Banner Advertiser

Tuesday, January 5, 2016

[mukto-mona] Germany shocked by Cologne New Year gang assaults on women



Germany shocked by Cologne New Year gang assaults on women


Two observations in the BBC news report: 1) "The men were of Arab or North African appearance." 2) "They were all asylum seekers, carrying copies of their residence certificates."

These observations could be true or false. But Europe must weigh in on what kind of brainwashed people they are being humane to and how. They should be humane, but they must also make sure that they are not spoiling their homeland with people who are too brainwashed, and could provide the so-called moderate environment that would produce people that have no sense of human rights and dignity.


__._,_.___

Posted by: Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Good news



নিজামির ফাঁসি বহাল !


SitangshuGuha 646-696-5569



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Short video





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিকৃতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়



মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিকৃতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়

সোহেল সোহরাব, টরন্টো (কানাডা) থেকে | আপডেট: 

টক শোয়ে অংশগ্রহণকারীরামুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃতি কিংবা আপত্তিকর মন্তব্য করা কোনো বিবেচনায়ই মতপ্রকাশের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিকৃতি রুখতে পশ্চিমা দেশগুলোতে বিদ্যমান 'হলোকাস্ট ডিনায়াল ল–র' আদলে বাংলাদেশেও দ্রুত আইন প্রণয়ন করা দরকার।

টরন্টোর মুক্তমনা মানুষদের মতপ্রকাশের বিকল্প মিডিয়া হ্যালো, টরন্টো থেকে বলছির সংলাপে বক্তারা এই দাবি জানান। ৩ জানুয়ারি রোববার রাতে ডেনফোর্থের ক্রিয়েটিভ ফিল্মসের স্টুডিওতে এই সংলাপটির রেকর্ড করা হয়।
সাংস্কৃতিক সংগঠক আহমেদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন প্রগতিশীল রাজনৈতিক উদ্যোগ পিডিআইর যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎ দে, নতুনদেশ–এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট শামান সাত্ত্বিক ও আওয়ামী লীগের কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান।
বাংলাদেশসহ সমসাময়িক আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের ওপর টরন্টোতে বসবাসরত মুক্তচিন্তার রাজনীতিক, লেখক-সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী তথা মুক্তমনের প্রতিনিধিত্বশীল মানুষদের বক্তব্য তুলে ধরার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হ্যালো, টরন্টো থেকে বলছি...'। টক শোর আদলে চিন্তাশীল মানুষদের মতামত ধারণ করে তা অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে হ্যালো, টরন্টো থেকে বলছির অন্যতম উদ্যোক্তা চলচ্চিত্র নির্মাতা এনায়েত করিম বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের সমসাময়িক ঘটনাবলি আমাদেরও স্পর্শ করে। কিন্তু সেগুলো প্রকাশের নিজস্ব কোনো মাধ্যম আমাদের নেই। তাই বিকল্প মাধ্যমে আমরা আমাদের ভয়েস তুলে ধরছি। হ্যালো, টরন্টো থেকে বলছি এই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করছে।
এই পর্বের আলোচনায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর রায় কর্তৃক শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিদ্যুৎ দে বলেন, তাদের এই বক্তব্যে আসলে বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাসেরই প্রতিফলন ঘটেছে। দেশের জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্ক তুলে দিয়ে তারা নতুন প্রজন্মের মনেও রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে চান।
শওগাত আলী সাগর বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বীভৎস গণহত্যা হয়েছিল, সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আমাদের কাজ করার কথা, অথচ আমাদের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, অপরাধীদের প্রবণতাই থাকে নিজের অপরাধকে অস্বীকার করা, নিদেনপক্ষে হালকা করে দেওয়ার। বিএনপি এখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঘাতকদের অপরাধকে হালকা করে দেওয়ার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।
তিনি মিডিয়ার সমালোচনা করে বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিকৃতি করছে, অথচ মিডিয়া সেগুলো প্রচার করে বিতর্ককে জিইয়ে রাখতে সহায়তা করছে। মিডিয়া যুগপৎ সম্পাদকীয় লিখে ও বিএনপি যে বিকৃতি করছে সেটিই সরাসরি সংবাদ পরিবেশন করে সত্য ইতিহাসের পক্ষে দাঁড়াতে পারত।
শামান সাত্ত্বিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তুলে বিএনপি আসলে পাকিস্তানিদের অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টাই করছে। অথচ একাত্তরে ৩০ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের হিসাবটি ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত।
আজিজুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক তুলে বিএনপি সদ্য অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে তার খেসারত দিয়েছে। এই নির্বাচনে তাদের মোটপ্রাপ্ত ভোটের হার বেশ কমে গেছে।
সঞ্চালক আহমেদ হোসেন বলেন, একটি জাতির জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচার ও অবমাননাকর বক্তৃতা বিবৃতি রাজনীতিতে চলতে পারে না। এই অপতৎপরতা বন্ধে দ্রুত আইনি কাঠামো নির্মাণের দাবি তোলেন তিনি।
পুরো আলোচনাটির ভিডিওগ্রাফি করেছেন এনায়েত করিম। তাকে সহায়তা করেছেন আমিনুল ইসলাম, মণীশ রফিক ও বিদ্যুৎ সরকার।

http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/731773/  মুক্তিযুদ্ধের-ইতিহাসবিকৃতি-মতপ্রকাশের-স্বাধীনতা-নয়


পর্যবেক্ষণ : ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যাতত্ত্ব
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ






Paki President Yahya said,

"Kill three million of them and the rest will eat out of our hands".

Ref: (Robert Payne, Massacre, The Tragedy of Bangladesh and the Phenomenon of 
Mass Slaughter Throughout History; P50; New York, Macmillan, 1973).

 [ MASSACRE  (ISBN: 0025952404)]



Massacre: The Tragedy at Bangla Desh and the Phenomenon of Mass Slaughter Throughout History Hardcover – February, 1973

by Robert Payne (Author)

Related:

  • The war Bangladesh can never forget - The Independent

    www.independent.co.uk › News › World › Asia
    The Independent
    Feb 19, 2013 - ... the Pakistani President General Yahya Khan is recorded as saying in fury: "Kill three million of them, and the rest will eat out of our hands.
  • Is 3 million martyrs a myth? [The Mathematics of a Genocide]

  • What are the worst genocides and mass murders in the history of humanity?

    Sources for the genocide: 
  • 1971 Bangladesh genocide


  • 1971 Bangladesh genocide

    From Wikipedia, the free encyclopedia

    C

    [show]

    The genocide in Bangladesh began on 26 March 1971 with the launch of Operation Searchlight,[5] as West Pakistan began a military crackdown on the Eastern wing of the nation to suppress Bengali calls for self-determination.[6] During the nine-month-long Bangladesh war for independence, members of the Pakistani military and supporting militias killed an estimated 300,000[1] to 3,000,000[4] people and raped between 200,000 to 400,000 Bangladeshi women in a systematic campaign of genocidal rape.[7][8]

    The war also witnessed ethnic violence between Bengalis and Urdu-speaking Biharis. There is an academic consensus that the events which took place during the Bangladesh Liberation War were a genocide.[9]

  • https://en.wikipedia.org/wiki/1971_Bangladesh_genocide






  • __._,_.___

    Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] নদীর অবস্থা ভয়াবহ



    বরাবরে মতেই এবারো শীতকালেই প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে পদ্মার শাখা-প্রশাখা মাথাভাঙ্গা, কুমার, ইছামতি, গড়াই, আড়িয়ালখাঁ, মধুমতি, পশুর, কপোতাক্ষ, মহানন্দাসহ অন্তত ৩৬টি নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। পদ্মার বুকে জেগে উঠছে বিশাল বিশাল চর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ, মৎস্যসম্পদ ও নৌযোগাযোগ।
    গত ২ জানুয়ারি-২০১৬ ঈসায়ী জেআরসি'র (ভারত ও বাংলাদেশের) প্রতিনিধিদল পদ্মা নদীর পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছে। নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে প্রতিনিধিদল জানায়। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
    ফারাক্কার প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প-কারখানা সবকিছুতে কী মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। কিন্তু কেন? মিঠাপানি ছাড়া কৃষি তথা কোনো ধরনের শিল্প-কারখানা চলতে পারে না। ফারাক্কার কারণে যশোর-খুলনা অঞ্চলে মিঠাপানির প্রবাহ কমে গেছে। ফারাক্কার কারণে পদ্মার তলদেশ উপরে উঠে এসেছে। এখন পদ্মায় তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। ইলিশের বিচরণত্রে ছিল রাজশাহী থেকে পাবনা পর্যন্ত। মাছ আসার জন্য পানিতে যে পরিমাণ প্রবাহ থাকার কথা সেটি না থাকায় এখন আর পদ্মায় ইলিশ আসে না। গাঙ্গেয় পানি ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রজাতির মিঠাপানির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি ছিল। সেগুলোর বেশির ভাগই এখন বিলুপ্তির পথে। পদ্মা নদীতে পানিস্বল্পতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে মরুকরণ অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে অনেক আগেই। পদ্মা পাড়ে এখন গাঙচিল, মাঠরাঙা বেলেহাঁস আর ধবল দেখা যায় না। দৃষ্টিতে আসে না অন্যান্য পাখি। পদ্মা নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মাছ প্রায় শূন্য পদ্মা। যে কারণে সাদা বক গাঙচিল আর বেলেহাঁসের দেখা পাওয়া যায় না।
    পদ্মা নদী অববাহিকায় আয়তনে এত বিশাল সমতল বদ্বীপ পৃথিবীতে আর কোনো নদীর নেই। এ নদীর অববাহিকায় বাস করে প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ। পদ্মার দুই তীরে ২৯টি প্রথম শ্রেণীর শহর রয়েছে। প্রতিটি শহরের জনসংখ্যা এক লাখের বেশি। দ্বিতীয় শ্রেণীর শহর রয়েছে ২৩টি। শহরগুলোর প্রতিটির জনসংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ। এছাড়া ৫০ হাজার কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহর রয়েছে ৪৮টি। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গঙ্গা (পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশের নাম) নদীর উপর নির্মিত হয়েছে 'লব-কুশ ব্যারাজ'। এই বাঁধ দিয়ে ভারত প্রতিদিন ১৯ হাজার মিলিয়ন লিটার পানি সরিয়ে নিচ্ছে। এই পানি বিশুদ্ধ করে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
    চুক্তি অনুযায়ী, ফারাক্কা পয়েন্টে পানির প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের কম দেখা গেলে দুই দেশের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরী ভিত্তিতে আলোচনা করে সমন্বয় সাধন করতে পারবে বলা হলেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। অনুচ্ছেদ-২এ বলা হয়েছে- উভয় পক্ষ থেকে সমানসংখ্যক সদস্য নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি ফারাক্কা পয়েন্ট হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকা ও ফিডার ক্যানেল এলাকায় পানির প্রবাহ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি টিম নিয়োগ করবে। এই টিম উভয় সরকারের কাছে পানিপ্রবাহের সংগৃহীত ডাটা-উপাত্ত পেশ করবে। তা যদি করত তাহলে পদ্মায় পানিপ্রবাহ থাকতো।
    পদ্মার প্রধান শাখা নদী হলো মাথাভাঙ্গা, কুমার, ইছামতি, গড়াই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি। প্রশাখা হলো মধুমতি, পশুর, কপোতাক্ষ। উপনদী একটি মহানন্দা। মহানন্দা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় পদ্মায় মিলিত হয়েছে। পদ্মার পানি দিয়ে শুকনো মৌসুমে রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় সেচকাজ চালানো হয়। এ নদীর পানি দিয়ে প্রায় ২০ ভাগ জমির সেচকাজ চলে। বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদ্মা নদীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
    বাংলাদেশের পদ্মার যে বিপুল আয়তন, তাতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকলে প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টির কথা উঠতো না। কিন্তু নেপালের কোশি থেকে শুরু করে ফারাক্কা পর্যন্ত সুদীর্ঘ পথে পানি প্রত্যাহারের যে একতরফা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভারতÑ তাতে বাংলাদেশের বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
    ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১,১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ (১১ হাজার ট্রিলিয়ন অথবা ১১ লাখ বিলিয়ন টাকা) টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের পানি চুরির অভিযোগে ভারত অভিযুক্ত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
    'নেপাল স্টাডি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ হ্যাভ সিরিয়াস ওয়াটার ডিসপিউটস' শিরোনামে সম্প্রতি ওই নিবন্ধটি প্রকাশ করে নেপালের টেলিগ্রাফ পত্রিকা।
    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গঙ্গা পানি চুক্তি কার্যকরের চৌদ্দ বছর শুরু হয়েছে এ বছর। পদ্মা শুকিয়ে এখন মরা খাল। পরিবেশগত হুমকির মুখে ৬ জেলার ২ কোটি মানুষ। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) কর্মকর্তারা সম্প্রতি হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় যৌথ পানি বিশেষজ্ঞ দল ভারতের ফারাক্কা ও বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে এবং সে অনুযায়ী পানি বণ্টন হয়ে থাকে। তবে পানি চুক্তির পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বছরই বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা পায়নি। ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মা নদী বেষ্টিত ৬টি জেলায় মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
    এদিকে ফারাক্কার প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের ৫৪টি নদী শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এত নিচে নেমে গেছে যে, এভাবে চললে ১০ বছর পর এ অঞ্চলে পানি পাওয়া কঠিন হবে।
    ভারত শুধু পদ্মা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধই নয়, বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৫৭টি নদীর মধ্যে ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশের ৮০টি নদী হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া আরো ১০০টি নদী মৃতপ্রায়। এবছর খরা মৌসুমে এসব নদীর অবস্থা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এর প্রভাবে এসব নদীর সাথে যুক্ত অসংখ্য খাল-বিল এখনই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।
    উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রায় অর্ধকোটি সেচযন্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে আছে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলনের জন্য গভীর ও অগভীর নলকূপসহ ৬ ধরনের টিউবওয়েল। এগুলোর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। ভূ-উপরিস্থ পানি সেচের জন্য রয়েছে লো-লিফটসহ যান্ত্রিক পাম্প ও সনাতন পদ্ধতির নানাবিধ সেচপদ্ধতি। এগুলোর সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। এসব সেচযন্ত্র প্রায় দেড় কোটি হেক্টরে বছরের বিভিন্ন সময় পানি সরবরাহ করে।
    জানা যায়, এক যুগের ব্যবধানে দেশে সেচযন্ত্রের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেচের জমি বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ হেক্টর। এসব সেচযন্ত্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের বড় নদী, শাখানদী, উপশাখা ও প্রশাখাগুলোর সাথে যুক্ত অসংখ্য খাল, হাওর, বিল প্রভৃতির পানির উৎস থেকে পানি সরবরাহ করে। ফলে যেকোনো নদীর উপর বাঁধ দিয়ে তার প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা মানেই সরাসরি ওই নদীকেন্দ্রিক সেচব্যবস্থার উপর আঘাত হানা। ভারতের এই নদী রাজনীতি প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থাকে অচল করে ফেলতে চাচ্ছে।
    বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত শুধু আধিপত্যবাদী ভূমিকাই পালন করছে না; বরং রীতিমতো লুণ্ঠন ও সন্ত্রাসী প্রক্রিয়াও চালাচ্ছে। ভারতীয় আকাশ সংস্কৃতি এদেশের জাতীয় চরিত্রকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মতে মুসলমানদের সর্বপ্রথম শত্রু হলো ইহুদী অতঃপরই এ মুশরিকরা তথা ভারত। অথচ সে ভারতের মুশরিকদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার নতজানু ও বড় দাদা সুলভ পররাষ্ট্রনীতি চালিয়ে আসছে। আমরা মনে করি, এর এক্ষুণি অবসান দরকার। এক্ষেত্রে শুধু সরকার কর্তব্যই শেষ নয়, দেশের জনগণকেও পবিত্র ঈমানী জযবায় আপ্লুত হতে হবে। নচেৎ দ্বীন-দুনিয়া দু'ক্ষেত্রেই পস্তাতে হবে। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- "যখন মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে ওয়াদার খিলাফ করে, তখন তাদের উপর বিদেশী শত্রু চাপিয়ে দেয়া হয়।"
    কাজেই এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার নছীহত মুবারক গ্রহণ করলেই সব আগ্রাসন ও নিপীড়ন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ!


    __._,_.___

    Posted by: =?UTF-8?B?4Kau4Ka+4KaT4Kay4Ka+4Kao4Ka+IOCmnOCngeCmsuCmq+Cmv+CmleCmvuCmsA==?= <muslim.sipahi786@gmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] Re: {PFC-Friends} রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?



    An unhappy BNP-wallah writes:  অপ্রিয় হলেও সত্য, আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও এখন মনে করতে শুরু করেছে দিল্লির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে কি তাই? >>> . . . . .


    What a pity! The guy is heartbroken <<  হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী ধারার দলগুলোকে ধরে রাখার কোনো পদক্ষেপ দলটি কি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের শাসনামলের ৭ বছর ধরে নানাভাবে দেশের আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক, পীর মশায়েখসহ তৌহিদি জনতা নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর বিষ ছড়ানো হচ্ছে। ধানের শীষের ভোটব্যাংকখ্যাত বিপদগ্রস্ত এই আলেম ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে কি দলটি দাঁড়িয়েছে, খোঁজখবর নিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে? দিল্লির অনুকম্পায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধাবাদী কৌশল বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?   >>

    http://www.dailyinqilab.com/details/48548/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE?


     

    From: pfc-friends@googlegroups.com <pfc-friends@googlegroups.com> on behalf of Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk>
    Sent: Monday, January 4, 2016 6:33 PM
    To: Zoglul Husain
    Subject: {PFC-Friends} রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?
     
    রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা?
    Forwarding to you the following:

    রাজনীতিতে কেন এই ভারতনির্ভরতা? 
    By স্টালিন সরকার 
    Daily Inqilab
    ২০১৬-০১-০২   (2 January 2016)

    দেশের রাজনীতিতে ভারতনির্ভরতা বাড়ছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে সৃষ্ট দেশে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতির পাশাপাশি পিকিংপন্থী, মস্কোপন্থী, মার্কিনপন্থী, দিল্লিপন্থী, পাকিস্তানপন্থী, সউদিপন্থী, শিউলপন্থীসহ নানামুখী রাজনীতির চর্চা হতো। জোটগত রাজনীতির কারণে বর্তমানে দেশের দলগুলো দুই ধারায় বিভক্ত।ভারতের কংগ্রেসের সঙ্গে বিরাজমান বন্ধুত্বে আওয়ামী লীগ বরাবরই দিল্লিমুখী রাজনীতিতে অভ্যস্ত। প্রকাশ্যে সেটা স্বীকার করে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি দেশমাতৃকার রাজনীতির বদলে হঠাৎ বিদেশনির্ভরশীল হওয়ায় কার্যত দেশের সব রাজনীতি হয়ে পড়েছে দিল্লির আজ্ঞাবাহী। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ পর্দার আড়ালে দিল্লিকে খুশি রাখতে ব্যতিব্যস্ত। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির এ কেমন চরিত্র? প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত ৪৪ বছরেও বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। অথচ ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করার দলও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় স্বার্থ, সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি, টিপাই মুখে বাঁধ, ট্রানজিট, এমনকি ভারতের ইয়াবা-ভায়াগ্রা আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিবৃতি দেয়ার দল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার রাজনীতিতে বড় দুই দলের এই দিল্লি তোষণের প্রতিযোগিতা কি দেশের জনগণের ওপর শুধুই আস্থাহীনতা? নাকি এর পেছনে অন্য রহস্য? রাজনৈতিক দলগুলোর এই দিল্লি তোষণনীতি 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে' স্বাধীন বাংলার নতুন প্রজন্মকে কী বার্তা দিচ্ছে? আমরা কি আত্মনির্ভরশীলতার বদলে পরমুখাপেক্ষী হয়ে যাচ্ছি? কাজী লেন্দুপ দর্জির রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করছি? নাকি ১৭৫৭ সালের সেই বিয়োগাত্মক পরিণতি ভুলে গেছি? নতুন প্রজন্মকে কোথায় পাঠাচ্ছি? বাংলাদেশের মানুষের মতো 'রাজনীতি সচেতন' এবং 'রাজনীতি পাগল' মানুষ বিশ্বের কম দেশেই রয়েছে। ২৫ মার্চ কালরাতে হত্যাযজ্ঞের পর এমপি-নেতারা যখন প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালাতে ব্যস্ত, তখন সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনী-বিডিআর-পুলিশ-আনসার-কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-শিক্ষক-দিনমজুর-রিকশাচালক-মসজিদের ঈমাম মুয়াজ্জিম-নৌকার মাঝি-পেশাজীবী-শ্রমজীবী মানুষ মুক্তিযুুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মানুষ রাজনীতি সচেতন হওয়ায় এখনো গণতন্ত্র বলতে 'ভোট' বোঝেন। ভোটকে নাগরিক 'অধিকার' এবং নির্বাচনকে মানুষ 'উৎসব' মনে করেন। ভোটের অধিকার হারানোয় ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের ম-া-মিঠাই মানুষের মন গলাতে পারছে না। কবি-শিল্পীরা দেশমার্তৃকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে 'এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা/ আমরা তোমাদের ভুলব না'র মতো হাজারো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গান রচনা করেছেন। রক্তের বিনিময়ে সৃষ্ট সেই সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন কোন পথে? একসময় পাকিস্তানের পিন্ডী ও ভারতের দিল্লির রক্তচক্ষুকে 'খামোশ' হুংকারে থামিয়ে দেয়ার নেতা ছিলেন। এখন? ক্ষমতার লোভে জাতীয়তাবাদকে সিঁকেয় তুলে 'দিল্লি তোষণনীতি' যেন রাজনৈতিক দলগুলোর চলার 'পাথেও' হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতি ঐতিহাসিক। আর বিএনপি দিল্লির আগ্রাসী নীতির বিরোধিতার কর্মসূচি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার বাসনায় পর্দার আড়ালে 'দিল্লি তোষণনীতি' গ্রহণ করছে। কোন দল দিল্লির বেশি আজ্ঞাবাহী ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সে প্রতিযোগিতা চলছে। প্রশ্ন হলো বড় দুই দলের দিল্লির আজ্ঞাবাহী চেতনায় দেশের সার্বভৌমত্বের ভবিষ্যত কী?নতুন প্রজন্ম কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবেন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি দিল্লিনির্ভরশীলতাকে প্রশ্রয় দেয়? নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় ভারত তোষণনীতি থেকে সরে আসতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ হয়েছে উপেক্ষিত। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয় বাদ দিয়ে দিল্লির সব চাহিদা একে একে মিটিয়ে দেয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ তারা তোলেন। শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের শাসক দুর্বল আর নতজানু হওয়ায় রাষ্ট্র জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। প্রতিরোধের জাতীয়তাবাদ হারিয়ে গেছে। জনসমর্থন হারিয়ে সরকার ফ্যাসিবাদে পরিণত হওয়ায় যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। সংস্কৃতি হচ্ছে জনগোষ্ঠীর মেরুদ-। হিন্দির আগ্রাসনে সেই মেরুদ- ভেঙে দেয়া হচ্ছে। অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, তিস্তার পানি নেই। অথচ শাসকরা পরিকল্পিতভাবে ভারতকে তুষ্ট রাখছে। স্বল্প কথায় দুই শিক্ষাবিদের মর্মার্থ বর্তমান রাজনীতির বাস্তবতা। আওয়ামী লীগ সব সময় দিল্লি তোষণনীতি গ্রহণ করলেও জাতীয় স্বার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে বিএনপি প্রতিবাদী ছিল। দিল্লির আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করায় বিএনপি দেশের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষ, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন ও ভোট পেয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। বামধারা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু দল ছাড়া ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করার এখন কণ্ঠ নেই। অপ্রিয় হলেও সত্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, তিস্তার পানির হিস্যা, টিপাইমুখে বাঁধের বিরোধিতা, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ, কারণে-অকারণে বাংলাদেশের ভূখ-ে বিএসএফের প্রবেশ, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে চারদেশীর সড়কের নামে ট্রানজিট দেয়া, সমুদ্রবন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়া, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন ভারতের নিয়ে যাওয়া, হিন্দি-হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধে ডাক দেয়ার কণ্ঠ যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। এমনকি এক বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ভয়াবহ দুর্নীতি, সরকারের ভুল নীতির কারণে জিএসপি না পাওয়া, হলমার্ক, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিরও প্রতিবাদ করা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের 'চেতনা' আর 'জাতীয়তাবাদ' কি দিল্লির পদতলে মাথা ঠেলে দেয়া? ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো আদর্শ নীতি-নৈতিকতায় বিপরীতমুখী। অথচ জাতীয় স্বার্থে তারা সবাই এক এবং অভিন্ন থাকেন। সোনিয়া ছুটে যান মোদির বাসায় এবং নেওয়াজ শরিফের অফিসে ছুটে যান বেনজির ভুট্টোর অনুসারীরা। ভারতের দাদাগিরিকে থোরাই কেয়ার করে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র থেকে সংবিধান সংশোধন করে নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রূপলাভ করেছে। ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে দেশমার্তৃকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো ঢাল-তরোয়ালবিহীন অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ করছে। মালে সফরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বক্তব্যে দেয়ার পর তার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মালদ্বীপ সরকার। মালে সফরে সুষমাকে তেমন গুরুত্বই দেয়া হয়নি। অথচ রক্ত দিয়ে লেখা নাম 'বাংলাদেশের' চিত্র উল্টো। ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি' স্বাক্ষর করা হয়। সেই চুক্তির বিষয় ছিল দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক অখ-তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু ভারত চুক্তির কোনো শর্তই রক্ষা করেনি। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ বেরুবাড়ি ভারতকে ছেড়ে দেয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী ৪৪ বছর পর ছিটমহল বিনিময় হলেও এখনো তিনবিঘা করিডোর দেয়নি ভারত। ফলে এ চুক্তিকে মওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বিএনপিসহ দেশপ্রেমী দলগুলো 'গোলামি চুক্তি' আখ্যা দেয়। ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর জ্যোতিবসুর মধ্যস্থতায় দিল্লিতে ৩০ বছর মেয়াদি 'গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। পহেলা জানুয়ারি ১৯৯৭ থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তিও কার্যকর করেনি ভারত। পদ্মায় পানির ন্যায্য হিস্যা মেলেনি। যার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি, বামধারা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো এই চুক্তিকে 'দাসত্ব চুক্তি' আখ্যা দেয়। ভারতের স্বার্থে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার তথাকাথিত 'উন্নয়ন সম্পর্ক' সব ক্ষেত্রেই দলটি দিল্লির দাদাগিরি নীতির বিরোধিতায় ছিল। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের মনোভাব তাই। কিন্তু হঠাৎ করে দলটি ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতার মনোভাব থেকে সরে এসে দিল্লি তোষণনীতি গ্রহণ করে। অমিত শাহ-খালেদা জিয়ার ফোনালাপ, নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ে অতি উৎফুল্লতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে। প্রশ্ন হলো বিএনপির কেন এই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়ানো? ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে হিন্দুত্ববাদে ফিরে যাওয়ার পথে ভারতের শাসকরা কি বিএনপিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাবে? অপ্রিয় হলেও সত্য, আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও এখন মনে করতে শুরু করেছে দিল্লির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে কি তাই? ঐতিহাসিক কারণে আওয়ামী লীগ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। দলটির কর্মকৌশল ভারতকে খুশি রেখেই করা হয়। দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে নানাভাবে দেশের স্বার্থের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। যার কারণে বিগত কংগ্রেস সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সব ধরনের সহায়তা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন। ভারতের সদ্যবিদায়ী ঢাকাস্থ হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য হলো, 'ভারত মনে করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধানের ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য ছিল।' ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে বিশ্বের দেশে দেশে দিল্লির শাসকরা দূতিয়ালি করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে 'সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা নয়; গরু ব্যবসায়ীদের হত্যা করা হয়েছে' ট্রানজিটে মাশুল নেয়া হবে 'অসৌজন্যমূলক', ভারতই বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছে ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে নতজানুতার প্রমাণ দিয়েছে। এসব কারণে দেশের মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ দিল্লির মুখাপেক্ষী দল। কিন্তু জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি? এ দলটি কি দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আর মননের খবর রাখে? বিগত ৭ বছরে বিএনপির কয়টি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনগণের স্বার্থ ছিল? বিএসএফের সীমান্ত হত্যায় তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। দিল্লি অখুশি হতে পারে এমন আশঙ্কায় ভারতের মন্ত্রীদের মুসলিমবিদ্বেষী উসকানিমূলক বক্তব্যের পরও থাকেন নীরব। দিল্লিকে খুশি করতে এখন দলটির নীতিনির্ধারকরা সদা ব্যস্ততায় বলে দেন, কার্যত তারাও এখন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নেই। দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়েছেন ক্ষমতায় যাওয়ার মোহে। দেশে যখন আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের তোড়জোড়, তখন জিয়াউর রহমান 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন' নিয়ে হাজির হন (বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ-আসাম-ত্রিপুরার বাংলা ভাষাভাষীদের সমন্বয়ে। আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হলো শুধু বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষীদের)। দেশের মানুষ জিয়ার সে নতুন দর্শন গ্রহণ করে এবং জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে রাজনীতিতে এসেও অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের নেতায় পরিণত হন। জিয়ার সেই বিএনপির একি হাল! ৯ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এ সময়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-তিস্তা-বুড়িগঙ্গায় অনেক পানি গড়িয়েছে। অনেক শিশু-কিশোর বুঝতে শিখেছে, নতুন ভোটার হয়েছে, তরুণ-যুুুুুবকরা ভোটার হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন কোটি কোটি নাগরিক। ড. ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের দুর্নীতিবিরোধী জামানার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ব্যবহার করে ৭ বছরে নানাভাবেই অগ্রসর হয়েছে। 'দিল্লি ছাতা' মাথায় রেখেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে। ক্ষমতার বাইরে থেকেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিএনপি কী করেছে? কোটি কোটি নতুন ভোটারদের কাছে জিয়ার আদর্শ তুলে ধরার কি চেষ্টা করেছে? এদেশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেম ও ইসলামী মূল্যবোধ। এসব মানুষ বিএনপির সমর্থক হওয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিই হলো বিএনপির বিরোধিতা করা এবং দলটি সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা নেতিবাচক ধারণা তুলে ধরা। এ কাজে তারা মিডিয়াকে ব্যবহার করছে এবং অর্থকড়ি দিয়েই হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী-সুশীল সমাজ-শিক্ষাজীবী-পেশাজীবী-সংস্কৃতিসেবীকে মাঠে নামিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে 'চেতনা'কে পুঁজি করে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কি সেটাকে মোকাবিলা করার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে? আওয়ামী লীগ তাদের ভোটব্যাংক সংখ্যালঘুদের ধরে রাখতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। নানামুখী সুবিধা দিচ্ছে সংখ্যালঘুদের। আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতি পছন্দ করেন না এমন নাগরিকরা বিএনপির ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাদের জন্য বিএনপি কী করেছে? হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী ধারার দলগুলোকে ধরে রাখার কোনো পদক্ষেপ দলটি কি নিয়েছে? আওয়ামী লীগের শাসনামলের ৭ বছর ধরে নানাভাবে দেশের আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক, পীর মশায়েখসহ তৌহিদি জনতা নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে। মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর বিষ ছড়ানো হচ্ছে। ধানের শীষের ভোটব্যাংকখ্যাত বিপদগ্রস্ত এই আলেম ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে কি দলটি দাঁড়িয়েছে, খোঁজখবর নিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে? দিল্লির অনুকম্পায় ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধাবাদী কৌশল বিএনপিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? 'মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে' কবির এ পঙ্্ক্তি যথার্থই। জীবিত না থাকলেও কর্মের কারণেই আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে রয়েছেন কবি নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহরলাল নেহারু, করমচাঁদ গান্ধী, ইন্দারা গান্ধী, কাজী লেন্দুপ দর্জি, নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা, মীর জাফর, জগৎ শেঠ, খন্দকার মোসতাকসহ হাজারো দেশবরেণ্য বিশিষ্টজন। তারা স্বমহিমায় অবস্থান করছেন মানুষের হৃদয়ে। এই ব্যক্তিত্বদের কাকে কীভাবে মানুষ স্মরণ করছে? কাজী লেন্দুপ দর্জির পরিণতির কথা মনে পড়ে? লেন্দুপ দর্জির সিকিম এখন ভারতের ২৮তম প্রদেশ। অথচ ব্রিটিশ থেকে উপমহাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর গণভোটে সিকিমের মানুষ ভারতের অধীনে না থাকার পক্ষে রায় দিলে জওহরলাল নেহেরু সিকিমকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীকালে ভারতের প্রধানমস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সিকিমকে ভারতের অধীনে নেয়ার আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করেন। তিনি কাজে লাগান সিকিমেরই প্রধানমন্ত্রী কাজী লেন্দুপ দর্জিকে। ১৯৭৪ সালের নির্বাচনের আগে লেন্দুপের সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস (এসএনসি) ভারতের ইশারায় সারাদেশে অরাজকতা, বিরোধী দলের লোকজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি করে। ওই বছর নির্বাচনে ভারতের সহায়তায় লেন্দুপের দল ৩২ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩১টি আসন পায়। লেন্দুপ দর্জি একদিকে সিকিমের জনগণের কাছে স্লোগান দেয়, 'গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলবে।' অন্যদিকে তারই সহায়তায় সিকিমকে বিনা যুদ্ধেই জয় করে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করে ভারত। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানের যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার পরাজয়ের ইতিহাস স্মরণ করুন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তাঁবেদার মীর জাফর, জগৎ শেঠ, মহারাজা স্বরূপচাঁদ, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, রাজা রাজবল্লভ, মীর কাসেম, ইয়ার লতিফ খান, মহারাজা নন্দকুমার, মিরন, ঘষেটি বেগম, মুহাম্মদী বেগ, দানিশ শাহ'র পরিণতি কী হয়েছে? মীর জাফর দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বছর বয়সে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেন। জগৎ শেঠকে দুর্গের চূড়া থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়। রায় দুর্লভ যুদ্ধের পর কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। উমিচাঁদ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে উন্মাদ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মৃত্যুবরণ করেন। রাজা রাজবল্লভ পদ্মায় ডুবে মর্মান্তিকভাবে মারা যান। মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা দখল করেন মীর কাশিম। ইংরেজদের সাথে তার বিরোধ বাধে ও বকসারের যুদ্ধ পরাজিত হয়ে রাস্তায় তার করুণ মৃত্যু ঘটে। ইয়ার লতিফ খান যুদ্ধের পর হঠাৎ করে নিরুদ্দিষ্ট হয়ে যান। মহারাজা নন্দকুমারকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়। মিরন মারা যান বজ্রপাতে। ঘষেটি বেগমের মৃত্যু হয় নৌকাডুবিতে। মুহাম্মদী বেগ অপ্রকৃতিস্থ হয়ে কূপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সাপের কামড়ে মারা যান দানিশ শাহ। রাজনীতিতে দেশপ্রেম এবং দেশপ্রেমের নামে আত্মপ্রবঞ্চনার রাজনীতির পরিণতি কী হয় সেটা ভেবে দেখা উচিত। বর্তমান নেতাদের ভূমিকার মূল্যায়ন করবে ইতিহাস। নেতানেত্রীদের এই নতজানু মানসিকতার রাজনৈতিক কৌশলে 'একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি'র ফুল নামের দেশটি স্বকীয়তা নিয়ে বাঁচবে তো? মামলা আর পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে দেশান্তরী ড. তুহিন মালিক একটি জাতীয় দৈনিকে লিখেছেন, 'জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু মানুষ বাড়ছে না।' তার এ বক্তব্যের সুর ধরে বলা যায়, 'দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো রাজনৈতিক দল বাড়ছে, নেতানেত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে; কিন্তু দেশপ্রেমী নেতানেত্রীর সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।' 
    www.dailyinqilab.com
    স্টালিন সরকার : দেশের রাজনীতিতে ভারতনির্ভরতা বাড়ছে ...

    Copyright Daily Inqilab



    --
    You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
    To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
    For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


    __._,_.___

    Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    Newer Posts Older Posts Home