Banner Advertiser

Saturday, May 24, 2014

Re: [mukto-mona] বঙ্গবন্!



It looks like Engr. Shafiq is using this platform for his party political propaganda. A little civilised approach would have been better appreciated and would show the propagandist in a better light. We all know that Bangladeshi statistics, like Bangladeshi elections, are thoroughly massaged to suit the need of the incumbent regime. A drastically opposite statistics would come out when the opposition comes to power. So nobody is fooled by this propaganda.

- AR 


From: "'Engr. Shafiq Bhuiyan' srbanunz@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Saturday, 24 May 2014, 1:49
Subject: [mukto-mona] বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক উন্নতি হয়! [1 Attachment]

 
 
বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক উন্নতি হয়!
22.05.2014
 
অর্থনৈতিক তথ্য উপাত্য প্রমান করে যে,
একমাত্র বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমল ছাড়া - বাংলাদেশের - অন্য কোন শাসন আমলে, এত বেশী হারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয় নাই!
আমি আরো জানাতে চাই যে, এমনকি, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধত্তোর যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশে --
·        স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, বিমান-নৌ-নদী বন্দর, রাস্তা-ঘাট, রেল-সড়ক সেতু-পথ, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, ব্যবস্যা-বানিজ্য সহ বাংলাদেশের সব অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড এবং 'ইনফ্রা স্ট্রাকচার' ভেঙ্গে এবং নস্ট হওয়ার পরও,
·        ভারত থেকে সর্বশ্রান্ত হয়ে ফেরা ১ কোটি শরণার্থীকে পুনর্বাসন করার পরও,
·        কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে এক ডলার পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা না থাকার পরও
·        ১৯৭৪ সালে সারা দেশে ভয়াবহ বন্যার পরও
·        পাকিস্থানী-আমেরিকার দেশীয় চররা হত্যা, লুট, আগুন দিয়ে দেশের সম্পদ পুড়িয়ে চরম রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষতি করেও
·        ১৯৭৪ সালে আমেরিকার টাকা নিয়ে এবং চুক্তি অনুসারে খাদ্য সরবরাহ না করে কৃত্তিম 'দুর্ভিক্ষ্' সৃষ্টি করেও
·        এমনকি ১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব ব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্য বৃদ্ধির পরও
 
বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে - বাংলাদেশের অন্য যে কোন আমলের থেকে বেশী হারে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে!
এই মন্তব্যের পক্ষে অন্যতম একটি অর্থনৈতিক সূচক হচ্ছে, বাংলাদেশের "মাথাপিছু আয়ের" পরিমান ও তার বৃদ্ধির হার!
নীচে দেখুন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে এবং অন্যান্য শাসন আমলে "মাথাপিছু আয়ের" পরিমান ও তার বৃদ্ধির হারবঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে, তা গড়ে প্রতিবছরে, আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ, ২১.৪% হারে বেড়েছিল!
 
কখন
কার এবং কোন দলের শাসনকালে
মাথাপিছু আয়, আমেরিকান ডলারে
প্রতি বছরে গড় বৃদ্ধি
শুরুতে
শেষে
 
 
 
 
 
১৯৭২-১৯৭৫
বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ
১২০
২১০
২১.৪%
১৯৭৬-১৯৮১
খুনী জিয়া, জাগদল-বিএনপি
২১০
২৪০
২.৪%
১৯৮২-১৯৯০
জেনারেল এরশাদ, জাতীয় পার্টি
২৪০
৩০০
৩.৬%
১৯৯১-১৯৯৬
খালেদা, বিএনপি (জামাতের সমর্থন নিয়ে)
৩০০
৩৩০
২.০%
১৯৯৬-২০০১
শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ-ঐক্য মত
৩৩০
৪১২
৫.০%
২০০১-২০০৬
খালেদা, বিএনপি-জামাত জোট
৪১২
৫২৮
৫.৬%
২০০৭-২০০৮
৩-উদ্দিন (ইয়াজ-ফখর-মইন)
৫২৮
৬৩০
৯.৭%
২০০৯-২০১৩
শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ-মহাজোট
৬৩০
১০৪৪
১৩.১%
২০১৪
শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ–জোট
১০৪৪
১১৮০
১৩.০%
 
এবার বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা:
গত বছর (২০১২-১৩) মাথাপিছু আয় ছিলে এক হাজার ৪৪ আমেরিকান ডলার।
আর এবছর (২০১৩-১৪) ১৩৬ আমেরিকান ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮০ আমেরিকান ডলার। প্রায় ১১ হাজার টাকা!
 
স্বাধীনতার আগে ১৯৭০-৭১ মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র থেকে ১২০ আমেরিকান ডলারের মতো
 
স্বাধীনতা যুদ্ধত্তোর যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে (১৯৭২-১৯৭৫)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ১২০ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ২১০  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর ২১.৪% হারে বেড়েছিল!
 
জেনারেল খুনী জিয়ার জাগদল-বিএনপি সরকারের আমলে (১৯৭৬-১৯৮১)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ২৪০  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর মাত্র প্রায় ২.৪% হারে বেড়েছিল!
 
জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টি সরকারের আমলে (১৯৮৩-১৯৯০)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ৩০০  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর মাত্র ৩.৬% হারে বেড়েছিল!
 
খালেদার জামাত সমর্থিত বিএনপি সরকারের আমলে (১৯৯১-১৯৯৬)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ৩০০ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ৩৩০  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর মাত্র ২.০% হারে বেড়েছিল!
 
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও ঐক্য মতের সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ৩৩ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ৪১২  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর ৫.০% হারে বেড়েছিল!
 
খালেদা-জামাতের জোট সরকারের আমলে (২০০২-২০০৬)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ৪১২ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ৫২৮  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর ৫.৬% হারে বেড়েছিল!
 
৩ উদ্দিনের (ইয়াজ-ফখর-মইন) সরকারের আমলে (২০০৭-২০০৮)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ৫২৮ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ৬৩০  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর ৯.৭% হারে বেড়েছিল!
 
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সরকারের আমলে (২০০৯-২০১৩)ঃ
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ৬৩ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ১০৪৪  আমেরিকান ডলার হয়েছিল!
গড়ে প্রতিবছর ১৩.১% হারে বেড়েছিল!
 
শেখ হাসিনার এই জোট সরকারের আমলের ১ম বছরে (২০১৩-২০১৪)
বাংলাদেশেমাথাপিছু আয় ০৪৪ আমেরিকান ডলার থেকে বেড়ে ১১৮০  আমেরিকান ডলার হয়েছে!
গড়ে প্রতিবছর ১৩.০% হারে বেড়েছে!
 
২০২১ সালের মধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০০ (দুই হাজার) আমেরিকান ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ধরে 'প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১' চূড়ান্ত করেছে বর্তমান সরকার'
 
সত্য সত্যই এবং সত্য প্রকাশিত হবেই!
হাঁ, এই ভাবেই যতদিন শেখ হাসিনার নেত্রিত্বে চলবে আমাদের এই দেশ,
পথ হারাবেনা আমাদের বাংলাদেশ।
 
তাই, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে আগে বাড়ো!
 
 
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

শুভেচ্ছান্তে
 
প্রকৌশলী সফিকুর রহমান অনু
আই,,বি, ফেলো,
অকলেন্ড,
নিউজিলেন্ড
 
Data source:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাবে ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য
Bangladesh Govt Statistics,
Daily newspaper like the Daily Star, the Janakantha, the daily Shomkal, the daily Songbad etc
World Bank, World Development Indicators,
World Bank National Accounts data and OECD National Accounts data files - Last updated April 23, 2013

--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
 
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
 
শুভেচ্ছান্তে

Engr. Shafiqur  Rahman Anu
Auckland,
New Zealand
N.B.: If any one is offended by content of this e-mail, please ignore & delete this e-mail. I also request you to inform me by an e- mail - to delete your name from my contact list.




__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: প্রকাশের জন্যে-সামান্য পরিবর্তিত



Excellent write up! Thanks Sitangsu  Da. 
Nuran Nabi

Sent from my iPhone

On May 24, 2014, at 11:31 AM, Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com> wrote:

'সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমাউন আহমদ ইমদাদুল হক মিলন-এর মিলন এই নিউইয়র্কেই ঘটেছিলো'

পাকিস্তান আমলের একবারে শেষের দিকে আমরা চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড়ে 'পাকিস্তান লাইব্রেরী' নামে একটি পাঠাগারে বসতাম। আড্ডা মারতাম। বইপত্র পড়তাম। তখন মেইলে প্রায়শ: একটি পোস্টকার্ড আসতো, যাতে লেখা থাকতো, 'বই ব্যবসা লাভজনক নয় জেনেও যারা লাইব্রেরী ব্যবসা করেন তারা মহান।' লাইব্রেরী ব্যবসার সাথে জড়িতরা সবাই মহান এটা মানা হয়তো কঠিন, কিন্তু তারা নিজেদের অজান্তে অর্থ কমানোর মধ্য দিয়ে মানুষের কিছুটা হলেও কল্যাণ করছেন সেটা অনস্বীকার্য। অজান্তে বললাম এজন্যে যে, চিত্ত সাহা যখন ঢাকার বইমেলা শুরু করেছিলেন, তখন কি তিনি ভেবেছিলেন যে তার সেদিনের ছোট্ট বইমেলা আজ জাতীয় অনুষ্টানে পরিনত হবে? একই ভাবে নিউইয়র্কের মুক্তধারার বিশ্বজিত সাহা কি ভেবেছিলেন যে, ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া বইমেলা ২৩ বছর পর আজ উত্তর আমেরিকা তথা সাগর পাড়ে বাঙালী ও বাংলার এক মহোত্সবে পরিনত হবে?

বিশ্বজিত আমেরিকায় আসার পরপরই  'সাপ্তাহিক প্রবাসী' অফিসে পরিচয়। বাঁচার তাগিদেই মুক্তধারা গঠন, বই বিক্রী এবং পরবর্তিতে বইমেলা। উডসাইডের একবেড রুমের এপার্টমেন্ট থেকে বইমেলার যাত্রা শুরু, আজ এর পদচারণা সর্বত্র। মুক্তধারার অমর কীর্তি 'সাগর পাড়ে বইমেলা।' ঢাকার মত পুরো ফেব্রুয়ারী হয়তো নিউইয়র্কের বইমেলা হয়না; কিন্তু যে সপ্তাহান্তে তিনদিনের জন্যে বইমেলা হয়, ওই ক'দিন আমেজটা থাকে ঢাকার মতই। মানে আড্ডা, সবার সাথে দেখাশোনা, রাজ-উজির মারা, ঝগড়া-বিবাদ; প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা সবই চলে। দুই বাংলার লেখক, প্রকাশক, শিল্পী-কুশলীদের সমাগমে বইমেলা জমজমাট থাকে। এটাকে দুই বাংলার মিলনমেলা বলা চলে; যেটা ঢাকায় বাস্তব কারণেই হয়তো সম্ভব নয়।  মুক্তধারা দুই বাংলার কত লেখক-শিল্পী-কুশলীদের বিশ্ব অঙ্গনে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে এর খবর কে রাখে! এবারের বই মেলা সামনের মাসে, মানে জুনে। দুই বাংলা থেকে অনেকেই আসছেন। আমেরিকার অন্যান্য স্টেট বা কানাডা থেকেও অনেকে আসেন। ঢাকা-কলকাতার মানুষজন তো আছেনই।  কবিগুরু ১৪০০সাল কবিতায় আশংকা প্রকাশ করেছিলেন যে, একশ বছর পরে কেউ তার কবিতা পড়বেন কিনা! বেঁচে থাকলে তিনি জেনে খুশি হতেন যে, শুধু বঙ্গে নয়, সাগর পাড়েও মানুষ আজ বাংলা পড়ছে, বাংলা বইয়ের মেলা হচ্ছে। সৈয়দ মুজতবা আলীর বাঙালীর বই না কেনা বা না পড়ার দেয়া বদনামটা সামান্য হলেও ঘোচাতে চেস্টা করছে।

যতদুর জানি ঢাকা ও নিউইয়র্ক মুক্তধারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান; দুই সংস্থার দুই কর্ণধার সাহা হলেও তারা অনাত্মীয়। প্রবাসে জীবন-জীবিকা-দেশ ও দশের জন্যে অনেকই অনেক কিছু করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মুক্তধারা যা করেছে তা অনন্য। প্রবাসে বাঙালী মাত্রই সজ্জন, বইমেলায় তা টের পাওয়া যায়। দুই বাংলার চার লেখক সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুমাউন আহমদ ও ইমদাদুল হক মিলন-এর মিলনমেলা এই নিউইয়র্কেই ঘটেছিলো। এ পর্যন্ত কত প্রকাশক, লেখক, শিল্পীর বইমেলায় সমাগম ঘটেছে তার ইয়ত্তা নাই। ঢাকার বইমেলায় যা যা হয়, নিউইয়র্কের বইমেলায় কমবেশি তা হয়। ঢাকার বইমেলা নি:সন্দেহে বাংলাভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে থাকে এবং সেটা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। একইভাবে প্রবাসে মুক্তধারার বইমেলা সেই দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করছে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যেদিন প্রাদেশিক পার্লামেন্টে বাংলা  রাষ্ট্রভাষার দাবি তুলেছিলেন সেদিন যেমন তিনি ভাবেননি তিনি ইতিহাস হয়ে যাবেন, মুক্তধারাও তেমনি ভাবেনি বই ব্যবসা করে এবং তা থেকে ঐতিহাসিক বইমেলার প্রচলন করে তারা ইতিহাস হয়ে যাবেন। কিন্তু তারা ইতিহাস হয়ে গেছেন।

বইমেলার যাত্রা অবশ্য কুসমাস্তীর্ণ ছিলো না। আজো এর পথযাত্রা ততটা মসৃন নয়; চড়াই-উতরাই নিয়ে তা চলছে। দেশেই হোক বা বিদেশেই হোক; আমাদের তো নিন্দুকের কোনো অভাব নেই। আমরা নিজেরা যা করতে পারিনা, তা অন্যকেও করতে দিতে চাইনা। মুক্তধারাকে ঠেকাবার বহু চেষ্টাই হয়েছে; কিন্তু কাজ হয়নি, মুক্তধারা এগিয়েই গেছে। সামনে হয়ত আরো এগিয়ে যাবে। তবে এটা ঠিক অনেকে ঢাকা-কলকাতা থেকে এসে হয়তো আশানুরূপ ব্যবসা পান না। অনেকে বলেন বই-এর চেয়ে শাড়ি বিক্রী বেশী। সবই হয়তো সত্য। অন্তত: গিন্নী শাড়ি কিনলে কর্তা তো একটি বই কেনেন। শাড়ি ও বই পাশাপাশি চললে মন্দ কি, দুটোই তো বাঙালী সংস্কৃতির অঙ্গ। 

মুক্তধারা ও বিস্বজিতকে অনেকে ঈর্ষা করেন, কারণ কোথাকার এক বিশ্বজিত ইতিহাস সৃষ্টি করে বসে আছেন, আমরা টেরও পাইনি। সম্ভবত: গত বছরই বইমেলা শেষে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত বিশ্বজিত আমায় জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, 'দাদা, আর পারিনা।' তার আকুতি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু কীইবা করার আছে, পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া ছাড়া। কারণ, আমি জানি বিশ্বজিতরা আছে বলেই বইমেলা হয়; ছাড়তে চাইলেও বইমেলা ছাড়া ওর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, এখন সময় এসেছে মুক্তধারার পাশে দাড়ানোর। বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারে আমরা গদগদ হয়ে যাই। সরকারও অনেক কর্মকান্ড করেন। আমেরিকার সরকারী কর্মকর্তারা কি টের পান, বাংলা ও বাঙালীর জন্যে মুক্তধারা কি করছে? ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিলো, প্রায়ত হুমায়ুন আহমদের মতে তখনই মুক্তধারাকে সন্মানিত করা উচিত ছিলো। সেটা হয়নি, হওয়া উচিত। এ সময়ে দেশে এমন একটি সরকার ক্ষমতায় যার নেত্রী নিজেও লেখক; যার পিতা বাংলা ও বাঙালীর মহানায়ক। নিউইয়র্ক-এর মুক্তধারার স্বীকৃতির জন্যে তিনি এগিয়ে আসবেন তা বলা বাহুল্য।

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক 
২৪মে ২০১৪। নিউইয়র্ক।






<'সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমাউন আহমদ ও ইমদাদুল হক মিলন-এর মিলন এই নিউইয়র্কেই ঘটেছিলো'.pdf>


__._,_.___

Posted by: Nurannabi <nurannabi@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fwd: প্রকাশের জন্যে-সামান্য পরিবর্তিত



'সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমাউন আহমদ ইমদাদুল হক মিলন-এর মিলন এই নিউইয়র্কেই ঘটেছিলো'

পাকিস্তান আমলের একবারে শেষের দিকে আমরা চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড়ে 'পাকিস্তান লাইব্রেরী' নামে একটি পাঠাগারে বসতাম। আড্ডা মারতাম। বইপত্র পড়তাম। তখন মেইলে প্রায়শ: একটি পোস্টকার্ড আসতো, যাতে লেখা থাকতো, 'বই ব্যবসা লাভজনক নয় জেনেও যারা লাইব্রেরী ব্যবসা করেন তারা মহান।' লাইব্রেরী ব্যবসার সাথে জড়িতরা সবাই মহান এটা মানা হয়তো কঠিন, কিন্তু তারা নিজেদের অজান্তে অর্থ কমানোর মধ্য দিয়ে মানুষের কিছুটা হলেও কল্যাণ করছেন সেটা অনস্বীকার্য। অজান্তে বললাম এজন্যে যে, চিত্ত সাহা যখন ঢাকার বইমেলা শুরু করেছিলেন, তখন কি তিনি ভেবেছিলেন যে তার সেদিনের ছোট্ট বইমেলা আজ জাতীয় অনুষ্টানে পরিনত হবে? একই ভাবে নিউইয়র্কের মুক্তধারার বিশ্বজিত সাহা কি ভেবেছিলেন যে, ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া বইমেলা ২৩ বছর পর আজ উত্তর আমেরিকা তথা সাগর পাড়ে বাঙালী ও বাংলার এক মহোত্সবে পরিনত হবে?

বিশ্বজিত আমেরিকায় আসার পরপরই  'সাপ্তাহিক প্রবাসী' অফিসে পরিচয়। বাঁচার তাগিদেই মুক্তধারা গঠন, বই বিক্রী এবং পরবর্তিতে বইমেলা। উডসাইডের একবেড রুমের এপার্টমেন্ট থেকে বইমেলার যাত্রা শুরু, আজ এর পদচারণা সর্বত্র। মুক্তধারার অমর কীর্তি 'সাগর পাড়ে বইমেলা।' ঢাকার মত পুরো ফেব্রুয়ারী হয়তো নিউইয়র্কের বইমেলা হয়না; কিন্তু যে সপ্তাহান্তে তিনদিনের জন্যে বইমেলা হয়, ওই ক'দিন আমেজটা থাকে ঢাকার মতই। মানে আড্ডা, সবার সাথে দেখাশোনা, রাজ-উজির মারা, ঝগড়া-বিবাদ; প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা সবই চলে। দুই বাংলার লেখক, প্রকাশক, শিল্পী-কুশলীদের সমাগমে বইমেলা জমজমাট থাকে। এটাকে দুই বাংলার মিলনমেলা বলা চলে; যেটা ঢাকায় বাস্তব কারণেই হয়তো সম্ভব নয়।  মুক্তধারা দুই বাংলার কত লেখক-শিল্পী-কুশলীদের বিশ্ব অঙ্গনে পরিচিত করিয়ে দিয়েছে এর খবর কে রাখে! এবারের বই মেলা সামনের মাসে, মানে জুনে। দুই বাংলা থেকে অনেকেই আসছেন। আমেরিকার অন্যান্য স্টেট বা কানাডা থেকেও অনেকে আসেন। ঢাকা-কলকাতার মানুষজন তো আছেনই।  কবিগুরু ১৪০০সাল কবিতায় আশংকা প্রকাশ করেছিলেন যে, একশ বছর পরে কেউ তার কবিতা পড়বেন কিনা! বেঁচে থাকলে তিনি জেনে খুশি হতেন যে, শুধু বঙ্গে নয়, সাগর পাড়েও মানুষ আজ বাংলা পড়ছে, বাংলা বইয়ের মেলা হচ্ছে। সৈয়দ মুজতবা আলীর বাঙালীর বই না কেনা বা না পড়ার দেয়া বদনামটা সামান্য হলেও ঘোচাতে চেস্টা করছে।

যতদুর জানি ঢাকা ও নিউইয়র্ক মুক্তধারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান; দুই সংস্থার দুই কর্ণধার সাহা হলেও তারা অনাত্মীয়। প্রবাসে জীবন-জীবিকা-দেশ ও দশের জন্যে অনেকই অনেক কিছু করার চেষ্টা করেন, কিন্তু মুক্তধারা যা করেছে তা অনন্য। প্রবাসে বাঙালী মাত্রই সজ্জন, বইমেলায় তা টের পাওয়া যায়। দুই বাংলার চার লেখক সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুমাউন আহমদ ও ইমদাদুল হক মিলন-এর মিলনমেলা এই নিউইয়র্কেই ঘটেছিলো। এ পর্যন্ত কত প্রকাশক, লেখক, শিল্পীর বইমেলায় সমাগম ঘটেছে তার ইয়ত্তা নাই। ঢাকার বইমেলায় যা যা হয়, নিউইয়র্কের বইমেলায় কমবেশি তা হয়। ঢাকার বইমেলা নি:সন্দেহে বাংলাভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে থাকে এবং সেটা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। একইভাবে প্রবাসে মুক্তধারার বইমেলা সেই দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করছে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যেদিন প্রাদেশিক পার্লামেন্টে বাংলা  রাষ্ট্রভাষার দাবি তুলেছিলেন সেদিন যেমন তিনি ভাবেননি তিনি ইতিহাস হয়ে যাবেন, মুক্তধারাও তেমনি ভাবেনি বই ব্যবসা করে এবং তা থেকে ঐতিহাসিক বইমেলার প্রচলন করে তারা ইতিহাস হয়ে যাবেন। কিন্তু তারা ইতিহাস হয়ে গেছেন।

বইমেলার যাত্রা অবশ্য কুসমাস্তীর্ণ ছিলো না। আজো এর পথযাত্রা ততটা মসৃন নয়; চড়াই-উতরাই নিয়ে তা চলছে। দেশেই হোক বা বিদেশেই হোক; আমাদের তো নিন্দুকের কোনো অভাব নেই। আমরা নিজেরা যা করতে পারিনা, তা অন্যকেও করতে দিতে চাইনা। মুক্তধারাকে ঠেকাবার বহু চেষ্টাই হয়েছে; কিন্তু কাজ হয়নি, মুক্তধারা এগিয়েই গেছে। সামনে হয়ত আরো এগিয়ে যাবে। তবে এটা ঠিক অনেকে ঢাকা-কলকাতা থেকে এসে হয়তো আশানুরূপ ব্যবসা পান না। অনেকে বলেন বই-এর চেয়ে শাড়ি বিক্রী বেশী। সবই হয়তো সত্য। অন্তত: গিন্নী শাড়ি কিনলে কর্তা তো একটি বই কেনেন। শাড়ি ও বই পাশাপাশি চললে মন্দ কি, দুটোই তো বাঙালী সংস্কৃতির অঙ্গ। 

মুক্তধারা ও বিস্বজিতকে অনেকে ঈর্ষা করেন, কারণ কোথাকার এক বিশ্বজিত ইতিহাস সৃষ্টি করে বসে আছেন, আমরা টেরও পাইনি। সম্ভবত: গত বছরই বইমেলা শেষে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত বিশ্বজিত আমায় জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, 'দাদা, আর পারিনা।' তার আকুতি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু কীইবা করার আছে, পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়া ছাড়া। কারণ, আমি জানি বিশ্বজিতরা আছে বলেই বইমেলা হয়; ছাড়তে চাইলেও বইমেলা ছাড়া ওর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, এখন সময় এসেছে মুক্তধারার পাশে দাড়ানোর। বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারে আমরা গদগদ হয়ে যাই। সরকারও অনেক কর্মকান্ড করেন। আমেরিকার সরকারী কর্মকর্তারা কি টের পান, বাংলা ও বাঙালীর জন্যে মুক্তধারা কি করছে? ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিলো, প্রায়ত হুমায়ুন আহমদের মতে তখনই মুক্তধারাকে সন্মানিত করা উচিত ছিলো। সেটা হয়নি, হওয়া উচিত। এ সময়ে দেশে এমন একটি সরকার ক্ষমতায় যার নেত্রী নিজেও লেখক; যার পিতা বাংলা ও বাঙালীর মহানায়ক। নিউইয়র্ক-এর মুক্তধারার স্বীকৃতির জন্যে তিনি এগিয়ে আসবেন তা বলা বাহুল্য।

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক 
২৪মে ২০১৪। নিউইয়র্ক।








__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___