Banner Advertiser

Wednesday, April 16, 2014

[mukto-mona] 4 ladies searched for you on 17.04.20148:32:19



Hello
Ladies voted your profile,have a look please, it is a chance to meet your sweet lady [lppmzhej]
you have missed calls for chat :
Elena 15893514 missed call 17.04.20148:32:19
You have missed calls for video chat [wpmjqpaa]
Iren 15883172 missed call 17.04.20148:32:19
you have new replies: [wefxm]
Anastasia 15883205 new reply 17.04.20148:32:19
Your login and password: [slibjf]
login: [qhrpg]
password:

have a nice time,
administrator Anastasia[etfdtrdh]

[xfled]
[uvrnrwlg]
[hujshjy]

__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Fw: [notun_bangladesh] RAW agents raced ISI to nab IM's Pak operative Waqas in Dhaka



This is happened because of the master/slave relationship we have with India. The way this news was published in Indian Times was really degrading and shameful for Bangladeshi's. It was presented in such a matter of fact manner as if it did not happen in a sovereign nation but in one of the Indian airport. We have seen increased cooperation between agencies of different countries post 9/11. But those cooperation is mostly based on exchange of informations, trainings etc. Strictly based on mutual respect and trust. I think Nepal or even Bhutan commands more respect from India than current Bangladeshi government. How come we are not seeing any uproar in Bangladeshi media? its surprising that none of the civil socities or freedom fighters association demanded an explanation from the government. Its shame!!!!

On Tuesday, April 15, 2014, Tanvir Nowaz <tanvirnowaz@yahoo.com> wrote:

Unless AwamiLeague gives them the authority to roam around in Bangladesh, Indian  RAW/Army cannot act like Bangladesh is Indian's own country.
What about Bangladeshi Police/RAB? Why couldn't they be asked to apprehend any suspect? I guess they are now only good for extra-judicial killing of political opponents. 

Photo: কে কিভাবে কেমনে একজনকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে ভারতে চালান করলো, সেটা কি আমরা কোনওদিন জানতে পারবো ? এভাবে যদি কোনও মেধাবী বাংলাদেশী বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, গবেষক বা দেশের কোনও সংবেদনশীল তথ্য জানা কাউকে ভারত ধরে নিয়ে যায়, তখন রক্ষা করবে কে ? 


The BAKSAL had started selling out Bangladesh since 1971 with singing of unfair one-way 25 years trade agreement. Ever since, this BAKSAL has been selling out Bangladesh, in every steps, from Chittagong Hill Tracts to free water, roads & train transits, now power transit, Rampal SundorBan, $5 billion trade deficit, no-bid  inferior but high priced Govt purchases of buses, trains, machinaries, grains, commodities, services etc., work in BD without work permit you name it. The no-bid $$million dollar Demu train has now become a white elephant.   

Will India let Bangladesh's DGFI/police/RAB to conduct operation openly in India??? Will India let Bangladesh to have free water, road, train transit to Bhutan or to Nepal or even Chittagong to Shylet via Tripura?  Forget extra favor, this imperialist does not even give our  internationally recognized water share. Padma, Tista today are names of  new deserts.  
On Tuesday, April 15, 2014 10:09 PM, Rezaul Karim <rezaulkarim617@gmail.com> wrote:
This is wrong, another slap to our questionable sovereignty. We can demand an explanation from the appropriate authority, but I don't know who that would be. May be some of our Awami friends.would know better as to what exactly  is happening in Bangladesh. Let them make some noise as they, too bear some burden to come out clean to their own conscience of " mukhti judder cetona.".


On Tue, Apr 15, 2014 at 5:17 PM, Anis Ahmed <anis.ahmed@netzero.com> wrote:---------- Forwarded Message ----------
Return-Path: <farukhchowdhury@gmail.com>
for anis.ahmed@netzero.net
Tue, 15 Apr 2014 08:12:03 -0700 (PDT)

আমারপ্রশ্ন -
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ' এর এজেন্ট কিভাবে আসলো ???
' এর এজেন্টের কাজ কি শাহজালাল বিমান বন্দরে ???
আবার ঢাকার বিমান বন্দরে কেউ আটক হলে কোন নিয়মে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা যায় ???

--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] উল্লাস ও রাহী বৃত্তান্ত: এখনও গেল না আঁধার [bdnews24.com]




=========

রায়হান আবীর

উল্লাস ও রাহী বৃত্তান্ত: এখনও গেল না আঁধার

এপ্রিল ১৬, ২০১৪
Raihan Abirদুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসেছি। প্রতিদিনের মতো ৩ এপ্রিল, ২০১৪ সকালবেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বের হয়েছি। রাস্তায় দেখা হল এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। কলেজ-পর্বের সমাপ্তি টানার মাধ্যমে জীবনের অন্যতম একটি মাইলফলক অতিক্রমের জন্য আজ তারা প্রস্তুত। বাস-সিএনজি-রিকশায় তারা চলছে নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্রে। কোনো সন্দেহ নেই, এই চমৎকার, হাস্যোজ্জ্বল ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যত।
ভিড়ের মুখগুলোর মাঝে আমি আমার ছোট ভাইকে খুঁজে পাই, খুঁজে পাই আপনার ছোট ভাই-বোন, আত্মীয়, বন্ধু কিংবা প্রতিবেশি ছেলেটি বা মেয়েটিকে। আরও থাকার কথা ছিল চট্টগ্রামের মাহমুদর রহমান রায়হান (রায়হান রাহী) এবং উল্লাস দাশের। কিন্তু কই, তাদের মুখ তো কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
পাবার কথাও নয়, সতের-আঠার বছর বয়সী নিষ্পাপ এই দুই কিশোর আজ মৌলবাদীদের চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দি জেল-হাজতে। এ শক্তিকে আমরা একাত্তরে পরাজিত করলেও বাংলাদেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে পারিনি বহুবিধ কারণে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী দুই জেনারেলের কার্যকলাপসহ অনেক কিছুই আছে। একসময় রাজনীতির আলো-বাতাসে ঘাপটি মেরে থাকা পরাজিত সে শক্তি আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। যদিও সেটা আমরা অনেক সময়ই স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ করি।
ঘটনার সূত্রপাত ৩০ মার্চ, ২০১৪। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য রাহী ও উল্লাস যখন কলেজে যাচ্ছিল বেলা এগারোটার দিকে, তখন স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংঘ ইসলামী ছাত্র শিবিরের পঞ্চাশ থেকে ষাটজন ক্যাডার তাদের উপর হামলা চালায়। অবশ্যই ধর্মানুভূতির জুজু পুঁজি করে।
হামলাকারীরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, প্রস্তুত ছিল তাদের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা-সম্বলিত উস্কানিমূলক পাঁচ পাতার ছাপানো লিফলেট। প্রথমে রাহী ও উল্লাসকে স্থানীয় মসজিদে নিয়ে মারধর করা হয় এবং পরে রাস্তায় নামিয়ে লিফলেট দেখিয়ে ও অন্য অনেকভাবে আশেপাশের মানুষদের উত্তেজিত করে নির্মম গণধোলাইয়ের আয়োজন করা হয়।
ব্লগ ও পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি, জনতার ধর্মীয় জোশ উজ্জীবিত করতে কৈশোর-অতিক্রান্ত ছেলে দুটোকে 'নারায়ে তাকবির' শ্লোগানের সঙ্গে সঙ্গে পিটিয়ে মুমূর্ষু করা হয়। শাহবাগ আন্দোলনের পর থেকে আমরা দেখেছি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা মানুষের জোয়ার প্রতিহত করতে স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তাদের সরকারও যেন একাট্টা।
রাহী-উল্লাসের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। উত্তেজিত জনতা যখন শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে মিলেমিশে এই ছেলেগুলোকে হত্যা-চেষ্টায় মগ্ন, সে সময় আগমন ঘটে স্থানীয় চকবাজার থানার পুলিশের। জনতার হাত থেকে ছাড়িয়ে এবার তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যারা রাহী ও উল্লাসকে হত্যা-চেষ্টায় লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার পরিবর্তে, তাদেরই চাপে পড়ে পুলিশ উল্টো ছেলে দুটোর নামে মামলা করে।
বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী কালাকানুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩)-এর ৫৭ ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আটক রাখা হয়।[১]
২০০৬ সালে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার সর্বপ্রথম 'তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬' প্রণয়ন করে। এই আইনের হাস্যকর, অযৌক্তিক ৫৭ ধারাটি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাদের গতবারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সংশোধন করে সেটাকে আরও ভয়াবহ রূপ প্রদান করে। ৫৭ ধারার আপাতত অসংজ্ঞায়িত 'অপরাধ'কে আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য, সর্বনিম্ন শাস্তির সীমা ৭ বছর করে তারা সংশোধিত আইনটি পাশ করে।
আইনটি নিয়ে কথা বলার আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সেটি কীভাবে পাশ হয়েছিল, পাঠকদের সে কথাও সবিনয়ে জানিয়ে রাখতে চাই। জনগুরুত্বপূর্ণ এই আইনটি সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করা হবে, এমনটা জনগণের চাওয়া হলেও সংসদকে সম্পূর্ণ পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি সংশোধন করা হয়।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল সংসদের অধিবেশন না থাকার কথা। যদিও সেটা সর্বৈব মিথ্যা; কারণ ২০ আগস্ট, ২০১৩ সালে অধ্যাদেশ জারির দুদিন আগে ১৮ আগস্ট, ২০১৩ রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের উনিশতম অধিবেশন জারি করেন। মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই সংসদ অধিবেশন থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের সংবিধান এবং 'তথ্য অধিকার আইন ২০০৯'-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইনটি কেন তড়িঘড়ি সংশোধন করা হল, তা আজও আমাদের বোধগম্য হয়নি।
এ ধরনের আইনে নিরপরাধ ব্যক্তির হয়রানির আশংকা থাকে এবং সে আশংকা সত্যি করতে আমরা দেখেছি ব্লগার রাসেল পারভেজ, সুব্রত শুভ, মসিউর রহমান বিপ্লব, আসিফ মহিউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত হেফাজতে ইসলাম নামের এক ধর্মান্ধ শক্তিকে সন্তুষ্ট করতে এবং সরকার নিজের নাস্তিক তকমা অপসারণের চেষ্টা হিসেবে ধর্মানুভূতির অভিযোগ এনে তাদের গ্রেফতার করেন।
শুধু তা-ই নয়, ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে ইন্টারনেট মডেম, ল্যাপটপ সামনে রেখে তিন ব্লগারের ছবি তুলে দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে তাদের ব্যক্তি, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনের সকল নিরাপত্তা এক নিমেষে শেষ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই ৫৭ ধারার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন নিরাপরাধ মানুষ।
পাকিস্তানে আমরা জানি, জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা হলেও অনেক সময় ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা ঠুকে ব্যক্তিবিশেষকে রাষ্ট্রীয় এবং মৌলবাদী ঝুঁকির ফুলে ফেলে দেওয়া ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। ঠিক তেমনি এক আইন এখন আমরা তৈরি করেছি। সেই কালা-কানুনেরই নতুন শিকার রাহী ও উল্লাস।
তাদের অপরাধ কী? ধর্মানুভূতিতে আঘাত? কার ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে তারা? ধর্মানুভূতি প্রসঙ্গ উঠলেই মনে পড়ে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের কথা, যিনি নিজেও চিন্তার স্বাধীনতার আন্দোলনের কারণে জীবন দিয়েছিলেন মৌলবাদীদের হাতে। 'ধর্মানুভূতির উপকথা' প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন–
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায় আজকাল, কথাটি হচ্ছে 'ধর্মানুভূতি'। কথাটি সাধারণত একলা উচ্চারিত হয় না, সাথে জড়িয়ে থাকে 'আহত' ও 'আঘাত' কথা দুটি; শোনা যায় 'ধর্মানুভূতি আহত' হওয়ার বা 'ধর্মানুভূতিতে আঘাত' লাগার কথা। আজকাল নিরন্তর আহত আর আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে মানুষের একটি অসাধারণ অনুভূতি, যার নাম ধর্মানুভূতি।
মানুষের শুধু একটি এলাকাই আছে, যেখানে যুক্তি চলে না; সেটি খুবই ভিন্ন রকম এলাকা, সেখানকার সব সত্য লাভ করা যায় অযুক্তি আর অন্ধবিশ্বাস দিয়ে। মানুষের এই অন্ধবিশ্বাসই অভিহিত হয়ে থাকে ধর্মানুভূতি নামে।
পাঠক লক্ষ্য করুন, আইসিটি আইন ২০০৬-এর ৫৭ (১) ধারায় কী বলা রয়েছে।
''কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷''
এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সচলায়তন ব্লগে সাঈদ আহমেদ 'আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা: 'আইন কানুন সর্বনেশে!' শিরোনামের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছিলেন– [২]
হাকিম হইয়া হুকুম করে, পুলিশ হইয়া ধরে।
কাউকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে সাধারণত আদালতের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু খুন, খুনের প্রচেষ্টা, ধর্ষণ বা ধর্ষণ-প্রচেষ্টার মতো গর্হিত অপরাধ 'আমলযোগ্য' বিবেচনায় আদালতের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেফতার ও তদন্ত করতে পারে। আইসিটি আইনে অনলাইনে মতপ্রকাশ 'আমলযোগ্য' করা হয়েছে।
ফলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিছক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে অনলাইনে মতপ্রকাশের কারণে যে কাউকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করে এবং নির্দোষ প্রমাণের আগ পর্যন্ত জামিনবিহীনভাবে আটক রেখে কার্যত একাধারে 'জাজ, জুরি ও এক্সিকিউশনারের' ভূমিকা পালন করতে পারেন। এখানে কোনো কবিতা, গল্প বা প্রবন্ধের অর্থ বিচার করে তা 'আমলযোগ্য' অপরাধ কি না, তার এখতিয়ারও বিজ্ঞ আদালতের বদলে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের হাতেই বিচারের ভার দেওয়ার ভয়াবহতা নিয়ে তিনি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সেই উদ্বেগের যথার্থতাই প্রমাণ করল চট্টগ্রামের চকবাজার থানার পুলিশ। জানতে পেরেছি, রাহী ও উল্লাসের উপর শিবিরের সন্ত্রাসীদের হামলা শুরু হবার তিন ঘণ্টা দশ মিনিট পর উপস্থিত হয়ে এবং রাহীর মোবাইল ফোন নিয়ে তার মেসেজ পড়ে পুলিশ জনতার সামনেই তাদের আবার দোষী সাব্যস্ত করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে–
…দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাইয়া দেখিতে পাই যে, দুই জন লোককে ৫০/৬০ জন উত্তেজিত জনতা মারধর করিতেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ধৃত আসামীদ্বয়কে উত্তেজিত জনতার কবল হইতে উদ্ধার করিয়া উপস্থিত জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিতে পারি যে, উক্ত আসামিদ্বয় ফেইসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন অবমাননাকর ও মানহানিকর ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করিয়াছে। এই সময় ঘটনার বিষয়ে ধৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা উপস্থিত লোকজনের সামনে নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে ফেসবুকে প্রকাশিত কটূক্তির বিষয় স্বীকার করে।
পাঠক লক্ষ্য করুন, এজাহারে কেমন করে নিষ্পাপ ছেলে দুটোকে 'আসামি' এবং যারা হত্যাচেষ্টায় লিপ্ত তাদের 'উপস্থিত জনসাধারণ' তকমা প্রদান করে 'সাধু' সাব্যস্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা নাকি ফারাবী শফিউর রহমান নামে একজনের ফেসবুক দেওয়ালে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করা বক্তব্য দিয়েছেন। ঠিক একই ধরনের অভিযোগ উল্লাসের বিরুদ্ধেও।
প্রতিদিন একজন করে মানুষকে 'নাস্তিক' প্রমাণ শেষে তাকে হত্যা করার আহবান জানিয়ে ফারাবী আজ ইন্টারনেটের পরিচিত মুখ। 'অপরাজেয় সংঘ' নামক জামায়াত-মনস্ক এক সন্ত্রাসী সংগঠনের আড়ালে থেকে ফারাবী গংই রাহী ও উল্লাসের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে।
নিজেকে কখনও নিষিদ্ধ ঘোষিত 'হিজবুত তাহরির', কখনও 'শিবিরের' অনুসারী বলে প্রচার করা ফারাবীর ব্লগে আগমন ঘটেছিল মূলত সহব্লগার মেয়েদের বিরক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে। তার প্রথম পোস্টও ছিল অজানা অচেনা মেয়েদের 'বিয়ে করার অনুরোধ জানিয়ে'। মূলত বিভিন্ন ভুয়া আইডি খুলে ফেসবুক এবং ব্লগে মেয়েদের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়াই ছিল তার কাজ।
ফেসবুকে আপনারা যারা নিয়মিত, তারা খেয়াল করে দেখবেন, বাংলা ভাষায় ফেসবুকে যে সকল নারীবিদ্বেষী, অশ্লীল, যৌন সুড়সুড়ির পাতা রয়েছে তাদের মধ্যে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। এরা ইন্টারনেট থেকে নারীদের বিভিন্ন ছবি সংগ্রহ করে সেটা তাদের অনুসারীদের সামনে উপস্থাপন করে এবং একই সঙ্গে আরও একটা বিষয়ে তারা সমান কম্পাঙ্কে পোস্ট করে।
কী সেই বিষয়টা? ধর্ম। যেহেতু বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলাম, তাই এই অশ্লীল পাতাগুলোর কাছেও ধর্ম বলতে কেবল ইসলাম। ফারাবী যেন এই মানুষগুলোরই প্রতিনিধি। যার একমাত্র কাজ ছিল নারীদের উত্যক্ত করা এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে পোস্ট দেওয়া।
মৌলবাদীদের চাপাতির আঘাতে নিজ বাসার সামনে খুন হওয়া আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজার ইমামকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হয় ফারাবী। জামিনে বের হয়ে আসার পর থেকে নিজেকে শোধরানো তো দূরের কথা, উল্টো ব্যাপক উদ্যমে সে ইসলাম ধর্মকে নিজের মতো ব্যাখ্যা করে সন্ত্রাস কায়েমের আহবান জানানো শুরু করে।
সিলেট থেকে প্রকাশিত 'যুক্তি' পত্রিকার সম্পাদক অনন্ত বিজয় দাশ মুক্তমনায় তার 'ফারাবীর ফাতরামি' লেখায় এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন– [৩]
এরপর ফারাবী আবির্ভূত হয় ইসলামের খেদমতগার হিসেবে। হেফাজতকারী হিসেবে। আমাদের এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে, এরশাদ যদি আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির রক্ষক হয় তবে এই রাজনীতিকে ধর্ষণ করার জন্য বাহির থেকে কোনো শত্রু আসার প্রয়োজন নেই, তেমন ফারাবীর মতো লুইচ্চা যদি হয়ে যায় ইসলামের খেদমতগার, তবে ইসলামের মুখে চুনকালি মাখাতে কোনো ইসলামবিরোধী, ইসলামবিদ্বেষীর প্রয়োজন নাই।
ইমামকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ফারাবীকে আটক করা হলেও সে অস্থায়ী জামিনে জেলহাজত থেকে বের হয়ে আরও বেশি উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ফেসবুকের অসংখ্য ভুয়া আইডি নিয়ে। আল্লাহ ও রাসূলকে– তার ভাষায়– যারা অপমান করে, তাদের হত্যা করা জায়েজ। এই ফতোয়া দিয়ে সে একের পর এক শুভবুদ্ধির লেখক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের হত্যার হুমকি প্রদান শুরু করে।
ফারাবীর ভাষ্যমতে–
ইসলাম অর্থ শান্তি নয়, ইসলাম অর্থ হল আত্মসমর্পণ। ইসলামের ভিতরে জিহাদ, ক্বিতাল সবই আছে। আল্লাহ-রাসূলকে যারা ঠাণ্ডা মাথায় গালিগালাজ করবে আমরা তাদেরকে হত্যা করব এতে লুকোচুরির কিছু নাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও 'নাস্তিক' আখ্যায়িত করে তাঁকে গুলি করে হত্যা করার জন্য ফারাবী সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে একাধিক উস্কানিমূলক পোস্ট করেছে।
খুব সম্প্রতি ফারাবীর উস্কানিমূলক আক্রমণের শিকার হন মুক্তমনা'র সম্পাদক এবং খ্যাতনামা বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়। ফারাবী অভিজিৎ রায়কে হত্যার হুমকি দিয়েছে প্রকাশ্যেই। বিডিনিউজে প্রকাশিত 'জঙ্গিবাদ প্রচারকারীর উস্কানিতে চট্টগ্রামে দুই কিশোর গ্রেপ্তার' শিরোনামের রিপোর্টে রীতিমতো স্ক্রিনশট উল্লেখ করে ফারাবীর বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে-–
অভিজিৎ রায় আমেরিকা থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।
[৩৯তম মন্তব্য]
যে কোনো দেশের প্রেক্ষাপটেই এ ধরনের হুমকি রাষ্ট্রীয় অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। অথচ দেশের আইনরক্ষকেরা এ ব্যাপারে নির্বিকার। অভিজিৎ রায়কে হত্যার হুমকির পর ফারাবী তার বই বিক্রির দায়ে বাংলাদেশের অনলাইন বই কেনার সাইট 'রকমারি ডটকম'-এর অফিসের ঠিকানা প্রদান করে পোস্ট দেয়। বাংলাদেশে নাস্তিকতা ছড়ানোর অপরাধে সে তার অনুসারীদের রকমারির অফিস আক্রমণের আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে স্বত্বাধিকারীর প্রোফাইল উল্লেখ করে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর বাংলাদেশের শুভবুদ্ধির সব মানুষকে অবাক করে দিয়ে রকমারির স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান সোহাগ তার স্ট্যাটাসে অভিজিৎ রায়সহ অন্যান্য লেখকদের বিজ্ঞান ও মুক্তচিন্তার বই বিক্রি করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। কিন্তু তারপরও ফারাবী সন্তুষ্ট না হওয়ায় রকমারি ডটকম তার দেওয়া লিস্ট ধরে নিমেষেই সকল বই তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করে বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক ধরে এই ঘটনার সময় থেকেই আমি রকমারি ডটকমের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করি, ফারাবীর ভয়ে ভীত হওয়ার বদলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। আমাদের সবার অনুরোধ উপেক্ষা করে ওরা মৌলবাদী তোষণকেই তাদের নীতি হিসেবে গ্রহণ করে এবং 'নাস্তিক'দের বই (পড়ুন বিজ্ঞান, যুক্তিবাদী এবং প্রগতিশীল বই) বিক্রি চিরতরে বন্ধ করে দেয়।
অবশ্য বন্ধ করার আগে নিজেদের মেরুদণ্ডহীনতা ঢাকতে তারা জানিয়ে দেয়, ফারাবীর হুকমির আগে থেকেই তারা এ ধরনের বই সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল এবং সে উদ্যোগের কারণেই এখন বইগুলো চিরতরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অপকর্মের হোতা ফারাবীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেনি।
রকমারির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চা লাথি খেলেও ঠিকই জিতে যায় ফারাবী এবং নতুন উদ্যমে শুরু করে হত্যা-হুমকি প্রদান।
রকমারির ঘটনা শেষ হতে না হতেই আবারও ফারাবী লাইমলাইটে। বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী বোমা হামলার পরে আল-কায়েদা যেভাবে দায় স্বীকার করে বক্তব্য দেয়, ঠিক তেমনিভাবে রাহী ও উল্লাস গ্রেফতার হবার পর ফারাবী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জানায়–
আমার এই status এ কাজী রায়হান রাহীর কমেন্ট দ্বারাই আজকে পুলিশ কাজী রায়হান রাহীকে গ্রেফতার করেছে। উম্মুল মুমেনিনদেরকে নিয়ে কাজী রায়হান রাহী এত বাজে বাজে কমেন্ট করেছে যে তাকে কোনো ভদ্রঘরের ছেলে বলা যায় না। … এখন সময় এসেছে যেইসব নাস্তিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলবে তাদেরকে থাবা বাবার ন্যায় তিলতিল মৃত্যু যন্ত্রণা দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা। বাংলাদেশে হয় আমরা মুসলমানরা বেঁচে থাকব, নয় নাস্তিকরা বেঁচে থাকবে।
এজাহারেই অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে। তারা দুজন ইসলাম ধর্ম এবং তার নবীকে কটাক্ষ করেছেন। যদিও যে প্রমাণ সামনে হাজির করা হয়েছে সেটার দিকে তাকালে আমরা দেখি কটাক্ষ নয় বরঞ্চ কিছু মৌলিক প্রশ্নই তারা করেছে। যদিও প্রশ্নগুলো করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভুল জায়গায়, ভুল মানুষের কাছে, যারা যুক্তির বদলে মূলত অন্ধবিশ্বাস পুঁজি করে জীবন ধারণ করে।
তাদের প্রশ্ন করলে তারা উত্তরের বদলে সরাসরি প্রশ্নকেই ধামাচাপা দিতে চায়– কখনও সরাসরি হত্যা করে, কখনও-বা হত্যার হুমকি দিয়ে। রাজীবের মতো রাহী আর উল্লাসের অপরাধও তাই। যে সমাজে প্রশ্ন করাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়, ফারাবীর পা চাটা হয়, সে সমাজে তারা প্রশ্ন করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যার সমালোচনা হয় না। ছাত্রদের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে কোনো ঐতিহাসিক ভয় পান না এই ভেবে যে, চেঙ্গিস খানের সমালোচনা করা যাবে না, পাছে 'চেঙ্গিসানুভূতি' আহত হয়! কেউ ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে ভাবেন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের অত্যাচার কিংবা জাপানি বর্বরতার কথা অথবা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর নৃশংসতার কথা বলা যাবে না। কেউ বলেন না, এতে কারও ইতিহাসানুভূতিতে আঘাত লাগছে, মামলা করে দেবে!
সমালোচনার ব্যাপারটা আরেকটু খোলসা করা যাক। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকালে দেখব, আওয়ামী লীগ বিএনপির সমালোচনা করছে, বিএনপি আওয়ামী লীগের। আমেরিকায় রিপাবলিকানরা করছে ডেমোক্রেটদের দর্শনের সমালোচনা কিংবা বিরোধিতা, অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা রিপাবলিকানদের। সমাজতান্ত্রিক আর পুঁজিবাদী ঘরানার লোকেরা যে যার দৃষ্টিকোণ থেকে পরস্পরের সমালোচনা করছে। সমাজ, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ক্রীড়াতত্ত্ব, প্রযুক্তি-– কোনোটাই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।
কিন্তু ধর্মের বেলাতেই ধর্মবাদীরা যেন তালগাছটি বগলে নিয়ে বসে থাকার পণ করেছেন। তারা ধর্মের যে কোনো প্রাসঙ্গিক সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ কিংবা সংশয় চিরতরে নিষিদ্ধ করতে চান। কখনও ধর্মানুভূতির দোহাই দিয়ে, কখনও জনমতের দোহাই দিয়ে, কখনও-বা আবার জনশৃংখলা রক্ষার ধোয়া তুলে।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার অপছন্দনীয় বিষয়ের নির্দয় সমালোচনা ধর্মবাদীরা করেন না তা নয়। খুব ভালোভাবেই করেন। ডারউইনের গলার সঙ্গে বাঁদরের দেহ জুড়ে দিয়ে কার্টুন আঁকেন। মেয়েরা তাদের পছন্দসই কাপড়-চোপড় না পরলে ফতোয়া দেন। বিজ্ঞানের বই লেখার জন্য মুরতাদ ঘোষণা করে লেখক, প্রকাশককে হত্যার হুমকি দেন। অথচ ধর্মের বেলায় তারা হাস্যকরভাবে সমস্ত নিয়মের ব্যতিক্রম চান।
যৌক্তিক প্রশ্ন করার জন্য বাংলাদেশকে অস্বীকারকারী শক্তি যেমন রাজীব, উল্লাস, রাহীকে আক্রমণ করেছে, ঠিক তেমনি 'বাকস্বাধীনতা' সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রও যেন সর্বশক্তি দিয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
আদলতে রাহীর কান্নাভেজা চেহারা দেখে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। আমার ভাইয়ের কান্না দেখে আমি তাকে সান্ত্বনাও দিতে পারি না। নিস্ফল আক্রোশে আমরা শুধু লিখতে পারি। যে লেখার জন্য মুহূর্তের মধ্যে আমরাও পরিণত হতে পারি মৌলবাদীদের কিংবা পুলিশের হামলা-মামলার শিকার।
সত্যিকারের অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা জরুরি । প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. মো. আনোয়ার হোসেনও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সম্প্রতি 'স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় দ্রুত ব্যবস্থা নিন' শিরোনামে বিডিনিউজের মতামত বিশ্লেষণে সময়োপযোগী লেখা লিখেছেন। তিনিও বলেছেন–[৪]
আক্রমণকারী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ও তাদের নেতা ফারাবী শফিউর রহমান। এই ফারাবীর উস্কানিতেই ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্মমভাবে খুন হন ব্লগার রাজীব। এরপর ফারাবী তার ফেইসবুক পেইজে লিখে– 'যেই ইমাম থাবা বাবার (রাজীবের) জানাজা পড়াবে, সেই ইমামকেও হত্যা করা হবে।'
সে বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ফারাবী গ্রেফতার হয়। কিন্তু কী আশ্চর্য! হাইকোট থেকে জামিন নিয়ে দিব্যি কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে সে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে লিখে– 'আমি সেনাবাহিনীকে বলছি, আপনারা আর কতদিন অস্ত্র সাজগোজ করে রাখবেন। আপনাদের কি উচিত না এখন গণভবন আক্রমণ করে ড্রাকুলারূপী শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশবাসীকে বাঁচানো।'
বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স থেকে অবিলম্বে দুই কিশোরের মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি আমরা। একই সঙ্গে নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারার অবলুপ্তি চাওয়া হয়েছে [৫]।
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন একটি রাষ্ট্রে ফারাবীরা বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর উল্লাস-রাহীর মতো মুক্তচিন্তার পথিকেরা আটকে থাকে কায়েদখানায়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি অনলাইন মাধ্যমটি ব্যবহার করে শাহবাগ-পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশ অস্থির করে তুলেছিল, তাদের কিছু প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের শত্রু কারা সেটা তো আমাদের বোঝার আর বাকি নেই। তাদের প্রতিহত না করে কেন নিরপরাধ মানুষদের 'নাস্তিক' হবার কারণে হামলা-মামলার স্বীকার হতে হচ্ছে? রাহী, উল্লাস কিংবা রাসেল পারভেজরা তো কোনোদিন কাউকে হত্যা করার হুমকি দেননি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াননি!
এমন একটি আইন করা কি এতই কঠিন যে আইন এই দুই পক্ষকে আলাদা করতে শিখাবে? মৌলবাদীদের হাত থেকে ব্লগারদের নিরাপত্তা দেবে যে আইন? বাংলাদেশে বসে আজ কেন যেন সে আশা করতেও বুক কাঁপছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি দাবি ও অনুরোধ থাকবে– রাহী আর উল্লাস নয়, যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনুন।
আমরা যারা আজ এই দুই কিশোরকে অপরাধী ভেবে নির্লিপ্ত থাকছি, মনে মনে ফারাবীদের সমর্থন করছি, তারা আশা করি পাদ্রী মার্টিন নেইমলার কথাটাও মাথায় রাখব–
First they came for the communists,
and I didn't speak out because I wasn't a communist.
Then they came for the trade unionists,
and I didn't speak out because I wasn't a trade unionist.
Then they came for the Jews,
and I didn't speak out because I wasn't a Jew.
Then they came for me
and there was no one left to speak out for me.
আবহাওয়া খারাপ বলার জন্য রেডিও জকিদের উপর মামলা-হামলা কতদিন চলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র:
[১] ব্লাসফেমির কাগজ
[২] আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা: 'আইন কানুন সর্বনেশে!'
[৩] ফারাবীর ফাতরামি
[৪] স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় দ্রুত ব্যবস্থা নিন
[৫] নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারার অবলুপ্তিসহ আটক দুই কিশোর ব্লগারের মুক্তি ও নিরাপত্তা চাই

রায়হান আবীর: ব্লগার ও পিএইচ-ডি গবেষক।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] লেখা দিতে চাই [1 Attachment]

[Attachment(s) from Rumana Reaz Arifin included below]

মুক্তমনা,
আপনাদের ওয়েবসাইটটি খুবই চমত্কার। এরকম একটি উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার। 

আমার বাবা'র একটি বই ২০১৩ একুশে বইমেলাতে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ এই সময়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্থান পেয়েছে যেগুলোর তিনি একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আমি এখানে বইটির একটি অধ্যায় সংযুক্ত করেছি যেখানে ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আক্রমন চালানো হয় তার বিবরণ আছে। লেখক (আমার বাবা) ১৯৬৮-১৯৭২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, ওই সময়ের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

বইটি বইমেলাতে প্রকাশিত হলেও আমার বাবার ইচ্ছা, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ এর এই ঘটনাগুলো অনলাইনে গ্রন্থিত করা যায় যেখান থেকে পাঠক (বিশেষ করে এই প্রজন্ম) অনায়াসে ঘটনাগুলো জানতে পারে তাহলেই তার লেখার মূল উদ্দেশ্য সার্থক হয়.

সংযুক্ত অংশটি মূল্যায়ন করে যদি আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইট এ  লেখাটি প্রকাশ করতে চান, তাহলে আমাকে জানালে খুব ভালো হয়. অন্য অধ্যায় (১৯৬৮-১৯৭১ এর সময়কার) গুলো প্রকাশিত করতে চাইলেও আমি সেগুলো আপনাদেরকে পাঠাতে পারি। সংযুক্ত অংশটি আমার কাছে সংরক্ষিত পান্ডুলিপির অংশ।  আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইট এ  লেখাটি প্রকাশ করতে সম্মত হলে আমি প্রকাশকের কাছ মূল বইটির পিডিএফ ভার্সন সংগ্রহ করে আপনাদের দিতে পারি।

রুমানা রিয়াজ আরিফিন 
পি এইচ ডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত 
ইউনিভার্সিটি অফ নটর ডেম 
যুক্তরাষ্ট্র 


__._,_.___

Attachment(s) from Rumana Reaz Arifin | View attachments on the web

1 of 1 File(s)



****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: জামাত-বিএনপি-রাজাকারের নির্লজ্জ মিথ্যাচার!!!



On Wednesday, April 16, 2014 8:07 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

জামাত-বিএনপি-রাজাকারের নির্লজ্জ মিথ্যাচার!!!
১৪ই জুন, ২০১২ (বিএনপি-জামাতের মুখপাত্র 'আমার দেশ' নামক 'টয়লেট পেপার' এর সংবাদ)
"বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী (৪৭) গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা-বাবা, স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।"
অর্থাৎ, 
বিএনপি-জামাতের মুখপাত্র 'আমার দেশ' নামক 'টয়লেট পেপার' এর তথ্য অনুসারে --
এখনও ওই রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাঈদীপুত্র বেঁচে থাকলে তার বয়স ৪৯ বছর হতো। 
তার মানে, 
মুক্তিযুদ্ধের ৫ বছর আগে রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাইদীর ছেলে হয়েছে। 
১৯৭১ এ যদি রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাইদীর বয়স বারো তের হয় (রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাইদীর আইনজীবীদের ভাষ্য অনুযায়ী), তাহলে রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাইদী বাবা হয়ছে ৭ বা ৮ বছর বয়সে।
এই মিথ্যের উপর ভিত্তি করে রাজাকার, খুনী, লুটেরা, ধর্ষক সাইদীকে নিরপরাধ দাবী করার ঘৃণ্য প্রয়াস নেয়া হয়েছিল এবং শহর থেকে শহরে, গ্রাম থেকে গ্রামে এই বিভ্রান্তি এখনো মানুষের মনে মনে আছে।
উপরের এই তথ্য সারা দেশে সবার নিকট প্রচার করে - সবার বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না? প্রবীর ঘোষের জবাব প্রসঙ্গে।



আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না? প্রবীর ঘোষের জবাব প্রসঙ্গে।

অধ্যায় ঃ ঈশ্বর বিশ্বাস ঃ কিছু বেয়াড়া আটপৌরে প্রশ্ন

কারণ ঃ চার

প্রমাণ করতে পারেন, ঈশ্বর নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীর ঘোষ ভাঁড়ের মত জোড়া পায়ে তিনবার লাফিয়ে তিন ইঞ্চি লম্বা হবার গল্প ফেঁদে, প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে অত্যন্ত চালাকীর সাথে এড়িয়ে গেছেন। প্রশ্নটি হল- "আপনি প্রমাণ করতে পারবেন- আমি মাঝে-মধ্যে তিন লাফে তিন ইঞ্চি লম্বা হই না?" এই প্রশ্নটি ছুঁড়ে এটাই প্রমাণ করেছেন যে, "তার মাঝে-মধ্যে তিন লাফে তিন ইঞ্চি লম্বা হওয়াটা যেমন উদ্ভট, অসম্ভব ঠিক তেমনিভাবে 'প্রমাণ করতে পারেন, ঈশ্বর নেই? এই দাবিটাও উদ্ভট ও অসম্ভব।"

তিনি জোড়া পায়ে তিনবার লাফিয়ে এটাই প্রমাণ করলেন যে, দাবীটা যার মূলতঃ তাকেই সেই দাবীর পক্ষে তার যথার্থতা প্রমাণ করতে হয়। আমি তার এই কথার সাথে একমত বটে।
 
'স্রষ্টা আছেন' এই কথাটি দ্বারা আমরা কখনো দাবী করার অর্থে বুঝাই না, আমরা যা বুঝাই তা মূলতঃ পানির তৃষ্ণা, ভয় পাওয়া, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, খাদ্যগ্রহণ ও আঘাত করলে ব্যাথা অনুভূত হওয়া যেমন স্বভাবজাত, ঠিক তেমনিভাবে স্রষ্টার ব্যাপারটিও স্বভাবজাত। পানি পান করা, যৌনতা, খাদ্যগ্রহণ, আঘাত লাগলে ব্যাথ্যা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি আসলে এগুলো দাবী করার বিষয় নয়। কারণ এগুলো জন্মগত/সৃষ্টিগতভাবেই আমাদের মাঝে বিদ্যমান, ঠিক তেমনিভাবে স্রষ্টাও। আসলে 'স্রষ্টা আছেন' এই দাবী আমরা কখনই করিনি বরং আমরা সৃস্টিগত/জন্মগতভাবেই তাঁকে ধারণ করে আছি। প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে?

(১)    মানুষ একটি দূর্বল প্রাণী তাই কোন না কোন অবলম্বন ধরে টিকে থাকাটা মানুষের স্বভাব।
(২)    মানুষ তার চেয়ে বড়, শক্তিশালী কোন কিছুকে বুঝতে পারলে তার দিকে ঝুঁকে পড়া বা তার প্রতি আগ্রহী হওয়া, শ্রদ্ধা-সম্মান বা আনুগত্য করার স্বভাব বিদ্যমান।
(৩)    ঐ শক্তিশালী স্বত্ত্বার কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি যখন সেটা দেন।

এভাবে, হ্যাঁ ঠিক এভাবেই আমরা আল্লাহ্'কে ধারণ করে আছি। সত্যি বলতে কি 'আল্লাহ্ আছেন' কি 'নেই' এই চিন্তা কখনো মাথায় আসেনি। তিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি পরতে-পরতে, প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে, রক্তের কণায়-কণায় আমাদের পুরো অস্তিত্ব জুড়ে আছেন। এ বিষয়টি বুঝতে নিম্নোক্ত আয়াতটি লক্ষ্য করুন,

"তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং তিনি সকল কিছুর জ্ঞান রাখেন।" -সূরাহ্ হাদীদ (৫৭), ৩।

এই আয়াতটি প্রমাণ করে যে, আমরা স্রষ্টাকে কিভাবে ধারণ করে আছি।

স্রষ্টা 'আছেন' কি 'নেই' এই দাবী মূলতঃ নাস্তিকদের, তারা নিজেরাই এইসব প্রশ্ন হাওয়া থেকে বানিয়ে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয় এবং অন্যদেরকেও বিভ্রান্ত করে। তাই নাস্তিকদেরই দায়িত্ত্ব আল্লাহ্ যে 'নেই' তা প্রমাণ করা।

অতএব, প্রবীর ঘোষের এই যুক্তিতে ঈশ্বরে অবিশ্বাস করাটা একটা ফালতু কথা ছাড়া অন্যকিছু নয়। তবে প্রবীর ঘোষের সাথে আমরা মুসলিমরা আরো একটি বিষয়ে একমত যে, আমরা 'জ্যোতিষশাস্ত্রে' বিশ্বাসী নই বরং 'জ্যোতির্বিজ্ঞানে' বিশ্বাসী। কোন মুসলিমের পক্ষে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী হওয়া শোভা পায় না, কারণ এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ্ 'শরিক' (আল্লাহ্'র অধিকারে ভাগ বসানো - সূরাহ্ লুকমান (৩১), ১৩) করার অন্তর্ভূক্ত।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Write-up on the recent debate [2 Attachments]

[Attachment(s) from Shazzad Khan included below]

Dear Editor Sir,
Could you please publish my article in your esteemed daily for people to know the facts.
Kind regards.
Shazzad Khan
Gulshan-2, Dhaka

Answers to a Man Devoid of Logics
Shazzad Khan
 
In a week or so I have observed that our potential future leader (as claimed by BNP) Tarique Rahman has made some remarks which have sparked funny argument, dispute and fury among many people. Most of the time I have read those reflections in the papers with the view to educating myself because I believe by reading anything one can learn what is truth or what is false, what is right or what is wrong. In most cases I have found those writings or comments written from lopsided and weak political perspectives. Unfortunately instead of decent logical responses those have been very poorly founded.
 
Although on my part I do not feel to be a party to this political mud-throwing to each other, because this is not modesty which we require very much for behaving ourselves in civilised manner. But as a very plain logical person, who finds white as white and black as black, and beholder and reader of history I have very simple answers to the claims raised by Tarique very recently.
 
Tarique has claimed that his father was the first president of Bangladesh! When I read it I thought that may be Tarique was in a very good mood in London after having a full western dinner and made such a jocular comment for us over a puff of smoke, so that we might feel that he had been passing a very moody time nowadays. When a man is in a good mood he can make a lofty, loose comment easily for fun. But in a serious case this comment would be treated as madness; Tarique knows that pretty well. How come a mid-ranking unknown military officer major Zia having no political engagement or connection whatsoever becomes a president just by shouting 'I am a president'? Logically, if I shout on the road now that I am the prime minister how would people take me for? A simple mad, isn't it? Forget about me who is a very minor unknown common man. Say, you Tarique, who is a famous man in Bangladesh, have claimed that you are the present prime minister or president of Bangladesh, will not people take you for a mad? It is somehow a formality to go through that makes it.
 
What happened on the 27th March 1971 at 7.30pm at Swadhin Bangla Betar Kendra at Kalurghat was nothing but a caprice of Zia's mind in a turmoil situation all around. To cut the long story short (I know the whole), what discretely happened in Swadhin Bangla Betar Kendra since noon on 26th March to next couple of days were in most cases unplanned happenings. On the 26th March morning people in Chittagong received some kind of cyclostyled message arguably of Bangabandhu, and taking that message Abul Kashem Shandip of Chhatra Union (Motiya) rushed to Kalurghat transmission centre, and without discussing anyone of Awami League or whosoever announced that Bangabandhu had declared independence in Dacca. Later that even Awami League leader MA Hannan went to the Kendra and announced Bangabandhu's declaration taking full authority. At the same time some motivational songs and programmes were being continuously broadcasted in a disorganised and informal line-up by those present there at the Kendra.
 
On the evening of 27th March, i.e. next day, major Zia casually went to the Kendra to observe the security arrangement there. At one point Belal Mohammad lightly asked Zia to announce something to boost the morale of the armed personnel resisting Pak army sporadically in differently parts of the country. He announced around 7.30pm "I, Major Ziaur Rahman, do hereby declare the independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman". However, the next time without consulting anybody Zia declared another message very capriciously claiming himself to be the president of the 'provisional government', although there was nothing like such government at that time. However, when Zia was reminded by Awami League leaders that it sounded baseless to declare himself as president, instantly Zia amended his mistakes and announced that a provisional government under the leadership of great Sheikh Mujib had already been formed and functioning. He also announced that Sheikh Mujib was with them. So what is the logic? On what ground Zia was the first president? Isn't Tarique making his father a laughingstock by claiming that he was the first president of Bangladesh?
 
Now the second answer. Tarique claimed that Bangabandhu came to Bangladesh with Pakistani passport. Again the simple logic. For argument's sake, say after 16th December 1971 Bangladesh printed some new passports for Bangladeshi citizens – which in reality was absurd at that time. Who was there to reach a 'new passport' to Bangabandhu who was interned in Pakistani jail after 26th March 1971? In fact, when a country is liberated or become independent it inherits all its previous rules and regulations and practices at least for certain period of time. Whatever there were in East Pakistan then, were the assets, liability, responsibility and practice of Bangladesh after independence through naturalisation. For example, for quite a long time we used Pak rupees in Bangladesh, because for printing new Taka you needed some time. Similarly, in schools we read books printed in East Pakistan time for quite a few months. So how it made a difference to Bangabandhu when he came back to Bangladesh with his the then passport? It was only a mere formality then – carrying his passport, which was in fact immaterial for Bangabandhu who had already become an international figure; all the boundaries were open for him.
 
During war time did we have any new passport printed? Could we expect that? Our passports were the ones of East Pakistan which was de facto Bangladesh. Apart from mere formality, Bangabandhu was brought by special plane of British Airways from Pakistan to Bangladesh via London and Delhi. So where is the point of dispute? Doesn't it sound ridiculous? For example, major Zia was born in Pakistan time. Does that mean he was still Pakistani after independence? Tarique, possibly you do not know that there is a word called 'naturalisation'. Zia became Bangladeshi by naturalisation. Similarly Pakistani passports, Pakistani rupees, Pakistani laws all became naturalised as soon as East Pakistan became independent. So do all of us and all the things. So what's the harm?
 
Let's our logic and reason rein our thought and action.
 
[Shazzad Khan is a development worker; Email: npfreethinker@yahoo.com]


__._,_.___

Attachment(s) from Shazzad Khan | View attachments on the web

2 of 2 File(s)



****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home