২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট অ্যালার্ম ঠিকই বেজেছিল
আবদুল মান্নান
১৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০
__._,_.___
১৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০
--Mr. DE elder says: "You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes.... they will have my support."But first where can we find you, Mr. Shameless bold fraudster? Many of us are still trying to find out who are you? Let us first find you then we will look for your enemy- perhaps another fraudster/ killer!!!On Wed, Aug 17, 2016 at 2:08 PM, Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com> wrote:"You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes. If Muktoma friends would like to raise the bounty few notches higher, they will have my support.--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com .
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout .
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com .
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout .
Very well said by Mr. Asghar. Britain will not deport these Jihadists for fear of violating their ridiculous human rights BS. They will rather keep these Islamists in their prison and will supply them milk and honey so that—these jihadists can perform their duties of serving Islam better! Massaallah!!!
KC
From: msa40@aol.com [mailto:msa40@aol.com]
Sent: Tuesday, August 16, 2016 2:31 PM
To: Shah DeEldar; mukto-mona@yahoogroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; bangladesh-progressives googlegroups
Cc: Khurshed Chowdhury
Subject: Re: Anjem Choudary guilty of inviting IS support
Britain may not deport them anywhere citing fear of their execution, instead it will put them in jail so that they can influence its inmates at the cost of the tax payers money!!
Sent from my Verizon 4G LTE Smartphone
------ Original message------
From: Shah DeEldar
Date : Tue, Aug 16, 2016 9:59 AM
To: mukto-mona@yahoogroups.com;
pfc-friends@googlegroups.com ;bangladesh-progressives googlegroups; Cc: Msa40;Khurshed Chowdhury;
Subject:Anjem Choudary guilty of inviting IS support
It is about time to have gloves off. These characters do not belong to the Western society. Deport him to land of pure and honey! Nobody will miss such POS!
Very well said by Mr. Asghar. Britain will not deport these Jihadists for fear of violating their ridiculous human rights BS. They will rather keep these Islamists in their prison and will supply them milk and honey so that—these jihadists can perform their duties of serving Islam better! Massaallah!!!
KC
From: msa40@aol.com [mailto:msa40@aol.com]
Sent: Tuesday, August 16, 2016 2:31 PM
To: Shah DeEldar; mukto-mona@yahoogroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; bangladesh-progressives googlegroups
Cc: Khurshed Chowdhury
Subject: Re: Anjem Choudary guilty of inviting IS support
Britain may not deport them anywhere citing fear of their execution, instead it will put them in jail so that they can influence its inmates at the cost of the tax payers money!!
Sent from my Verizon 4G LTE Smartphone
------ Original message------
From: Shah DeEldar
Date : Tue, Aug 16, 2016 9:59 AM
To: mukto-mona@yahoogroups.com;pfc-friends@googlegroups.com;bangladesh-progressives googlegroups;
Cc: Msa40;Khurshed Chowdhury;
Subject:Anjem Choudary guilty of inviting IS support
It is about time to have gloves off. These characters do not belong to the Western society. Deport him to land of pure and honey! Nobody will miss such POS!
আগস্ট মাস বাঙালির কাছে ট্র্যাজেডির মাস, নির্মমতার মাস। এক বুক দুঃখ ও কষ্ট নিয়ে প্রতি বছর এ মাসটি স্মরণ করা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালিই এই মাসকে লালন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের সম্রাট। অবিসংবাদিত এ নেতা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জনতার মুক্তির ইতিহাসে কিংবদন্তি। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন যে, 'শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উঁচুতে ছিল তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়ত তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সব বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। এই মহান নেতা জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ লালিত স্বপ্ন হয়েই থাকত। অথচ তার জীবনেই ঘটল নির্মম ট্র্যাজেডি। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে বিরল নির্মমতারই মুখোমুখি হলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরের সূর্য আলো ছড়িয়ে দেয়ার আগে এক নির্মম হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য প্রায় সব সদস্য। এ এক কঠিন নির্মমতা! এ এক অসামান্য ট্র্যাজেডি ও অসমাপ্ত কষ্টের সীমাহীন যন্ত্রণাযুক্ত অনুভূতি।
দুই.
নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।' দক্ষিণ এশিয়ায় এমন কি সমগ্র বিশ্বেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশ্বের ইতিহাসে আব্রাহাম লিংকন, মাহাত্মা গান্ধী, জন এফ কেনেডি, মার্টিন লুথার কিং, ললুম্বা, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এরা প্রত্যেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিশ্বের যে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিষ্কার পার্থক্য লক্ষণীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে যা বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিরল। পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যাকাণ্ড হয়নি যেখানে পুরো পরিবারকে হত্যার শিকার হতে হয়েছিল, একমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবার ছাড়া। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাঙালির ইতিহাসে নির্মম ট্র্যাজেডি। এ অভাগা এ জাতির জন্য ১৫ আগস্ট মর্মবিদারি ভয়াবহ শোকের দিন। তাই তো আমাদের জন্য আগস্ট মাস শোকের মাস। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতের আঁধারে এ জাতি হারিয়েছে জনককে। যদিও শেখ রাসেলসহ অনেকেই রাজনীতির বাইরে ছিলেন তথাপিও কেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল- সে প্রশ্নের জবাব আজো অমিমাংসিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চাভিলাষী সদস্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ঘাতকরা সেদিন বাংলাদেশের জাতির জনকের সঙ্গে আর যাদের হত্যার শিকারে পরিণত হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, শিশুপুত্র রাসেল, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও পুত্রবধূদ্বয়কে, একমাত্র ভাইসহ অন্য স্বজনদের। হত্যার মাধ্যমে পরাজিতরা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল পরাজিত শক্তিদের নীলনকশা। তাদের পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা এ জাতির বিরত্বগাথা ইতিহাসকে অপ্রাসঙ্গিক করবে। বাঙালির ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, স্বাধিকার আন্দোলনের সর্বোপরি ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং লাখ লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা এ স্বাধীনতা অর্থহীন করে দিতেই ছিল তাদের পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই শুরু হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের সংকট মৌলবাদের পুনর্বাসন, জঙ্গিবাদের উত্থান ও যুদ্ধাপরাধী প্রত্যাবর্তন। ১৫ আগস্ট পঁচাত্তর বাঙালি জাতির এক বিশাল কলঙ্কের অধ্যায়। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটন হওয়ার পর ইংলিশ এম পি জেমস লামন্ড দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, 'বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।' বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হতে সময় লেগেছে ৩৪ বছর। বেদনাদায়ক হলেও সত্য যে, জনক হত্যার বিচারের জন্য আদালতে মামলা উঠাতেই সময় লেগেছে ২১ বছর। তথাপিও সুখের বিষয় এই যে, বিচার সম্পন্ন হয়েছে। রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিন.
আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ আইনজীবী, কেউ চিকিৎসক আবার কেউ লেখক এসব সম্ভব হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বলিষ্ঠ নেতার শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে। আমরা যে যেখানে আছি সে অবস্থান থেকেই বিশ্ব ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি বিরল হত্যাকাণ্ডের শিকার এই অবিসংবাদিত জননেতার মূল্যায়ন করা উচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে বাঙালি জাতি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে অহর্নিশ যন্ত্রণার দহনে দগ্ধ প্রতিনিয়ত। জাতি যখন ১৯৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তখন বিশ্ব এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর দেখতে পেয়েছে। আর এ বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এমনি এমনি হয়নি বরং এর জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বিশ্বের ইতিহাসে এ রকম দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিল, যার পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিল। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিল শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালিকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।
এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার : আইনজীবী, লেখক।
http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2016/08/17/102690.php
বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬
জন্মলগ্নে দলটির নাম ছিল 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল'। কাজেই দলটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় হওয়া উচিত ছিল 'বাজাদ'। কিন্তু তা না হয়ে দলটি পরিচিত ইংরেজি অনুবাদ অনুযায়ী। যারা ইংরেজি জানে না তাদের কাছেও দলটি বিএনপি নামে পরিচিত। সে যাই হোক অবশেষে দলটির কার্যকরী কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নানা কথা শোনা গেছে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে। আমরা সেসব কথায় যাব না। আমরা আশা করব, কমিটির সদস্যরা কাজ করবেন দলের জন্য, জাতির মঙ্গলের জন্য। কাউকে সন্তুষ্ট করা তাদের লক্ষ্য হবে না- এটাই সবাই আশা করবে। কুয়াশামুক্ত হোক বিএনপির রাজনীতি দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে।
দেশে-বিদেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশের শাসনভার গ্রহণের ইতিহাস যদি আমরা শুনি, এই বিষয়ে বইপত্র যদি পড়ি তবে দেখব কতক বিষয় সব দেশে একই রকম। নিয়মতান্ত্রিক সরকারকে জনগণের কাছে অপ্রিয় করবার জন্য যেসব ষড়যন্ত্র করা হয় এবং যেসব কাজ করা হয় সে সবের আলোচনা আমরা করব না। আমরা শুধু সংক্ষেপে উল্লেখ করব ক্ষমতা দখলের পর তাদের আচরণের চরিত্র। প্রথমেই তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে এবং বলতে থাকে যে, ক্ষমতা দখলের ইচ্ছা তাদের ছিল না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্ষমতা তাদের নিতে হয়েছে। তবে ক্ষমতা তারা খুব শিগগিরই ফেরত দেবে। প্রচারমাধ্যমে এসব কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এর সঙ্গে চলতে থাকে গণতান্ত্রিক সরকারের নামে কুৎসা রটনা। সেনা সরকার দেশের কত ভালো করছে সেটা বলা শুরু হয় শিগগিরই। এর সঙ্গে শুরু হয় সেনাকর্তার গুণাবলির বিস্তারিত বর্ণনা। অন্তরালে চলতে থাকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবার প্রস্তুতি। সরকারি টাকা খরচ হয় এ জন্য। সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে গোয়েন্দা বিভাগগুলোকে। তারপর 'হ্যাঁ / না' নির্বাচন। তারপর দল গঠন। দলে যোগ দেয় অতীতের ব্যর্থ রাজনীতিবিদরা, আমলারা এবং আর সব অপরিচিত রহস্যজনক ব্যক্তিরা। 'দল ছুট, 'পেশা ছুট' ব্যক্তিরা। তারপর তথাকথিত নির্বাচন। সবটা সময় ধরে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরুদ্ধ। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদরা কারার অন্তরালে।
আমাদের ইতিহাসের দিকে একটু তাকানো যাক। মুসলমানদের আগমনের আগে বৌদ্ধ আর হিন্দুদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। মুসলমানদের আসার পর বৌদ্ধদের ভূমিকা খুব একটা দেখা যায় না। হিন্দু আর মুসলমানরা একসঙ্গে বাস করেছে শান্তির সঙ্গে। ইংরেজ আমলে দৃশ্যটা পালটে যায়। মুসলমানরা ইংরেজদের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগের মনোভাব গ্রহণ করে। হিন্দুরা পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে। এর ফলে মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ে। এসব কারণে মুসলমানরা আলাদা বাসভূমি দাবি করে। পাকিস্তানের জন্ম হয় সাতচল্লিশে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে পশ্চিম পাকিস্তানিরা উপনিবেশ হিসেবে মনে করতে থাকে পূর্বপাকিস্তানকে। দেখা যায় পূর্ব পাকিস্তান জয় না করেও পূর্ব পাকিস্তানকে পরাধীন জাতিতে পরিণত করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। চাকরি-বাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং অন্য সব কিছুতে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে পর্বতসম বিশাল পার্থক্য গড়ে ওঠে। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কোনো দিন নির্বাচন হয়নি। প্রথম দিকে আমলা ও সেনাবাহিনী মিলিতভাবে ছদ্মবেশে দেশ শাসন করে। ১৯৫৮ সালে আইউব খানের নেতৃত্বে তারা খোলাখুলি দেশের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। গায়ের জোরে দেশ চালাতে থাকে তারা। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিরাট পার্থক্য গড়ে ওঠে। অবশেষে গণআন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে হয় তাদের। সত্তর সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এই অবস্থায় স্বাধীনতা ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না পূর্ব পাকিস্তানের।
কিন্তু একটা সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত ছিল না পূর্ব পাকিস্তান। এই সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানিরা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে। এক কোটি মানুষ প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের এই পটভূমি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে। এসব সমস্যার সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তি ভয়াবহ রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে ১৯৭৫-এ। এই ক্ষমতা দখলকারীদের দিকে তাকানো যাক।
এদের অনেকে ছিল প্রশাসনের অংশ। কিন্তু তারা দোষারোপ করল জাতির জনককে। যে ভারত স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সেই ভারতকে তারা নানাভাবে দোষারোপ করল। একটা সাম্প্রদায়িক চিত্র দাঁড় করানো হলো। মনে হলো যেন পাকিস্তানি আবহাওয়া ফিরে এলো। পৃথিবীব্যাপী সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের একই কায়দা, একই স্টাইল। গণতান্ত্রিক সরকারের নিন্দা করা হলো। সেনানায়কের সততার প্রশংসা। ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙা বাক্সের কথা। একজন লেখক উল্লেখ করলেন প্যারিস থেকে আনা দামি বুটজোড়ার কথা এবং আমেরিকা থেকে আনা কালো চশমার কথা। দল গঠনের একই কায়দা। সরকারি অর্থ আর সরকারি কর্মচারী। গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যবহার। 'হ্যাঁ / না' নির্বাচনে শতকরা ৯৮ ভাগ ভোট পাওয়া। দল গঠন। সেই দলছুট আর পেশাছুটদের কাহিনী। ১৯৭১-এর যুদ্ধের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি পুনর্বহাল হলো। বিএনপি সরকারে স্থান পেল জামায়াত নেতারা। বিএনপি গঠিত হয়েছিল সেনানায়কের প্রয়োজনে। তারপর সেই দল তার পরিবারের কাজে লেগেছে। আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিত দলনেত্রী কিন্তু পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে যে, তিনি এরশাদের কাছ থেকে একটি বিশাল আকারের বাড়ি নিয়েছিলেন। জিয়া হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়নি।
দলে আছে বামপন্থীরা, আছে ডানপন্থীরা এবং আছে অন্যান্য পন্থীরা। কী তাদের একত্রে রেখেছে কে জানে! দুই বারের আন্দোলনে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গাছ কাটা হয়েছে অসংখ্য। রেললাইন উপড়ানো হয়েছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের। পত্রপত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, নেতাদের কোথাও দেখা যায়নি আন্দোলনের সময়। ধ্বংসাত্মক কাজের নির্দেশ দিয়েছে কারা? কারা সে নির্দেশ পালন করেছে? এসব কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি? ভারতবিরোধী প্রচার করে বিএনপি কিন্তু মোদির সঙ্গ লাভে উৎসাহ দেখা গেছে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করা হয় কিন্তু অনেক নেতার জীবনযাপনে ধর্ম দেখা যায় না। সব কিছু যোগ দিলে দেখা যায় যে, দলটির রাজনীতি কুয়াশাচ্ছন্ন। এবারের বিশাল আকারের কমিটি দলটির রাজনীতি কুয়াশামুক্ত করবে এই আশা করি।
ওয়াহিদ নবী : চিকিৎসক, লেখক। রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো।
http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2016/08/17/102689.php
ওয়াহিদ নবী