Farida Majid shared Parthasarathi Basu's post.
সত্যিই আনন্দের থবর! অং রাখাইনকে চিনি। সপ্রতিভ ছেলে! ছবির কাহিনীটা ভালো, অভিনয় ভালো। চিত্রগ্রহণ মনোরম। আমার সবচেয়ে পছন্দ সাইকেলের চাকমা নাম -- ঠ্যাংগাড়ী!
__._,_.___
সত্যিই আনন্দের থবর! অং রাখাইনকে চিনি। সপ্রতিভ ছেলে! ছবির কাহিনীটা ভালো, অভিনয় ভালো। চিত্রগ্রহণ মনোরম। আমার সবচেয়ে পছন্দ সাইকেলের চাকমা নাম -- ঠ্যাংগাড়ী!
বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নানাভাবে খাটো করে কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, তারা প্রতিনিয়ত বিতর্কিত করে চলেছেন আমাদের জাতির গৌরবময় এই অধ্যায়কে। একটি স্বাধীন দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের কাছে এমনটি একেবারেই কাম্য নয়। স্বাধীন দেশে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই দেশের জন্ম ইতিহাসের ব্যাপারে পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শুধু তাই নয়, মনে-প্রাণে তা বিশ্বাসও করতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের জবাব নেতারা রাজনৈতিক ভাষায় দেবেন, তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যখন অপমান করা হয়, তখন তার প্রতিবাদ করার দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রত্যেক নাগরিকের ওপর বর্তায়।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে নানারকম আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। ওনারা নানাভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন, তাই তার কোনো অবদান নেই। প্রশ্ন আসে- একটি জাতি কোনোরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া এক রাতের সিদ্ধান্তেই নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়ে গেল? আর তাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করলো প্রতিবেশী দেশ, তা কি করে সম্ভব! এমনটিই কি হয়েছিলো? নাকি আসলেই দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম, কূটনৈতিক তৎপরতা, প্রতিবেশী দেশের সাহায্যের জন্য যোগাযোগ এবং নিজেদের পরিকল্পনাও ছিলো?
বঙ্গবন্ধু ঠিক কবে প্রথম এই দেশকে স্বাধীন করার কথা ভেবেছিলেন তার কিছুটা বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উঠে এলেও, ঠিক কবে থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছিলেন সে ব্যাপারে কিছু ঐতিহাসিক সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে।
১৯৬০ সালে পূর্বপাকিস্তানে ভারতীয় কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে যোগ দেন শ্রী শশাংক ব্যানার্জী। দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পরে ১৯৬২ সালের ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে এক সহকর্মীর বাড়িতে সপরিবারে বড়দিনের নিমন্ত্রণ থেকে সবে ফিরেছেন। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়লো কেউ একজন। দরজা খুলে তিনি দেখলেন অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের এক বালক। ভদ্রভাবেই সেই বালক জানালো, ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়া তার সাথে তার অফিসে দেখা করতে চান। বালকটি চলে যাওয়ার সময় ব্যানার্জী সাহেবকে জানিয়ে গেলেন, মানিক মিয়ার সঙ্গে আরও একজন রয়েছেন। তিনি ধারণা করেছিলেন কোনো এক রাজনৈতিক গোপন আলোচনা হতে পারে। কোনো প্রস্তুতি ছাড়া তিনি সেখানে পৌঁছান কিছুক্ষণের মধ্যেই।
তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া নিজের পরিচয় দেওয়ার পরে যেই মানুষটিকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তাকে খুব চেনা মনে হচ্ছিলো ব্যানার্জি সাহেবের। পত্রিকায় ছবি দেখেছেন তিনি অনেকবার, এমনকি পল্টন ময়দানে ওনার বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলেন এর আগে। তাই চিনতে কষ্ট হলো না তার। তিনি আর কেউ ছিলেন না, তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর পরনে ছিলো লুঙ্গি। শশাংক সাহেবের ভাষায়, ব্রিটিশ সাংবাদিক কিরিল ডানের বর্ণনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায় তার রচিত India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan (a political treatise) এর ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায়।
"I met Sheikh Mujibur Rahman for the first time as I was formally introduced to him. I must admit that as I saw him from such close quarters, he impressed me almost instantly as one having an enormous presence. To quote a British Journalist names Cyril Dunn who had met Mujib earlier, 'Mujib was handsome and posses a great personality.' He was right."
একই বইয়ের ঠিক পরের পৃষ্ঠায় ব্যানার্জী সাহেব উল্লেখ করেছেন, তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন স্বায়ত্ত শাসনের আড়ালে আসলে বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিলো স্বাধীনতা এবং সেদিনের সেই আলোচনার শেষে তা পরিষ্কার হয়েছিলো তার কাছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন, সে সময় ইত্তেফাকে প্রকাশিত মানিক মিয়ার কিছু লেখায় সরাসরি স্বাধীনতার ইঙ্গিত থাকলেও পাকিস্তান প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি ধারণা করেন, হয়তো বাঙালি দোভাষীরা কখনোই সত্যিকার ভাবার্থ জানতে দেয়নি প্রশাসনকে। তার এই কথায় তৎকালীন বাঙালিদের প্রতিটি শ্রেণিতেই স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পূর্ণ সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যার পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি গোপনে বঙ্গবন্ধু করে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগের আরও কিছু বিশ্বস্ত নেতার সহযোগিতায়।
সে রাতে দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছিলো বিশ্ব রাজনীতি, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সমস্যা এবং চীন-ভারত সম্পর্কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকসহ তৎকালীন দুই পরাশক্তি আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কিছু ব্যাপার। ঐতিহাসিক উক্ত আলোচনার শেষের দিকেই ছিলো মূল চমক। শশাংক সাহেব লক্ষ্য করলেন, বঙ্গবন্ধু এবং মানিক মিয়া কোনও একটা বিষয় নিয়ে সরাসরি কথা বলতে ইতস্তত করছেন। তিনি সরাসরি জানতে চাইলেন প্রশাসনের উচ্চতর পর্যায়ে কোনও বার্তা পৌঁছানোর আছে কিনা। জবাবে বঙ্গবন্ধু আর ইতস্তত না করেই শশাংক সাহেবকে সরাসরি জানান, তিনি অতি গোপনীয় একটি চিঠি পাঠাতে চান তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরুর কাছে।
বঙ্গবন্ধু বেশ তাগাদা দিচ্ছিলেন ওই চিঠি যত শিগগিরই সম্ভব পৌঁছানোর জন্য। শশাংক সাহেব বঙ্গবন্ধুকে জানালেন, চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর আগে আরও দুইজন কর্মকর্তা তা পড়বেন। বঙ্গবন্ধু তাদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেই দুইজন ব্যক্তি হলেন তৎকালীন ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব সূর্য কুমার চৌধুরী এবং পূর্ব পাকিস্তান বিষয়ক ভারতীয় গোয়েন্দা নির্বাহী কর্নেল এসসি ঘোষ। উভয় পক্ষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তারা প্রত্যেকেই এই চিঠির গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার করেন।
তিনি এ সম্পর্কে তার বইতে লিখেন, "Mujib's top secret letter was addressed personally by name to Pandit Jawaharlal Nehru, the Prime Minister of India. After a short introductory paragraph, the letter went straight into a business-like narrative of plan of action, drafted, according to Mujib's own admission, in consultation with his trusted friend and advisor Manik Mia, to herald the start of a Bangladesh Liberation Struggle."
এ থেকে জানা যায়, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে ব্যক্তিগতভাবে সম্বোধন করা ওই চিঠিতে সংক্ষিপ্ত সূচনার পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্ণনা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্তারিত পরিকল্পনা, যা তিনি তৈরি করেছিলেন বিশ্বস্ত বন্ধু মানিক মিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে। যেহেতু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বসে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, বঙ্গবন্ধু তাই চিঠিতে তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড ঢাকার পরিবর্তে লন্ডন থেকে পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেন। চিঠিতে আরও উল্লেখ ছিলো, এদিকে মানিক মিয়া তার পত্রিকায় স্বায়ত্ত শাসনের আন্দোলন জোরদার করবে, অপরদিকে বঙ্গবন্ধু লন্ডনে প্রবাসী সরকার গঠনের মাধ্যমে ১৯৬৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা দেবেন। চিঠির শেষাংশে পণ্ডিত নেহেরুর কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধপূর্বক ব্যক্তিগত সাক্ষাতের ইচ্ছা পোষণ করেন বঙ্গবন্ধু।
ধারণা করা হয় উক্ত ঘটনাই ছিলো স্বাধীনতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর প্রথম কূটনৈতিক পদক্ষেপ। শ্রী শশাংক ব্যানার্জির বই থেকে জানা যায়, সেদিনের সেই গোপন মিটিংয়ের পরে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে আরও দুইবার তিনি বঙ্গবন্ধু এবং মানিক মিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিলো ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের প্রত্যাশা সম্পর্কে আরও ভালভাবে ধারণা নেওয়া।
Video URL : https://youtu.be/UvMtfGLRImE
ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুর সেই গোপন চিঠি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় তিন ধাপে সঙ্কেতায়িত করে। সাধারণত গোপন সংবাদ কিংবা তথ্য পাঠাতে এই ধরণের পন্থা অবলম্বন করা হয় যাতে করে মাঝপথে তা অন্য কারও হাতে পড়লে সে যেন মূল তথ্য উদ্ধারে সফল না হয়। দিল্লিতে চিঠি পাওয়া মাত্র তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অনতিবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা আহ্বান করলেন। কিন্তু সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি সফরের কারণে দেশের বাইরে থাকায় সেই সভা হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। সভার আলোচ্য বিষয় ছিলো, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বাধীনতার লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য প্রদান করা যেতে পারে এবং এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সহায়তা প্রদানের সুবিধা/অসুবিধাসহ বিভিন্ন দিক। দিল্লি থেকে জানানো হয়, তারা চিঠিটি পেয়েছে এবং যত শিগগিরই সম্ভব এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানানো হবে। দিল্লি থেকে সিদ্ধান্ত আসতে বিলম্বের কারণে এদিকে বঙ্গবন্ধু কিছুটা অধৈর্য হয়ে পড়েন। তিনি মনে করেন, কূটনৈতিক পর্যায়ের প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তিনি তার লক্ষ্যে হয়তো পৌঁছাতে পারবেন না। তাই তিনি, গোপনে ভারত সফরের পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি বিনা পাসপোর্টে গোপনে সীমান্ত পার হয়ে আগরতলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শচিন সিংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মিলিত হন এবং তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে ভারতের রাজনৈতিক সমর্থনের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন। বঙ্গবন্ধু তাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাছে পাঠানোর অনুরোধের ব্যাপারেও অবহিত করেন।
সে সময়ে বঙ্গবন্ধু যাদের সাহায্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাদের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সম্ভবত ১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে দুইবার গোপনে ভারত গিয়েছিলেন। এর মধ্যে একবার তিনি সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারত যান এবং সেবার তার সাথে ছিলেন মিজান চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু সিলেট চা বাগানের ম্যানেজার কায়েস চৌধুরীর সহযোগিতায় চা বাগানের মালি ভীমা বঙ্গবন্ধু এবং মিজান চৌধুরীকে সীমান্ত পার করিয়ে দেন। যার সত্যতা পাওয়া যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সালেহ মোস্তফা জামিলের সাথে ভীমার ১৯৭৪ উদনচেড়া চা বাগানের কথোপকথনে। ১৯৭২ সালের Blitz পত্রিকার নভেম্বর সংখ্যায় সাংবাদিক কুলদা রায়ের লেখায়ও এর সত্যতা পাওয়া যায়।
তবে আগরতলা সফরের কিছুদিনের মধ্যে দিল্লি থেকে বিলম্বের কারণে ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত সরকার তিনটি শর্তে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। শর্তগুলো ছিলো- ১) স্বাধীন বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক দেশ, ২) নতুন রাষ্ট্রটি হবে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং ৩) ভিত্তি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। তারা জানায়, বিভিন্ন মাধ্যমে নয় শুধু একটি মাধ্যমেই ভারতের সঙ্গে সকল যোগাযোগ রক্ষা করা হবে এবং তা হবে ঢাকাস্থ ভারতীয় কূটনৈতিক মিশন।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর গোপনে আগরতলা সফরের খবর পেয়ে যায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফেরার সময় বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন তাদের হাতে। সেই মামলাকেই আমরা জানি 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা' হিসেবে। প্রায় পাঁচ বছর সেই মামলা চলার পর, ১৯৬৯ এর ২২ ফেব্রুয়ারি বেকসুর খালাস পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সূত্রঃ
১) Sashanka S. Banerjee – India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan (a political treatise)
২) Blitz, নভেম্বর সংখ্যা ১৯৭২
৩) সাক্ষাতকার, জনাব সালেহ মোস্তফা জামিল
কৃতজ্ঞতা:
তানভীর আহমেদ, একাত্তর টেলিভিশন
লেখক: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রকৌশলী, সুইডেন।
ইমেইল: saifur@saifur.com
স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রথম পদক্ষেপ by সাইফুর মিশু
ভণ্ডদের ভণ্ডামি বন্ধে দরকার সচেতনতা
February 22, 2016 সম্পাদকীয় Leave a comment
অদম্য তরুণদের হাতেই রয়েছে সেই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি
ভণ্ডরা ছদ্মবেশে ভণ্ডামিতে ভক্তদের এমনভাবেই আকৃষ্ট করে যে, তাতে অন্ধবিশ্বাস জন্মে যায়। ফলে ভক্তিতে কমতি রাখে না। সুযোগ বুঝে ভণ্ড শুধু অর্থই হাতিয়ে নেয় না, ভক্তদের দিয়ে আস্তানার অর্থ আয়ের মান্নত বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটাতে থাকে। ভক্তদের ঘোর কাটার আগে তাদের দেখে ভিড়তে থাকে নতুন ভক্ত।
ওই সমাজে ভণ্ড পীরের সংখ্যা বেশি, সে সমাজে সচেতনতার আলোয় স্বল্পতা। অবশ্যই আমাদের সমাজে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। লেখাপড়া করে বড় বড় একাডেমিক সনদ থাকলেই তাকে যেমন পরিপূর্ণ সচেতন বলা যায় না, তেমনই কোনো পীরের আস্তানা বা দরগায় শাদা পোশাকের ভিড় দেখলেই কামেল পীর বলা যায় না। ধর্মীয় লেবাসে পীর সেজে অনেকেই এমনসব মতবাদ ছড়াচ্ছে, যা কখনো কখনো হাস্যকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে ধর্মের পোশাকে পীর সাজা হচ্ছে, সেই ধর্মকেও কলুষিত করতে ছাড়ছে না এরা। ছবিসহ ছবির পাশে জুতো রেখে তাতে কদমবুচি কি ইসলাম সমর্থন করে? অথচ ….
অবশ্যই ভণ্ডামির দোকান বন্ধে সমাজে সচেতনতার আলো ছড়াতে হবে। এ দায়িত্ব সমাজের সচেতনদেরই ওপরই বর্তায়। সচেতনতার পোশাকে যারা ভণ্ডামিকে সমর্থন করেন তাদের ফেরানোর বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিলম্ব মানে মনগড়া মতবাদ ছড়িয়ে, ফন্দি ফিকিরে স্বার্থ হাসিল করাদের সুযোগ করে দেয়া।http://www.mathabhanga.com/news/90977
প্রসঙ্গ: ধর্মসভায় ধর্মীয় পোশাকে মনগড়া গল্প
February 17, 2016
একটি ধর্মীয় সভায়, ধর্মীয় লেবাসে ধর্মের অজুহাতে জলজ্যান্ত মিথ্যা বলে যখন কোনো ব্যক্তি পার পায় তখন সমাজের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়। শুধু তাই নয়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে যে ব্যক্তিকে হাজির করা হয় তার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা অবশ্যই অদক্ষতা।
চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া আকন্দবাড়িয়া মোহাম্মদীয়া বহুমুখি মাদরাসা প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে প্রচার করা হয় যাকে তার নাম আল হাজ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী। তার দাবি তিনি পূর্বে নারী ছিলেন। পরে পুরুষ হয়েছেন। নারী থাকাকালে তার সন্তান রয়েছে, পুরুষ হওয়ার পর বর্তমান সংসারেও এসেছে সন্তান। কীভাবে তিনি নারী থেকে পুরুষ হলেন? সে প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন মনগড়া। বলেছেন, শাশুড়ির নির্যাতনে বাড়ির রান্নাঘরের সামনে বসেছিলাম। হঠাত কয়েকজন বুজুর্গ ব্যক্তি এসে নিয়ে গেলেন। এরপর কী হয়েছে জানি না। পুরুষ হয়ে গেছি। মুহূর্তেই মুখে দাঁড়ি-গোফ গজিয়ে যায়। ওই সময় পত্রপত্রিকাতেও নাকি তাকে নিয়ে খবর প্রচার হয়।' ইসলাম ধর্মের লেবাসে, ইসলাম ধর্ম প্রচার সভায় এ ধরনের মনগড়া গল্প বলে ইসলামকেই কি ক্ষতিগ্রস্ত করলো না? হতেও তো পারে বলে যারা তাকে সমর্থন করেন, তাদের ইসলাম ধর্মের জ্ঞানের গভীরতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা, এ ধরনের ঘটনা ঘটে বা ঘটতে পারে বলাও ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। তাহলে ওই ব্যক্তি মনগড়া গল্প বলে পার পেলো কীভাবে?
ইসলাম ধর্ম যেমন শান্তির ধর্ম, তেমনই নির্দেশনাতেও রয়েছে স্বচ্ছতা। মিথ্যাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। সর্বক্ষেত্রেই মিথ্যাকে পাপ বলা হয়েছে। মিথ্যা বা কোনো প্রকার ছলনার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম প্রচার মানে ইসলামকেই কলুষিত করা। এদিকে ইসলামী চিন্তাবিদদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। দরকার দায়িত্বশীলতা।
Also read:
''ভন্ডপীর ল্যাংটা বাবার ভন্ডামি'' ইসলামের নামে একটি সামাজিক অনাচার !
https://www.youtube.com/watch?v=5dvqJVXddW8ভণ্ড পীরদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন
- See more at: http://blog.bdnews24.com/Azmal2011/169720#sthash.V9as1gsQ.dpuf
http://blog.bdnews24.com/Azmal2011/169720
সঠিক পীরের পরিচয় ও গুণাবলীশিশু ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ডপীর আটক০৫ জুন,২০১৫
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/4/110985#.VXI0qlL01H0
দেওয়ানবাগ ভণ্ড পীর সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য :
http://www.shobujbanglablog.net/32712.html
Vondo Pir Chormonai - Free HD video download - hdking ...
hdking.mobi/video/vondo-pir-chormonaichormonai peerer murider paglami. by saidyalam. চরমোনাই পীর ও তার মুরিদদের ভন্ডামি ( Hypocrisy ofChormonai pir and his followers ) · Vondo chormonai pirer ...অনুসন্ধান - দেওয়ানবাগ ভণ্ড পীর সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য :...
দেওয়ানবাগ ভণ্ড পীর সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য : দেওয়ানবাগী ভণ্ড পীর (চিনে রাখুন , জেনে রাখুন এবং প্রচার করুন ইসলামের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী এক ভণ্ডপীরের...http://www.somewhereinblog.net/blog/titkute/29896975
গদ্দিনশীন পীর বিষয়ক সামান্য ক্যাচাল
গদ্দিনশীন পীর বিষয়ক সামান্য ক্যাচাল....লেখাজোকা শামীম এবং আমার মন্তব্য
More images for গদ্দিনশীন পীর
Also watch:
Dewanbagi Vondobagi ভন্ডবাগী দেওয়ানবাগীর ভন্ডামী ...
dewanbagi vondo pir Videos - HiFiMov.com
dewanbagi vondo pir Videos - high quality 3gp and mp4 videos,indian,telegu,tamil,bangladeshi,pakistani,bollywood,hindi free video downloads,youtube 3gp ...DEWANBAGI VONDO SHARIF
NENGTA & VONDO PEER THEKE SABDHAN
__._,_.___
Putting Zia down won't lift Mujib and vice versa.
Mujib didn't want to secede form Pakistan because it would've been a treason. Throughout his life Mujib had a love and feeling for Pakistan. That was the reason he kept hugging Bhutto after the liberation. At the end he fell in the whirlpool of communism - Russian/KGB/RAW trap. The other trap was set by anti communist block. This was a very notorious cat and mouse game during cold war era.
Let's not forget Mujib fought against Congress along with Sharwardi, Jinnah and many more for the creation of Pakistan.
Mujib had flaws and so did Zia.
Leave these people alone and think what is better for BD. I bet it is not the slavery of India but friendship on the basis of equal footing.
Best Regards,
SH
February 22, 2016 সম্পাদকীয় Leave a comment
ভণ্ডরা ছদ্মবেশে ভণ্ডামিতে ভক্তদের এমনভাবেই আকৃষ্ট করে যে, তাতে অন্ধবিশ্বাস জন্মে যায়। ফলে ভক্তিতে কমতি রাখে না। সুযোগ বুঝে ভণ্ড শুধু অর্থই হাতিয়ে নেয় না, ভক্তদের দিয়ে আস্তানার অর্থ আয়ের মান্নত বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটাতে থাকে। ভক্তদের ঘোর কাটার আগে তাদের দেখে ভিড়তে থাকে নতুন ভক্ত।
ওই সমাজে ভণ্ড পীরের সংখ্যা বেশি, সে সমাজে সচেতনতার আলোয় স্বল্পতা। অবশ্যই আমাদের সমাজে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। লেখাপড়া করে বড় বড় একাডেমিক সনদ থাকলেই তাকে যেমন পরিপূর্ণ সচেতন বলা যায় না, তেমনই কোনো পীরের আস্তানা বা দরগায় শাদা পোশাকের ভিড় দেখলেই কামেল পীর বলা যায় না। ধর্মীয় লেবাসে পীর সেজে অনেকেই এমনসব মতবাদ ছড়াচ্ছে, যা কখনো কখনো হাস্যকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে ধর্মের পোশাকে পীর সাজা হচ্ছে, সেই ধর্মকেও কলুষিত করতে ছাড়ছে না এরা। ছবিসহ ছবির পাশে জুতো রেখে তাতে কদমবুচি কি ইসলাম সমর্থন করে? অথচ ….
অবশ্যই ভণ্ডামির দোকান বন্ধে সমাজে সচেতনতার আলো ছড়াতে হবে। এ দায়িত্ব সমাজের সচেতনদেরই ওপরই বর্তায়। সচেতনতার পোশাকে যারা ভণ্ডামিকে সমর্থন করেন তাদের ফেরানোর বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিলম্ব মানে মনগড়া মতবাদ ছড়িয়ে, ফন্দি ফিকিরে স্বার্থ হাসিল করাদের সুযোগ করে দেয়া।
February 17, 2016
একটি ধর্মীয় সভায়, ধর্মীয় লেবাসে ধর্মের অজুহাতে জলজ্যান্ত মিথ্যা বলে যখন কোনো ব্যক্তি পার পায় তখন সমাজের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়। শুধু তাই নয়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে যে ব্যক্তিকে হাজির করা হয় তার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা অবশ্যই অদক্ষতা।
চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া আকন্দবাড়িয়া মোহাম্মদীয়া বহুমুখি মাদরাসা প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে প্রচার করা হয় যাকে তার নাম আল হাজ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী। তার দাবি তিনি পূর্বে নারী ছিলেন। পরে পুরুষ হয়েছেন। নারী থাকাকালে তার সন্তান রয়েছে, পুরুষ হওয়ার পর বর্তমান সংসারেও এসেছে সন্তান। কীভাবে তিনি নারী থেকে পুরুষ হলেন? সে প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন মনগড়া। বলেছেন, শাশুড়ির নির্যাতনে বাড়ির রান্নাঘরের সামনে বসেছিলাম। হঠাত কয়েকজন বুজুর্গ ব্যক্তি এসে নিয়ে গেলেন। এরপর কী হয়েছে জানি না। পুরুষ হয়ে গেছি। মুহূর্তেই মুখে দাঁড়ি-গোফ গজিয়ে যায়। ওই সময় পত্রপত্রিকাতেও নাকি তাকে নিয়ে খবর প্রচার হয়।' ইসলাম ধর্মের লেবাসে, ইসলাম ধর্ম প্রচার সভায় এ ধরনের মনগড়া গল্প বলে ইসলামকেই কি ক্ষতিগ্রস্ত করলো না? হতেও তো পারে বলে যারা তাকে সমর্থন করেন, তাদের ইসলাম ধর্মের জ্ঞানের গভীরতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা, এ ধরনের ঘটনা ঘটে বা ঘটতে পারে বলাও ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। তাহলে ওই ব্যক্তি মনগড়া গল্প বলে পার পেলো কীভাবে?
ইসলাম ধর্ম যেমন শান্তির ধর্ম, তেমনই নির্দেশনাতেও রয়েছে স্বচ্ছতা। মিথ্যাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। সর্বক্ষেত্রেই মিথ্যাকে পাপ বলা হয়েছে। মিথ্যা বা কোনো প্রকার ছলনার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম প্রচার মানে ইসলামকেই কলুষিত করা। এদিকে ইসলামী চিন্তাবিদদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। দরকার দায়িত্বশীলতা।
- See more at: http://blog.bdnews24.com/Azmal2011/169720#sthash.V9as1gsQ.dpuf
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/4/110985#.VXI0qlL01H0
দেওয়ানবাগ ভণ্ড পীর সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য :
http://www.shobujbanglablog.net/32712.html
http://www.somewhereinblog.net/blog/titkute/29896975