Banner Advertiser

Friday, January 1, 2016

[mukto-mona] চক্রান্তে চলমান ॥ ‘বার্গম্যান থেকে খালেদা; মাজহার থেকে গয়েশ্বর’



Link: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/163355/


চক্রান্তে চলমান ॥ 'বার্গম্যান থেকে খালেদা; মাজহার থেকে গয়েশ্বর'

প্রকাশিত : ২ জানুয়ারী ২০১৬
  • সাব্বির খান

মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতি সুরক্ষার মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন তুলেছিলেন বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশে বসবাসকারী ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত দ্য দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস অত্যন্ত কদর্য ভাষায় একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল, যেখানে বাংলাদেশের বিচারবিভাগ ও সার্বভৌমত্বকে অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল।
যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পরে বিশ্ববিবেককে অবাক করে দিয়ে ৩০ নবেম্বর, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান কর্তৃক কোন ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়নি বলে বিবৃতি দেয়, যা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাকে নাকচ করার শামিল।
গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ বিএনপির বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মাজহার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, 'আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন'। এই বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারই শুধু করেননি, একই সঙ্গে অবমাননা করেছেন ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে' (কালের কণ্ঠ, ২১ ডিসেম্বর-২০১৫)। অর্থাৎ তিনিও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে নির্লজ্জ কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও একধাপ গলা চড়িয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের 'নির্বোধ' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'তাঁরা নির্বোধের মতো মারা গেলেন, আর আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়' (সূত্র : ঐ)।
ওপরের ঘটনাগুলো যে কাকতালীয় নয়, বরং অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠীর সুচিন্তিত চক্রান্তের ধারাবাহিক কর্মকা-, তা তাঁদের একই ধারার এবং লক্ষ্যের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়। এই ধারা মূলত শুরু হয়েছে ১৯৭২ থেকেই। পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এবং তাদের দোসররা সুচিন্তিতভাবেই বলার চেষ্টা করেছে যে, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ হয়নি, এটা কোন মুক্তিযুদ্ধ ছিল না, একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল গৃহযুদ্ধ; কটাক্ষ করে তারা তখন এও বলেছে যে, বঙ্গবন্ধু ভাল ইংরেজী জানতেন না বলে 'তিন লাখকে তিন মিলিয়ন' বলেছেন, ইত্যাদি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে নাকচ বা অস্বীকার করলে, বাংলাদেশের কোন্ বৈধতাই থাকে না। মুজিবনগর সরকারের প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণার আলোকেই আন্তর্জাতিক আইন তখন মুক্তিযুদ্ধকে বৈধতা দিয়েছিল। এই ঘোষণার আলোকেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হওয়া ছাড়াও মুজিবনগর সরকারের যাবতীয় কাজের বৈধতা দিয়েছিল। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে ফিরে আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত মুজিবনগর সরকারের প্রণীত ঘোষণাপত্রই পরিগণিত হয়েছিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান হিসেবে।
বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এলেন এবং ১১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলতেন, 'স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি...' ইত্যাদি। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত সংসদীয় প্রতিনিধিরা মূল সংবিধানে মুজিবনগর ঘোষণাপত্রকে সংযুক্ত করে তার শুধু বৈধতাই দেয়নি, সেই সঙ্গে তার সুরক্ষাও দিয়েছে। সুতরাং যখনি কোন মহল বা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করে তখন বুঝতে হবে যে, অত্যন্ত সুচতুরভাবে তারা শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকেই নাকচ করছে না, সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকেও অস্বীকার করছে। এই অস্বীকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে মানা বা চিহ্নিত করা। ১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে চক্রটি ক্ষমতা দখল করেছিল, মূলত সেই ধারাই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং সংঘবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানকরণের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
জামায়াত-বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল এবং তাদের প্রভু পাকিস্তান যখন ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত বলে প্রোপাগান্ডা চালায় তখন এর সঠিক হিসাবটি নিয়ে নতুন প্রজন্মের ভেতরে এক ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করে দেয় এবং একাত্তরের সব অর্জনকে ধূলিস্যাত করার অপচেষ্টা চালায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই একাত্তরে বাংলাদেশে কতজন নিহত হয়েছিল, তা মৃতের মাথা গুনে গুনে হিসাব করা সম্ভব ছিল না।
আলোচনার খাতিরে আমরা এভাবেই বলতে পারি যে, ৩০ লাখ সংখ্যাটি ছিল একটা ঊংঃরসধঃরড়হ বা ধারণা। ধরা যাক, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন ঘুমন্ত ঢাকাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন ঢাকায় অবস্থান করছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা। ২৬ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় সে রাতে ঢাকায় যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল, তার খবর প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে মৃতের সংখ্যা কোন পত্রিকা আনুমানিক দশ হাজার লিখেছিল, আবার কোন পত্রিকায় এক লাখের মতো উল্লেখ করেছিল। দুইয়ের মাঝে পার্থক্যটা নিঃসন্দেহে বিশাল এবং অকল্পনীয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি ধরে নেই যে, সে রাতে দশ হাজার নিহত হয়েছিল এবং নয় মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার হিসাবেও মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৭ লাখের মতো। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায়, যেমন চুকনগরে মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ধরনের গণহত্যা বাংলাদেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায়ই হয়েছিল। এ ধরনের গণহত্যার হিসাব করলেও কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়াও ভারতে শরণার্থী হওয়া এক কোটির অধিক বাঙালী, যারা বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে থাকতেন। সেখানে যদি ১৫ লাখ পরিবারও থেকে থাকত এবং অনাহারে, রোগে-শোকে যদি প্রতি পরিবারের একজনও মারা গিয়ে থাকতেন, সে হিসাবেও প্রায় ১৫ লাখের প্রাণহানি হয়েছিল। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে প্রায় ৬ কোটি মানুষ ছিল, যুদ্ধকালীন অবস্থায় খাদ্যাভাবে বা বিনা চিকিৎসায় কত মানুষ মারা গিয়েছে, সে হিসাব করাটা নিশ্চয়ই খুব সহজ ছিল না! অর্থাৎ খুব মোটা দাগের হিসাবেও দেখা যায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আসলে ৩০ লাখ নয়, তারও অধিক মানুষ শহীদ হয়েছিল। 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) ঠিক 'গণহত্যা' হিসেবে অভিহিত করতে চাননি বলে ডেভিড আর্ভিং নামের পশ্চিমের এক খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ১৩ মাস জেল খেটেছিলেন। অন্য এক ঘটনায় 'প্রফেসর বার্নার্ড লুইস' একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, যিনি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তিনি ফরাসী পত্রিকা খব গড়হফব তে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন 'গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে না বলে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা হয়েছে বলা যাবে না।' তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আর্মেনিয়ানরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং এর সূত্র ধরে ফরাসী এক আদালত তাঁকে এক ফ্রাঙ্ক জরিমানা করেছিল। আরেক ঘটনায় মার্কিন অধ্যাপক ও আইনজীবী পিটার আর্লিন্ডার রুয়ান্ডার গণহত্যাকে অস্বীকার করে এটাকে যুদ্ধের একটি বাই প্রোডাক্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। এ কারণে গণহত্যা বিষয়ক মামলায় একটি পক্ষের আইনী পরামর্শক হওয়া সত্ত্বেও রুয়ান্ডার আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে প্রতিটা নিহতের দায় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনীর এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের। সুতরাং, একাত্তরের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং এই সংখ্যাকে কমিয়ে দেখা তাদেরই সাজে যারা এই দেশকে চায়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেভাবে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে তিনি শহীদদের এই সংখ্যাকে পরোক্ষভাবে অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে শুধু বাংলাদেশের সংবিধানকেই তিনি অস্বীকার করেননি, সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও অস্বীকার করেছেন। একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে নিঃসন্দেহে তিনি ফৌজদারি আইনে দেশদ্রোহিতা করেছেন।
ইউরোপিয়ান দেশের সংসদে পাস করা 'ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট' বলে একটা আইন আছে। জার্মানির নাৎসি বাহিনী ইউরোপে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাকে অস্বীকার বা এর তীব্রতাকে লঘু করার হীনপ্রচেষ্টাকেও আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে আইনে। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বা প্রশ্ন তোলাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। 'রিভিশনইজম'এর দোহাই দিয়ে যারা হলোকাস্ট বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণের চেষ্টা করেন, তাদেরও 'ক্রিমিনাল অফেন্স' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোদ্দাকথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী দ্বারা গণহত্যা হয়েছে, এটার অন্য কোন ধরনের পাণ্ডিত্যমূলক অপব্যাখ্যা দেয়া চলবে না।
জামায়াত-বিএনপি ছাড়া তাদের দেশী এবং বিদেশী দোসররা একের পর এক যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান এবং সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার ও কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে, তার দায় সরকারও এড়াতে পারে না। ইউরোপের মতো বাংলাদেশেও আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবিই শুধু নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিয়ে তার প্রয়োগ অনস্বীকার্য।
অবিলম্বে 'মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন' প্রণয়ন করা সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে বিবেচনা করতে হবে এবং সেই সঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ডেভিড বার্গম্যানদের মতো হীনচক্রান্তকারীদের মোকাবেলার জন্য 'মুক্তিযুদ্ধে ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ আইন' প্রণয়ন করে এদেশে ৩০ লাখ আত্মত্যাগী শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এছাড়াও একাত্তরের খেতাবপ্রাপ্ত যেসব মুক্তিযোদ্ধা খালেদা-নিজামী ও পাকিস্তানের সুরে কথা বলবে, তাঁদের খেতাবসহ সমস্ত সরকারী ভাতা ও সুবিধা প্রত্যাহার করার আইনও প্রণয়ন করতে হবে। সরকারের ভুলে গেলে চলবে না, সুশাসনের জন্যই আইন। উল্লেখিত আইনগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা না হলে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে বলে প্রতিয়মান হবে না।

লেখক : প্রবাসী বাংলাদেশী

ংধননরৎ.ৎধযসধহ@মসধরষ.পড়স

- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/163355/%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A5%A5_%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE;_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%97%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E2%80%99#sthash.GoHCGGbu.dpuf

২ জানুয়ারী ২০১৬
১৯ পৌষ ১৪২২
শনিবার
ঢাকা, বাংলাদেশ




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মোদীর মন পেতে আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারস্থ খালেদা







খালেদা জিয়া ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারস্থ!''

নিউজ সময় : 31/12/2015

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবার ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের দ্বারস্থ হয়েছেন। পশ্চিম বঙ্গ থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগশঙ্খের তৃতীয় পৃষ্ঠায় এরকম খবর প্রকাশ হয়েছে। বিশ্বস্ত এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে সংবাদটি।

তারা লিখেছে, 'বাংলাদেশের রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরতে গুরুর দ্বারস্থ হয়েছেন খালেদা। বর্তমানে বিএনপি দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শাসক দল আওয়ামী লীগের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে কোণঠাসা

শেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। যার ফলে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরোধী দলের তকমাও হারিয়েছে। এছাড়া মৌলবাদী দল জামাতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জোট প্রবল ভারত বিরোধিতার জন্য বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এই মুহূর্তে ভারতের প্রভাবশালী ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর 'আর্ট অব লিভিং ফাউন্ডেশন' এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছেন। সারা দুনিয়ায় কয়েক লক্ষ অনুগামী রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয় বিভিন্ন কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জঁন্য তার কাছ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা মতামত নিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যদিও শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর কখনই প্রকাশ্যে নিজেকে কোনও রাজনৈতিক রঙে আবদ্ধ রাখতে চাননি। ঘনিসম মহলে তিনি এটাও বলে থাকেন, তিনি কোনও দল বা ব্যক্তির হয়ে কাজ করেন না। তিনি ভারতের যাতে মঙ্গল হয় তার জন্যই কাজ করেন। আর ঠিক এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর উপর আস্থা রাখেন। সম্প্রতি নেপালের সংকটে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। নেপাল সীমান্তে লাগাতার অবরোধের ঘটনায় যখন দু'দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল ঠিক তখনই নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমল থাপা বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।আর অদ্ভুতভাবে যে দাবিতে আন্দোলন চলছিল নেপালে সেই সংবিধানের সংশোধনী করা হয় দেশটির পার্লামেন্টে। শুধু তাই নয় আলফার কট্টরপন্থীদের সঙ্গেও মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি এমনটাও জানা গিয়েছে। এর আগে তিনি বারে বারে ছুটে গিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বংস্ত ইরাকে।

স্বভাবতই এই কারণগুলির জন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির অবস্থান তাঁরা জানিয়েছেন গুরু রবিশঙ্করকে। এর পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে তাঁরা যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান খালেদা জিয়ার সেই বার্তাও তাঁরা জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় এই নয়া বার্তায় কেন্দ্রীয় সরকার কতখানি সাড়া দেয়।' বিডি-প্রতিদিন 

http://newsshomoy.com/bn/2015/12/31/161337.html#.Voc9ILYrJSM


মোদীর মন পেতে আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারস্থ খালেদা

http://www.breakingnews.com.bd/articles/india/breakingnews.80860.details

†gvw`i `~Z iwek¼‡ii Øvi¯' Lv‡j`v wRqv!

Avgv‡`i mgq.Kg : 01/01/2016

jugasankhagvQzg wejøvn: fvi‡Zi cÖavbgš¿x b‡i›`ª †gvw`i `~Z I Ava¨vwZ¥K ¸iæ kÖx kÖx iwek¼‡ii Øvi¯' n‡q‡Qb weGbwc †Pqvicvm©b †eMg Lv‡j`v wRqv|









http://www.amadershomoys.com/newsite/2016/01/01/479783.htm#.VoZMl7YrJSM

ভারতীয় আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারস্থ খালেদা জিয়া!

http://www.bd-pratidin.com/abroad-paper/2015/12/31/118096


Memory Lane:


​​




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Analyze this: কেয়ামতের ছোট ছোট ১৩১টি আলামত



কেয়ামতের ছোট ছোট ১৩১টি আলামত

অনলাইন ডেস্ক
 

কেয়ামতের আলামত দুই ধরনের। ছোট ও বড়। ছোট আলামত বলতে সেসব লক্ষণকে বোঝানো হয় যা কেয়ামতের অনেক আগে থেকে সংঘটিত হবে। 

কেয়ামতের ছোট আলামতগুলো নিম্নরূপ:

১. রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আগমন। বোখারি; ২. তাঁর ওফাত। বোখারি; ৩. তাঁর আঙুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া। সূরা কামার ১-২; ৪. সাহাবাগণের বিদায়। মুসলিম; ৫. বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়। বোখারি; ৬. দুইটি প্রলয়ঙ্করী মহামারী (যা ১৬ ও ২৫ হিজরিতে হয়েছিল।) বোখারি; ৭. নানা ধরনের ফিতনা প্রকাশ ঘটবে। মুসলিম; ৮. আকাশ মিডিয়ার বিস্তার। ইবনে আবি শায়বা; ৯. সিফফিনের যুদ্ধ (যা আলী ও মুয়াবিয়া (রা.) এর মাঝে ঘটেছিল)। বোখারি ও মুসলিম; ১০. খারেজিদের প্রকাশ। বোখারি; ১১. ৩০ জন নবুয়তের দাবিদার, মহামিথ্যুকের প্রকাশ। বোখারি; ১২. সুখ-শৌখিনতা বৃদ্ধি ও দূর-দূরান্ত পাড়ি দেয়া সহজ হয়ে যাবে। আহমাদ; ১৩. হেজাজ থেকে আগ্নেয়গিরি প্রকাশ। বোখারি; ১৪. মুসলমানদের সঙ্গে তুর্কিদের যুদ্ধ। (যা সাহাবিযুগে হয়েছিল) বোখারি; ১৫. জুলুমবাজ লোকেরা ছড়ি ও চামড়ার বেত দিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রহার করবে। আহমাদ; ১৬. খুন বেড়ে যাবে। মুসলিম; ১৭. অন্তর থেকে আমানত উঠে যাবে। বোখারি; ১৮. ইহুদিদের অনুকরণের প্রবণতা বেড়ে যাবে। বোখারি; ১৯. ক্রীতদাসীর গর্ভ থেকে মালিকের জন্ম হবে। মুসলিম; ২০. স্বল্পবসনা নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। মুসলিম;

২১. ছাগলের রাখাল, নগ্নপদের লোকেরা ও বস্ত্রবঞ্চিতরা অট্টালিকা হাঁকাবে। মুসলিম; ২২. চেনাজানা ও বিশিষ্ট লোকদের সালাম দেয়ার প্রচলন হবে। ইবনে খুজাইমা; ২৩. ব্যবসার ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। আহমাদ; ২৪. স্বামীর ব্যবসায় (শেয়ার হিসেবে) স্ত্রী যোগ দেবে। আহমাদ; ২৫. কিছু ব্যবসায়ী গোটা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। আহমাদ; ২৬. মিথ্যা সাক্ষী বেড়ে যাবে। আহমাদ; ২৭. সত্য সাক্ষ্য গোপনের প্রবণতা বাড়বে। আহমাদ; ২৮. মূর্খতা বেড়ে যাবে। বোখারি; ২৯. মানুষের অন্তরে হিংসা ও কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে। আহমাদ; ৩০. প্রতিবেশীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। আহমাদ;

৩১. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের প্রবণতা বাড়বে। আহমাদ; ৩২. অশ্লীলতার সয়লাব শুরু হবে। আহমাদ; ৩৩. আমানতদারকে অবিশ্বাস আর খেয়ানতকারীদের বিশ্বাস করা হবে। হাকেম; ৩৪. সমাজের ভালো লোকেরা দ্রুত বিলুপ্ত হবে ও নিচু লোকদের উত্থান হবে। হাকেম; ৩৫. সম্পদ কোথা থেকে কীভাবে এলো তার বাছবিচার করবে না কেউ। বোখারি; ৩৬. যুদ্ধলব্ধ সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হবে না। তিরমিজি; ৩৭. আমানতকে গনিমতের সম্পদ ভেবে ভোগ করা হবে। তিরমিজি; ৩৮. জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। তিরমিজি; ৩৯. পার্থিব উদ্দেশ্যে এলম শিখবে। তিরমিজি; ৪০. মানুষ স্ত্রীর কথা শুনবে, মায়ের কথা শুনবে না। তিরমিজি;

৪১. পিতাকে দূরে রেখে বন্ধুদের কাছে টানা হবে। তিরমিজি; ৪২. মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা ও হৈহট্টগোলের প্রবণতা দেখা যাবে। তিরমিজি; ৪৩. অপরাধী ও অসৎ লোকেরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা হবে। তিরমিজি; ৪৪. সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি সমাজের নেতৃত্বে থাকবে। তিরমিজি; ৪৫. মানুষকে শ্রদ্ধা করা হবে তার অনিষ্ট ও ক্ষতির ভয়ে। তিরমিজি; ৪৬. ব্যভিচারকে অবৈধ মনে করা হবে না। বোখারি; ৪৭. পুরুষের জন্য রেশমকে হালাল মনে করা হবে। বোখারি; ৪৮. মদকে বৈধ মনে করা হবে। বোখারি; ৪৯. গানবাজনার অবৈধতার ধারণা বিলুপ্ত হবে। বোখারি; ৫০. মৃত্যু কামনা বেড়ে যাবে। বোখারি;

৫১. সকালের মোমিন বিকালে কাফের এবং বিকালের কাফের সকাল না হতেই ঈমানদার হয়ে যাবে। বোখারি; ৫২. মসজিদগুলোতে অতিরিক্ত সাজসজ্জা করা হবে। নাসাঈ; ৫৩. বাসাবাড়িতে সাজগোজে সীমালঙ্ঘন করা হবে। আদাবুল মুফরাদ; ৫৪. বেশি বেশি বজ্রপাত হবে। আহমাদ; ৫৫. লেখনী ও লেখকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আহমাদ; ৫৬. গলাবাজিকে পেশা বানানো হবে। আহমাদ; ৫৭. মানুষ কোরআনবিমুখ হয়ে যাবে এবং অন্য বইয়ের কদর ও বিস্তার হবে। তাবরানি; ৫৮. সমাজে কারি ফকিহ ও আলেম কমে যাবে। হাকেম; ৫৯. যারা নিজের যুক্তি দিয়ে কথা বলে এবং বেদাতে লিপ্ত, তাদের থেকে মানুষ এলম অর্জন করবে। ইবনুল মুবারক ফিয-যুহদ; ৬০. হঠাৎ মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। তাবরানি;

৬১. নির্বোধরা নেতা হবে। বাজ্জার; ৬২. সময় কাছাকাছি হয়ে যাবে। বোখারি; ৬৩. স্বল্পবুদ্ধির লোকেরা জাতির মুখপাত্র বনে যাবে। মাজমাউজ যাওয়াইদ; ৬৪. নির্বোধরাই বেশি সফল হবে। ত্বহাবি; ৬৫. মসজিদকে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। হাকেম; ৬৬. মোহরানার আকার বৃদ্ধি পাবে। হাকেম; ৬৭. ঘোড়ার দাম বেড়ে যাবে। হাকেম; ৬৮. বাজারগুলো নিকটবর্তী ও সবকিছু হাতের নাগালে হয়ে যাবে। আহমাদ; ৬৯. অন্যসব জাতি মুসলিমদের নিধনে ঐক্যবদ্ধ হবে। আবু দাউদ; ৭০. মানুষ ইমামতি করতে চাইবে না। প্রাগুক্ত;

৭১. ঈমানদারদের অনেক স্বপ্ন সত্য প্রমাণ হবে। বোখারি; ৭২. মিথ্যার প্রচলন বাড়বে। মুসলিম; ৭৩. মানুষ একে অন্যকে চিনতে চাইবে না। কেউ কারও সঙ্গে একান্ত স্বার্থ ছাড়া পরিচিত হতে চাইবে না। আহমাদ; ৭৪. ভূমিকম্পের হার বেড়ে যাবে। আহমাদ; ৭৫. মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বোখারি; ৭৬. পুরুষ কমে যাবে। বোখারি; ৭৭. অশ্লীল কাজ প্রচুর এবং প্রকাশ্যে হবে। মুসলিম; ৭৮. কোরআন পাঠ করে মানুষের কাছে বিনিময় চাওয়া হবে। আহমাদ; ৭৯. মোটা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। বোখারি; ৮০. সাক্ষ্য চাওয়া ছাড়াই আগ বেড়ে সাক্ষ্য দেয়ার লোক প্রকাশ পাবে। মুসলিম;

৮১. মানত করে তা পুরা করবে না। মুসলিম; ৮২. শক্তিশালীরা দুর্বলদের ভক্ষণ করবে। আহমাদ; ৮৩. আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধান অনুসৃত হবে। আহমাদ; ৮৪. পশ্চিমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আরবরা কমে যাবে। মুসলিম; ৮৫. অভাবি লোক থাকবে না। জাকাত গ্রহণের লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। মুসলিম; ৮৬. ভূগর্ভ তার ভেতরের খনিজসম্পদ বের করে দেবে। মুসলিম; ৮৭. আকৃতি-বিকৃতির ঘটনা ঘটবে। তিরমিজি; ৮৮. ভূমিধস দেখা দেবে। তিরমিজি; ৮৯. আকাশ থেকে প্রস্তর বৃষ্টি হবে। তিরমিজি; ৯০. কেয়ামতের আগে এমন বৃষ্টি হবে যা সব কাঁচা-পাকা বাড়িকে নিমজ্জিত করে দেবে। কিন্তু উটের পশম দ্বারা নির্মিত (বিশেষ ধরনের) তাঁবু রক্ষা পাবে। আহমাদ;

৯১. কেয়ামতের আগে বৃষ্টি হবে কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ফসল হবে না। আহমাদ; ৯২. একটি ভয়াবহ দাঙা গোটা আরবকে পরিষ্কার করে দেবে (মানুষ মরে সাফ হয়ে যাবে)। আহমাদ; ৯৩. আল্লাহর হুকুমে বৃক্ষ কথা বলবে। বোখারি; ৯৪. মুসলমানদের সাহায্যার্থে পাথরের জবান খুলে যাবে এবং পাথরের আড়ালে লুকানো ইহুদিদের কথা অলৌকিকভাবে বলে দেবে সে। বোখারি; ৯৫. মুসলমানরা ইহুদিদের সঙ্গে চূড়ান্ত যুদ্ধ করবে। বোখারি; ৯৬. ফোরাত নদীতে সোনার পাহাড় আবিষ্কার হবে। বোখারি; ৯৭, কেউ গোনাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সমাজের মানুষ তাকে অচল, অসামাজিক, অযোগ্য ইত্যাদি তকমা দেবে। আহমাদ; ৯৮. আরব উপদ্বীপে নদীনালা ও পানির নহর হবে। মুসলিম; ৯৯. আহলাস নামক ফিতনা-দাঙ্গা দেখা দেবে। আবু দাউদ; ১০০. সাররা নামক আরেকটি ফিতনা প্রকাশ হবে। আবু দাউদ;

১০১. কেয়ামতের আগে দাহিমা নামক একটি ভয়াবহ দাঙ্গা সৃষ্টি হবে। আবু দাউদ; ১০২. এমন একটা সময় আসবে যখন এক সিজদার মর্যাদা গোটা পৃথিবী ও তন্মধ্যকার সবকিছুর চেয়ে বেশি হবে। বোখারি; ১০৩. মাসের শুরুতেই চাঁদ মোটা দেখা যাবে, যা সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম। তাবরানি; ১০৪. মানুষ সিরিয়ামুখী হবে। আহমাদ; ১০৫. পশ্চিমাদের সঙ্গে মুসলমানদের মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিরমিজি; ১০৬. মুসলমানরা কুসতুনতুনিয়া (ইস্তান্বুল) জয় করবে। তিরমিজি; ১০৭. মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টন করা হবে না। মুসলিম; ১০৮. গনিমত-যুদ্ধলব্ধ সম্পদে মানুষ সন্তুষ্ট হবে না। মুসলিম; ১০৯. পুরাতন যুদ্ধাস্ত্রের প্রচলন পুনরায় চালু হবে। তিরমিজি; ১১০. কিছুকাল বিরান থাকার পর পুনরায় বায়তুল মোকাদ্দাস আবাদ হবে। আবু দাউদ;

১১১. মদিনা তখন বিরান হবে এবং সেখানে পর্যটক ও অধিবাসী কমে যাবে। আবু দাউদ; ১১২. কামারের হাপর যেমন লোহার জং দূর করে, মদিনা তেমনিভাবে তার ভেতরের সব মন্দকে বের করে দেবে। বোখারি; ১১৩. পাহাড় নিজ স্থান থেকে সরে যাবে। (অলৌকিকভাবে অথবা মানুষ পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করবে)। তাবরানি; ১১৪. একজন কাহতানি বংশীয় লোক আত্মপ্রকাশ করবে এবং সবাই তাকে অনুসরণ করবে। বোখারি; ১১৫. জাহজাহ নামের এক লোক আবির্ভূত হবে। মুসলিম; ১১৬. কেয়ামতের পূর্বে চতুষ্পদ হিংস্র জন্তু ও জড় পদার্থ কথা বলার মতো অলৌকিক ঘটনা ঘটবে। তিরমিজি; ১১৭. ছড়ির মাথা থেকে কথা ভেসে আসবে। তিরমিজি; ১১৮. জুতার ফিতা থেকেও কথা ভেসে আসবে। তিরমিজি; ১১৯. এমন একটা সময় আসবে, মানুষের ঊরু অলৌকিকভাবে তার স্ত্রীর অনৈতিকতার কথা জানিয়ে দেবে। তিরমিজি;

১২০. ধরাপৃষ্ঠ থেকে ইসলামচর্চা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ইবনে মাজাহ; ১২১. আল্লাহ মানুষের অন্তর থেকে কোরআন উঠিয়ে নেবেন। ফলে কারও স্মৃতিতে আর কোরআন থাকবে না। ইবনে মাজাহ; ১২২. কিছু লোক মক্কার হারামে যুদ্ধ করতে আসবে এবং ইমাম মাহদিকে গ্রেপ্তার করতে চাইবে, তখন তাদের পুরো বাহিনীসহ ভূমিধস হবে। মুসলিম; ১২৩. বায়তুল্লাহর হজ পরিত্যাজ্য হয়ে যাবে। ইবনে হিব্বান; ১২৪. আরবের কোনো কোনো গোত্র মূর্তিপূজা আরম্ভ করবে। বোখারি; ১২৫. কোরাইশ বংশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আহমাদ; ১২৬. একজন নিগ্রো কর্তৃক কাবা ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটবে। বোখারি; ১২৭. মোমিনদের জান কবজ করার জন্য একটি স্নিগ্ধ বাতাস বইবে। বোখারি; ১২৮. মক্কায় সুউচ্চ দালান নির্মিত হবে। ইবনে আবি শায়বা; ১২৯. উম্মতের উত্তরসূরিরা পূর্বসূরিদের অভিশাপ দেবে। ইবনে আবি শায়বা; ১৩০. নিত্যনতুন দামি বাহন বের হবে। ইবনে হিব্বান; ১৩১. ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তিরমিজি।

আহমাদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ দেলোয়ার হুসাইন
সৌজন্যে : প্রিয়ডটকম
- See more at: http://www.shampratikdeshkal.com/religion-and-public-life/2015/12/23/11447#sthash.dbZnn6H1.dpuf

 

কেয়ামতের ছোট আলামতগুলো নিম্নরূপ :





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___