Banner Advertiser

Thursday, October 21, 2010

[ALOCHONA] MADAM PLEASE HAND OVER THE HOUSE !!!!!!!!!!!!!!!!!!

এক সময় এই উপমহাদেশ রাজা-বাদশাহ এবং গরিব-দুঃখী সাধারণ মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনকারী কিছু লোভী ক্ষমতালিপ্সু জমিদার ছিল। এদের বিরাট বিরাট অট্টালিকাসমেত অনেক জায়গার ওপর ছিল বিশাল বিশাল বাড়ি। যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে রাজপ্রাসাদ বলে পরিচিত ছিল। সেখানে রাজা-বাদশাহ, রানী-মহারানী ও রাজকন্যা-রাজপুত্র বাস করতেন। এছাড়া প্রাসাদের ভেতরে এবং তার আশপাশে তাঁদের পাইক-পেয়াদা এবং অন্য কর্মচারীরাও থাকতেন। তাদের অনেকের বাড়িও হয়ত কয়েক শ' শতকের ওপর ছিল না। এটা শত শত বছরের আগের ঘটনা। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বা একবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে এ অঞ্চলের একটি দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোন বড় রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী বা বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রী যদি প্রায় ওরকম একটি প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক হন, সেটাও যদি আবার হয় রাষ্ট্রীয় অনুদান বা আনুকূল্যে তা হলে তো সঙ্গতকারণেই গণমানুষের কাছে একটু বেখাপ্পা লাগারই কথা। সামনত্মযুগের চাল-চলন আর আরাম-আয়েশে বিলাসী জীবনযাপনে গা ভাসিয়ে দিয়ে দেশ শাসন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় একেবারেই বেমানান। সে সময় প্রজাপালনের নামে প্রজাদের ওপর শুধু খবরদারিই নয়, অত্যচার-অনাচার-জুলুম করে কঠিন শ্রমে তাদের উৎপাদিত ফসলের ওপর ভাগ বসিয়ে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ত। সেটা ছিল বর্বরতা ও অসভ্যতার কথা। তাই সে যুগের পতন হয়েছে অনেক আগেই। এখন সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে। মানব সমাজে অনেক পরিবর্তন-বিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। রাষ্ট্রব্যবস্থা। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলা দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এদেশের সর্বসত্মরের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলেন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশে পরিণত করেছেন। লাজশরমের মাথা খেয়ে একশ্রেণীর ঘৃণ্য মানসিকতার মানুষ অবশ্য এ অনন্য কাজটিতেও ভাগ বসাতে এখনও তৎপর। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে অবশেষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান যারা রাষ্ট্র চালাবেন, দেশ চালাবেন এবং তারাই তো দেশের গণমানুষকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাবেন। মানবকল্যাণ সাধন ও দেশের উন্নয়নের কথাই তাদের কর্মকা-ে পরিষ্কার ফুটে উঠবে। পরিবর্তে যদি আচার-আচরণে কথাবার্তায় জীবনযাপনের অভ্যাসগত কারণে সামনত্মবাদী মনোভাব এখনও অাঁকড়ে ধরে থাকে তা তো শুধু বেমানানই নয়, অশোভনীয়ও। দুঃখিত. ভূমিকাটা একটু বড়ই হয়ে গেল। আসলে বিষয়টি গুরম্নত্বপূর্ণ বলেই আমার এত কথা বলতে হলো।
মহামান্য আদালত বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষ থেকে পেশকৃত রিট খারিজ করে দিয়ে তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে বাড়িটি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সন্দেহ নেই, বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা এর আগে তিন তিনবার (অবশ্য, ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে ভুয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়াসহ) দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত ৬ নম্বর মইনুল রোডের বাড়িটি মরহুম রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানের পত্নী বেগম জিয়াকে নামমাত্র মূল্যে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি নিয়েই মূল কথাটি। এরইমধ্যে দেশের অনেক লেখক-কলামিস্ট ও আরও অনেক নামী-দামী বিভিন্ন পেশার মানুষ বিষয়টি নিয়ে অনেক লিখেছেন। তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সাধারণ মানুষও তাঁদের মতো করে তাদের মতামত ব্যক্ত করছে। কিন্তু মূল কথাটি হচ্ছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার এই বাড়িটিতে থাকতেই হবে। কারণ, তা না হলে সামনত্মবাদের চিহ্ন এদেশ থেকে একবারেই মুছে যাবে যে! আর ম্যাডাম এ বাড়িটি ছাড়েনইবা কি করে, বাড়িটির সঙ্গে তাঁর যে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। পরিবারপরিজন নিয়ে তিনি এ বাড়িতে অনেকদিন ধরে আছেন। তাই বাড়ি ছাড়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। অধুনা তাঁর ও তাঁর দলের প্রতি অনুরক্ত হয়েছেন এমন অনেকেই বলেছেন বেগম জিয়ার স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ডেপুটি প্রধান হওয়ার সুবাদেই এই বাড়িটির বরাদ্দ পেয়েছিলেন। কথাটি ঠিক বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকা অবস্থায়ই জিয়াউর রহমান আর্মির ডেপুটি চীফ অবস্থায় এই বড়িটি পেয়েছিলেন। অনেকেই জানেন, আবার অনেক জ্ঞানপাপী বিষয়টি জেনেও সত্যটি গোপন করার চেষ্টা করেন যে জিয়াউর রহমানকে কবে কিভাবে এবং কেন সেনাবাহিনীর ডেপুটি প্রধান করা হয়েছিল। ঐ ঘটনার সাক্ষী এবং যাঁরা জানতেন বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলেতুন্নেছা মুজিব (বঙ্গবন্ধুর ভাষায় কামালের মা) ও জেনারেল ওসমানীসহ আজ তাঁদের কেউ বেঁচে নেই। তবে বেঁচে আছেন বেগম জিয়া নিজে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ জিয়াউর রহমানকে আর্মির ডেপুটি প্রধান করার আগ পর্যনত্ম এ পদটির কোন অসত্মিত্বই ছিল না। একটি বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (যা আমি এখানে বলতে চাচ্ছি না) জিয়াউর রহমানকে কিছুটা খুশি করার জন্য বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করলে জেনারেল ওসমানীর মতামত নিয়ে এ কাজটি করা হয়েছিল। জাতি যখন ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো এক খন্দকারের ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে শুনতে বীতশ্রদ্ধ ঠিক তখনি মাঠে হাজির হয়েছেন আরেক খন্দকার মহোদয়। তিনি বলেছেন মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য জিয়াউর রহমানকে ঐ বাড়িটি দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রয়াস চালানোর মতো এ সত্যটিরও বিকৃতি ঘটানোরও অপচেষ্টা চলছে। তিনি কিছুদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বলেই তাঁর পদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার কারণে তিনি বীরউত্তম খেতাবটি পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সব মেজরই বীরউত্তম খেতাব পেয়েছিলেন। মোদ্দাকথা, বিষয়টি এখন যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বেগম জিয়াকে শেষ পর্যনত্ম বাড়িটি ছাড়তেই হচ্ছে। সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে সরকারের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী দলের নেতা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দায়ের করা রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘ ২২ কার্য দিবস শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৩ অক্টোবর বুধবার এ রায় প্রদান করে। তবে এই রায়ের বিরম্নদ্ধে আপীল করা হবে বলে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে খালেদা জিয়াকে যে নোটিস দেয়া হয়েছে তা বৈধ। রায় ঘোষণার পর বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
রায় ঘোষণার পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন ক্যান্টনমেন্টের ১৬৫ কাঠা (সোয়া আট বিঘা) মইনুল রোডের ওপর অবস্থিত ডেপুটি চীফ অব স্টাফের বাড়িটি তৎকালীন সরকার নামমাত্র মূল্যে খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে লিজ দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো যে জনগণের সম্পত্তি অথবা আর্মির সম্পত্তি কোন ব্যক্তিবিশেষকে দেয়া যায় না। কোন রাষ্ট্রপতি বা অন্য কেউ এটা দিতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার 'অনুরাগবশত' তৎকালীন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল আমজাদ আহম্মেদ চেীধুরীর সুপারিশের ভিত্তিতে বাড়িটি দিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ১২ জুন তৎকালীন মন্ত্রিসভা খালেদা জিয়াকে গুলশানে এক বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি, এককালীন ১০ লাখ টাকা, দু'ছেলের লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ, একটি গাড়ির তেল, ড্রাইভার, রান্না করার জন্য বাবুর্চি সবকিছু দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়। মাহবুবে আলম বলেন, এতকিছুর পরও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার ১৬৫ কাঠার ওপর অবস্থিত এ বাড়টি প্রদানের যে আদেশ দিয়েছিলেন তা ছিল সংবিধান পরিপন্থী, অবৈধ ও বেআইনী। অবশ্য, বেগম জিয়ার আইনজীবী টিএইচ খান সাংবাদিকদের বলেছেন, একটি বাড়ির লিজ রেজিস্ট্রি দলিল এভাবে নোটিস দিয়ে বাতিল করা যায় না। তিনি বলেন, রায়ে আমরা হতবাক। বিষয়টি খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে এ রায়ের বিরম্নদ্ধে আমরা আপীলের সিদ্ধানত্ম নেব।
২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল বর্তমান সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঐ বাড়িটির লিজ বাতিলের সিদ্ধানত্ম নেয়। গত বছরের ২০ এপ্রিল সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদফতর খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার জন্য প্রথম নোটিস প্রদান করে। বাড়ি ছাড়ার নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া গত বছরের ৩ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে ৭ মে খালেদা জিয়াকে কতর্ৃপক্ষের তরফ খেকে একটি সম্পূরক নোটিস দেয়া হয়। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। রিট দায়েরের হাইকের্টের চারটি ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা ঐ রিট আবেদনের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। পরে পঞ্চম বেঞ্চের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে। আংশিক শুনানি শেষে গত বছরের ১৮ মে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করা হয়। এ সময়ের মধ্যে বেগম জিয়ার বাড়ি ছাড়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার জন্যও হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়। সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ ২৪ মে খালেদা জিয়াকে ৩০ জুনের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার জন্য তৃতীয় নোটিস প্রদান করে। রিট আবেদনটির ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ মে হাইকোর্ট নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। বাড়িটি ছাড়ার নোটিসটিও কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শাতেও আদালত সরকারের ওপর রম্নল জারি করে। গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশটি তুলে নেয়। এ রম্নলের চূড়ানত্ম নিষ্পত্তির শুনানি শেষে ১৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রম্নলটি খারিজ করে রায় প্রদান করে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে এক বক্তৃতায় মইনুল রোডের বড়িটি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেনানিবাসের এই জায়গাটি পাওয়া গেলে সেখানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনাসদস্যদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে প্রত্যেক পরিবারকে দু'টি করে ফ্ল্যাট দেয়া যেত। একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করে অপরটি ভাড়া দিয়ে পরিবারগুলো তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারত। এ রকম মহৎ উদ্দেশ্য প্রদত্ত আহ্বানে বেগম জিয়া সাড়া দিলে বিষয়টি আদালত পর্যনত্ম গড়াত না। অথচ আজ খালেদা জিয়ার পক্ষাবলম্বন করে সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বাড়ির বিষয়টি আদালতে নেয়ার কড়া সমালোচনা করে এর রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছেন। আমাদের পেশার অনেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত এ লোকটি সম্পর্কে বলতে গেলে লেখার কলেবর দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে বেশি কিছু আর বলছি না। এই আইনজীবী মহোদয়ের সঙ্গে একমঞ্চে বসে ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ধানম-ির ৩২ নম্বরের সামনে অনুষ্ঠিত ১৫ আগস্টের শোকদিবসের সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম। আমার এক অনুজপ্রতিম এক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাও সেদিন বলেছিলেন যে, মাত্র কয়েক বছর আগেও আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে বক্তৃতা দিয়েছি। সুতরাং রঙ্গ বদলানো আর ভোল পাল্টানো আর কাকে বলে। এরইমধ্যে, আবোল-তাবোল বক্তব্য দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওসত্মাদ এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার স্বভাবসুলভ কায়দায় এই বাড়িটি নিয়েও বেফাঁস মনত্মব্য করেছেন। তিনি বাড়ির বিষয়টি নিষ্পত্তির দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপরই ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশ, রাষ্ট্র, শাসনব্যবস্থা ও প্রশাসনেরই অংশ। তাই চৌধুরী সাহেবের বক্তব্য একানত্মভাবেই সারশূন্য ও উস্কানিমূলক।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পর কিছু অতি উৎসাহী লোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণভবন নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা সে লোভ সহজেই সংবরণ করতে পেরেছিলেন। তবে সবচেয়ে খারাপ লাগছে এ কথাটি মনে করে যে, খালেদা জিয়ার সরকার বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাকে দেয়া বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছিল। তখন শেখ হাসিনা গণভবন লিখে নিয়ে যাচ্ছে বলে জাতীয়তাবাদীরা হৈ চৈ শুরম্ন করে দিয়েছিল। আর এখন বিএনপি নেত্রীর বেলায় বাড়ি রক্ষার্থে তারা আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি পর্যনত্ম দিচ্ছেন। এমনকি তারা পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগদানের শর্ত হিসাবেও খালেদা জিয়ার বাড়ি আর তাঁর দুই ছেলের মুক্তির শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন।
কথিত কপর্দকহীন অবস্থায় ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জিসহ দু'টি বাচ্চা নিয়ে বৈধব্যপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে তাঁর আর্থিক ও মানসিক দুরবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে মইনুল রোডের বিশাল বাড়িটি দেয়া হয়েছিল। যদিও আগেই তাঁকে গুলশানে এক বিঘা ওপর জমিতে আরেকটি বাড়ি দেয়া হয়েছিল। এ তো তিন দশক সাড়ে তিন দশক আগের কথা। তারপর বেগম জিয়া দলের প্রধান হয়েছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নাবালক ছেলেরা লেখাপড়ায় তেমন কিছু না করতে পারলেও টাকা-পয়সা কামাতে রেকর্ড গড়েছেন। টাকার পাহাড় গড়েছেন। বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। হাওয়া ভবনকে ক্ষমতা ও দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিলেন। তার বড় ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতির 'বরপুত্র' বলে খ্যাতি লাভ করেছেন। তারা এখন বিত্ত-বৈভবে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাই এই বাড়িটি ছাড়তে এত কষ্ট কেন? রাজনীতি করবেন, আর সেনানিবাসে থাকবেন, তা তো হয় না। ওখান থেকে বেরিয়ে গণমানুষের কাছাকাছি আসুন। নাকি ওটা নিরাপদ জায়গা? আপনার দলের মানুষের কথা ভেবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত অহ্বানে সাড়া দিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দেয়াই ভাল। আপনার নিজের জন্য, দেশের জন্য।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট



________________________________
From: Faruque Alamgir <faruquealamgir@gmail.com>
To: dahuk@yahoogroups.com; wideminds <WideMinds@yahoogroups.com>; alochona
<alochona@yahoogroups.com>; Sonar Bangladesh <sonarbangladesh@yahoogroups.com>;
serajurrahman@btinternet.com; Sattabadi Nagarik <sattabadi@yahoo.com>;
notun_bangladesh@yahoogroups.com; Dr. Abid Bahar <abidbahar@yahoo.com>; Bangla
Zindabad <Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com>; Amra Bangladesi
<amra-bangladesi@yahoogroups.com>; Nayan Khan <udarakash08@yahoo.com>; maxx
ombba <maqsudo@hotmail.com>; delwar <delwar98@hotmail.com>
Sent: Thu, October 21, 2010 7:10:44 AM
Subject: [Bangladesh-Zindabad] Re: [Dahuk]: Major reshuffle sparks reaction in
admin

 
"Aam kheyey Amaer Ati tachchillo bhorey churey feley deowa hoi"(after eating the
mango the bone is thrown hatefully). 


That is happening with the people(bureaucrats) who got their Dug Dugi sound too
much after the changeover. BAL do not need experience,prudent,erudite,diligent n
patriotic officers. They just mediocre juniors upgragde overnight as Secy's with
total submission of heart n soul for the cause of establishing "DEMO CRAZY"
So, why bother or be concerned about !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

Faruque Alamgir


On Thu, Oct 21, 2010 at 6:48 AM, Isha Khan <bdmailer@gmail.com> wrote:

 
>Major reshuffle sparks reaction in admin
>BPATC rector plans voluntary retirement
>
>
>The Bangladesh Public Administration Training Centre rector, Md Delwar Hossain,
>who has been made chairman of the Land Reforms Board, has decided not to join
>the office having the rank of joint secretary.
>   He has planned to go on voluntary retirement under the Public Servants
>(Retirement) Act 1974 if the government's decision on his posting was not
>changed, a BPATC official told New Age on Wednesday.
>   The government on Tuesday transferred 21 secretaries and made four of them
>officers on special duty at the establishment ministry.
>   Before assuming office of the BPATC rector, Delwar had worked as secretary to
>the land ministry for six months from January 2009.
>   He came to be discussed in various quarters for his efforts to check
>irregularities and streamline administrative functions under the land ministry,
>which is believed to have caused his transfer to the BPATC.
>   Officials closed to the senior bureaucrat said Delwar had felt insulted as he
>had been transferred to the position of the rank of a joint secretary where even
>additional secretaries were posted for dumping.
>   He was secretary to the land ministry and the Land Reforms Board was under
>his jurisdiction. 'This is unethical and also injustice to his position,' said a
>secretary.
>   The administrative
>   reshuffle was made amid allegations that the bureaucracy had plunged into
>sluggishness, affecting routine activities in various areas and also tarnishing
>the image of the government.
>   The reshuffle, which coincided with the Election Commission's preparations
>for holding local government polls by year end, sparked mixed reactions in the
>bureaucracy as the people dumped to less important position or made officers on
>special duty are believed to have been sidelined for their political leaning.
>   The fisheries and livestock secretary, Sharful Alam, land secretary Md
>Ataharul Islam, implementation, monitoring and evaluation division secretary Md
>Abdul Malek and Planning Commission member Nasiruddin Ahmed were made OSDs on
>Wednesday.
>   Delwar was supposed to go on leave preparatory to retirement on December 19,
>2011.
>   According to the law, a public servant may opt to retire from service any
>time after 25 years in service by giving a notice in writing to the appointing
>authority at least 30 days before the date of the intended retirement.
>
>
>http://www.newagebd.com/2010/oct/21/front.html
>