Banner Advertiser

Monday, December 21, 2015

[mukto-mona] স্বাধীনতা না পেলে কী হতো?



স্বাধীনতা না পেলে কী হতো?

আনিসুল হক | আপডেট:    

স্বাধীনতা যদি আমরা না পেতাম, তাহলে কী হতো? বাংলামোটরের নাম থাকত পাক-মোটর, শুধু কি এইটুকুই ঘটত? একটা ছোট্ট স্লাইড শো দেখলাম ইউটিউবে। কোনো তরুণ বানিয়েছেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে। ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে, দেখে ফেললাম। খুবই আবেগ-উদ্দীপক। বলা হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে কী কী হতো? ঢাকার রাস্তার সাইনবোর্ড বিলবোর্ডে সব লেখা থাকত উর্দুতে। কক্সবাজারকে বলা হতো, পাকিস্তানের সমুদ্রসৈকত। জাতীয় স্মৃতিসৌধ থাকত না। ড. ইউনূসকে বলা হতো পাকিস্তানের নোবেলজয়ী। সাকিব আল হাসানকে বলা হতো, পাকিস্তানের ক্রিকেটার, যিনি বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার। ইত্যাদি। 
ওই ভিডিওটা যাঁরা বানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। তবে তাঁরা খুব সামান্যই কল্পনা করতে পেরেছেন দেশ স্বাধীন না হলে কী ঘটত আসলে। দেশ স্বাধীন না হলে সাকিব আল হাসান পৃথিবীর ১ নম্বর অলরাউন্ডার ক্রিকেটার কোনো দিনও হতে পারতেন না। ড. ইউনূসও নোবেল পুরস্কার পেতেন না। 
প্রথম কথা হলো, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে সাকিব আল হাসানের যে প্রতিভা, সেটা আবিষ্কৃতই হতো না। বিকেএসপি বলতেই কোনো প্রতিষ্ঠান থাকত না। সাকিব আল হাসানও ক্রিকেটার হওয়ার চেষ্টা করতেন না। কারণ পাকিস্তানের জাতীয় দলে কোনো বাঙালিই কোনো দিন সুযোগ পেত না। পাকিস্তানিরা বাঙালিকে ভাবত ঊনমানুষ, মানুষের চেয়ে কিছু কম। মুসলমান তো ভাবতই না। যোদ্ধাজাতি তো ভাবতই না, ভাবত দুর্বল ছোটখাটো কালো মানুষের দল হিসেবে। তারা সেনাবাহিনীতে স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। খেলাধুলা তো তারা পারবেই না। ভাত খাওয়া এই ছোটখাটো কমজোর মানুষগুলো ক্রিকেট খেলবে কীভাবে? কাজেই বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে কোনো বাঙালি বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারত না। তারা শুধু পশ্চিম পাকিস্তানিদের নিয়ে গঠিত পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন করেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে বাধ্য হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলছে, ওডিআই খেলছে। খেলছে বলেই এত এত ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। খুব সহজ একটা উদাহরণ হাতের কাছে আছে। পশ্চিম বাংলা থেকেই তো ভারতীয় জাতীয় দলে বাঙালি ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছে খুব কম। বাংলাদেশ যেদিন প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল ভারতের বিরুদ্ধে, সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন ভারতের অধিনায়ক, পশ্চিমবঙ্গের কাগজগুলো আনন্দ প্রকাশ করেছিল এই বলে যে, দুজন বাঙালি দুটো দেশের টেস্টের অধিনায়কত্ব করছেন। আর বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানকে হারায়, তখনো কলকাতার কাগজগুলো খুশি হয়ে বলে ১১ জন বাঙালি হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানিদের। 
স্বাধীনতা হলো সেই পরশপাথর, যা বদলে দিয়েছে বাংলাদেশের চিন্তা-চেতনা, বড় করেছে মানুষের বুকের পাটা, তাদের করেছে চির উন্নত শির। আর ব্র্যাক বলুন, গ্রামীণ ব্যাংক বলুন, সবই স্বাধীনতার পরে দেশ গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞের ফসল। স্বাধীনতা ছাড়া ব্র্যাক হতো না, গ্রামীণ হতো না। আজকে যে বাংলাদেশ সবকিছুতে ভালো করছে, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ফল উৎপাদনে রেকর্ডধারী, মাছ উৎপাদনে দুনিয়ার সেরাদের তালিকাভুক্ত, গার্মেন্টস রপ্তানিতে অন্যতম সেরা—এর সবই সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা পেয়েছি বলে। মানব উন্নয়ন সূচকে যে বাংলাদেশ ভালো করছে, ভালো করছে ভারতের চেয়েও, তাও সম্ভব হচ্ছে আমরা স্বাধীন দেশ বলে। ৪৪ বছর আগে আমেরিকানরা বলত, পূর্ব পাকিস্তান কেন স্বাধীন হতে চায়, একটাও খনিজ সম্পদ নেই, ওই দেশ তো অর্থনৈতিকভাবে ভায়াবল হবে না, ওরা তো মারা যাবে। ৪৪ বছর পরে তারাই বলছে, বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতির একটা। 
এর সবই সম্ভব হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে। আর সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, পুরো দেশকে স্বাধীনতার নামে পাগলপারা করে তুলেছিলেন একজন মানুষ—তাঁর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা আজকের এই গৌরবের দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব, শ্রদ্ধা জানাব মুক্তিযুদ্ধের নেতৃবর্গকে, মুক্তিযোদ্ধাদের, তিরিশ লাখ শহীদকে, লক্ষÿ লক্ষÿ বীরাঙ্গনাকে এবং মনে রাখব, গোটা জাতিই সেদিন উদ্বুদ্ধ হয়েছিল এক মন্ত্রে—স্বাধীনতা। শুধু ব্যতিক্রম ছিল কতিপয় আলবদর-রাজাকার দালাল। 
বড় দাম দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে এই স্বাধীনতা। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বরে ডেইলি স্টারে জুলিয়ান ফ্রান্সিস একটা প্রবন্ধ লিখেছেন। তাতে তিনি হিসাব কষে দেখিয়েছেন একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের সংঘটিত গণহত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা তিরিশ লাখের বেশি। 
আজাদের মায়ের কথা আবারও বলব। আজাদ ক্লাস সিক্সে পড়ত সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে। তার বাবা ছিলেন ভীষণ বড়লোক, ইস্কাটনে তাদের বাড়িতে সরোবর ছিল, হরিণ ছিল, মসলার বাগান ছিল। আজাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলেন। প্রতিবাদে আজাদের মা বের হয়ে গেলেন স্বামীর রাজপ্রাসাদ থেকে, ক্লাস সিক্সের ছাত্র আজাদকে নিয়ে। তিনি বস্তিঘরে আশ্রয় নিলেন। আজাদ ম্যাট্রিক পাস করল, আইএ পাস করল, ডিগ্রি পাস করল, এমএ পাস করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৯৭১ সালে। আজাদের বন্ধুরা যুদ্ধে গেছে। তারা গেরিলা অপারেশন করে। আজাদকে বলল, তুই কি আমাদের সাথে অপারেশনে যাবি। আজাদ বলল, মা ছাড়া এই জগতে আমার কেউ নাই, মায়েরও আমি ছাড়া কেউ নাই। মা যদি অনুমতি দেন, তাহলেই আমি কেবল যুদ্ধে যেতে পারি। আজাদ মাকে বলল, 'মা, আমি কি যুদ্ধে যেতে পারি।' মা বললেন, 'নিশ্চয়ই।' আজাদ যুদ্ধে গেল। তাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিল। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা শেল্টারগুলোয় পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয়। আজাদদের বাড়িতে গোলাগুলি হয়। আজাদ, জুয়েল, বাশার প্রমুখকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি মিলিটারি। আজাদকে রমনা থানায় রাখা হয়। আজাদের মা রমনা থানায় গেলে পাকিস্তানি বাহিনীর দালালরা বলল, 'আজাদকে রাজসাক্ষী হতে বলেন, ও যেন সবার নাম ধাম বলে দেয়। তাহলে ওকে ছেড়ে দে​ওয়া হবে।' আজাদের মা ছেলেকে বললেন, 'শক্ত হয়ে থেকো বাবা, কোনো কিছু স্বীকার করবে না।' আজাদ বলল, 'মা, কয়েক দিন ভাত খাই না। আমার জন্য ভাত নিয়ে এসো।' 
মা বহু যত্ন করে ছেলের জন্য ভাত রেঁধে টিফিন ক্যারিয়ারে সাজিয়ে নিয়ে রমনা থানায় এলেন। এসে দেখলেন, ছেলে নেই। এই ছেলে আর কোনো দিনও ফিরে আসেনি। এবং এই মা আরও ১৪ বছর বেঁচেছিলেন, আর কোনো দিনও ভাত খাননি। 
আমাদের মায়েরা তাঁদের সন্তানদের উৎসর্গ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। আমাদের ভাইবোনেরা তাঁদের জীবন ও সম্মান উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য। আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই আজকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে কী ভীষণ সম্ভাবনা আছে, তা আমরা কার্যক্ষেত্রে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিচ্ছি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গেছে, বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। 
এখন দরকার সুশাসন, দরকার মানবাধিকার, দরকার মুক্ত পরিবেশ, দরকার অর্থবহ গণতন্ত্র। কম আয়ের দেশে সুশাসন আনা কঠিন। আয় বাড়লে সুশাসন আনা সহজ। আমরা মধ্য আয়ের দেশ হচ্ছি। এবার আমাদের চাই আরও গণতন্ত্র, আরও মানবাধিকার, আর স্বাধীনতা। দরকার মুক্ত পরিবেশ। দরকার বৈষম্য-মুক্তি, দরকার সাম্প্রদায়িকতা-মুক্তি, দরকার সম্প্রীতি। আমরা এই লক্ষ্যও অর্জন করতে পারব। কারণ এই দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। বীরের এ রক্তস্রোত মায়ের এ অশ্রুধারা, তা ধরার ধুলায় হারিয়ে যেতে পারে না। এ জাতিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না।

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/713785/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8B




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} MUJIB'S WELCOME "KILLER BHUTTO" VIDEO



Mujib paved the path for normalizing relation with Pakistan so that Bangladesh could get it's part of the revenue that was illegally held by Pakis since the partition. This was a good move from Bangladeshi side to get back what legitimately belonged to Bangladesh. So why this Bhutto visit is so allergic to our BNP/Jamat morons. Are these people so dumb that they do not understand a shrewd diplomatic move? Even a third class political science graduate could have guessed the true motive.




On Mon, Dec 21, 2015 at 6:01 PM, 'Razzak Syed' via Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com> wrote:
BAL supporters!! It's a great evidence that Sheikh Mujib was a biggest Razakaar. 

Capt. Razzak A. Syed


Sent from my iPhone 

On 22 Dec 2015, at 9:29 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:


WELCOME BHUTTO VIDEO:

MUJIB;S LAST PAKISTANI RAZAKARI THING: He welcomed the Bengali killer Bhutto

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] সেই সব বাঙালি পাকসেনা



সেই সব বাঙালি পাকসেনা
জাফর ওয়াজেদ




বিস্ময় জাগাবেই একালে যে, একাত্তর সালে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিল এই বাংলায় জন্ম নেওয়া অনেক বাঙালি সেনা কর্মকর্তা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা হানাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লড়াই করেছে। হতাহত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। বাঙালিদের ঘরবাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ ইত্যকার নারকীয় কাজে তারাও অবতীর্ণ হয়েছিল পাকিস্তান সেনা হিসেবেই। পাকিস্তানকে 'মাতৃভূমি' মেনে তা রক্ষার ব্রতে তারা প্রাণপণ লড়াই করেছে। মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। মুক্তিকামী বাঙালিদের তারা 'ভারতীয় আগ্রাসনের' সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁবেদার সেনার ভূমিকা পালন করতে দ্বিধা করেনি। এই বাঙালি সেনারা ২৫ মার্চের আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। ১৬ ডিসেম্বরের আগে অনেকে পাকিস্তানে ফিরে যায়, বাকিরা পাকিস্তানি সেনাপ্রধান নিয়াজীর সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণও করেছিল। এরা ভারতের ক্যাম্পে ঠাঁই পায়। পরবর্তীকালে পাকিস্তান ফেরত যায়। ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিনিময়ে পাকিস্তানে আটকেপড়া ৪ লাখের বেশি বাঙালির সঙ্গে এরা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে। অনেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি ফিরে পায়। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর এদের অনেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পায়। একাত্তরে তাদের ভূমিকার জন্য কোনো বিচার বা শাস্তির সম্মুখীন তারা হয়নি। বাঙালি সেনাদের এই অংশটি ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসহ অন্যান্য রেজিমেন্টে কর্মরত।

বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তি চেতনার বিপরীতে পাকিস্তানের পক্ষাবলন্বনকারী এই সেনা কর্মকর্তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য কখনও অনুশোচনা প্রকাশ যেমন করেনি, তেমনি ক্ষমাও চায়নি। বরং পঁচাত্তর-পরবর্তী পাকিস্তানযুগ বহাল করার ক্ষেত্রে এদের অনেকেই অবদান রেখেছে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানকে উপেক্ষা করে তারা পাকিস্তানি সেনা হিসেবে বাঙালি নিধনপর্বে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। একাত্তরের সেই দিনগুলোয় খুনি টিক্কাখান ও নিয়াজীর সঙ্গে এরা কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বাঙালিকে দমাতে সকল শক্তি নিয়োজিত করেছিল। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের 'ভারতীয় চর' ও বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যা দিত। তারা বিশ্বাসও করত, দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। ইসলাম ও পাকিস্তানকে তারাও সমর্থক হিসেবে গুরুত্ব দিত। একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের মতো তারাও মনে করত, পাকিস্তান টিকে থাকলে আজ হোক, কাল হোক বাঙালি মুসলমানদের হক আদায় হবে। কিন্তু 'আজাদী' ধ্বংস হলে মুসলমানদের শেয়াল-কুকুরের মতো মরতে হবে। তাই তারাও ঘরে ঘরে যেসব 'দুশমন' রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল। বাঙালির রক্তে তারা তাদের হাত রঞ্জিত করেছিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের জন্য ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। এই রেজিমেন্টসহ অন্যান্য রেজিমেন্টে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তার মধ্যে দুজন অধিনায়ক মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে আত্মসমর্পণ করেছিল। তাদের এই ভূমিকায় সাড়া না দেওয়া সৈনিকসহ অন্য কর্মকর্তাদের একটা অংশ পাকিস্তানিদের হাতে নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হয়ে বাঙালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এমন সেনা কর্মকর্তার সংখ্যা ৮০ জনের বেশি। তবে সিপাহীদের মধ্যে তেমন কেউ হানাদার বাহিনীর পক্ষে নয়, বরং বিদ্রোহ করে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুটি রেজিমেন্টের যে ৪ জন অধিনায়ক ছিলেন, তারা মার্চেই আত্মসমর্পণ করেন। যশোর ক্যান্টনমেন্টে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ছিলেন লে. কর্নেল রেজাউল জলিল। তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ দূরে থাক, বরং আত্মসমর্পণ করে বাঙালি সেনাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেন। অনেক কর্মকর্তাসহ সাধারণ বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করে হত্যা চালানো হয়। আত্মসমর্পণের বিনিময়ে রেজাউল জলিলের জীবন রক্ষা করে হানাদাররা। জয়দেবপুরের সেনানিবাসে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদুল হাসান খানও আত্মসমর্পণ করেন। অথচ তার নেতৃত্বে সিপাহীরা ২৫ মার্চের আগে বিদ্রোহ করেছিল। তাকে সপরিবারে বন্দি রাখা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হন আত্মসমর্পণকারী অপর লে. কর্নেল আ ফ ম আবদুর রকিব। মাসুদ হাসান পঁচাত্তরের পরে সেনা কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানরত লে. কর্নেল মইনউদ্দিন পাকিস্তানি সেনা হিসেবে ঢাকায় বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেন। পঁচাত্তরের পর ফাইজার বাংলাদেশ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার লে. কর্নেল খন্দকার মাহবুবুর রহমান ছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে। একাত্তরে ছিলেন গভর্নর ভিজিটরস টিমের জিএসও-১। একাত্তরের মাঝামাঝি সময়ে মার্শাল ল' কোর্টের প্রেসিডেন্ট। পঁচাত্তরের পর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হন।

সশস্ত্রবাহিনী বোর্ডের পরিচালক লে. কর্নেল ফিরোজ সালাহউদ্দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে থাকতেন। পাকিস্তান বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তাকারী কর্মকর্তাটি পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে জান্তা শাসক জিয়ার সামরিক সচিব ছিলেন। রংপুর ক্যান্টনমেন্টে বিএম-২৩ ব্রিগেডের মেজর আমজাদ আহমদ চৌধুরী সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। রংপুর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তিনি হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুট করার মতো কাজেও জড়িত ছিলেন। পঁচাত্তরের পর তিনি ব্যবসায় নামেন এবং মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর নেন।

আলী আহমদ খান ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে জিএসও-২, ইস্ট জোনের মেজর। ঢাকায় বিভিন্ন অপারেশনে তাকেও যেতে হতো। পঁচাত্তরের পর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ছিলেন তিনি। ফরিদপুরের খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেনের পুত্র মেজর মোহাম্মদ মশিহদৌলা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের হেড কোয়ার্টারের ইস্ট জোনের স্টাফ অফিসার ছিলেন। স্বাধীন দেশে ব্রিগেডিয়ার পদে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানও ছিলেন।

রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিসার কমান্ডিং মেজর শরীফুল ইসলাম (পঁচাত্তর পরবর্তী ওয়াসার চেয়ারম্যান) সিগন্যাল কোম্পানির অফিসার কমান্ড মাহতাবউদ্দিন, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচের মেজর মোহাম্মদ হোসেন, মেজর জয়নাল আবেদীন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মেজর আবদুল কুদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের আর্টিলারির ৩১ ফিল্ড রেজিমেন্টের মেজর ফরিদউদ্দিন। যুদ্ধে তিনি নিহত হন। তাকে শহীদের তালিকায় রাখা হয়েছে।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ২৪ এফএফ রেজিমেন্টের টু আইসি মেজর আমজাদ হোসেন সরাসরি অস্ত্র ধারণ করেছেন। কুমিল্লাতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ডিএএজি মেজর ইউসুফ হায়দার, এস এম ও মেজর আবুল কাশেম, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কমান্ডার মেজর আবদুল হামিদ পাকিস্তান চলে যান নভেম্বরে। পঁচাত্তরের পর সরকারি চাকরি পান। ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোয়ার্টার মাস্টার এবিএম রহমতুল্লাহ ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচের মেজর এস এ কাজী পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ইএমই ওয়ার্কশপের কানাডার মেজর গোলাম মওলা পঁচাত্তর পরবর্তীকালে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচের স্টাফ মমিন, মেজর হামিদুর রহমান যুদ্ধাহত পাকিস্তানি সেনাদের চিকিৎসা করতেন। পঁচাত্তরের পর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যোগ দেন তিনি।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের মেজর খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন আর্টিলারির ৩১ ফিল্ড রেজিমেন্টে। তিনি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী হিসেবে আত্মসমর্পণ করেন কুমিল্লাতে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। '৭৫ পরবর্তীকালে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি ছিলেন।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ১৪ ডিভিশনের সদর দফতরের মেজর সাঈদ আহমদ (পঁচাত্তর পরবর্তী আদমজী জুট মিলসের চেয়ারম্যান) পাকিস্তানের সেবাদাসের ভূমিকায় ছিলেন। এরা সবাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন।

মেজর আবু লায়েস আহমদুজ্জামান ছিলেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। তাকে পাঠানো হয় যশোর ক্যান্টনমেন্টে আর্টিলারি বাহিনীতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান।

'৯২ সালে বিএনপির মন্ত্রী ও পরে বিকল্প ধারার নেতা মেজর আবদুল মান্নান ছিলেন ৩ নং কমান্ডো ব্যাটালিয়নে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কমান্ডো হামলায় অংশ নেন। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৭৩ সালে অবসর নেন। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঙালি নিধনে সহায়তা করেন। পঁচাত্তরের পর টিসিবির চেয়ারম্যান হন।

যশোর ক্যান্টনমেন্টের আর্টিলারি রেজিমেন্টের মেজর মির্জা রকিবুল হুদা যশোর অঞ্চলে অপারেশনে জড়িত ছিলেন। '৭৪ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। পঁচাত্তর পরবর্তী পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম গণহত্যার নির্দেশদাতা পুলিশ কমিশনার ছিলেন। অতিরিক্ত আইজি পদে উন্নীত হন। চট্টগ্রামের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় জেল খেটেছেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর মারা যান।

যশোর ক্যান্টনমেন্টের ২২ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের টু আইসি মেজর হিমান উদ্দিন আহমদ পাকিস্তান থেকে ফেরার পর সচিবালয়ে যোগ দেন। সচিব হয়েছিলেন পরবর্তীকালে। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মেজর আসগর আলী খান বাঙালিদের সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করতেন পাকি সেনাদের। পরবর্তীকালে গাইবান্ধা থেকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের মেজর আবদুল হাকিম খান চট্টগ্রামের অপারেশনে অংশ নিতেন, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান থেকে চলে আসেন। পরবর্তীকালে ডিআইজি ছিলেন পুলিশ সদর দফতরে।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের দুই আবদুস সাত্তার। দুজনেই ছিলেন এএসসি। স্বাধীনতার পর একজন পরিচালক অন্যজন পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ছিলেন।

যশোর ক্যান্টনমেন্টের ৬ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর রুহুল কুদুস, মেজর মমতাজউদ্দিন আহমদ (পরবর্তীকালে বিজেসির চেয়ারম্যান) আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ৫৭ ব্রিগেডের মেজর শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ বিরোধিতায় পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে অপারেশনে যোগ দিতেন। পাকিস্তান থেকে ফেরার পর পুলিশ বিভাগে যোগ দেন এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ছিলেন।

মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মেজর আহমদ ফজলুল কবির ও মেজর আবদুল খালেক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করতেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি হন তারা।

ময়মনসিংহে মুজাহিদ বাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট মেজর শাহ আবদুল মান্নান, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৫৭ ব্রিগেডের জিসিও ক্যাপ্টেন এম শহীদুল্লাহ, সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টের ২৩ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আবদুল সাগস (পঁচাত্তর পরবর্তী ডিআইজি), পূর্ব পাকিস্তান রাইফেল সদর দপ্তরের ক্যাপ্টেন আল আজাদ পরবর্তীকালে কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ২৩ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন এম এ সাঈদ, ২৯ ট্যাংক রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক (পঁচাত্তর পরবর্তী ডিআইজি), একই রেজিমেন্টের শহুদুল হক (পরবর্তীকালে ডিআইজি পুলিশ) মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন।

রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ক্যাপ্টেন সাঈদ আহমদ ('৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক) ও ক্যাপ্টেন ইমদাদ হোসেন আহত পাক সৈনিকদের সেবা শুশ্রুষা দিতেন।

পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলের যশোর হেড কোয়ার্টারের ক্যাপ্টেন রহমতউল্লাহ '৭১ সালের মে মাসে আসামের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। পরে ফিরে এসে পাকিস্তানি বাহিনীতে যোগ দেন (পঁচাত্তর পরবর্তী দিনে পুলিশের ডিআইজি হন)।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ১০ ইস্ট বেঙ্গল স্টুডেন্ট রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার (পরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক হন)। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের তৃতীয় কমান্ডো ইউনিটের ক্যাপ্টেন মোখলেসুর রহমান (পরবর্তীকালে ব্রিগেডিয়ার), সিএমএইচের কোয়ার্টার মাস্টার ক্যাপ্টেন মুরাদ আলী খান (পঁচাত্তরের পর বন উন্নয়ন শিল্পসংস্থার পরিচালক হন) পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেন।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৩১ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আবদুল হাকিম ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ক্যাপ্টেন  আবদুস সালাম (পরে পুলিশের ডিআইজি), ৩১ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন খুরশিদ আহমদ নভেম্বরে পাকিস্তান চলে যান। '৭৪ সালে ফিরে আসেন। একই ক্যান্টনমেন্টের ইস্টার্ন কমান্ডের জিএসও ক্যাপ্টেন আবদুস সালাম (পরে মেজর জেনারেল), ১৪ ডিভিশনের জিওসির এডিসি ক্যাপ্টেন শাহেদুল আনাম খান (পরে ব্রিগেডিয়ার, সিওডি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিরোজ, ক্যাপ্টেন আশরাফুল হুদা (পরে ডিআইজি), ১৯ সিগন্যাল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন রফিকুল আলম (পরে ডিআইজি), একই রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন এস এ এন এম ওকবা (পরে বাংলাদেশ বিমানের জিএম), সামরিক আদালতে ক্যাপ্টেন এ টি এম মনজুরুল আজিজ (পরে ডিআইজি), ক্যাপ্টেন জামিলুর রহমান খান (পরে সচিবালয়ে উপসচিব), যশোর ক্যান্টনমেন্টের ৫৫ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ওয়ারেস তারেক এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ক্যাপ্টেন এ এল এ জামান। শেষোক্ত দুজন আত্মসমর্পণ করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে জড়িত থাকা অবস্থায় কর্নেল ও ব্রিগেডিয়ার হন। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচের ক্যাপ্টেন এম আই তালুকদার (পরে ঢাকা সিএমএইচের কর্নেল), একই ক্যান্টনমেন্টের ৮৮ মর্টার রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান ভূইয়া, ৩১ ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ফখরুল আহসান, এএসসি ক্যাপ্টেন এস এম মাহবুবুর রহমান (পরে বাংলাদেশ বিমানের জিএম), পিলখানা ইপিআরের ক্যাপ্টেন দানিয়েল ইসলাম (পরে ব্রিগেডিয়ার), সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টের ২৩ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন আবদুল কুদ্দুস, ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি জেনারেল ইয়াকুব আলী খান (পরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব), ছুটি শেষে যোগদানকারী ক্যাপ্টেন ওসমান আলী খান (পরে ডিআইজি) ও ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন (পরে এসপি), ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন (পরে লে. কর্নেল) পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাৎ করতে নিবেদিত ছিলেন।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সিওডি লেফটেন্যান্ট মাহমুদ আল ফরিদ (পরে ডিআইজি), সিওডি মোদাব্বের চৌধুরী (পরে এআইজি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা) পাকিস্তানের পক্ষে অপারেশনে অংশ নিতেন।

যশোর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাঙালি জেনারেল খাজা ওয়াসিউদ্দিনের পুত্র শাফি ওয়াসিউদ্দিন ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসরে যান। খাজা ওয়াসিউদ্দিন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে এলেও তার পাকিস্তানপন্থি পুত্রটি ফেরেননি।

বাংলাদেশ ডকুমেন্টস ১৯৭১-এর তালিকায় দেখা যায় এই বাঙালি সেনা কর্মকর্তারা প্রায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান শুধু নয়, যুদ্ধও করেছেন। এদের কেউ পরবর্তীকালে নিজেদের একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেননি। বরং পাকিস্তানি চেতনাকে জাগ্রত করতে সচেষ্ট ছিলেন।

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০৮:০৪:৩৮
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/opinion/2015/12/16/8749#sthash.HrDkGa1b.dpuf


মঙ্গলবার | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ | টরন্টো | কানাডা



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] 1971 war: Witness to history/ A Pakistani view point



Thanks for sharing the article with all of us. I find the article very balanced, non-partisan and objective. However, I find it slightly patronising, when it is said that 'it is one of the best by a Pakistani'. The analysis captures inner strands of Muslim Bengal, without siding overtly to the Bangladeshi or Pakistani narrative. One point to note here is that he did not blindly parrot the falsified 3 million fatality figure. Instead he said that hundreds of thousands of people died in that struggle, which is closer to the truth. 

- AR 


On Monday, 21 December 2015, 1:26, "Farida Majid farida_majid@hotmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
  It is actually a very good article, one of the best written by a Pakistani.  In the presentation of its content it reminds me of a recent Bangla article ( a Bangla Academy address on 8th Dec. 2015) written by the veteran scholar, Sirajul Islam Chowdhury.

   I urge all of you to read it carefully.


From: mukto-mona@yahoogroups.com <mukto-mona@yahoogroups.com> on behalf of Shah DeEldar shahdeeldar@gmail.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Wednesday, December 16, 2015 9:03 PM
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Subject: [mukto-mona] 1971 war: Witness to history/ A Pakistani view point
 
 
Not really an objective analysis of 71 war/genocide but some people might get some comfort in it?




__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] এই অনুষ্টানটি পাকিস্থান রেডিওর কোন অনুষ্টান নয় ।



রক্তাক্ত সাতচল্লিশ বয়ে যাবার পরেও
এই অনুষ্টানটি একবার মনেযোগ দিয়ে শুনা যাক ।
এই অনুষ্টানটি পাকিস্থান রেডিওর কোন অনুষ্টান নয় ।
ভারতের " ভিভিধ ভারতী " রেডিওর একটি অনুষ্টান ।
পুরো অনুষ্টানেই মুসলমানদের প্রধান্যে ভরা ।
এতে সাতচল্লিশ পূর্ববর্তী ভারতে মুসলমানদের অবস্থা সম্পর্কে অনুমান
করা যায় । খেয়ালের বসে ভারত ভাঙ্গা কি এতই জরুরী ছিল ?
আজ আইসিসকে দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বার্থোদ্ধারে নিয়োজিত করেছে । সেদিন বৃটিশদের
খেলার পুতুল হয়েছিল ভারতের স্থূল বুদ্ধির কিছু স্বার্থপর ।

খেলার পুতুল হয়েছিল ভারতের স্থূল বুদ্ধির কিছু স্বার্থপর ।

 




__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___