ঝড় থামান, আপনারা জানেন কি
যে ১ এম বি পি এস আনলিমিটেড ইন্টারনেট কিনতে আপনি যে টাকা বাংলা লায়ন বা
কিউবি কে,দেন সেই টাকা দিয়ে ১ মন মোটা চাল পাওয়া যাবে সাথে কিছু কলাইয়ের
ডাল, একটা দরিদ্র পরিবার এতে অন্তত নুনভাত খেয়েও একটা মাস কাটাতে পারবে?

সেখানে নিজেরা এত খরচ করে বাকি ১% ( চিন্তা করবেন না আমি কিন্তু ৯৯%
লোকের একজন; নেহায়েত সৎ মধ্যবিত্ত মানুষ যাকে কিনা খুব হিসাব করে খরচ
করতে হয়) এর টাকা কেড়ে নিয়ে তথাকথিত জনতার সম্পদ জনতাকে ফিরিয়ে দিয়ে কি
সত্যি পৃথিবী কে ক্ষুধা মুক্ত করতে পারবেন? আর পারলেও সেটা কতদিন? জানেন
কি যে ভিক্ষা বৃত্তি করে পেটের ভাত জুটলেও ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে না?

এবার অশোক বাবুর প্রতি,

<blockquote>এদের অনেকে সারাদিনে একবারও প্রস্রাবখানায় যেতে পারে না,
বাড়ি থেকে যে টিফিন নিয়ে যায় তা খাওয়ার সময় পায় না, এই পরিস্থিতির মধ্যে
এদের কাজ করতে হয়।</blockquote>

এই তথ্য পেলেন কোথায় যেটা কিন্তু জানান নি। আর পেলেও কেন এইসব তথ্য শুধু
মারক্সিস্ট রাই পায়? আমাদের মত খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত মানুষরা পায়না কেন?

কই আমাকে তো এমন ভাবে কাজ করতে হয় না। যদিও আমি বাংলাদেশেই থাকি।

তবে আমার দু এক জন বন্ধু আর আত্মীয় আরেক পুঁজিবাদী বা তাদের দোসর ইউকে বা
অস্ট্রেলিয়া থাকেন। তাদের মুখ থেকে কেন আমি এই আজব কথা শুনি না? নাকি আমি
মারক্সিস্ট না বলেই আমাকে সত্য কথা বলেন না তাঁরা??

দয়া করে কি এইসব প্রশ্নের জবাব দিবেন? খুবই সোজা প্রশ্ন, পেটে ভাতের সাথে
জড়িত প্রশ্ন,শিক্ষিত মধ্য বিত্তের ৯টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অফিস করে যদি
তাঁরা কিছু সঞ্চয় করেন, তবে সেটা বাড়তি আর অদরকারি হিসাবে জনতার সাথে
শেয়ার করার নামে লুট করার প্রশ্ন , যা মোটেই কোন আদর্শবাদ কে ধারন করে
না, বিজ্ঞানকেও না, শুধুই ধারন করে দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই
ব্লগের যেসব লোক কে আপনারা অনেকেই দ্বি চারি বলছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
চাইবার অপরাধে (!) \, সেখানে আসল দ্বিচারিতা কি আপনারা জনগণের সেবক
মার্ক্সবাদীরাই করছেন না??

আমার নিজের অভিজ্ঞতার ২টা ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন দিয়ে শেষ করব। প্রমান
চাইলে দিতে পারব না, আগেই বলে রাখছি। আমার এলাকায় "লেদু মিয়া" নামে এক
লোক আছেন ( আসল নাম)! তিনি এখন বৃদ্ধ । শিশুকাল থেকে নিদারুন অভাব অনটনের
মধ্য দিয়ে, না খেয়ে, আধা পেটা খেয়ে কাটাতেন তিনি ( কোন বিপ্লবী কিন্তু
একবেলা ভাত দেয়নি তাকে), অন্যের দোকানে কাজ করতে শিশু কাল থেকেই। আজ তিনি
আমার এলাকার সবচেয়ে বড় টাইলসের ব্যবসায়ী, এবং কোটি পতি। নিজের নামও লিখতে
জানেন না।

আমার জানা মতে কাউকে ঠকিয়ে তিনি এক পয়সা আয় করেনি, পুরোটাই তার রক্ত আর
ঘামের ফসল।অনেক জনসেবা তিনি করে থাকেন সাধ্যমত ( যেখানে বিপ্লবীদের টিকি
চিহ্ন পাওয়া যায় না), এতিম খানা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা সব জায়গাতেই তিনি
দান করেন। আরো কত যে কি করেছেন তার হিসাব নেই! তবে জনতার সম্পদের নামে কি
এই লোকের কোটি কটি টাকা জিনি কিনা নিজের ঘাম আর রক্ত ঝরিয়ে, না খেয়ে
থেকে, কোন জনদরদী মার্ক্সসবাদীর একফোঁটা সাহায্য না পেয়ে করেছেন, সেই
সম্পদ টাও কি বাকি ৯৯% কে বিলিয়ে দিতে হবে তার? সেটা কোন যুক্তিতে? এটা
আমার জানা পরোক্ষ ঘটনা, বাবা চাচাদের মুখে শোনা, যদিও লেদু মিয়া আজো বেচে
আছেন, কিন্তু তার সংগ্রামের দিনগুলিতে আমার জন্মই হয়নি। আর লেদু মিয়া কি
পুঁজিতে ব্যাবসা শুরু করেছিলেন জানেন? আপনারা যারা মাল্টিন্যাশনাল
কোমপানীতে কাজ করে, মার্ক্সবাদের পুজা করেন, আপনাদের মাসিক বেতনের
অর্ধেকের কম টাকা নিয়ে ইনার যাত্রা শুরু হয়েছিল।

এবার আমার চোখের সামনে ঘটা একটা ঘটনা। সুজন ( নাম বদলে দিলাম) নামের এক
ছেলে আমার শশুরবাড়িতে ঘরমুছতো আর কাপড় কেচে দিত। এরকম অনেক বাড়িতেই সে
কাজ করত, শিশুকাল থেকে, সেই সাথে একটু বড় হবার পর একই সাথে আরো পরিশ্রম
আর সাথে কিছু জমা টাকা আর ধার করা টাকা ( সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত
মার্ক্সবাদীদের বাড়িভাড়ার সমান আর কি) নিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করে। এখন
তার বয়স ২৭/২৮ হবে। সে ঢাকার বাহির টাউন সাইডে ৩ কাঠা জমি কিনে ফেলে
রেখেছে কবে দাম বাড়বে সেই আশায়। ওই মাত্র ৩ কাঠা অবশ্যি লেদু মিয়ার কোটি
তাকার কাছে কিছুই না, তবু দুজনের বয়স বিবেচনায় সুজনও পিছিয়ে নেই।তবে কি
ওই ছেলের খেয়ে না খেয়ে জমানো টাকায় কেনা জমি টা মার্ক্সবাদীরা জনতার
সম্পদ ভেবে বিপ্লব করে লুট করবে? সুজন কাউকে ঠকিয়ে টাকাটা উপার্জন করে
নি।

দারুচিনি দ্বীপ

বি.দ্র.এটাই আমার প্রথম লেখা। জানি না ছাপা হবে কিনা, তবে যদি ছাপা হয়
তবে আমার সীমাবদ্ধতাগুলিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে লেখাটিকে কিভাবে
আরো সমৃদ্ধ করা যায়, সেটির দিক নির্দেশনা পাঠকরা এবং আরো অভিজ্ঞ লেখকরা
দয়া করে দিবেন, এই আবেদন রাখছি!


------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] ক্ষমতার মাদক অতি ভয়ানক



ক্ষমতার মাদক অতি ভয়ানক

হা সা ন হা ফি জ
পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এই রচনায় বিরস বদনে যা বয়ান করতে চলেছি, তা বড়ই মর্মান্তিক। পিতার লোভের ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জানাব। চরমতম মূল্য দিতে হলো পুত্রকে। পিতা একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ডাঁটিয়াল মাদক ব্যবসায়ী। দিনে অন্তত ৩৫ লাখ টাকা লাভ হয় এই মাদক ব্যবসা থেকে। সেই মাদকের কারণেই প্রাণ হারাতে হলো পুত্র বিপ্লবকে। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেই নিজের ভবলীলা সাঙ্গ করেছে সে।
ঘটনা নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের। বিপ্লব ছিল মাদকসেবী। তাকে সুস্থ করার নামে শাসন করা হতো। এই শাসনের অজুহাতে পিতা ব্যাপক নির্যাতন করতেন পুত্রকে। সম্প্রতি ওকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। হুমকি দেয়া হয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর। বিপ্লব বেছে নেয় আত্মহননের পথ। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দ্বিতীয় স্ত্রীর (তালাকপ্রাপ্তা) একমাত্র পুত্র ছিল সে। পুলিশ সুপার বলেছেন, লাশ দেখেছেন তিনি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরেছে বিপ্লব। সুইসাইডাল কেস। পরিবারে অনেক অশান্তি ছিল তাকে ঘিরে। বিপ্লবের বিয়ে নিয়েও বড় ধরনের গোলমাল ছিল।
ঘটনার খুঁটিনাটি একটু জানবার চেষ্টা করব আমরা। বিপ্লবদের বাড়ির খুব কাছেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। লাগোয়া গলিতে দিবানিশি চলে মাদকের বেচাকিনি। ওই পরিবারের মালিক তার আব্বাজান। মাদক মাগনা নিয়ে সেবন করত বিপ্লব। এক পর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে গেল। বিক্রেতাকে মাগনা বেচতে নিষেধ করে দিয়েছেন বিপ্লবের বাবা। কী আর করা! নেশা তো ছাড়া যায় না। ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, সিগারেট। কত স্বাদ! রঙিন ফুর্তি। নেশার টাকা না জুগিয়ে উপায় নাই। কিনে খেতে হচ্ছে যেহেতু। বিপ্লবের সঙ্গী-সাথী পাঁচ পাঁচজন। সক্কলের খানা খাদ্য (ভাত মাছ না, নিশার বস্তু) জোগান দিতে দরকার ম্যালা টাকা-পয়সা। দৈনিক ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা। ছয় জনের এই বাহিনী বেকার পাট্টি। আয়-রোজগার নাই কারোই। টাকা-পয়সা পেতে বাঁকা পথ ধরতে হয় তাই। লোকজনকে অপহরণসহ নানা রকমের অপকর্ম। ব্যবসায়ী ও আগন্তুকদের আটকে ফেলতো ওরা। মোটা অঙ্কের চান্দা আদায়ের বন্দোবস্তি। নিত্যদিনের ঘটনা এসব। অপকর্মের যে হোতা, খুবই মজবুত ওর খুঁটি। প্রবল ক্ষমতাধর লোকের ছাওয়াল। তার বিরুদ্ধে ট্যাঁ ফো করবার উপায় নাই। কার ঘাড়ে ক'টা মাথা? প্রতিবাদ করবার সাহসই ছিল না কারো। মামলা ঠুকে দেয়া তো দূর অস্ত। গ্রুপটির অপরাধের মাত্রা, তীব্রতা বাড়তে থাকে। হয়তো সেটাই ছিল স্বাভাবিক।
শিমরাইল মোড় থেকে দু'জনকে আটকে দেড় লাখ টাকা আদায় করা হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কানে যায় এ খবর। বিপ্লবসহ পাঁচজনকে পাকড়াও করা হয়। অ্যাকশনে গেলেন কাউন্সিলর সাহেব। এক ভাগিনাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেন। এক ভাতিজাকে তুলে দেন বড় ভাইয়ের হাতে। পড়শির এক পুত্রকে সোপর্দ করেন পুলিশের কাছে। চালাক-চতুর অপর এক ভাতিজা পানিতে ঝাঁপ দেয়। সে সক্ষম হয় পালিয়ে যেতে। বাকি রইল নিজ পুত্র। বিপ্লব। মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে খবর দেয়া হলো। বিপ্লব চেঁচিয়ে এর প্রতিবাদ করে। নিরাময় কেন্দ্রে যাবে না বলে জানায়। এক পর্যায়ে বাপকে গালাগাল শুরু করে সে। ওয়ার্ড কমিশনার বিপ্লবের ঘরের জানালা ভেঙে ফেলেন। পিস্তলের গুলিতে পুত্রকে খুন করতে উদ্যত হন। লোকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে শান্ত করেন। পরে বিছানার চাদর গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ে বিপ্লব বেচারা। তার চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে না। এতে সন্দেহ হয় লোকজনের। কী ব্যাপার? কোনো সাড়া-শব্দ নেই কেন? খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেল, বিপ্লব ঝুলছে। ঘরের দরজা ভেঙে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু বৃথাই। ডাক্তার ঘোষণা করলেন, বিপ্লব মৃত।
এক সময় নম্র-ভদ্র ছেলে ছিল সে। ছিল মেধাবীও। পড়াশোনা করেছে ভারতের দার্জিলিংয়ে। খালাতো বোনের প্রেমে পড়ে সে। চার বছর আগে বিয়ে করে তাকে। পালিয়ে গিয়ে এই বিয়ে করতে হয়। ৮/৯ মাস বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থেকে সংসার জীবন-যাপন করে তারা। একরকম ভালোই চলছিল। হঠাত্ দৃশ্যপটে পিতার আবির্ভাব। তিন বছর আগে জোর খাটিয়ে ডিভোর্স করানো হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিপ্লব। নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সে। আরম্ভ হয় অন্ধকারের জীবন। ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ও সিগারেট সেবন চলতে থাকে এন্তার। মা কাছে নেই। আপনজন বলতেও কেউ নেই পাশে। ক্রমে ক্রমে বেপরোয়া মরিয়া হয়ে ওঠে বিপ্লব। তার নেশাসঙ্গীও জুটে যায় কয়েকজন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ওই অঞ্চলে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার মাদক খুচরা ও পাইকারি বেচা-বিক্রি হয়। বাউ রে! সোনার বাংলায় এরকম আরো কত কত সিদ্ধিরগঞ্জ আছে? আমরা জানি না। জানতে চাই কি আদৌ? 'জানার কোনো শেষ নাই/জানার চেষ্টা বৃথা তাই'। সত্যজিত্ রায়ের বিখ্যাত ফিল্ম 'হীরক রাজার দেশে'তে এই সংলাপটি ছিল। আমাদের মাদক ভুবন সম্পর্কেও কথাটি প্রযোজ্য।
মাদক-ব্যবসায়ীরা বড়ই শেয়ানা। প্রতাপশালীও। তারা সব ক্ষেত্রেই 'ম্যানেজ' করতে ওস্তাদ। সে এক বিশাল কায়কারবার। বড়ই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এ সংক্রান্ত তথ্য নাড়াচাড়া করতে গিয়ে 'তবদা' লেগে গেল। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হওয়া যাকে বলে। মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট আছে। এটা কম-বেশি সকলেরই জানা। সিদ্ধিরগঞ্জে এক চেয়ারম্যান হচ্ছেন পালের গোদা। অবৈধ আয়ের ভাগ তিনি বণ্টন করেন নানা স্তরে। মহা উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মকর্তা পর্যন্ত এই লিস্টির আওতায় আছেন। প্রতি মাসে উেকাচ হিসেবে ১৮০টি খামে পুরে তা পাঠানো হয়। 'তেনাদের' কাছে। তেনারা দেশ জাতির কর্ণধার, বাহিরে বাহিরে ধোয়া তুলসীপাতা সদৃশ। একেকখানা খামে একেক অঙ্কের মালপানি (মানে টাকা)। পৃথিবীটা কার বশ? টাকার বশ। টাকায় নাকি বাঘের চোখও মেলে। এক এক খামে বন্দি করা হয় ১০ হাজার থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। অঙ্ক শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হবে পাবলিকের।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কাছে। তার বক্তব্য : বিপ্লবের মৃত্যুর বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। ওই চেয়ারম্যানের কাজকর্ম সম্পর্কে কেউ কোনো অভিযোগ করে না। সুতরাং কোনো পদক্ষেপও নেয়া যায় না।
আমরা বলব, বিপ্লবের মৃত্যু অবশ্যই দুঃখজনক। মর্মান্তিক। একটি মেধাবী প্রাণ অকালে ঝরে গেল। নষ্ট হলো একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাও। বিপ্লবের মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত। মাদকের সর্বনেশে ছোবল থেকে আমাদের তরুণদের মুক্ত করতে হবে। এই বেদনাদায়ক ঘটনা থেকে আমরা যেন এই শিক্ষণই নেই।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক্ষণে অতীব ভয়ঙ্কর। আমরা এক অগ্নিগর্ভ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তাদের মেয়াদের শেষপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া সব মন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন। তারপরও দেশ-জাতির কল্যাণে (!) 'দায়িত্ব' পালন করে চলেছেন পদত্যাগী মন্ত্রীরা। সত্যি সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ। চলছে টানা হরতালের স্পেল। সামনে ঘনায়মান আরও বিপদ। আরও অনিশ্চয়তা, অন্ধকার ও রক্তপাত অপেক্ষমাণ। সংবিধানের নামে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে সরকার। অথচ নির্বিচারে অবলীলায় লঙ্ঘন করে চলেছে সংবিধান। একে 'জাতীয় মশকরা' বলে অভিহিত করেছে জাতীয় একটি সংবাদপত্র। আরেকটি সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে 'পদত্যাগের পরও তারা মন্ত্রী প্রশাসনে অস্বস্তি। '
আমরা দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্রক্ষমতা অত্যন্ত ভয়ানক এক প্রকার মাদক। এই নেশায় বুঁদ হলে আর বাঁচা-গতি নাই। ইয়াবা ফেনসিডিল এই আগুনে কারা পুড়ছে? জনগণ। ব্যাক্কল জনগণ ছাড়া আর কে বা পুড়বে? শেষ পরিণতি কী? আমরা জানি না। আল্লাহ পাক জানেন। একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে মহাজোটীয় মহা মুসিবত থেকে রেহাই দিতে পারেন। নিরাশ আঁধারে খোদা তুমি হে আশার নূর।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
hasanhafiz51@gmail.com


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] স্যার নিনিয়ান প্রস্তাবিত সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন হাসিনা



ফিরে দেখা তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলন : স্যার নিনিয়ান প্রস্তাবিত সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন হাসিনা

জাকির হোসেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের পক্ষে অবিরাম সাফাই গাইলেও পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি স্যার নিনিয়ান উত্থাপিত সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাবকে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের প্রায় পুরো সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারি ও বিরোধী দলের সমঝোতার লক্ষ্যে কমনওয়েলথ মহাসচিব চিফ এমেকা এনিয়াওকু'র বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেন ১৯৯৪ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকায় আসেন। ঢাকার আসার পর থেকে তিনি প্রায় মাসব্যাপী উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপের মধ্যস্থতা করেন। সংলাপের এক পর্যায়ে তিনি একটি ফর্মুলা উত্থাপন করেন। এতে স্যার নিনিয়ান সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের কথা বলেন। এ সরকারে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের ৫ জন এবং বিরোধী দলের ৫ জন মন্ত্রী থাকবেন। এরা সবাই ওই সময়ের অর্থাত্ ৫ম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিদের মধ্য থেকে মনোনীত হবেন। এছাড়া বাকি একজন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ব্যক্তি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। যার ওপর স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর ভার ন্যস্ত থাকবে। সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপে সহায়তাকারী স্যার নিনিয়ান স্টিফেন সংসদ উপনেতার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে পৃথকভাবে আলাপ করে তাদের মনোভাব জানতে চেষ্টা করে। নিনিয়ানের ওই প্রস্তাব তত্কালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া অন্য কোনো ফর্মুলা তিনি মানবেন না। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ স্যার নিনিয়ানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ এনে এবং তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উল্লেখ করে কমনওয়েলথ মহাসচিব চিফ এমেকা এনিয়াওকু'র কাছে ফ্যাক্স বার্তা পাঠায়। কমনওয়েলথ চিফ এমেকা এনিয়াওকু আওয়ামী লীগের এ অভিযোগ নাকচ করে দেন। পাকিস্তান সফররত কমনওয়েলথ চিফ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিনিয়ান কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি। সব মিলিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে স্যার নিনিয়ান সাংবাদিকদের কাছে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সহিংসতা ও হাঙ্গামার মাধ্যমে কিছুই অর্জিত হবে না। সহিংসতা ও হাঙ্গামা শুধু ক্ষোভ আর হতাশার পথেই দেশকে নিয়ে যাবে। ব্যর্থ মিশন শেষে তিনি ১৪ নভেম্বর দেশে ফিরে যান। এর আগে ১৯৯৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব চিফ এমেকা এনিয়াওকু ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। এ সময় তিনি দুই নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং উভয় দলের মধ্যে সংলাপের ভিত্তিতে সঙ্কট নিরসনের প্রস্তাব করেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে আবারও বাংলাদেশে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অথবা বিশেষ দূত পাঠাবেন বলে উল্লেখ করেন। দুই নেত্রী এতে সম্মতি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সফর শেষে তিনি আলোচনা শুরু করার জন্য দুই নেত্রীর কাছে ফ্যাক্স বার্তা পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালের ১৩ অক্টোবর স্যার নিনিয়ান স্টিফেন ঢাকায় আসেন।
এসব খবর ওই সময়ের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। তখনকার দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো :
সঙ্কটের সমাধান সম্পর্কে আশাবাদী : এমেকা
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ অভিহিত করে কমনওয়েলথ মহাসচিব এমেকা এনিয়াওকু বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে তিনি সরকার ও বিরোধী দলের কাছে পৃথক পৃথক প্রস্তাব রেখেছেন। গণতান্ত্রিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে এই প্রস্তাব বিশেষ ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগের আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে মি. এমেকা গণতন্ত্রের সম্ভাবনাময় অভিষ্যত্ সম্পর্কে গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ দেশ সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত উঁচু ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ, বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব আলোচনা অত্যন্ত ফলদায়ক হয়েছে এবং এসব আলোচনা তাকে দেশের বর্তমান সঙ্কট নিরসনের ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছে। তিনি বলেন, সরকার ও প্রধান বিরোধী দল অবশ্যই একটি সমাধানে উপনীত হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ লাভ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে এমেকা বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সঙ্গে একবার এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুবার বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
কোন ইতিবাচক পরিস্থিতি তাকে সঙ্কট নিরসন সম্পর্কে এমন আশাবাদী করে তুলেছে এবং কতদিনে এ সমাধান আসবে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, কত শিগগির এ সমাধানের সম্ভাবনা আছে—এ কথা তারাই বলতে পারবেন যাদের কাছে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। (দৈনিক বাংলা : ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪)।
এমেকার ফ্যাক্স পেয়েছি
আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে : হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণকে চালমান রাজনৈতিক ও জাতীয় সঙ্কট সমাধানে দিকনির্দেশনাহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার এবং তার দলের মধ্যে কমনওয়েলথ মাহসচিব চিফ এমেকা এনিয়াওকুর মধ্যস্থতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এ কথা বলেন। তিনি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। শেখ হাসিনা দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তার আলোচনাকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেন। তবে তিনি সঙ্কট উত্তরণে কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেয়া প্রস্তাব সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, চিফ এমেকার সম্মতি ছাড়া কিছু বলা ঠিক হবে না। আনফেয়ার হবে। তবে এটুকু বলতে পারি—এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। (দৈনিক বাংলা : ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪)।
এমেকার মধ্যস্থতা
হাসিনা-খালেদা সংলাপে রাজি
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথের মধ্যস্থতায় একটি উন্মুক্ত আলোচ্যসূচির অধীনে তাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর করার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। সোমবার কমনওয়েলথের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। খবর বাসস
সরাসরি আলোচনার ব্যাপারে তাদের সম্মতির কথা ঘোষণা করে কমনওয়েলথ মহাসচিব এমেকা এনিয়াওকু বলেন, আলোচনার জন্য তাদের কাছে আমি তিন দফা পরিকল্পনা পেশ করেছি। আমি এ কথা বলতে পেরে খুশি যে, এই প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা উভয়ের কাছ থেকে আমি সম্মতি পেয়েছি। ...এনিয়াওকু বলেন, উভয় পক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি। আমি আশা করি বিলম্ব ছাড়াই আলোচনা শুরু করা সম্ভব এবং বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে একটি সমঝোতা প্রস্তাবের দিকে আলোচনাকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। (দৈনিক বাংলা : ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪)
বিদায়ী বিবৃতি
আমার প্রস্তাবে সরকারি সম্মতিতে খুশি
সহিংসতা হাঙ্গামায় কিছুই অর্জিত হবে না : নিনিয়ান
বিশেষ সংবাদদাতা : সংলাপের সাফল্য সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে স্যার নিনিয়ান স্টিফেন বলেছেন, সহিংসতা ও হাঙ্গামার মাধ্যমে কিছুই অর্জিত হবে না। এ পথ পরিহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতা ও হাঙ্গামা শুধু ক্ষোভ আর হতাশার পথেই দেশকে নিয়ে যাবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান উত্তেজনা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির নিরসন এখনও সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেন রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে অনেক আলাপ-আলোচনার পর আমি কিছু প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই প্রস্তাবে যদি সবাই সম্মত হতো এবং এগুলো যদি বাস্তবায়িত করা যেত, তবে উভয়পক্ষের উদ্বেগেরই নিরসন হতো এবং বর্তমান অচলাবস্থা দূর করা সম্ভব হতো। এ প্রসঙ্গে স্যার নিনিয়ান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারিপক্ষ তার এই প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, তার এই প্রস্তাব পেশ করা রইল। দু'পক্ষই বিচার-বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে কিছু সংশোধন করে যথাসময়ে এটি গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদী।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত জনাকীর্ণ ওই সংবাদ সম্মেলনে স্যার নিনিয়ানকে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি শুধু তার বিবৃতি পাঠ করেন এবং এটি পড়া শেষ হতেই দ্রুত কক্ষ ত্যাগ করেন। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই স্যার নিনিয়ানের অন্যতম সহকারী ক্রিস্টোফার চাইল্ড সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, স্যার নিনিয়ান কোনো প্রশ্নের জবাব দেবেন না। তাকে কোনো প্রশ্ন না করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। স্যার নিনিয়ান ১০টা ৫ মিনিটে সম্মেলন কক্ষে আসেন। ৫ মিনিট সময় দেয়া হয় আলোকচিত্র সাংবাদিকদের। ছবি তুলে তারা বেরিয়ে গেলে তিনি বিবৃতি পড়া শুরু করেন। বিবৃতি পাঠ করতে তার সময় লাগে ১৩ মিনিট।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে স্যার নিনিয়ান স্টিফেন গত ১৩ অক্টোবর সস্ত্রীক ঢাকায় আসেন।
বিবৃতির শুরুতেই তিনি আজ সোমবার তার এবং লেডি স্টিফেনের বাংলাদেশ ত্যাগের কথা ঘোষণা করে বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে তিনি পূর্ণাঙ্গ লিখিত বক্তব্য পেশ করবেন। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি অভাবিত কোনো অগ্রগতি না ঘটে, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার মিশনের সাফল্য সম্পর্কে কিছুই আমি এই রিপোর্টে পেশ করতে পারব না। এই প্রেক্ষিতে আমি দুঃখজনকভাবে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ঢাকায় আমার অব্যাহত উপস্থিতি আর কোনো প্রয়োজনেই আসবে না। তাই আমি এখন অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের জনগণের আতিথ্যের ভূয়সী প্রশংসা করে স্যার নিনিয়ান বলেন, এমন অতিথিপরায়ণ ও দরদি জাতি তিনি আর কখনও দেখেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জনগণই হচ্ছে এ দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তিকে কখনই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। প্রজ্ঞা ও সহনশীলতা দিয়ে পরিচালিত হলে এই জনগণই বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ অর্জন করে আনবে এবং অতীতে বৈরিতা ও বর্তমানের রাজনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে।
স্যার নিনিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের এক ক্রান্তিকালে রয়েছে। এ অবস্থায় এদেশের জন্য প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক সমঝোতা। এগুলো কায়েম করা গেলেই বর্তমান প্রজন্ম এবং ভবিষ্যত্ বংশধরদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে এদেশের মানুষ আত্মনিয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, এ কারণেই আমি আমার মিশনের সাফল্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে এত আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু সে কাজে সফল হতে না পেরে আমি হতাশ হয়ে পড়েছি।
বাংলাদেশে আসার পটভূমিকার ব্যাখ্যা করে স্যার নিনিয়ান বিবৃতিতে বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব চিফ এমেকা আনিয়াওকুর তিন দফা প্রস্তাব সরকারি ও বিরোধী দল উভয় পক্ষ মেনে নেয়ায় সংলাপ প্রক্রিয়ার যে সূচনা হয়, তাকে সহায়তা করতে মহাসচিবের দূত হিসেবে আমি এখানে আসি। কিন্তু সংলাপে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় আমি অবশ্যই অত্যন্ত হতাশ।
স্যার নিনিয়ান বলেন, এখানকার রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের প্রাথমিক দায়িত্ব বরাবরই এদেশের জনসাধারণের। তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করে বলেন, যেসব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো দূর করলে স্বাভাবিক রাজনৈতিক তত্পরতা আবার শুরু করা সম্ভব হবে।
স্যার নিনিয়ান বলেন, বাংলাদেশে এসে আমি বলেছিলাম সংলাপ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এ সুযোগ এখনও রয়েছে। পরস্পরের মধ্যে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস অত্যন্ত গভীর ও দৃঢ় হওয়া সত্ত্বেও বাস্তব সত্য হচ্ছে—পক্ষগুলো এগিয়ে এসেছিল, একটি যুক্তিসঙ্গত বিতর্কে অংশ নিয়েছিল। সহিংসতা-হাঙ্গামার পথ পরিহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতা ও হাঙ্গামার দ্বারা কিছুই অর্জিত হয় না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, উত্তেজনা ও সংঘাত পরিস্থিতির নিরসন করা, স্বাভাবিক রাজনৈতিক তত্পরতা আবার শুরু করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা সংহত করা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এখনও সম্ভব বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
স্যার নিনিয়ান বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়ার আগে এ আশা ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র সংবলিত একটি ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা বিধানে দেশের নেতারা সক্রিয় উদ্যোগ নেবেন এবং তাদের সে উদ্যোগ অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে।
এমেকার কাছে ফ্যাক্স
বিরোধী দল সোমবার কমনওয়েলথ মহাসচিব চিফ এমেকা এনিয়াওকুর কাছে তার দূত স্যার নিনিয়ানের কিছু মন্তব্য ও আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্যাক্স প্রেরণ করেছে। স্যার নিনিয়ানের এই আচরণ সংলাপের সর্বসম্মত নীতি বহির্ভূত বলে প্রেরিত ফ্যাক্স বার্তায় উল্লেখ করা হয়। খবর ইউএনবি'র
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এসএএমএস কিবরিয়া সোমবার সন্ধ্যায় ফ্যাক্সে কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করেছেন। জনাব কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রেরিত বার্তায় স্যার নিনিয়ান কর্তৃক সংলাপের এখতিয়ার লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এখতিয়ার ও রূপরেখার অধীনে স্যার নিনিয়ান কোনো ধরনের প্রস্তাব দিতে পারেন না। যা তিনি তার সংবাদ সম্মেলনের বিবৃতিতে করেছেন। জনাব কিবরিয়া বলেন, তিনি এখানে এসেছিলেন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি কীভাবে প্রস্তাব পেশ করেন।
জনাব কিবরিয়া বলেন, সংলাপ প্রক্রিয়ার সময় স্যার নিনিয়ানের কেবল সরকারি ও বিরোধীদলীয় প্রস্তাব আদান-প্রদান করার কথা। তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর নিনিয়ান বিরোধী দলের কাছে সরকারি দলের প্রস্তাব হস্তান্তর করেন।
দ্বিতীয়ত, সরকারি ও বিরোধী দলের সম্মত চুক্তি অনুযায়ী যৌথ বিবৃতি ছাড়া কোনো বিবৃতি দেয়া যাবে না। বিবৃতি দিয়ে তিনি এই রূপরেখা লঙ্ঘন করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কিবরিয়া বলেন, সোমবার সকালে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্যার নিনিয়ানের বৈঠকের সময় এসব কথা ওঠে। নিনিয়ান তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুক্রবার কমনওয়েলথ মাহসচিব এমেকার সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়। মহাসচিব ইসলামাবাদ থেকে তাকে টেলিফোন করেন।
নিনিয়ান কোনো পক্ষপাতিত্ব করেননি : এমেকা
ইসলামাবাদ, ২৪ নভেম্বর (রয়টার্স/এপি)। কমনওয়েলথ মহাসচিব এমেকা এনিয়াওকু বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে মধ্যস্থতার সময় তার দূত কোনো পক্ষ অবলম্বন করেননি। তিনি বলেন, এই মিশনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে সেখানে যেতে পারেন।
স্যার নিনিয়ানের মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশের বিরোধী দল এনিয়াওকুর কাছে মঙ্গলবার এক চিঠিতে তার (নিনিয়ানের) বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। নিনিয়ান সরকার ও বিরোধী দলকে রাজনৈতিক সংলাপে বসাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
এনিয়াওকু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিশনের কাজ চলাকালে নিনিয়ান তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। তিনি নিরপেক্ষতার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন—এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দলগুলো এবং বাংলাদেশের জন্য যা কল্যাণকর—এছাড়া তিনি অন্য কিছু ভাবেননি।
তিনি বলেন, বিরোধী দলসহ সব বাংলাদেশী দল নিনিয়ানের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শুনে তিনি দুঃখিত হয়েছেন।
এনিয়াওকু বলেন, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মতো সঙ্কটপূর্ণ সমস্যাসঙ্কুল দেশগুলোয় কমনওয়েলথ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চায়। তিনি স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে বিরোধ মেটাতে কমনওয়েলথের সাম্প্রতিক মিশন সফল হয়নি। তবে তিনি বলেন, এখনও কমনওয়েলথের ভূমিকা রয়েছে।
নিনিয়ানের কথিত প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় : হাসিনা
সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা সুপ্রিমকোর্ট বার-এর সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে যান। শেখ হাসিনা দুপুর ১টার দিকে কোর্ট প্রাঙ্গণে যান এবং প্রায় একশ' মিনিট সেখানে অবস্থান করেন। আওয়ামী লীগ প্রধান তার এই সফরের ইচ্ছার কথা সোমবার সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রী বার সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিবের দূত স্যার নিনিয়ান স্টিফেনের 'কথিত' প্রস্তাব সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এরকম কোনো এজেন্ডা ছিল না। তাই বিরোধী দলের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। খবর বাসস
বিরোধীদলীয় নেত্রী তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, কেয়ারটেকার প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রয়োজনে স্থায়ী ব্যবস্থাকে সমর্থন জানাব।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের হরতালে দগ্ধ নাসিমার আর গার্মেন্টসে যাওয়া হল না



হরতালে দগ্ধ নাসিমার আর গার্মেন্টসে যাওয়া হল না

আবুল খায়ের

গার্মেন্টস কর্মী নাসিমার (৩০) আর কর্মস্থলে যাওয়া হলো না। গত বুধবার রাত ৯টায় নাসিমা ভাই বোন ও সহকর্মীদের কাছে আকুতির সুরে বলেছিলেন তিনি আবার গার্মেন্টসে যাবেন, কাজ করবেন। কাজ না করলে তার ভাই-বোনেরা না খেয়ে থাকবে। নাসিমা জানেন না কিংবা ভাই বোন ও স্বজনরাও বুঝতে পারেননি এটা তার জীবনের শেষ কথা হবে। কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাবার মাত্র সোয়া ৪ ঘণ্টার মাথায় ঐ রাত সোয়া ১টায় নাসিমা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে শোকের ছায়া নেমে আসে। নাসিমার পিতা মফিজ উদ্দিন ঢালী অনেক আগে মারা যান। ৪ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে নাসিমা সংসারের অন্যতম উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন। তার আয়ের উপর সংসার অনেকটা নির্ভরশীল ছিল।

নাসিমার ভগ্নিপতি মাসুদ জানান, মোহাম্মদপুরে তুরাগ হাউজিংয়ের ১/এ নম্বর রোডে নিউ ডেল্টা গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন নাসিমা। গত ৫ বছর ধরে ঐ গার্মেন্টসে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে আসছিলেন। বিরোধী দলের হরতালের আগের দিন গত ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় গার্মেন্টসের ভাড়া করা বাসে নাসিমা কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন। মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার ঢাকা উদ্যানের গেটে আসলে হঠাত্ কয়েকজন তরুণ বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য শ্রমিকরা লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। এসময় নাসিমার দেহের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়। এসময় ১০/১২ জন শ্রমিক আহত হন। নাসিমাকে ঐ রাতে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। 

বার্ন ইউনিটের পোড়া বিশেষজ্ঞ ডা. শামন্ত লাল সেন বলেন, আগুনে নাসিমার দেহের ৪০ ভাগ পুড়ে যায়। তার শ্বাসনালী পুড়ে যায় বলে তিনি জানান। নাসিমা মৃত্যুর সঙ্গে টানা ১৯ দিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার রাতে সোয়া ১টায় মারা যান।

৪ বছর আগে গার্মেন্টস কর্মী মো. মানিকের সঙ্গে নাসিমার বিয়ে হয়। সেই বিয়ে বেশি দিন টিকেনি। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। নাসিমা রায়ের বাজারে বড় বোন রহিমার বাসায় থাকতো। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আরজি কালিকাপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নাসিমার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।


হরতালের আগুনে আরো ১২ জন পুড়লেন

কামাল তালুকদার ও আবুল হোসেন  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-11-13 00:42:52.0 BdST Updated: 2013-11-13 01:41:15.0 BdST

বিরোধী দলের হরতালের মধ্যে বাস ও ট্রাকে দেয়া আগুনে পুড়েছেন আরো ১২ জন

এর মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইলে চলন্ত বাসে আগুন দেয়া হলে তাতে আহত হন নয়জন। রাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে অগ্নিদগ্ধ হন এক প্রবাসীসহ তিনজন।    

তিন সপ্তাহ ধরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধের সংখ্যা বাড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।  এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন।  কয়েকবজন মন্ত্রীর পাশাপাশি মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিদগ্ধদের কাছে যান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি অগ্নিদগ্ধদের দুর্ভোগ দেখে বিরোধী দলের কর্মসূচির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গাড়িতে আগুন দেয়ার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর দায়ে বিরোধীদলীয় নেতার বিচারও করা হবে। অন্যদিকে হরতালে এই ধরনের নাশকতার জন্য সরকারের 'লোকজনকে' দায়ী করে বিরোধী দলের বক্তব্য, এর উদ্দেশ্য আন্দোলন নস্যাৎ করা। টানা ৮৪ ঘণ্টার হরতালের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর প্রবেশমুখ মাতুয়াইলে গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জগামী কোমল পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।  ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "চলন্ত গাড়িতেই এ আগুন দেয়া হয়। যাত্রীবেশে কেউ পেট্রোল বা গান পাউডার ব্যবহার করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি।"

বাসে আগুন দেয়ার পরপরই পাশের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। এরই মধ্যে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা এসে আগুন পুরোপরি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  তারা বাসের অগ্নিদগ্ধ নয়যাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহতরা হলেন- ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র তারেক আহমেদ (২০), ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী রাবেয়া আকতার (২৪), প্রকৌশলী মো. শুভ (২৯), আব্দুর রহিম (২৬), আব্দুল মান্নান (৩৩), আবু বকর সিদ্দীক (৩০) এবং আবুল কালাম (৪০), খবির হোসেন (৪০) ও আব্দুল হাই (৪৫)।  আহত তারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডেমরার বাসা থেকে বেরিয়ে চিটাগাং রোডে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার জন্য রায়েরবাগ থেকে বাসে উঠেছিলেন তিনি। "কিন্তু বাসটি পুনম সিনেমা হল অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।"

আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের আব্দুর রহিম (২৬)। তার শরীরের ৩৭ ভাগ পুড়ে গেছে। তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে ফুল বিক্রি করেন, থাকেন শনির আখড়ায়। তিন বোন পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি ।

বাবা না থাকায় সংসারের মূল চালিকা শক্তি তিনিই বলে জানান রহিমের বোন নাসিমা আক্তার।



হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,পাঁচ জন রোগীর শরীরের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে, যার ফলে তাদের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

গাজীপুরের ঘটনাটি ঘটে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জের ঘোড়াশাল বাইপাসের মুরগাঁও এলাকায়। সেখানে ট্রাকে ছোড়া পেট্রোল বোমায় তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক ভূঁইয়া জানিয়েছেন।

অগ্নিদগ্ধ বাবুল বেপারি (৩৮), সাইদুল হাজরা (৩৫) ও ইসরাফিল (৩০) কে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

আমিরাতপ্রবাসী বাবুল দেশে ফিরে হরতালে গাড়ি না পেয়ে ট্রাকে চেপে খুলনায় বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন। তিনি খালিশপুরের মান্নান বেপরীর ছেলে।

ট্রাকচালক সাইদুলের বাড়ি বাগেরহাটের সৈয়দপুরে এবং তার সহকারী ইসরাফিলের বাড়ি ওই জেলার হাকিমপুরে।

ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ট্রাকটি মাছ নিয়ে টঙ্গী এসেছিল। ফেরার পথে ঘোড়াশাল থেকে রড নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাস না পেয়ে তাতে ওঠেছিলেন বাবুল।

এদিকে হরতালের তৃতীয় দিনে ঢাকার উত্তরা, সদরঘাট, ডেমরা, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত পাঁচটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আব্দুল্লাহপুরে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এর এক ঘণ্টা পর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় একটি বিআরটিসি বাস অগ্নিসংযোগ হয়।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সদরঘাটে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে, রাত সাড়ে ১০টায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে একটি বাসে আগুন দেয়া হয় বলে অগ্নিনির্বাপন বাহিনী জানিয়েছে।

এছাড়াও পুরানা পল্টন, শাহজাহানপুর, শান্তিনগর, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, কারওয়ান বাজায় এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এই ধরনের বিস্ফোরণ সারাদেশেই ঘটছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে রাতে র‌্যাব ২৭টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করেছে। 






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Govt. should freeze the Bank Accounts of BNP-JAMAAT !!!!!!!!



Should we seize the assets of BAL for calling 176 days of Hartal to bring caretaker government. Caretaker system that Hasina discarded. Where are all the open minded, rational human beings, why don't they speak against the election rigging plan.





On Wednesday, November 13, 2013 6:15 PM, Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com> wrote:
 
Govt. should freeze the Bank Accounts of BNP-JAMAAT to recover the losses due to Hartal .

এ বছর হরতালে ক্ষতি এক লাখ কোটি টাকা, প্রাণহানি ১২০
০ বিপর্যয়ের মুখে অর্থনীতি 
০ একদিনে রাজস্ব ক্ষতি ৪০ কোটি 
০ বড়দিনের বাজার ধরতে আকাশপথে তৈরি পোশাক পাঠানোর অতিরিক্ত ক্ষতি ৮ শ' কোটি টাকা
রহিম শেখ ॥ একের পর এক হরতালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রফতানিমুখী খাত, বিশেষত তৈরি পোশাক শিল্প। পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৫২টি হরতাল হয়েছে, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি। এই সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক হরতাল কর্মসূচীতে শুধু অর্থনীতিরই ক্ষতি নয়, এ পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে। ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক শ' যানবাহন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক হরতালের কবলে দেশের সেই অর্থনীতি এখন বেসামাল। 
সূত্র মতে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৫২টি হরতাল হয়েছে। গত বছর হরতাল হয়েছিল ২৯টি। অথচ ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৭টি হরতাল হয়েছিল। এ বছর হরতাল বেশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণও বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে রফতানিমুখী খাত, বিশেষত তৈরি পোশাক শিল্প। হরতালে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এয়ারশিপমেন্ট (বিমানযোগে রফতানি) করতে বাধ্য হচ্ছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক হিসাবে, বছরে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টিইইউ কনটেইনার ওঠানামা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে একদিনের হরতালে প্রায় চার হাজার ৯৩১ টিইইউ কনটেইনার আটকে যায়। এ কনটেইনারগুলোতে কলকারখানা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করা হয়। আবার কনটেইনার ভরে পাঠানো হয় রফতানি পণ্য। ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ থাকায় শিল্পের চাকা বন্ধ থাকে। উৎপাদন ব্যাহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রফতানি খাত। এছাড়া ঢাকা এবং এর বাইরে থেকে কাঁচামাল ও শাকসবজি আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উৎপাদন পর্যায়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষ। হরতালের এই কালো থাবায় আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের শিল্পপতি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা বলছেন, একের পর এক হরতালে তাদের আয় মারাত্মকভাবে কমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্য খাতের মধ্যে পর্যটন, হোটেল-রেস্তরাঁ উল্লেখযোগ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে বিদেশী পর্যটকরা আসেন না। হরতালে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে লোক বাইরে বের হয় কম। যে কারণে হোটেল-রেস্তরাঁয় বেচাকেনা কমে যায়। হরতালের প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গন আর শিক্ষাজীবনেও। অর্থনীতির সব ক্ষতি ছাড়িয়ে হরতালে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় মানুষের প্রাণহানি। 
বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, আর্থিক যে ক্ষতির বিবরণ দেয়া হয়, হরতালে ক্ষতি আসলে এর চেয়েও অনেক বেশি। আর সেই ক্ষতির আর্থিক হিসাব করা সম্ভব নয়। কারণ, হরতালের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়, দেশটি যে বিনিয়োগের একটি আস্থাভাজন জায়গা, সেই আস্থার জায়গাটি নষ্ট হয়, রফতানির নিরাপদ উৎস হিসেবে বাংলাদেশ আর বিবেচিত হয় না। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক হরতালের কবলে দেশের সেই অর্থনীতি এখন বেসামাল। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ জানান, হরতালের সংস্কৃতি আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। আমরা বার বার বলছি আলাপ-আলোচনা করে একটা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা হরতালে শেষ হয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন বলেন, হরতালে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা দেশের ভাল চাইলে হরতাল সমর্থন করতে পারেন না। 
হরতালে অর্থনীতির ক্ষতি ॥ হরতালে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে সিপিডির দেয়া তথ্য মতে, হরতালে বাংলাদেশের ১ শতাংশ পুঁজি নষ্ট হলে তাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশের মোট জিডিপির দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের এক হিসাব মতে, হরতালের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ ক্ষতি হয়। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে দাবি করেছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা এক সমীক্ষায় বলেছে, হরতালের কারণে বাংলাদেশে সার্বিক ক্ষতি হয় জিডিপির কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। এফবিসিসিআইয়ের হিসাবে, এক দিনের হরতালে দেশের জিডিপির দশমিক ১২ শতাংশ ক্ষতি হয়। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) হিসাবে, এক দিনের হরতালে এক হাজার ৫৪০ কোটি টাকার (২০ কোটি ডলার) ক্ষতি হয়। হরতালে ক্ষতির একটি হিসাব করেছে ঢাকা চেম্বারও। সংগঠনটির হিসাবে, প্রতিদিন হরতালে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বছরে অন্তত ৪০টি'র বেশি হরতালে ৬৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। সংগঠনটির দেয়া তথ্য মতে, এই টাকা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু তৈরি সম্ভব। প্রাণহানি ও সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে, এ হিসাব তার বাইরে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি, হরতালে দেশের ২০ লাখ দোকানে প্রতিদিন ক্ষতি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। 
তৈরি পোশাক খাতে ক্ষতি ॥ তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ দাবি করেছে, একদিনের হরতালে পোশাক খাতে ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা। যদিও ঢাকা চেম্বারের দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, এ খাতে একদিনে ক্ষতির পরিমাণ ৩৬০ কোটি টাকা। হরতালের মধ্যে বাধ্য হয়ে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে এয়ারশিপমেন্টে (বিমানযোগে রফতানি) যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ইউরোপের খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে বড়দিনের বাজার ধরে রাখতে ২৪ হাজার কোটি টাকার তৈরি পোশাক আকাশপথে পাঠাতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে। ইমেজ সঙ্কটের কারণে রফতানি আদেশও কমছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বছরের বড়দিনের পণ্যের সর্বশেষ চালান নিয়ে জাহাজ ছাড়বে ২০ নবেম্বর। কিন্তু হরতালের কারণে এ সময়ের মধ্যে অনেকেই বন্দরে পণ্য পৌঁছাতে পারবেন না। তাদের আকাশপথেই পণ্য পাঠাতে হবে। রফতানিকারকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছর অন্তত ২৫-৩০ শতাংশ পণ্য আকাশপথে পাঠাতে বাধ্য হবেন তারা। জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনকে কেন্দ্র করে যেসব রফতানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল, সেসব পণ্য নবেম্বরের মধ্যেই পৌঁছাতে হবে। তাই সেপ্টেম্বর থেকেই বড়দিনের পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হয়ে গেছে। যারা রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে এখনও পাঠাতে পারেননি, তারাই এয়ারশিপমেন্ট করছেন। সংগঠনের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম জনকণ্ঠকে বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকায় পণ্য বন্দরে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। যথা সময়ে শিপমেন্ট না হওয়ায় আদেশ বাতিল করে দেন ক্রেতারা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম পারভেজ চৌধুরী বলেন, সংঘাতময় রাজনীতির নেতিবাচক বার্তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করছে। ফলে বিদেশীরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
রাজস্ব ক্ষতি ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিনের হরতালে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়। হরতালে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকলে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায়ে ক্ষতি হয়, তা জানতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এনবিআর। রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার পণ্যের চালান খালাস হয়। হরতালের কারণে চালানগুলো সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে আটকে থাকে ৪০০টি, ঢাকা কাস্টম হাউসে ৬০০ থেকে ৭০০ ও কমলাপুর আইসিডিতে ৫০-৬০টি চালান। হরতালজনিত কারণে মালপত্র খালাস না হওয়ায় সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। 
পরিবহন ক্ষতি ॥ ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির হিসাবে, হরতালের দিন সারাদেশে গড়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ বাস-মিনিবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকে। এ কারণে ওই সব দিন অন্তত ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ বছর ৫২টি হরতালে ভাংচুর করা ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক শ' যানবাহন। এ ক্ষতির পরিমাণও প্রায় দশ কোটি টাকা।
aamra technologies
alt
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___