Banner Advertiser

Monday, August 11, 2014

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'ফাঁকি দিয়া আনিলি আসাম'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'ফাঁকি দিয়া আনিলি আসাম'


পানীয় হিসাবে চায়ের প্রচলন
হয়েছে বহু প্রাচীন কালে। চিন,
জাপানের লোকেরা সুপ্রাচীনকাল
থেকে চা পান করে আসছে।
ব্রিটিশদের চা পান সেই তুলনায়
অনেক নতুন। মাত্র কয়েকশ' বছর
আগে থেকেই এই নেশায় মেতেছে
তারা।


মূলতঃ চিন থেকে আমদানি করা চা
দিয়ে কাজ চালাতো ব্রিটিশরা।
কিন্তু, তাদের নিজেদের মাটিতেই
যে গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে, সে
খবর তারা জানতো না।


১৫৯৮ [...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=42238


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

Re: [mukto-mona] Dangerous



If a dead soul has to entertain dozens of houris, difference between heaven and hell disappears.

Sent from my iPad

On Aug 10, 2014, at 6:51 PM, "ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 

From his accent, I have the feeling that he is from Sylhet district. This morning I heard the news that a British person from Portsmouth (of Bangladeshi origin) fighting for ISIS has been killed. It may be that he is the chap who had gone to his favoured place in heaven (or could even be hell)!


From: "SITANGSHU GUHA sbguha@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Saturday, 9 August 2014, 16:37
Subject: [mukto-mona] Dangerous



__._,_.___

Posted by: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Bleeding Palestine



A. Rahman: "What is it that is lacking in Muslims which leave them lagging behind other peoples of the modern world?"

Addiction to extremely high doses of religion is the only reason for the lag on the Muslim around the world.
Even though it is unfortunate, but - Palestinian story has attained the Crying Wolf status by now. Most people have given up on Palestinians; they can't even attain a consensus among themselves about the solution to their problems. 

There is another rising story in Iraq now, which is also in the backyard of Palestine, and understandingly grabbing all the attention of the whole world now.

Jiten Roy

 
 
 
 
 
 
Bleeding Palestine | Opinion
Palestine bleeds and bleeds again. After three days of truce, which began on Tuesday (5th August, 2014), Israel resumed aerial bombing this morning on Gaz...
Preview by Yahoo
 
 


On Monday, August 11, 2014 4:52 PM, "ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
The write-up in the opinion column of bdnews24 entitled 'Bleeding Palestine' has appeared today. The URL is given below.

http://opinion.bdnews24.com/2014/08/10/bleeding-palestine/

- AR




__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] যুদ্ধাপরাধসহ ৯ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত ॥ জামায়াত ক্রিমিনাল



যুদ্ধাপরাধসহ ৯ ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত ॥ জামায়াত ক্রিমিনাল
০ চূড়ান্ত দালিলিক রিপোর্ট প্রকাশ তদন্ত সংস্থার 
০ রাজনীতি নিষিদ্ধ ও সম্পত্তি বাজেয়াফতের সুপারিশ
০ কাল চীফ প্রসিকিউটরের কাছে রিপোর্ট দাখিল করা হবে

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এখন বিচারের মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ধর্মভিত্তিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধসহ নয় ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত সংস্থা এ সংগঠনটির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে রিপোর্ট দাখিল করা হবে। দল হিসেবে নিষিদ্ধের পাশাপাশি জামায়াতের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াত তাদের সহযোগী সংগঠক ইসলামী ছাত্র সংঘ, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহাযোগিতা দিতে গঠিত শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস, মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম নিষিদ্ধের আবেদন করা হয়েছে। সব সম্পদ বাজেয়াফতের আবেদন করা হয়েছে। প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, 'তদন্ত শেষ হয়েছে। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে বিভিন্ন ধরনের সাজা হতে পারে। সংগঠনটি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াফত করা হতে পারে।' 
মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ ধানমন্ডির সেফ হোমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সাত মাস তদন্তের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এই দলটির যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিষয়ে এ তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সাক্ষী ৭০ জন ॥ জামায়াতের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদদের। এর মধ্যে ড. আবুল বারকাত, আনু মুহাম্মদ, ইমদাদুল হক মিলন, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মঞ্জুরুল আহসান খান, মেজবাহুর রহমান, মাওলানা ফরিদ উদ্দিনসহ ৭০ জন।

সম্পদ ১০৯টি ॥ জামায়াতের সম্পদ বাজেয়াফতের তালিকায় রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, কেয়ারী ফুড, ইসলামী ব্যাংক চক্ষু হাসপাতাল, সান সিটি, দৈনিক সংগ্রাম, শতাব্দী প্রেস, আধুনিক প্রকাশনী প্রেস, দারুল ইসলাম ট্রাস্ট, সোনার বাংলা পত্রিকা, রাবেতা ইসলাম, দারুল ইসলাম ট্রাস্ট, ফুলকুড়ি, ফালাহ্ আম ট্রাস্টসহ ১০৯টি প্রতিষ্ঠান। তদন্ত কর্মকর্তারা মতামতে বলেছেন, তদন্তকালে প্রাপ্ত ও উদ্ঘাটিত সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশে ২৫ মার্চ ১৯৭১ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্ত সংগঠন 'জামায়াতে ইসলামী' তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ আইনে ৩(২) ধারায় অপরাধ করেছে। এ সময় তারা নয় ধরনের অপরাধ করেছে, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। (এ) মানবতাবিরোধী অপরাধ, (সি) গণহত্যা, (ডি) যুদ্ধাপরাধ, (ই) জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ অনুযায়ী সশস্ত্র সংগ্রামের সময় মানবতাবিষয়ক আইনের ভঙ্গন, (এফ) আন্তর্জাতিক আইনের অন্যকোন অপরাধ, (জি) এমন অন্যকোন অপরাধের পদক্ষেপ গ্রহণ সেগুলোর সমর্থন আনা এবং ষড়যন্ত্র করা, (এইচ) এ রকম অপরাধের সহায়তা করা অথবা বোধ করতে ব্যর্থ হওয়া। এ ছাড়া ৪(১) ও ৪(২) উর্ধতন দায় এবং এ সকল অপরাধের সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র সেকশন-৩ এর (বি) অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সব ধরনের অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অপরাধের স্থান ॥ নয় ধরনের অপরাধ ছাড়াও অপরাধের সময়কাল ছিল একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর। অপরাধের স্থান- বাংলাদেশের সর্বত্র। অভিযুক্ত সংগঠন- জামায়াতে ইসলামী (কেন্দ্র থেকে সকল স্তরের নেতৃত্ব)। তদন্তকাল- ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত। তদন্তকালীন কর্মকর্তা- মতিউর রহমান। সর্বমোট ডকুমেন্ট- (ক) তদন্ত প্রতিবেদন ৩৭৩ পাতা, (খ) জব্দ দালিকা ও দালিলিক প্রমাণপত্র ৭ খ-ে মোট ২৩০৩ পাতা, (গ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়, (ঘ) রিট পিটিশন, (ঙ) জামায়াতের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ, (চ) বিভিন্ন লেখকের বই-পুস্তক, গবেষণা পুস্তক, ম্যাগাজিন ইত্যাদি প্রায় দুই শতাধিক বই এবং (ছ) সর্বশেষ সাক্ষী।

নুরেমবার্গের পর এই প্রথম ॥ তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক এমএ হান্নান খান বলেছেন, বিজয়ের মাসে তদন্ত সংস্থা এমন একটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দিতে যাচ্ছে যার জন্য দেশবাসী উৎসুক হয়ে আছে। নুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রাইব্যুনালের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোন সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে। সব সময় সংগঠন নিষিদ্ধ হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে। এই দল জামায়াতে ইসলামী আগেও চার বার নিষিদ্ধ হয়েছিল। এবারই প্রথম জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে হাইকোর্ট একটি রায় প্রদান করেছে। রায়টি এখন আপীল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বালাদেশ স্বাধীনতার আগে ও পরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিবেদনে জামায়াত নিষিদ্ধের আবেদন জানিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুই সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান ও সানাউল হক, তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান, মোঃ হেলাল উদ্দিন, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক জানিয়েছেন, একটি সংগঠন হিসেবে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলবদর, আলশামস রাজাকার বাহিনী গড়া হয়েছিল। জামায়াতই একমাত্র সংগঠন যারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিল। জামায়াতের প্রাইভেট সংগঠন ছিল আলবদর আর আলশামস। এটা আরও গুরুতর অপরাধ। এই মুহূর্তে জামায়াত ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিচার চাই। পিডিবি, মুসলিমলীগসহ অন্যান্যদের বিষয়ে প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে দেখা যাবে। 

সহযোগী সংগঠন ॥ তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধে ব্যক্তির পর সংগঠনের বিচার তদন্তে এই প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বৃহস্পতিবার। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের মূলত চারটি বিষয় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশল, ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, শান্তির বিরুদ্ধে কৃত অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা। এ ছাড়া প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সংগঠনকে সামনে রেখে জামায়াতের অপরাধ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতের হাইকমান্ড (গোলাম আযম, মজলিসে শূরা), ছাত্র শাখা (ইসলামী ছাত্র সংঘ), জামায়াতের লিয়াঁজো কমিটি (শান্তি কমিটি), অপারেশন কমিটি (রাজাকার, আলবদর, আলশামস), প্রোপাগান্ডা (দৈনিক সংগ্রাম)।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। সর্বশেষ গোলাম আযমের রায়ে জামায়াতকে একটি 'ক্রিমিনাল সংগঠন' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। হান্নান খান জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের তখনকার সহযোগী সংগঠনগুলো যে সারাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছিল, তার প্রমাণ তারা তদন্তে পেয়েছেন। তদন্তের ভিত্তিতে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জেনেভা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র এবং এ সব অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থতাসহ নয় ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৭০ জনকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী, তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা দিতে গঠিত শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী এবং জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ৪ এর ১ ও ৪ এর ২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে। 

তিনবার নিষিদ্ধ হয় ॥ উল্লেখ্য, এর আগেও জামায়াতে ইসলামীকে তিনবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সর্বপ্রথম ১৯৫৯ সালে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয। এর পর ১৯৬৪ সালে দ্বিতীয়বার ও ১৯৭২ সালে তৃতীয়বার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে পলিটিক্যাল পার্টিজ রেগুলেশনের (পিপিআর) আওতায় রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালের ২৫ মে একটি কনভেনশনের মাধ্যমে আবারও প্রকাশ্য রাজনীতিতে শিকড় গেড়ে বসে জামায়াত। নতুন নাম দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

২০১৩ সালে জামায়াতের শীর্ষ ৬ নেতাকে বিভিন্ন দ- প্রদান করা হয়। এর মধ্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সাবেক রোকন বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আযাদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরে কারাদ- প্রদান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে রায়ের পর্যবেক্ষণে জামায়াতকে 'অপরাধী সংগঠন' (ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জামায়াতের ৬ নেতার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের ৫টিতেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তানী সেনাদের 'সহযোগী বাহিনী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ সব রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানী সেনাদের পাশাপাশি জামায়াতকেও দায়ী করেছেন। 

প্রসিকিউশনের ভাষ্য ॥ তদন্তকারীদের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে বিভিন্ন ধরনের সাজা হতে পারে। সংগঠনটি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াফত করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ না করায় ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। তবে একাত্তরে ভূমিকার জন্য দলটিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্যও জোরালো দাবি রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কর্মকা- চালালেও একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য কখনই ক্ষমা চায়নি জামায়াত, বরং দলটির শীর্ষ নেতারা স্বাধীনতার পরও বলেছিলেন, একাত্তরে তাদের ভূমিকা সঠিক ছিল।

ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি রায়ের পর্যবেক্ষণে জামায়াতে ইসলামীকে 'ক্রিমিনাল দল' আখ্যায়িত করে বিচারপতি বলেন, দেশের কোন সংস্থার শীর্ষ পদে স্বাধীনতাবিরোধীদের থাকা উচিত নয়। ট্রাইব্যুনালের আগের রায়গুলোতেও জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দলটির সরাসরি সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো উঠে আসে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থেকে 'যুদ্ধাপরাধী' দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি উঠে। জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের পর গড়ে ওঠা এ আন্দোলনের পর আইন সংশোধন করে দলের বিচারের বিধানও যোগ করা হয়। আগের আইনে শুধু যুদ্ধাপরাধী ব্যক্তির বিচারের সুযোগ ছিল।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময় গোলাম আযমের 'গুরু' আবুল আলা মওদুদী বিরোধিতা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সেই ধরনের ভূমিকাই ছিল গোলাম আযমের। জামায়াত দুই সময়েই সাধারণ মানুষের মন বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল মন্তব্য করে ট্রাইব্যুনাল দলটির দূরদৃষ্টির অভাবের পেছনে উগ্র মৌলবাদী চেতনাকেই চিহ্নিত করেছে। 'স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী কিছু মানুষ জামায়াতের হাল ধরে আছেন। যার ফলে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতাবিরোধী চেতনা ও সাম্প্রদায়িক অনুভূতির মানসিকতায় বেড়ে উঠছে, যা দেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়।'

ভুল স্বীকার করেনি ॥ তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ১৯৫১ সালের আহম্মদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঙ্গা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী জামায়াতের রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকা-ের দালিলিক তথ্যউপাত্ত রয়েছে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর দর্শন ও আদর্শকে। তদন্ত সংস্থা অন্যান্য তথ্যউপাত্তের সঙ্গে যে সমস্ত বই রেখেছেন তার মধ্যে রয়েছেÑ 'জামায়াতের ইতিহাস', 'একটি জীবন একটি ইতিহাস', 'জামায়াত ফেৎনা স্বরূপ' মাওলানা মওদুদী, মাওলানা নিজামীর বই 'আলবদর থেকে মন্ত্রী'। এ ছাড়া পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর বইও রয়েছে। পত্রপত্রিকার মধ্যে রাখা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সমস্ত পত্রিকায় নিউজ ছাপা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক পয়গাম, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক অবজারভারসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস। 

তদন্ত সংস্থার ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। কেবল বিরোধিতা করেই তারা ঠিক থাকেনি, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহায়তায় জামায়াতের নেতা ও কর্মীদের রাজাকার, আলবদর, আলশামস নিয়োগ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ সমস্ত সহযোগী বাহিনী দেশব্যাপী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। তাদের অত্যাচারে এক কোটি শরণার্থী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়। ইতোমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নয়টি মামলায় দশ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে। আরও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরাধের ভুল স্বীকার করেনি জামায়াত। বরং স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং ১৯৮১ সালের ২৯ মার্চ দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান বলেছিলেন, একাত্তরে তাদের ভূমিকা সঠিক ছিল। শুধু তাই নয়, সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের কনসেপ্ট ছিল না। ওই সময় পকিস্তানের নাগরিক গোলাম আযমও বলেছিলেন 'বাংলাদেশ মাটির নাম, আদর্শের নাম নয়।' 

প্রথম আত্মপ্রকাশ ॥ ১৯৪১ সালের এপ্রিল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাওলানা মওদুদী প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামের তৎপরতা শুরু ভারতীয় উপমহাদেশে। একই বছরের ২৬ আগস্ট ৭৫ প্রতিনিধি নিয়ে লাহোরে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। ওই দিন সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে ১৯৩৮ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চার কর্মী নিয়ে 'দারুল ইসলাম' নামক সংগঠন যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী ও ভারত জামায়াতে ইসলামী নামে বিভক্ত হয় জামায়াত। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব সৃষ্টি হয় জামায়াতের। 'কাদিয়ানী সমস্যা' নামক একটি বিতর্কিত বই লিখে ১৯৫৩ সালের ২৮ মার্চ গ্রেফতার হন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী। সামরিক আদালতে তাঁর ফাঁসি হয়। পরে সৌদি বাদশাহর হস্তক্ষেপে ১৯৫৫ সালের ২৯ এপ্রিল মুক্তি দেয়া হয় তাঁকে।
 জনকন্ঠ।
Related:

মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৯-২০১২


http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-11/news/288426

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পক্ষের প্রতীক ছিলেন গোলাম আযম
যুদ্ধাপরাধী বিচার
সুলতানা কামালের জবানবন্দী

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-09-11&ni=108832

আলবদর ১৯৭১ - ১৬ (শেষাংশ)
মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৭ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১৫ 


সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৬ ভাদ্র ১৪১৯
 আলবদর ১৯৭১ -১৪



রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৫ ভাদ্র ১৪১৯
 আলবদর ১৯৭১ -১৩ : আলবদর ১৯৭১ ॥ বুদ্ধিজীবী হত্যা ... ..
শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৪ ভাদ্র ১৪১৯

বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040

আলবদর ১৯৭১ -১২
শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১১
বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২১ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ১০

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২০ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৯

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৯ ভাদ্র ১৪১৯
  আলবদর ১৯৭১ 

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2012-09-02&ni=107855 
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৮ ভাদ্র ১৪১৯
 আলবদর ১৯৭১  - 
শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৭ ভাদ্র ১৪১৯

আলবদর ১৯৭১ -    
শুক্রবার, ৩১ আগষ্ট ২০১২, ১৬ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৫ 
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগষ্ট ২০১২, ১৫ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - ৪
বুধবার, ২৯ আগষ্ট ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
মঙ্গলবার, ২৮ আগষ্ট ২০১২, ১৩ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১ - 
সোমবার, ২৭ আগষ্ট ২০১২, ১২ ভাদ্র ১৪১৯
আলবদর ১৯৭১  - ১ 
রবিবার, ২৬ আগষ্ট ২০১২, ১১ ভাদ্র ১৪১৯ 


৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

থেমে থাকেনি গোলাম আযম:
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=8983&Itemid=53
দেশ স্বাধীনের পরও পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতা বিপন্নের ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতক গুরু গো'আযম :
http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=4&textid=2812


মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক':


যুদ্ধাপরাধীদের বিচারএকাত্তরে তাঁরা কে কোন দলে ছিলেনকী করেছেন

http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=124&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4

একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি

http://www.prothom-alo.com/detail/news/215745

থেমে থাকেনি গোলাম আযমের চক্রান্ত:

"... বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করতে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। জামায়াতে ইসলামীর এ সাবেক আমির ২০০২ সালে প্রকাশিত তার নিজ জীবনী 'জীবনে যা দেখলাম' বইয়েও তা অকপটে স্বীকার করেছেন । ......."

"...১৯৭২ সালের জানুয়ারি গোলাম আযম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি'। ..."

http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&view=archiev&y=2012&m=01&d=12&option=single&news_id=225528&pub_no=929 

 

রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম:

http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Bank&pub_no=794&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=16-02-2012

১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/fix/29522100





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] পনেরোই আগস্ট ॥ বাংলাদেশ বেতারে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অপারেশন



সোমবার, ১১ আগষ্ট ২০১৪, ২৭ শ্রাবণ ১৪২১
পনেরোই আগস্ট ॥ বাংলাদেশ বেতারে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অপারেশন
খালেক বিন জয়েনউদদীন
পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট ধলপহরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির বত্রিশ নম্বরের চিরচেনা বাড়িতে স্বাধীনতাবিরোধী একদল নরঘাতকের গুলিতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। একই সময়ে তাঁর ভগ্নিপতি ও মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুর রব সেরানিয়াবাত এবং তাঁর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি বাসায় প্রাণ হারান। তাঁদের সঙ্গে ওই তিনটি বাড়িতে আরও নিহত হন পরিবারের সদস্য, আমন্ত্রিত অতিথি, বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ নাসের এবং কামানোর গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরের একটি পরিবারের বেশ ক'জন।
পনেরোই আগস্ট একই সময়ে ওই নরঘাতকদের একটি গ্রুপ দ্বারা আক্রান্ত হয় শাহবাগে অবস্থিত সে সময়ের বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা কেন্দ্রটি। তারা অবশ্য গুলি-গালা না ছুড়েই কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। এই কেন্দ্রটি থেকে খুনী মেজর ডালিম প্রথম ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার কথা। ইথারে ছড়িয়ে দেয়া সেই কুৎসিত ভাষায় উচ্চারিত ঘোষণাটি শুনেই দেশবাসী জানতে পারে বঙ্গবন্ধুর সেই মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা। ঘোষণাটির পূর্বে ওই খুনী বাংলাদেশ বেতারের নাম পাল্টিয়ে রেডিও পাকিস্তানের আদলে ঘোষণা করে রিডিও বাংলাদেশ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী ভাবধারায় নামটি বজায় থাকে। জিয়া, সাত্তার, খালেদা ও এরশাদ কেউ প্রকৃত নামটি ফিরিয়ে আনার জন্য পঁচাত্তরের পূর্বে ফিরে যায়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ও বিবরণ, সাক্ষ্য এবং পত্রিকায় প্রকাশিত নানা লেখায় আমরা পনেরোই আগস্টের প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরেছি। কিন্তু ওই দিন সকালে বাংলাদেশ বেতার অপারেশনে বিনাবাধায় মেজর ডালিম ও কিসমত কিভাবে বেতার ভবনটি দখল করে নেয়- সেই কাহিনী আজও পর্দার আড়ালে রয়ে গেছে। পর্দার আড়ালে রয়ে গেছে দখলকারী খুনীদের যোগসাজশ দখল ও ওই দিন জানপ্রাণ দিয়ে সহায়তাকারীদের নাম। কেন লেখা হয়নি এই দখল নেয়ার কাহিনী। এখনও বেঁচে আছে খুনীদের বেতার দখল নেয়ার পর নির্যাতনভোগকারী আশরাফুল আলম, ফজল এ খোদা প্রমুখ। ইতোমধ্যে মারা গেছেন অপর নির্যাতনভোগকারী শহীদুল ইসলাম। যিনি ছিলেন শব্দ সৈনিক ও 'বিজয় নিশান উড়ছে ঐ' গানটির অমর গীতিকবি।
যা বলছিলাম -বিনা বাধায় খুনী চক্রের মেজর ডালিম, কিসমত বেতারের মূল ফটকের বাইরে জীপ-ট্রাক রেখে স্বদর্পে বেতারের ছোট দরজাটি দিয়ে ঢুকে ফটক সংযুক্ত অভ্যর্থনা কক্ষে বেতার গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনা বিধায় সাধারণত পুলিশ নিরাপত্তা বিধান করে এবং এই নিরাপত্তা কর্মীরা একটি বড় কক্ষে ভেতরে অবস্থান করে। প্রয়োজনে তারা ফটক পাহারা দেয়। তবে ভারি অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত কোন সামরিক বাহিনীকে বাধা দেয়ার মতো তাদের অস্ত্র ও শক্তি থাকে না। সাধারণত দেখা যায় অনুষ্ঠান প্রচার শেষে গেটরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মী- ওই অভ্যর্থনা কক্ষেই বিশ্রাম নিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন। পনেরোই আগস্ট ঢাক বেতার কেন্দ্রটির নিরাপত্তা ছিল এমন। ভোর ৪টায় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রাইফেল ও স্টেনগানধারী একদল সৈনিক নিয়ে বরখাস্তকৃত মেজর ডালিম পূর্বে আরেকটি অপারেশন শেষ করে গেট পেরিয়ে অনায়াসে ভেতরে প্রবেশ করে এবং মূল গেট খোলার কর্কশ নির্দেশ দিয়ে ডিউটি রুমের সামনে দাঁড়ায়। ডিউটি রুম অনুষ্ঠান প্রচার শেষ হলে বন্ধ রাখা হয়। ওই দিন রুমটির দরজা চাপানো ছিল। মেজর ডালিম ওই সময় সঙ্গী দুজন ক্যাপ্টেনকে নিয়ে পাশের একটি খোলা কক্ষে প্রবেশ করে। কক্ষটি ছিল এক বেতার কর্মকর্তার। অফিস কক্ষ ছুটি হলে সকল কর্মকর্তার কক্ষই বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ওই দিন ঐ কক্ষটি পূর্ব থেকেই দরজা চাপানো অর্থাৎ খোলা রাখা হয়েছিল। কক্ষটিতে আসন নেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে রুমের আধিকারিক আপেল মাহমুদ ভবনে ঢুকে হাসতে হাসতে মেজর ডালিমকে অভিনন্দন জানায় এবং পূর্বের পরিকল্পনা মোতাবেক বেতার চালু উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে আপেল মাহমুদ ফোন করে বেতার চালু অর্থাৎ স্টুডিওর মেশিনপত্র চালনা করার টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীদের হত্যার ভয় দেখিয়ে বেতার ভবনে নিয়ে আসে।
কিছুক্ষণ পরেই ওয়্যারলেসে মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধু এবং অন্যদের নিধনের সংবাদ পায়। এর পর আপেল মাহমুদের মুসাবিধার বঙ্গবন্ধু হত্যার সংবাদটি হাতে নিয়ে বেতার স্টুডিওতে যায় মেজর ডালিম। প্রথম ক'বার খুনী স্বকণ্ঠে ঘোষণাটি প্রচার করে। পরে আপেল মাহমুদের লেখা ওই ঘোষণা রেকর্ড করে বার বার প্রচার করা হয় এবং নির্দেশ জারি করা কার্ফুসহ অন্যান্য ভয়ার্ত সংবাদ।
সকাল ১০টার দিকে পূর্বের আলোচনা মোতাবেক বেতার ভবনে ছুটে আসে মুক্তিযুদ্ধের প্রচণ্ড বিরোধীকারী খান আতা ওরফে খান আতাউর রহমান। তিনি আপেল মাহমুদের রুমে বসে নিজের লেখা দুটি গানের সুর করেন। গান দুটি -মেজর ডালিমের সঙ্গে আলাপ করে আগেই লেখা। গান দুটিতে ফারুক- রশিদ- ডালিমদের সূর্যসন্তান আখ্যায়িত করে লেখা। একটি গানের প্রথম চরণ এ রকম- ওরা সূর্যসন্তান- সূর্যসেনা... ওরা কোন বাধা মানবে না । গান দুটি তড়িঘড়ি করে রেকর্ড করেই বাজানো হয়। তখন বেতারের কিছু কিছু কর্মকর্তা আসা শুরু করেছে। কিছু কর্মচারী ও কর্মকর্তা অতি উৎসাহে মেজর ডালিম নির্দেশ পালনে রত হয়।
ইতোমধ্যে মেজর ডালিমের সঙ্গে আসা সৈন্যরা বেতার ভবনের চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে। বেতার ভবনের বাইরে এবং অদূরে দাঁড়িয়ে থাকে মেজর শাহরিয়ারের ট্যাঙ্কবাহিনী। ঢাকার রাস্তায় তখন শুধু খুনীদের গাড়ির অবাধ চলাচল। সেনানিবাস, বেতার আগামসি লেন ও বঙ্গভবনে অবাধ যাতায়াত। এরই মধ্যে ফারুক- রশিদ- খন্দকার মোশতাককে নিয়ে যায় ভঙ্গভবনে। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম নির্দেশদাতা ও পরামর্শক জিয়াও রশিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে এসে খন্দকার মোশতাককে অভিনন্দন জানায়। মাহবুবুল আলম চাষী, তাহেরউদ্দিন ঠাকুররাও সেখানে আগে থেকে উপস্থিত। সিদ্ধান্ত হয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে খন্দকার মোশতাক জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। জুমার নামাজের পর মাথায় পাকিস্তানী টুপি পরে বেতার ভবনে আসে এই ঘৃণিত ব্যক্তিটি। বেতারে তখনও চলছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বুলেটিন এবং খুনীদের সূর্যসন্তান আখ্যায়িত করে খান আতার লেখা গান। আপেল মাহমুদের রুমটি তখন মেজর ডালিমের রুমে রূপ নিয়েছে। খানা-পিনা ও পানে বিভোর রুমের অবস্থানকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেতারে তাশরিফ আনে খন্দকার মোশতাক। তার সঙ্গে ঠাকুর, চাষী, মোয়াজ্জেমসহ সাঙ্গোপাঙ্গরা।
জাতির উদ্দেশে স্বঘোষিত নতুন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবে। ভাষণও রেডি। কিন্তু স্টুডিওতে গিয়ে বেঁকে বসে খন্দকার। তিনি শেখ মুজিবকে হত্যার প্রমাণ চান। কথা ও ঘোষণা তিনি বিশ্বাস করেন না। ভাষণ দেয়ার জন্য স্টুডিওতে কালক্ষেপণ করে মোশতাক। বেতার ভবন দখলকারী খুনীরা রীতিমতো হতবাক। তাদের সকল আয়োজন বুঝি ভেস্তে যায়। বেলা আড়াইটার দিকে বেশকটি ছবি নিয়ে স্টুডিওতে ঢোকে মেজর ডালিম। ছবিগুলো বঙ্গবন্ধু ও অন্যদের। বঙ্গবন্ধু ও অন্যরা মৃতুবত পড়ে আছে সিঁড়িতে ও মেঝোতে। খন্দকার ছবি দেখে দাড়ি ও টুপিতে হাত বুলিয়ে ধন্যবাদ জানান মেজর ডালিমদের এবং বিস্মিল্লাহ বলে ভাষণ শুরু করেন এবং শেষ করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে। ভাষণের সময় খন্দকার কাঁপছিলেন এবং কণ্ঠ আড়ষ্ট হয়ে আসছিল। খুব অল্প কথার ভাষণ। এর পর দ্রুত তিনি খুনীদের প্রহরায় বঙ্গভবনে আশ্রয় নেন।
এর পর বেতার ভবনে চলে আনুগত্যের পালা। বন্দুকের নলের মাথায় ধরে নিয়ে আসা হয় পুলিশ ও বিডিআরের প্রধানদের। তারাও খুনীদের কর্মকা- স্বীকার করে মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। ১৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে খুনীদের যা ইচ্ছে তাই প্রচার, মোশতাকের ভাষণ, মেজর ডালিমের নির্দেশ, আনুগত্য স্বীকারের ঘোষণা ও সূর্যসন্তানদের নিয়ে রচিত গান আতার গান। রাত সাড়ে ১টার পর আবার খানা-পিনা ও পানে মেতে ওঠে মেজর ক্যাপ্টেনরা। মাঝে দু'তিনবার বেতার ভবনে পরিদর্শন করে গেছে অপারেশনের সিপাহসালার কর্নেল ফারুক। না, আপেল মাহমুদ সে রাত বাসায় ফিরে যায়নি। দোস্ত ডালিমের বুকে মাথা রেখেই রাত কাটিয়েছেন। বঙ্গবভন ও বেতার ভবন যতদিন বঙ্গবন্ধুর খুনীরা দখলে রেখেছিল, ততদিন বেতারও দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিল ডালিম- দোস্ত আপেল মাহমুদ।
আমরা বিস্মিত হয়েছি বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার আসামিদের নামের তালিকা দেখে বেতার অপারেশনে যারা বা যিনি পূর্ব থেকেই ডালিমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং গান রচনা করে দেশের শোকাহত মানুষকে ব্যথা দিয়েছে, তাদের মামলায় আসামি করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি পুস্তিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও খান আতার নাম উল্লেখ করেছেন। তাহলে আপেল মাহমুদ ও খান আতার দায়মুক্তি কেন? আর ওই সময় মুজিবভক্তরা বেতারে চাকরি করে খুনীদের অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করেছিল, তাদের কথা কী দেশবাসী জানতে পেরেছে?
বাংলাদেশ বেতার একটি রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র। এই যন্ত্রটি দখল করে খুনীরা কত মিথ্যে ভাষণ ও কথা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। কিন্তু খুনীদের শেষ রক্ষা হয়নি। কারও ইতোমধ্যে ফাঁসি হয়েছে। পনেরো আগস্ট ফিরে এলেই সেই বিভীষিকাময় সময়ের কথা আমাদের মনে পড়ে। মনে পড়ে খুনী ডালিমগংয়ের কথা। মনে পড়ে ওই দিন আপেল মাহমুদ এবং বেঁচে আসা কিছু বেতার কর্মীর কথা। তারা ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেতারে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছে। ইতিহাস কত নির্মম? আজ তারা চিরতরে হারিয়ে গেছে।


লেখক : বাংলাদেশ বেতারের সাবেক স্ক্রিপ্ট রাইটার
সহসম্পাদক বেতার বাংলা

প্রকাশ : সোমবার, ১১ আগষ্ট ২০১৪, ২৭ শ্রাবণ ১৪২১




  1. 'জয় বাংলা





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___