Banner Advertiser

Saturday, July 19, 2014

[mukto-mona] ইফতার পার্টি-গীবত-কুৎসা রটনা এবং আন্দোলনের হুমকি



ইফতার পার্টি-গীবত-কুৎসা রটনা এবং আন্দোলনের হুমকি

ক্যাটেগরিঃ রাজনীতি

শনিবার ১৯জুলাই২০১৪, অপরাহ্ণ ১২:৩০ 

মাহবুবুল আলম।।

ইফতার রাজনীতির সুযোগে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ঈদের পর সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন বলে ঘোষণা দিয়েই চলেছেন। এ জন্য তিনি তার নিজ দল বিএনপিসহ জোটভুক্ত অন্যন্য দলের নেতাকর্মীদেরও রণডঙ্কা বাজিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে পড়ার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশ আন্দোলনের দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করলেও কোনো রাজনৈতিক দলই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের কোন কর্মসূচি দেয়না। এটা অনেক দিনেরই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে সব বিষয়ে চিরবৈরিতা থাকলেও এ বিষয়ে দুই দলই রাজনৈতিক এ সংস্কৃতি মেনে চলছেন দীর্ঘ দিন থেকে। তবে রোজার মাসে যে রাজনীতি একবারে বন্ধ থাকে তা কিন্তু নয়। এ সময়ে ইফতার মাহফিল নয় ইফতার পার্টির নামে নামে দেদারছে চলে রাজনীতি। আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রমজান মাসে মাঝে মধ্যে ঈফতার মাহফিলের আয়োজন করে পবিত্র সিয়াম সাধনার রমজান মাস এর তৎপর্য তুলে ধরে তারাও যে ধর্মের প্রকৃত অনুসারি তা প্রমাণের চেষ্টা করতো। কিন্তু হাল আমলে, ইফতার মাহফিলের ধরনটাই আমূল বদলে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এখন অনেক দলই ইফতার মাহফিলের পরিবর্তে করছেন ইফতার পার্টি। এসব ইফতার পার্টিতে পবিত্র রমজানের তাৎপর্য বয়ানের পরিবর্তে প্রতিপক্ষের গিবদ-কুৎসা প্রচারের অনুষ্ঠানে পরিনত হয়েছে; এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সিভিল সোসাইটি এবং সাধারণ মানুষও সমালোচনায় মুখর হয়েছে। তাদের কথা রমজান মাস হলো বিশ্বের মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও সংযমের মাস। সুতরাং এ মাস যদি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তা না হয়ে গিবদ প্রচারের মাসে পরিনত হয় তখন তাদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করাই যেতে পারে। এ নিয়ে দেশের মানুষ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের ওপর ত্যাক্ত-বিরক্ত।

তবে এবারের ইফতার রাজনীতির পুরো সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। এবারের রমজানে বিএনপি ইফতার পার্টির নামে একেবারে ইফতার মোচ্ছব শুরু করে দিয়েছে। রমজান মাস জুড়ে বিএনপি এককভাবে ৬০০০ ইফতার পার্টি দেওয়ার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। এটা কোন কথার কথা নয়। বিএনপির প্রথম সারির নেতারাও কোন রাখডাক না করে সরাসরি এ কথা স্বীকার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারও করছেন। এ বিষয়টি প্রথমই মিডিয়ার সামনে খোলসা করেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। উদ্দেশ্য হচ্ছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত না করতে পারা কর্মীদের হতাশা কাটানো, মনোবল চাঙ্গা করা, ঈদের পর আবার মাঠে নামানোর মন্ত্রে উজ্জীবিত করা। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক ইফতার পাটি কোথায় কিভাবে আয়োজন করবে তা কিন্তু ব্যারিস্টার রফিক স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি। এই বিশাল আয়োজনে যে প্রায় অর্ধশতকোটি টাকার মহোৎসব হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর টাকার কথা? এটাও তাদের কাছে তো জিয়ার সেই বিখ্যাত থিউরী 'মানি ইজ নো প্রোবলেম'।

বিএনপির ৬ হাজার ইফতার পার্টিকে মহোৎসব বললে বিএনপির দোসর আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের 'দেড় লাখ' ইফতার পার্টি দেয়ার উৎসবকে কি উৎসব হিসেবে অবহিত করা যায় ডিকসনারী গেটে তেমন কোন শব্দ পাওয়া যায়নি। তারা এবার বিএনপিকে টেক্কা দিয়ে এত বিপুলসংখ্যক ইফতার পার্টির আয়োজন করছে এ খবরও আমরা পত্রিকার খবরেই জানতে পেরেছি । রমজান মাস জুড়ে দেড় লাখ ইফতার পার্টির ব্যবস্থা করলে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ সহস্রাধিক ইফতার পার্টির আয়োজন করতে হবে তাই রোজার ত্রিশ দিনই (প্রতিদিনই) প্রায় প্রতি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় ইফতার পার্টির আয়োজন করতে হবে তাদের। আর অর্থের হিসাবে এই দেড়লক্ষ ইফতার পার্টি আয়োজন করতেতো ন্যুনতম চার থেকে সাড়ে চারশতকোটি টাকার জোগার করতে হবে, এটাতো দেখছি হরি হরি এলাহি কান্ড। এ খবর কিন্তু আমাদের না, এ খবর জামাতিরাই পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করেছে।

সে যাক লাগলে টাকা দেবে গৌরীসেন এটাই হয়তো তাদের মূলমন্ত্র। আর এ মূলমন্ত্রের গৌরীসেনটা কে তা আমজনার জানারও দরকার নেই। তবে বিএনপির মিত্র প্যাডসর্বস্য দলগুলোও কিন্তু ইফতার পার্টির আয়োজনে পিছিয়ে নেই। এদের ইফতার পার্টি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেনতেন ভাবে নয় একেবারে তারকা হোটেলে আয়োজন করা হচ্ছে। আর জোটের প্রধান দল বিএনপি এখন প্রতিদিন একটি করে বড় বড় ইফতার পার্টি দিচ্ছে। বিএনপির বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগেও আয়োজিত ইফতার পার্টিতে তিনি শরিক হচ্ছেন। সেই সব ইফতার পার্টির প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অংশ নিচ্ছেন, বক্তৃতাও দিচ্ছেন কখনো কখনো মোনাজাত করে জালেম সরকারের (তাদের ভাষায়) হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বদদোয়াও করছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণে যে বিষয়গুলো প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসে তা হচ্ছে প্রায় একই রকম, যেন ক্যাসেট বন্দি একই বক্তৃতা প্রতিদিন প্রচার করা হচ্ছে। তার বক্তৃতার মূল বক্তব্যটা ঠিক এ রকম,'এ সরকার অবৈধ, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ, দেশ ধ্বংসকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকার, এ সরকারের পেছনে দেশের জনগণ নেই। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ১৯ দলীয় জোটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষই এখন সরকারের বিরুদ্ধে, ২০ দলীয় জোটের পক্ষে আছে। দেশের মানুষ অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে, গুম ও খুনের ভয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। আমাদের ওপর দেশবাসীর চাপ আছে, জনগণ বলছে বিএনপি কেন এই সকারের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে আন্দোলন করছে না। তাই ঈদের পর ২০ দলের নেতাকর্মীদের সরকার উৎখাতের আন্দোলনে যুক্ত হতে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।' আর যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতো ইফতার পার্টির নামে কেবল গিবদ ও কুৎসা রটনাই নয় তারা ইফতার মাহফিলের উছিলায় প্রায়ই বিদেশী কুটনীতিকদের ডেকে সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার পাশাপাশি দেশবিরোধী অপপ্রচার সম্বলিত ডিভিডির কপি প্রত্যেকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এ নিয়ে প্রগতিশীল মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা, কেন নিতে পারছেনা তা বোধগম্য না হলেও হয়তো জামায়াতের এসব দেশেবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষে নিতে গেলে বিএনপি-জামায়াত সমসুরে চিৎকার শুরু করবে যে, সরকার এমনই স্বেরাচারী যে, পবিত্র রমজান মাসে আমাদের ঠিক মতো ধর্মকর্ম করতে দিচ্ছে না।

বিএনপি নেত্রীর বক্তৃতায় দেশের ৯৫ ভাগ তাদের পক্ষে থাকার বক্তব্যের অনেকটাই বিরোধিতা করে ১৭ জুলাই দৈনিক জনকন্ঠে মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী 'ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি' শিরোনামে বলেছেন''বিএনপি চেয়ারপার্সন দাবি করেছেন যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ অংশ নেয়নি এবং এই ৯৫ শতাংশ মানুষ তার দল বা জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে- এমনটিই দাবি করেছেন। প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীর জানা আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার জন্য যে ধরনের তান্ডব, ধ্বংসলীলা, হত্যাকান্ড ও জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল তা থেকে ভোটে অংশগ্রহণের সংখ্যা ব্যাপক না হলেও যা তিনি দাবি করেছেন তা বাস্তবের সঙ্গে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পরিণতি সম্পর্কে গেল দু'সপ্তাহে এই কলামেই প্রকাশিত আমার লেখা দু'টোতে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে লেখার প্রয়োজন নেই। তবে মোট ভোটারের ৯৫ শতাংশ যদি বিএনপি-জামায়াত জোটের সমর্থক হয়ে থাকেন তাহলে সরকারের অবস্থান ৬ জানুয়ারিতেই নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার কথা। বাস্তবে তেমন হয়নি। মানুষ একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপির মতো একটি বড় দল এবং তার নেতৃত্বাধীন জোট সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তা প্রতিহত করতে সকল শক্তি নিয়োগ করলে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। নিজেরা অংশগ্রহণ না করে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না দেয়া- একটি রাজনৈতিক দ্বৈতচারিতা বা চালাকি বলা যায়। সে ধরনের নির্বাচনকে নিয়ে মনগড়া কথা বলা, বানোয়াট তথ্য দাবি করা, নির্বাচনকে অবৈধ বলে চালিয়ে দেয়া কোন সৎ রাজনৈতিক অবস্থান হতে পারে না।''

এ প্রসংগে আমার নিজের একান্ত বক্তব্য হলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নজিরবিহীন সহিংসতা, নৈরাজ্য সৃষ্টির পরও কিন্তু গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো অবাধে সিল মারতো তা হলে ভোট কাস্টিং আরো ২০ভাগ বাড়িয়ে দিতে পারতো। আওয়ামী লীগের বড় শত্রুও কিন্তু নির্বাচনে এ ধরনে কোন অপকর্ম বা ভোট রিগিং এর কথা বলতে পারেনি। সেই কারণেই হয়তো সুপার পাওয়ার আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সব দেশ ও দাতাগোষ্ঠী ৫ ই জানুয়ারির নির্বাচনকে মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার অঙ্গিকারের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। তা না হয়ে যদি ১৯৯৬ সালে বিএনপির অধীনে অনুষ্টিত ঐতিহাসিক! একতরফা ১৫ ফেরুয়ারির মতো এক্কেবারে ভোটারবিহীন নির্বাচন হতো, যে নির্বাচনে জোর করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেও বিশ্বনেত্রীবৃন্দ ও বিভিন্ন দাদাগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ১৮ দিনের বেশি ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তাদের ১৮ দিনের মাথায় বিএনপিকে পদত্যাগ করে নতুন করে নির্বাচন দিতে হয়েছিল। যে নির্বাচনে জয়লাভ করে দীর্ঘ একুশ বছর পর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েছিলেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যতি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হতো তা হলেতো আন্তর্জাতিক মহল কিছুতেই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করতো না। একই সাথে দেশের মানুষও এ ফলাফল মেনে না নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের মতো কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকাকেও হটিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য করতো। কাজেই বিএনপি নেত্রীর এসব ঢালাও অভিযোগ জনগণের কাছে বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য হচ্ছেনা বলেই তাদের কথায় কেউ কান দিচ্ছে না। যদি তাদের কথায় কানই দিত তা হলে ২০১৩ সালেই শেখ হাসিনার জনসমর্থনহীন সরকারকে( বিএনপির ভাষায়) ঝেটিয়ে বিদায় করতো।

পরিশেষে আমি এখন বিএনপির নেত্রীর আন্দোলনের প্রসংগে নাটককের মতো 'রিক্যাপ' বা একটু পিছন ফিরে তাকাতে চাই। আমাদের দেশের জনগণ যাদের স্মৃতি এখনো শিথিল হয়ে যায়নি তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে গত বছরও রমজানে ইফতার পার্টিতে একইভাবে সরকার উৎখাতে কর্মী সমর্থকদের রমজানের পর মাঠে নামতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল ঈদের পরে এই জালেম সরকারকে উৎখাত না করে বিএনটি নেতাকর্মী ও তথা ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। তখন পরিস্থিতি ছিল যেন আগ্নেওগিরির জ্বালামুখ। সময়টা ছিল নির্বাচন পূর্ববর্তী অবস্থা ছিল, জামায়াতের অংশগ্রহণ বলতে গেলে একচেটিয়া। আর আর অন্যান্য আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলোও ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। তখন বিএনপি ও জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতাই পায়জামা-পাঞ্জাবীতে কড়া ইস্ত্র দিয়ে রেখেছিলেন এর কারণে যে যেই মাত্র সরকারের পতন হবে তখনই যেন কালবিলম্ব না করে বিজয় মিছিলে মেনে আসা যায়। তারপরও বিএনটি-জামায়াত ১৮ দলভুক্ত তথাকথিত অন্যন্য দল বলতে গেলে প্রায় সব দলই আন্দোলনে শরিক হয়ে ঈদের পর আন্দোলন জমাতে পারেনি। কিন্তু গত বছরের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাস বলে, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের বামদলগুলো ছাড়া কেউ কোনদিন গণআন্দোল সৃষ্টি করতে পারেনি, আর বিএনপিরতো গণআন্দোল করে সরকার হটানোর কোনো ইতিহাসই নেই। আর গত বৎসর বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত আন্দোলনের নামে যা করেছে সে ভয়ানক স্মৃতিতো মানুষ এত সহজেই বিস্মৃত হয়ে যায়নি।

http://blog.bdnews24.com/mahbubulalam/157970




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Ziaur Rahman did more harm than Mir Zafor : Ashikur Rahman (Video)



wRqvDi ingvb gxi Rvd‡ii †P‡qI †ewk ÿwZ K‡i‡Qb : GBP Gb AvwkKzi ingvb (wfwWI)

Avgv‡`i mgq.Kg : 20/07/2014

vlcsnap-2014-07-20-00h16m02s179

dviæK Avjg : RbcÖkvmb gš¿Yvjq m¤úwK©Z msm`xq ¯'vqx KwgwUi mfvcwZ GBP Gb AvwkKzi ingvb e‡j‡Qb, wRqvDi ingvb †cÖwm‡W›U n‡q‡Qb Zv eo K_v bq| wKš' wZwb G †`k‡K Ab¨w`‡K wb‡q †M‡Qb| †`‡k mv¤úª`vwqKZv wb‡q G‡m‡Qb, MYZš¿‡K nZ¨v K‡i‡Qb| Õ57 gxi Rvdi wek¦vmNvZKZv K‡i‡Q| †m wek¦vmNvZKZv bv Ki‡jI Bs‡iRiv Rqx nZ| KviY †mB mgq cy‡iv c„w_ex‡Z Bs‡iR‡`i c`vcb wQj|

kwbevi iv‡Z nvmvb Avn‡g` †PŠayix wKi‡Yi Dc¯'vcbvq AviwUwfÕi ÔAvIqvi †W‡gv‡µwmÕ Abyôv‡b Gme K_v e‡jb wZwb| Abyôv‡b Av‡jvPbvi welq wQj ÔC` cieZ©x ivRbxwZÕ| Av‡jvPK wn‡m‡e Av‡iv Dcw¯'Z wQ‡jb weGbwc †Pqvicvim‡bi Dc‡`óv I mv‡eK Ggwc kvgmy¾vgvb `y`y|

weGbwci mgv‡jvPbv K‡iÑ AvwkKzi ingvb e‡jb, weGbwc gy‡L MYZš¿ e‡j, Zviv MYZš¿ wek¦vm K‡ib bv| msweavb iÿvi Rb¨ 5 Rvbyqvwi wbe©vPb Kiv n‡q‡Q| A_©vr msweavb Abyhvqx Õ19 mv‡ji Av‡M †Kv‡bv wbe©vPb n‡e bv| wWwRUvj evsjv‡`‡ki ¯^cœ ev¯Íevqb Kivi Rb¨ G miKvi‡K ÿgZvq _vK‡Z n‡e|

Av‡gwiKvi ivóª`~‡Zi K_v cÖm‡½ wZwb e‡jb, †`‡k ¸g, Lyb I Acni‡Yi wel‡q Av‡gwiKvi ivóª`~Z †h K_v e‡j‡Qb Zv †KŠU‰bwZKZvi evB‡i| G‡`‡k ¸g, Lyb I AcniY memgq n‡q _v‡K, GL‡bv n‡q‡Q| Z‡e, Av‡Mi †P‡q ¸g, Lyb I Acni‡Yi cwigvY K‡g Avm‡Q|

AvwkKzi ingvb Av‡iv e‡jb, cÖavbgš¿x †kL nvwmbv 5 Rvbyqvwii wbe©vP‡bi Av‡M weGbwc †bÎx †eMg Lv‡j`v wRqv‡K †dvb K‡i‡Qb| wKš' wZwb †mB †dv‡b mvov †`b bv| cÖavbgš¿xi B"QvÑ mevB‡K m‡½ wb‡q GKwU wbe©vPb Kiv| Z‡e, wbe©vP‡b †KD AskMÖnY bv Ki‡j Zv cÖavbgš¿xi †`Lvi welq bq| GB wbe©vP‡b †Kv‡bv AvBbMZ evav †bB| weGbwc †bÎx wb‡Ri †Kv‡bv wek¦vm †_‡K G wbe©vP‡b AskMÖnY K‡ibwb|

Video:

https://www.youtube.com/watch?v=2Sj0KZRi_yA

 Also Read:

 'হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল - মিনা ফারাহ

স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি
মিনা ফারাহ         বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১

"   বিএনপি যে স্বাধীনতাবিরোধী দল একথা তারা দলের জন্মের আগেই প্রমাণ করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা যে কথা আমি বহু তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে 'হিটলার থেকে জিয়া' বইটিতে প্রমাণ করেছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন পাকিস্তানপন্থী এবং এর দলপাকিস্তানপন্থী।  ..........২০০১ সালের সংসদে খালেদা জিয়ার পাশে মতিউর রহমান নিজামী, সাঈদী, আল মুজাহিদ এবং জিয়াউর রহমানের সংসদে শাহ্ আজিজুর রহমান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন বলেন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের কি সত্যিই দরকার আছে? স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহ্ আজিজুর রহমান এবং নিজামীর ভূমিকা একটি শিশুও জানে। ........জিয়াউর রহমান শাহ্ আজিজকে তার প্রধানমন্ত্রী করেছিল। বেগম জিয়া বড় যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে বসিয়েছিল। জিয়াউর রহমান এদের জেল থেকে বের করে এনে রাজনীতিতে ঢুকিয়েছে। ......." মিনাফারাহ
বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১৭ প্রকাশিত 

প্রশ্নবোধক এক জিয়াউর রহমান

"জিয়া থেকে হিটলার"
এই বইটির তিনটি অংশ। 
প্রথম অংশটি-"জিয়া কেন মুক্তিযোদ্ধা নয়-১৭৮টি কারণ"। 
দ্বিতীয় অংশটি-"সংবিধান সন্ত্রাসী জিয়া"। 
তৃ্তীয় অংশটি-"বইয়ের কাঠগোড়ায় জিয়া"


wRqv‡K †jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV:

ˆmq` †evinvb Kexi : GKwU `yj©f wPwV Avgv‡`i nv‡Z G‡m‡Q| wPwVwU 1971-Gi 29 †g †jLv| wPwV wj‡L‡Qb ZrKvjxb K‡b©j †eM, wj‡L‡Qb, †gRi wRqvDi ingvb‡K| cÖ_‡gB cvVK‡`i Rb¨ wPwVwU ûeû Dc¯'vcb KiwQ:-
Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca
We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.
DonÕt worrie about your family. Your wife and kids are fine. You have to be more carefull about major Jalil.
Col. Baig Pak Army, May 29. 1971

(†gRi wRqvDi ingvb, cvK Avwg©, XvKv †Zvgvi Kv‡R Avgiv mevB Lywk| Avgv‡`i Aek¨B ej‡Z n‡e Zzwg fv‡jv KvR Ki‡Qv| Lye wkMwMiB Zzwg bZzb KvR cv‡e|†Zvgvi cwievi wb‡q DwØMœ n‡qvbv| †Zvgvi ¯¿x I ev"Pviv fv‡jv Av‡Q| †Zvgv‡K †gRi Rwjj m¤ú‡K© Av‡iv mZK© _vK‡Z n‡e| K‡b©j †eM, cvK Avwg© †g 29, 1971)....
Details at:
According to Pro-BNP writer এবনে গোলাম সামাদ
in মুজিবনগরের বাখানি- আত্মপক্ষ published in

নয়াদিগন্ত, তারিখ২২ এপ্রিল২০১৩

"জিয়াউর রহমান  দেশ ছেড়ে ভারতে যান, কিন্তু 
ভরতে যেয়ে তিনি ছিলেন গৃহবন্দী ....http://www.dailynayadiganta.com/?p=169150

This is because General Osmani became very suspicious about Ziaur Rahman's deceptive activities... 

জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃত পাকিস্তান প্রেমিক 

He is the hero of Khemkaran sector !!!!!
In Pakistan Army he received commando training specializing in infiltration and  won the Hilal-e-Jurat for his performance in 1965-war. His transfer to East in  October 1970 was a part of Paki Military's
grand plan ....! Later on during his regime, he started the process of Pakistanization of Bangladesh. ......!!!!!!












__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Bangistan, the new movie! Farhan AKhtar speeaks to BBC



What a "worthless" presentation - 
comment made as per style of 
great Finance Minister, that
Bangladesh ever had !

Haque
Lowell. MA.


On Saturday, July 19, 2014 12:08 PM, Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com> wrote:


A timely satire?
-SD

http://www.bbc.com/news/entertainment-arts-28344029

Plot

"The film follows the lives of two blundering terrorists on a mission to change the world. Riteish Deshmukh and Pulkit Samrat play the young guns with lofty ideologies but ordinary talent who keep pace with a series of serendipitous high-energy, fast-paced, and exceptionally entertaining events that has a huge impact on world peace."
--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.




__._,_.___

Posted by: mk haque <mk_haque@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কোন্ পথে হাঁটবে স্বদেশ ? বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার না গণতন্ত্র



[ রা জ নী তি ]

কোন্ পথে হাঁটবে স্বদেশ ?

বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার না গণতন্ত্র

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

সময়ের প্রয়োজন অনেক দৃশ্যপটের সৃষ্টি করে। সূত্রে না মিললেও তা মেনে নিতে হয়। অনেক সময় এর ভেতরেই খুঁজে পাওয়া যায় কল্যাণ। প্রমাণ খোঁজার জন্য আমরা আঠারো শতকের ইউরোপের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে পারি। তখন ইউরোপের নানা দেশের বিপর্যস্ত প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক কাঠামো এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সময়ের বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে সে সময় ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজারা দেশের অস্থিরতার লাগাম টেনে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এনলাইটেন্ড ডেসপটিজম (বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার) বা বেনেভোলেন্ট ডেসপটিজম (কল্যাণকামী স্বৈরাচার বা একনায়কতন্ত্র)। নানা দল-মতের চিন্তার স্বাধীনতা যখন সুবিধাবাদ আর নৈরাজ্যকে উসকে দিচ্ছিল তখন অনন্যোপায় রাজারা শক্ত হাতে স্বৈরাচারী শাসন প্রবর্তন করেছিলেন। কোনো মানবিক দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেননি। ফলে দেশ আবার অন্ধকার থেকে আলোতে চলে আসে। অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়। শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে সাড়ম্বরে। প্রশাসন আবার একটি শক্ত ভিত পেয়ে যায়। স্বৈরাচার হয়েও তাই বিশ্বনন্দিত হয়েছেন রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্যাথরিন, প্রুশিয়ার দ্বিতীয় ফ্রেডারিক, পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় জোসেফ, স্পেনের তৃতীয় চার্লস, ফ্রান্সের প্রথম নেপোলিয়ন প্রমুখ।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় এগিয়ে যেতে পারেনি। ধ্বংসপ্রায় সদ্য স্বাধীন দেশ পরিচালনা সহজসাধ্য বিষয় ছিল না। সে সময়ে চালকের আসনে বসা আওয়ামী নেতৃত্বের যখন প্রয়োজন ছিল নৈতিক আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে শক্ত হাতে দেশ গড়ার এবং শক্ত হাতে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া তখনই লোভী মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায় দলটির ভেতর। এই বাস্তবতা দর্শনে সে সময়ে বঙ্গবন্ধু অনেক খেদোক্তি করেছিলেন কিন্তু তিনি মানবিক দুর্বলতা অতিক্রম করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু বুকের কোমল মানবিক গুণগুলোকে অতিক্রম করতে পারলেন না। কর্তব্যকে পূর্ণতা দিতে শক্ত হতে পারলেন না। শাসন ব্যর্থতা আর নষ্ট মানুষগুলোর বৃত্তে আটকে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। অবাধ দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অস্থির করে তুলছিল আওয়ামী শাসন কাঠামোকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি দলটির জন্য কোনো সুখকর পরিপ্রেক্ষিত রচনা করতে পারেনি। গণমানুষের সঙ্গে এই প্রথম কিছুটা দূরত্ব তৈরি হতে থাকে আওয়ামী লীগের। 

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সংকটের মুখে বঙ্গবন্ধু সম্ভবত দেশকে সুস্থিরতায় ফিরিয়ে আনার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দেশে নীতি-নির্ধারকদের দুর্বলতার সুযোগে রাজনৈতিক ঘূণপোকা এই উদ্যোগটিকে সুবিধাবাদের বলয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে নিষপ্রাণ করে দেয়। তাই ইউরোপের বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার জনপ্রিয়তা পেলেও বাকশাল নিজের ভেতর আত্মগোপনকারী আওয়ামী লীগকে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আর অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকা শক্তি লুফে নিয়েছিল এই সুবিধাটিই। এই সূত্রেই ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটে। সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। ষড়যন্ত্রকারীরা এখানেই থামেনি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে পঙ্গু করার জন্য বঙ্গবন্ধু-উত্তর পরিণত আওয়ামী মেধা নিঃশেষ করতে জেলহত্যা সম্পন্ন করে। 

মাঠ গরমের বক্তৃতাবাজ রাজনীতিক আর দলকে নিয়মনিষ্ঠ রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিরুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুগঠিত করার মত মেধাবী নির্লোভ আর আদর্শিক রাজনীতিক দু'জন এক নন। দুর্ভাগ্য সঙ্কটময় মুহূর্তে দ্বিতীয় ধারার রাজনীতিকের বড় অভাব বোধ হতে থাকলো আওয়ামী লীগের ভেতর। 

পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের রাজনৈতিক অদক্ষতা স্পষ্ট হতে থাকে। দেশ তখন নানা মত-পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি, ডান-বাম মধ্যপন্থা প্রভৃতি ইস্যু তো আছেই—এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী সকল সামাজিক শক্তিও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। আর এর মোকাবিলায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দূরদর্শী চিন্তা করতে পারেনি সে সময়ের আওয়ামী নেতৃত্ব। এই ব্যর্থতার সুবিধা পুরোটাই নিতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতীয়তাবাদী স্লে¬াগানে নানা মত-পথের মানুষকে নিয়ে বিএনপি'র জন্ম দিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা যে শূন্য মাঠ তৈরি করে দিয়েছিল সেখানে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি ভাল ফল দিল। বিএনপি'র মত একটি ভুঁইফোড় দল দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে রাষ্ট্রীয় সুবিধা থাকার পরও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যর্থতা যে অনেকাংশে দায়ী ছিল তা কি বর্তমান আওয়ামী নেতৃত্ব কখনও স্বীকার করেন?

গত শতকের আশির দশকে ভাঙ্গনের মুখ থেকে দল বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়। এ পর্বেই আওয়ামী লীগ তার মূল আদর্শ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। দীর্ঘ ঐতিহ্য বহন করা একটি গণতন্ত্রী দল গণতান্ত্রিক ধারণা দলীয় আচরণ থেকে নির্বাসন দিয়ে তা শুধু বক্তৃতার ভাষায় জিইয়ে রাখলো। বিএনপি'র উত্থান এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এর বাড়-বাড়ন্ত কিছুটা যেন দিশেহারা করে দিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী দল নিজেকে সুগঠিত করার বদলে 

ক্ষমতায় পৌঁছার প্রতিযোগিতায় যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ আওয়ামী লীগের হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্র সুবিধার ছত্রছায়ায় এরশাদের জাতীয় পার্টিও ফুলে-ফেঁপে ওঠে। দুটো ভুঁইফোড় দলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলের জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা দলের রাজনৈতিক ভিতকে ক্রমে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গ্রাম পর্যায়ে সাংগঠনিক তত্পরতা স্থবির হয়ে যেতে লাগলো। নির্বাসিত হতে লাগলো গণতন্ত্র চর্চা। নিয়মমাফিক গ্রাম, জেলা, আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় কমিটি গঠনের রেওয়াজ ভুলতে বসলো আওয়ামী লীগ। 

শ্রেণিচরিত্র এবং রাজনৈতিক আভিজাত্যের (!) কারণে রাজনীতিকে ক্ষমতার রাজনীতিতে পরিণত করল বিএনপি আর জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার মাপকাঠি হতে থাকলো অর্থ আর পেশিশক্তি। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মত ভুঁইফোড় দলগুলোর না হয় এ আচরণ মানায়, আওয়ামী লীগ কেন গড্ডালিকায় গা ভাসালো? এ পর্যায়ে রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে পারত আওয়ামী লীগ। তার বদলে দেখা গেল, দলটি তার নব্য প্রতিপক্ষদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামলো। এভাবে ওদের রাজনৈতিক সম্মান বাড়িয়ে দিল বা নিজেদেরটা কমাল। এ পর্যায়ে নেতৃত্ব আত্মবিশ্বাসের অভাবে দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যের গরিমাকে ম্ল¬ান করে দিয়ে বরণ করলো অসুস্থ রাজনীতিকেই। তথাকথিত গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিতে রাজনৈতিক পরম্পরা নয়—পেশিশক্তি আর অর্থ শক্তিকেই নাবিক হিসেবে মেনে নিল। তাই দেশজুড়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞায় প্রাজ্ঞ নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অনেকেই রাতারাতি পরিত্যাজ্য হলেন। সেখানে অর্থের জোরে মনোনয়ন কিনে নিতে লাগলেন নব্য ধনী বণিক আর আমলারা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার হলেন কেউ কেউ। যেসব অঞ্চলে পেশিশক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষকে বধ করা যাবে সেসব অঞ্চলে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর হাতেই চলে গেল দলীয় নেতৃত্ব। অর্থাত্ ভুঁইফোড় দলগুলোর সাথে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগও দেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ভেঙ্গে দিতে ভূমিকা রাখলো। স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপন্ন হতে লাগলো গণতন্ত্র।

আওয়ামী লীগের এসব দুর্বলতা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে যতই আনন্দের হোক না কেন দেশের জন্য তা কখনও কল্যাণের হতে পারে না। এদেশের ঐতিহ্যিক বাম দলগুলো যদি সবল হতো তবে এদের আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবা যেত। কিন্তু সে হবার নয়। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ধরনের ভুঁইফোড় দলগুলো আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই শক্তিমান হয়েছে। দলছুট পাঁচমিশেলি মানুষে সমন্বিত দল সুবিধাবাদকেই প্রশ্রয় দেয়। এদের সরাসরি প্রশ্রয়ে মৌলবাদী শক্তিগুলো ক্রমে তাদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করছে। যা দেশের জন্য অশনিসঙ্কেত। 

এসব কারণে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জাতি শেষ রক্ষা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচারের প্রত্যাশা করলে কি খুব দোষ দেয়া যাবে? এটিতো বিকল্প। না আমরা এমন বিকল্প চাই না। নিয়মের ভেতরেই হাঁটতে চাই। বাস্তব বিবেচনায় দেশের রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। দীর্ঘ যত্নের অভাবে কৃশকায় হয়ে পড়লেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল এখনও দেশজুড়ে প্রোথিত। এবার দরকার জল সিঞ্চন। ভুল স্বীকার করে আত্মশুদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এটি সুস্থ ধারার মানুষের প্রতিদিনের চাওয়া। এজন্য নিজেদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য থেকে শক্তি নিতে হবে। আবার জাগিয়ে তুলতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। শর্তহীনভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এ মুহূর্তে যৌক্তিক কারণেই আর অন্য কোনো বড় দলের পক্ষে কঠিন। বিএনপি'র দেশ জুড়ে সমর্থক থাকলেও একে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ব্যবহার করতে পারেনি। মৌলবাদী শক্তির সাথে নিজেকে একাকার করেছে। নানা প্রশ্রয়ে মৌলবাদী শক্তি অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে। এদেশের মানুষ মৌলবাদের পক্ষে নেই এ কথা ঐতিহাসিকভাবেই সত্য। কিন্তু প্রশ্রয় পেলে এরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করবেই। এই সত্য ও সূত্র পথ দেখাতে পারে আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচারের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেবে। বিএনপি সুস্থ ধারায় ফিরতে পারবে বলে মনে হয় না। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি দলটি। জনগণকে সমপৃক্ত করতে পারেনি বলে নিকট অতীতের আন্দোলন জমাট বাঁধেনি। ঈদের পরের কথিত আন্দোলনের ইস্যুও তো সেই ক্ষমতা কেন্দ্রে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষাজাত। জনকল্যাণমূলক কোনো ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা নেই। কর্মী নির্ভরতায় কোনো আন্দোলন সফল হয় না। সাফল্যের জন্য চাই জনসম্পৃক্ততা। গণতান্ত্রিক আচরণ ছাড়া এ পথে হাঁটা কঠিন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস দমনে সরকারের ব্যর্থতার কথা যখন বিএনপি নেত্রী বলেন। এসব অপশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য আন্দোলনের কথা বলেন, অভিযোগের সত্যতা থাকলেও বিএনপি আমলের ছবি যখন ভেসে উঠে তখন আন্দোলনকারী নেতৃত্বের প্রশ্নে মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হবেই। তাই বিএনপি নেতৃত্বের আন্দোলন শক্ত ভিত্তি পায়নি—পাবেও না। 

এসবের পরও বিপন্ন দেশবাসী গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য উদ্বাহু। একারণেই মানুষের চাওয়া আমাদের ক্ষমতার মোহগ্রস্ত রাজনীতির মোহমুক্তি ঘটুক। গণতন্ত্রের পথ চলার জন্য আত্ম উপলব্ধিতে ফিরে আসুন রাজনীতিকগণ। 

লেখক, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

shahnawaz7b@gmail.com



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Bangistan, the new movie! Farhan AKhtar speeaks to BBC



A timely satire?
-SD

http://www.bbc.com/news/entertainment-arts-28344029

Plot

"The film follows the lives of two blundering terrorists on a mission to change the world. Riteish Deshmukh and Pulkit Samrat play the young guns with lofty ideologies but ordinary talent who keep pace with a series of serendipitous high-energy, fast-paced, and exceptionally entertaining events that has a huge impact on world peace."


__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পাকিস্তানের পতাকার চাঁদ-তারা প্রতিক ব্যবহার : ইয়াছিন আলী - তিনি সকল কাজের 'পাজি'



বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পাকিস্তানের পতাকার চাঁদ-তারা প্রতিক ব্যবহার : ইয়াছিন আলী  - তিনি সকল কাজের 'পাজি' :

তিনি সকল কাজের 'পাজি'

তার নাম ইয়াছিন আলী। তার ''গুণের'' শেষ নেই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক 'সংস্কৃতিতে' সাধারনত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষ দলের কাছে চাঁদাবাজি করেন। কিন্তু ইয়াছিন চাঁদাবাজি করেন নিজ দলের লোকদের কাছেই। না হলে তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেন। এসব কারণে ইয়াছিনকে সমঝে চলেন দলের নেতাকর্মীরা। হরতাল-অবরোধের সময় ইয়াছিন পালান না, পালাতে হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি দলের নেতাদের ম্যানেজ করে বাসাতেই ঘুম দেন। অন্যরা ভয়ে তটস্থ হয়ে গা ঢাকা দেন। উপরন্তু ইয়াছিনের 'ধরিয়ে দেয়ার' ভয়ে কর্মীদেরকে সুরা ইয়াছিন পাঠ করতে হয়। 

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি রাজধানী জুড়ে পোস্টার সাঁটানো শুরু করেছেন। তাতে তিনি পাকিস্তানের পতাকার রঙ ও চাঁদ-তারা প্রতিক ব্যবহারও করেছেন। এই পোস্টার তার ফেসবুক ওয়ালেও শোভা পাচ্ছে। কী কারণে চাঁদ-তারার প্রতি তার এতো অনুরাগ সে কথা জানাতে পারেনি কর্মীরা।


রাজনীতির 'বিরল প্রতিভাধর' এই ইয়াছিন আলী জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক। তারেক রহমানের বন্ধু আশিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি তার সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকেন।  

দলের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইয়াছিন আলী সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর কালেক্টর হিসেবেও কাজ করেন। কলকাতায় শাহাদাতের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়া তার কাজ। হরহামেশাই মালয়েশিয়া, লন্ডনসহ নানা দেশ সফর করেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে। মালয়েশিয়ায় তার হোটেল ব্যবসা আছে। উত্তরা এলাকা হচ্ছে তার চাঁদাবাজির ব্যবসার মূল ক্ষেত্র। এখন ঈদ উপলক্ষে তিনি চাঁদাবাজি করছেন প্রকাশ্যে। দলের জুনিয়র নেতারা নিরুপায় হয়ে কমিটিতে স্থান পেতে তাকে নিয়মিত চাঁদা দেন।

ঢাকা মহানগর বিএনপির একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা পরিবর্তনকে জানান, ইয়াছিন আলী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে রাজধানীর উত্তরায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। কিন্তু দলের কর্মীদের কাছ থেকে সেই ফ্ল্যাট বাবদ আবার টাকা ধার নিয়ে তা শোধ করেন না। যিনি টাকা দেন, তিনি জানেন সেই টাকা ফেরত মিলবে না।

ইয়াছিন আলী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য তদ্বিরে ব্যাস্ত। কিন্তু সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে পছন্দ করে না। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক হওয়ার পর থেকে তার একনায়কতন্ত্র, স্বজনপ্রীতি আর ঔদ্ধরতপূর্ণ আচরনের জন্য আজ মহানগর উত্তরের বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে নেতারা জানিয়েছেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা অচল কর্মসূচী পণ্ড হয়েছে তার মতো নেতাদের কারণেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা।  

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, যেকোন থানা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ইয়াছিনকে নগদ তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তার বাসায় আসবাবপত্র প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া কেন্দ্র থেকে হরতাল অবরোধের সময় আন্দোলন পরিচালনার জন্য যে টাকা সংগ্রহ করা হয় তার ১০ ভাগও দলের নেতাকর্মীদের দেন না । বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে প্রায়ই স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা পদ হারানোর ভয়ে তা প্রকাশ করেন না। 

নেতাকর্মীরা জানান, কয়েক মাস আগে ইয়াছিন পল্লবীতে সোয়া কোটি টাকায় আরেকটি ফ্ল্যাট কেনেন। অর্ধ শতাধিক মামলা থাকার পরেও পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কয়েকদিন পর পর তিনি লন্ডন, মালেয়েশিয়া, ভারত ভ্রমন করতে যান সপরিবারে। পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে রয়েছে তার মধুর সম্পর্ক। হরতাল এবং অবরোধে নির্বিঘ্নে তিনি তার ফ্ল্যাটে থাকেন। অথচ সবাইকে বলে বেড়ান তিনি এলাকাতে থাকে না।  তিনি যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের অবস্থান আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেন। আবার নিজেই ওই কর্মীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন নিজের কমিশন রেখে দিয়ে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন যুগ্ম আহবায়ক পরিবর্তনকে বলেন, 'পল্লবীতে এক কর্মীকে সহায়তা করার জন্য আমি ইয়াছিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। সে দলের কোনো নেতাকে পাত্তা দেয় না।'

পরিবর্তন-এর পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নেতার দেয়া টাকা সেই কর্মী পাননি। 

জানা গেছে, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন বাবুল মাষ্টার মারা যাওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য কয়েক লাখ টাকা সাহায্য তোলা হয়। সেই টাকাও ইয়াছিল আলী বাবুল মাষ্টারের পরিবারকে দেননি।  

রাজধানীর রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করতে ইয়াছিন দুটি গ্রুপের কাছ থেকে টাকা নেন। সেখানে তিনি একটি কমিটির স্থলে দু'টি কমিটি গঠন করে দেন।

টাকা সম্পর্কে বিএনপির এক কর্মী জানান, কায়সার ও শামিম গ্রুপের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন ইয়াছিন। শামীম যোগ্য ছিল, কিন্তু কায়সারের কাছ থেকে সে বিভিন্ন সময় অর্থ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিদেশ ভ্রমণ করেছে। শামীমকে একটি কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বানিয়ে দেন। আর কায়সারকে সভাপতি করে আরেকটি কমিটি করেন।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল ফান্ডের টাকা ইয়াছিল আলী আত্মসাত করেছে বলেও দলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন। 

মিরপুরের একাধিক নেতাকর্মী পরিবর্তনকে জানান, ইয়াছিন আলী ৭ নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক নাসিম হায়দার সুমনকে টাকার বিনিময়ে সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বানান। 

বিএনপির মিরপুর থানার নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের সাথে ইয়াছিনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। তিনিই সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আন্দোলন পরিচালনার অর্থ ইয়াছিনের হাতে দেন। এছাড়া ইয়াছিন আলী লন্ডন সফর করে তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং তারেক তাকে 'ক্লিয়ারেন্স' দিয়েছেন বলে তিনি সবার কাছে বলে বেড়ান। 

বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মূলত পুলিশ-র‍্যাবের সাথে ইয়াছিন আলীর সু-সম্পর্কে রয়েছে। তিনি পল্লবী থানার একাধিক পুলিশ-র‍্যাব কর্মকর্তাকে নিয়মিত মাসোহারা দেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় না। আর গ্রেপ্তার হলেও খুব দ্রুত জামিনে বেরিয়ে যান।

জানা গেছে, ইয়াছিন আলীর সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।  তিনি নিজেকে ইলিয়াস মোল্লার সহপাঠি বলে দাবি করেন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি ইলিয়াস মোল্লাকে নির্বাচনে সহযোগিতা করেন বলে জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে নেতারা অভিযোগ করছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'আমরা জিয়ার সৈনিক' নামে একটি ফ্যান পেজ খোলা হলে তা ইয়াছিন আলী বিটিসিএলের মাধ্যমে তা মুছে দেন। বিটিসিএলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে তার সু-সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে জানতে শনিবার বিকেল ৩টা ২২ মিনিট ও ৩টা ৫৬ মিনিটে ইয়াছিন আলীর সাথে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সাথে টেলিফোনে বহুবার যোগাযোগ করা হয়। তবে রিং হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ফুল সাইজ পোস্টার দেখতে ক্লিক করুন।

এআইএম/রর

http://www.poriborton.com/post/59379/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home