কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে উড়ছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
সাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
২৭ মার্চ, ২০১৬ ০৯:৩৩
__._,_.___
সাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
২৭ মার্চ, ২০১৬ ০৯:৩৩
নিউইয়র্ক থেকে এনা: নিউইয়র্কে ২৬ মার্চকে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডে ঘোষণা করেছেন নিউইয়র্ক সিটির গভর্ণর এন্ড্রু কুমো। গত ২৬ মার্চ মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এবং বাঙালি চেতনা মঞ্চ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় নিউইয়র্ক সিটির গভর্ণর এন্ড্রু কুমোর প্রতিনিধি হ্যাসকে প্যারেক গভর্ণরের এই ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। ঘোষণা পত্রে গভর্ণর এন্ড্রু কুমো নিউইয়র্কে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডন্ট যে ঘোষণা করেন। হ্যাসকে প্যারেক গভর্নরের এই ঘোষণা পত্রটি শোভাযাত্রার আহবায়ক একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার জামাল উদ্দিন হোসেনের হাতে হস্তান্তর করেন।
সেমন্তী ওয়াহেদ এবং রানু ফেরদৌসের পরিচালনায় শোভা যাত্রায় গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির কম্পোট্রোলার। স্কট এম স্ট্রিঙ্গার। মার্শাল ছিলেন পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিসিয়া জেমস, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের ইমিগ্রেশন এফেয়ার্স এর কমিশনার নিশা আগরওয়াল, নিউইয়র্ক স্টেট সেনেটর হোজে প্যারাল্টা, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আমেরিকার মূলধারার কাউন্সিলম্যান ড. নূরন নবী, জ্যাকসন হাইটস পুলিশ প্রিসেক্টের কমান্ডার ইন চীফ ব্রায়ান সি হ্যানেসি।
গ্র্যান্ড মার্শাল সিটি কম্পেট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গাল বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী কম্যুনিটি দিন দিন বাড়ছে এবং তারা সততার সাথে কাজ করে সিটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এই সিটিতে প্রায় ২০০ দেশের অভিভাসী রয়েছেন এবং প্রায় ১৭৮টির মত ভাষা রয়েছে। আজকে বাংলাদেশের ৪৫ তম স্বাধীনতা দিবসের বার্ষিকীতে আমি বাংলাদেশের সকল মানুষকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই। তিনি নিউইয়র্ক সিটির পক্ষ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহার কাছে একটি সাইটেশন হস্তান্তর করেন। বিশ্বজিত সাহা এই স্বীকৃতিকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের উৎসর্গ করেন।
পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিশিয়া জেমস বলেন, আমি বাংলাদেশে যেতে চাই। তিনি বলেন, এই সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ানদের মধ্যে বাংলাদেশীদের অবস্থান পঞ্চম।স্টেট সিনেটর হোজে প্যারাল্টা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশীদের মূলধারার রাজনীতি করার আহবান জানান।হ্যান্সেকে প্যারেক তার বক্তব্যের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশীরা দিন দিন বাড়ছে। আর এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করে আমাদের কালচারকেও সমৃদ্ধ করছে। তিনি তার বক্তব্য শেষে গভর্ণরের ঘোষণা পত্রটি পাঠ করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং মাথায় ও বুকে ধারণ করে শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজা থেকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত এই স্লোগানটি কয়েক ব্লক দূরে আলোচনা সভাস্থল ৬৯ স্কুলের অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। এই প্যারেডে নিউইয়র্কের বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বাঙালি চেতনা মঞ্চের চেয়াম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, চেতনা মঞ্চের কর্মকর্তা শাখাওয়াত আলী, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, নিনি ওয়াহেদ, সাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন প্রমুখ। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয় এবং বিভিন্ন পর্বে কবিতা পাঠ করেন প্রবাসের কবি এবং সাহিত্যিকরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী তাজুল ইমামসহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা।
রাশিদ রিয়াজ : জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল-মোয়াল্লিমি দাবি করেছেন, দেশটির জনগণ বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষদের অন্যতম তাই সেখানে কোনো নির্বাচনের প্রয়োজনই নেই। আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেছেন তিনি। যদিও দেশটিতে সিগারেট, মদ্যপান অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় অপরাধ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির মিডিয়াগুলো। এছাড়া অধিকাংশ সৌদি নাগরিক মুটিয়ে যাওয়ায় ও বিলাসবহুল জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করায় সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে যা দেশটির বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট করা হচ্ছে। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে দেশটির আদালত বেশ সজাগ রয়েছে। গত হজের সময় দুটি বড় দুর্ঘটনায় বেশ কয়েক হাজার হাজি মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে তেমন কোনো জবাবদিহী করেনি দেশটি। তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিশাল আকারে বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় হজ ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করে অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে দেশটির সরকার। এতকিছুর পর বাক স্বাধীনতা নেই এমন অভিযোগ প্রায়ই উঠছে সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করায় অনেক সৌদি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত তার দেশের মানুষকে সুখী বলে কোনো নির্বাচন নেই বললেন। পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশ সহ অনেক দেশেই গণতন্ত্রের সবক সহ নানা শর্ত জুড়ে দেন। এসব দেশ কখনোই সৌদি আরবের মত দেশগুলোতে গণতন্ত্র বা নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামান না। রাজতন্ত্র নিয়েও তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কারণ পশ্চিমা দেশগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি সহ সস্তায় তেল কিনতে পারে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
জাতিসংঘে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সিরিয়ায় নির্বাচনের বিষয়ে সৌদি দাবির সঙ্গে নিজ দেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, "নির্বাচন সর্বরোগের ওষুধ নয়। সিরিয়ায় নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে বলেই সৌদি আরবে নির্বাচন হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।" অথচ সিরিয়ার আসাদ সরকারকে পতনের জন্যে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ পশ্চিমা দেশগুলোকে অস্ত্র, অর্থ, লোকবল দিয়ে সাহায্য করছে যে কারণে দেশটিতে বছরের পর বছর যুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষ নিহত ও শরণার্থী হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সিরিয়ার সংকট নিয়ে আলোচনার পথ পরিহার করেছে সৌদি আরব শুরু থেকেই।
জাতিসংঘে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, জরিপ চালানো হলে দেখা যাবে যে, সৌদি শাসন ব্যবস্থাকে বেশিরভাগ মানুষ সমর্থন করছে। এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করার দায়ে অনেককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে- ইঙ্গিত করে আল-মোয়াল্লিমি দাবি করেন, তাদের সঙ্গে সৌদি জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু সৌদি আরব সরকার কখনোই এধরনের জরিপ করেনি বা কোনো গণভোটের আয়োজন করেনি আদতে দেশটির মানুষ নির্বাচন চায় কি না।
বিতর্ক রয়েছে রিয়াদ সরকারের কোনো সমালোচনাই সহ্য করে না। কিন্তু অন্যদেশে নির্বাচন নিয়ে তা বেশ আগ্রহ রয়েছে দেশটির ওয়াহাবি শাসকদের। এধরনের দ্বিমুখী নীতিই জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে আরো পরিস্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। মানবাধিকার কর্মী, সরকারের সমালোচক এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দেশটিতে কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়। কতল করতে দ্বিধা করে না সৌদি সরকার। মজার ব্যবস্থা হচ্ছে সৌদি সরকার রাজতন্ত্র অনুসরণ করলেও খোদ ইসলামে রাজার ছেলে রাজা হওয়ার মত কোনো পদ্ধতি জায়েয নয়। সৌদি আরবের বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়। রাজতন্ত্রের বাইরে কোনো সৌদি নাগরিক অধিক মেধাসম্পন্ন ও দেশটিকে পরিচালনার মত যোগ্য হলেও তার পক্ষে সে দায়িত্ব পালনের কোনো সুযোগ নেই।
26 Mar 2016 14:35 GMT | Syrian Civil War, Saudi Arabia, Yemen, Syria, Middle East
Watch the interview video at:
http://www.aljazeera.com/programmes/upfront/2016/03/saudi-arabia-yemen-syria-160325095734939.html
|
There is no 'blasphemy law' officially in the books in Bangladesh. We make do with the British designed "hurt religious sentiment" in Section 293-4 of the 1860 Penal Code.