Banner Advertiser

Tuesday, December 23, 2014

[mukto-mona] শিশু হত্যাকারী তালেবান ও খালেদা সমাচার



শিশু হত্যাকারী তালেবান ও খালেদা সমাচার
তারিখ: ২৪/১২/২০১৪
  • মমতাজ লতিফ
সাম্প্রতিককালের একটি বর্বরোচিত শিশু-গণহত্যার নিকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে পাকিস্তানের পেশোয়ারের মাধ্যমিক স্কুলে তালেবানদের হামলাটি। মনে হয় না, এ পৈশাচিক হামলার ঘটনাটি টিভিতে দেখার সময়, সংবাদপত্রে পড়ার সময় কোন মানুষ অশ্রুসংবরণ করতে পেরেছে। এক সঙ্গে উচ্চ শিক্ষায় অগ্রসর হতে শ্রেণীকক্ষে পাঠগ্রহণরত এক শ'ত্রিশ জন শিশু-কিশোরকে যারা হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে এবং হত্যা করতে পারে, তাদের তো এই পৃথিবীতে জীবিত থাকার কোন অধিকার নেই। স্বর্গ-নরক দূরে থাক, স্বদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে এক মুহূর্তে যারা লাশে পরিণত করতে পারে, তাদেরকে, তাদের মতাবলম্বী, ইসলামের ধ্বংস নিশ্চিতকারী খুনীদের সম্ভব হলে এই পৃথিবী ছাড়া করা দরকার। তাদের দ্বারা কৃত মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে একটি বিশাল পাপ সংঘটিত করে তারা তাদের উৎস দল- আলকায়েদা, তালেবান, ওহাবীবাদ এবং তাদের জঙ্গী-জিহাদী দলগুলো যেমন জামায়াতে ইসলামী, জেএমবি, হিযবুত তাহরীর, হরকাতুল জেহাদ, লস্করই তৈয়বা, সিমি, মুসলিম লীগ, আফ্রিকায় বোকো হারাম, আল শাবাব, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে আইএস, আল নুসরা- এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষিত, অশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের ধ্বংসের লক্ষ্যে চৌদ্দ শ' বছর পূর্বের প্রাচীন উপজাতিতে উপজাতিতে অনাবশ্যক, অযৌক্তিক, অমানবিক লড়াই, হত্যা, হানাহানির এক চরম বিশৃঙ্খল, অরাজক পরিস্থিতিতে নিপতিত করার কাজ করছে! স্মর্তব্য, এ যুগের এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণী যাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের বৈপ্লবিক আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিছিল, সভা, সমাবেশ করার পাশাপাশি সমাজতন্ত্রের নীতি, আদর্শ বোঝার পাঠ, আলোচনা, বড়দের বিশ্লেষণ শোনা এবং বন্যা দুর্যোগে দরিদ্রদের সাহায্যে অর্থ ও অন্যান্য সেবা সংগ্রহ ও বিতরণে অংশগ্রহণ করে নিজেদের ধন্য মনে করত! আশ্চর্য এই যে, ঐ যুগের স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের ছাত্র রাজনীতিতে ঐ নেতা, কর্মীদের মধ্যে ছিল প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার উজ্জ্বল নক্ষত্র! নির্মমভাবে উপলব্ধি করি, স্বাধীনতার পর '৭৫-এর নির্মম বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার পর যুদ্ধাপরাধী-মিত্র জিয়াউর রহমান-মোশতাক-ফারুক-রশীদ ক্ষমতা দখল করার পর এই সুস্থ ছাত্ররাজনীতিও বড় দলের রাজনীতির মতোই সুস্থ মানবিক রাজনীতির বিপরীত মুখে যাত্রা করল! জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেকের দীর্ঘকালব্যাপী ওহাবী-জিহাদী উগ্রপন্থী, '৭১-এর যুদ্ধাপরাধী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির ও নতুন যুগের উপযোগী জনমানুষকে ক্যামোফ্লেজ করার লক্ষ্যে গঠিত দল বিএনপি একযোগে প্রথমেই যে মানবিকতাবিরোধী পদক্ষেপটা গ্রহণ করেছিল তা হচ্ছে, জনমানুষ, বিশেষ করে, তরুণদের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, স্বজাতির গৌরবের বিষয়গুলো মুছে দেয়া! অতঃপর আদর্শহীন শূন্য মস্তিষ্কের প্রজন্মের জন্মদান! তারপর, আদর্শহীন, বিশ্বাস গৌরব বোধহীন মস্তিষ্কে মৌলবাদের জঙ্গী জিহাদী-উগ্রবাদ রোপণ! এ কারণেই '৭৫-এর পর কমপক্ষে তিনটি দশকে এই আদর্শহীন তিন প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে যাদেরকে শিকড়হীন, পলায়নপর, স্বার্থমুখী বলেই জনগণ দেখেছে! 

আজকে, উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী নিজেরা উক্ত সব জঙ্গী জিহাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে! তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চ জ্ঞান নিয়ে তারা জঙ্গী মৌলবাদী রাজনীতির আসল লক্ষ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন না করে কতগুলো মূর্খ, কুচক্রী, মানবিক রাজনীতি ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনাকারী মোল্লাদের 'দাস' হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে! ঘটাচ্ছে পাশবিক, পৈশাচিক বর্বর খুন হত্যাকা-! এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে, বর্তমান যুগের একদল তরুণ-তরুণী একদিকে উচ্চ যান্ত্রিক জ্ঞান অর্জন করে মানবতাবিধ্বংসী পুরাতন অবাস্তব শরিয়া রাষ্ট্রের কিছুই না বুঝে কুচক্রী ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লাদের নির্বোধ 'দাসে' পরিণত হয়ে নতুন নতুন মারণাস্ত্র উদ্ভাবন করছে! এমনকি গণতন্ত্রের শেষ বাতিঘর শেখ হাসিনাকে হত্যা করার লক্ষ্যে ড্রোন পর্যন্ত তৈরি করছে! এর চাইতে আফসোসের আর কি থাকতে পারে আমাদের জন্য, যারা একটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন, একটি বিজয়ের স্বপ্ন দেখে ছাত্ররাজনীতি করেছি! এই ওহাবীবাদী উগ্র-জঙ্গীবাদী পাকিস্তানী তালেবান দল আজ মানবতার, মানবসভ্যতার শ্রেষ্ঠ মূল্যবোধ, ইসলামের পয়গম্বর মোহাম্মদের প্রিয় শিশুদের হত্যা করেছে শিক্ষারত অবস্থায়! অথচ নবীর একটি শ্রেষ্ঠ উপদেশ ছিল- 'শিক্ষার জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও।' শিক্ষা মানুষের জন্য কত প্রয়োজনীয়, কিন্তু সে যুগে কত দুর্লভ ছিল, তা তাঁর এ উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানে লাদেন কর্তৃক জন্ম দেয়া ওহাবী-সুন্নিদের দ্বারা গঠিত আলকায়েদা-তালেবান দলের সদস্যরা ছিল প্রায় নিরক্ষর, অর্ধশিক্ষিত এবং কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার শিক্ষার্থী যারা স্বাভাবিকভাবেই নিজস্ব যুক্তিবোধহীনতার কারণে নির্বোধের মতো মোল্লাদের নির্দেশকে ধর্মীয় নির্দেশ হিসেবে মান্য করছে যা দুই দশক আগেও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কাছে ছিল অকল্পীয়! আজ এ মর্মান্তিক ঘটনার পর কয়েকটি দাবি খুব স্বাভাবিকভাবে উঠেছে।
পাকিস্তানে এই শিশু-গণহত্যার প্রধান দায় নিতে হবে পাকিস্তানের ওহাবীবাদী সুন্নি আলকায়েদা-তালেবান নেতাদের, এ বলাবাহুল্য। 
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ভারত মিলে আন্তঃত্রিদেশীয় জঙ্গী মৌলবাদী দমনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি টাস্কফোর্স গঠন, অনেক দেরিতে হলেও একান্ত জরুরী যেটি নামসর্বস্ব না হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জঙ্গী দমনে ও উৎপাটনে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করবে। 
তৃতীয়ত, ভারতকে পাকিস্তানের সহযোগিতার অপেক্ষা না করে নিজস্ব উদ্যোগে, যেমন শেখ হাসিনা স্বউদ্যোগে জঙ্গী নির্মূলে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তেমনই নিজ দেশের জঙ্গী উত্থানের একটি উৎসÑ কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে গণশুনানির মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের উদ্যোগ বর্তমান পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই গ্রহণ করতে হবে। শেখ হাসিনা যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করার প্রথম উদ্যোগ হিসেবে পার্বত্যনেতা সন্তু লারমার সঙ্গে একটি ঐকমত্যে পৌঁছার পর শান্তিচুক্তি করেছেন, তেমনি, ভারতের পক্ষে নিজ দেশের স্বার্থে, নিজ জাতির শান্তিপূর্ণ জীবনের স্বার্থে কাশ্মীরি নেতা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে, এমনকি জনগণের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে হবে যার কোন বিকল্প নেই। পাকিস্তানের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে, রয়েছে নানা বাধা বিঘেœর উৎস, রয়েছে বিশাল ক্ষমতাধারী সেনাবাহিনী- কাশ্মীর ইস্যুকে নিয়ে খেলার রয়েছে নানা পক্ষ। সুতরাং ওদের জন্য অপেক্ষা না করে ভারতে অবস্থিত কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকার ও কাশ্মীরের জনগণই প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করতে দায়িত্বপ্রাপ্তÑ এতে সন্দেহ নেই। ভারত সরকার নিশ্চয় উপলব্ধি করে ভারতে শান্তিবিঘœকারী একটি প্রধান ইস্যু কাশ্মীর, যেটি সমাধান করবে ভারত ও কাশ্মীরবাসী। এরপর রয়েছে লস্করই তৈয়বা, সিমি, মাওবাদী ইত্যাদি জঙ্গীবাদী দল। এসব দলকে, তাদের দলীয় নেতাদের রাষ্ট্র বিরোধিতার দ-- নাগরিকত্ব বাতিল, পাসপোর্ট জব্দ, রাজনীতি চর্চা নিষিদ্ধকরণ, ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করে ভোটাধিকার বাতিলসহ জেল, জরিমানা, ব্যক্তির ও দলের সম্পত্তি বাজেয়াফত এবং সর্বোচ্চ ফাঁসির দ- দিয়ে নির্মূলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াইরত দলগুলোর নেতাদের উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান, প্রয়োজনে ক্ষমা, প্রয়োজনে দ- প্রদান করে এদের দুর্বল করতে হবে। দোষী নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের কঠোর শাস্তি দিয়ে আক্রান্ত উপজাতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। যখন কঠোরতার প্রয়োজন তখন কঠোর হতে হবে।
চতুর্থত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এটি ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবেই নির্দেশিত। তাছাড়া একই ধরনের ওহাবী মৌলবাদী আলকায়েদা, তালেবানের হত্যা-গণহত্যা, বোমা বিস্ফোরণে নিরীহ মানুষ- নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য হত্যার মাধ্যমে দুটো দেশই প্রতিদিন জনসম্পদ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে! দুর্ভাগ্য এ দু'দেশের উভয় দেশের শান্তির শত্রু- এটা ওবামা লিখল কেন? ঐ মৌলবাদী আলকায়েদা ও তালেবান যাদেরকে সমাজতান্ত্রিক আফগান সরকার ও সোভিয়েত সৈন্য বিতাড়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বুশ সরকার ব্যবহার করা শুরু করেছিল! আজ তারা ফ্রাঙ্কেনস্টাইনে পরিণত হয়ে স্বদেশের, স্বজাতির মূল্যবান জনসম্পদকে ধ্বংসে গণহত্যার পাপ করে চলেছে! বর্তমানে তাদের রক্ত পিপাসার শিকার সোভিয়েত বাহিনী, আফগান সমাজতান্ত্রিক সরকার এবং যেসব নেতা নেই। কিন্তু দানবের রক্ত পিপাসা তো একবার শুরু হলে সহজে বন্ধ হয় না! সুতরাং তারা আজ নিজ জাতির নারী, পুরুষ, শিশুর রক্তে এ রক্ত পিপাসা মেটাচ্ছে! খুব দ্রুত এই দানবের অগ্রযাত্রার পথ বন্ধ করতে এই আক্রান্ত দুই দেশকে, এদের সেনাবাহিনী, সরকার এবং সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দানব দমনে সম্ভব সব রকম পন্থা ও কৌশল ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত জাতিকে ইসলাম ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যবহার করে স্বজাতি হত্যার অপরাধ ও মানবতাবিরোধী এসব কাজ- এর বিরুদ্ধে মিডিয়ায়, সমাবেশে, মসজিদের খুতবায়, স্কুলের পাঠ্যবিষয়ের মাধ্যমে প্রবল প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে নারী-শিশুবিরোধী নির্যাতন, ধর্ষণ, অনার কিলিং ও অন্যান্য কুসংস্কারবিরোধী প্রচারণাও চালাতে হবে। এক কথায়, প্রধানত তরুণ-তরুণীদের আধুনিক চিন্তা-চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের দেশের ঐতিহাসিক গৌরবের ও ভুল কর্মের বিষয়ে তাদের মনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আশা করি, পাকিস্তানের স্কুলের ১৩২ শিশু-কিশোরের বর্বর হত্যাকা-কে পাকিস্তান সরকার 'গণহত্যা' হিসেবে গণ্য করে দ্রুত ঐ সব মানুষ হত্যায় যুক্ত নির্দেশদাতা নেতাদের বিচার করে সর্বোচ্চ দ- দিয়ে বিশ্বের জনমানুষকে ও পাকিস্তানের নিহত শিশুদের মা-বাবা-ভাইবোনদের একটু সন্তুষ্টি দেবে। 
বাংলাদেশে অনেক বিরোধীস্রোতের মধ্যেও গণজাগরণ মঞ্চের আধুনিক তরুণ-তরুণী আমাদেরকে সুরক্ষা দিয়েছে যারা দেশে দেশে আধুনিক মনস্ক অসাম্প্রদায়িক গণজাগরণের জন্ম দিয়েছে। 
এবার বাংলাদেশের জঙ্গী, ড্রোন তৈরিকারী ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম ও খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক অবস্থানের সমাচারে ফিরে আসি। 
খালেদা জিয়ার জনসভায় সম্প্রতি দেয়া একটি বক্তব্য শুনে বরাবরের মতো শঙ্কিত বোধ করছিলাম। খালেদার বক্তব্য, 'শেখ হাসিনাকে আমাদের হত্যার দরকার নেই, আল্লাহর গজবেই তিনি শেষ হবেন', বলার পর কি ঘটনা ঘটবেÑ এ ভাবনা অনেকের মনে উদিত হয়েছিল! সত্যি সত্যি, প্রত্যেকবারের মতোই শনিবার দেয়া ঐ বক্তব্যের পর পরই মঙ্গলবার রাতে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দুই সদস্য ড্রোন বানানোর সরঞ্জামসহ গ্রেফতার হলো, যাদের লক্ষ্য ছিল বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন দিয়ে শেখ হাসিনাকে বঙ্গবভবনে, খুব সম্ভব রাতে, হামলা চালিয়ে হত্যা করা! তাহলে, এটি সন্দেহ করা অসম্ভব নয় যে, ঐ হত্যার পরিকল্পনার কথা খালেদা জানলেও জানতে পারেন! নতুবা অন্য কোন জনসভায় তিনি কখনও হাসিনা হত্যা সম্পর্কে কিছু বলেননি! যদিও এ লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র হয়েছে অনেক। লক্ষণীয়, তার পর পরই বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা খালেদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে দেখা যায় এক অদৃষ্টপূর্ব বেশে খালেদা জিয়াকে! তিনি বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানাবেন, তা ছিল সবার জানা। কিন্তু সে অনুরোধ জানালেন তিনি আকস্মিকভাবে ঘোমটার বাহুল্য ত্যাগ করে জর্জেটের বদলে জামদানি শাড়ি পরে অভাবনীয় এক ইউটার্ন গ্রহণ করে! ঘটনাটি জনমনে এক বিশাল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে! কোন কিছু না ভেবে এ নেত্রীর পোশাকের ক্ষেত্রে হঠাৎ ইউটার্ন নেয়ার কথা নয়! সামনের দিনে সম্ভবত এর অর্থ উদ্ঘাটন হবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় রইল জনগণ।
লেখক : শিক্ষাবিদ


জামদানিতে খালেদা অপূর্ব: জাফরুল্লাহ

গত ১৭ ডিসেম্বর ড্যান মজীনার সঙ্গে বৈঠকে জামদানি শাড়িতে খালেদা জিয়া

গত ১৭ ডিসেম্বর ড্যান মজীনার সঙ্গে বৈঠকে জামদানি শাড়িতে খালেদা জিয়া

রোববার মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে শিফন শাড়িতে খালেদা জিয়া

রোববার মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে শিফন শাড়িতে খালেদা জিয়া





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্ব দেন একজন জেনারেল



বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্ব দেন একজন জেনারেল
মুসা সাদিক


টিপু সুলতানের প্রধান সেনাপতি মীর সাদিক ও নবাব সিরাজদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর তাঁদের স্ব-স্ব অন্নদাতা শাসককে নির্মমভাবে হত্যা করিয়ে ভারতকে যেভাবে ইংরেজের হাতে তুলে দিয়েছিল, ঠিক সেভাবে শেখ মুজিবের উপপ্রধান সেনাপতি ও অন্যরা বিশ্বাসঘাতকতা করে বাংলাদেশকে '৭১-এর পরাজিত শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। দেশবাসী ও বিশ্ববাসী জানে যে বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়া ৯৮ হাজার পাকিস্তানি আর্মির একজনকেও পাকিস্তানি আর্মিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেটাই বিশ্বের অপরিবর্তনশীল ও অলঙ্ঘনীয় সামরিক বিধান। মহাসাগরের চেয়েও অধিক দয়ার সাগর শেখ মুজিব তা করেননি বলে তাঁর প্রতিদান তাঁকে নির্মমভাবে তারা ১৫ আগস্ট দিয়ে দিয়েছিল। '৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের চেহারায় '৭১-এর জল্লাদ টিক্কা-নিয়াজিরাও ফরমান আলীদের পূর্ব পাকিস্তানের চেহারা যে ফুটে উঠেছিল, সেই পাপের বীজ '৭৫-এর ১৫ আগস্টে এই বিশ্বাসঘাতকরা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে বপন করেছিলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিষাক্ত পাপের বীজ সম্পর্কে বাঙালি জাতিকে হুঁশিয়ার করে বহু বছর পূর্বে লিখে রেখে গেছেন যে 'পাপের একটি বীজ যেখানে পড়ে, সেখানে দেখিতে দেখিতে গোপনে কেমন করিয়া সহস্র বিষবৃক্ষ জন্মায়, কেমন করিয়া অল্পে অল্পে সুশোভন মানব সমাজ অরণ্যে পরিণত হইয়া যায় তাহা কেউ জানিতে পারে না।' ১৯৭১-এর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাদের প্রেতাত্মা রাজাকার-আলবদরদের বিষাক্ত দন্ত-নখরে ক্ষতবিক্ষত '৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের খুন-খারাবি-ধর্ষণ-পীড়ন-বর্বরতার বীভৎস অরণ্যের চেহারা বিশ্বকবির সেই হুঁশিয়ারি ১৪ কোটি বেদনাহত বাঙালি ভাইবোনকে শোকাহতচিত্তে আজও স্মরণ করে।

১৫ আগস্ট যে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বীজ বপন করা হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্রের গুপ্ত কথা জানতে আমি '৯৪ সালে এক সরকারি কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর তদানিন্তন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে '৯৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তাঁর ১১৫/বি জামাল খান রোডের বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলাম। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী থাকতে ঢাকায় যখন ৩ নম্বর মিন্টো রোডের বাসায় তিনি থাকতেন, তখন তাঁর একান্ত সচিব '৭১ সাল থেকে আমার বন্ধু অধ্যাপক সুরঞ্জন সেনের সঙ্গে বহুবার তাঁর বাসায় গেছি। তাঁর জামাল খান রোডের বাসায় ওই সাক্ষাৎকারের সময় তাঁর ডাক্তার পুত্র ডা. মঈনুল ইসলাম চৌধুরীসহ তাঁদের পরিবারের আরো লোকজন উপস্থিত ছিলেন এবং অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। চট্টগ্রামে তাঁর বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে শুয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির অজানা রহস্যের পর্দা তিনি উন্মোচন করেছিলেন, যা বাঙালি জাতির কাছে শত-সহস্র বছর ধরে কারবালার চেয়েও ভয়াবহ নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।

বেডে শুয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথমে জনাব চৌধুরী খুব আবেগতাড়িত হয়ে গেলেন। তাঁর দুই চোখের কোণ গড়িয়ে অবিরল ধারায় ফোঁটা ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়তে লাগল। প্রায় পাঁচ-সাত মিনিট তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে থাকলেন। এরপর ধীরে ধীরে উন্মোচন করলেন, ১৫ আগস্টের সেই খলনায়কদের আসল চেহারা। যে চেহারা দেশবাসী কখনো দেখতে পায়নি। তিনি বারবার বাকরুদ্ধ কণ্ঠে, চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, "বঙ্গবন্ধুকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি, এর দায়দায়িত্ব সফিউল্লাহ, সেনাবাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর চেয়ে আমার সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু আমি একজনের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই হুঁশিয়ারি ঠিকই দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভুল করেছিলাম। আমার assessment-এ মারাত্মক ভুল হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর assessment সঠিক ছিল। বঙ্গবন্ধু খবর পাচ্ছিলেন এবং আমিও খবর পাচ্ছিলাম যে সেনাবাহিনীর ভেতরে বিচ্ছিন্ন কিছু ষড়যন্ত্র চলছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন এবং তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর শীর্ষের দু-একজন এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের কয়েকটি বন্ধুরাষ্ট্রের গোয়েন্দারাও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের বারবার সতর্ক করছিল। কিন্তু সন্তানতুল্যরা কেউ যে পিতার প্রাণ বধ করবে, এটা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসই হতো না। বিশ্বাস করতেই পারতেন না তিনি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সামনে আমাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, 'স্যার, বঙ্গবন্ধুর গায়ে আঁচড় লাগার আগে আমার বুক বুলেটে ঝাঁঝরা করতে হবে।' বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি সস্নেহে তাঁকে বুকে টেনে নিয়ে সন্তানের মতো আদর করতে। শেখ কামাল, জামালের মতো আদর করতে। আর আজ যখন পেছনের দিকে তাকাই, তখন ভাবি, কত বড় ভুল হয়ে গেছে! কত বড় বিশ্বাসঘাতক বঙ্গবন্ধুর পুত্রস্নেহের আদর-স্নেহ পেয়ে গেছে! আল্লাহ যেন কখনো তাঁকে মাফ না করেন। অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর কাছে এই আমার ফরিয়াদ।"

আমি প্রশ্ন করলাম, 'স্যার, পুত্রতুল্যরা পিতৃতুল্যের অধিক ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে বুলেট বিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। সে ঘটনা তো আপনাদের চোখের সামনে ছিল। তাহলে এই ভুল করলেন কেন?' অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বিরাট এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। অঝোর ধারায় তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। বেদনায়, কষ্টে থরথর করে কাঁপতে লাগলেন তিনি। তারপর বেদনাদীর্ণ কণ্ঠে বললেন, সব লিখে নিন। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে জিয়াউর রহমান আমাকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করতেন, দেখলেই স্যালুট করতেন। আমাকে খুবই ভক্তি করতেন ও সম্মান দেখাতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তাঁর অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় এপ্রিল মাসে ছিলেন। তখন থেকেই তিনি আমার প্রতি খুবই respect show করতেন। আমিও তাঁকে আপনজনের মতো গণ্য করতাম। আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর আমার মিন্টো রোডের বাসায় জিয়া সস্ত্রীক ঘন ঘন যাতায়াত করতেন। একটু গভীর রাতে তাঁরা আসতেন। তাঁরা দুজনই যতবার আসতেন, ততবার দুজনই আমি বাধা দেওয়া সত্ত্বেও পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতেন। আমার প্রতি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর অন্ধ আনুগত্যের কথা বারবার বলতেন। এসব দেখা-সাক্ষাতের মধ্যে তিনি কখনো লুকাননি যে তিনি আর্মির চিফ হতে চান। ভারত-পাকিস্তানসহ এই উপমহাদেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি আমাকে বারবার বলেছেন যে এসব দেশে আর্মির চিফ অব স্টাফ পদে এক টার্মের বেশি থাকার নজির নেই। সফিউল্লাহর টার্ম শেষ হলে তাঁকে যেন চিফ করা হয় এবং ১৯৭৫ সালে সফিউল্লাহর টার্ম শেষ হবে। তাহলে স্বাভাবিক নিয়মে জিয়া আর্মির চিফ হতে পারেন। কারণ তিনি তখন ডেপুটি চিফ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর আনুগত্য ও ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং বাকশালের মেম্বার হওয়ার জন্য আমার কাছে তাঁর বারবার ছুটে আসা এবং তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা ইত্যাদি মনে রেখে আমিও তাতে সায় দিয়েছিলাম। আমিও মনে মনে চাইতাম, সফিউল্লাহর টার্ম শেষ হলে জিয়া হবেন আর্মির চিফ। আমার মনের কথা তাঁর কাছে প্রকাশও করেছিলাম এবং একরকম নিশ্চিত করেছিলাম।

আগস্টের ৪ তারিখ সোমবার অথবা ৫ তারিখ মঙ্গলবার অধ্যাপক নুরুল ইসলাম যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ে (শিল্প ভবন) তদানিন্তন প্রতিরক্ষাসচিব মুজিবুল হকসহ আর্মির ডেপুটি চিফ জেনারেল জিয়ার সঙ্গে একটি পদাতিক বাহিনীর কাঠামো বিন্যাস (আরেকটি ব্রিগেড গঠন বিষয়ে) সম্পর্কিত একটি মিটিং করছিলেন, সেই সময় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে রেড টেলিফোনে একটি টেলিফোন কল পান। সে সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমাদের তিনজনের মিটিং চলাকালে বঙ্গবন্ধু আমাকে রেড ফোনে ফোন করলেন। তিনি জানালেন, জেনারেল সফিউল্লাহকে আর্মির চিফ হিসেবে আরো এক টার্ম (অর্থাৎ আরো তিন বছরের জন্য) নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছি। এ সম্পর্কিত গেজেট নোটিফিকেশন আজই ছাপা হবে।' যেহেতু আমি মিটিং চলাকালে তাঁদের সামনে টেলিফোন কলটি পেলাম, জেনারেল জিয়া আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'স্যার, এটা কি বঙ্গবন্ধুর কল?' আমি বললাম, 'হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুর কল ছিল।' জেনারেল জিয়া আবার বললেন, 'স্যার, এটা কি জেনারেল সফিউল্লাহকে আরেক টার্ম দেওয়ার ডিসিশন দিলেন উনি?' (বঙ্গবন্ধুর ওপর জেনারেল জিয়ার ও অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের নেটওয়ার্ক কত গভীর ও নিখুঁত ছিল, জেনারেল জিয়ার এই প্রশ্ন তার উত্তর। বস্তুত '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পর থেকে পাকিস্তান প্রত্যাগতরা ও খুনিরা মিলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এত পাকাপোক্তভাবে করেছিল যে তারা এমনকি বঙ্গবন্ধুর সব ফোন গোপনে বাগিং (আড়িপাতা) করতে শুরু করেছিল। আবদুর রউফের নেতৃত্বে ডিজিএফআই থেকে এটা করা হতো। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সব মন্ত্রী, এমপি এবং সচিবের সব টেলিফোন ও সব গোপন ও ব্যক্তিগত কথাবার্তা, আলোচনা-বৈঠক ও কর্মকাণ্ড ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে মনিটর করে চলেছিল। '৭৫-এর মার্চে এসে বঙ্গবন্ধুর মুখ্যসচিব আমার মামা রুহুল কুদ্দুস প্রথমবারের মতো আকস্মিকভাবে জানতে পারলেন যে সেনাবাহিনীর একটি চক্র দেশের রাষ্ট্রপতির টেলিফোনে গোপনে আড়ি পাতছে এবং তাঁর সব কথাবার্তা ও গোপন আদেশ-নিষেধ গোপনে জেনে যাচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রপতির কার্যক্রমের ওপর বিনা অনুমতিতে গোপন তৎপরতা চালানো দেশদ্রোহিতা ও সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। তৎক্ষণাৎ তিনি বঙ্গবন্ধুকে সাক্ষাতে জিজ্ঞেস করলেন : 'আপনি কি সেনাবাহিনীকে আপনার টেলিফোন বাগিং (আড়িপাতার) করার জন্য বলেছেন? নাকি তারা আপনার অনুমতি নিয়ে এ কাজ করেছে?' সরলপ্রাণ বঙ্গবন্ধু এবার হেসে বললেন, 'এমন কোনো অনুমতি আমি কাউকে দিইনি। তবে তোমাদের সব কিছুতে সন্দেহ। তারা আমার সন্তান। তারা এসব নিশ্চয়ই আমার ভালোর জন্য করেছে।' ১৫ আগস্টের সকালে দয়ালু পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে সিমার সন্তানরা প্রমাণ করেছে, তারা পিতার ভালোর জন্য এসব করেছে।)

প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী পূর্বের সূত্র ধরে বললেন, 'জিয়া বিষয়টা বুঝে গেছেন বলে তখন আমিও তাঁদের বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের কথাটা বললাম। এতে জেনারেল জিয়াকে খুবই বিপর্যস্ত ও ক্ষুব্ধ হতে দেখলাম। তিনি আমার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজ চেয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ স্বহস্তে ইংরেজিতে তাঁর পদত্যাগপত্র লিখে আমার কাছে পেশ করলেন এবং চলে যেতে উদ্যত হলেন। আমি জিয়াউর রহমানকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য বললাম এবং তাঁর জন্য কী করতে পারি সে জন্য আমাকে দু-এক দিন সময় দেওয়ার জন্য বললাম। কিছুটা ক্ষুব্ধ ও বিমর্ষ জিয়া আমাকে স্যালুট করে চলে গেলেন। আমি তখন জিয়ার মুখরক্ষার জন্য তৎক্ষণাৎ বঙ্গবন্ধুকে ফোন করে তাঁর পক্ষে অনেক করে বললাম। তারপর আমি যখন বঙ্গবন্ধুর কাছে জিয়াউর রহমানের পদত্যাগপত্র পেশ করার বিষয়ে বললাম, তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র অনুমোদনের জন্য তাঁর (রাষ্ট্রপতির) কাছে পাঠিয়ে দিতে বললেন। তিনি এই প্রথমবারের মতো দৃঢ়স্বরে আমাকে বললেন যে 'প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কখনো দোটানায় থাকবা না। এটা স্মরণে রেখো।' তখন আমি বঙ্গবন্ধুকে বললাম, 'আরেকটি ব্রিগেড গঠনের অবকাঠামো বিন্যাসের যে কাজ আমি করছি, সে কাজ শেষ করার জন্য জিয়াকে আমার আরো কিছুদিনের জন্য লাগবে। বঙ্গবন্ধুকে convince করার জন্য আমি বেশি করে জিয়ার পক্ষে আরো বাড়িয়ে বললাম যে সে ছাড়া আমরা এটা পারব না। সে জন্য আগস্ট মাস পর্যন্ত সে আমাদের সঙ্গে থাক।'

জেনারেল জিয়ার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা, জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে সুপারিশ করা এবং জিয়ার ওই ঔদ্ধত্যের (পদত্যাগের) পর আর্মির ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে ওই পদে রাখা কতখানি আত্মঘাতী হয়েছিল, বারবার চোখ মুছে কাঁদতে কাঁদতে এবং দুই হাত দিয়ে মাথা চাপড়াতে চাপড়াতে সে কথা আমাকে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরলপ্রাণ প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী।

অধ্যাপক নুরুল ইসলাম তার পরের ঘটনা বললেন, 'বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার পর আমি জিয়াকে ডেকে পাঠালাম। তাঁকে ফোন করে আমার অফিসে শীঘ্রই আসতে বললাম। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা পর হন্তদন্ত হয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।' জিয়া এলে তাঁকে বললাম, 'বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করেছি এবং তিনি আমার অনুরোধ রেখেছেন। আপনি আমার সঙ্গে এই নতুন ব্রিগেডের কাঠামো পুনর্গঠনের কাজে এ মাসটি আমাদের সঙ্গে কাজ করুন। এর মধ্যে আমাদের নতুন ব্রিগেড গঠনের কাজ আমরা শেষ করতে পারব আশা করি। ১ সেপ্টেম্বর আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করব।' আমার কথা শুনে জিয়াউর রহমানকে অত্যন্ত আনন্দিত হতে দেখলাম এবং আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির সময় তিনি সরকারি সফরে ভিয়েনায় ছিলেন। তাই আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, 'ভিয়েনা থেকে ফিরে জিয়ার সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা কখন, কিভাবে হয়েছিল?'

অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বললেন, 'কর্নেল অলি আমাকে গাড়িতে করে জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়ার বাসায় যেতে আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম। আমি অবিরাম দোয়া ইউনুস পড়ছিলাম। কারণ তিনি জানেন, বঙ্গবন্ধু কিলিং এবং জেল কিলিং কিভাবে হতে পেরেছে এবং তিনি এও জানেন যে তিনি যা জানেন, আমি তা জানি। আমার ব্যর্থতা, আমার দুর্বলতা কী ছিল তিনি জানেন। আর আমার ব্যর্থতা ও আমার দুর্বলতার পরিণতি কী হয়েছে, তার বেনিফিট কে পেয়েছে, আমি জানি। সূর্যের মতো তা আমার চোখের ওপর ভাসছে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে তাঁর বাড়িতে যখন পৌঁছলাম, জিয়া আমাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা সম্পর্কে অনেক সাফাই দিলেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছিলেন যে তাঁর কোনো সাফাই আমার কাছে তিনি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারছিলেন না। ১৫ আগস্ট সম্পর্কে তিনি তাঁর অজ্ঞতার কথা বারবার বলছিলেন, আর আমার দিকে আড় চোখে দেখছিলেন যে তাঁর কথা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না। তবে ১৫ আগস্টের বিষয় তিনি সবচেয়ে বেশি জানেন এবং আমি সবচেয়ে বেশি জানি...এটা আমরা দুজনে যে এত বেশি জানি, তিনি তা জানতেন এবং সে জন্য তাঁর কাছে আমার ভয় বেশি ছিল। কারণ আমার কাছে তাঁর ১৫ আগস্টের conspiracy স্ফটিকের মতো পরিষ্কার। আমিই ছিলাম তাঁর বসের বস। আমি তাঁকে আর্মিতে 2nd life দিয়েছিলাম বলেই তিনি আগস্ট মাসব্যাপী conspiracy করার ও বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানার জন্য প্রায় ২৫ দিনব্যাপী লম্বা সময় ও সুযোগ পেয়ে যান। আমিই সে জন্য দায়ী। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে এই conspirators-দের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়ত এবং এঁদের সবার একসঙ্গে ফাঁসি হতো বা ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে এঁদের মারা হতো।'

তিনি বললেন, 'আমি যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১৫ আগস্টের পূর্বের পটভূমি, বিশেষ করে আমার কক্ষে আগস্টের ৪ বা ৫ তারিখ সোম বা মঙ্গলবারের মিটিং চলাকালে বঙ্গবন্ধুর কল ও জিয়ার পদত্যাগ এবং জিয়ার জন্য পুরো আগস্ট মাস সময় বরাদ্দ এবং এর দেড় সপ্তাহের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যার পশ্চাতে মুখোশধারীদের মুখোশের অন্তরালে আসল চেহারা যে আমার জানা, সে বিষয়ে তিনিও নিশ্চিত ছিলেন, আমিও নিশ্চিত ছিলাম। সেই অবস্থায় আমিও মৃত্যুর জন্য একরকম প্রস্তুত হয়ে জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে গিয়েছিলাম।'

লেখক : স্বাধীন বাংলা বেতারের ওয়ার করেসপন্ডেন্ট এবং সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার

Email : infomusabd@gmail.com

web : www.musabd.com

 

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/muktadhara/2014/08/31/123018#sthash.VZxoSmZL.dpuf





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near



Religion, wrote Seneca, is believed to be true by fools, false by the wise, and useful by the rulers. It would always exist in one form or another, as it did before. May be the baseless Abrahamic religions would wither away. Although they preach one God, even Abraham and his descendants did not have the same one. Society is composed of multitude of people. Not all of them are of same intelligence and ability. The downtrodden need God to inspire them. Public administration would be much more difficult without religion. It would be good to remember that religion even includes communism. It used to be the fastest growing religion in the last century. I have read Dawkins and consider him a dwarf compared to Nietzsche in atheism.

Sent from my iPad

On Dec 24, 2014, at 6:12 AM, "Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 

You are probably right, Dr. Das. I should forget about religion just like most people. But, I can't, because - most current events, now-a-days, have something to do with the religion.
Also, I can see the invisible walls of religion, trapping human beings in different compartments; it is so hard to surmount those walls. These walls bothers me a lot. I wish I had the power to set these people free; but I can't. So, I just look at the world without religion; I know, it will come someday.
Jiten Roy

 

From: "Kamal Das kamalctgu@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, December 23, 2014 2:38 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 
Barking a wrong tree also means peeling it. Dr. Roy would be better off without obsession on religion.

Sent from my iPad

On Dec 23, 2014, at 7:09 AM, "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Dr. Roy, you are angry again. Why do you have to lose civility when you are losing the game? It is not only I, those who are calling your thesis a wishful thinking are also "barking", probably more loudly. It is immaterial whether any one including myself has read the original article. Everybody has based his reaction to your assertion "Death of religion is near, and it is a must". 
Even by citing an example of your own choice, you yourself have refuted your own claim. Why don't you look around the world and review your thesis? 
God bless you. I am referring to your own God. 

Sent from my iPhone

On Dec 22, 2014, at 5:42 PM, Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Mr. Chakraborty, did you read the article in the link I have given at the end of my original post? Definitely not. If you did, you would know that - this is not my view alone.

"We're putting an end to religion: Richard Dawkins, Bill Maher and the exploding new American secularism...."

You are barking at the wrong tree.

Jiten Roy
 

From: "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, December 21, 2014 8:43 PM
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 
In this forum I mentioned this before. In one of his articles written in sixteens Dr. Ahmed Sharif, a confirmed atheist throughout his life, opined that man would never say goodbye to religion. After half s century his words are still valid. When he wrote the article, USSR, an atheist country, was very dominant in every front. But we see a different picture since the USSR slides disintegrated in about a quarter century ago and thereby bolstering his conjecture.

Dr. Jiten Roy is saying that death of religion is "near". He has not given any timeline. Within One generation? Or two? He is too optimistic and hence too illogical and too unrealistic. I will request him to look at the third world countries like India, Pakistan, Bangladesh, etc. 

The funny thing in Dr. Roy's belief is that while religion will die soon, God will survive! If you don't need a religion, why would you need a God? How can you make that God secular or irreligious? There must be clashes among the Gods. The God you have defined for yourself will not be the same God as will be defined by other irreligious people assuming that in near future every one will become irreligious. Sounds like an oxymoron. 

Sent from my iPhone



On Dec 21, 2014, at 6:05 PM, 'mahfuzur@aol.com' mahfuzur@aol.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
   I do not wish to see the beginning of another interminable exchange of words. Here are however some thoughts on the subject.
   If there are significant trends towards the easing of the grip of religion in Islamic countries, I have yet to see them. In Dhaka Friday prayer congregations spill out of mosque premises onto streets, blocking traffic. I never saw such spectacle in my youth. And this despite a huge expansion of mosques all over the country. I do take into account of the fast growing population. Don't forget either the growing influence of the Tablig Jamaat, and the exploding number of devotees in the annual Ijtema at Tongi that, not incidentally, may turn into an environmental peril in the near future. Last, for now, the number of hijab-clad women is rising inexorably. Decline of religion these?
  I also see growing influence of radical Islam in the west itself. I have seen a video clip of Muslims, perhaps all Born in the UK, shouting "down with UK" in the streets of London ! Muslims in a Nordic country were seen saying Friday prayer in the street, blocking traffic.  
 Whether or not the western world is confused about secularism, far more important is the perception of the word in our society. Secularism is still seen as irreligiousness, if not Godlessness, by a large section of the population in Bangladesh as well as elsewhere in the Muslim world.   
 
 Mahfuzur Rahman
 
 
-----Original Message-----
From: Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Dec 21, 2014 4:24 pm
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near



__._,_.___

Posted by: Kamal Das <kamalctgu@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Peshwar School killing consistant with Prophet Muhammad’s teaching” said PakistaniTaliban: Prophet Muhammad did the same in Medina which can be read in Sahih Buchari Hadiths and Koran too!






The Tehreek-e-Taliban, which carried out perhaps the bloodiest school massacre in modern history, has called the killing consistent with what Prophet Mohammed did with his enemies 1400 years ago. "At the time of the Bannu Qurayza massacre, Prophet Mohammed ordered only those children be killed whose pubic hairs have appeared," Umar Khurasani, spokesperson for the Tehreek-e-Taliban Pakistan, is quoted as saying by the American website, examiner.com. He said the Islamic terrorists only followed sunnat (actions of Prophet Mohammed) during wars. Bannu Qurayza was a Jewish tribe that lived in present day Madina in Saudi Arabia. The report mentions Islamic texts that say nearly 800 men and boys and one woman of the tribe were beheaded. Khurasani is quoted as saying that those who consider the Peshawar massacre un-Islamic should refer to Sahih al-Bukhari. Muslims consider Bukhari's as one of the most authentic books on what Prophet Mohammed said and did in his lifetime.



Please read more at: http://indiatoday.intoday.in/story/peshawar-massacre-killing-consistent-with-prophet-mohammed-tehreek-teaching-pakistan-taliban/1/407503.html

 


Read Islam and try to know the actual Islam, please. Do not believe century old Islamic taqqiyya (Islamic deceptions). Don't blame me. Thanks.



Syed K. Mirza







__._,_.___

Posted by: Syed Mirza <Skmirza.mirza@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near



You are probably right, Dr. Das. I should forget about religion just like most people. But, I can't, because - most current events, now-a-days, have something to do with the religion.
Also, I can see the invisible walls of religion, trapping human beings in different compartments; it is so hard to surmount those walls. These walls bothers me a lot. I wish I had the power to set these people free; but I can't. So, I just look at the world without religion; I know, it will come someday.
Jiten Roy

 

From: "Kamal Das kamalctgu@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, December 23, 2014 2:38 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 
Barking a wrong tree also means peeling it. Dr. Roy would be better off without obsession on religion.

Sent from my iPad

On Dec 23, 2014, at 7:09 AM, "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Dr. Roy, you are angry again. Why do you have to lose civility when you are losing the game? It is not only I, those who are calling your thesis a wishful thinking are also "barking", probably more loudly. It is immaterial whether any one including myself has read the original article. Everybody has based his reaction to your assertion "Death of religion is near, and it is a must". 
Even by citing an example of your own choice, you yourself have refuted your own claim. Why don't you look around the world and review your thesis? 
God bless you. I am referring to your own God. 

Sent from my iPhone

On Dec 22, 2014, at 5:42 PM, Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Mr. Chakraborty, did you read the article in the link I have given at the end of my original post? Definitely not. If you did, you would know that - this is not my view alone.

"We're putting an end to religion: Richard Dawkins, Bill Maher and the exploding new American secularism...."

You are barking at the wrong tree.

Jiten Roy
 

From: "Subimal Chakrabarty subimal@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, December 21, 2014 8:43 PM
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 
In this forum I mentioned this before. In one of his articles written in sixteens Dr. Ahmed Sharif, a confirmed atheist throughout his life, opined that man would never say goodbye to religion. After half s century his words are still valid. When he wrote the article, USSR, an atheist country, was very dominant in every front. But we see a different picture since the USSR slides disintegrated in about a quarter century ago and thereby bolstering his conjecture.

Dr. Jiten Roy is saying that death of religion is "near". He has not given any timeline. Within One generation? Or two? He is too optimistic and hence too illogical and too unrealistic. I will request him to look at the third world countries like India, Pakistan, Bangladesh, etc. 

The funny thing in Dr. Roy's belief is that while religion will die soon, God will survive! If you don't need a religion, why would you need a God? How can you make that God secular or irreligious? There must be clashes among the Gods. The God you have defined for yourself will not be the same God as will be defined by other irreligious people assuming that in near future every one will become irreligious. Sounds like an oxymoron. 

Sent from my iPhone



On Dec 21, 2014, at 6:05 PM, 'mahfuzur@aol.com' mahfuzur@aol.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
   I do not wish to see the beginning of another interminable exchange of words. Here are however some thoughts on the subject.
   If there are significant trends towards the easing of the grip of religion in Islamic countries, I have yet to see them. In Dhaka Friday prayer congregations spill out of mosque premises onto streets, blocking traffic. I never saw such spectacle in my youth. And this despite a huge expansion of mosques all over the country. I do take into account of the fast growing population. Don't forget either the growing influence of the Tablig Jamaat, and the exploding number of devotees in the annual Ijtema at Tongi that, not incidentally, may turn into an environmental peril in the near future. Last, for now, the number of hijab-clad women is rising inexorably. Decline of religion these?
  I also see growing influence of radical Islam in the west itself. I have seen a video clip of Muslims, perhaps all Born in the UK, shouting "down with UK" in the streets of London ! Muslims in a Nordic country were seen saying Friday prayer in the street, blocking traffic.  
 Whether or not the western world is confused about secularism, far more important is the perception of the word in our society. Secularism is still seen as irreligiousness, if not Godlessness, by a large section of the population in Bangladesh as well as elsewhere in the Muslim world.   
 
 Mahfuzur Rahman
 
 
-----Original Message-----
From: Jiten Roy jnrsr53@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Dec 21, 2014 4:24 pm
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 
 
It's not a crystal ball prediction, it's a logical prediction. If you read the article, you will know church attendances are dwindling. It has been a worry of the church. This could be due to many factors, such as, conscious people have no trust in Priests, or they know better. The same thing will happen to other religious institutions, in fact, it is happening. More and more people are losing faith in religion. I never dreamed of seeing a single atheist coming out of  the  Islamic faith in my life, but - now I see thousands, risking their lives to give up religion. Don't you see the trend?  
Also, I am not talking about Madrassa students; they are minority. I am talking about the majority, who have access to those devices, and they are finding out everything about their religion. Religious Mumbo-Jumbos from the religious figures are going to be difficult to sell to these people in the future. And, this is not based on my crystal ball prediction, it is actually my logical conclusion.    
Jiten Roy
 
  


From: "ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, December 21, 2014 1:22 PM
Subject: Re: [mukto-mona] Death of Religion is Near

 




__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: My Write up , 'Video Tells The Truth' !!!!!





On Tuesday, December 23, 2014 11:23 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Tuesday, December 23, 2014 11:23 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Tuesday, December 23, 2014 11:22 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Tuesday, December 23, 2014 9:29 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




ভিডিও সত্যি কথা বলে।
গত কয়েকদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিডিও চিত্র দেখছিলাম আমার সংগৃহীত 'ভিডিও লাইব্রেরী' থেকে। বিশেষ করে বিজয়ের পূর্ব মুহুর্তে ডিসেম্বর মাসের ছবিগুলো দেখতে দেখতে আমি ফিরে গিয়েছিলাম সেই দিন গুলোতে। মনে পরছিল আমার বাল্য বন্ধু মফিকের কথা। টগবগে তরুণ মফিক চমত্কার ফুটবল খেলত। পাড়ায় -মহল্লায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে কত ফুটবল যে খেলেছি দুজনে তার আর শেষ নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় মফিক ক্লাস নাইনে পরত। বড় দুই ভাই যুদ্ধে যাওয়াতে ইচ্ছে থাকা সত্বেও বয়সের জন্য তার আর যুদ্ধে যাওয়া হয়নি। কিন্তু পুরোটা মুক্তিযুদ্ধের সময় ওর চঞ্চল মনটা পরে ছিল যুদ্ধের ময়দানে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন অন্য সবার মত মফিক রাস্তায় নেমে পরেছিল আনন্দ উত্সবে। বিজয় মিছিল নিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে যাওয়ার সময় হঠাত মফিকের চোখে পরে তত্কালীন রেডিও পাকিস্তানের অফিসের মাথায় পাকিস্তানি পতাকা উড়তে। তাই দেখে মফিক তরতড়িয়ে পাইপ বেয়ে উঠে যায় পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে। কিন্তু কিছু পাকিস্তানি সৈন্য তখনও সেই অফিস পাহাড়ায় ছিল , ওরা হয়তো জানতনা আত্মসমর্পণের কথা। তাই চোখের পলকে ব্রাশ ফায়ারে মফিকের বুক ঝাঝড়া করে দেয়। এত কাছে এসেও স্বাধীনতার রক্তিম সুর্য আর দেখে যেতে পারলনা বাল্যবন্ধু আমার খেলার সাথী মফিক। ভিডিও দেখছিলাম আর মফিকের কথাই বেশি করে মনে করছিলাম।
শুধু বাল্যবন্ধু মফিক কেন ভিডিও চিত্রগুলো দেখতে দেখতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ছবিগুলো চোখের পর্দায় ভেসে উঠছিল। আজকাল যে ভাবে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে তার কিছুই ছিলনা চিত্রগুলোতে। দুই চক্ষু মেলিয়া আরো কাছে যেয়ে ভিডিও গুলো দেখছিলাম কিন্তু কোথাও 'স্বাধীনতার ঘোষক' জিয়াকে নিয়ে মুক্তিকামী জনতার আনন্দ উচ্ছাস দেখলামনা ! কোথাও 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' শ্লোগান শুনলাম না ! চারিদিকে শুধু জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান শোনা যাচ্ছিলো। ডিসেম্বরের ঠিক এই সময় সবার দৃষ্টি ছিল ৩২ নম্বর বাসভবনের দিকে। দেশী-বিদেশী অতিথি , সাংবাদিকদের পদচারনায় মুখরিত ছিল বাসভবনটি। সবাই অপেক্ষা করছিল কবে বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেন। কাওকে তো দেখিনি জিয়ার বীরত্বের কথা বলতে কিংবা তার সাক্ষাত্কার নিতে।
তাই , বিএনপি নেতাদের বলছি , 'Video Tells The Truth' ! মুক্তিযুদ্ধের ভিডিও গুলো ঢাকা-লন্ডনে কর্মী-সমর্থকদের সহ দেখুন এবং স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস শিখুন। মিথ্যা গলাবাজি করে দেশের মানুষের নিকট আর হাসির পাত্র হবেন না ! আজকের তরুণ প্রজন্মরা তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাসকে ভালোভাবেই মনের পর্দায় গেথে ফেলেছে। ওরাই আজ স্বাধীনতার চেতনার মূল শক্তি।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ,
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক।
.ভিডিও সত্যি কথা বলে। গত কয়েকদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিডিও চিত্র দেখছিলাম আমার সংগৃহীত 'ভিডিও লাইব্রেরী' থেকে। বিশেষ করে বিজয়ের পূর্ব মুহুর্তে ডিসেম্বর মাসের ছবিগুলো দেখতে দেখতে আমি ফিরে গিয়েছিলাম সেই দিন গুলোতে। মনে পরছিল আমার বাল্য বন্ধু মফিকের কথা। টগবগে তরুণ মফিক চমত্কার ফুটবল খেলত। পাড়ায় -মহল্লায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে কত ফুটবল যে খেলেছি দুজনে তার আর শেষ নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় মফিক ক্লাস নাইনে পরত। বড় দুই ভাই যুদ্ধে যাওয়াতে ইচ্ছে থাকা সত্বেও বয়সের জন্য তার আর যুদ্ধে যাওয়া হয়নি। কিন্তু পুরোটা মুক্তিযুদ্ধের সময় ওর চঞ্চল মনটা পরে ছিল যুদ্ধের ময়দানে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন অন্য সবার মত মফিক রাস্তায় নেমে পরেছিল আনন্দ উত্সবে। বিজয় মিছিল নিয়ে রেসকোর্স ময়দানের দিকে যাওয়ার সময় হঠাত মফিকের চোখে পরে তত্কালীন রেডিও পাকিস্তানের অফিসের মাথায় পাকিস্তানি পতাকা উড়তে। তাই দেখে মফিক তরতড়িয়ে পাইপ বেয়ে উঠে যায় পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে। কিন্তু কিছু পাকিস্তানি সৈন্য তখনও সেই অফিস পাহাড়ায় ছিল , ওরা হয়তো জানতনা আত্মসমর্পণের কথা। তাই চোখের পলকে ব্রাশ ফায়ারে মফিকের বুক ঝাঝড়া করে দেয়। এত কাছে এসেও স্বাধীনতার রক্তিম সুর্য আর দেখে যেতে পারলনা বাল্যবন্ধু আমার খেলার সাথী মফিক। ভিডিও দেখছিলাম আর মফিকের কথাই বেশি করে মনে করছিলাম। শুধু বাল্যবন্ধু মফিক কেন ভিডিও চিত্রগুলো দেখতে দেখতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ছবিগুলো চোখের পর্দায় ভেসে উঠছিল। আজকাল যে ভাবে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে তার কিছুই ছিলনা চিত্রগুলোতে। দুই চক্ষু মেলিয়া আরো কাছে যেয়ে ভিডিও গুলো দেখছিলাম কিন্তু কোথাও 'স্বাধীনতার ঘোষক' জিয়াকে নিয়ে মুক্তিকামী জনতার আনন্দ উচ্ছাস দেখলামনা ! কোথাও 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' শ্লোগান শুনলাম না ! চারিদিকে শুধু জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান শোনা যাচ্ছিলো। ডিসেম্বরের ঠিক এই সময় সবার দৃষ্টি ছিল ৩২ নম্বর বাসভবনের দিকে। দেশী-বিদেশী অতিথি , সাংবাদিকদের পদচারনায় মুখরিত ছিল বাসভবনটি। সবাই অপেক্ষা করছিল কবে বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেন। কাওকে তো দেখিনি জিয়ার বীরত্বের কথা বলতে কিংবা তার সাক্ষাত্কার নিতে। তাই , বিএনপি নেতাদের বলছি , 'Video Tells The Truth' ! মুক্তিযুদ্ধের ভিডিও গুলো ঢাকা-লন্ডনে কর্মী-সমর্থকদের সহ দেখুন এবং স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস শিখুন। মিথ্যা গলাবাজি করে দেশের মানুষের নিকট আর হাসির পাত্র হবেন না ! আজকের তরুণ প্রজন্মরা তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাসকে ভালোভাবেই মনের পর্দায় গেথে ফেলেছে। ওরাই আজ স্বাধীনতার চেতনার মূল শক্তি। জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ,ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক।











__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home