Banner Advertiser

Wednesday, January 15, 2014

[mukto-mona] Fw: পদ থেকে মাইনাস হচ্ছেন মির্জা ফখরুল?





On Wednesday, January 15, 2014 11:10 PM, SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com> wrote:

পদ থেকে মাইনাস হচ্ছেন মির্জা ফখরুল?

ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি- বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এতদিন আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতারা। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সেখানে দেখা যায়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অসুস্থ নাকি পদ থেকে মাইনাস হচ্ছেন, এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মধ্যে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
গুরুত্বপূর্ণ এ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল কেন উপস্থিত ছিলেন না, তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। দলের অনেকেই বলেছেন, দলের ভেতরের চাপে থাকার কারণে তিনি সামনে আসছেন না। আবার অনেকে বলেছেন, শিগগিরই তাকে মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই তিনি নেতাকর্মীদের সামনে আসছেন না।   
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলামকে নিয়ে দলের মধ্যে এক ধরণের অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে তারেক রহমান এবং শমসের মবিন চৌধুরীর ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর অনেকেই তার ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।'
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্য সংবাদ সম্মেলনের পর বলেন, 'ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি। উনি কি শারীরিকভাবে সুস্থ না অসুস্থ ঠিক বলতে পারছি না।'
তিনি বলেন, 'সুস্থ থেকেও তিনি যদি অনুষ্ঠানে না আসেন তবে কর্মীরা তা ভালোভাবে নেবে না।'
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বলেন, 'সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন না। তিনি কেন আসেননি বা কোথায় আছেন তাও জানি না।'
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের উপস্থিত না থাকায় কর্মীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতান বলেন, 'ম্যাডামের নির্দেশে মহাসচিব তার দায়িত্ব পালন করছেন। ম্যাডাম যাদের দাওয়াত দিয়েছেন তারাই ওখানে গিয়েছেন। এটা ম্যাডামের অনুষ্ঠান। গতকাল রাতে ৪ ঘণ্টা ধরে তিনি (ফখরুল) ম্যাডামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।'
কর্মীদের হতাশা প্রসঙ্গে শিরিন সুলতানা বলেন, 'ম্যাডাম ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় কর্মীরা ম্যাডামকে বলেছেন, যারা বেঈমানী করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ম্যাডাম তাদের আশ্বস্ত করেছেন।'
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকর, বেগম সারোয়ারি রহমান, নজরুল ইসলাম খান, উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে রিয়াজ রহমান, ড. এম ওসমান ফারুক, অধ্যাপক এম এ মান্নান, আব্দুল মান্নান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, এম আব্দুল কাইয়ুম, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহ  মোয়াজ্জেম হোসেন, শমসের মবিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, আব্দুল লতিফ জনি, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জোট নেতাদের মধ্যে এলডিপির সভাপতি ড. অলি আহমেদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, বিজেপির সভাপতি আন্দালিভ রহমান পার্থ, বাংলাদেশ পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জামায়াতের ডা. রোদোয়ান উল্লাহ শাহেদি, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তজা, ইসলামিক পার্টির আবদুল মবিন, ন্যাপ ভাসানীর শেখ আনোয়ারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে জনাকীর্ণ এই সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখা না গেলেও তাদের সম্পর্কে কাউকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। অন্যদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি এম শামসুল ইসলাম।
জোট নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সভাপতি আব্দুল মবিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু উপস্থিত না থাকলেও এদের নিয়ে কারো মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/25139#sthash.TymVs0MR.dpuf
সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খালেদা…


ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি- সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গুলশান কার্যালয়ে এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের জন্য ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারছেন না। একটা শ্রেণী ইচ্ছা করেই খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দূরে রাখছে। তবে এই সিন্ডিকেটের সদ্যদের উপঢৌকন দিলে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা মিলে। এমন অভিযোগ নেতাকর্মীদের। জানা গেছে, চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে কয়েকজন শোকেসের নেতাও 


http://www.deshebideshe.com/news/details/25147আছেন, যাদের কোনো কর্মসূচিতেই দেখা যায় না। তারাই বিএনপির 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] সহিংসতায় জামায়াতের অনুসারী বিএনপি -কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীদের





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খালেদা



সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খালেদা

এম রফিক রাফি

ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি- সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গুলশান কার্যালয়ে এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের জন্য ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারছেন না। একটা শ্রেণী ইচ্ছা করেই খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দূরে রাখছে। তবে এই সিন্ডিকেটের সদ্যদের উপঢৌকন দিলে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা মিলে। এমন অভিযোগ নেতাকর্মীদের।

জানা গেছে, চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে কয়েকজন শোকেসের নেতাও আছেন, যাদের কোনো কর্মসূচিতেই দেখা যায় না। তারাই বিএনপির চেয়ারপারসনের চারপাশ ঘিরে রেখে মূলধারার নেতাদের সাক্ষাৎ করতে দেন না। ফলে মাঠের নেতাদের কোনো খবরই জানতে পরেন না খালেদা জিয়া। তাদের কারণে নেতাকর্মী ও মিডিয়ার সঙ্গেও চেয়ারপারসনের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে সাক্ষাৎ প্রত্যাশীসহ সাধারণ নেতাকর্মীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। এমনই এক ঘটনা ঘটে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে।

হোটেল ওয়েস্টিনে বুধবার সংবাদ সম্মেলন শেষে বাসায় ফিরে যান খালেদা জিয়া। রাত পৌনে ৯টার দিকে কার্যালয়ে আসেন তিনি। এসময় অন্যান্য দিনের চেয়ে কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম। চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন ওয়েটিং রুমে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। এদের একজন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য উপরে যেতে চাইলে সিএসএফ (চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স) তাকে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি উঠেন। তিনি বলতে থাকেন, 'আমি নির্বাহী কমিটির সদস্য, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। অথচ আমাকে ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে দেয়া হচ্ছে না।'

তিনি বলেন, 'আমি রাজপথের রাজনীতি করি। চুরি করি না, দুর্নীতি করি না। আমি সব জানি। এও জানি কারা ঘুষ নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করায়। ঘুষ খাওয়ার একটা সীমা থাকে। ম্যাডাম নিচে নামার সময় আমি সব বলে দেবো।'

তার চেঁচামেচি শুনে চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নুরুদ্দিন আহমেদ নুরু এসে তাকে উপরে নিয়ে যান।
 
এসময় যুবদলের সদস্য হাজী ইউসুফকেও উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, 'তিনি (রফিকুল ইসলাম মাহতাব) দীর্ঘদিন একটা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, অথচ তাকে যেতে দেয়া হয় না।'

তিনি বলেন, 'আমরা তো সবই দেখি, রাস্তা থেকে ডেকে উপরে নিয়ে যাওয়া হয় অথচ আমাদের যেতে দেয়া হয় না। গুলশান অফিসে একটা সিন্ডিকেট আছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এরা ম্যাডামকে ঘিরে রেখেছে। প্রকৃত নেতাকর্মীদের ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে দেয় না। সাক্ষাৎ করতে দিলেই চেয়ারপারসন সবকিছু জেনে যাবেন, এই জন্য দেখা করতে দেয়া হয় না। এদের জন্যই বিএনপির আজ এই অবস্থা।'

তখন তিনি ক্ষেপে গিয়ে সিএসএফকে জানাতে বলেন কারা নেতাকর্মীদের মাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নিষেধ করে?

জানা গেছে, গুলশান কার্যালয়ে চেয়ারপারসনকে ঘিরে রয়েছে একাধিক বলয়। এসব বলয়ের লোকজন তাদের পছন্দের লোকজন ছাড়া কাউকে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিতে চান না।
 
সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। প্রেস সচিব মারুফ কামাল সোহেলও কার্যালয়মুখি নন। এর সুযোগ নিয়েছেন গুলশান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা, যিনি ইঞ্জিনিয়ারও। তার নেক নজরের ওপর ভাগ্য নির্ধারিত হয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের।

গত সোমবার রাজশাহী থেকে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন নির্বাহী কমিটির এক সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, 'দুইদিন ধরে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করার জন্য গুলশান কার্যালয়ে আসছি কিন্তু দেখা করতে পারছি না। কর্মকর্তারা বলছেন নিষেধ আছে। কার নিষেধ আছে তা তারা বলছেন না।' অনেকক্ষণ বসে থাকার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে অবশেষে চলেই যান তিনি।

সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট ছাড়াও গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ ও চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিএসএফ সদস্যরা। যেখানে রাজপথের ত্যাগী অনেক নেতাকর্মী চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ তো দূরের কথা কার্যালয়েই ঢুকতে পারে না। অবশ্য সিএসএফকে 'ম্যানেজ' করে অনেকেই আবার কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবদলের এক সহ-সভাপতি এ প্রতিবেদককে বলেন, 'চেয়ারপারসনের সঙ্গে নেতাকর্মীদের কথা বলার এমন প্রতিবন্ধকতা আগে ছিল না। ১৯৯১ থেকে ৯৬ তে বিএনপি যখন সরকারি দলে তখনও প্রতিদিন সন্ধ্যায় ম্যাডাম আসতেন সুগন্ধায়। সবস্তরের নেতাকর্মীরা ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলতেন। ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখনও ম্যাডামের সঙ্গে মিন্টু রোডে দেখা করতে যেতেন ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীরা। প্রতিদিন তিনি সবার কথা শুনতেন।'

তিনি বলেন, '২০০১ থেকে ০৬ সারের মধ্যে হাওয়া ভবনেও নেতাকর্মীরা ম্যাডাম ও তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে পারতো। অবশ্য তখন তারেক ভাই সবার কথা শুনতেন, তাই ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলার অতটা প্রয়োজন হয়নি।'

তিনি আরো বলেন, '২০০৮ এর পরেও নেতাকর্মীরা গুলশান কার্যালয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলতে পারতো। কিন্তু ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে কাউন্সিল হওয়ার পর পদবঞ্চিতরা গুলশানে গিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে থাকলে সুবিধাবাদীরা নতুন অলিখিত আইন জারি করে অনুমতি ছাড়া ম্যাডমের সঙ্গে দেখা করা যাবে না।'

যুবদলের এ নেতা বলেন, 'এখন বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা, নির্বাহী কমিটির সম্পদক, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কাউকেই উপরে যেতে দেয়া হয় না। যেতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এতে করে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন চেয়ারপারসন।'

তিনি বলেন, 'আগে ম্যাডামের চারপাশে ছিলেন নেতারা। তারা নেতাকর্মীদের বুঝতেন। আর এখন ম্যাডামকে ঘিরে আছে আমলারা। তারা ম্যাডামকে বৃত্তে বন্দী করে ফেলেছে। ম্যাডামকে এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজপথের নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে হবে, মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আন্দোলন সফল হবে।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, 'বিভিন্ন কারণে গুলশান অফিসে সবাই ম্যাডামের কাছে যেতে পারে না। যার কারণে ওনার (খালেদা জিয়ার) পার্টি অফিসে (নয়াপল্টন) যাওয়া দরকার।'

দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার বলেন, 'গুলশান অফিসে গিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। সবস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য ম্যাডামের দ্বার উন্মুক্ত হওয়া উচিৎ।'

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/25147#sthash.nJ2v0BLq.dpuf

Also Read:

পদ থেকে মাইনাস হচ্ছেন মির্জা ফখরুল?

ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি- বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এতদিন আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতারা। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সেখানে দেখা যায়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অসুস্থ নাকি পদ থেকে মাইনাস হচ্ছেন, এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মধ্যে।

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/25139#sthash.i2IAUWXG.dpuf

http://www.deshebideshe.com/news/details/25139






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের বিশাল ক্রোধ এবং তারপর -(পঞ্চম কিস্তি) - সমাপ্ত



I am not sure who these "we" are. If these "we" are the Muslims of Bangladesh in general, then I must say that Mr. QR's concerns are unfounded. In the eyes of the western world largely represented by America, Bangladesh is a moderate Muslim country. I am not aware which Muktomona members portray Bangladeshis as Islamists. Mr. QR should be more specific about the accusation. 

I am also not sure which Indian channels are doing harm to the image of Bangladesh and how they are doing it. I am curious. 

No doubt in religious beliefs Bangladeshis are in general moderate. They are simple minded good people also. But that does not mean that we do not have religious fundamentalists, fanatics, and militants. Containment of these elements, although small in numbers, depends on the secular forces. That's why I proposed that BNP leave Jamaat and engage in secular nationalist politics. Also I proposed that religion based politics should be banned. 

Sent from my iPhone

On Jan 15, 2014, at 3:50 AM, QR <qrahman@netscape.net> wrote:

 

I think we are passing an interesting time about political matters in our country. Slowly but surely we are moving away from street demonstrations, processions etc to blogs, Face book, electronic campaign. We have more active people in cyber world than the real one.

We are still conscious about politics but we don't wish to get killed over it. We are just moving it to a different arena.

Albeit by most members
often  presented Bangladeshis as Islamist or worse by active mukto-mona members but I think we'll have "Mother of all protests" if one fine morning our government shut down "Star plus", SONY TV, Star world, ESPN etc from cable (All owned by Indian companies and the Star family has Rupert Murdock who own's the Islamophobe Fox network in USA). :-)
This would piss off our ladies and we know our ladies don't joke around!! (Men do)

Unless pushed we are peace loving and easy going people. We are not fanatics but moderate people. We just need good leaders to bring the best out of us (Right now often they extract the worst in us).

My two cents.....O:-)


-----Original Message-----
From: Mohammad Mushrafi <mushrafi@hotmail.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Tue, Jan 14, 2014 3:43 pm
Subject: RE: [mukto-mona] নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের বিশাল ক্রোধ এবং তারপর -(পঞ্চম কিস্তি) - সমাপ্ত

 
A strong opposition is a necessary condition for a dynamic democratic process. BNP was born under the leadership of pro-liberation forces. They picked up and used the frustration and anger of the majority Bangladeshis caused by the failure, corruption and autocratic rule of AL at that time.
 
There was no effective opposition in early years of Bangladeshi democracy. NAP (Mozaffar) could have played that role because, the NAP was organized and popular at that time.  But NAP and CPB both acted as B teams of AL for some unknown reason.  Either they thought they will control Mujib to their planned direction or they were lack of self-confidence to oppose the autocracy of AL.
 
In front of USIS the killing of BCU's was a test case. The then DUCSU VP (BCU), Mujahidul Islam Islam rebelled against Mujib, tore away Mujib's DUCSU membership certificate in Paltan maidan. AL and CL came down on them with heavy hand. Burnt down NAP and CU office. Physically attacked workers and offices (I witnessed personally there in the procession as a student of Dhaka College).
 
On the other hand, JSD was killing people in the remote areas of the country in the name of Gonobahini. They confronted Rakkhi Bahini who has killed about 24 thousands of bright young men who were misguided by their leader so called "Dada"(Later it confessed it).
 
Many political drama unfolded, Mujib was killed.  Nation stunted. Zia took stand. First militarily then politically. Naturally he gathered anti Mujib elements, most of them are in chinese line who were anti-liberation but politically seasoned.
When JAGODAL (Zia-Sattar) formed, not only the leftists (Pro-Peking) and pro-Pakistanis came in to the that camp, war criminals also sneaked in to it. But war criminal Jamatis only strongly aliened with BNP under Khaleda Zia.
 
The politics of AL revolves with the credit of leadership in the liberation war. But it could not prevent their fall because of mounting corruption,mismanagement in the governance and tyranny in their first term ruling years.
 
Today BNP grown to its adulthood as a political party. Probably there was a time when they thought they needed Jamatis with it to attain the power. Today it does not need it. But sadly, the language of Khaleda, the tone she used recently (Gopali ete) reflects the lack of taste as a leader. Therefore, BNP needs a new leadership and more self reliance (leaving Jsmatis, bacause people does not like it) to perform the role of an effective opposition.  To keep the ruling party on the toes and keep them away from mischiefs, BNP needs to be strong and reasonable.
 

From: subimal@yahoo.com
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Mon, 13 Jan 2014 21:14:07 -0600
Subject: Re: [mukto-mona] নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের বিশাল ক্রোধ এবং তারপর -(পঞ্চম কিস্তি) - সমাপ্ত

 
If BNP leaves Jamaat, a more healthy and competitive political environment will be created in the country. There should not be denying the fact that today BNP is well established as a nationalist democratic political party. Conspiracies aside, we should also accept the fact that BNP in it's political journey since it's inception forty years ago has gone through ups and downs, and trials and tribulations as well, and in this way has achieved maturity. Although in the beginning BNP flourished with the help of anti liberation forces, currently it cannot be accused of nourishing anti liberation forces within the party. The present leadership  in general consists of modern and educated people. The problem is that their voice is feeble. Today I don't see any reason why it cannot be a good competitor of AL in pursuing politics consistent with the ideals of our great liberation war. Looks like rebels have to come from inside and force the current BNP leadership to shun politics that pampers Jamaat. I hope good sense will prevail in the BNP leadership and the progressive coterie will dominate. 

I hope the present government will complete the following tasks:
1. Ban Jamaat and religion-based parties
2. Complete the trial of the war criminals
3. Reform electoral process
4. Amend constitution ensuring that none can become the head of the government more than twice
5. Ensure that the next election is given at the earliest and that it be not laughable any more. 

If BNP leaves the company of Jamaat, the above agenda can be easily fulfilled. 



Sent from my iPhone

On Jan 13, 2014, at 6:21 PM, Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com> wrote:

 

I will not advise BNP to dissociate from Jamat; it's a natural match. BNP leader celebrates 15th August as her birthday, which happens to be the day the father of the nation, Sheikh Mujibur Rahman, was assassinated.    

Jiten Roy


On Monday, January 13, 2014 6:44 PM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৪, ৩০ পৌষ ১৪২
নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের বিশাল ক্রোধ এবং তারপর
মুনতাসীর মামুন
(পঞ্চম কিস্তি)
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতি করেন বটে কিন্তু দেশটির প্রতি তার কোন ভালবাসা নেই। তিনি কীভাবে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন? শেখ হাসিনা তাকে কাতরভাবে অনুরোধ করেছিলেন, আপনি অনুগ্রহ করে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করবেন না। আমার কষ্ট হয়। খালেদার উত্তর ছিল, ১৫ আগস্ট কি কারও জন্মদিন হতে পারে না? যৌক্তিক উত্তর। কিন্তু আমরা তো জানি ১৫ আগস্ট তাঁর জন্মদিন নয়। এটি একটি অরুচিকর ব্যাপার যা তার ঘনিষ্ঠ মওদুদ আহমদও উল্লেখ করেছেন। শুধু �=


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তিযোদ্ধা তাই পাকিস্তানের ভিসা বাতিল!



মুক্তিযোদ্ধা তাই পাকিস্তানের ভিসা বাতিল!

বান্দরবান, ১৬ জানুয়ারি- বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবেই পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ফরাজ আলী (৬১)। কিন্তু তার নামের আগে একটি বিশেষ শব্দ থাকায় তার ভিসার আবেদন বাতিল করে পাকিস্তান দূতাবাস।

এমনটাই দাবি করে এর প্রদিবাদে বাইসাইকেলে দেশভ্রমণে বের হয়ে ফরাজ আলী জানান, তার ইচ্ছা জীবনের বাকি দিনগুলো বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করা। ইতোমধ্যে ভারত ও ইরান তাকে ভিসাও দিয়েছে। এরপরই আবেদন করেন পাকিস্তান ভ্রমণের। কিন্তু তার নামের আগে 'মুক্তিযোদ্ধা' থাকায় তার আবেদন বাতিল করে পাকিস্তান।     

মুক্তিযোদ্ধা জাফর ফরাজী। মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের পূর্বে কমলাপুর গ্রামের মৃত আলম ফরাজীর ছেলে।

মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় পাকিস্তান ভ্রমণে দূতাবাসের বাধার প্রতিবাদে দেশটির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে বাইসাইকেলে দেশভ্রমণে বের হয়েছেন তিনি। তিনি এখন পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি উদ্দেশে তিনি যাত্রা করবেন।

ফরাজী জানান, তিনি কুমিল্লার ৪নং সেক্টরের কমান্ডার মোহাম্মদ সেলিমের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

পাকিস্তানের স্বরুপ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪২ বছর পার হলেও এ দেশের মানুষের প্রতি পাকিস্তানের সেই শত্রুতা এতোটুকুও কমেনি।'

২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাইসাইকেলে দেশভ্রমণ শুরু করেন তিনি। ঘুরতে ঘুরতে তৃতীয়বারের মতো বুধবার তিনি বান্দরবান এসে পৌঁছেন। তার দেশভ্রমণে বান্দরবান ৪১তম জেলা। এভাবে ৬৪ জেলাবাসীর কাছে পাকিস্তানের স্বরুপ তুলে ধরে দেশবাসীকে আরও সচেতন করতে চান এ মুক্তিযোদ্ধা।
 
বাইসাইকেলেই পবিত্র হজ্ব পালন করার জন্য তাকে সৌদিআরব যাওয়ার অনুমতি দেয়ারও দাবি জানান তিনি।

বিশ্বভ্রমণের মাঝপথে যদি তিনি মারা যান তাহলে তাকে দাফনের জন্য তার বাইসাইকেলের সঙ্গে কাফনের কাপড় রেখেছেন।

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/25143#sthash.Utndyq0S.dpuf




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Investigation on Hindu Attack!!



মালোপাড়ার আক্রান্ত হিন্দুপল্লী একটি সরেজমিন প্রতিবেদন

গোলাম কুদ্দুছ

জানুয়ারি ২০১৪ ছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, জেপি, তরিকত ফেডারেশন আরও কয়েকটি ছোট দল এই নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এবং অন্য কয়েকটি ছোট দল নির্বাচন বর্জন করে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এই নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাবার হুঁশিয়ারি দেয়। মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায় তার জন্য ভয়-ভীতি, হুমকি প্রদান ছাড়াও অবরোধের নামে সারাদেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। বাসে-ট্রেনে বোমা হামলা, আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে দেয়া, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা, পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়ে ভোট বানচাল করার একটি প্রচেষ্টা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। অপরদিকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক যে আবহে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ভোটারকার্ড বিতরণ, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে আগ্রহী করে তোলার কাজগুলো নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে পরিচালনা করত-এবার দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে সেক্ষেত্রে শিথিলতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে নির্বাচনী আমেজ বা উৎসবের পরিবেশ সেভাবে জমে ওঠেনি। 
এমনি পরিস্থিতিতে ভোটের দিন নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের আহ্বান উপেক্ষা করে যে সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয় তাদের উপর নানাভাবে হুমকি আসতে থাকে। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নেমে আসে মহাদুর্যোগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুপল্লীতে আক্রমণ, বাড়ি-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, শারীরিকভাবে নির্যাতন, পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে। যশোর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, বগুড়া, নীলফামারী, গাইবান্ধায় হামলা-আক্রমণ ছিল ভয়াবহ। একটি স্বাধীন দেশে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করার কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিন্দা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হয় দেশব্যাপী। ঘটনার জন্য গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচন প্রতিরোধকারী বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে। 
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দেশব্যাপী সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বর আক্রমণের প্রতিবাদে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে এবং কালো পতাকা মিছিল বের করে। সমাবেশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দু'টি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কিছু সহায়তা প্রদানের জন্য ঢাকা ত্যাগ করে। জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, মানজার চৌধুরী সুইট, বাদল চৌধুরী, সুমন সৌরভ সমন্বয়ে একটি দল জানুয়ারি রাতে দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও রওনা হয়। ১০ তারিখ ভোরবেলা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ, আহমদ গিয়াস, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, আরিফ রহমান, স্বপন চৌধুরী ওয়াসিম আহম্মেদ সমন্বয়ে আরেকটি দল যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু এলাকা পরিদর্শনে যায়। ঐদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে যা দেখেছি, বুঝেছি, অনুধাবন করেছি সৎভাবে দেশবাসীকে তা জানানোর তাগিদ থেকেই এই নিবন্ধ রচনা।

. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিচয় 
গ্রামের নাম চাপাতলি, ইউনিয়ন-প্রেমবাগ, উপজেলা- অভয়নগর, জেলা- যশোর। চাপাতলী গ্রামের পশ্চিমাংশে মুসলমান এবং পূর্বদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাস। হিন্দু পরিবারের সংখ্যা ১১০টি এবং লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ ' হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মৎস্যজীবী। পার্শ্ববর্তী ভৈরব নদে মাছধরা, পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ, ছোটখাটো ঘেরে মাছের আবাদ এবং মাছ ধরাই তাদের প্রধান পেশা। অধিকাংশ নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবার। গ্রামের এই হিন্দুপল্লী 'মালোপাড়া'-নামে পরিচিত। 

. হিন্দুপল্লীতে আক্রমণের সূত্রপাত ধরন
আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোট অনুষ্ঠিত হবার কয়েকদিন আগে থেকেই বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের লোকজন তাদের ভোটকেন্দ্রে না যাবার জন্য হুঁশিয়ার করে দেয়। কিন্তু তারা একে পাত্তা না দিয়ে জানুয়ারি দু'জন-চার জন করে ভোটকেন্দ্রে যেতে শুরু করে। পথিমধ্যে কিছু লোক তাদের ভোটকেন্দ্রে না যাবার জন্য হুমকি প্রদান করলে তারা ভিন্ন পথে ভোট দিতে যায়। সকাল থেকে উত্তেজনা দেখা দিলেও আক্রমণ হয়নি। বেলা তিনটা সাড়ে তিনটার দিকে আনুমানিক তিন-চার ' লোক দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিশোঠা নিয়ে একযোগে গ্রামের পশ্চিম এবং পূর্বদিক থেকে হিন্দুপল্লী মালোপাড়ায় আক্রমণ শুরু করে। 
আক্রান্ত সুশীল সরকার আমাদের জানায়, সেদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দু'দফায় হামলা চালানো হয়। হামলায় / শত লোক অংশ নেয়। হামলাকারীদের মুখ মাথা সাদা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল-যার কারণে চেনা যায়নি। অনেকের মুখে কাপড় ছিল না - কিন্তু তাদের কখনও এলাকায় দেখেননি। সুশীল সরকার জানাল, হামলায় বেশ কয়েকজন নারীও অংশ নেয়।
মধ্যবয়সের অলকা সরকার জানান, আক্রমণের সময় তাঁর স্বামী মঙ্গল সরকার ভোটকেন্দ্রে ছিলেন। হামলাকারীরা দু'দফায় আক্রমণ চালায়- সংখ্যায় ছিল / ' হামলায় ওই বাড়ির আশুতোষ গুরুতর আহত হন এবং তিনি এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হামলা হলে প্রাণ বাঁচানোর জন্য অলকা সরকার তাঁর ইন্টারমেডিয়েট পড়য়া কন্যা অর্পণা সেনকে নিয়ে দৌঁড়ে ভৈরব নদ সাঁতরিয়ে অপর পাড়ে আশ্রয় নেন। একদিন পর আতঙ্কের মধ্যেও নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। 
প্রতিবন্ধী মেয়ে অনিমা রাণী বিশ্বাস, পিতা-পাগল চন্দ্র বিশ্বাস। বয়স-আনুমাকি ২৪-২৫ বছর। কথা বলতে পারে না- কিন্তু অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। তার আয়ের উৎস একটি সেলাই মেশিন। বাড়িতে আক্রমণ হলে সবাই পালিয়ে যায়- আর হামলাকারীরা এই সুযোগে তার সেলাই মেশিনটিও লুট করে নিয়ে যায়। ভীত-সন্ত্রস্ত প্রতিবন্ধী অনিমা রাণীর চোখে-মুখে যেন এক রাশ প্রশ্ন- কি তার অপরাধ? 
কথা হলো গৃহবধূ শিউলী বিশ্বাসের সঙ্গে। স্বামীর নাম প্রকাশ বিশ্বাস। যৌথ পরিবার তাদের। তার দুই জা-লক্ষ্মী বিশ্বাস স্বাতী বিশ্বাস। বিকেলবেলা তিন জা মিলে উনুনে রান্না করছিলেন। হঠাৎ হৈ-হুল্লোড়-চিৎকার-কান্নাকাটি চারদিকে। শুনলেন তাদের পাড়া আক্রান্ত হয়েছে। জীবন আর ইজ্জত বাঁচানোর জন্য তিন জা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নদী পার হয়ে চলে গেলেন পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর ইউনিয়নে। ফিরে এলেন একদিন পর। দেখলেন বাসার সব জিনিসপত্র লুট হয়ে গেছে। দরজা-জানালা সব ভেঙে চুরমার। 
মালোপাড়ার বিত্তশালী যৌথ পরিবার হলো প্রবীর সরকারদের পরিবার। পাঁচ ভাইÑপ্রবীর সরকার, সান্তনু সরকার, শিরু সরকার, উত্তম সরকার প্রদীপ সরকার। বাড়িতে এসে শুনলাম আক্রমণকারীরা বোমা ফাটাল, রামদা, ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। ঘরের সমস্ত জিনিস ভেঙ্গেচুরে -- করে দেয়। সোনা-দানা, নগদ টাকা সব লুট করে নেয়। আক্রোশ মেটানোর জন্য ঘরে ঢুকবার সিঁড়ি এবং ইটের তৈরি দাওয়া শাবল দিয়ে উপড়িয়ে ফেলে। জীবন বাঁচানোর জন্য সবাই দৌঁড়ে নদীর ঘাটে যায় এবং ট্রলারে করে অপর পাড়ে আশ্রয় নেয়। 
মাধবী বিশ্বাস বললেন, লাঠি, দা, শাবল নিয়ে আক্রমণকারীরা গ্রামের পশ্চিম দিক থেকে হামলা চালায়। তাঁর স্বামী মুনীশ বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রমণ শুরু হলে তার চার ছেলেমেয়ে দৌঁড়ে নদীর পাড়ে যায় এবং সাঁতরিয়ে অপর পাড়ে যেয়ে জীবন রক্ষা করে। 
পাড়ার হিন্দু মন্দিরের পাশে দুলাল বিশ্বাসের ঘর। আমরা যখন তার বাড়িতে যাই দেখি তিনি একটি চৌকির উপর বসে আছেন, সাথে দুই মেয়ে। বিমর্ষ, আতঙ্কিত মেয়ে দু'টির চেহারা। কথা বলে জানলাম দুলাল বিশ্বাসের চার মেয়ে অনিতা বিশ্বাস, নিপা বিশ্বাস, মঙ্গলী বিশ্বাস, দুর্জয় বিশ্বাস এবং এক ছেলে। বড় মেয়ে খুলনা বিএল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের ছাত্রী। দু' মেয়ে মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ছাত্রী, ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে আর ছেলেটি দশম শ্রেণীতে। কন্যা নিপা বিশ্বাস আমাদের জানান, হামলাকারীরা তাদের দরজা-জানালা সব ভেঙে ফেলে, জিনিসপত্র তছনছ লুটপাট করে। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো আক্রমণকারীরা তাদের এসএসসি এইচএসসি' সার্টিফিকেটগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। জীবন বাঁচানোর জন্য তারা সবাই পালিয়ে নদীর অপর পাড়ে চলে যায়। বাড়ির সামনেই হামলকারীরা মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার সকল জাল একত্রিত করে জ্বালিয়ে দেয়। আমরা পুড়ে যাওয়া ছিন্নভিন্ন জালের স্তূপ দেখতে পেয়েছি। 
আমরা কথা বলেছি আরও অনেক পরিবারের সঙ্গে যার বিস্তৃত বিবরণ নিবন্ধে দেয়া সম্ভব নয়। তবে সবার কথা থেকে এটি স্পষ্ট যে, হামলার কারণ, উদ্দেশ্য এবং ধরন এক অভিন্ন। হামলার মূল কারণ রাজনৈতিক। নিষেধ অমান্য করে ভোট দিতে যাওয়া। উদ্দেশ্য-প্রতিশোধ গ্রহণ, ভীতি প্রদর্শন, সম্পদ লুটপাট। আক্রমণের ধরনÑ দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত দলবদ্ধ। 

. হামলার বিপরীতে সহমর্মিতার অপার উদাহরণ 
হামলা হবার পর মালোপাড়ার অধিকাংশ মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য ট্রলার, নৌকা সাঁতরিয়ে পার্শ¦বর্তী ভৈরব নদ পার হয়ে অপর পাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাড়ের ইউনিয়নের নাম শ্রীধরপুর ইউনিয়ন। চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাবিবুর রহমান বাপ্পী এবং স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের নাম দিপু- যিনি বিএনপির সমর্থক। মালোপাড়ার হিন্দু পরিবারগুলোর প্রায় সকলেই বাপ্পী চেয়ারম্যান এবং দিপু মেম্বারের সাহসী মানবিক ভূমিকার কথা বারবার কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। সবাই যখন পালিয়ে শ্রীধরপুর ইউনিয়নে চলে যায়, তখন এরা দু'জন তাদের থাকা, খাওয়া নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেন। প্রথম দিন রাতে শত শত মানুষকে খিচুড়ি রান্না করে তারা খাওয়ালেন। পরের দিন সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের পর নিজেরা এসে নারী-শিশুদের মালোপাড়ায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। বিশেষ করে যুবতী মেয়ে এবং নারীরা যেন অভিভাবক খুঁজে পেয়েছিলেন নদীর অপর পাড়ে। সমাজে যে এখন ভাল মানুষ আছে, মনুষ্যত্ব-বিবেক ফুরিয়ে যায় নিÑবাপ্পী এবং দীপু সে সত্য এবং ভরসার প্রতীকই হয়ে রইলেন। 
অপরদিকে আক্রান্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থিত সিরাজুল ইসলাম মান্নু বিপন্ন মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াননি। তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে স্থানীয়রা মনে করে। 

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সাহায্য 
মালোপাড়ার অধিকাংশ ঘরই হামলাকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে টিনের ঘরগুলো চোখে পড়েছে বেশি। দুমড়ে-মুচড়ে, কেটে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে ঘরের বেড়া টিনের চাল। কিছু ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। দোকান এবং বাড়িঘরের সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। মাছধরার জালগুলো লুটপাট এবং অনেকগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শীতের কারণে মানুষের কষ্টের পরিমাণও বেশি। ঘটনার পাঁচ দিন পরে যাওয়ার কারণে আমাদের মনে হয়েছে আক্রান্ত মানুষগুলো প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে উঠেছে। ছোটখাটো ভাংচুরের ঘটনা নিজেরাই সারিয়ে নিয়েছে। সরকারী-বেসরকারী সাহায্য আসতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এসেছেন ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে। এলাকার মঙ্গল সরকারের স্ত্রী অলকা সরকার জানান, নগদ সাহায্য হিসেবে তারা সরকারের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা পেয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারই একইভাবে পেয়েছেন। সরকারীভাবে খাদ্যসাগ্রমী সরবরাহ এবং ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মালোপাড়ায় আমরা বেশ কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে চাল, কাপড়- চোপড় এবং কম্বল বিতরণ করতে দেখেছি। 
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে ৫০টি মৎস্যজীবী পরিবারের প্রত্যেককে একটি করে 'টানা জাল' এবং নগদ এক হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়। ছাড়া প্রতিবন্ধী অনীমা রাণীকে একটি সেলাই মেশিন ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলা কমিটির সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, জোটনেতা মাহমুদুল হাসান বুলু সানোয়ার আলম দুলুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন সামগ্রিক কর্মকা- গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। 

এলাকার নিরাপত্তা 
তারিখ বিকেলে হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন মালোপাড়ার 'কৃষ্ণ বাড়ি'তে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। এসআই গৌতম এবং এএসআই মোঃ লিয়াকত আলীর অধীনে বাইশজন পুলিশ এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। আপাতত নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও মানুষের আতঙ্ক কাটেনি। সবাই বলছেন, পুলিশ ক্যাম্প উঠে গেলে আবার যে হামলা হবে না তার নিশ্চয়তা কি? সকলের দাবি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এখানে যেন পুলিশ ক্যাম্প রাখা হয়। 
স্থানীয় অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক আমাদের জানিয়েছেন, স্থানীয় ওসির ভূমিকা বিতর্কিত। তার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেফতারে শৈথিল্যের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, ঘটনার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী রনজিৎ কুমার ইতিবাচক ভূমিকা রাখলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক হুইপ আবদুল ওহাব আক্রান্তদের পাশে এসে দাঁড়াননি। উপজেলা চেয়ারম্যান এই হামলার জন্য ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেন। 
চাপাতলি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির চাপাতলি সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি শেখর কুমার বর্মণ আমাদের জানান যে, অতীতে কখনও এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়নি। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ভোট দিতে যাওয়ার সময় অনেককে রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেয়। আক্রমণকারীরা অচেনা হলেও এরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে তাঁর ধারণা। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন- দেশ আমাদের মাতৃভূমি, আমরা দেশের নাগরিক, আমাদের কি মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না? 

সুপারিশ
. সরেজমিনে পরিদর্শন, আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের মনে হয়েছে, উত্তপ্ত রাজনৈতিক অবস্থা, পরিস্থিতির গুরুত্ব ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে পূর্ব থেকে সংখ্যালঘু এলাকায় নজরদারি এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হতো। সংখ্যালঘু এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা যায় কিনা সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। 
. মালোপাড়ার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার এবং বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। তদন্ত, গ্রেফতার এবং বিচার প্রক্রিয়ার কোন ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের শৈথিল্য এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। হামলাকারীরা দলীয়, গোত্র সম্প্রদায়ের পরিচয়ের বাইরে দুস্কৃতকারী হিসেবেই চিহ্নিত হবে এবং কঠিন শাস্তি পাবেÑ সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে। 
. সাম্প্রদায়িক এবং গোষ্ঠীগত নির্যাতন, নিপীড়ন, ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতি এবং মানবিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রতিটি মানুষকে পশ্চাৎপদ মনুষ্যত্ব বিনাশী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা জনঐক্য গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবেশী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা বিশ্বাস পুনর্প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। 
. ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। 
সবশেষে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন এবং কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি এবং সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু মানুষের সে আকাক্সক্ষা বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালু এবং ক্ষমতার মোহে মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ তৈরি করে যারা দেশের এক বড় অংশ মানুষকে দেশান্তরী করতে চায় তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন আমাদের করতেই হবে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ, কিংবা মান-অভিমানের চাইতে জাতির অস্তিত্ব, মানুষের জীবন এবং সত্য-ন্যায়ের বিজয় অনেক বেশি জরুরী- সত্য আমাদের মানতেই হবে। মালোপাড়ার প্রতিবন্ধী অনিমা রাণী বিশ্বাসের জীবন যন্ত্রণা আমাদের চৈতন্যকে জাগ্রত করলে ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে। 

লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব 
gquddusbd@gmail.com



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___