Banner Advertiser

Thursday, March 6, 2014

[mukto-mona] ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ॥ নতুন দেশের অভ্যুদয়বার্তা




শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ॥ নতুন দেশের অভ্যুদয়বার্তা
মোঃ মুজিবুর রহমান
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালীর জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় দিন। মহাকালের কালপরিক্রমায় ঘুরে আবার ফিরে এসেছে সেই দিনটি। এবার বাঙালীর জীবনে ৭ মার্চ এসেছে একটু ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। আজীবন লড়াই সংগ্রামে আপোষহীন নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জাতীয় জীবনের অমূল্য সম্পদ ও অন্তহীন প্রেরণা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এ ভাষণের চেতনা ও আদর্শ আমাদের সকলের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা ছাড়া বাঙালী জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকে এ দেশের প্রশাসন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই চলেছে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ৭ মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ভাষণটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠতম ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এ অলিখিত ভাষণটি ছিল খুবই সাজানো ও প্রাণবন্ত। আবার রাষ্ট্রনায়কসুলভ অভিব্যক্তি এতে প্রকাশ পেয়েছে। 
আজ থেকে তেতাল্লিশ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) স্বাধীনতা ও যুদ্ধের প্রস্তুতির ডাক দিয়েছিলেন। বিশ্বে এ ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাষণ হিসেবে বিধৃত। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণ যেমন গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। তেমনিভাবে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যুগে যুগে সকল নির্যাতিত মানুষের কাছে স্বাধীনতার মন্ত্রতুল্য বলে বিবেচিত হবে। আব্রাহাম লিংকন বক্তৃতা করেছেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পটভূমিতে। বঙ্গবন্ধু করেছেন স্বাধীনতা লাভের পটভূমিতে। লিংকনের ভাষণের একটি লিখিত রূপ ছিল। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের ভাষণ লিখিত ছিল না। আব্রাহাম লিংকনের ভাষণের শব্দসংখ্যা ছিল মাত্র ২৭২টি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শব্দসংখ্যা ছিল ১১০৭টি। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আব্রাহাম লিংকন ভাষণ দিয়েছেন আমেরিকার স্বাধীনতা লাভের অনেক পরে। তখন তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছেন বাঙালী জাতির মহান নেতা হিসেবে। 
একাত্তরের ৭ মার্চ ঢাকা শহর ছিল মিছিলের শহর। মিছিল আর মিছিল। সব মিছিলই এসে থমকে দাঁড়ায় রেসকোর্স ময়দানে। রেসকোর্স ময়দান রূপ নেয় জনসমুদ্রে। বাঁশের লাঠির সঙ্গে লাখো কণ্ঠের সেøাগানে কেঁপে ওঠে সেদিনের ঢাকা শহর। বাতাসে উড়ে সবুজ জমিনে বাংলার মানচিত্র আঁকা লাল সূর্যের অসংখ্য পতাকা। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতাকাটা কালো কোট পরে বাঙালীর মহান নেতা বঙ্গবন্ধু দৃপ্ত পায়ে উঠে এলেন মঞ্চে। সেøাগান আর মহুর্মুহু করতালির মধ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানালেন অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রকে। তারপর শুরু করলেন তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ। রেসকোর্স ময়দানের এই ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে ডাক দেন, সেই ডাকেই বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। 
এদিকে গোটা জাতি ছিল প্রস্তুত, ৭ মার্চের ভাষণের দিকনির্দেশনা জাতির সামনে স্পষ্ট- যা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিল এভাবে, ' প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। ... প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।' ভাষণের যেসব অংশে বঙ্গবন্ধুর আদেশ, নির্দেশ, অনুরোধ ছিল সেগুলো মুক্তিযুদ্ধকালে অগ্নিমন্ত্রের মতো কাজ করেছে। আবার বিশ্ব জনমতের সমর্থন ও কূটনীতির ক্ষেত্রে এই ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচ-ভাবে প্রভাবিত করেছে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও সমগ্র বাঙালী জাতির বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। 
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তানের তেইশ বছরের রাজনৈতিক শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস এবং বাঙালীর সুস্পষ্ট অবস্থানের চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়ে দ্বন্দ্বের স্বরূপ, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবিলার কায়দা সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন, যা ছিল এক অপূর্ব ও নাতিদীর্ঘ উপস্থাপনা। এ ভাষণে বাঙালীর প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তাঁর এই ভাষণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার প্রশ্নে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে যাতে চিহ্নিত না হন সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। অন্যদিকে শত্রুপক্ষকে এমন কোনো সুয়োগ দেওয়া যাবে না যাতে তারা অপ্রস্তুত জনগণের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করার সুয়োগ পেয়ে যায় সে দিকেও নজর রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে। মানুষকে হত্যার প্রসঙ্গে এই ভাষণে বারবার উত্থাপিত হয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করেছিলেন আমার লোক, আমার মানুষকে হত্যা হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি উক্তিই উদ্ধৃতিযোগ্য ও বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। জোরালো যুক্তি খুব সহজাত বিশেষত্ব বঙ্গবন্ধু বললেন, 'যে আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য- আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরিব-দুঃখী-আর্ত মানুষের মধ্যে।'
বঙ্গবন্ধু নিজস্ব ভঙ্গিতে এক পর্যায়ে উচ্চারণ করলেন, 'আর আমার বুকের ওপর গুলি চালানোর চেষ্টা করবা না। সাত কোটি মানুষের দাবায়ে রাখবার পারবা না। আমরা মরতে শিখেছি, এখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।' বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্যে কঠিনের সাথে কোমলের সহাবস্থান ছিল। এই বৈশিষ্ট্যটি বঙ্গবন্ধুর মাঝে সর্বদাই বিদ্যমান ছিল। তিনি বড় কঠিনভাবে বললেন, 'আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব।' আবার আশ্বাসবাণী হিসেবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী উদ্দেশে উচ্চারণ করলেন, 'তোমরা আমার ভাই- তোমরা ব্যারাকে থাক, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না।' 
রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে নির্দেশনামূলক কাব্যময় বক্তৃতা প্রদান একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব বিধায় আন্তর্জাতিক সাময়িকী নিউজউইক একাত্তরের ৫ এপ্রিলে প্রকাশিত তাদের প্রচ্ছদ নিবন্ধে 'রাজনৈতিক কবি' বলে আখ্যায়িত করেছিল। এই রাজনৈতিক কবির অমর রচনা হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষণ। যা বাঙালীর মহাকাব্য। রেসকোর্সের জনসমুদ্র সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট হয়েছিল সেই বজ্রকণ্ঠে। তাঁর ভাষণের প্রতিটি পঙ্ক্তি যেন কালজয়ী কবিতার পঙ্ক্তি। এই মহাকাব্য বাঙালী জাতির সংগ্রাম-আন্দোলনের ধারা ও লালিত স্বপ্ন থেকে উৎসারিত। এই মহাকাব্য বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত ও দীক্ষিত করেছিল। সাহস, প্রতিজ্ঞা ও স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালী জাতির ঘুরে দাঁড়ানোর একটি দিন ছিল একাত্তরের ৭ মার্চ। বাংলাদেশ নামক দেশটি অবয়ব তৈরির কাজটি করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে। 
৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্র তখন উত্তাল। সময় তখন ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাঙালী যেন আরও কিছু শুনতে চায়। অবশেষে অবিনশ্বর পঙ্ক্তিটি বঙ্গবন্ধু উচ্চ করলেন, যা শোনার জন্য বাঙালী জাতি উন্মুখ ছিল, ' এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' 
এই ভাষণ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল। বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, যখন বাঙালী জাতি পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল তখনই বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে। এ ভাষণের স্তরে স্তরে ছিল পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন দেশের অভ্যুদয়বার্তা এবং এ দেশে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শাসনের পরিসমাপ্তির ঘোষণা ও বিবরণ। ওই ভাষণে বাঙালী জাতির গন্তব্য নির্ধারণ হয়। তা হলো স্বাধীনতা।
লেখক : শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা, আর্কাইভস ৭১।
প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

SHONO EKTI MUJIBORER THEKE.....SONG. :

শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি 
প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি-বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে,

আবার এসে ফিরে যাবো আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো।
শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে
এমন সোনার দেশ।
বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।
'জয় বাংলা' বলতে মনরে আমার এখন কেন ভাবো,
আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো,
অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।।


7th March, 1971 Speech of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman:





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] My Article in Bangladesh Media .





On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


On Thursday, March 6, 2014 11:48 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
 

মুক্তির ভাষণ

মুক্তির ভাষণ
বিডিলাইভ ডেস্ক: ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বজ্রকন্ঠের ভাষণ ছিলোনা , এই ভাষণ ছিলো নির্যাতিত নিষ্পেষিত অবহেলিত একটি জাতির মুক্তির  দিকনির্দেশনার ভাষণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরার উদাত্ত আহবান ছিল এই ভাষণে। 

বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর বস্তুত তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক সরকারের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পরেছিল । একমাত্র সামরিক এবং আধাসামরিক সংস্থা ছাড়া সবই চলছিল  বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ! গভর্নর হাউসের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর হয়ে পরেছিল বেসামরিক পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু। 

দেশী-বিদেশী সাংবাদিক আর অতিথিদের পদচারনায় প্রতিদিন মুখরিত থাকত ৩২ নম্বরের সেই ঐতিহাসিক ভবন। লেক সার্কাস, কলাবাগানের বাসিন্দা হিসাবে পায়ে হেটেই প্রতিদিন চলে যেতাম সেই ভবনের সামনে। কিছুক্ষণ পর পরই সাদা পাঞ্জাবি, চেক লুঙ্গি পরিহিত বঙ্গবন্ধু বেলকনিতে এসে "হেন্ড মাইক" এর মাধ্যমে উপস্থিত জনতাকে তার জ্বালাময়ী ভাষণে উজ্জীবিত করতেন। 

আজো কানে ভেসে আসছে ভাষণের পর পরই বঙ্গবন্ধুর দরাজ কন্ঠের সেই শ্লোগান "তোমার দেশ  আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ" ! পাকিস্তানের নাম বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশ বলার পরেও পরশ্রীকাতর এক শ্রেনীর কুলাঙ্গাররা যখন বলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি তখন তাদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া বলার আর কিছু থাকে না। 

বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ভাষণ সে ব্যপারে কোনো সন্দেহ  নেই। বাঙালি জাতির মুক্তির 'মাল-মশলা' সবই ছিল সেই ভাষণে। 'আমি যদি হুকুম দেবার না পারি , যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো' এই নির্দেশনার পর কি নতুন করে আবার স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো দরকার পরে ? 

তার পরেও কোথাকার এক মেজরকে এনে যখন স্বাধীনতার তথাকথিত ঘোষক বানানোর চেষ্টা করা হয় তখন অবাক বিস্ময় আর ক্রোধে তা শ্রবণ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না !  অনেকে হয়ত বলবেন তা হলে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে কেন বৈঠক করেছিলেন ? সেই ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধু ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য দেনদরবার করেছিলেন আর এটা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ৬ দফার পুণর্বাস্তবায়নের ওপর নামই  ছিল "রক্তপাতহীন স্বাধীনতা অর্জন" ! তা ছাড়া এক তরফা বৈঠক ভেঙ্গে দেওয়ায় ইয়াহিয়ার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুই বিশ্ব নেতাদের সমর্থন পেয়েছিলেন সেই সময়।
 
রণাঙ্গনে "এনার্জেটিক সুরার" মত কাজ করেছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ।  বজ্রকন্ঠের সেই ভাষণ শুনে বাংলার দামাল ছেলেরা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে  পরত পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী ছিল সেই কালজয়ী ভাষণ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় আজও  সেই ভাষণ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় করে উদ্বেলিত। এই ভাষণ শুনে স্বাধীনতার শত্রুরা আজও চিত্কার করে ঘেমে নেয়ে ওঠে মাঝ রাতে। ভয়ে কাঁপতে  থাকে এই বুঝি মুক্তিযোদ্ধারা এলো প্রাণ নিতে !

আজকের এই দিনে তাই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। তার দুরদর্শিতাপুর্ণ সেই অমর ভাষণ বাঙালি জাতিকে দলমত নির্বিশেষে  উদ্বেলিত করেছিল  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এই অমর ভাষণ লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। 

ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। 






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: context needed to understand life of prophet Muhammad PBUH



The idiot does not know the text, asks for it from you, and once you give it, he/she tells you to understand the context.  Such unholy verses are to be found all over in the holy book that was revealed in the desert oases.  With his unquestioned allegiance such fools should look for an early abode in the luscious heaven, though the day of the last judgement  would be a few billion years away.  Till then the corpses of these believers would rot and be consumed by subterranean  insects. Though less convincing than the ancient Pharaohnic belief it is adopted by billions as questioning is forbidden in their faith.  Such blockheads should be left to social boycott.

Sent from my iPad

On Mar 7, 2014, at 12:00 AM, Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com> wrote:
 

Oh, well, let me waste a few more minutes on QR.
 
No context is needed to respect Mujib's statement that QR cited below. In most situations in the world, there is nothing hateful in saying, "I am not afraid of death." However, in most situations in the world, "I am willing to kill" would be considered barbaric mindset.
 
From Mujib's statement that QR cited below, only idiots who have too much of belief and irrationality in their upbringing might think that 'he was from Taleban'. Mujib was no suicide bomber; he was respectful of the rights of all people, irrespective of religions; and he certainly was not against education for women. He even called the Pakistani soldiers, "my brothers", (and asked them to go back to the barracks instead of killing unarmed citizens on city streets), while asking the Banglalees to prepare for defending their dignity and rights. It would take a lot of witless illusion to put Sheikh Mujibur Rahman in the same category as the Taleban under any context.
 
Chances are I would ignore what QR might write next.
 
SuBain
 
===============================================
 
From: QR <qrahman@netscape.net>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, March 5, 2014 6:57 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Re: context needed to understand life of prophet Muhammad PBUH
....... During historical 7th March speech (1971) Sheikh Mujibor Rahman said, I am a Muslim and I am not afraid of death. If you read it out of context, you may think he was from Taleban. That is why it is VERY important to UNDERSTAND a context. ...........
 
Shalom!


 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Memory Lane: বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ১



বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ১

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০ |

শেয়ারঃ

মার্কিন দূতাবাসকে গোপন বৈঠক সম্পর্কে জানাতেন যাদু মিয়া
বিএনপি গঠনে রাজনীতিকেরা প্রথম বৈঠক করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান সেনানিবাসের বাড়িতেই। বৈঠকগুলো হতো গভীর রাতে। এসব গোপন বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হতো ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে। জিয়াউর রহমানের পক্ষে এ কাজ করতেন প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়া। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) করতেন। তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্বের টোপ দেওয়া হলেও কথা রাখেননি জিয়া। এমনকি তাঁর মৃত্যু আজও পরিবারের কাছে রহস্যাবৃত।
ঢাকার তখনকার মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর স্টিফেন আইজেনব্রাউনের কাছে যাদু মিয়া গোপন বৈঠক সম্পর্কে তথ্য দিতেন। আইজেনব্রাউনের পেশাগত কূটনৈতিক-জীবনের শুরু পঁচাত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ডেস্কে।
আইজেনব্রাউন ২০০৪ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক কথ্য ইতিহাস কর্মসূচির পরিচালক চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডিকে সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বিএনপির জন্মের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। ১৯৭৬-৭৮ ও ১৯৯৬-৯৮ সালে তিনি ঢাকায় মার্কিন পলিটিক্যাল অফিসার ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ছিলেন।
যেভাবে আছে সেভাবেই থাক: সম্প্রতি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আইজেনব্রাউন ও চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তাঁদের কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। সাবেক পেশাদার মার্কিন কূটনীতিক স্টুয়ার্ট কেনেডি এখন ভার্জিনিয়ায় থাকেন। এই প্রতিবেদকের কাছে গত ৩০ আগস্ট পাঠানো ই-মেইল বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, 'আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে অল্পই জানি। আমি কিছু বলে যদি ইতিহাসে ইতিবাচক কিছু যোগ না করতে পারি, তাহলে তা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ ঘটাবে। তার চেয়ে বরং সাক্ষাৎকারগুলো যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকুক।' আইজেনব্রাউন এই প্রতিবেদকের কাছে শুধু তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠাতে সম্মত হন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে আইজেনব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। আইজেনব্রাউন জানিয়েছেন, তিনি এখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনসংক্রান্ত সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির জন্ম-প্রক্রিয়ায় তাঁর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া এবং তিনি বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখেন। তবে ১ সেপ্টেম্বর মওদুদ আহমদ এক প্রশ্নের জবাবে আইজেনব্রাউনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সুযোগ ঘটেছিল কি না, তা স্মরণ করতে পারেননি।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক আইজেনব্রাউন সেনানিবাসে জেনারেল জিয়াউর রহমান কীভাবে বিএনপির জন্ম দিয়েছিলেন, তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করেছেন। ২০০৪ সালে চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডির একটি প্রশ্নের সূত্রে বিএনপি প্রসঙ্গ আসে। আইজেনব্রাউন কথা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে তাঁর কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও স্মরণ করেছেন তিনি। এর মধ্যে 'অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্কের' কথা বলেন জাতীয় পার্টির নেতা ও ইত্তেফাক-এর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পরিবারের সঙ্গে। আবুল হাসান চৌধুরী তাঁর সঙ্গে জানাশোনার বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
আইজেনব্রাউন বেশ নাটকীয়ভাবে এবং যতটা সম্ভব রসিয়ে বিএনপির জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, '১৯৭৮ সালে বিএনপির জন্মের সঙ্গে আমার গল্পের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। পুরান ঢাকায় (যাদু মিয়ার বাসা ছিল মগবাজারে) আমাদের গোপন বৈঠকগুলো হতো। এর সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি ডান ও বামপন্থীদের মধ্যকার প্রবল সক্রিয় অংশকে একত্র করেছিলেন। একদিকে মোল্লা, অন্যদিকে বামপন্থী—উভয়ের কাছ থেকে তিনি পরামর্শ নিতেন। বিএনপি গঠন-প্রক্রিয়ায় সেনানিবাসে যেসব গোপন বৈঠক হয়েছিল, তার বিবরণ আমি পেতাম। সে বিষয়ে যিনি আমাকে অবহিত করতেন, তিনি ছিলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। যিনি পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সিনিয়র মিনিস্টার হয়েছিলেন।'
আইজেনব্রাউন বলেছেন, বাম ও ডানপন্থীদের নিয়ে দল গঠনের একটি প্রক্রিয়া তখন ছিল। মন্তব্য চাওয়া হলে মওদুদ আহমদ গত ২১ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, 'সেটা তো একদম ঠিক কথা। সেটাই ঘটেছিল। কারণ, ন্যাপ থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সংখ্যায় অনেক। প্রায় ৭০ জন এমপি ছিলেন ন্যাপ থেকেই। আপনি যদি তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেন, তাহলে দেখবেন বামপন্থী দল থেকে বেশি এসেছিল। তখন শহীদ জিয়ার দলে আমরা যাঁদের বামপন্থী বলি, তাঁদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে বিএনপিকে বলা যেত লেফট অব দ্য সেন্টার। যদিও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে বিধানটা বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল, সেটা তিনি তুলে দিয়েছিলেন। '
'এক সপ্তাহ পরে ভ্রু নাচ': আইজেনব্রাউন তাঁর সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেন যে তিনি বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে বিস্তারিত অবহিত রাখতেন। তাঁর কথায়, '৭৮ সালের বসন্তে ঢাকার রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে ওয়াশিংটনে প্রতিবেদন পাঠাতে পাঠাতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখনকার বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তেমন কোনো গল্প বলার কিছু নেই। কারণ, তখন রাজনীতি উন্মুক্ত ছিল না। তবে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত কিছু ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একটা সম্পর্ক বজায় রাখতে আমি সচেষ্ট ছিলাম।' আইজেনব্রাউনের এই সাক্ষাৎকারে অবশ্য বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়ার প্রশ্নে শুধু যাদু মিয়ার সঙ্গেই ওই সময় তাঁর নিবিড় যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন যাদু মিয়া। দুই প্রবীণ সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ ও এবিএম মূসা অবশ্য নিশ্চিত করেন যে ভাসানী তাঁকে নিয়ে সংশয়গ্রস্ত ছিলেন। সাবেক ন্যাপের (ভাসানী) নেতা রাশেদ খান মেনন এ বিষয়টি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি মিশ্র চরিত্রের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গোঁড়া বুর্জোয়া স্বভাবের সঙ্গে তাঁর একটি গণমুখী দিকও ছিল। এর পর থেকে অব্যাহতভাবে পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। একাত্তরে কলকাতায় গেলেও তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি নিঃসন্দেহে বড় চরিত্র। সিনিয়র মিনিস্টার থাকাকালে হাসপাতালে আমি তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। ভাসানী ন্যাপের দক্ষিণপন্থী গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। বাহাত্তরের ১ অক্টোবর রাতে আমি ভাসানীর মুখে পাকিস্তানিদের দালালি করার জন্য জেলহাজতে থাকা যাদু মিয়াকে ভর্ৎসনা করতে শুনেছিলাম।' অপর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, শুধু যাদু মিয়া নন, সেদিন জেনারেল জিয়ার দল গঠনের সমর্থকদের অনেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে আছেন।
জেনারেল জিয়া যখন সেনানিবাসের বাড়িতে গোপন রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, তখন এইচ এম এরশাদ সেনাবাহিনীর উপ-সেনাপ্রধান। এরশাদের শ্যালক মহিউদ্দিন হলেন যাদু মিয়ার জামাতা। এরশাদ মহিউদ্দিনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যাদু মিয়ার ছেলে শফিকুল গনি স্বপনকে প্রতিমন্ত্রী করেন। যাদু মিয়ার মেয়ে মনসুরা মহিউদ্দিন (মহিউদ্দিনের স্ত্রী) সাংসদ নির্বাচিত হন। যাদু মিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে রিতা রহমানের বিয়ে হয় মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জেলহত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। পঁচাত্তরে তিনি ফারুক-রশীদদের সঙ্গে লিবিয়া যান। বিএনপি তাঁকে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার করেছিল। আওয়ামী লীগের বিগত আমলে তাঁকে তলব করা হলে তিনি আর দেশে ফেরেননি।
স্টিফেন আইজেনব্রাউনের বর্ণনায়, 'আমি তৃতীয় যে ব্যক্তির দিকে নজর রাখছিলাম, তিনি পুরান ঢাকায় বাস করতেন। তাঁর নাম মশিউর রহমান। তিনি যাদু মিয়া বা ম্যাজিক ম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পঁচাত্তরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে বামপন্থী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে তিনি সহায়তা দিয়েছিলেন। এতে প্রতীয়মান হয়েছিল যে যাদু মিয়া সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। বাস করতেন পুরান ঢাকায়। আর বেলকনিতে বসে হুক্কা টানতেন। আমরা একত্রে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি বিষয়ে মতবিনিময় করতাম। এ ঘটনার এক সপ্তাহ কিংবা আরও কিছুটা সময় পরে এক তরুণ মার্কিন দূতাবাসে এলেন। আমার সঙ্গে দেখা করলেন। তরুণটি জানালেন যাদু মিয়া আমার সঙ্গে অনতিবিলম্বে সাক্ষাৎ করতে চান। সুতরাং আমি রিকশায় চেপে পুরান ঢাকার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম। তাঁর গায়ে বেশ সৌন্দর্যখচিত জামা-কাপড় লক্ষ করলাম। বেশ ফিটফাট। দাড়ি কামিয়েছেন। তাঁকে এমন কেতাদুরস্ত আমি আগে দেখিনি। এবারে চোখে পড়ল না হুক্কাটিও। আমি তাঁর ভ্রু নাচন (ক্ষমতার ঝিলিক) দেখলাম। একেবারে একজন নতুন মানুষ। ৭০-এর কোঠায় দাঁড়িয়ে কেমন নবীন হয়ে উঠেছেন। তিনি আমাকে বললেন, জেনারেল জিয়া একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান।'
উল্লেখ্য, জিয়া কখন রাজনৈতিক দল করতে চান, সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরাট প্রশ্ন। সে কারণে মওদুদ আহমদকে প্রশ্ন করি, আপনার কি এটা স্মরণে আছে যে জেনারেল জিয়া আপনাদের ডেকে দল করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন, নাকি আপনারাই তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন। মওদুদ বলেন, 'আমরা তাঁকে সহায়তা দিয়েছি। তিনি ছিলেন খুবই তীক্ষ।' মওদুদ আহমদ ২০০০ সালে প্রকাশিত গণতন্ত্র এবং উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক বইয়ে উল্লেখ করেন, 'রাজধানীর রাজপথে সৈনিক ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল রাতারাতি তাঁকে এক জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। এই জনপ্রিয় সমর্থন অবলম্বন করে জিয়া সাফল্যজনকভাবে তাহের ও মোশতাককে দমন করতে সফল হন।
গভীর রাতে প্রথম সভা: '৭৮ সালের বসন্তে মশিউর রহমান আইজেনব্রাউনকে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান দল করতে চান। কিন্তু জিয়ার জানা নেই যে এটা কীভাবে করতে হবে। সুতরাং রাজনীতিতে যাঁরা অবসরে গেছেন, তিনি তাঁদের একটা সভা ডাকলেন। এই সভা ডাকা হয়েছিল গভীর রাতে। জিয়া তাঁদের কাছ থেকে উপদেশ নিলেন। সেই বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, যাদু মিয়া আমার কাছে তাঁদের নাম প্রকাশ করলেন।
আইজেনব্রাউনের সাক্ষাৎকারে সেই নামগুলোর উল্লেখ নেই। তবে সেনানিবাসের বাড়িতে পরবর্তীকালে গভীর রাত কোনো ব্যাপারই ছিল না। গভীর রাতই ছিল আকর্ষণ। মওদুদ আহমদের মতে, 'ক্ষমতায় আসার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জিয়া ব্যক্তিগতভাবে ও গোপনে নিজের অফিস ও বাড়িতে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করে সলাপরামর্শের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।'
এ বিষয়ে মওদদু আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, 'আমরা তো প্রতিদিন রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত ওনার ওখানে আলোচনা করতাম।' তাঁর তথ্য অনুযায়ী, '৭৭ সালের শেষ ডিসেম্বর বা '৭৮ সালের জানুয়ারির এক রাতে জিয়ার সেনানিবাসের বাসভবনে বসে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কাঠামো তৈরি করা হয়। '৭৮ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাগদল করা হয়।'
সেনানিবাসের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওই প্রথম বৈঠক সম্পর্কে আইজেনব্রাউন বলেন, 'আমি বেশ বুঝতে পারলাম সেই সভায় বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের সম্মিলন ঘটেছিল। যাদু মিয়ার মতো লোক ছিলেন বামপন্থা থেকে। আর ডানপন্থীদের মধ্যে মুসলিম লীগ ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলের নেতারা। বাস্তবে তাঁরা প্রত্যেকেই ষাটের দশকের শেষভাগে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন সেই সব লোক হয় কারাগারে কিংবা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ঢাকার রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তখন যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হয় অতি বাম না হয় অতি ডান। সুতরাং জিয়া তাঁদের মধ্য থেকে বেছে বেছে কয়েকজনকে গোপনে সেনানিবাসে একত্র করেছিলেন। সেই বৈঠক মধ্য রাতে হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টারকে স্টিফেন আইজেনব্রাউন ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রদূত পেয়েছিলেন। বোস্টার '৭৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র দপ্তরকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ পাঠিয়েছিলেন। বোস্টার এতে লিখেছেন, 'বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে চরম উপদলীয় কোন্দল বিরাজমান। তাদের সংগঠনের দলীয় কাঠামো এবং সদস্যপদ অস্পষ্ট। মওলানা ভাসানীর নামমাত্র নেতৃত্বে পরিচালিত পিকিংপন্থী বামপন্থীরা পুনর্গঠিত হয়েছেন। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন মশিউর রহমান। তিনি দলের মহাসচিব হিসেবে আবির্ভূত হন। '৭৪ সালে ন্যাপ তিক্ত অভ্যন্তরীণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। মশিউর রহমান ও ডা. আলীম আল রাজি সংশোধনবাদীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ওই সময় ন্যাপে বিতর্ক ছিল, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র কায়েমের জন্য খাঁটি আদর্শবাদের নীতিতে অবিচল থাকা নাকি সমন্বয় ও সংশোধনবাদের পথে শ্রেণীহীন সমাজ অর্জনের পথে অগ্রসর হওয়া। কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিলেন। '৭৪ সালে ন্যাপ-ভাসানী বিভক্ত হয়। কাজী জাফর ও মেনন গঠন করেন ইউপিপি। ডা. আলীম আল রাজিও নিজের দল গঠনের কথা ভাবছেন। তাই তিনি যাদু মিয়াকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
১৯৭৬ সালে ভাসানীর মৃত্যুর পর যাদু মিয়া ন্যাপের সভাপতি হন। চল্লিশের দশকে তেভাগা আন্দোলন ছিল উত্তাল। তদনারায়ণ বর্মণ নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যাদু মিয়া প্রধান আসামি হন। তিনিই গুলি করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল। সেই খুনের বিচার হয়নি। আলিপুরের আদালতে মামলা প্রত্যাহার হয়। রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, 'যাদু ভাই জিয়ার সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমি আর হায়দার আকবর খান রনো তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, "বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর্মি ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। তাই বুঝেশুনে চলতে হবে"।'
স্টিফেন আইজেনব্রাউন তাঁর সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, 'যাদু মিয়া আমাকে বললেন, সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিস্তারিত আপনার কাছে প্রকাশ করতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যাদু মিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে আমি দূতাবাসে ফিরলাম। সব কথা খুলে বললাম ক্রেইগ বেক্সটারকে (পলিটিক্যাল কাউন্সেলর)। তিনি তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রদূতকে। এ সম্পর্কে তখন পর্যন্ত আমাদের কিছুই জানা ছিল না। সুতরাং আমরা এ কথা দ্রুত জানিয়ে দিলাম ওয়াশিংটনকে। এর কয়েক দিন পর যাদু মিয়া আবার আমাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি তখন আমাকে সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত রাত্রিকালীন ধারাবাহিক বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন। জিয়া কী করতে চান, কার কী চিন্তাভাবনা, কে কী বলেছেন ইত্যাদি। আমি তখন এসব আলাপ-আলোচনার বিষয় সম্পর্কে রিপোর্ট করেছি ওয়াশিংটনকে। সেই ঘটনাবলি সম্পর্কে আজ যাঁরা কৌতূহলী, তাঁরা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আর্কাইভে কেব্ল (তারবার্তা) খুঁজে পেতে পারেন। সেখানেই রয়েছে জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল গঠনের অনুপুঙ্খ ইতিহাস।' 

http://www.somewhereinblog.net/blog/ashibi/29242797

বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ২ জিয়া রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে যাদু মিয়াকে ব্যবহার করেছিলেন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪ 

http://www.somewhereinblog.net/blog/ashibi/29242798

বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ৩ সেনাছাউনিতে বিএনপির জন্মকে ষড়যন্ত্রমূলক বলেন আইজেনব্রাউন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১ |

http://www.somewhereinblog.net/blog/ashibi/29242803






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] সরল গরল : মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে? - মিজানুর রহমান খান |



সরল গরল

মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ১৪:১৭, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

জামিনের যত ফেরকা আছে, তার মধ্যে আগাম জামিন সবচেয়ে কঠিন। কারণ, এটা আইনে নেই। তদুপরি এ অঞ্চলের প্রতিটি সুপ্রিম কোর্ট একমত যে অসাধারণ পরিস্থিতিতে বিরল ক্ষেত্রে এটা মঞ্জুরযোগ্য। ২০০৯ সালে ৩৮ সেকেন্ডে একটি জামিনের ঘটনার তদন্ত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য প্রতিকার হয়নি। গত মাসে দুই দিনে ৫৫৮টি আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে। এ সবই বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উদাহরণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২০ নম্বর বিচারকক্ষের সামনে নোটিশ দেখি, 'নতুন কোনো মোশন জমা নেওয়া হবে না।' এ কথার মানে, এখানে আর আগাম জামিনের জন্য নতুন দরখাস্ত নেওয়া হবে না। গত মাসে এখানে আগাম জামিনের ঝড় বয়ে গেছে। ওই নোটিশ হলো ঝড়ের চিহ্ন।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চই হলো এনেক্স ভবনের ২০ নম্বর বিচারকক্ষ। ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ৭১৮টি আগাম জামিন আবেদন মুদ্রিত ছিল। এর মধ্যে আসামির সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে। এবং তাঁদের সবার আদালতকক্ষে হাজির থাকার কথা। তার মানে, ওটা একটা গণ-আত্মসমর্পণেরও দৃশ্য। এদিন ওই বেঞ্চ ৩০৭টি মামলায় আগাম জামিন দিয়েছেন। কমপক্ষে ৪০০ আসামি জামিন পেয়েছেন।
হাইকোর্টে জামিন-ঝড় এখন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তবে প্রশ্ন, যে প্রতিকার সমক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বেঞ্চ দিতে পারেন, তা আইনজীবীরা কেন একটি বিশেষ আদালতের কাছ থেকে নিতে ছোটেন? এর উত্তর আমরা কার কাছ থেকে পাব? এর কি জবাবদিহি থাকবে না? বার ও বেঞ্চ তো নীরবই থাকবেন।
২৯ জানুয়ারি ওই একই আদালতের কার্যতালিকায় ৪১১টি আগাম জামিন অবেদন ছাপা হয়। আবেদন মঞ্জুর হয় ২৫১টি। এখানেও অন্তত ৩০০ আসামি আগাম জামিন পান। এঁরা বিচিত্র অপরাধের আসামি। কেউ কেউ দুর্ধর্ষও হতে পারেন। তবে তাঁরা কে কোন ধরনের আসামি, তা আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না। নিয়ম হলো, অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে আবেদনকারীরা একটি কপি আগেই জমা দেন। তবে সেখানেও সুষ্ঠু তদারকি ও শৃঙ্খলা নেই। মামলা ব্যবস্থাপনায় একটি নৈরাজ্য চলছে। ওই দুই দিনে আইন কর্মকর্তাদের অসহায় অবস্থায় দেখা গেছে। অবশ্য জামিনপ্রার্থীদের শয়ে শয়ে আইনজীবী ও জামিন প্রদানে উন্মুখ আদালতের সেই পরিবেশে রাষ্ট্রের আইনজীবী আন্তরিক হলেও নিজকে তাঁদের খড়ের কুটো ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না।
প্রতি মিনিটে যদি একটি আদেশ পাস হয়, তাহলে সেখানে কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা এক কথায় আসলে কিছুই ঠাহর করা সম্ভব হয় না।
আমি সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে যাই। বলি, আদালত এক দিনে ৭১৮টি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন, এই আশ্চর্য কথা কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট ছাপাতে পারে? তিনি জানালেন, কোন দিন কতটি মামলা কার্যতালিকায় আসবে, সে বিষয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেই। এটা সম্পূর্ণরূপে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের অধিকার।
২০১০ সালের ৬ জুন রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু মামলায় আপিল বিভাগ একটি উল্লেখযোগ্য রায় দেন। বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তাতে লিখেছিলেন, 'এফআইআরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি রাজনৈতিক নেতা কি নেতা নন, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।'
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে সন্দেহভাজন। তাঁর আগাম জামিন লাভে ওই নীতির ব্যত্যয় দেখলাম। দুদকের এফআইআরে উল্লেখ আছে, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস হোসেন ইংল্যান্ডের নিকটবর্তী দ্বীপ রাষ্ট্র গের্নসিতে একটি যৌথ ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী জামানত হিসেবে আট লাখ চার হাজার ১৪২ পাউন্ড জমা রেখেছেন। ২০০৮ সালে ওই টাকার হদিস বের করেছিলেন লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধূরী। আওয়ামী লীগ ও দুদক পাঁচ বছর ঘুমানোর পর সম্প্রতি একটি মামলা করেছে। ওই টাকা জব্দ অবস্থায় রয়েছে। এমনকি তা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত বলেও আদালতের সামনে তথ্য ছিল। মওদুদ আহমদ এবং বিএনপির ডাকসাইটে আইনজীবীরা মোশাররফের জন্য আগাম জামিন পেতে ওই ২০ নম্বর কক্ষে দাঁড়ালেন। গের্নসি সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। জাতিসংঘের এতগুলো রাষ্ট্র থাকতে মোশাররফ দম্পতি কেন আটলান্টিকের বুকে ইংলিশ চ্যানেল দ্বীপে টাকা রাখতে গেলেন, তার ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। মোশাররফ তা দেননি, বিএনপিও নয়।
বেইলি উইক অব গের্নসির মুখ্যমন্ত্রী পিটার হারুদ ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি তাঁর 'সুনামের প্রতি ঝুঁকি' অনুভব করেছেন। তিনি চ্যানেল আইল্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছিলেন। পরিচালকের অতীত ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই 'অযথা মিডিয়ার মনোযোগ' এড়াতে পদত্যাগ করেছেন। মোশাররফের দেখা পেলে পিটারকে হয়তো পদত্যাগ করতে হতো না। কারণ, তিনি আগাম জামিনের পরামর্শ পেতেন!
আইনের শর্ত হচ্ছে, আগাম জামিন দিতে হলে কারণ লিখতে হবে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, খন্দকার মোশাররফের জামিনাদেশে কোনো কারণ লেখা নেই। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ অবশ্য ওই আদেশ বাতিল করেছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত ওই একই বেঞ্চ আদেশে লিখেছেন, উভয় পক্ষকে শোনা হয়েছে। এফআইআর দেখা হয়েছে। অতঃপর প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে যে বিষয়টি অভিযুক্তের পক্ষে গেছে। তাই এই আদালতে তাঁর আত্মসমর্পণ গ্রহণ করলাম। ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর।
বিচারব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তার আরও উদাহরণ দিই। একই আদালতে আরেকটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয় হল-মার্ক কেলেঙ্কারি খ্যাত তানভীর মাহমুদের স্ত্রী জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে। জেসমিন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হন। জেসমিনও আগাম জামিন পান এবং আপিল বিভাগ তা বাতিল করেন। অথচ এসব জামিন একান্তই নিম্ন আদালতের এখতিয়ার। প্রকৃতপক্ষে জামিন পুলিশি সিদ্ধান্তের বিষয়। আর বাংলাদেশে জামিন নিয়েই হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভারাক্রান্ত থাকে।
অনিয়ম কাকে বলে দেখুন। ১৯ জানুয়ারি মোশাররফ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি জেসমিনকে দেওয়া আগাম জামিন মঞ্জুরের আদেশ একই ভাষায় একই ছকে লেখা। দুই আদেশের প্রতিটির প্যারাগ্রাফ একই বাক্য দিয়ে শুরু হয়েছে। দুই আদেশে আক্ষরিক অর্থেই কেবল নাম-ধাম ও তথ্যগত কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এভাবে একটা বিচারব্যবস্থা চলতে পারে কি না। সর্বোচ্চ আদালত এর প্রতিকার দিতে অসমর্থ কিংবা শোচনীয়ভাবে অসফল।
প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, '২৭০ মিনিটে ২৪০টি মামলায় জামিন দেওয়া কি সঠিক হয়েছে?' ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ আমরা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি তদন্ত প্রতিবেদন (প্রতি ৩৮ সেকেন্ডে একটি জামিন) প্রকাশ করেছিলাম।
তদন্তে দুই বিচারকের স্বাক্ষরবিহীন ২৭২টি জামিনাদেশ বেরোল। এমনকি ৩৫টি নথির হদিস মিলল না। ২০০৯ সালের ২৩ ও ২৪ নভেম্বর বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান ও বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই গণজামিন দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুজন বিচারকের সমন্বয়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসের প্রথম অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই তদন্তের নথি আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম। তদন্তের সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন তাফাজ্জল ইসলাম। তিনি অল্প সময় ছিলেন। ওই নথিটি তিনি প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। এরপর নথিটি প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের হাতে পড়ার কথা। আমাকে
বলা হয়েছে, চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি নথিটি উদ্ধার করতে পারেননি। তার চেয়েও বড় কথা, পত্রিকায় (প্রথম আলোয়) কেন গণজামিন দেওয়া-সংক্রান্ত খবরের সঙ্গে বিচারকদের ছবি ছাপা হয়েছিল, সেটাই নাকি বড় হয়ে ওঠে। কথিতমতে, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সে কারণে এ বিষয়ে অগ্রসর হতে বাধাগ্রস্ত হন।
জামিন ব্যক্তি স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। কিন্তু গণজামিন একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর উভয়ে উদ্যোগী ও সদা সক্রিয় থাকলে এর রাশ কিছুটা টানা সম্ভব। তবে এর উত্তরও পেতে হবে যে গণজামিন না দিলে কী হতো? সারা দেশের ভুক্তভোগীরা কেন ভেঙে পড়ছে ঢাকায়?
একেবারে ভেঙেচুরে পড়া থেকে এ ধরনের ব্যবস্থাই হয়তো বাঁচিয়ে রাখছে। কিন্তু কত দিন? পুলিশি ভয়ের শাসনের প্রবর্তকেরাই এ নৈরাজ্যের জন্য দায়ী। কেবল বিচারব্যবস্থা নয়, সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যে পচন ধরেছে, সেটা স্বীকার না করলে এ থেকে বেরোনো যাবে না।
আগামী কিস্তি: ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের স্বাধীনতা

 

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/157402/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87_%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8_%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87


  1. Daily Manab Zamin | কাঠগড়ায় একদিন

    3 hours ago - পরে সোমবারের মধ্যে প্রথম আলো'কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আগাম জামিন... ২৮শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো'তে 'মিনিটে একটি আগাম জামিন কিভাবে?' এবং ১লা ...
  2. প্রথম আলোর আদালত অবমাননা মামলার শুনানি শুরু - The Daily Janakantha

    4 hours ago - পরে আদালত প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে আগামী সোমবারের মধ্যে রুলের জবাব দিতে আদেশ ... দৈনিক প্রথম আলোর মতামত পাতায় 'মিনিটে একটি আগাম জামিন কিভাবে?


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: context needed to understand life of prophet Muhammad PBUH



Oh, well, let me waste a few more minutes on QR.
 
No context is needed to respect Mujib's statement that QR cited below. In most situations in the world, there is nothing hateful in saying, "I am not afraid of death." However, in most situations in the world, "I am willing to kill" would be considered barbaric mindset.
 
From Mujib's statement that QR cited below, only idiots who have too much of belief and irrationality in their upbringing might think that 'he was from Taleban'. Mujib was no suicide bomber; he was respectful of the rights of all people, irrespective of religions; and he certainly was not against education for women. He even called the Pakistani soldiers, "my brothers", (and asked them to go back to the barracks instead of killing unarmed citizens on city streets), while asking the Banglalees to prepare for defending their dignity and rights. It would take a lot of witless illusion to put Sheikh Mujibur Rahman in the same category as the Taleban under any context.
 
Chances are I would ignore what QR might write next.
 
SuBain
 
===============================================
 
From: QR <qrahman@netscape.net>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, March 5, 2014 6:57 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Re: context needed to understand life of prophet Muhammad PBUH
....... During historical 7th March speech (1971) Sheikh Mujibor Rahman said, I am a Muslim and I am not afraid of death. If you read it out of context, you may think he was from Taleban. That is why it is VERY important to UNDERSTAND a context. ...........
 
Shalom!


 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] শাহদীন মালিক



"আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবৈধ কাজের রাশ টেনে ধরার মতো যে নৈতিক ভিত্তি ও জনসমর্থন দরকার, এ সরকারের তা আছে বলে মনে হয় না"

shahdeen_malik

. শাহদীন মালিক, সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর পরিচালক। মতামত দিয়েছেন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বর্তমান সরকারসহ সরকারগুলোর ভূমিকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও এর সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

আমাদের বুধবার: বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে আপনি কিভাবে দেখেন?

শাহদীন মালিক: মোটাদাগে ধরা হয়, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রথম পর্যায় ছিল ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। ২০০৭ সালে এটি কিছুটা কমে এসেছিল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাদের প্রথম দুই বছরে এ ঘটনা বেশি ঘটলেও শেষ দুই বছরে তা কমে আসে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচনের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন প্রতিদিন গড়ে একটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এটা নিঃসন্দেহে সাংঘাতিক উৎকণ্ঠার ব্যাপার।

আমাদের বুধবার: এটি কি রাজনৈতিক কারণে বাড়ে?

শাহদীন মালিক: অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গঠন করা হলে তার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে। তবে অনেক সময় যেসব কাজ তারা ভালো মনে করে, সেগুলো নিজ উদ্যোগে করে। একটি বাহিনী অব্যাহতভাবে মানুষ হত্যার পরও যখন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না, তখন তার সদস্যদের মধ্যে এ ধরনের কাজ আরো বেশি করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সমাজে এর উদাহরণ আছে। মনে হয়, সেই ফেইজটাও আমাদের এখানে এখন চলে এসেছে। এ ফেইজে মূলত বাহিনীর বিভিন্ন ছোট গ্রুপ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায়। বাংলাদেশেও তা-ই হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশে যেটি হয়েছে তা হলো, তখন এ বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য খুন ছাড়াও অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে যায়। ডাকাতি, রাহাজানি, চোরাচালান প্রভৃতিতে জড়িয়ে যেতে পারে।

আমাদের বুধবার: র‌্যাব গঠনের পর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বেশি। এখন দেখা যাচ্ছে, পুলিশও এ কাজটি করছে আরো বড় মাত্রায়। অর্থাৎ এ প্রবণতা পুলিশের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। এর কারণ কি?

শাহদীন মালিক: এ ধরনের সংক্রমণ খুবই স্বাভাবিক। পরবর্তী সময়ে এটি অন্যান্য বাহিনী যেমন বিজিবি, আনসার প্রভৃতির মধ্যে সংক্রমিত হতে বাধ্য। আবার বলছি, বিশ্বের প্রায় সবখানে এমনটিই হয়েছে। এর কারণটা হলো, র‌্যাব বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করায় পুলিশ হয়তো মনে করছে আমরা পারব না কেন? এখন পুলিশের দেখাদেখি অন্যরাও একইভাবে ভাববে। এখন এটি বিচার বিভাগের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে। এই অর্থে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হচ্ছে না। বিচার বিভাগ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা নিতে পারছে না। এটা সত্যই যে, বিচার বিভাগে নিজে বিশেষ কিছু করতে পারে না। তবে এতে জনমনে প্রচ্ছন্নভাবে এ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে যে, বিচার বিভাগে গেলেও এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। এতে রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলো দোষী হয়ে পড়ছে।

আমাদের বুধবার: হাইকোর্ট তো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক বিষয়ে রুল জারি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হচ্ছে না কেন?

শাহদীন মালিক: হাইকোর্ট তার আদেশ পালনের জন্য মূলত সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণভাবে আমরা সবাই জানি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের এক ধরনের অনুমোদন আছে। এখন তাদের ব্যাপারে আদেশ দিয়ে তা যদি প্রতিপালন করা না হয়, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের মনোভাব আরো খেলো হয়ে যাবে। বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, এ রকম পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগ ইচ্ছা করেই আদেশ বা নির্দেশ দেয় না। আদেশ না দেয়ার কারণে সমালোচনা হতে পারে। তবে আদেশ দেয়ার পর যদি তা পরিপালন করা না হয়, তাহলে তা অন্য বিভাগেও সংক্রমিত হতে পারে। আমি বলছি না, আমাদের বিচার বিভাগ এমনটি করছে। বলছি, বিভিন্ন দেশে এমনটি হয়েছে। ওই আশঙ্কা থেকেই বিচার বিভাগ হয়তো এ ধরনের আদেশ দেয়া থেকে বিরত আছে।

আমাদের বুধবার: আওয়ামী লীগ আগের দফায় নির্বাচনী ইশতেহারে ক্রসফায়ারে নিহত হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি এবং হচ্ছে না

শাহদীন মালিক: ২০০৫ কিংবা ২০০৬ সালের দিকে লিখেছিলাম, যারা এ ধরনের বাহিনী গঠন করে, তারাই পরবর্তীতে এদের শিকার বেশি হয়। নিয়তির নির্মম পরিহাস, এখন র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করছে। বর্তমান সরকারও তো আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। একইভাবে শঙ্কার বিষয় হলো, বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অপব্যবহার করছে কিংবা তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের যেভাবে বৈধতা দিচ্ছে, ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর তারা যদি এদের অত্যাচারের শিকার হন, তাহলে তাদের প্রতিকার পাওয়ার মতো জায়গা থাকবে না। এতে আমরাও আশ্চর্য হব না। তবে এর প্রতিবাদ আমরা করেই যাব। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো ক্ষমতাসীনদের মধ্যে ইতিবাচক উপলব্ধি জাগ্রত করা। এ থেকেই হয়তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবৈধ কার্যক্রমের রাশ টেনে ধরা হবে। কিন্তু আমার ধারণা, ইতিবাচক উপলব্ধি ক্ষমতাসীনদের মধ্যে হয়তো হবে না। সে পর্যায়টা এরই মধ্যে অতিক্রম হয়েছে।

আমাদের বুধবার: সমাজের উপরে প্রভাবটাই বা কি হবে?

শাহদীন মালিক: সমাজে সহিংসতা বৃদ্ধির মূলে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ঘটনা হলেও শিক্ষার্থীরা বন্দুক উঁচিয়ে এক অপরকে অন্যকে তাড়া করছে। মিছিল-মিটিংয়ে ককটেল ও বোমাবাজি বেড়েছে। সমাজেও সহিংসতা বেড়ে উঠছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় মানুষ মনে করছে, বেআইনি কাজ করলেও তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। তাই বেআইনি কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখার প্রবণতাও ধীরে ধীরে কমে আসছে। সব ধরনের আইন বহির্ভূত আচরণের ক্ষেত্রেই এর প্রতিফলন ঘটবে। এভাবেই একটি সমাজ নষ্ট হয়ে যায়।

আমাদের বুধবার: আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এর মাধ্যমে?

শাহদীন মালিক: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তারা এটি উপলব্ধি করতে পারেন না। এজন্যই তারা হয়তো মনে করে, নিয়মের বাইরে কাজ করলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না। মনে রাখা দরকার, কোনো প্রতিষ্ঠান যখন নিয়মের বাইরে চলে যায়, তখন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। কারণ সরকারের তখন নৈতিক শক্তি থাকে না।

নব্বই-পরবর্তী সময়ে যে কয়টি সরকার দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের মধ্যে বর্তমান সরকারের নৈতিক ভিত্তি সবচেয়ে দুর্বল। নির্বাচনের কারণেই এমনটি হয়েছে।

আমাদের বুধবার: র‌্যাবকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো নৈতিক শক্তি কি ক্ষমতাসীনদের থাকে?

শাহদীন মালিক: নব্বই-পরবর্তী সময়ে যে কয়টি সরকার দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের মধ্যে বর্তমান সরকারের নৈতিক ভিত্তি সবচেয়ে দুর্বল। নির্বাচনের কারণেই এমনটি হয়েছে। কিছু বিষয় তো রয়েছেই, যেগুলোর ক্ষেত্রে সরকারের নৈতিক অবস্থান ও জনআস্থা এ দুইয়ের ওপর নির্ভর করে কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে তারা। ওই বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবৈধ কাজের রাশ টেনে ধরার মতো যে নৈতিক ভিত্তি ও জনসমর্থন দরকার, এ সরকারের তা আছে বলে মনে হয় না।

আমাদের বুধবার: উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে ক্রসফায়ারের পক্ষে বলছে। অপরাধ দমনে ক্রসফায়ারই নাকি সমাধান….

শাহদীন মালিক: এভাবে সমাধান করতে চাইলে কত বেশি অসভ্য হতে হয়, তা আমার জানা নেই। কী ধরনের বর্বর মানসিকতা হলে এমন চিন্তা কারো মাথায় আসতে পারে। সমাজের কিছু অংশ স্পষ্টতই এ ধরনের বর্বরতায় নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এটা বড়ই উদ্বেগজনক ব্যাপার। মানুষ মেরে ফেললে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, এ ধরনের মানসিকতা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে দেখা গিয়েছিল। এখন স্বাধীন বাংলাদেশে যারা এমনটি ভাবছেন, তাদের সঙ্গে আমি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মানসিক সমতা দেখতে পাই। বিশ্বের অনেক দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনে করেছিলেন, এ ধারায় অগ্রসর হলে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বরং তারা সমাজকে এতটা পেছনে নিয়ে গেছেন যে, নষ্ট হওয়া সমাজগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে অনেক বছর লেগেছে। কোনো সমাজ যদি এ ধারায় অগ্রসর হয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারত, তাহলে আইনের শাসনের দরকার ছিল না। সব সমাজই এ পথে হাঁটত। অনেক সমাজেই এ ধরনের চেষ্টা হয়েছে। তবে একপর্যায়ে গিয়ে সবাই উপলব্ধি করেছে যে, তারা মারাত্মক ভুল করেছে। এ ভুলের খেসারত ওসব সমাজকে তিন-চার দশক বা তারও বেশি সময় ধরে দিতে হয়েছে এবং তাদের সমাজ পিছিয়ে গেছে। এত উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে এটা অর্থাৎ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন করা হচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

আমাদের বুধবার: আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো কিছুই তো আমলে নেয়া হচ্ছে না। কেন?

শাহদীন মালিক: র‌্যাব যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয়, এর প্রতি প্রচুর জনসমর্থন ছিল। অথচ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাহিনীটির সমালোচনা বাড়ছে। মানুষ এখন ভুল বুঝতে পেরেছে। যারা সমাজ পরিচালনা করেন বা নেতৃত্বে আছেন, এটা তাদেরই প্রথমে বোঝা উচিত ছিল। সাধারণ মানুষের হলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোধোদয় কেন হচ্ছে না, সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।

আমাদের বুধবার: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কতটা বাধা সৃষ্টি করছে?

শাহদীন মালিক: সমাজে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, তা থেকে উত্তরণের উপায় কী, বলা মুশকিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বলা হয়েছিল, এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত সমাজে আইনের শাসন ফিরে আসবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছিল এমন কথা। যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। আমি বলছি না যে, র‌্যাবের হত্যাকাণ্ড এসবের সমার্থক। কিন্তু র‌্যাবের একটি অংশ নির্বিচারে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুন করছে। এর মাধ্যমে তারা দেশের আইনের শাসনের ভিত্তিটাকে প্রায় নষ্ট করে দিয়েছে।

আমাদের বুধবার: তাহলে এ পর্যায়ে সমাধানটা কীভাবে সম্ভব?

শাহদীন মালিক: র‌্যাবকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে হবে। সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। গোয়েন্দা শাখা রেখে র‌্যাবকে বিলুপ্ত করে দেয়া যেতে পারে। তাহলে পুলিশও এক ধরনের ধাক্কা খাবে। তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর প্রবণতা কমে আসবে। র‌্যাবের মূল কাজ হবে তথ্য সংগ্রহ করা। গত দশ বছরে তারা যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সবগুলোর বিচার করা হয়তো এখন সম্ভব নয়। তবে কিছু বিচার করা অন্তত অত্যাবশ্যক। এ বাহিনীর মধ্যে যারা বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। সমাজকে সহিংসতামুক্ত রাখতে যত দ্রুত সম্ভব এ উদ্যোগ নেয়া উচিত। আমাদের সমাজে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে। যেখানে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে, সেখানে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়।

আমাদের বুধবার: সবশেষ একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিষয়টি হচ্ছে, ইসলামী জঙ্গী সংগঠন জেএমবি'র যে তিন শীর্ষ সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল তাদের একজন অর্থাৎ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ার যাই বলুন - তাতে হত্যা করা হয়। এমনটা কেন হলো? কারণ অনেক তথ্য তো বেরিয়ে আসতে পারতো

শাহদীন মালিক: ইদানীংকালে তথাকথিত ক্রসফায়ারে তো অনেক লোক মারা হয়েছে। বিশেষ উদ্বেগের ব্যাপার হলো - বড় ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হচ্ছে। এবং এতে যেটা হচ্ছে, আমাদের ধারণা বড় ধরনের অপরাধে অনেকেই জড়িত থাকতে পারে, যেমন জঙ্গী অপরাধ বা বড় অপরাধে যেখানে অনেকে জড়িত থাকার কথা, সে ধরনের অপরাধের আসামী এবং সাজাপ্রাপ্তকে এভাবে মেরে ফেলার মধ্যদিয়ে এসব অপরাধের পেছনে কারা জড়িত আছে তা বের করার রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, পুলিশ বা র‌্যাব এবং যারা এসব মারছে তারা আইনের শাসনের তোয়াক্কা করে না। আর তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে - ক্রমান্বয়ে আমাদের দেশে ঠান্ডা মাথায় খুন করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটা বাহিনী না হলেও কিছু লোকজনকে কিন্তু সরকার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। এগুলো আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এতো বড় হুমকি যে এখান থেকে যদি অবিলম্বে সরকার নিজেদের সরিয়ে না আনে তাহলে সমাজে শাসন, বিচার, শৃঙ্খলা সবকিছুই ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য।।

http://amaderbudhbar.com/?p=3147



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home