Banner Advertiser

Monday, October 16, 2017

[mukto-mona] তাজমহল ‘একটি কলঙ্ক, তৈরি করেছিল বিশ্বাসঘাতকরা’



তাজমহল 'একটি কলঙ্ক, তৈরি করেছিল বিশ্বাসঘাতকরা'

উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের সাম্প্রতিক বুকলেটে তাজমহলকে না রাখার পর থেকেই বিশ্ববিখ্যাত 
এই স্থাপনাটি নিয়ে ভারতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। 

এবার বিজেপির বিতর্কিত আইনপ্রণেতা সঙ্গীত সোম এ বিতর্কে যোগ দিয়ে তাজমহলকে 'ভারতের সংস্কৃতির কলঙ্ক' বলে 

অভিহিত করেছেন, খবর এনডিটিভির। এই স্থাপনাটি 'বিশ্বাসঘাতকরা' তৈরি করেছিল বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।

সোম বলেছেন, "উত্তর প্রদেশের পর্যটনের বুকলেটে ঐতিহাসিক স্থানগুলোর তালিকা থেকে তাজমহলের নাম সরানোর 

পর অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কোন ইতিহাসের কথা বলছি আমরা? 

যে লোকটি (শাহজাহান) তাজমহল বানিয়েছিল সে তাদের ভাইদের কারাবন্দি করেছিল।

"সে হিন্দুদের সংহার করতে চেয়েছিল। এটাই যদি ইতিহাস হয়, তাহলে তা খুব দুঃখজনক এবং আমরা এই ইতিহাসটি 

পরিবর্তন করবো।"  ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভূমিকার জন্য যে রাজনীতিকরা 

অভিযুক্ত সোম তাদের অন্যতম। ওই দাঙ্গায় ৬০ জনেরও বেশি নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। উত্তেজনা 

সৃষ্টিকারী বক্তব্যের জন্যও এই আইনপ্রণেতা পরিচিত।  চলতি মাসের প্রথমদিকে উত্তর প্রদেশের পর্যটন দপ্তরের নতুন 

ব্রুশিয়ারে তাজমহলকে না রাখায় ভারতের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মার্বেল পাথরে তৈরি সপ্তদশ শতকের 

এই স্মৃতিসৌধটি দেখতে বিশ্বের সব অঞ্চলের পর্যটকরা ভারতে যান।

মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই স্থাপনাটিকে সচেতনভাবে অবহেলা করার জন্য ভারতের অনেকেই উত্তর প্রদেশের 

যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে অভিযুক্ত করেন।

সমালোচনার মুখে আত্মপক্ষ সমর্থন করে উত্তর প্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী রিতা বহুগুনা জোশি বলেছিলেন, "তাজমহল আমাদের 

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশ্বের বিখ্যাত পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোর সর্বোত এবং অবকাঠামোগত সুবিধাদির উন্নয়নই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার।"

উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের শাসনের ছয় মাস উপলক্ষ্যে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ওই বুকলেটটি প্রকাশ করেছিল। এতে 

রাজ্যের রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছিল। 

তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যে মন্দিরের প্রধান, গোরক্ষপুরের সেই গোরখনাথ মন্দিরের নাম থাকলেও তাজমহলের নাম 

রাখা হয়নি। জুনে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না। 

https://bangla.bdnews24.com/world/article1408666.bdnews

ভারতে ধর্মের নামে জাতের নামে বজ্জাতি নোংরা রাজনীতি কে অত্যন্ত ঘৃণা প্রকাশ করি 

(মন্তব্য : অলভ্য ঘোষ)

Watch  the video: 



ফেলানী খাতুনের উদ্দেশ্যে (কবিতা পাঠ)


Partition of India was greatest blunder in history of mankind: 

Indo-Aryan migration theory - Wikipedia

Jump to Migration into northern India - Proponents of Indo-Aryan origin outside of India generally consider migrations into South Asia and Anatolia (ancient Mitanni) from Central Asia to have started around 1500 BCE, as a slow diffusion during the Late Harappan period, which led to a language shift in northern India.

On Friday, October 6, 2017, 9:48:18 AM EDT, Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

Shame on this woman! Anyone who and whose parents were born in India is an Indian citizen by birth. No one has the right to expel him/her from the country. However, I think the secular forces of India need to be truly secular and reject all kinds of religious nonsense, injustice and hatred among all religious groups, including both Hindus and Muslims. The stupidity of the so-called secular leaders of India has been the reason for the rise of Hindu fanaticism in India. It is a disgrace.

Sukhamaya Bain

============================== =


On Friday, October 6, 2017 8:21 AM, "'Jamal G. Khan' M.JamalGhaus@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

মুসলিম উৎখাতের ডাক হিন্দুত্ববাদী নেত্রীর (ভিডিও)


ভারতকে মুসলিম মুক্ত করার ডাক দিলেন সাধ্বী প্রাচি

  • ভারতকে মুসলিম মুক্ত করার ডাক দিলেন সাধ্বী প্রাচি
ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচি বলেছেন, 'আমরা ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করেছি, এবার মুসলিম মুক্ত ভারত তৈরি করতে হবে। আর এজন্য আমরা কাজ করছি।'...........
...........সাধ্বী প্রাচির আগে 'ধর্ম জাগরণ মঞ্চ' নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাবি করা হয় ২০২১ সালের মধ্যে ভারতকে মুসলিম এবং খ্রিস্টান মুক্ত করা হবেসংগঠনটির পশ্চিম উত্তর প্রদেশের প্রধান রাজ্যেশ্বর সিং বলেন, 'মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের ভারতে থাকার অধিকার নেই। ...................details at:




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: {PFC-Friends} বাকশাল-১ এর প্রেতাত্মা বাকশাল-২ আবারো ধর্ষিত করলো বিচার বিভাগকে

Which one is more offensive, voter bihin or facism?
--------------------------------------------
On Mon, 10/16/17, Farida Majid <farida_majid@hotmail.com> wrote:

Subject: Re: [mukto-mona] Re: {PFC-Friends} বাকশাল-১ এর প্রেতাত্মা বাকশাল-২ আবারো ধর্ষিত করলো বিচার বিভাগকে
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>, "pfc-friends@googlegroups.com" <pfc-friends@googlegroups.com>
Date: Monday, October 16, 2017, 1:43 AM



















Md
Golam Kibria Talukder

5
hrs · 












বিএনপির
কথিত বহুদলীয়
গণতন্ত্রের প্রবক্তা
জিয়াউর রহমানের
'ভোটারবিহীন বাক্স
পূর্ণ' নির্বাচনকে
সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা
তরুণ প্রজন্মের বিএনপি
সমর্থকদের মনে করিয়ে
দেয়ার জন্য
ধন্যবাদ।

২২
এপ্রিল ১৯৭৭
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান
সামরিক আইন প্রশাসক এবং
একই সঙ্গে
সেনাবাহিনীপ্রধান
জেনারেল জিয়া এক বেতার
ভাষণে ১৯৭৮ সালের
ডিসেম্বর মাসে দেশে
সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
একই ভাষণে তার ওপর
জনগণের আস্থা
আছে কি না তা যাচাইয়ের
জন্য ৩০ মে ১৯৭৭
দেশব্যাপী গণভোট
অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
সে সময় দেশে ভোটারের
সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৩
লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৬ জন।
অবিশ্বাস্যভাবে
সরকারী ঘোষণায় বলা হয়
৮৮.৫% ভোটার গণভোটে অংশ
নিয়েছেন এবং জিয়াউর
রহমানের পক্ষে
'হ্যাঁ'সূচক ভোট পড়েছে
৯৮.৮৮%।

নির্বাচন প্রসঙ্গে
বিচারপতি সায়েম বলেন,

"বস্তুত জিয়া তাঁর
অবস্থান সংহত করার
উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে
একটা গণভোট করে ফেলেন।
তাঁর প্রতি এবং তাঁর
ঘোষিত নীতি ও কর্মসূচীর
প্রতি ভোটারদের আস্থা
আছে কি না তাই ছিল
গণভোটের বিষয়। কিন্তু
সেই গণভোটে হ্যাঁ
বাক্সে এত বেশি ভোট পড়ে
যে, জনগণ সেই ফলাফলকে
হাস্যকরভাবে
অবিশ্বাস্য
মনে করে।"

[সূত্র : বঙ্গভবনের শেষ
দিনগুলো, লেখক- আবু
সাদাত মোহাম্মদ সায়েম,
পৃষ্ঠা-৩৭]



বিএনপি তো
বঙ্গবন্ধু মুজিবকে
একনায়ক একনায়ক বলে পাগল
হয়ে গেল। আসুন দেখা যাক
বি এন পির উপদেষ্টাগন
জিয়া কে কিভাবে
মুল্লায়ন করেন - মওদুদ
আহমদ জিয়া সম্পর্কে কী
লিখছেন_ 


" আওয়ামী লীগের একদলীয়
প্রথার অবসান ঘটিয়ে
তিনি রাষ্ট্র
প্রশাসনের
গণতন্ত্রীকরণ করে
বহুদলীয় ব্যবস্থার
প্রবর্তন করলেও
অত্যনত্ম কঠোর
একনায়কতান্ত্রিক
কায়দায় তিনি তা
পরিচালনা করেছেন।
সংসদের রাজনৈতিক
ভূমিকার উন্নতি ঘটেছে,
কিন্তু এই
প্রতিষ্ঠানটি
নির্বাহী বিভাগের ওপর
নিয়ন্ত্রণ বজায়ে
ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসক
হিসেবে তিনি ছিলেন একজন
শান্ত, কঠোর এবং
কর্তৃত্বকামী।"
জিয়া
প্রথম রাষ্ট্রপতি না
হলেও তিনি অনেক কিছুতেই
প্রথম হয়েছিলেন যা শুধু
রাষ্ট্রীয় স্বার্থের
পরিপন্থিই ছিল না তা
বাংলাদেশের অগ্রগতিকে
প্রচ-ভাবে ব্যাহত
করেছে। বঙ্গবন্ধুর
মৃত্যুর পর বিচারপতি
সায়েমকে প্রেসিডেন্ট
পদ হতে হটিয়ে তিনি
সামরিক বাহিনী হতে আসা
প্রথম সামরিক শাসক
হয়েছিলেন। খন্দকার
মোশতাককে দিয়ে তিনি
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ
জারি করিয়ে বঙ্গবন্ধুর
খুনিদের বিচার বন্ধ
করার চেষ্টা করেছেন।
পরবর্তীকালে তা তিনি
জাতীয় সংসদে আইন হিসেবে
পাস করিয়েছেন। তিনি
বিচারপতি সায়েমকে
ব্যবহার
করে ১৯৭২ সালের দালাল
আইনকে ১৯৭৫ সালের ৩১
ডিসেম্বর বাতিল করে সকল
পাকিস্তানী দালাল,
যুদ্ধাপরাধী,
মানবতাবিরোধী
অপরাধীকে ক্ষমা করে জেল
হতে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এরা সকলে ১৯৭১ সালে
পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে
পরোক্ষ ও
প্রত্যক্ষভাবে
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করেছিল। এদের
একজন
ছিলেন শাহ আজিজুর
রহমান। তিনি জাতিসংঘে
গিয়েছিলেন
পাকিস্তানের পক্ষে
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
ওকালতি করতে।
বাংলাদেশে জাতি ও
রাষ্ট্রের শত্রুদের
পুনর্বাসন করার
দায়িত্ব প্রথমে নেন
জেনারেল জিয়া। জিয়া
ক্ষমতা দখল করে তাঁর
এককালের প্রভু
পাকিস্তানের
স্বৈরশাসক জেনারেল
আইউব
খানের পথ ধরে। ১৯৭৭
সালে তিনি বাংলাদেশে
প্রথমবারের মতো
'হ্যাঁ' 'না' ভোট চালু
করে নির্বাচন
ব্যবস্থাকে তছনছ
করেছিলেন। এই
নির্বাচনে তিনি তাঁর
পক্ষে প্রায় ৯৫% ভোট
'সংগ্রহ' করতে সক্ষম
হয়েছিলেন। তিনি হচ্ছেন
প্রথম ব্যক্তি যিনি
প্রজাতন্ত্রের একজন
বেতনভুক্ত কর্মচারী
হয়েও রাষ্ট্রপতি
হিসেবে 'নির্বাচনে'
অথবা 'রেফারেন্ডামে'
অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি
যিনি সেনাবাহিনী
প্রধান ও রাষ্ট্রপতি
পদে অধিষ্ঠ থেকে সামরিক
গোয়েন্দা বাহিনীর
সহায়তায় রাজনৈতিক দল
গঠন করেছিলেন এবং তিনি
তার প্রধান হয়েছিলেন।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি
যিনি
বহুদলীয় গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠার নামে ১৯৭৭
সালে জামায়াতের মতো
নিষিদ্ধ যুদ্ধাপরাধের
দায়ে অভিযুক্ত দলগুলোর
প্রকাশ্যে রাজনীতি
করার সুযোগ করে দিয়ে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ
প্রতিষ্ঠার দরজা খুলে
দিয়েছিলেন। বিএনপি'র
ওয়েবসাইটে তাঁকে সপ্তম
রাষ্ট্রপতি হিসেবে
উল্লেখ করা হয়েছে,
প্রথম হিসেবে নয়।
কখন জাল
ভোট ছিলনা ? ১৯৭৭ এ জিয়ার
হ্যাঁ / না ভোটে ১২০%
পর্যন্ত ভোট পড়েছিল
কিছু কেন্দ্রে আর সব
মিলিয়ে জিয়া পেয়েছিল
৯৮.৯ ভাগ ভোট । এটাও সবাই
বিশ্বাস করতে বাধ্য
হয়েছিল ।

নির্বাচন অবাধ হয়েছিল
কী না, সেটা বড় কথা নয়,
কিন্তু বড় কথা হল,
প্রসিডেন্ট পদে
প্রার্থী হওয়ার
যোগ্যতাই তো ছিল না
জিয়ার । তিনি তখন চীফ অব
আর্মি স্টাফ পদে সবেতনে
চাকরি করছিলেন।
চাকরিতে থাকা অবস্থায়
সংবিধান অনুযায়ী
প্রেসিডেন্ট কেনো,সংসদ
সদস্য পদেও দাঁড়ানোর
নিয়ম নেই। সুতরাং তার
নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করাটাই ছিল অবৈধ। এই
অবৈধ কর্মকে বৈধ করার
জন্য তিনি আর একটি অবৈধ
কাজ করেন। তা হলো পরের
বছর অর্থাৎ ৭৯ সালে ২৮
এপ্রিল মাসে back date দিয়ে
৭৮ সালে ২৯ এপ্রিল থেকে
নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত
দেখিয়ে একটি অধ্যাদেশ
জারি করেন।
(মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর)।
এবার নির্বাচিত হয়ে তার
বিশেষ অনুগত বিচারপতি
সাত্তারকে ভাইস
প্রেসিডেন্ট পদে
মনোনীত করেন। এই
সাত্তারের আবরণে তিনি
তার রাজনৈতিক দল বিএনপি
গড়ে তোলেন,
মুক্তিযোদ্ধা জিয়া তার
দলে অন্তর্ভুক্ত করেন
স্বাধীনতা বিরোধী,
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী
ডান এবং বাম দল গুলোকে।
শুরু হল তার তথাকথিত
বহুদলীয় গণতন্ত্রের
যাত্রা।
পরের
বছর তিনি এই দেশবিরোধী
বহুজাতিক দলের
চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ
করে জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের আয়োজন
করেন। অলৌকিক হলেও
সত্য, সংসদের ৩০০ আসনের
মধ্যে ২০৭টি আসন লাভ
করে বিএনপি, যার বয়স
তখনো এক বৎসর পূর্ণ
হয়নি। এ নির্বাচনে
নাকি ভোট দিয়েছিলেন
শতকরা মাত্র ৪২ ভাগ
ভোটদাতা। প্রেসিডেন্ট
পদের মত এক পদের
নির্বাচনের চেয়েও
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
ভোটদাতার সংখ্যা কমে
গেল যাদুবলে!
(প্রেসিডেন্ট পদে
ভোটদাতা ছিলেন ৫০
শতাংশ)। এ ধরণের আজগুবি
নির্বাচনকেও
গণতন্ত্রে বিশ্বাসী
বিধ্বস্ত আওয়ামী লীগ
বিনা
চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়
নি। আওয়ামী লীগের হয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেছিলেন মেজর জেনারেল
খলিলুর রহমান। কিন্তু
তাকে বলপূর্বক পরাজিত
করা হয়। তাকে প্রথমে
বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও
দুইদিন পর পুনরায় ভোট
গণনার নামে তাকে পরাজিত
ঘোষণা করা হয়।
সব
চেয়ে বড় কথা হলো, জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের সময়
জিয়া বিরোধী দলগুলোর
আপত্তি সত্ত্বেও
সামরিক আইন প্রত্যাহার
করেন নি। হয়ত তিনি মনে
করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত
তার দল যদি সংখ্যা
গরিষ্ঠতা না পায় তাহলে
এই সামরিক আইনই তো তার
রক্ষা কবচ। তখন তিনি এই
আইনের বদৌলতেই
নির্বাচনের ফলকে বাতিল
করে আরো শক্ত হাতে
শাসনদন্ড ধরতে
পারবেন।
নির্বাচন
হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেলেন, কিন্তু সংসদকে
কার্যত কোন ক্ষমতা
প্রদান করলেন না।
"পার্লামেন্ট কোন আইন
আইন পাশকরলে তা তিনি
মেনে নিতে বাধ্য ছিলেন
না। যে কোন আইন ভেটো
দেয়ার ক্ষমতা ছিল তার।
সেই ভেটোর বিরুদ্ধে
পার্লামেন্ট আবার নতুন
করে আইন প্রণয়ন করলে,
তা-ও মানতে বাধ্য নন
তিনি। তখন করতে হবে
গণভোট। সেই গণভোটে এই
আইনের পক্ষে জণগণ রায়
দিলে, তবেই সে আইন তিনি
মেনে নিতে বাধ্য হবেন
তিনি। এ ছাড়া, তিনি আরো
একটি বিধান রাখলেন যে,
পার্লামেন্ট
যেমনই করুক না কেন,
মন্ত্রীদের তিন ভাগের
এক ভাগ নিয়োগ করবেন
তিনি। এর জন্য তাদের যে
পার্লামেন্টের সদস্য
হতে হবে,এমন কোন কোন কথা
নেই। জাতীয় স্বার্থে
তিনি পার্লামেন্টকে না
জানিয়ে চুক্তি সই করতে
পারবেন। তিনি পারবেন
ইচ্ছে মত জাতীয় সংসদ
ডাকতে, স্থগিত রাখতে
এবং বাতিল
করতে। এভাবে জিয়া
পার্লামেন্টকে একটি
ক্ষমতাহীন বিতর্ক সভায়
পরিণত করে যে ক্ষান্ত
হলেন, তা নয়, নিজের হাতে
রেখে দিলেন অনেকগুলো
মন্ত্রণালয় "।
(এ্যান্টনিঃ বাংলাদেশঃ
এ লিগেসি অব ব্লাড)

(গোলাম
মুরশিদঃ মুক্তিযুদ্ধ ও
তারপর)।
স্বার্থসিদ্ধি
এবং ক্ষমতার ভারসাম্য
বজায় রাখার ক্ষেত্রে
জিয়া বিশ্বাসী ছিলেন
একাধিক শক্তির আপাত
বিচ্ছিন্নতা অথচ
সমান্তরাল,জটিল
বিন্যাসিক সহাবস্থান
এবং দমন-পীড়ন-নিধন আর
পালাক্রমিক
সংস্থাপনমূলক
কার্যক্রম।

জিয়ার ক্ষমতার উৎস ছিল
বন্দুকের নল। সে জন্য
তিনি সামরিক বাহিনীকে
ঢেলে সাজালেন। নতুন
সৈন্যদের নিয়ে নতুন
পাঁচটি ডিভিশন করেন। যে
১২ দফাকে কেন্দ্র করে
কর্নেল তাহের ফাঁসির
আসামি হন, সেই বার দফার
কিছু দাবী পুরণ করে
নিচুতলার সৈনিকদের
সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা
করেন। এর
ফলে প্রতিরক্ষা খাতে
বাজেটের পরিমান দাঁড়ায়
২০৬৩ মিলিয়ন টাকায়। যা
মুল বাজেটের ২৯ শতাংশ।
বঙ্গবন্ধুর আমলে
প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল
৭৫০ মিলিয়ন টাকা। ( মূল
বাজেটের ১৩ শতাংশ)।
সামরিক বাহিনীর এই
বিপুল ব্যয়ভার মেটাতে
জিয়াকে অন্য দপ্তরের
বরাদ্দ অর্থও টেনে আনতে
হয়।
সামরিক
বাহিনীর পাশাপাশি
প্যারা মিলিটারি
বাহিনী
যেমন,আনসার,পুলিশ
বিডিআর ইত্যাদিকে
শক্তিশালী করার জন্য
তিনি এগুলোর সংখ্যা
প্রায় দ্বিগুণ করেন।

বিশেষ করে তিনি ঢাকার
পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে
সাজালেন। সাড়ে বারো
হাজার লোককে ঢোকানো হলো
তার ভেতরে। এদের
বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ
দিয়ে রক্ষীবাহিনীর
আদলে গড়ে তোলা হলো।
প্রয়োজনে যেন এদের
বাংলাদেশের যে কোন
অঞ্চলে পাঠানো যেতে
পারে।
তিনি
মুক্তিযোদ্ধাদের অথবা
যে সৈন্যরা একত্রে
দীর্ঘদিন কাজ করেছিল
তাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন
বিভিন্ন ডিভিশনে ও
বিভিন্ন জায়গায়।
প্রবীণ অফিসারদের
মধ্যে যারা তাকে
আপৎকালীন সময়ে সাহায্য
সহযোগিতা করেছেন তাদের
সরিয়ে দেন
ঢাকা থেকে অনেক দূরে।
যেমন যশোরে মীর শওকত
আলী, কুমিল্লায়
নুরউদ্দিন এবং
চট্টগ্রামে মঞ্জুরকে।
সে সময় স্টেশন কমান্ডার
কর্নেল হামিদ যিনি
সার্বক্ষণিকভাবে
জিয়াকে সহযোগিতা করে
এসেছেন তাকে পদত্যাগ
করতে বাধ্য করেন।
প্রধান সেনাপতি করে
কাছে টেনে নেন
মুক্তিযুদ্ধে অনভিজ্ঞ
পাকিস্তান ফেরত
এরশাদকে। শোনা যায়
এরশাদ মুক্তিযুদ্ধের
মাঝামাঝি সময়ে রংপুরে
বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি
মুক্তিযুদ্ধে যোগদান
না করে আবার পাকিস্তান
চলে যান।
জাতীয় সংসদেও
তিনি সামরিক সদস্যদের
নিয়ে আসেন। মন্ত্রীদের
মধ্যেও সামরিক
ব্যক্তিরা ছিল। শুধু
তাই নয়, জিয়া তার
প্রশাসনিক কাঠামোতেও
নিয়ে এসেছেন বহু সামরিক
সদস্য। এর ফলে একদিকে
গণতন্ত্র ব্যাহত হয়,
অন্যদিকে সামরিক
বাহিনীর এই সদস্যদের
দুর্নীতির দিকে ঠেলে
দেয়া হয়।

এ ভাবে জিয়া
সেনাবাহিনীর চাপ
জনগণের ঘাড়ের উপর রেখে,
গণতন্ত্রের
শ্বাসরূদ্ধ করে
সামরিকীকরণের মাধ্যমে
একনায়কতন্ত্র
প্রতিষ্ঠা করেন। যার
ফলে তার সুযোগ্য
উত্তরাধিকারী জেনারেল
এরশাদ প্রায় এক দশক
দাপটের সাথে রাজত্ব
করতে পেরেছিলেন।
জিয়ার
স্বৈরতান্ত্রিক
একনায়কতন্ত্রকে
সমালোচনা করে জেনারেল
ওসমানী বলেন, 'ক্ষমতার
পরিপূর্ণ
কেন্দ্রীয়করণের ফলে
প্রেসিডেন্ট জিয়া
স্বৈরাচারী শাসকে
পরিণত হন'।

খন্দকার মোশতাক আহমেদ
বলেন, 'জিয়াউর রহমানের
গণতন্ত্র
একনায়কতন্ত্রের চেয়েও
ভয়ংকর।। জনগণকে বিপথে
চালিত করার জন্য তিনি
সাংবিধানিক
একনায়কতন্ত্রের কায়েম
করেছিলেন।'
I will make
politics difficult for the politicians. জিয়ার
রাজনৈতিক
দুর্বৃত্তায়ন
তত্ত্ব।(যার নাম
বহুদলীয় গণতন্ত্র)

জিয়ার রাজনৈতিক
দুর্বৃত্তায়ন
তত্ত্বের সূত্রপাত ঘটে
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত
শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও
স্বাধীনতা
বিরোধীশক্তি,
পাকিস্তানপন্থী,ভারতবিরোধী,
বঙ্গবন্ধু
বিদ্বেষীদের নিয়ে
বিএনপি নামক দল গঠনের
মধ্য দিয়ে। এবার কাজ হল
এদের জাতীয় ভাবে
পুনর্বাসন করা।

এ রকম কিছু ব্যক্তিকে
এনে তিনি জাতীয় সংসদ
অপবিত্র করেন। এদের
মধ্যে একজন শাহ আজিজুর
রহমান। শাহ আজিজুর
রহমানকে জিয়া
প্রধানমন্ত্রী
বানালেন। অথচ এই শাহ
আজিজুর রহমান ৭১ সালে
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে
জাতিসংঘে যেয়ে বলেন,
'পাকিস্তানি সৈন্যরা
পূর্ব পাকিস্তানে
হামলা চালিয়ে
অন্যায় কিছু করে নি।
স্বাধীনতা নামে সেখানে
যা চলছে, তা হলো ভারতের
মদদপুষ্ট
বিচ্ছিন্নতাবাদী
আন্দোলন। বিশ্বের
বিভিন্ন রাষ্ট্রের
উচিত সেটাকে
পাকিস্তানের ঘরোয়া
ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ
করা"।

জিয়ার মন্ত্রীসভায় আরো
পাঁচজন রাজাকার ছিলেন।
এরা হলেন, ১। মসিউর
রহমান ২। সামসুল হুদা
৩। মির্জা গোলাম হাফিজ
৪। শফিউল আলম ৫। আব্দুল
আলিম।

মসিউর রহমান পাকিস্তান
সরকারের ঠিকাদার
ছিলেন। সামসুল হুদা
ছিলেন পাকিস্তান
বেতারের একজন প্রযোজক।
সে সময় তিনি
মুক্তিযুদ্ধের
বিরোধিতা করে পাক বেতার
থেকে কতগুলো অনুষ্ঠান
প্রচার করেছিলেন।

মির্জা গোলাম হাফিজ
ছিলেন পাকিস্তান চীন
মৈত্রী সমিতির সভাপতি।
তিনি বাংলাদেশের
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে
স্বাধীনতা বিরোধী
প্রচার চালাতেন। তিনি
তার বিবৃতিতে বলেন,
বাংলাদেশের এই তথাকথিত
মুক্তিযুদ্ধ আসলে একটা
ভারতীয় ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশেরর
স্বাধীনতার পর আব্দুল
আলিম, মসিউর রহমান, শাহ
আজিজুর রহমানকে
পাকিস্তানের দালাল
হিসেবে জেলে পাঠানো
হয়েছিল।

১৯৭৮ সালের ১১ জুলাই
পাকিস্তানের পাসপোর্ট
নিয়ে গোলাম আজম ঢাকায়
আসেন তিন মাসের ভিসা
নিয়ে। তার মেয়াদ ফুরিয়ে
গেলেও জিয়া সরকার তার
বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা
নেয়নি। গোলাম আজম আড়ালে
থেকে জামাত দলের কাজ
চালিয়ে যান। এক সময়
গোলাম আজমকে জামাত দলের
আমির বলে ঘোষণা দেয়া
হয়।

জিয়া জাতীয় সংসদে যেমন
মুক্তিযোদ্ধা আর
পাকিস্তানী দালালদের
একই আসনে বসান তেমনি
একদিকে গোলাম আজমসহ
জামাতকে পুনর্বাসন করে
অন্যদিকে
মুক্তিযোদ্ধা
পুনর্বাসনের নামে
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠন
করে বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধ ও
মুক্তিযোদ্ধাদের
দলীয়করণ করেন। তিনি
মুক্তিযুদ্ধের
প্রণোদনা স্বরূপ জয়
বাংলা ধ্বনিকে
জিন্দাবাদে পরিণত করার
মধ্য দিয়ে
মুক্তিযুদ্ধের মুল
চেতনাকে ধ্বংস করে
দেন।
এবার
দমন-পীড়ন- নিধন পালা।

জিয়া একদিকে
অভ্যুত্থানের নামে,
বিদ্রোহের নামে হাজার
হাজার সৈন্য ও সৈনিক
অফিসার নিধন করেন
অন্যদিকে তার রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষকেও শক্ত
হাতে দাবিয়ে রাখেন।
এ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনালের
১৯৭৭ সালের এপ্রিলের
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঐ
সময় বাংলাদেশে
রাজনৈতিক বন্দীর
সংখ্যা ছিল
১০ থেকে ১৫ হাজার।
বাংলাদেশের
সংবাদপত্রগুলির মতে এই
সংখ্যা আরো বেশি। প্রায়
৬২ হাজার।
এইসব
বন্দীদের মধ্যে বেশ
কিছু সংখ্যক ছিলেন
সাংবাদিক, লেখক ও
অন্যান্য শ্রেণীর
বুদ্ধিজীবী। এদের
মধ্যে আন্তর্জাতিক
খ্যাতিসম্পন্ন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রাক্তন উপাচার্য
পদার্থবিজ্ঞানী ডঃ
মতিন চৌধুরীর নাম
অন্যতম।
তার বিরুদ্ধে দায়ের
করা হয় সাতটি মামলা।
পশ্চিম বিশ্বের
বিভিন্ন সংস্থা বহু
বিশিষ্ট ব্যক্তি ডঃ
চৌধুরীর মুক্তি দাবী
করে জিয়া সরকারকে চিঠি
দেন। কিন্তু তাতে কোন
কাজ হয় নি। ডঃ চৌধুরীর
অপরাধ তিনি বঙ্গবন্ধুর
প্রিয়পাত্র ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু তাকে
দায়িত্ব দিয়েছিলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে
নতুন করে গড়ে তোলার
জন্য।

জেলে ডঃ চৌধুরীর
স্বাস্থ্য একেবারে
ভেঙ্গে পড়ে। ৮১ সালের
২৪ জুন হৃদযন্ত্রের
ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি
মারা যান।
money is no
problem —– জিয়ার সামাজিক ও
অর্থনৈতিক
দুর্বৃত্তায়ন তত্ত্ব

প্রেসিডেন্ট জিয়া
রাষ্ট্রীয় টাকার বিপুল
অপচয় ঘটিয়ে সদ্য
স্বাধীন বাংলাদেশের
আর্থ-সামাজিক কাঠামোর
বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন
কৌশলে দুর্বৃত্তায়নের
কাজটি সম্পন্ন করেন।

১। ১৯৭৮ সালে
প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে এক প্রস্থ
ভোটার তালিকার দাম ছিল
৬০ হাজার মার্কিন
ডলার।

২। তিনি জানেন,
বন্দুকের নলই ক্ষমতার
উৎস। বন্দুকের নলের
রাজনীতির সাথে তিনি
অষ্টেপৃষ্টে জড়িত
ছিলেন। তাই ক্ষমতায়
বসেই প্রতিরক্ষা খাতে
খরচ বাড়িয়ে দেন। বঙ্গ
বন্ধুর আমলে
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়
হতো মূল বাজেট বরাদ্দের
১৩ শতাংশ, জিয়ার আমলে
সেটা হল ২৯ শতাংশ।

৩। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে
সেনাবাহিনিতে নতুন
নতুন ডিভিশন তৈরি করেন.
নজর দেন বাংলাদেশ
রাইফেলস,আনসার বাহিনির
দিকেও। এ ছাড়াও নয় লক্ষ
স্বচ্ছাসেবক সেবিকা
নিয়োগ করেছিলেন। এসব
করার উদ্দেশ্য যত না
প্রতিরক্ষার কারণে তার
চেয়েও বেশি ছিল
আভ্যন্তরীন সুরক্ষা।
অথচ দেশের শতকরা
৮০ ভাগ মানুষ
দারিদ্র্য সীমার নিচে।

৪। দেশের নদী হল পানির
উৎস। তিনি ভরাট নদী খনন
না করে খাল কাটলেন,
নদীতে পানি না থাকলে
খালে পানি আসবে
কোত্থেকে ? এ শুধু কাজের
নামে, উন্নয়নের নামে,
নতুন ধারার নামে হুজুগে
বাঙালিকে মাতিয়ে
রাখা।,এটা প্রথমে
স্বেচ্ছাশ্রমের
মাধ্যমে করা হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে দেখা
যায়,
বিনা পারিশ্রমিকে কেউ
কাজ করছে না, তখন কাজের
বিনিময়ে খাদ্য এবং
অন্যান্য সূত্র থেকে এই
কর্মসূচীর অর্থ যোগান
দেয়া হয়। এসব টাকা
পয়সার সিংভাগ চলে যায়
বিএনপির কর্মীদের
পকেটে। খাল খনন অসমাপ্ত
ভাবে পড়ে থাকে। অথচ এই
কর্মসূচিতে সরকারকে
কোটি কোটি টাকা গচ্ছা
দিতে হয়।
নষ্ট হয় মানুষের
স্বতস্ফূর্ত শ্রম।

৫। দেশের যুবকদের তিনি
টাকা দিয়ে কিনেছিলেন
যুব কমপ্লেক্সের নামে।
কারণ বিরোধী দলকে
শায়েস্তা করতে,
নির্বাচনে তার দলের হয়ে
কাজ করতে এই সব
যুবকদেরই প্রয়োজন।
মাত্র তিন বছরে
বাংলাদেশে তিন হাজার ছয়
শ সত্তরটি যুব
কমপ্লেক্স করা হয়। এই
যুব কমপ্লেক্সের আয়ের
উৎস ছিল দেশের
হাট বাজার ও মেলা থেকে
আদায়কৃত টাকা। ১৯৭৯ —
৮০, ৮০-৮১ এই দুই অর্থ
বছরে বাজার ও মেলা থেকে
আয় হয়েছিল বার কোটি
চুয়াত্তর লক্ষ সাতাশি
হাজার দুশত টাকা। এসব
টাকা গেছে যুব
কমপ্লেক্সের
অন্তর্ভুক্ত সমবায়
সমিতির পান্ডাদের
পকেটে, জিয়া চোখ বন্ধ
করে ছিলেন, কারণ ওরাই তো
তার
রাজনৈতিক সমর্থক।
(এ্যান্টনিঃ বাংলাদেশঃ
এ লিগেসি অব ব্লাড)

৬। গ্রাম সরকারের নামেও
আর একটা দুর্নীতির আখড়া
তৈরি হয়, গ্রাম
সরকারদের মাধ্যমে কোটি
কোটি টাকা নয় ছয় হয়।
জিয়া কারো বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেন নি, কারণ
তারা ছিল তার দলের
স্তম্ভ।

৭। রাষ্ট্রীয়
বাণিজ্যিক ব্যাংক ও
জীবনবীমা
প্রতিষ্ঠানসমূহ
বিরাষ্ট্রীয়করণের
নামে জিয়া দেশি
পুঁজিপতিদের দেশের
ব্যাংক ও জীবন বীমার
টাকা লুটপাটের সুযোগ
করে দিলেন। এই
বিরাষ্ট্রীয়করণের ফলে
দেশের লাভজনক দশটি
ব্যাংকও জলের দামে
বিক্রি হয়ে যায়।

এ সম্পর্কে সাপ্তাহিক
হলি ডে পত্রিকার মালিক
সি আই এর এজেন্ট
এনায়েতউল্লাহ খান
জিয়াচক্রের সমর্থক
হয়েও সমালোচনা করে
বলেন, এই সিদ্ধান্ত হলো
বাংলাদেশের মূল
অর্থনীতির উপর সরাসরি
আঘাত। জিয়া জনগণের
অনুমোদন না নিয়েই এ
সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেছেন। কেননা,
প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনের
আগে তিনি তার
নির্বাচনী
প্রতিশ্রুতিতে এ
সম্পর্কে কোন কথা বলেন
নি। ( ১৯৭৮,২৫ জুন
সংখ্যা)

৮। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও
জীবনবীমা
প্রতিষ্ঠানসমূহ
বিরাষ্ট্রীয়করণ করায়,
বিদেশি পূঁজিপতিদের
নজর পড়ে বাংলাদেশের
উপর। তারা মোটা অংকের
টাকা কামানোর আশায় মোটা
পুঁজি নিয়ে বিনিয়োগ
করতে ছুটে আসে
বাংলাদেশে। উদাহরণ
হিসেবে বলা যায়,জিয়াউর
রহমান একটি বেসরকারি
বিমান কোম্পানি
পচাত্তর শতাংশ শেয়ার
কেনার জন্য সৌদি আরবের
এক রাজপুত্রকে
আমন্ত্রণ জানান। নতুন
কোম্পানির নাম হয় এয়ার
বাংলাদেশ লিমিটেড। এই
চুক্তির অন্যতম শর্ত
ছিল এই নতুন বিমান
কোম্পানীর সাথে
বাংলাদেশ বিমান কোন রকম
প্রতিযোগিতায় নামতে
পারবে না।

৯। বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশে
পাকিস্তানীদের যেসব
সম্পত্তি জাতীয়করণ
করেছিলেন তা জিয়া এসে
তাদের ফিরিয়ে দেন।
যাদের ফিরিয়ে দিতে
পারেন নি তাদের
ক্ষতিপূরণ দেন।

১০। ১৯৮০ সালের ১০
সেপ্টেম্বর টাইমস অব
ইন্ডিয়ার একটি
প্রতিবেদনে
বাংলাদেশের সরকারি
পরিসাংখ্যানের
উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়,
মুজিব আমলে বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক কার্যক্রম
যতটুকু এগিয়েছিল, জিয়ার
আমল তার কাছাকাছিও যেতে
পারে নি।

পশ্চিমা ভাষ্যকারদের
মত সমর্থন করে ঐ
প্রতিবেদনে আরো বলা
হয়েছে,'বাংলাদেশ কঠিন
অর্থনৈতিক সমস্যার
সম্মুখীন হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা
কমিশনের তথ্য দিয়ে ঐ
প্রতিবেদনে দেখানো
হয়েছে,বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
দ্রুত কমতির দিকে।'

১১। পাকিস্তানের
পাঁচজন নামকরা
সাংবাদিক জিয়া হত্যার
মাত্র মাস খানেক আগে
বাংলাদেশে বেড়াতে এসে
দেশের রাজনীতি আর
দুর্নীতির এক করুণ
চিত্র তুলে ধরেন।

মারকাস ফ্রান্ডা তার
'জিয়াউর রহমানঃ
বাংলাদেশ' নামক
সমীক্ষা গ্রন্থে বলেন,
একটি ক্ষুদ্র নব্য ধনী
শ্রেণীর হাতে বৈদেশিক
সাহায্যপ্রাপ্ত
অর্থের নিয়ন্ত্রন চলে
যাওয়ায় দেশে পরস্পর
বিরোধী দুই ধরণের
অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। এর ফলে, একদিকে
ঢাকাকেন্দ্রিক একটি
শ্রেণী দিন
দিন উন্নত ও ধনবান
হচ্ছে, অন্যদিকে
গ্রামাঞ্চলের অবস্থা
খারাপ থেকে অধিকতর
খারাপ হয়ে পড়ছে।'

১২। মুজিব আমলে দেশে
দারিদ্র্য সীমার নিচে
থাকা মানুষ ছিল মোট
জনসংখ্যার ৮২.৫। আর তার
মৃত্যুর পর মাত্র চার
বছরে এর সংখ্যা দাঁড়ায়
৮৬ শতাংশে।

১৩। ভূমিহীনের সংখ্যা
বাড়তে থাকে। বেকারের
সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
ফলে মানুষ কাজের
সন্ধানে গ্রাম থেকে
উন্মূল ও উদ্বাত্তু হয়ে
ঢাকা শহরে এসে
বস্তীবাসীতে পরিণত হয়।

১৪। জিয়ার পুঁজিবাদী
অর্থনীতির ফলে ৭৫ সালে
যেখানে ছিল একজন
কোটিপতি (জহিরুল ইসলাম),
জিয়ার আমলে তার সংখ্যা
দাঁড়ালো ৬২জন এ।
(বাংলাদেশ ব্যাংকের
তথানুযায়ী)। ঢাকা শহরের
রাস্তা ভরে গেলো সুন্দর
সুন্দর জাপানি
প্রাইভেট গাড়িতে।
দোকানে দোকানে শোভা পেল
বিদেশি সিগারেট, ঘড়ি।

১৫। জিয়া স্বনির্ভরতার
নামে লাখ লাখ টাকা ব্যয়
করে উলসি প্রকল্প গ্রহণ
করে বলেন, এ রকমের ৬৫
হাজার উলসি গড়ে তুলতে
পারলেই বাংলাদেশ
স্বনির্ভর হতে পারবে।
কিন্তু ৬৫ হাজার
গ্রামের প্রতিটি
গ্রামে লাখ লাখ টাকা
ব্যয় করার মত বাংলাদেশে
টাকাই ছিল না। এটা ছিল
নিতান্তই মানুষের
মন ভুলানো শ্লোগান (
মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর)

১৬। বাংলাদেশের
অর্থদপ্তরের এক
কর্মকর্তা বলেন,
'প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমান একটা প্রজন্মকেই
দূর্নীতিগ্রস্থ করে
তুলেছেন। এটা করেছেন
তিনি বিভিন্ন পন্থায়।
গ্রাম্য যুবকদের একাংশ
তিনি হাট বাজারের
ইজারার অধিকার দিয়ে
দলীয় ক্যাডারে পরিণত
করেন। অন্যদিকে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
মেধাবী ছাত্রদের
সংবর্ধনার নামে
ছাত্রদের কাছে তেনে
নেন। কারণ, এর আগে ঢাকা
ভার্সিটিতে তাকে
প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এমন কি নানা কৌশল করেও
ছাত্রদের কাছে টানতে
পারেন নি। এর প্রতিশোধ
হিসেবে জিয়া ছাত্রদের
নিয়ে এম ভি হিজবুল
বাহার নামক এক
বিলাসবহুল জাহাজে
প্রমোদ ভ্রমণে
যাত্রা করেন। সেখানে
তাদের উদ্দেশ্যে
সুন্দর সুন্দর কথা বলে
তাদের প্রলুব্ধ করেন।
এভাবেই জিয়া মেধাবী
ছাত্রদের রাজনীতির
পঙ্কিল পথে টেনে আনেন।
এর ফলেই সৃষ্টি হয়
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এই সব মেধাবী ছাত্ররা
লেখাপড়া ভুলে সন্ত্রাস,
চাঁদাবাজি থেকে শুরু
করে টেন্ডারবাজি,
তদবিরবাজি, হলের সিট
ভাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন
অপকর্মে লিপ্ত হয়। দেশ
স্বাধীনের পর,
পাকিস্তানী কোলাবরেটর
গমিরুদ্দিনের পুত্র
সর্হারা পার্টির সদস্য
শফিউল আলম প্রধান ছাত্র
লীগের অন্তর্ভুক্ত হয়ে
ছাত্রলীগের ভাঙ্গন
ধরানো ও বঙ্গবন্ধুর
শাসনামলকে কলংকিত করার
জন্য ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে
সাত খুনের লোমহর্ষক
ঘটনা ঘটালেও, ছাত্র
রাজনীতিতে অপকর্ম
সীমিত ছিল। কিন্তু জিয়া
প্রমোদ ভ্রমণের মধ্য
দিয়ে তরুণ প্রজন্মদের
দূর্নীতি পরায়ন করে
জাতির যে ক্ষতি করেছেন
তার কোন পরিমাপ নাই।

১৭। জিয়া ব্যক্তিগত
জীবনে দূর্নীতি করেন নি
সত্য। কিন্তু
দূর্নীতিকে জাতীয়
চারিত্র্যে পরিণত
করেছেন। স্বাধীনতার
পরবর্তী সময়ে যে
দূর্নীতি বঙ্গবন্ধুর
জীবনকে অতিষ্ট করে
তুলেছিল, যার জন্য তিনি
ক্ষোভে আক্রোশে
দূর্নীতিবাজদের চোর আর
চাটার দল বলে আখ্যায়িত
করেছেন, জিয়া
সেই দূর্নীতিবাজদের
প্রশ্রয় দিয়ে
দূর্নীতিকে স্থায়ী
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
দিয়েছেন। এ ব্যাপারে
মওদুদ আহমদ তার গ্রন্থে
লিখেছেন," জিয়া
রাজনৈতিক দূর্নীতি
ছাড়াও অন্য কিছু
দূর্নীতির আশ্রয়
নিয়েছিলেন।" সম্ভবত
পরে তাদের ভয় দেখিয়ে
অনুগত রাখার জন্য।
কারণ, তার ইচ্ছা ছিল
ক্ষমতাকে
চিরস্থায়ী করা।

বাংলাদেশের মুল চারটি
স্তম্ভ ঃ- গণতন্ত্র,
জাতীয়তাবাদ,ধর্মনিরপেক্ষতা,
সমাজতন্ত্র,– জিয়া
সুপরিকল্পিত ভাবে
এগুলোর মূলে কুঠারাঘাত
করেছেন।

জিয়া অগণতান্ত্রিক
উপায়ে ক্ষমতা লাভ করে,
অকার্যকর রাবার
স্ট্যাম্পরূপী সংসদ আর
তার উপর ফৌজি সরকার
চাপিয়ে দিয়ে প্রথমেই
ধ্বংস করেন সংবিধানের
প্রথম স্তম্ভ
গণতন্ত্র।
সংবিধানের
দ্বিতীয় স্তম্ভ
ধর্মনিরপেক্ষতা
স্তম্ভ ধ্বংস করেন
কলমের এক খোঁচায়।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়া
জানতেন, মুক্তিযুদ্ধে
মুসলমান-অমুসলমান সবাই
নির্বিশেষে অংশগ্রহণ
করেছিল। ৪৭ এর পর থেকে
এদেশে হিন্দু
সম্প্রদায় যত
নির্যাতিত
হয়েছে তা অবর্ণনীয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন
সময়ে গণহত্যা চলে, তাতে
হিন্দু সম্প্রদায়ের
সংখ্যাই অধিক। দেশ
স্বাধীন হওয়ার পর অন্তত
তাদের একটু স্বস্থি
পাওয়ার কথা ছিল। তা
হয়নি। এ দেশটি তাদের
হয়নি। জিয়া সংবিধানে
'পরম করুণাময় আল্লাহয়
পূর্ণ বিশ্বাস রেখে'
সংযুক্ত করে
অমুসলিমদের
এদেশের দ্বিতীয়
শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত
করেন। ধর্মনিরপেক্ষতা
মানে তো ধর্মহীনতা নয়,
ধর্ম তো আর কলমের
খোঁচায় টিকে না, ধর্ম
টিকে থাকে কর্মে।
এরপর
জিয়া বাঙালিকে
বাংলাদেশিতে পরিণত করে
ধ্বংস করেন সংবিধানের
তৃতীয় স্তম্ভ
জাতীয়তাবাদ। বাঙালি
জাতীয়তাবাদের দাবীতেই
এ দেশ স্বাধীন হয়। এ
জাতীয়তাবাদ বাঙালির
বাংলাভাষা ভিত্তিক।
জিয়াউর রহমান নিজেই
লিখেছেন সাপ্তাহিক
বিচিত্রা পত্রিকায়,'
পাকিস্তান সৃষ্টির পর
পরই ঐতিহাসিক ঢাকা
নগরীতে মিঃ জিন্নাহ
যেদিন ঘোষণা করলেন
উর্দু এবং একমাত্র
উর্দুই হবে
পাকিস্তানের
রাষ্ট্রভাষা, আমার মতে,
ঠিক সেদিনই বাঙালি
হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়েছিল
বাঙালি জাতীয়তাবাদ,
জন্ম হয়েছিল বাঙালি
জাতির'। এ কথা বলার
১৭ মাস পরে ক্ষমতা লাভ
করে তিনি সেই
জাতীয়তাবাদকে হত্যা
করে প্রবর্তন করেন
বাংলাদেশি
জাতীয়তাবাদ। এতে জাতি
সুসংহত না হয়ে বিভক্ত
হয়ে পড়ে। জিয়ার
প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানী দালাল শাহ
আজিজুর রহমান জাতীয়
সংসদে বাংলা ভাষাকে
বাংলাদেশি ভাষা বলে
উলেখ করেন। শুধু তাই নয়
জিয়া
১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর
মাসে বাংলাদেশের পতাকা
পরিবর্তনের চেষ্টা
করেন। ১৬ ডিসেম্বরে
সরকারি ভবনে যেসব পতাকা
উড়ানো হয়, তার পটভুমি
সবুজ থাকলেও লাল
বৃত্তটি হয় কমলা। ঐদিন
বাংলাদেশ টিভির এক
অনুষ্ঠানেও ঐ বৃত্তের
কমলা রঙের কথা উল্লেখ
করা হয়। প্রতিবাদের
মুখে শাহ আজিজের
বাংলাদেশি ভাষা আর
জিয়ার কমলা রঙ বর্জিত
হয়।
জিয়া
জাতীয় সঙ্গীতও
পরিবর্তন করতে চেষ্টা
করেন স্বাধীনতা বিরোধী
শক্তির চাপে। কারণ ওটা
সহরোওয়ার্দীর প্রিয়
গান। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু
এই গানটাকে স্বাধীন
বাংলাদেশের জাতীয়
সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ
করেন। আওয়ামী লীগ ও
বঙ্গবন্ধুর
অবদান মুছে ফেলার জন্য
ধুঁয়া তোলা হয় ওটা এক
হিন্দুর রচিত গান। তাই
তিনি রচনা করলেন, প্রথম
বাংলাদেশ আমার শেষ
বাংলাদেশ। তার আমলে
বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এ
গানই সমধিক প্রচারিত
হয়।
১৯৭২
সালের ৪ নভেম্বর মুজিব
সরকার যে সংবিধান গ্রহণ
করেন তার ৫৫ ধারায়
সুস্পষ্ট লেখা আছে ২৬
মার্চ বাংলাদেশের
স্বাধীনতা দিবস হিসেবে
উদযাপিত হবে। জিয়া
সংবিধানের সুস্পষ্ট
নির্দেশ অমান্য করে
বাংলাদেশের বিজয় দিবস
১৬
ডিসেম্বরকে স্বাধীনতা
দিবসরূপে চালু করার
চেষ্টা করেন। তিনি
চেয়েছিলেন ২৬ মার্চকে
জাতীয় দিবস হিসেবে পালন
করতে।
বৈজ্ঞানিক
সমাজতান্ত্রিকরা তাকে
পিঠে, ঘাড়ে চড়িয়ে
ক্ষমতায় বসালেও তিনি
সমাজতন্ত্রের দিকে এক
পা-ও অগ্রসর হননি। বরং
তাদের কাউকে তিনি ফাঁসি
দেন, কাউকে দেন
দীর্ঘমেয়াদি
কারাদন্ড। বঙ্গবন্ধুর
আমলের অনেক
রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক,
বীমা ও শিল্প
প্রতিষ্ঠানকে
বিরাষ্ট্রীয়করণের
মাধ্যমে সংবিধানের
সমাজতন্ত্র স্তম্ভটি
ধ্বংস করে জিয়া
প্রকৃতপ্রস্তাবে
বাংলাদেশকেই ধ্বংস করে
দেন।
সাধারণ মানুষ
গণতন্ত্র,
ধর্মনিরপেক্ষতা,
জাতীয়তাবাদ,সমাজতন্ত্র
বুঝে না। তাই
মুক্তিযোদ্ধা জিয়া যখন
এগুলো সমূলে উৎপাটন
করলো তাতে তাদের কিছু
আসে গেল না। বরং তারা
দেখলো, সংবিধানে
বিসমিল্লাহ সংযুক্ত
হয়েছে, জিন্দাবাদ
উচ্চারিত হচ্ছে তারা
স্বস্থি পেলো এই ভেবে
যে, যাক ইসলাম ধর্ম
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্রদের নিয়ে
খেলাধূলা শুরু করলো,
পুরস্কার দিল, জাহাজে
চড়ে আমোদ প্রমোদ করলো,
টাকা কামানোর উৎসের
সন্ধান দিল, ছাত্ররা
খুশি। গ্রাম্য যুবকদের
হাট বাজারের ইজারাদারী
দিল, কড়কড়ে নোট বিনা
পরিশ্রমে হাতে পেয়ে
তারা খুশি। দূর্নীতি
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
পেলো, দূর্নীতিবাজরা
খুশি। দলবল নিয়ে খাল
কাটলো, জনগণ খুশি।
সাপ্তাহিক
সচিত্র সন্ধানীতে
প্রকাশিত কিছু
প্রবন্ধের সংকলন শফিক
রেহমান সাহেবের বই
'যায়যায়দিন' যেটা ১৯৮৪
সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
শফিক রেহমান সাহেব
বিএনপির একজন প্রথম
সারির বুদ্ধিজীবী
নেতা। এই বইয়ের কিছু
কিছু কথার
উল্লেখ করব আমরা।
কথাগুলো তিনি লিখেছেন।
বিএনপির
প্রতিদ্বন্দ্বী দলের
কেউ লেখেননি। শফিক
সাহেব লিখেছেন যে,
'মার্কিনদের মন জয় করার
ব্যাপারে খন্দকার
মোশতাকের চেয়ে জিয়া
সাহেব এগিয়ে।' আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের সময়
মার্কিনদের ভূমিকার
কথা আমাদের সবার জানা।
এই মার্কিনদের
মন জয় করা জিয়া সাহেব
সম্বন্ধে জনগণের কী
ভাবা উচিত। বইটার আর এক
অংশে শফিক সাহেব
লিখেছেন যে 'মার্কিন
প্রেসিডেন্ট রিগান
সাহেব বলেছেন যে, তিনি
আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার
বেশি মূল্য দেবেন
অর্থাৎ আমাদের
প্রেসিডেন্ট জিয়ার পৌষ
মাস।' কোন মন্তব্য না
করাই ভাল।
জিয়াউর
রহমানের সমর্থকরা
তাঁকে 'বহুদলীয়
গণতন্ত্রের প্রবক্তা'
বলে পরিচিত করার চেষ্টা
করেন। বিএনপিরই
বুদ্ধিজীবী নেতা শফিক
সাহেবের লেখায় জিয়া
সাহেবের গণতন্ত্র
চর্চার যে বর্ণনা পড়লাম
তাতে গণতন্ত্রের
সংজ্ঞা বদলে দিতে
হয়। আর তাঁর নিজের দলের
মানুষদের সঙ্গে তিনি কী
আচরণ করতেন? শফিক সাহেব
লিখেছেন যে, নিজের দলের
লোকদের তিনি
রেফ্রিজারেশনে
রাখতেন। আওয়ামী লীগ
হরতাল ডাকলে তিনি তাদের
রেফ্রিজারেশনের বাইরে
আনতেন। হরতাল শেষ হয়ে
গেলে তিনি তাদের আবার
রেফ্রিজারেশনে নিয়ে
যেতেন। আদর্শ
গণতান্ত্রিক
আচরণই বটে।
জিয়াউর
রহমানের সমর্থকরা খাল
খননের জন্য তাঁকে অমর
করে রাখতে চায়। শফিক
সাহেব তাঁকে
'আয়াতুল্লাহ খালকাটি'
নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক
উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
তাঁর মতে আর একদল
খননকারী অর্থাৎ 'কূপ
খননকারী'দের সঙ্গে খাল
খননকারীদের
সংঘাত লেগেই থাকত। এই
খননকারীদের পেছনে
সরকারের কোটি কোটি টাকা
নষ্ট হতো। শফিক সাহেব
লিখেছেন, এদের
সত্যিকারের কোন
উন্নয়নমূলক কাজে
লাগানো উচিত ছিল। আসলে
সেনানায়কের সমর্থকরা
কিছু একটা খুঁজে বের
করে তাঁকে জনগণের কাছে
গ্রহণযোগ্য করে তুলতে
চেষ্টা করে। এমন ভূরি
ভূরি
উদাহরণ দেশে-বিদেশে
আছে। জিয়াউর রহমানের
খাল খনন এমনি একটি
প্রয়াস। কিন্তু আসলে কী
হয়েছিল তা শফিক
রেহমানের বই পড়লেই জানা
যায়। তিনি বিএনপির
প্রথমসারির একজন
বুদ্ধিজীবী।
তারিক
ইব্রাহিম
'যায়যায়দিনের' একজন
নিয়মিত লেখক ছিলেন।
শুনেছি এটি তাঁর
ছদ্মনাম। তাঁর
রাজনৈতিক বিশ্বাস
সম্বন্ধে আমার কিছুই
জানা নেই।
'যায়যায়দিনের'
সম্পাদক ছিলেন শফিক
রেহমান এবং তারিখ
ইব্রাহিম ছিলেন ওই
পত্রিকার
নিয়মিত লেখক। এভাবেই
আমি সমস্ত জিনিসটাকে
দেখছি। ইব্রাহিম
সাহেবের লেখা
'বিশ্বাসহীনতার
রাজনীতি' প্রকাশিত হয়
১৯৮৭ সালে। বইটিতে
সাধারণভাবে জিয়া
পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলী
স্থান পেয়েছে আর তাই
স্বাভাবিকভাবেই
পূর্ববর্তী ঘটনা বলির
কিছু উল্লেখ রয়েছে।
'পেশাছুট প্লাস দলছুট
= জিরো প্লাস জিরো = জিরো
'প্রবন্ধটির শুরুতেই
তিনি প্রশ্ন করেছেন,
'আমাদের
রাষ্ট্রযন্ত্র কি শেষ
পর্যন্ত
উচ্চাকাক্সক্ষী
ব্যক্তিদের চাকরি
দেয়ার প্রতিষ্ঠানে
পরিণত হবে?' তারিখ
ইব্রাহিম লিখেছেন যে,
জিয়াউর রহমানের
শাসনামল থেকেই
ব্যাপারটি রাষ্ট্রীয়
উদ্যোগে শুরু হয়।
জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক
দল ভাঙ্গার কাজ শুরু
করেন। শূন্যহাতে তিনি
কাউকে কাছে ডাকেননি।
রাজনীতিকে যারা
আখেরগোছানোর হাতিয়ার
হিসেবে মনে করতেন তাদের
প্রায় সবাই জড়ো হয়েছিল
জিয়াউর রহমানের পাশে।
প্রলোভন দেখিয়ে ছোট-বড়
সব দল থেকে জিয়া সাহেব
লোক বাগিয়েছিলেন। নানা
দলছুট
লোকদের নিয়ে তিনি তাঁর
বেসামরিক রাজনৈতিক
ভিত্তি হিসেবে গড়ে
তুলেছিলেন তাঁর নিজস্ব
রাজনৈতিক দল বিএনপি।
নানা মত ও আদর্শের (আসলে
আদর্শহীনতার)
জগাখিচুড়ি এই দল।
ইব্রাহিম সাহেবের মতে
'এই খিচুড়ি দিয়ে দেশ
শাসন করতে গিয়ে জিয়াউর
রহমান সামগ্রিকভাবে
দেশের এবং
ব্যক্তিগতভাবে
নিজের ক্ষতি
করেছিলেন।' হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ
পরবর্তীতে জিয়াউর
রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ
করেন। 'এসব দল-বদল,
নীতি-আদর্শ বদল, পেশা
বদল করা মানুষদের
দ্বারা দেশ-জাতি বা
সমষ্টির কল্যাণ সাধন
সম্ভব নয়।' আমাদের দুই
সেনানায়কের
মন্ত্রিসভায় আর একদল
মানুষকে দেখা যেত যাদের
পেশাছুট
বলা যায়। এদের কেউ কেউ
ছিল (অব)। পেনশনভোগী
অবসরপ্রাপ্ত এসব
ব্যক্তি রাজনীতির কোন
অভিজ্ঞতা ছাড়াই
রাজনীতির উচ্চপদে
পুনর্বাসিত হন। কেউ কেউ
সম্ভবত নিজের পেশায়
একঘেয়েমি বোধ করছিলেন।
উত্তেজনার আশায় তাঁরা
রাজনীতিতে যোগ দেন।
একবার এ ধরনের
রাজনীতিতে যোগ দিলে আর
ফেরার
পথ থাকে না। রেল লাইন
ধরে দৌড়ালেও পরে এসে নত
মস্তকে বসে পড়তে হয়।
আমরা কয়েক জাতীয়
পর্যায়ের নেতাকে
দেখেছি বহুবার দল থেকে
বহিষ্কৃত হতে এবং আবার
নত মস্তকে ফিরে
আসতে। 

জিয়া-পরবর্তী সময়ের
বিএনপির চিত্র আমরা
দেখতে পাই 'শাহ আজিজের
সোনার মুকুট' ও
'বিএনপিতে টানাপোড়েন'
নামক দুটি অধ্যায়ে।
একদিকে বিচারপতি
সাত্তার আর অন্যদিকে
বেগম জিয়া। তারপর
একদিকে শাহ আজিজের
নেতৃত্বে প্রাক্তন
মুসলিম লিগাররা আর
অন্যদিকে ডাঃ চৌধুরীকে
ঘিরে অন্যরা।
ইদানীং অধ্যাপক
মান্নান সাহেব একটি
প্রবন্ধে উল্লেখ
করেছেন যে, 'ওরা যে কোন
মূল্যে বেগম জিয়াকে
বাঁচিয়ে রাখতে চায়।'
আসলে জিয়াউর রহমানের
স্মৃতি ছাড়া বিএনপির
ইতিবাচক দিক আর কী আছে?
আর তাঁকে ঘিরে যে
স্মৃতি তার কিছু আমরা
আলোচনা করলাম।
[
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানের হাত
ধরেই দেশে 'বহুদলীয়
গণতন্ত্র
পুনঃপ্রতিষ্ঠা'
পেয়েছে বলে মন্তব্য
করেছেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার
(সিইসি) কে. এম. নুরুল
হুদা - তাঁর এই কথার উপর
আলোকপাত করার জন্যই এই
দীর্ঘ
লেখা ]
কৃতজ্ঞতা
স্বীকার ঃ-
ওরা
'মেকি' অক্ষয়কুমার
মৈত্র - আবদুল মান্নান
৭৫
থেকে '৮১- কেমন ছিল
বাংলাদেশ? লেখক :
সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব
নতুন
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়ের
জন্ম? -প্রফেসর আবদুল
মান্নান
বঙ্গভবনের
শেষ দিনগুলো, লেখক- আবু
সাদাত মোহাম্মদ সায়েম,
পৃষ্ঠা-৩৭]
ডিক্টেটর
মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১
থেকে ১৯৮১
সাপ্তাহিক
সচিত্র সন্ধানীতে
প্রকাশিত কিছু
প্রবন্ধের সংকলন শফিক
রেহমান সাহেবের বই
'যায়যায়দিন'

নিজ দল সম্পর্কে বিএনপি
বুদ্ধিজীবীদের ভাবনা -
• ওয়াহিদ নবি (রয়্যাল
কলেজ অব
সাইকিয়াট্রিস্টের
একজন ফেলো)




































From:
mukto-mona@yahoogroups.com
<mukto-mona@yahoogroups.com> on behalf of Kamal Das
kamalctgu@gmail.com [mukto-mona]
<mukto-mona@yahoogroups.com>

Sent: Sunday, October 15, 2017 8:02 AM

To: mukto-mona@yahoogroups.com

Subject: Re: [mukto-mona] Re: {PFC-Friends}
বাকশাল-১ এর প্রেতাত্মা
বাকশাল-২ আবারো ধর্ষিত
করলো বিচার বিভাগকে
 

 




এত বানান ভুল!


On 7 Oct 2017 1:55
a.m., "Khoniker Othithee
khoniker.othithee@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
wrote:


 



Corrupt and failed nation of Pakistan showing more
respect their top judicial body. Is Bangladesh stooping
below that. The average citizens are in a grind between
mullah fascism and Awami communal politics.


------------------------------ --------------

On Fri, 10/6/17, rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com>
wrote:




Subject: {PFC-Friends} বাকশাল-১ এর
প্রেতাত্মা বাকশাল-২
আবারো ধর্ষিত করলো
বিচার বিভাগকে


To: "nabdc@googlegroups.com"
<nabdc@googlegroups.com>,
"Post Card" <abahar.canada@gmail.com>,
"S Akhter" <sakhter1015@gmail.com>,
"aleem53@yahoo.com"
<aleem53@yahoo.com>,
"alapon@yahoogroups.com"
<alapon@yahoogroups.com>,
"Alochona Groups" <alochona@yahoogroups.com>,
"Nazda" <alamnazdak@comcast.net>,
"aabeag@yahoogroups.com"
<aabeag@yahoogroups.com>,
"azadcop@yahoo.com"
<azadcop@yahoo.com>,
"bangla-vision@yahoogroups.com
" <bangla-vision@yahoogroups.com
>, "bisne-boston" <bisne-boston@googlegroups.com
>,
"Hakikul Chowdhury" <bapsnewsagency@yahoo.com>,
"New England Bnp" <bnp.newengland@yahoo.com>,
bdpana@googlegrooups.com,
"bangladeshiAmericans@
googlegroups.com" <bangladeshiamericans@
googlegroups.com>,
"bangladesh-progressives@
googlegroups.com" <bangladesh-progressives@
googlegroups.com>, "pfc-friends@googlegroups.com"
<pfc-friends@googlegroups.com>
, "ranu51@hotmail.com"
<ranu51@hotmail.com>,
"zainul321@yahoo.com"
<zainul321@yahoo.com>,
"la-discussion@googlegroups.
com"
<la-discussion@googlegroups.
com>, "Shah DeEldar" <shahdeeldar@gmail.com>,
"Bijoy Daas" <bijoydaas1971@gmail.com>,
"Shah Deeelder" <shahdeelder@gmail.com>,
"duafi@yahoogroups.com"
<duafi@yahoogroups.com>,
"info@dailynayadiganta.com"
<info@dailynayadiganta.com>,
"editor@prothom-alo.com"
<editor@prothom-alo.com>,
"letter Daily Star" <editor@thedailystar.net>,
"Thikana Thikana" <thikana@mindspring.com>,
"Tareque Ahmed" <tareque7@gmail.com>,
"Tamanna Karim" <tamannak2013@gmail.com>,
"Taj Hashmi" <tajhashmi@gmail.com>,
"Farida Majid" <farida_majid@hotmail.com>,
"Mohammad Ashrafi" <fashrafi@yahoo.com>,
"Khondkar_Karim@uml.edu"
<Khondkar_Karim@uml.edu>,
"Mohammad Gani" <mgani69@gmail.com>,
"Zoglul Husain" <zoglul@hotmail.co.uk>,
"Javed Helali" <jhelali2000@yahoo.com>,
"MajorGenerral Ibrahim" <mgsmibrahim@gmail.com>,
"Nazrul Islam" <nazrulislampbl@gmail.com>,
"Isha Khan" <bdmailer@gmail.com>,
"Jamal G. Khan" <m.jamalghaus@gmail.com>,
"Muazzam Kazi" <kazi4986@yahoo.com>,
"Khoniker Othithee" <khoniker.othithee@yahoo.com>,
"Litu ." <lituk@outlook.com>,
"mokto mona" <mukto-mona@yahoogroups.com>,
"Syed Margoob" <smargoob@yahoo.com>,
"Barrister Muhammad Shahjahan Omar Bir Uttam Retd"
<shahjahan.omar@gmail.com>,
"Bangladesh Islamic Center
Of Massachusetts" <bdicmass@gmail.com>,
"quazinuru@yahoo.com"
<quazinuru@yahoo.com>,
"qamruddin
chowdhury" <qamruddinc@yahoo.com>,
"quamrul.hassan01@gmail.com"
<quamrul.hassan01@gmail.com>,
"Quazi Haque" <quazi98@hotmail.com>,
"mahmud rahman" <mahmudur@hotmail.com>,
"rezaulkarim617@gmail.com"
<rezaulkarim617@gmail.com>,
"Rashed Zaman" <z.rashed@gmail.com>,
"Zahirul Bhuiyan" <mukulcity@gmail.com>


Date: Friday, October 6, 2017, 3:27 PM







আমাদের সুশীল

সমাজ ও সংবাদ মাদ্ধম 

রাষ্ট্রের  সর্বোচ্চ

প্রতিষ্ঠানের উপর,

প্রধান বিচারপতির

অফিসের উপর'

আওয়ামীলীগের এই 

স্বৈরাচারী, ভয়াবহ

আক্রমণ , অন্তরীণ ও 

অবরুদ্ধতার
বিরুদ্ধে 

 এতো নিশ্চুপ !!! 
 দেশের

আর কত  ধ্বংস তারা
মেনে

নেবে ?  বাংলাদেশ আজ

সম্পূর্ণ ব্যর্থ

রাষ্ট্র !! বাইরের

আক্রমণ, ভিতরের বাকশালী


একদলীয়
স্বৈরাচারীতা 

ও ফেসিজম !! এমনকি 

নিজেদের নিয়োগকরা

প্রধান বিচারপতিও

তাদের অত্যাচারের হাত

থেকে বাধ নাই !! 

 এটা শুধু বেক্তি

হিনহাকেই 
বাক্সবন্ধি

করে  বেক্তিগত আক্রমণ,


গালাগালি ,  অপমান ,

অবমাননাই এবং শেষমেশ 


অন্তরীণ করাই শুধু না ,

এটা দেশের সর্বোচ্চ

সংস্থাকে, বিচার

বিভাগের সর্বোচ্চ

স্তম্ভকেই ধ্বংস ও

পদদলিত ও  আপাদমস্তক

দলীয়করণ ও ভৃত্যকরণ 

করা হলো !!   দেশের
কাছে

মেসেজ  হচ্ছে এই
আওয়ামী

ভোটহীন স্বৈরাচার যা

বলে তাই আইন , তাই রীতি !!

গুলি মারো  সংবিধান,

চেতনা,   ভিন্নমত,

রাষ্ট্রীয়

ভারসাম্যতার

প্রতিষ্ঠান,

জবাবদিহিতা, চেক এন্ড 


ব্যালান্স !! গুলি মারো

জনগণের মত , গুলি মারো

সুশীলের মত !  রোম 

সাম্রাজ্যের সম্রাটের

কথা ইচ্ছাই  যেমন আইন


সংবিধান , তেমনি

বাকশাল-২ এর স্বৈরাচার

হাসিনার  ইচ্ছাই

বাংলাদেশের সব আইন ও 

প্রথা ও মালিকানা !! 

প্রধান বিচারপতির বা

বিচার বিভাগের কি এতো

স্পর্ধা যে এই রানী কে

অমান্য করে ?  ফলাফল

শুধু মাত্র
চারিত্রিক 

আক্রমণই না , বিচারপতির

চলাফেরার স্বাধীনতা

পর্যন্ত জব্দ !  ভাগ্য

ভালো কেন্সারের রোগী

বানিয়ে জানে বেঁচে 

রেখেছে, এইডসের রোগী

বানিয়ে ,  দুদকের

দুর্নীতির কাঠগড়ায় 

ছড়িয়ে গুম বা খুন যে করে


নাই এতেই যেন তার
চোদ্দ 

 গুষ্টির ভাগ্য !!

  আওয়ামীলীগ

যখন একের পর এক
আঘাতের 

মাদ্ধমে , জনপ্রিয় 

তত্ববধায়ক নির্বাচন

বেবস্থা  বাতিল,
একদলীয়

নির্বাচন বেবস্থা,

১৫৪জন সংখ্যা গরিষ্টের


ভোটহীন অবৈধ  ও

অগণতান্ত্রিক 
সংসদ, 

বিরোধী দলদের মিটিং

মিছিল সম্মেলনে বাধা,

সংবাদ মাধ্যম বন্ধ, 

গুম-খুনকে বিরোধী দল

দমনের রাজনৈতিক

হাতিয়ার বানানো  , 
বাক

স্বাধীনতা রুদ্দ্ব,

এমনকি ফেসবুকে

'কটূক্তি' কারীকে

এরেস্ট করা, ইত্যাদির

মাদ্ধমে 
 বাংলাদেশের

গণতন্ত্রকে  ধ্বংস

করলো ,  আইনের শাসনকে

শংস করলো, 

জবাবদিহিতাকে ধ্বংস

করলো,  তখনও এই সুশীল ও


সংবাদ মাদ্ধমরা (বিশেষত


প্রথম-আলো , ডেইলি ষ্টার


)   ছিল  নিশ্চুপ ও

সমর্থনকারী !! 

দেশের প্রতিটি 

প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি 


সংঘ, ,রীতিনীতি  আজ এই

একদলীয় স্বৈরাচারীর

পদপৃষ্ঠে লন্ডভন্ড !!

তাইতো দেখি

সুন্দরবন্দ-খেকো

ভারতের লাভ করা রামপাল

দিতেও  এই স্বৈরাচার

কুন্ঠা বোধ করে না ,
৯০% 

মানুষের বিরোধিতা থাকা


স্বর্তেও !! একই ভাবে দেশ


বিরোধী ফ্রি ট্রানজিট

হয়ে গেলো !   একই
ভাবে 

রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক

গুলো থেকে জনগণের টাকা

লুট হয়ে গেলো , 

জবাবদিহিতার কোনো

বালাই নাই !!  কারণ

জবাবদিহিতার সমস্ত

প্রতিষ্ঠানকে , কল

কব্জাকে এই সুশীল ও

সংবাদ মাদ্ধমরা 
ধ্বংস

করতে সাহার্য করেছে ,

তাদের নিশ্চুপতার

মাদ্ধমে !! 

সুপ্রিম কোর্টের

সামনে  গ্রিক মূর্তির


জন্য এই সব সুশীল ও

সংবাদ  মাদ্ধমের যত

সোচ্চার গলাবাজি ছিল

তার ১% যদি থাকতো

গণতন্ত্রের জন্য, আইনের


শাসনের জন্য , দেশের

স্বার্থের জন্য, থাহলে

বাংলদেশ আজ এতো বের্থ

রাষ্ট্রে মুখ খুবড়ে 

পড়তো না !!



-RA









--



You received this message because you are subscribed to the


Google Groups "PFC-Friends" group.



To unsubscribe from this group and stop receiving emails

from it, send an email to
pfc-friends+unsubscribe@ googlegroups.com.



For more options, visit
https://groups.google.com/d/ optout.























--

You received this message because you are subscribed to the
Google Groups "PFC-Friends" group.

To unsubscribe from this group and stop receiving emails
from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.

For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

------------------------------------
Posted by: Khoniker Othithee <khoniker.othithee@yahoo.com>
------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/