Banner Advertiser

Tuesday, October 27, 2015

[mukto-mona] Hindu persecution in Bangladesh:



SitangshuGuha 646-696-5569



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fwd: দেবেশবাবুর জন্ম শতবার্ষিকী সম্ভবত: ৩১শে অক্টোবর, তাই এ লেখা





জাস্টিস ভট্টাচার্য্যের প্রতি শ্রধান্জলী

অনেক দিন আগের কথা, সম্ভবত: আশির দশকের গোড়ার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঞ্চ বানিয়ে আমরা শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিলের দাবীতে প্রতীক গণ-অনশন কর্মসূচী পালন করছিলাম। এর উদ্যোক্তা ছিলো শত্রু সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ পরিষদ, যা ঠিক মনে নেই, হয়তো ১৯৭৯ সালে গঠিত হয়। সভাপতি ছিলেন বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য্য এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল হক। আমিনুল হক, যিনি সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভ্রাতা এবং পরে এটর্নী জেনারেল ছিলেন। প্রতিকী অনশন কর্মসূচিতে অনেকেই অংশ নেন, বিভিন্ন সময়ে অনেকেই স্টেজে উপস্থিত ছিলেন। যে সময়টার কথা বলছি, তখন অন্যান্যদের মধ্যে জাস্টিস দেবেশবাবু, ব্যারিস্টার শওকত আলী, ব্যারিস্টার সুধীর দাস প্রমুখ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।

 

আমি কমিটির দফতর সম্পাদক ছিলাম। ড: নিম ভৌমিক, এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত  সুব্রত চৌধুরীরা যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আমাদের অফিস ছিলো মেনন-রনোভাই- ওয়ার্কার্স পার্টির একটি রুম, তোপখানা রোডে, আমরা নিয়মিত সেখানে বসতাম। ঘটনার দিন, দেবেশ ভট্টাচার্য্য, যাকে আমি 'মেসো' বলে ডাকতাম, তখন মঞ্চে বসা, আমরা 'জনা স্টেজের পেছনে তদারকি করছিলাম। এসময়ে সুমিতা দেবী এলেন। ডাকলেন, বললেন, 'দেবেশবাবুকে একটু ডেকে দিন না?' বললাম, কেন? উনি বললেন, 'দরকার আছে' তাকে অল্পবিস্তর চিনতাম, তাই আবারো বললাম, দরকারটা কি না বললে তো দেবেশবাবুকে ডাকতে পারবো না। এবার অভিনেত্রী সুমিত দেবী বললেন, 'উনি ব্রাহ্মণ মানুষ, প্রনাম করবো'

 

তার কথায় অবাক হলাম। স্টেজে গেলাম, দেবেশবাবুকে ফিসফিস করে জানালাম, সুমিতা দেবী আপনাকে একটু স্টেজের পেছনে যেতে অনুরোধ করেছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কেন? বললাম, উনি প্রনাম করবেন। শুনে তিনি একটু মুচকি হাসি দিলেন। গল্পটি বলার কারণ এটা যে, দেবেশবাবুর সেই অমায়িক হাসির কথা আমার আজো মনে আছে। তিনি নীচে নেমে এলেন, সুমিতা দেবীর সাথে টুকটাক কথা বললেন। এরপর স্টেজের পেছনে সুমিতা দেবী গলায় আঁচল পেঁচিয়ে ভক্তিভরে ব্রাহ্মণ দেবেশবাবুকে পায়ে ধরে সশ্রদ্ধ প্রনাম করলেন। দেবেশবাবু আশীর্ব্বাদ করলেন। কিছু সময় পর তিনি আবার স্টেজে চলে গেলেন। সুমিতা দেবীও বিদায় নিলেন।

 

জাস্টিস দেবেশ ভট্টাচার্য্য, যার সাথে আমেরিকায় আসার আগে আমার প্রায় একযুগ কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আমি দেবতা দেখিনি, দেবেশবাবু  চিত্রা ভট্টাচার্য্যকে দেখেছি। আজও আমি মাঝেমধ্যে সগর্বে বলি, 'এমন চমত্কার ভদ্রলোক আমার জীবনে দেখিনি' মেসো-মাসিমা দু'জনের অমায়িক সুন্দর ব্যবহার, সৌম্যদীপ্ত চমত্কার স্বর্গীয় চেহারা, দু'জনে যৌবনে রাজযোটক ছিলেন তা বলা বাহুল্য। কথাও বলতেন দেবদূতের মত মিষ্টি। দেবেশবাবু তখন রিটায়ার করেছেন, কিন্তু ওই বয়সেও মেসো-মাসীমার রাজকীয় আচার-আচরণ, স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য, ততোধিক চমত্কার ব্যবহার সবাইকে শ্রদ্ধাবনত: করতো। তার সামনে সবার মাথা নীচুই দেখেছি, এমনকি তখনকার সময়ে প্রতাপশালী সিএমএলএ এরশাদ-কেও অত্যন্ত বিনম্রভাবেই কথা বলতে দেখেছি। একজন মানুষ কতটা শ্রদ্ধাশীল হলে সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে তা মাঝে মধ্যে ভেবে অবাক হতাম।

 

সদ্য কর্মজীবনে প্রবেশের পরপরই আমার দেবেশবাবু ও চিত্রা ভট্টাচার্য্যের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ঘটে, দু'জনের স্নেহধন্য হবার সুযোগ হয়েছিলো আমার। প্রায় একই সময়ে অর্থাৎ সত্তর দশকের একেবারে শেষপাদে বা আশির দশকের শুরুতে ঢাকায় অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথিতযশা প্রায় সবার সাথেই আমার একটি চমত্কার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমে তা সাংগঠনিক হলেও পরে অনেকের সাথেই তা আরো গভীরে পৌছে। ঐসময় যাদের সান্নিধ্যে আমার আসার সুযোগ ঘটেছিলো তাদের 'জনার নাম না বললেই নয়, মেজর জেনারেল সি,আর.দত্ত, বীরউত্তম (তিনি তখনো চাকুরিরত); জাস্টিস রণধীর সেন; ব্যারিস্টার সুধীর দাস; দুর্গাদাস ভট্টাচার্য্য; পি,কে, গাঙ্গুলী; কেবি রায়চৌধুরী; ইঞ্জিনিয়ার পিকেহাওলাদার; গৌরগোপাল সাহা  প্রমুখ। সুধাংশুদা বা সুরন্জিত্দা বা পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য তো ছিলেনই। এরা তখন সবাই নিজনিজ ভুবনে কীর্তিমান, বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব এবং প্রথিতযশা। 

 

১৯৯০- আমি আমেরিকা চলে আসি। সম্ভবত: ৯১/৯২- দেবেশবাবু আমেরিকা আসেন। আমি নিউইয়র্কে থাকি এবং দেবেশবাবু ও চিত্রা ভট্টাচার্য্য ছোটপুত্র দীপেনের কাছে, অন্য স্টেটে। একদিন হটাত দেবেশবাবুর কল পেলাম। বললেন, আমি নিউজার্সী এসেছি স্বল্পসময়ের জন্যে, তোমার ওখানে যাবো। ঐসময় সিআরদত্ত নিউইয়র্কে ছিলেন, দেবেশবাবু বললেন, তুমি কিন্তু জেনারেলকে জানাবে  না, কারণ জেনারেল একটু দুরে থাকেন, আমার সময় হবেনা, আর আমি নিউইয়র্ক গেছি কিন্তু ওনার ওখানে যাইনি শুনলে উনি খুব দু: পাবেন। দেবেশবাবু আসবেন শুনে আমার একমাত্র স্ত্রী আলপনাও খুশি, কারণ বিয়ের পর থেকেই এদের চিনে-জানে। চিত্রা ভট্টাচার্য্য জানলো যে আমরা তিনতলায় থাকি, বললো, তোমার মেসো তো তিনতলায় উঠতে পারবে না। আমরা তখন আমাদের বাসার সাথে এনি ফেরদৌসের বাসার নীচতলায় অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করলাম। দীপেন বাবা-মাকে ড্রাইভ করে নিয়ে আসে। গাড়ী থেকে নেমে দেবেশবাবু বলেন, এতদূর থেকে এসেছি, তোমার বাসায় যাবোনা তা কি হয়? দীপেন আমি তখন তাকে ধরাধরি করে তিনতলায় উঠাই।

 

আমেরিকায় আমি তখন নুতন। ব্রুকলীনে এক বেডরুমের ভাঙ্গাচুরা ফ্ল্যাট। কিন্তু সেদিন মেসো-মাসিমা  আমরা সবাই এতটাই খুশি হয়েছিলাম যা বলাবাহুল্য। মাসিমা দীপেনের জন্যে একটি মেয়ে দেখার জন্যে আমার গিন্নীকে বললো। ওনারা / ঘন্টা ছিলেন, কিন্তু ঐটুকু সময় ছিলো খুবই আনন্দঘন। আমার কাছে তো বটেই, কারণ দেবেশবাবু ও চিত্রা ভট্টাচার্য্য শুধু আমাকে দেখার জন্যে এতটা দূর এসেছিলেন, তা তো পরম সৌভাগ্যের। একবার কি এক আইনী প্রয়োজনে আমি আমাদের এক সহকর্মী নাহিদকে নিয়ে দেবেশবাবুর বাসায় যাই। আমার কাছে সবকিছু শুনে চিত্রা ভট্টাচার্য্য একবারে মেয়ের মত নাহিদকে আদর করতে শুরু করেন। পরে নাহিদ বলেছিলো, ওনারা খুবই ভালো। আসলেই দেবেশবাবু ও চিত্রা ভট্টাচার্য্যের তুলনা শুধু ওনারাই। ওনারা ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তবে এবার একটি ঘটনার কথা বলবো, যাতে আমরা বিব্রত হয়েছি, দেবেশবাবুকে অসহায় দেখেছি। উশৃন্খল যুবকদের বিরত রাখতে ঢাকেশ্বরী মেলাঙ্গনে সেদিন স্বপন সাহা, দিপু সেন, আমি অন্যদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিলো। ঘটনাটা  এরকম:

 

হুসাইন মোহান্মদ এরশাদ তখন সিএমএলএ। দুর্গাপূজা এসে গেছে। বঙ্গভবন থেকে বার্তা এলো, এরশাদ পূজায় আসবেন। মহানগর পূজা কমিটির সবাই এরশাদ বিরোধী, তাকে নিমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি। কিন্তু, সিএমএলএ আসবেন, তাকে আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণ জানাতে হবে, এমনটাই নির্দ্দেশ। আগেকার দিনে রাজা-বাদশারা কোথায় গেলে কোন মেয়েকে দেখে 'সুন্দরী' প্রশংসা করার অর্থই ছিলো, মেয়েটিকে তাকে দিতে হবে। এরশাদ আসবেন, এর মানেই হলো তাকে নিমন্ত্রন জানাতে হবে, তা আমরা না চাইলেও। মহানগর পূজা কমিটি সিদ্ধান্ত নিলো দেবেশবাবুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যাবেন বঙ্গভবনে। হিন্দুদের স্বার্থে দেবেশবাবু রাজি হলেন এবং নিমন্ত্রণ করলেন। সম্ভবত: সংবাদ টিভিতে আসে এভাবে যে, হিন্দুরা সানন্দে এরশাদকে পূজায় নিমন্ত্রণ করতে দৌড়ে বঙ্গভবন ছুটে গেছেন। মানুষ বিরক্ত হয়, ছাত্ররা ক্ষেপে যায় এবং সবার রাগটা গিয়ে পরে দেবেশবাবুর ওপর। এরই বহি:প্রকাশ ঘটে ঢাকেশ্বরি মেলাঙ্গনে। কিছু হৈহল্লা হয়, উল্টাপাল্টা কথাবার্তা, ছুটাছুটি, গালিগালাজ হয় এবং দেবেশবাবুকে অসহায়ের মত তা শুনতে হয়। যারা এটা করে তারা সবাই ছিলো তরুণ এবং কমিটির সিদ্ধান্ত জানতো না। পরে অনেকের সাথেই আমাদের কথা হয়েছে, অনেকেই অনুতপ্ত হয়েছে।

 

দেবেশ ভট্টাচার্য্য ছিলেন উদার। আমার ধারণা, রাজনৈতিক ভাবেও তিনি ছিলেন উদারপন্থী। তখন হিন্দু নারীদের বাপের সম্পত্তির অধিকার দেযার ওপর বেশ কথাবার্তা হচ্ছিলো। দেবেশবাবু একবাক্যে এর পক্ষে ছিলেন। মোটামুটি আমাদের সবাই এর পক্ষে ছিলো। কিন্তু একটু সমস্যা ছিলো। হিন্দুরা একসাথে রাজত্ব রাজকন্যা হারাতে রাজি ছিলোনা, এখনো রাজি নয়। বছর দুই-তিন আগে রাখিদাশ পুরকায়স্থ এসেছিলেন, তিনিও একই ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। সবাই রাজি, কিন্তু একটু সমস্যা। রাখীদিকে যা বোঝানো হয়েছে, আশির দশকে আমরা তাই দেবেশবাবুকে বোঝাতে চেস্টা করেছিলাম। সেটা হলো: এমনিতে বাংলাদেশে হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা কম, প্রায়শ: অপহরণ জোরকরে বিয়ে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, হিন্দুরা মেয়ে হারাচ্ছে, বিশেষত: গ্রামে-গঞ্জে এর প্রকোপ বেশি। হিন্দু মেয়েদের বাপের সম্পত্তির ওপর অধিকার দিলে কন্যার সাথে সাথে সম্পত্তিও যাবে। আর আমদের ভাইয়েরা যখন দখল করে, তখন একাংশের নামে পুরোটাই দখল করে নেবে! সুতরাং হিন্দু মেয়েদের বাপের সম্পত্তির ওপর অধিকার দেয়া যেতে পারে, কিন্তু শর্ত থাকবে যে, অন্যধর্মে বিয়ে হলে বা ধর্মান্তরিত হলে ওই মেয়ে বাপের সম্পত্তির ওপর অধিকার হারাবে। দেবেশবাবু আমাদের যুক্তিতে রাজি হয়েছিলেন কিনা জানিনা, কিন্তু ওটাই ছিলো জনমত এবং এখনো তাই আছে।

 

নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকা গেলে আমি দেবেশবাবুকে দেখতে রান্কিন স্ট্রীটের বাসায় যাই, তখন তিনি বেশ অসুস্থ। মাসিমা অনেক আদর যত্ন করলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য তখন ওই বাড়িতে, রাশিয়া ফেরত। দীপেনের সাথেও অনেকদিন যোগাযোগ হারিয়ে যায়। কিন্তু আমি একবার লস এঞ্জেলস গেলে দীপেন ভট্টাচার্য্য  সুধাংশুদার ছেলে শান্তু অনেকদুর থেকে এসে দেখা করেছিলেন। সুধাংশুদার ফ্যামিলির সাথে দেবেশবাবুদের একটি ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো, সাধনা বৌদি চিত্রা মাসিমাকে একসাথে অনেক দেখেছি। পরে এরা দুজনই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আমি মাঝেমাঝে ভাবি, দেবেশবাবু কেন প্রধান বিচারপতি হননি? ঠিক জানিনা, হিন্দু বলেই হয়তো। তদুপরি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ওই সময়টা তো অনুকুল ছিলোনা। তারপরও কথা থাকে! একে গাঙ্গুলী দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর থাকতে থাকতে, গভর্নর না হয়ে শেষপর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কে চাকুরী নিয়ে দেশ ছাড়েন। দেবেশবাবু ধর্মীয় বৈষম্য কতটা ফেস করেছেন জানিনা, করলেও তিনি কাউকে বলার নন, তবে তিনি দেশ ছাড়েননি, আমাদের সবাইকে ছেড়ে একবারে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। শুনলাম তার একশ বছর জন্মজয়ন্তী পালিত হবে, একটি ম্যাগাজিন বের হবে, সম্পাদক জীবন রায় আমেরিকা এসেছেন, বললেন একটি লেখা দিতে, তাই আমার প্রয়াস। মেসো জাস্টিস ভট্টাচার্য্যের প্রতি এটা আমার শ্রধান্জলী। 


শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।

নিউইয়র্ক।

 






SitangshuGuha 646-696-5569




__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___