Banner Advertiser

Monday, February 17, 2014

[mukto-mona] [Politiconomy] Fwd: DEMENTIA - TIPS TO DELAY OR AVOID



Please do as many of these as possible before it is too late. 


Sent from my Samsung Galaxy Note® II


-------- Original message --------
From: "Md. Mesbahun Nabi"
Date:02/17/2014 9:55 PM (GMT-05:00)
To: BDNDC2012@yahoogroups.com,Abdullah Dewan ,Abdul Abdalla ,ahmad alzoubi ,Ahmed Najmul Hussain ,Baharul Alam ,BG GS Milanzi ,BG FIROZ ,BG AKHTAR ,AIR CDRE RAVI ,AKM Sadat Chowdhury ,CAPT ADAJI ,CAPT ADOGA ,CAPT GHALIB ,CAPT KAYODA ,DG SHAMEEM ,SDS NAVY Cdre Saiful kabir ,Emmanuel Israel ,"Mansoor Elahi (Google+)" ,GC FAROQUE ,GC FRANK ,john fayiah tumbay ,BRIG GEN SOLAIMAN ,GC BABA ,HUSSEIN MOHAMAD ,Sein Htun Hla ,Irfan Ullah Khan ,ilyasrasul@gmail.com,ben raji ,JS JULHASH ,JS JAHANGIR ,Alok Kler ,COL LI ,Liakat Ali ,Lt Col Sazzad ,BG MAHBUB ,COL NASSER ,Salma Nasreen ,BG OBAID ,Ashit Ranjan Paul ,BG PASHA ,JS QUADIR ,"CAPT RAZZAK, BN" ,BG TAJRI ,GC TUNDE ,Salamat Ullah ,COL STEVE ,Waseem Ahmed ,wahid2339@yahoo.com,mohammad yusuf ,COL YUSUF ,Brig Abidus Samad
Subject: DEMENTIA - TIPS TO DELAY OR AVOID


Most of us start worrying about dementia after retirement - and that may be too little, too late. Experts say that if you really want to ward off dementia, you need to start taking care of your brain in your 30s and 40s - or even earlier.
 
 
"More and more research is suggesting that lifestyle is very important to your brain's health," says Dr. Paul Nussbaum, a neuropsychologist and an adjunct associate professor at the University of Pittsburgh School of Medicine. "If you want to live a long, healthy life, then many of us need to start as early as we can." 
 
 
So what can you do to beef up your brain - and possibly ward off dementia?  Nussbaum, who recently gave a speech on the topic for the Winter Park (Fla.) Health Foundation, offers 20 tips that may help.
 
 
1.
Join clubs or organizations that need volunteers.  If you start  volunteering now, you won't feel lost and unneeded after you retire.
 
 
2.
Develop a hobby or two.  Hobbies help you develop a robust brain because you're trying something new and complex.
 
 
3.
Practise writing with your non-dominant hand several minutes everyday.  This will exercise the opposite side of your brain and fire up those neurons.
 
 
4.
Take dance lessons. In a study of nearly 500 people, dancing was the only regular physical activity associated with a significant decrease in the incidence of dementia, including Alzheimer's disease.  The people who danced three or four times a week showed 76 percent less incidence of dementia than those who danced only once a week or not at all.
 
 
5.
Need a hobby? Start gardening.  Researchers in New Zealand found that, of 1,000 people, those who gardened regularly were less likely to suffer from dementia!  Not only does gardening reduce stress, but gardeners use their brains to plan gardens; they use visual and spatial reasoning to lay out a garden.
 
 
6.
Buy a pedometer and walk 10,000 steps a day.  Walking daily can reduce the risk of dementia because cardiovascular health is important to maintain blood flow to the brain.
 
 
7.
Read and write daily. Reading stimulates a wide variety of brain areas that process and store information.  Likewise, writing (not copying) stimulates many areas of the brain as well.
 
 
8.
Start knitting. Using both hands works both sides of your brain.  And it's a stress reducer.
 
 
9.
Learn a new language. Whether it's a foreign language or sign language,you are working your brain by making it go back and forth between one language and the other.  A researcher in England found that being bilingual seemed to delay symptoms of Alzheimer's disease for four years.  And some research suggests that the earlier a child learns sign language, the higher his IQ - and people with high IQs are less likely to have dementia. So start them early.
 
 
10.
Play board games such as Scrabble and Monopoly.  Not only are you taxing your brain, you're socializing too.  Playing solo games, such as solitaire or online computer brain games can be helpful, but Nussbaum prefers games that encourage you to socialize too.
 
 
11.
Take classes throughout your lifetime.  Learning produces structural and chemical changes in the brain, and education appears to help people live longer.  Brain researchers have found that people with advanced degrees live longer - and if they do have Alzheimer's, it often becomes apparent only in the very later stages of the disease.
 
 
12.
Listen to classical music.  A growing volume of research suggests that music may hard wire the brain, building links between the two hemispheres. Any kind of music may work, but there's some research thatshows positive effects for classical music, though researchers don't understand why.
 
 
13.
Learn a musical instrument. It may be harder than it was when you were a kid, but you'll be developing a dormant part of your brain.
 
 
14.
Travel. When you travel (whether it's to a distant vacation spot or on a different route across town), you're forcing your brain to navigate a new and complex environment.  A study of London taxi drivers found experienced drivers had larger brains because they have to store lots of information about locations and how to navigate there.
 
 
15.
Pray. Daily prayer appears to help your immune system.  And people who attend a formal worship service regularly live longer and report happier, healthier lives.
 
 
16.
Learn to meditate.  It's important for your brain that you learn to shut out the stresses of everyday life.
 
 
17.
Get enough sleep. Studies have shown a link between interrupted sleep and dementia.
 
 
18.
Eat more foods containing Omega-3 fatty acids: Salmon, sardines, tuna, ocean trout, mackerel or herring, plus walnuts (which are higher in omega 3s than salmon) and flaxseed. Flaxseed oil, cod liver oil and walnut oil are good sources too.
 
 
19.
Eat more fruits and vegetables. Antioxidants in fruits and vegetables mop up some of the damage caused by free radicals, one of the leading killers of brain cells.
 
 
20.
Eat at least one meal a day with family and friends.  You'll slow down, socialize, and research shows you'll eat healthier food than if you ate alone or on the go.
 
                  PLEASE  FORWARD TO FRIENDS &  FAMILY . 





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বিএনপি-জামায়াতের আল কায়েদা কানেকশন : আল কায়েদা নেতা গোপন সফরকালে তারেক ও নিজামীর সঙ্গে বৈঠক করেন



মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২
বিএনপি-জামায়াতের আল কায়েদা কানেকশন
০ হেফাজত নেতা মুফতি ইজহারুল স্বীকৃত আল কায়েদা
০ জোট আমলে আল কায়েদা নেতা গোপন সফরকালে তারেক ও নিজামীর সঙ্গে বৈঠক করেন 
০ আল কায়েদা লস্কর-ই-তৈয়বা নেতা বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছেন
বিভাষ বাড়ৈ ॥ 'দাওয়াত' নামের মাসিক ইসলামী পত্রিকায় নিজেই এক সময় আফগানিস্তানে আল কায়েদা, তালেবানদের সঙ্গে কাজ করার কথা লিখেছিলেন আজকের বিএনপি-জামায়াত জোট ও হেফাজত নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর-নবেম্বর সংখ্যায় ইজহারের লেখা 'তালেবান আফগানিস্তানের জান্নাত দেখে এলাম' শীর্ষক প্রবন্ধে আফগানিস্তানে সফর ওসামা বিন লাদেন ও মোল্লা ওমরের সঙ্গে বৈঠকের তথ্য নিজেই দিয়েছেন। একই বছর বাংলাদেশের সক্রিয় আল কায়েদার সংগঠন হরকাতুল জিহাদের হয়ে আফগানিস্তান গিয়েছিলেন আরেক জঙ্গী নেতা হাবিবুর রহমান ওরফে বুলবুলি মোল্লা। সেখানে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে ফিরে বাংলাদেশে তালেবাদ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান দাবি তুলেছিলেন। সিলেটে তখন 'ইসলামী বিপ্লব' নামে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করে আল কায়েদা, তালেবানের পথ ধরে জিহাদের কথা তুলে ধরেছিলেন আজকের আলোচিত বুলবুলি হুজুর। এ দুই জঙ্গী নেতাই দেশে জামায়াত-হেফাজত নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সক্রিয় আছেন উগ্র তালেবানী রাষ্ট্র কায়েমে। 
তবে কেবল এ দুজনই নয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা ও তালেবানের হয়ে কাজ করার তথ্য-প্রমাণ আছে অসংখ্য নেতার বিরুদ্ধে। যারা প্রত্যেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেউ কেউ এক সময় জামায়াত থেকে আলাদা হয়ে নিজেরাই আল কায়েদা ও তালেবানের সহযোগী হিসেবে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে জিহাদের ডাক দিয়েছেন। অধিকাংশ শীর্ষ নেতাই প্রথম দিকে দাপটের সঙ্গে এসব তথ্য দেশী-বিদেশী পত্রিকায় ছবিসহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আজকের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা বাইরে নিজেদের ধোয়া তুলসী হিসেবে দাবি করলেও এখন আরও বেশি সক্রিয় জঙ্গীবাদী কর্মকা-ে। দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য, বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গীদের বিভিন্ন সময় দেয়া জবানবন্দী ও সাক্ষাতকার এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। জানা গেছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের পর আল কায়েদার টার্গেট এখন বাংলাদেশ। আল কায়েদা পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবি এবং হুজিসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশে সক্রিয়। বাংলাদেশের সক্রিয় সকল জঙ্গী সংগঠনেরই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে জামায়াত। তবে এক্ষেত্রে বিএনপি বিশেষত তারেক রহমানের সঙ্গে জঙ্গী সংগঠনগুলোর সরাসরি সম্পর্ক থাকার খবর আছে দেশ-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থানগুলোর হাতে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আল কায়েদার দায়িত্ব পান আইম্যান আল জাওয়াহিরিবিগত বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট আমলে বাংলাদেশে এ আল কায়েদা নেতা নিরাপদেই একাধিকবার সফর করেছেন বলে আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ফাসইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিই, টাইম ম্যাগাজিনের মতো প্রভাবশালী একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এসব তথ্য। আল কায়েদা নেতা সফরকালে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের আশীর্বাদ নিয়েই বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের বৈঠক ছাড়াও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী আর তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। এসব বিষয় নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠলেও আজ পর্যন্ত জামায়াত ও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি। 
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসা দুই নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম (বাংলাভাই) এবং শায়খ রহমান রাজনৈতিক দল গঠন করে জঙ্গীবাদী তৎপরতা শুরু করে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় আফগান-ফেরত শ' শ' জঙ্গী। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় তারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরি করে, বিভিন্ন সময় যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই দুই জঙ্গী নেতাই মৃত্যুদ-ের আগে দেয়া জবানবন্দীতে বলেছেন তাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পৃক্তরার কথা। 
আল কায়েদা ও তালেবানের হয়ে বাংলাদেশে তৎপরতার বিষয়ে জানা গেছে, জঙ্গী নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ছত্রছায়ায় চরমপন্থী সদস্যদের উৎখাতের নামে রাজশাহী অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের এ কর্মকা- নিয়ে মিডিয়া সরব হলেও সরকার ছিল পুরোপুরি নীরব। সরকারের রহস্যজনক নীরবতা নিয়েও গণমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়। তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গী নেতা বাংলাভাইয়ের বর্বরতার কথা তুলে ধরে নজর কাড়েন দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমের। তখন অনেক গণমাধ্যমও শেখ হাসিনার কথায় শুরুতে কান দেননি। একপর্যায়ে ২০০৪ সালে জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট বের হয় গণমাধ্যমে। সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই স্বীকার করেন, সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সহায়তায় রাজশাহী অঞ্চলে সে তার কর্মকা- পরিচালনা করছে। এখান থেকেই তাদের কর্মকা- বিস্তৃত হতে থাকে সারাদেশে। জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের (জেএমজেবি) প্রধান বাংলাভাই নিজে সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার দিয়ে তার কর্মকা- সম্পর্কে জানান দিলেও তখন সরকার জঙ্গী তৎপরতার উপস্থিতি পুরোপুরি অস্বীকার করে। তখন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন, 'বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নেই।' এ সময় জঙ্গী নেতারা সরকারের সহায়তায় রাজনৈতিক নেতাদের মতো চলা ফেরাতেই কেবল সীমাবন্ধ ছিলেন না। বাংলাভাই তার অফিসে তারেক রহমানের ছবি টাঙ্গিয়ে বৈঠক করতেন এবং তারেক রহমানকে বাংলাভাই ডাকতেন 'মামা' বলে। তবে বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে জঙ্গীদের আড়াল করার খালেদা জিয়ার চেষ্টার কিছুদিন পরই ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৪টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে জেএমজেবি ও জেএমবি তাদের সরব উপস্থিতির জানান দেয়। এ ঘটনাটি জাতিকে স্তম্ভিত ও বিস্মিত করে। জঙ্গীরা ভেতরে ভেতরে যে নিজেদের কতটা সংগঠিত করেছিল, তার প্রমাণ তারা দিয়েছিল সারাদেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। অবশ্য পরে ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল টাইম ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাতকারে বেগম জিয়া জনরোশ এড়াতে দাবি করেন, 'দেশে জঙ্গী আছে তা ১৭ আগস্টের আগে জানতাম না। ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরই জানতে পেরেছি।' 
জেএমজেবির মতো জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। তারপর সারাদেশে তাদের কর্মকা- বিস্তৃত করে। জেএমবির নেতৃত্ব দেন শায়খ রহমান। একপর্যায়ে দুটি দল অভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। এ দুই দলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে বিএনপি-জামায়াত জোট। জোট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু জঙ্গী-সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত। এ ছাড়া স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জেএমবি ও জেএমজেবির কর্মকা- পরিচালনায় সার্বিক সহায়তা দিয়েছে। বাংলাভাই ১৯৮০ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছিল। তার আগে সে সেখানে জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। শায়খ রহমানও সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এরাই বাংলাদেশে জঙ্গীগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে। তাদের সহায়তা করে জোট সরকারের কিছু লোক। জোট সরকারের পুরো সময়টাতেই জঙ্গীদের তৎপরতা নিয়ে গণমাধ্যম সক্রিয় থাকলেও সরকার ছিল পুরোপুরি নীরব। জঙ্গীদের গ্রেফতারে উদ্যোগ তো নেয়ইনি, উপরন্তু ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা সহযোগিতা পেয়েছে। জঙ্গীদের সমর্থন প্রদান এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উদাসীনতার সমালোচনা করেন সাংসদ আবু হেনা। এই অপরাধে ২০০৫ সালের ২৩ নবেম্বর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। জামায়াতের অনেক নেতা দল থেকে বেরিয়ে আবার অনেকে দলে থেকে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ১১ জানুয়ারি দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ কারণে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সারাদেশে জঙ্গীবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। একই সঙ্গে জঙ্গীদের দুই শীর্ষ নেতা বাংলাভাই ও শায়খ রহমানকে গ্রেফতার করতে র্যাব ব্যাপক তৎপরতা চালায়। ২০০৬ সালের ২ মার্চ সিলেট থেকে র্যাব শায়খ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করে। এর তিন দিন পরই র্যাব রাজশাহী থেকে ৫ মার্চ বাংলাভাইকে গ্রেফতার করে। তারা বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী হামলার কথা স্বীকার করে এবং জবানবন্দীতে জানিয়েছেন, আল কায়েদা, তালেবানের হয়ে কিভাবে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতা চালিয়েছেন। দুজনেই জানিয়েছেন, দেশে তাদের ছাড়া হিসেবে কিভাবে জামায়াত কাজ করেছে, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে কিভাবে যুক্ত ছিলেন। বাংলাভাই এ জানায়, 'জামায়াত নারী নেতৃত্ব (খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব) মেনে নিয়ে কাজ করার জন্য একপর্যায়ে দলটিকে ছেড়ে পৃথক জঙ্গী সংগঠনের নামে কাজ করেন তিনি। 
কেবল বাংলাভাই আর শায়ক আব্দুর রহমানই নয়, আল কায়েদা ও আফগানিস্তারে প্রশিক্ষণ নেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর শত তথ্য। বেরিয়ে এসেছে এক সময়ে আফগানিস্তনে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা লাদেন, মোল্লা ওমর ও জওয়াহিরির সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গী নেতাদের বৈঠকের নানা তথ্য। আল কায়েদার আশীর্বাদ নিয়ে কিভাবে বাংলাদেশে জঙ্গী নেতারা তালেবানী রাষ্ট্র কায়েমে কাজ করছে তাও জানা যায় আজ রাজনীতির নামে সক্রিয় সেই উগ্রবাদী নেতাদের নিজেদের বক্তব্য থেকেই। এসব নেতাদের নিজস্ব সংগ্রহশালা ও দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম ঘেটে জানা যায়, এরা প্রত্যেকেই এ মুহূর্তে সক্রিয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের আলোচিত জঙ্গী নেতার নাম মুফতি ইজহারুল ইসলাম। কিছুদিন আগেও চট্টগ্রামের তার মাদ্রাসায় সরকার উৎখাতে ব্যবহার করার জন্য বোমা ও গ্রেনেট তৈরির সময় বিস্ফোরণে কয়েকজন নিহত হয়। জঙ্গী তৎপরতার অভিযোগে কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন মুফতি ইজহার। রাউজানের একটি গোপন আস্তানায় জঙ্গী প্রশিক্ষণের অভিযোগে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে সর্বশেষ গ্রেফতার করে টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। র্যাবের তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের রাউজান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইন মামলায় মুফতি ইজহারসহ হুজির আট প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়। আদালতে মামলার নথিতে তদন্ত কর্মকর্তা তখন উল্লেখ করেছিলেন, দেশে নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে হুজির প্রশিক্ষকের সহযোগিতা ও মদদ দিয়ে নগরীর লালখানবাজার আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং নেজামে ইসলামী পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহার রাউজানে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করছে। হুজির সদস্যদের এ ক্যাম্পে রাতের আঁধারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাউজান গোদারপাড় পাহাড়ী এলাকা থেকে হুজির পাঁচ প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করা হলে পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে তাদের নির্দোষ দাবি করে মুক্তির দাবি জানান মুফতি ইজহার। ওইদিনই লালখানবাজার মাদ্রাসা থেকে ইজহারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় র্যাবের ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আফগানিস্তানে তৎকালীন শাসক মোল্লা ওমরসহ তালেবানী নেতা ও বাংলাদেশের মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেন। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমরের সঙ্গে তার সাক্ষাত হওয়ার কথা জানান জিজ্ঞাসাবাদে। ঘটনাস্থলে তখন মুফতি ইজহারসহ গ্রেফতার হওয়া হুজির প্রশিক্ষকরা বিস্ফোরক তৈরি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু প্রশিক্ষকের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হুজির সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর প্রমাণ মেলে। মাসিক দাওয়াত নামে একটি মাসিক ইসলামী পত্রিকায় ১৯৯৮ সালের অক্টোবর-নবেম্বর মাসে মুফতি ইজহারের লেখা 'তালেবান আফগানিস্তানের জান্নাত দেখে এলাম' শীর্ষক প্রবন্ধে আফগানিস্তানে সফর ও মোল্লা ওমরের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য রয়েছে। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জনসভাও বহুবার বলেছেন, লালখানবাজারে উগ্রবাদী এ নেতার মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ হয়। যেখান থেকে ২০ হাজার লোক আফগানিস্তান যুদ্ধে গেছে। ফিরে আসে ১০ হাজার। ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এই অভিযোগ বহুবার তোলা হয়েছে। দু'একবার আটক হওয়া ছাড়া অপরাধের শাস্তির কোন উদাহরণ দেখেনি সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ঢাকায় মার্কিন ও ভারতীয় দূতাবাসে হামলা করার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার কাছ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন। আল কায়েদা, পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা ও হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে মুফতি ইজাহার ও তার পুত্র হারুন ইজাহারের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রয়েছে বলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং বাংলাদেশে জঙ্গী জিহাদী সুলতান যওক নদভী ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান সফরে যান এবং তালেবাদ মুজাহিদ বাহিনীর একাধিক ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে সফরকালীন সময়ে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। লাদেনের কাছে তালেবান মুজাহিদদের সঙ্গে সশস্ত্র ট্রেনিং প্রশিক্ষণ শেষে জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশে বিভিন্ন সেক্টরে জিহাদ শেষে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের ও আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বাংলাদেশে সশস্ত্র জিহাদ সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ করেন। দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশকেও একটি তালেবান রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনায় কওমী মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গী প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেন। হেফাজত নেতা সুলতান যওক নদভী আফগান থেকে দেশে ফিরে আফগানিস্তান সফর ও সশস্ত্র জিহাদে অভিজ্ঞতার ওপর একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ লিখেছেন। যা আরবী ও বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে। 'রিহলাতী ইলা আরদিল জিহাদ' নামক বইটির বাংলা অনুবাদ 'দেখে এলাম জিহাদের ভূমি' নামে বের হয়। এই জঙ্গী নেতা তার বইয়ে নিজেই লিখেছেন, আলোচনায় ওসামা বিন লাদেন বলেন, 'বাংলাদেশী মাওলানা আপনার জিহাদী বক্তব্য শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার বিশ্বাস আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশেও একদিন আফগানের মতো সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজন হবে। সে জিহাদে আল কায়েদার পক্ষ থেকে অস্ত্র, অর্থ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আপনাদের দায়িত্ব হলো নিজ দেশে গিয়ে জিহাদের প্রস্তুতি নেয়া। আপনার বক্তব্য থেকে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ একটি জিহাদের দাওয়াত প্রচারের উর্বর ভূমি। আপনাদের মাধ্যমেই আল কায়েদার কার্যক্রম ওই দেশে পরিচালনা করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। মোবারকবাদ জানিয়ে আমি এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফিজ।' হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় অন্যতম নেতা আল কায়েদার প্রধান সাবেক ওসামা বিন লাদেনের শিষ্য হিসেবেই এদেশের জঙ্গীদের গডফাদার হিসেবে কাজ করছে মাওলানা হাবিবুর রহমান। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে পাকিস্তান হয়ে আফগানযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধের ময়দানে কয়েকটি সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী বিপ্লব পত্রিকার এক সাক্ষাতকারে হাবিবুর রহমান বলেন, 'আমার আফগানিস্তান সফরের সৌভাগ্য হয়েছিল হরকাতুল জিহাদিন ইসলামী (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ওংষধসরপ গড়াবসবহঃ)-এর দাওয়াতে বিশিষ্ট সমাজসেবী, পরিচালক ভাই মাওলানা শহীদুল ইসলামের আবেগপূর্ণ আহ্বানে। ২ মার্চ ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত ডেলিগেট, সেদিন যারা আফগান রণাঙ্গন সফরে গিয়েছিলেন তারা হচ্ছেন- শায়খুল হাদীস আজীজুল হক সাহেব ঢাকা, মাওলানা আতাউর রহমান খান সাহেব কিশোরগঞ্জ, মাওলানা সুলতান যওত সাহেব চট্টগ্রাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব ফরিদপুর, মাওলানা হাবিবুল্লাহ সাহেব নোয়াখালী এবং আমি মুহম্মদ হাবিবুর রহমান সিলেটসহ মোট ৯ জন। গেল বছর রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতের জঙ্গী সমাবেশে সিলেট থেকে কয়েক হাজার মাদ্রাসার ছাত্রকে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত এ নেতা। 
আরেক জঙ্গী নেতা মুফতি শহীদুল ইসলাম। যিনি এখন হেফাজত জামায়াতের সঙ্গে সরকারবিরোধী রাজনীতিতে ব্যস্ত। ট্রেনিং শেষে আফগান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের জঙ্গীদের সঙ্গে আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করে। পরে বাংলাদেশী মুজাহিদসহ বিভিন্ন দেশের জঙ্গী মুজাহিদদের বড় অংশ তাদের নিজ দেশে ফিরে যান। ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে হরকাতের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার আবদুর রহমান ফারুকী ঢাকায় হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশের ঘোষণা দেন। তখন ফারুকীর সফর সঙ্গী ছিলেন আফগান ফেরত মুজাহিদ বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি শহিদুল ইসলাম। জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন আল কায়েদা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বাংলা টিমকে আল কায়েদার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সশস্ত্র জিহাদ এবং কথিত 'নাস্তিক ব্লগার'দের হত্যার মিশনেও নেমেছিলেন? গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর দিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে ব্লগার শহীদ রাজীব হায়দার হত্যাকা-ের পর জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহর নাম প্রথম জানা যায়। 
সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা ও লস্কর-ই- তৈয়বার সক্রিয় নেতা ও সদস্যরা বাংলাদেশে ধরা পড়ছে। তারা তাদের জঙ্গী নেটওয়ার্কের কথা স্বীকার করছে। নিরাপত্তা বিশ্লেশকরা স্পষ্ট করেই বলছেন, আল কায়েদার টার্গেট এখন বাংলাদেশ। আল কায়েদা পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবি এবং হুজির সহায়তায় বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছে। জামায়াত শিবিরের সহায়তায় জেএমবি ও হুজির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আল কায়েদার বাংলাদেশে জঙ্গী হামলা চালানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভৌগোলিক কারণে ও প্রতিশোধ গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশে আত্মঘাতী এবং জঙ্গী হামলার জন্য আল কায়েদা নিরাপদ ও সুবিধাজনক দেশ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশিদ বলছিলেন, বাংলাদেশে যত জঙ্গী সংগঠনের নেতা আছে তা জামায়াত থেকে উৎপত্তি। ৪০ থেকে ৪২টি জঙ্গী সংগঠন আছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি জঙ্গী সংগঠন সক্রিয়। আবদুর রশীদ বলেন, আল কায়েদা সরাসরি বাংলাদেশে কাজ না করলেও তাদের আদেশের অনুসারী জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশে আছে। শীর্ষ আল কায়েদা নেতার আহ্বানে তারা যে উজ্জীবিত হবে তা বলা যায়। ইসলামপন্থী ছোট ছোট জঙ্গী সংগঠনগুলো জিহাদের ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে বলেও তিনি মনে করছেন। বলেন, আল কায়েদা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেও অপমান করেছে। তবে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আর স্বাধীনতা বিরোধীরাই যে এসব জঙ্গীর মদদদাতা তা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই বলেও তিনি মনে করেন। লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলছিলেন, ১৫ বছর ধরে আমরা তথ্য-প্রমাণসহ বলে আসছি দেশে আল কায়েদার হয়ে কাজ করছে জামায়াতসহ তার সমমনা উগ্রবাদীরা দলগুলো। কাজেই ঘৃণ্য এই অপশক্তি দেশকে আর একটি আফগানিস্তান বা পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করার আগেই দেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে হবে। আজ তথ্য-প্রমাণসহ কর্মকা- পরিষ্কার করে দিয়েছে আল কায়েদা নেতা। এখন সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে জামায়াত-হেফাজতসহ সকল উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ করা। তা না হলে দ্রুতই বাংলাদেশ আল কায়েদার ঘাঁটিতে পরিণত হবে। শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আল কায়দার সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গী ও জামায়াতের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়, এটি নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ সম্পর্ক আফগান জিহাদের সময় থেকে। হরকাতুল জিহাদের ১১৬ জন শীর্ষ নেতা প্রত্যক্ষভাবে আফগানিস্তানে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ট্রেনিং নিয়েছেন।
প্রকাশ :মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'না, তারা যাবে না কোথাও'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'না, তারা যাবে না কোথাও'

মীজান রহমান
২,০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি
ঢাকায়। সকালবেলা বোনের বাসায়
সোফাতে বসে টেলিভিশন
দেখছিলাম। প্রথম খবরটাই ছিল
খুনের খবর----যা আজকাল আমাদের
দেশে ডালভাতের পর্যায়ে পৌঁছে
গেছে। মানুষ দ্যাখে, শোনে,
একদণ্ড তাকায় হয়তবা, তারপর যে
যার কাজে চলে যায়। যেদেশে
আইনশৃংখলা কেবল নেতাদের
বক্তৃতা ছাড়া অন্য কোথাও নেই,
সেদেশে এরকম হওয়াটাই তো
স্বাভাবিক।
আমি ক্যানাডায় থাকি। খুনখরাবি
এদেশেও [...]

You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=39871

You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.

Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] বিএনপির সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর টানাপোড়েন



বিএনপির সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর টানাপোড়েন


 
সেলিম জাহিদ | আপডেট: ০২:০৭, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির সঙ্গে জোটের শরিক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শুরু হওয়া এ টানাপোড়েন দিন দিন বাড়ছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সখ্য টিকে থাকা-না থাকা নিয়েও একরকম সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯-দলীয় জোটে ধর্মভিত্তিক চারটি দল রয়েছে। সেগুলো হলো জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপি এখন আন্তর্জাতিক মহলকে দেখাতে চাচ্ছে যে জোটের শরিক হলেও ইসলামপন্থী দলগুলো বিএনপির ওপর ততটা প্রভাব রাখে না বা দলগুলোর ওপর বিএনপি নির্ভরশীল নয়। এ কারণে বিএনপি দৃশ্যত একধরনের দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে। জামায়াত ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম থেকে সুস্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিএনপির প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবের পর থেকে দলটির নেতারা এমন মনোভাব দেখাচ্ছেন। এতে ইসলামপন্থী দলগুলো অস্বস্তিতে পড়েছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রেও জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো বিএনপির কাছে গুরুত্ব পায়নি। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এ নির্বাচনের প্রথম দফার ৯৭ উপজেলার মধ্যে ২৮টিতে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে। এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিএনপির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। আবার ইসলামী ঐক্যজোট কয়েকটি উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাঁদের দল থেকে প্রার্থী দিতে চেয়েও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে সাড়া পায়নি। 
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের মনোমালিন্যের সূত্রপাত হয় ১৫ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে। ওই দিন জোটের অন্যান্য নেতার সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামীও। কিন্তু বসার চেয়ার না পেয়ে তিনি রাগ করে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি তখন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের নজরে আনা হলেও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। এরপর খালেদা জিয়ার ৫ ফেব্রুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েও ইসলামী ঐক্যজোটের কোনো নেতা যাননি।
এরপর ২০ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯-দলীয় জোটের নির্বাচনোত্তর প্রথম সমাবেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে আসতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ওই সমাবেশে যায়নি। তবে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারি সমাবেশে গেলেও বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি তাঁর উপস্থিতির কথাও মাইকে বলা হয়নি। কিন্তু জোটের বাকি শরিক দলগুলোর নেতারা বক্তৃতা করেছেন। এতে খেলাফত মজলিসের নেতারা ক্ষুব্ধ হন। 
জমিয়তের নেতারা জানান, তাঁদের মহাসচিব মুফতি ওয়াক্কাস অনেক দিন ধরে কারাগারে আছেন। তাঁকে মুক্ত করার জন্য জোটের প্রধান শরিক বিএনপির কাছ থেকে কোনো আইনি সহায়তা মেলেনি। এ জন্য জমিয়তের মধ্যেও ক্ষোভ আছে।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতাদের দাবি, বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁরা হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার এবং সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারিতে আছেন। কোনো কোনো দলকে জোট থেকে বের করে আনতে সরকারি মহল থেকে তৎপরতাও আছে। এ অবস্থায় বিএনপির এড়িয়ে চলার মনোভাব তাঁদের হতাশ করেছে। কেউ কেউ বিকল্প চিন্তা করছেন। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছে।
জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী বিএনপির সঙ্গে ইসলামপন্থী শরিক দলগুলোর মানসিক দূরত্ব সৃষ্টির কথা স্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জোটে থাকা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বিএনপির সম্পর্কে মোহমুক্তি ঘটতে যাচ্ছে। 
দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা জানান, সম্পর্কের এ টানাপোড়েন জোটের ভাঙনের পর্যায়ে যাবে কি না, তা নির্ভর করছে বিএনপির ওপর। নিজেরা জোট থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁদের সরকারের 'দালাল' হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে। তাঁরা এই অপবাদ নিতে চান না। 
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, শরিকদের ব্যাপারে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ আগেও ছিল। কিন্তু এখন তা প্রকট হয়েছে। এ অবস্থায় জোটের চেয়ে দলীয় কার্যক্রমে তাঁরা বেশি উৎসাহী বলে তিনি জানান।
জোটের একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনের পর থেকে জোটে জামায়াতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একটি অংশ তৎপর রয়েছে। এ অংশ মনে করে, দেড়-দুই বছর ধরে জামায়াত রাজপথে যে সহিংস আন্দোলন করেছে, তাতে দলটি সম্পর্কে দেশ-বিদেশে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এ কারণে দলটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল অবলম্বন করেছে বিএনপি। এ কারণে জামায়াতও বিএনপির ওপর অসন্তুষ্ট। 
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ অসন্তুষ্টির কথা সম্প্রতি জামায়াতের একজন নেতা শরিক আরেকটি দলের একজন নেতাকে জানান এবং এ অবস্থায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর জানামতে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ বা দূরত্ব নেই। দূরত্ব তৈরি হওয়ার মতো কোনো কারণও ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
Prothom Alo
প্রকাশ :   ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ

'জাওয়াহিরির বার্তার সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক নেই'
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | আপডেট: ২১:২৬, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪

http://www.prothom-alo.com/home/article/147808/%E2%80%98%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87_%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95_%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87%E2%80%99


 হেফাজতের জানা নেই আমরা কলা খাই না  

Memory Lane:

হেফাজতী মাওলানার তেঁতুল তত্ত্ব ॥ :

ক. নারীরা হচ্ছেন তেঁতুলের মতো। কোন বাচ্চাকে তেঁতুল খেতে দেখলে অথবা বাজারে 

           তেঁতুল দেখলে পুরুষ মানুষের জিহ্বা থেকে লাল ঝরবেই। 
খ. যার লালা ঝরবে না সে নপুংসক।
গ. মেয়েদের ক্লাস ফোর-এর পরে আর পড়াবেন না। এটুকু কেবল সংসারের হিসাব যাতে রাখতে পারে। 
ঘ. গার্মেন্টসে মেয়েদের পাঠাবেন না। তারা সকালে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে যায় এবং রাত ১০টা ১২টা 

      পর্যন্ত কাটিয়ে ঘরে ফিরে। এ সময় তারা 'জেনা' করে ফিরে (নাউজুবিলাহ)।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-07-27&ni=143716

আহমদ শফী যা বলেছেন

ইত্তেফাক ডেস্ক

http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMTRfMTNfMV8xXzFfNTYxNzI=





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] গণজাগরণ : তাহরির পারেনি, শাহবাগ পেরেছে




Bangladesh has a major political party (Awami League) that supports the spirit of Sahbag movement; that's a blessing, but Egyptians are not that lucky. They had no established political party, except an anti-democratic religious party, Muslim Brotherhood, which is 180-degree opposite to the spirit of Tahir Square movement. Muslim Brotherhood is not only an anti-democratic party - it is a militant organization, just like Jamat-e-Islami party in Bangladesh.
 
Under this condition, Egyptians have no other option but to rely on their Military rulers, who have extended their solidarity with the youth movement. Egyptians should keep their focus towards establishing a democratic system in the country, but – it will take time; democracy cannot be established through a revolution; it's an evolutionary process. It takes time to establish democracy.

Bongabondhu may have realized it, when he formed BAKSAL. If he was successful, the country may have been ready for democracy today. Democracy is a delicate process, which requires participation from well-informed public. There is no room for political violence in a true democracy, because well-educated public do not support it. That condition is not there yet in Bangladesh.

Jiten Roy


On Sunday, February 16, 2014 10:05 PM, Jamal G. Khan <M.JamalGhaus@gmail.com> wrote:
 

গণজাগরণ

তাহরির পারেনি, শাহবাগ পেরেছে

মনজুরুল আহসান বুলবুল | আপডেট: ০০:০৮, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
 
শাহবাগ বিপ্লবদুই বছর আগের চিত্র। তাহরিরে আরব বসন্ত কেবল আপাত সাফল্য পেয়েছে। ৩২ বছরের মোবারক শাসন অপস্রিয়মাণ। ঢাকায় মাল্টিন্যাশনালে কর্মরত এক শীর্ষ মিসরীয় কর্মকর্তা সান্ধ্য আড্ডায় জানাচ্ছেন, উত্তেজনা ধরে না রাখতে পেরে কাউকে কিছু না জানিয়ে উইকএন্ডেই চলে গিয়েছিলেন তাহরিরে। নিয়ে গিয়েছিলেন ঢাকার পোশাক কারখানায় তৈরি কয়েক শ টি-শার্ট। তাহরিরের বিপ্লবী যোদ্ধাদের গায়ে বাংলাদেশি টি-শার্ট চড়িয়ে সেই বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশকে একাত্ম করার কৃতিত্ব নিচ্ছিলেন তিনি।
কয়েক মাস পরে ওয়াশিংটনে গণমাধ্যম নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সব ছাপিয়ে আরব বসন্ত, সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট। কায়রো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা তরতর করে তুলে ধরছেন তাহরিরের বিস্ময়কর চিত্র। সফল বিপ্লবের যোদ্ধার অহংকার ছিটকে পড়ছিল তাঁর চোখ-মুখে।
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাত তুললাম, খুব সহজ ভাষায় জানতে চাইলাম বিপ্লব থেকে তাঁদের অর্জনটা কী, কীভাবেই বা এই বিপ্লব ভবিষ্যৎ পথ ধরে এগোবে। জবাব যেন ঠোঁটের আগায়: বিপ্লবের অর্জন হলো ৩২ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান, বিদায় নিয়েছেন হোসনি মোবারক। আর ভবিষ্যৎ হলো, মিসর এখন এগোবে গণতান্ত্রিক পথে। এর মধ্যেই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কাউন্সিল দায়িত্ব নিয়েছে এবং সেনাবাহিনীই মিসরে প্রতিষ্ঠা করবে গণতান্ত্রিক ধারা! জবাবের শেষ অংশ শুনে আঁতকে উঠলাম। পাশে বসা পাকিস্তানি আর নাইজেরীয় সাংবাদিক বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাঁদের চোখও কপালে উঠেছে। সেনাশাসন কীভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর নাইজেরিয়ার চেয়ে আর কার সেই অভিজ্ঞতা আছে!
সেই আরব বসন্তের দুই বছর পূর্তিতে ২৫ জানুয়ারি (২০১৪) তাহরির স্কয়ার সরব, উৎসবমুখর। সব প্রবেশপথে সেনাপ্রহরা, নিরাপত্তার কারণে এক-একজন করে ঢোকানো হচ্ছে। দিনের উত্তপ্ত কায়রোর পথে পা বাড়িয়েও গুটিয়ে নিলাম নিজেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা চলছে। কায়রোর বন্ধুরা পরামর্শ দিলেন—সন্ধ্যায় বের হও, তখন তাহরিরমুখী মানুষের ঢলের কাছে সব ধুয়েমুছে যাবে। ঘটলও তা-ই, সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত গড়িয়ে তাহরিরের ভিন্ন রূপ।
কিন্তু এবার ২৫ জানুয়ারির গোটা তাহরির যেন অন্য রকম। তরুণদের চেয়ে বেশি মাঝবয়সীরা, মহিলাদের অংশগ্রহণ ব্যাপক। গোটা তাহরির ছেয়ে গেছে সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল সিসির ছবি, পোস্টার, ব্যানারে। বিক্রি হচ্ছে জেনারেল সিসির মুখোশ, কোটপিন। প্রায় সবার মাথায় সিসি ছবির ক্যাপ, পট্টি। আর শিশু-কিশোরদের ভুভুজেলায় কেবল টানা সিসি, সিসি। ব্যাখ্যা করলেন মিসরীয় গণমাধ্যম কর্মী, বললেন, গণতন্ত্রের একটু ঝলকে ব্রাদারহুড নামক যে ঝড় মিসরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে, তাতে আতঙ্কিত মিসরের সাধারণ মানুষ।
ব্রাদারহুড নেতাদের বিচার হচ্ছে। আরব বসন্তের হতাশ সৈনিকেরা গণতন্ত্র চাইছে কিন্তু বিপ্লবের পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাবে তেমন নেতা বা সংগঠন নেই। ফলে আবার সেই সেনাবাহিনীই ভরসা। বিশেষ করে এবার তাহরিরের বেশির ভাগজুড়ে যে মাঝ বয়সীদের অবস্থান, তাঁরা চান আধুনিক মিসর চালাতে পারেন এমন একজন দৃঢ় শাসক। সেই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে আসবে এমন কোনো রাজনৈতিক সংগঠনই নেই। ফলে একমাত্র ভরসা সেনাবাহিনী। আর সেই শক্তি নিয়েই মঞ্চে জেনারেল সিসি। ঘোষণা দিয়েছেন, সেনাবাহিনী সমর্থন দিলে আর জনগণ চাইলে তাঁর প্রেসিডেন্ট হতে আপত্তি নেই!! সেনাবাহিনী সমর্থন দিয়েছে, বিপ্লবের দ্বিতীয় বার্ষিকী উদ্যাপনের এক দিন পর তিনি হয়েছেন ফিল্ড মার্শাল আর তাহরিরের জনস্রোত তো এখন তাঁরই পক্ষে। কাজেই অপেক্ষা কেবল ঘোষণার।
এবার খোদ কায়রোতেই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকার কিছুটা শুকনো সুর, বড় নিঃশ্বাস ফেলে মন্তব্য, 'আমরা বিপ্লব করতে পারি কিন্তু তা ধরে রাখতে পারি না।' সময় লাগবে। কত দিন? স্পষ্ট জবাব তাঁর কাছে নেই। কায়রোতে পরের তিন-চার দিনে কি সাংবাদিক, কি মন্ত্রী, কি আইনজীবী, কি কফিশপের সাধারণ মানুষ—কেউই এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।
দেশে ফিরেই দেখছি উদ্যাপিত হচ্ছে শাহবাগ বিপ্লবের, গণজাগরণের প্রথম বার্ষিকী। তাহরির এবং শাহবাগকে হয়তো অতিসরলীকরণ করে একসঙ্গে মেলানো যাবে না। অর্জন এবং সাফল্য-ব্যর্থতাও হয়তো একই নিক্তিতে তোলা যাবে না। তবে একটি জায়গায় অসাধারণ মিল, তা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে ইতিহাসের নতুন পাট উন্মোচন। তাহরিরের তরুণদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধন হয়নি। কারণ, সেখানে রাজনীতি ছিল না, কিন্তু তাঁরা যে পরিবর্তনটি চেয়েছিলেন তা ছিল রাজনৈতিক। একটি রাজনৈতিক প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক নেতৃত্বই প্রয়োজন।
কিন্তু শাহবাগের যে কিছুটা সাফল্য তার কারণ তাদের প্রত্যাশাটি যেমন রাজনৈতিক, তেমনি সেই প্রত্যাশা পূরণের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিও দৃশ্যমান। কথা উঠেছে, শাহবাগ কি একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি? সহজ কথায় বোধ করি জবাব হবে—না, প্রচলিত ধারার রাজনীতির বিকল্প নয় শাহবাগ। শাহবাগ নিজেই তার স্বকীয়তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এমন একটি শক্তিতে, যা প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশের মূলধারা। প্রচলিত রাজনৈতিক শক্তি যে ভুল-বিভ্রান্তি আর আপসকামিতার মরীচিকায় পথ হাতড়ায়, সেখানে শাহবাগের অবস্থান স্পষ্ট।
তাহরিরের সহজ তরুণদের বিপুল প্রত্যাশার স্বপ্ন যেমন গ্রাস করেছিল মিসরের ধর্মের লেবাসধারী অপরাজনীতি, তেমনি শাহবাগের প্রবল উত্থানে বাংলাদেশেও সেই ধারার শক্তি তাদের রক্তখেকো দাঁত-মুখ-নখ দৃশ্যমান করে মাঠে নেমেছে। প্রকাশ্যে এদের দেখলেও শাহবাগের সমীকরণ আমাদের রাজনীতিকে সতর্ক করেছে সেই অপরাজনীতির শক্তির নেপথ্য নায়কদের সম্পর্কে, যাঁরা নানা পেশায়, নানা পরিচয়ে এই স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব মুছে ফেলার চক্রান্তের নকশা আঁকছেন প্রতিনিয়ত।
আমাদের প্রচলিত রাজনীতির অনেক অসম্পূর্ণতা পূর্ণাঙ্গ করতে, অথবা পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে এই যে সতর্কবাণী আকাশভেদী কণ্ঠে উচ্চারণ করল শাহবাগ, তা-ই বা কম কিসে? জন্মের মাত্র তিন বছরের মাথায় যে বাংলাদেশ তাঁর পথ হারিয়ে ফেলেছিল, সেই বাংলাদেশকে মূলধারায় ফেরাতে শাহবাগ যে প্রবল দাপটে জেগে রইল, সে যেন পিতৃপুরুষদের ভুল ও বিভ্রান্তির দায় শোধ করার জন্যই। এই তরুণদের উত্থানে বাংলাদেশ যেন স্বস্তি এবং শান্তি পেল।
দেশমাতৃকাকে এই শান্তি ও স্বস্তি দিতে শাহবাগের সূর্য তরুণদের যে উজ্জ্বলতা, তা ম্লান করতে কত কালিমাই না তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলো! ধর্মের নামে, সামাজিকতার নামে কতই না অপবাদ! কতই না অপপ্রচার! কতই না হুমকি! কিন্তু কোনো কিছুই কি তাদের আটকাতে পারল? পারল না, কারণ চূড়ান্ত বিচারে সবকিছুই নষ্ট-ভ্রষ্টদের হাতে চলে যায় না। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজনীতির ভাষাতেই কথা বলতে হবে, পথ চলতে হয় রাজনীতির ব্যাকরণ মেনেই, নিজেদের উজ্জ্বলতা দিয়েই দূর করতে হয় সমমনা রাজনীতির সীমাবদ্ধতাটুকু। তাহরিরের সঙ্গে শাহবাগের পার্থক্য এখানেই।
তাহরিরের তরুণেরা দুই বছর আগে দুনিয়াকে জানান দিয়েছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার, কিন্তু সমমনা রাজনৈতিক শক্তি সেই ধারাটিকে ধরে এগোতে পারেনি। আর শাহবাগে উচ্চারিত রাজনৈতিক প্রত্যাশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের শতকোটি মানুষের প্রত্যাশা। শুধু ধর্মের আবরণে তাকে পৃথক করে ফেলা যায়নি। বরং যাঁরা পৃথক করতে চেয়েছিলেন, তাঁরাই পৃথক হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধস্পর্শী রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তি যত স্পষ্টভাবে শাহবাগের সেই মৌল চেতনাটি ধারণ করতে পারবে, ততই নিশ্চিন্ত হবে বাংলাদেশ।
 
মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___