Banner Advertiser

Tuesday, August 14, 2012

[mukto-mona] Re: Assam Crisis



"What I am saying should not have any impression on you that I am against resistances against dominating forces." কেন ভাবছেন , আমি খুব গোঁড়া অবস্থান থেকে কথা বলছি। বরং আমি পুরোনো প্রচলিত অবস্থান থেকে সরে এসে কথা বলছি বলে মনে হচ্ছে না? আপনার মতো আমিও কি "against resistances against dominating forces" নই? এবং যদি ইরানের বাসিন্দা হতাম তবে কি ইরান সরকারের অগণতান্ত্রিক, সংখ্যালঘু বিরোধী অবস্থানের প্রতি নীরব থাকতাম বলে মনে হয়? কিন্তু লড়াইটা যখন রুশ-মার্কিন শক্তি আর ইরানের মধ্যে তখন কি খোমেইনির দলকে 'dominating forces' বলে মেনে নিতে হবে? কিম্বা, লড়াইটা যখন মার্কিনিদের আর তালিবানের মধ্যে তখন কি এটা মেনে নিতে হবে যে মার্কিনিরা বিশ্বমানবতার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে? তেমনি, কি করে মেনে নিই যে বাংলাদেশে জামাত বিএন পি dominating forces আর লীগ নয়? জামাত যে অবস্থান প্রকাশ্যে নেয় লীগ সেই অবস্থান নেয় রেখে ঢেকে। আর তাই বা বলি কেন? অবাঙালিদের বিরুদ্ধে লীগের অবস্থান প্রকাশ্যেই জাতি বিদ্বেষী এবং বর্বর। উলটে জামাত-বিএনপির অমুসলমানদের বিরুদ্ধে --এই তো? আপনি সত্তরের নকশাল ধারার রাজনীতির ব্যর্থতার কথা বললেন। তাই বলে কি শ্রেণী অবস্থানটাও পাল্টাতে হবে?
কিন্তু লীগ ধারার রাজনীতিও যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছিল সেগুলোও কি ব্যর্থ নয়? ওরা কি পাল্টেছে ওদের শ্রেণি অবস্থান?  সাম্রায্যবাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কাজে তাঁরা কখনোই ব্যর্থ হয় নি। এই সেদিন হিলারি ক্লিন্টন ভ্রমণ করে গেলেন বাংলাদেশে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সমস্যা নিয়ে নাক গলাতেও বাংলাদেশ গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছে। মালদ্বীপে এক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা বদলে ভারত-মার্কিন প্রয়োগের সহযোগী হলো বাংলাদেশ।
তবে যেকোনো তৃতীয় বিশ্বের দালাল সরকারের মতো এরাও শিবির বদলের ধান্ধাতে থাকেই। চীনের দিকে এরাও ঝুঁকছে , ভারতও ঝুঁকছে। তাই ক্লিন্টনেরা এখন না ভারতের উপর বাংলাদেশের দায়িত্ব দিয়ে শান্ত থাকতে পারছে, না পারছে বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে। অবামা প্রশাসন তাই সরাসরি সম্পর্ক করছে সেদেশের সরকারের সঙ্গে।
ওদিকে, রোহিঙ্গিয়া প্রশ্নে লীগের অবস্থান এক্কেবারেই অযৌক্তিক, অমানবিক এবং লোক ঠকানোর অবস্থান। সোজা কথা এরা মায়ান্মার সরকারকে বিব্রত করে চীনকে ক্ষ্যাপেতে চাইছে না।

গরীব রোহিঙ্গিয়ারা সন্ত্রাশবাদীদের খপ্পরে  পড়ে আছে কেন, তাই মায়ান্মার ওদের নাগরিক ধিকার দিচ্ছে না, আর একই যুক্তিতে বাংলাদেশ এদের আশ্রয় দিচ্ছেনা। আপনার কি মনে হয় এই রোহিঙ্গিয়ারা
dominating forces? যদি কেউ কাছে নাই টেনে নেয়, নেয় শুধু মৌলবাদীরা--তবে তারা যেব বটে। কিন্তু এটাওট এক প্রচার মাত্র যে রোহিঙ্গিয়ারা সব্বাই মৌলবাদের খপ্পরে পড়ে আছে। ওদের মধ্যে বিচিত্রর সব দল এবং গোষ্ঠী আছে। এমন কি কমিউনিষ্ট অব্দি। রোহিঙ্গিয়া বিরোধী প্রচারটার সঙ্গে মিল আছে অসমের মিঞাদের বিরুদ্ধে প্রচারের। তফাৎ শুধু এই যে, মিঞাদের ভোটাধিকার আছে, রোহিঙ্গিয়াদের তাও নেই।
রোহিঙ্গিয়াদের বিরুদ্ধে লীগের প্রচার অনেকটা এরকম, "ও গেল ভোটে আমাদের ভোট দাও নি কেন? তোমাদের গ্রামে জলের কল বসাবো না।" আমিয এটি বলতে চাইছি, লীগতো ইচ্ছে করলেই রোহিঙ্গিয়াদের ভেতরে নিজের প্রভাব বাড়াবার কথা ভাবতে পারে। এবং তাই করবে লীগ যদি কাল মার্কিনিরা আদেশ দেয়।
রোহিঙ্গিয়া নিয়ে একটা ভালো লেখা এখানে আছে, http://www.mongoldhoni.net/2012/06/18/present-rohingya-crisis-and-characteristics-of-nationalism-in-bangladesh/

আমার অবস্থান যদিবা ভুলও হয়, যেতো পাল্টে পাল্টে যাব। কিন্তু সেই অবস্থান যেন নির্ণীত না হয়, নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলতে। সত্যের সন্ধানে নিজের ভাবমূর্তীকেও ভেঙ্গে ভেঙ্গেই এগুতে হয়।
ধনি আর দরিদ্র, প্রথমা আর তৃতীয় বিশ্বের অবস্থানে কোনো নিরপেক্ষ মাতাদর্শগত অবস্থানের জায়গা নেই। হ্যা, কখনো বা  কৌশলকে নমনীয় করা যেতে পারে।

 মুস্কিল হলো, ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সূতিকা গৃহ ছিল বাংলা। আর সেই জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি ছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদ। শুরু থেকেই সে ইসলামকে শত্রু পক্ষে ঠেলে দিয়েছে। সে যেমন ঢেকে হিন্দু সমাজের নানান বৈচিত্রকে, তেমনি অস্বীকার করেছে ইসলামের ভেতরের বৈচিত্রকেও জানতে। -'হিন্দু-মুসলমান' দ্বৈরথের বাইরে সাধারণত বাঙালি-বা ভারতীয় মধ্যবিত্ত ভাবতেই চায় না। ভাবতেই চায় না, যে ভাষা-বর্ণ-নৃগোষ্ঠীগত বিরোধও এর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে অতোপ্রতো ভাবে। বাংলাদেশে কেন যোগেন মণ্ডল টিকে থাকতে পারেন নি, এই নিয়ে ভারতে হিন্দু বাঙালিদের খুব হৈচৈ করতে দেখা যায়, কিন্তু যোগেন মণ্ডলের মানুষগুলো যে ভারতেও 'রোহিঙ্গিয়া'দের মতোই জীবন যাপন করছে যে দৃষ্যের থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখেন, 'হিন্দু-মুসলমান' দ্বৈরথ নিয়ে ব্যস্থ ভাবুকেরা। তেমনি বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে খুব চেঁচামেচি হয় ভারতের কাগজে। পাতি ফেসবুক গ্রুপ থেকে মুক্তমনা অব্দি সর্বত্র এই নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয় , কিন্তু বাংলাদেশে অবাঙালিদের প্রতি যে বৈষম্য চলছে তা নিয়ে কথা হয় না কোত্থাওঃhttp://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/08/09/158412

তেমনি, অসমের সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে হিন্দু-মুসলমান সংঘাতের চেহারা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে গোতা দেশ। কিন্তু আশির দশকে যখন ভারতীয় সেনা পুলিশের হাতে মার খাচ্ছিলেন বডোরা তখন নীরব ছিল গোটা দেশ। এবং এখনো বডোল্যাণ্ড বলে যে একটা কিছুর অস্তিত্ব আছে সেটি এই ডামাডোলে ঢাকা পড়ে গেছে। এবং এই বডোল্যান্ডের দাবীর মূলে কিন্তু অসমিয়া বর্ণহিন্দু আধিপত্য বাদ!



2012/8/15 subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
By any definition I will not call the Taliban progressive, they are not only regressive, they are also repressive and reactionary. The motive force behind their fight against imperialism (Soviet or American) has never been nationalism, rather it has been an attempt to repress their own people with a worst form of Islam. Khomeini's Iran is obviously not comparable with Mollah Omar's Afghanistan. But still Iran has its own agenda with respect to its attitude towards Shiites and Sunnis. It does not believe in the holocaust that descended on the Jews. What I am saying should not have any impression on you that I am against resistances against dominating forces.
I am not thinking about radical thinking right now. My question is whom you would go with if none is interested in Marxist style class struggle. In my young life I have seen slogan: "Voter baksey lathi maro, shreni shotru khotom koro". History of the last fifty years tells us that the said strategy did not work. We have seen fragmentation after fragmentation. Then you may have to follow a call made by one small faction in 70s in Bangladesh: "chudir poot jonogon, chollam moraa sundorbon." I am not sure if this slogan was created by class enemies to misguide the then leftist movement.
Even if I do not take a side, people will take a side. The better, the more progressive (probably less reactionary and less repressive should be more appropriate terms) party they choose. AL versus BNP-Jamaat (or Congress versus BJP) can be a good example. As you have said, you preferred Trinamool to CPIM.
I completely agree with you how the Rohingya people are being treated in Myanmar. But your interpretation of how AL government has reacted to the Rohingya refugees does not seem to be right. I will hold accountable the democratic and progressive forces if Rohingya refugees fall under the grip of Islamist forces.
I will request you to look at AL-BNP issue from at a non-Marxist angle.



From: Sushanta Kar <karsushanta40@gmail.com>
To: subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Cc: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, August 14, 2012 12:46 PM
Subject: Re: Assam Crisis/

হ্যা, আপনার কথাগুলো মোটের উপর সঠিক। এবং এও সত্যি যে "
I also believe in strategic alliance with less progressive or reactionary political parties. But I would be cautious and try to make sure that the reactionary party does not use me as a stepping stone as eventually they will eliminate me. This happened in Iran."
যে কোনো ঐক্যই সংগ্রাম ছাড়া হয় না। অবস্থা বিশেষে কোনটা হয় সংগ্রামের জন্যে ঐক্য, কোনটা বা, ঐক্যের জন্যে সংগ্রাম।  তা কে "less progressive or reactionary political parties." সেটি নির্ধারণ করাও এক বড় কঠিন কাজ। তার চেয়েও বড় কথা, আজকের পৃথিবীর রাজনীতিতে এও বোধহয় স্পষ্ট হয়ে আসছে যে দলীয় ঐক্যের চেয়ে শ্রেণি ঐক্যের প্রশ্নটি গুরুত্ব পূর্ণ। দলীয় ঐক্যের কথাটি বড় করে তোলে ধরে বোর্জুয়ারা। কারণ, তারা শ্রেণি চরিত্র বা সেরকম বিষয়টিকে আড়াল করতে চায়। এবং দলীয় তফাৎগুলোকে নিতান্ত মতাদর্শগত তফাতে নামিয়ে আনতে চায়।
ভারতেই অনেক সময় দেখা যায় কংগ্রেসের মতো দলের ভেতরেই শ্রেণি বিরোধ প্রকট হয়ে পড়ছে। এবং দু'পক্ষ দুটো শ্রেণির ( শ্রেণি বললে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে জাত, বর্ণ , সম্প্রদায় সহ বুঝলে ভালো) প্রতিনিধিত্ব করছে।    গেলবারের পশ্চিম বাংলার নির্বাচনে তাই জনগণ সঠিক ভাবেই সিপিএম থেকে কংগ্রেসকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কাজ করেছেন। বডোল্যাণ্ড সংঘাতেও দেখা যাচ্ছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু স্বার্থের দিকে হেলে আছেন। একা বলে যাচ্ছেন, কোথায় বাংলাদেশি! আমাকে দেখান! লোকে বলছে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা  হাগ্রামার সংগে মিলে এই হাঙামা করিয়েছেন।

আপনি ইরাণের কথা বললেন। খুব সাম্প্রতিক বিশ্বে মিশর একটি নজির। মুসলিম ব্রাদারগুডের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়াতে অনেকেই হতাশ! অন্য রকম কি হতে পারত? ওদের সংগে কমিউনিষ্টরা জোটে গেলেই কি আর না গেলেই কি? ওরা ক্ষমতাতে যেতেনই। এবং এদের দ্বারাই শুধু সম্ভব হতো, সামরিক শাসনের রাশ আলগা করে দেয়া। ইরাণের শাসনে যার গেছিলেন, তারা নিশ্চয়ই বিপ্লব নামের ধারণাকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু আফগানিস্তানে যারা গেছিলেন ক্ষমতাতে তখন তারাও কি আর খুব এগিয়ে দিয়েছিলেন? বরং ইরাণ সেই থেকে রুশি এবং মার্কিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়ে সাম্রায্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক লড়াইকে সবল করে যাচ্ছে। ওর এই সাম্রায্যবাদ বিরোধী অবস্থানের জন্যেই এক সময় সাদ্দামের পেছনে জোটেছিল রুশ-মার্কিন যৌথ শক্তি। যা ছিল প্রায় এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে এর শাদ এক হঠাৎ উদিত শামরিক শাসক। বাকি যদি মুজিব -জিয়ায়র মধ্যে তুলনা করতে বলেন, আমি দেখিই দু'জনই অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী। প্রথমজন সোভিয়েত ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের পুতুল ছিলেনতো দ্বিতীয়জন সম্ভবত মার্কিন।
আমি এদের মধ্যে তফাৎ করতে পারি না। বিশেষ করে আজকের দুনিয়ার রাজনীতিতে লীগ নিজেই বিশ্বস্ত মার্কিন অনুগত দল। বাকি, বাংলাদেশের রাজনীতি আরো জটিল। আমার বোঝাতে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু কেবল বাঙালি হিন্দুর স্বার্থ কিছুটা রক্ষিত হচ্ছে ছাড়া এদের আর কোনোভাবেই আমি ভালো কাজ করতে দেখছি না।উবাঙালি হিন্দুদের এরা মানুষ বলেই জ্ঞান করে না। চিনের সঙ্গেও লীগের ঝোঁক একটা রয়েছে, সম্ভবত সেজন্যেই রোহিঙ্গিয়া প্রশ্নে এরা এতো অমানবিক এবং শ্রেণী বিদ্বেষী অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গিয়া কেউ কেউ মৌলবাদের সঙ্গে আছে কিনা, সেটি গুরুত্ব পূর্ণ হতে পারে না। শ্রেণি হিসেবে এরা সম্ভবত বর্ণবৈষম্যের যুগের দক্ষিণ আফ্রিকার পর সবচে নিপীড়িত শ্রেণি। একটা জাতি যার পৃথিবীর কোত্থাও ন্যূনতম নাগরিক অধিকার মাত্র নেই! আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনেরও উচিত এদের পাশে দাঁড়ানো। আর আমরা যারা 'আফ্রিকা' নিয়ে গা গরম করে কবিতা লিখেছিলাম, তারা...! :) বিভ্রান্ত হয়ে বসে আছি! আদেশ করবার জন্যে সোভিয়েত নেই বলে! মনে হচ্ছে তাই...!
 
2012/8/14 subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
There is a danger in seeing things from a distance. From the Marxist point of view AL, BNP, Jamaat, etc. (Congress, BJP, CPM, etc. in India) are all the same. But when you see things from within, you may not fully agree to Marxist generalization or oversimplification. You are right that AL and BNP goons are basically same. A survey has shown that the so called enemy/vested/abandoned  property has been almost equally shared by AL and BNP people. We had to criticize Mujib's comments like "Bangali hoiya jaan", "kothay Siraj Sikdar?", "Laal ghora dabraiya debo", or "Awami League-er B team hoiya jaan". Creation of BKSAL was a questionable step, no doubt, which however was done with brute majority in the parliament at a critical juncture in the history of Bangladesh.
Ziaur Rahman's "Bangladeshi" nationalism was not aimed at bringing every tribe and ethnic group under one umbrella. He initiated the process of settling Bengalis of the plains in the Chittagong Hill Tracts as a solution of the resurgence. Both Ziaur Rahman and Ershad were great conspirators. They simply hijacked power. Neither of them had any political philosophy. Rather they sabotaged some of the nation's great achievements. Emergence of Bangladesh with her great fundamental principles and constitution was a historic revolutionary event.
I also believe in strategic alliance with less progressive or reactionary political parties. But I would be cautious and try to make sure that the reactionary party does not use me as a stepping stone as eventually they will eliminate me. This happened in Iran.            
From: Sushanta Kar <karsushanta40@gmail.com>

Sent: Sunday, August 12, 2012 1:10 PM
Subject: Re: Assam Crisis

ঘোটটো সব্বাই পাকায়। তার রূপ এবং  মাত্রাভেদ আলাদা। আপনি নাস্তিক জানি। আপনার লেখা আমি এখানে ওখানে পড়েছি। মুক্তমনা নিয়েও আমার খানিক ধারণা আছে। মাঝে মধ্যে পড়ি।
কিন্তু সত্যি বলতে কি 'যুক্তিবাদী'দের নিয়ে আমার কিছু রিজার্ভেশন আছে। আমার বলবার মানে এই নয় যে মুক্তমনাতে সব্বাই যুক্তিবাদী। হ্যা, এটাও ঠিক যে যুক্তিবাদীদেরও ওই সব গালি খেতে হয়, যা সাধারণত ধর্মদ্বেষীরা প্রতিপক্ষকে দিতে ভালোবাসে।
এবারে যুক্তিবাদীদের সঙ্গে তফাৎ আমার ভাবনার অনেক কিছুই। এখানে যেটি প্রাসঙ্গিক সেটি বলি।
আমি মনে করিনা, ধর্মবিশ্বাসী মানেই সাম্প্রদায়িক বা ধর্মদ্বেষী হয়, বা নাস্তিক মানেই অসাম্প্রদায়িক হয়। নাস্তিকদের সম্প্রদায় বিদ্বেষের বড় প্রমাণ এই মূহুর্তে চীন। যার  উগ্র-হান জাতীয়তাবাদী শাসনে
 তিব্বতের বৌদ্ধ এবং পশ্চিম চিনের উইঘুরেরা মোটেও ভালো নেই।
আমার ভাবনাতে খুব এক সরল অঙ্ক আছে। যদিও বাস্তবে ঘটনাগুলো এতো সরল নয়। কিন্তু সরল করে না বললে তো অন্যের অনুধাবনে পৌঁছুনো যাবে না, তাই বলা।


আধুনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র তলোয়ার বাদ দিয়ে আনবিক বোমাকে হাতিয়ার করেছে। তেমনি ধর্ম শাস্ত্রকে ছেড়ে সাম্প্রদায়িকতাকে আশ্রয় করেছে। জাতি রাষ্ট্র বলে একটা ধারণার কথা শুনি। আমরা যারা নাস্তিক কিম্বা বামপন্থার কথা বলেছি, তারাও অনেক সময় জাতি রাষ্ট্রের নাম শুনলেই জয় ধ্বনীও দিয়েছি। 'জয় বাংলা' কিম্বা 'সোনর অসম' বলেছি তো বটেই। কিন্তু সত্যি কি জাতি রাষ্ট্রগুলো ধর্মীয় আবহ থেকে মুক্ত? আছে কোনো রাষ্ট্র গোটা পৃথিবীতে? বডোদের কথাই ধরিনা, কেন? তারাই কি আর বিশুদ্ধ হিন্দু স্বার্থের রক্ষাতে মাঠে নেমেছে? তারা কি সাঁওতালদের মেরে কেটে তাড়ায় নি? তারা কি কোচেদের বিরুদ্ধে লড়ছে না? তারা কি অসমিয়া আধিপত্যের থেকে মুক্তির জন্যেই বডোল্যাণ্ড রাজ্যের দাবিতে লড়ছে না? তারপরেও কেমন এদের ভাষ্য গিয়ে মিলে যায় হিন্দুত্বের স্রোতে। আমি মনে করি না, চট্টগ্রামে আদিবাসীদের জমি দখল করছে শুধু জামাত-বিএনপি। আর লীগেরা আদিবাসিদের খুব মামার বাড়ির  আদরে রেখেছে। আদিবাসীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। ২১শে ফেব্রুয়ারীর দেশে বাংলা ছাড়া আর কোনো ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেনে নেয় না। এগুলো কি কোনো ভাবেই অমুসলমান নিপীড়ন নয়? শুধুই কি যত দোষ নন্দ ঘোষ জামাতেরাই! অসমে কি কংগ্রেস শাসনে নেই! ধর্মনিরপেক্ষ! জাতীয়তাবাদী!

তো, আমার ভাবনা অন্য রকম। আধুনিক পুঁজিবাদের সঙ্গে সামন্তীয় বিশ্বাসের বিরোধ বাঁধে স্বাভাবিক ভাবেই, কিন্তু তাই বলে সে ধর্মকে বাদ দেয় না। তাকে নতুন চেহারা দেয়, যেমন দিচ্ছেলেন আমাদের দেশে রামমোহন থেকে বঙ্কিম বিবেকানন্দ। বিশ্বাসের থেকে প্রবল হয় পরিচিতির প্রশ্ন। শাস্ত্রের থেকে বড় হয় সম্প্রদায়। যেকোনো হিন্দুকে বলুন, বেদ উপনিষদ নিয়ে কথা বলতে , হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে। কিন্তু বলুন মুসলমানের বিরুদ্ধে দুটো কথা বলতে, সেই সবই গড় গড় করে আউড়ে যাবে, যা তাদের শিখিয়েছেন বঙ্কিম, অরবিন্দ, শরৎচন্দ্র থেকে শুরু করে শ্যামাপ্রসাদ হয়ে, আজকের তামাম প্রচার মাধ্যম। মুসলমানের জনসংখ্যা, ধর্মান্ধতা, ক্রুরতা, বিচ্ছিন্নতাবোধ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে  এরা বিশেষজ্ঞ। এগুলোই আজকের ধর্ম। প্রচারগুলোকে একটা সম্প্রদায়ের সঙ্গে জুড়ে দেয়। কিন্তু এটা কি সে করে শুধু ধর্মের প্রসঙ্গেই? সংখ্যালঘু জাতি সত্বাগুলো সম্পর্কেও সে ওমন কিন্তু আধুনিক 'ধারাভাষ্য' বা শাস্ত্র গড়ে তোলে। এই যেমন বাংলাদেশ 'বাঙালি' দেশ, ( বহু প্রগতিশীল ভারতীয় হিন্দুও ভাবেন কথাটা খুবই প্রগতিশীল। জামাত বিরোধী! কথাটা যে চাকমা বিদ্বেষী, বিহারি মুসলমান বিদ্বেষী --এই ভাবনা তাদের চিন্তাতে দূর দূর অব্দিও আসেই না! ) অসম 'অসমিয়া'র প্রদেশ। (কিম্বা খিলঞ্জিয়ার। খিলঞ্জিয়া মানে স্থানীয়। আর হাজার বছরের প্রাচীন বাঙালি এখানে খিলঞ্জিয়া নয়, কিন্তু আটশ বছর আগে আসা আহোম খিলঞ্জিয়া। দেড়শ বছরা আগে আসা সাওতাল আদিবাসী খিলঞ্জিয়া, কিন্তু একই সময়ে আসা মুসলমান নয়। )
এই সব মিথ্যে প্রচারের উপর ভিত্তি করেই 'আধুনিক জাতিরাষ্ট্র' নিজের গড়ে উঠাকে কিম্বা গড়ে উঠার সম্ভাবনাকে সামাজিক বৈধতা দেয়, তথা স্বীকৃতি আদায় করে। এই নতুন 'শাস্ত্র'কে হাতিয়ার করেই সে ভোট তন্ত্রের উপর নিজের আধিপত্য কায়েম রাখে।
ভোট যারা দেয়, এবং ভোট যারা কেনে--তারা দুটো পৃথক শ্রেণি। সে আমরা সব্বাই জানি।
যারা দেয় তারা লুণ্ঠিত হয়, যারা কেনে তারা লুঠ করে। এই লুঠকে আড়াল করবার কোনো দরকার পড়েনি রাজা রাম থেকে শুরু করে সিরাজদ্দোউলা কারোরই। কারণ, তাদের ভোটের বাহানা করতে হয় নি।
এবারে 'ভোটবেঙ্ক' বলে একটা শব্দজোড় আমরা ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে খুব শুনি। কথাটা রাজনীতির লোকেরা কম বলে , খবরের কাগজ আর পানের দোকানি বলে বেশি। কাদের সম্পর্কে? সংখ্যালঘুদের আর দলিতদের সম্পর্কে। আসল ভোটবেঙ্কটি কিন্তু সংখ্যাগুরু এবং উচ্চবর্ণের ।
লুণ্ঠনের পক্ষে তাদের নিপীড়িত শ্রেণিটিরও সমর্থণ আদায় করে নিয়ে সঙ্গী করে নিতে কাজে আসে এই জাতীয়তাবাদের যুগের 'শাস্ত্র'। যে কাজ ঔরঙজেব থাকলে তলোয়ারের জোরে করতেন, সেই কাজ এখনো বন্দুকের জোরে রাষ্ট্র করে, কিন্তু প্রাথমিক কাজগুলো করে রাখে এই সমর্থণ ভিত্তির লোকজনেরা। বডোল্যান্ডে তাই হয়েছে, গুজরাটেও তাই হয়েছিল। লালগড়েও তাই হয়েছিল । ছত্রিশগড়েও তাই হচ্ছে।  আমারতো অসম পুলিশকে তত ভয় করে না, যত ভয় করে আমার কলেজের আসু নামের ছাত্র সংগঠনটির বাচ্চা সদস্যদের। এরাই হলো, আধুনিক যুগের সম্প্রসারিত রাষ্ট্র। পশ্চিম বাংলার সিপিএম ক্যাডাররাও তাই ছিল। বাংলাদেশের লীগ সমর্থকেরাও কম যায় না। এরা পুলিশেরও আল্লাহতালা!  (হ্যা, আমার পেশা অধ্যাপনা। আপনি জানতে চাইছিলেন।)

এমতাবস্থাতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাণীকে আমার স্পষ্টতই ভণ্ডামো বলে মনে হয়। যেমন ভণ্ডামো ছিল ঠাণ্ডা যুদ্ধের যুগের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি।

বডো শাসকেরা সসস্ত্র সামাজিক ভাবে বৈধ উগ্রপন্থীদের সঙ্গে নিয়ে, পুলিশ সঙ্গে নিয়ে হাঙ্গামা করল বলেই অধিকাংশ বিপন্ন মানুষ হলো মুসলমান। কোথাও কোথাও মুসলমান গুণ্ডারা প্রতিরোধ করল বলে কিছু বডো মানুষও বিপন্ন হলেন। কিন্তু সংখ্যাতে তারা কম, কেন না, মুসলমান পক্ষে রাষ্ট্র ছিল না। বিদেশি শক্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু থাকেও যদি,  কে বেশি ক্ষতি করতে পারে দেশি না বিদেশি সেতো অঙ্কেই প্রমাণ। ভাবুনতো, নব্বুই দশকের মুম্বাই দাঙ্গা এবং  বোমাবাজি দুটোর কোনটিতে লোক বেশি মরেছিল এবং বিপন্ন হয়েছিল? অথচ, সংবিধান, আইন, প্রচার মাধ্যম কাদের জন্যে কাঁদল বেশি, কাদের ধরে শাস্তি দিল। কাদের জন্যে করল না কিছুই!  আফজল গুরুকে ফাঁসি দিয়ে হবে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এবারে ধরুন, তারপরেও, আপনি আমি বললাম শান্তি শান্তি! ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো?
যে বডোরা বিপন্ন হলেন, তাদের বলা গেল যা হয়েছে হয়েছে ভুলে যাও। মানে নিরন্ন হয়েছো, তাই থেকে যাও। কিন্তু যে মুসলমান বিপন্ন হলো তাদের বলা হলো, বাপুহে তুমি যে নিজের বাড়িতে ফিরবে, আগে স্বদেশী হবার প্রমাণ দেখাও দেখি। না দেখাতে পারো, শিবিরে পচো। কিন্তু বিদ্রোহ করো না। ওটা মৌলবাদ! কোনোদিন কোনো কমিউনিষ্ট দল আসে তবে ওদের সঙ্গে মিছিল করো, এরা কল্কি অবতার, শহর থেজে আসবেন বিশ্বাস রেখো। সাবধান, গাঁয়ের মোল্লার কথায় মুসলমান সংগঠনে যেও না। ওসব মৌলবাদ! শান্তি শান্তি! 
কথাগুলো আমি একাধারে, আধুনিক রাষ্ট্র এবং পরিচিতির রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বললাম। একই কথা, মায়ান্মারের রোহিঙ্গিয়া, ( লোগ তো জাতীয়তাবাদী! ঐ ভন্ডরা চাকমাদের বাঙালি বলে চালিয়ে দিতে চায়, রোহিঙ্গিয়াদের 'বাঙালি' বলে জয় করে নিল না কেন? বললেই পারত, মায়ান্মারে 'বাঙালি' নিধন চলবে না! জামাত জুজুতো জুজুই!  )  কিম্বা বাংলাদেশের হিন্দু কিম্বা, আদিবাসীদের সম্পর্কে । বাংলাদেশের কোনো হিন্দু মনু-র পক্ষে বললেন কিনা তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না, আমি জানি তিনি ভারতীয় ভাজপা, বা আর এস এস-এর মতো বিপজ্জনক হতেই পারেন না। বরং ভাজপার মতাদর্শ তাকে ওখানে নিষ্ক্রিয় এবং হতাশ করে রাখতে পারে, সফলতার সঙ্গেই। কী করে! কারণ, তিনি যে জানেন, তার নরেন্দ্রমোদীও নেই, সুতরাং মুক্তিও নেই। মার খাওয়াটাই ভবিতব্য।
তিনি যে খুব ধর্ম বোঝেন বা মানেন-- তা নাও হতে পারে। কিন্তু মারটা যেহেতু তার ধর্মীয় পরিচয়কে ঘিরেই খেতে হয়, তার পক্ষে ধর্ম নিয়ে এক প্রবল গৌরব বোধ তা মিথ্যে  হলেও থাকতেই পারে। কিন্তু সেই গৌরব বোধও ভারতীয় নাস্তিক ভাজপা সদস্যের থেকে নিরাপদ!
সংখ্যালঘু কোনো দেশেই সাধারণত আক্রামক হয় না, আর হলেও তার সঙ্গে রাষ্ট্র থাকে না। থাকার ভান করে মাত্র। এই যেমন অসম সরকার বলছে হাঙ্গামাতে বাংলাদেশি নেই, কিন্তু হাঙ্গামা আটকায় নি, বা এখন শরণার্থীদের পরিচয় পত্রের প্রশ্নে ভাজপা শিবিরের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
যদিবা, বিশুদ্ধ শ্রেণি ঐক্য কিম্বা বিদ্রোহও চাই একটা দেশে ---তবে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নিপীড়িত শ্রেণিটির ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে  না বেরুলেও চলবে, তার মাতৃভাষাকে ছাড়বারও দরকার নেই। কিন্ত এই দুটোকে কেন্দ্র করে যে আধুনিক 'শাস্ত্র' বা 'বয়ান কেন্দ্র' শাসকেরা গড়ে তোলে তার থেকে বেরিয়ে এসে, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে দ্বিধা করা উচিত নয়। সেই সংখ্যালঘু কোথাও মুসলমান, কোথাও , হিন্দু, কোথাও বাঙালি, কোথাও বডো। স্থান-কাল ভেদতো করাই চাই। দুনিয়া জোড়া হিন্দু -মুসলমান সাম্প্রদায়িকতাকে এক করে ফেলা আসলে অতিব্যাপ্তি দোষে দুষ্ট হয়। মালয়েশিয়াতে যখন হিন্দু মার খায়, কিম্বা শ্রীলঙ্কাতে তখন সে যদি বা 'জয় শ্রীরাম' বল;এ সমবেত হয়, আমি যদি বা নাস্তিকও হই কিম্বা মার্ক্সবাদী আমার পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা হবে না। কারণ, ওদেশে হিন্দুকে মার দিয়েই শাসক শ্রেণি নিজের লুণ্ঠনকে বৈধতা দেয়। ঠিক একই রকম, বাংলাদেশের বাঙালি উগ্রজাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আমি এদেশে থেকেই সোচ্চার, তেমনি সোচ্চার পশ্চিম বাংলার প্রশ্নে। কিন্তু অসমে, মাঝে মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদীর সঙ্গে এক টেবিলে বসতে আমার লজ্জা হবে না। যতক্ষণ কথাগুলো রাজনৈতিক আত্মরক্ষার এবং আত্মমর্যাদার জন্যে নিবেদিত হয়।
তেমনি লজ্জা হবে না, সেই মুসলমানের সঙ্গে এক সঙ্গে পথ হাঁটতে দুনিয়ে জুড়ে যে মার্কিনিদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। (এক 'আন্তর্জাতিক স্থান-কালে'ও কি আমরা বাস করছি না, যেখানে হিন্দুত্ব আর ইহুদীবাদ সাম্রায্যবাদের সঙ্গে জোট বেধেছে! এবং বিভাজিত হয়েছে ইসলাম এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় শিবির!  )

প্রশ্ন উঠতে পারে, অসমে তো বডোরও সংখ্যালঘু, নিপীড়িত। তবে, আমি এই মুহূর্তে ওদের পক্ষে বলছি না কেন? বলছিলাম, যখন আশির দশকে এরা আলাদা রাজ্যের দাবিতে লড়াই শুরু করেছিলেন, এবং শয়ে শয়ে পুলিশের গুলিতে মরছিলেন। মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছিলেন। কিন্তু ক্রমে শাসক শ্রেণি তাদের শাসনের ছোট সহযোগী করে ফেলল।  বিটিসি দিয়ে দিল, যেখানে ওরা একক বড় জনগোষ্ঠী তাই। সেই বিটিসি এখন বিটিএডি। এবং বিটিএডি-তে বডোরা শাসক জনগোষ্ঠী।





--
Sushanta Kar
সুশান্ত কর
তিনসুকিয়া, আসাম

আমার ব্লগগুলি:
http://sushantakar40.blogspot.com
http://ishankonerkahini.blogspot.com
http://ishankonerkotha.blogspot.com

পূর্বোত্তরের বাংলা প্রকাশনার সংগ্রহঃ
http://kathernouko.blogspot.com/
http://ishanerpunjomegh.blogspot.com/

আমি পূর্বোত্তরের গৌরব এই অভিধানেও কাজ করি:
http://www.xobdo.org/

"স্বাজাত্যের অহমিকার থেকে মুক্তি দানের শিক্ষাই, আজকের দিনের প্রধান শিক্ষা" রবীন্দ্রনাথ





--
Sushanta Kar
সুশান্ত কর
তিনসুকিয়া, আসাম

আমার ব্লগগুলি:
http://sushantakar40.blogspot.com
http://ishankonerkahini.blogspot.com
http://ishankonerkotha.blogspot.com

পূর্বোত্তরের বাংলা প্রকাশনার সংগ্রহঃ
http://kathernouko.blogspot.com/
http://ishanerpunjomegh.blogspot.com/

আমি পূর্বোত্তরের গৌরব এই অভিধানেও কাজ করি:
http://www.xobdo.org/

"স্বাজাত্যের অহমিকার থেকে মুক্তি দানের শিক্ষাই, আজকের দিনের প্রধান শিক্ষা" রবীন্দ্রনাথ


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Re: Assam Crisis



By any definition I will not call the Taliban progressive, they are not only regressive, they are also repressive and reactionary. The motive force behind their fight against imperialism (Soviet or American) has never been nationalism, rather it has been an attempt to repress their own people with a worst form of Islam. Khomeini's Iran is obviously not comparable with Mollah Omar's Afghanistan. But still Iran has its own agenda with respect to its attitude towards Shiites and Sunnis. It does not believe in the holocaust that descended on the Jews. What I am saying should not have any impression on you that I am against resistances against dominating forces.
I am not thinking about radical thinking right now. My question is whom you would go with if none is interested in Marxist style class struggle. In my young life I have seen slogan: "Voter baksey lathi maro, shreni shotru khotom koro". History of the last fifty years tells us that the said strategy did not work. We have seen fragmentation after fragmentation. Then you may have to follow a call made by one small faction in 70s in Bangladesh: "chudir poot jonogon, chollam moraa sundorbon." I am not sure if this slogan was created by class enemies to misguide the then leftist movement.
Even if I do not take a side, people will take a side. The better, the more progressive (probably less reactionary and less repressive should be more appropriate terms) party they choose. AL versus BNP-Jamaat (or Congress versus BJP) can be a good example. As you have said, you preferred Trinamool to CPIM.
I completely agree with you how the Rohingya people are being treated in Myanmar. But your interpretation of how AL government has reacted to the Rohingya refugees does not seem to be right. I will hold accountable the democratic and progressive forces if Rohingya refugees fall under the grip of Islamist forces.
I will request you to look at AL-BNP issue from at a non-Marxist angle.



From: Sushanta Kar <karsushanta40@gmail.com>
To: subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Cc: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, August 14, 2012 12:46 PM
Subject: Re: Assam Crisis/

হ্যা, আপনার কথাগুলো মোটের উপর সঠিক। এবং এও সত্যি যে "
I also believe in strategic alliance with less progressive or reactionary political parties. But I would be cautious and try to make sure that the reactionary party does not use me as a stepping stone as eventually they will eliminate me. This happened in Iran."
যে কোনো ঐক্যই সংগ্রাম ছাড়া হয় না। অবস্থা বিশেষে কোনটা হয় সংগ্রামের জন্যে ঐক্য, কোনটা বা, ঐক্যের জন্যে সংগ্রাম।  তা কে "less progressive or reactionary political parties." সেটি নির্ধারণ করাও এক বড় কঠিন কাজ। তার চেয়েও বড় কথা, আজকের পৃথিবীর রাজনীতিতে এও বোধহয় স্পষ্ট হয়ে আসছে যে দলীয় ঐক্যের চেয়ে শ্রেণি ঐক্যের প্রশ্নটি গুরুত্ব পূর্ণ। দলীয় ঐক্যের কথাটি বড় করে তোলে ধরে বোর্জুয়ারা। কারণ, তারা শ্রেণি চরিত্র বা সেরকম বিষয়টিকে আড়াল করতে চায়। এবং দলীয় তফাৎগুলোকে নিতান্ত মতাদর্শগত তফাতে নামিয়ে আনতে চায়।
ভারতেই অনেক সময় দেখা যায় কংগ্রেসের মতো দলের ভেতরেই শ্রেণি বিরোধ প্রকট হয়ে পড়ছে। এবং দু'পক্ষ দুটো শ্রেণির ( শ্রেণি বললে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে জাত, বর্ণ , সম্প্রদায় সহ বুঝলে ভালো) প্রতিনিধিত্ব করছে।    গেলবারের পশ্চিম বাংলার নির্বাচনে তাই জনগণ সঠিক ভাবেই সিপিএম থেকে কংগ্রেসকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কাজ করেছেন। বডোল্যাণ্ড সংঘাতেও দেখা যাচ্ছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু স্বার্থের দিকে হেলে আছেন। একা বলে যাচ্ছেন, কোথায় বাংলাদেশি! আমাকে দেখান! লোকে বলছে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা  হাগ্রামার সংগে মিলে এই হাঙামা করিয়েছেন।

আপনি ইরাণের কথা বললেন। খুব সাম্প্রতিক বিশ্বে মিশর একটি নজির। মুসলিম ব্রাদারগুডের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়াতে অনেকেই হতাশ! অন্য রকম কি হতে পারত? ওদের সংগে কমিউনিষ্টরা জোটে গেলেই কি আর না গেলেই কি? ওরা ক্ষমতাতে যেতেনই। এবং এদের দ্বারাই শুধু সম্ভব হতো, সামরিক শাসনের রাশ আলগা করে দেয়া। ইরাণের শাসনে যার গেছিলেন, তারা নিশ্চয়ই বিপ্লব নামের ধারণাকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু আফগানিস্তানে যারা গেছিলেন ক্ষমতাতে তখন তারাও কি আর খুব এগিয়ে দিয়েছিলেন? বরং ইরাণ সেই থেকে রুশি এবং মার্কিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়ে সাম্রায্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক লড়াইকে সবল করে যাচ্ছে। ওর এই সাম্রায্যবাদ বিরোধী অবস্থানের জন্যেই এক সময় সাদ্দামের পেছনে জোটেছিল রুশ-মার্কিন যৌথ শক্তি। যা ছিল প্রায় এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে এর শাদ এক হঠাৎ উদিত শামরিক শাসক। বাকি যদি মুজিব -জিয়ায়র মধ্যে তুলনা করতে বলেন, আমি দেখিই দু'জনই অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী। প্রথমজন সোভিয়েত ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের পুতুল ছিলেনতো দ্বিতীয়জন সম্ভবত মার্কিন।
আমি এদের মধ্যে তফাৎ করতে পারি না। বিশেষ করে আজকের দুনিয়ার রাজনীতিতে লীগ নিজেই বিশ্বস্ত মার্কিন অনুগত দল। বাকি, বাংলাদেশের রাজনীতি আরো জটিল। আমার বোঝাতে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু কেবল বাঙালি হিন্দুর স্বার্থ কিছুটা রক্ষিত হচ্ছে ছাড়া এদের আর কোনোভাবেই আমি ভালো কাজ করতে দেখছি না।উবাঙালি হিন্দুদের এরা মানুষ বলেই জ্ঞান করে না। চিনের সঙ্গেও লীগের ঝোঁক একটা রয়েছে, সম্ভবত সেজন্যেই রোহিঙ্গিয়া প্রশ্নে এরা এতো অমানবিক এবং শ্রেণী বিদ্বেষী অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গিয়া কেউ কেউ মৌলবাদের সঙ্গে আছে কিনা, সেটি গুরুত্ব পূর্ণ হতে পারে না। শ্রেণি হিসেবে এরা সম্ভবত বর্ণবৈষম্যের যুগের দক্ষিণ আফ্রিকার পর সবচে নিপীড়িত শ্রেণি। একটা জাতি যার পৃথিবীর কোত্থাও ন্যূনতম নাগরিক অধিকার মাত্র নেই! আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনেরও উচিত এদের পাশে দাঁড়ানো। আর আমরা যারা 'আফ্রিকা' নিয়ে গা গরম করে কবিতা লিখেছিলাম, তারা...! :) বিভ্রান্ত হয়ে বসে আছি! আদেশ করবার জন্যে সোভিয়েত নেই বলে! মনে হচ্ছে তাই...!
 
2012/8/14 subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
There is a danger in seeing things from a distance. From the Marxist point of view AL, BNP, Jamaat, etc. (Congress, BJP, CPM, etc. in India) are all the same. But when you see things from within, you may not fully agree to Marxist generalization or oversimplification. You are right that AL and BNP goons are basically same. A survey has shown that the so called enemy/vested/abandoned  property has been almost equally shared by AL and BNP people. We had to criticize Mujib's comments like "Bangali hoiya jaan", "kothay Siraj Sikdar?", "Laal ghora dabraiya debo", or "Awami League-er B team hoiya jaan". Creation of BKSAL was a questionable step, no doubt, which however was done with brute majority in the parliament at a critical juncture in the history of Bangladesh.
Ziaur Rahman's "Bangladeshi" nationalism was not aimed at bringing every tribe and ethnic group under one umbrella. He initiated the process of settling Bengalis of the plains in the Chittagong Hill Tracts as a solution of the resurgence. Both Ziaur Rahman and Ershad were great conspirators. They simply hijacked power. Neither of them had any political philosophy. Rather they sabotaged some of the nation's great achievements. Emergence of Bangladesh with her great fundamental principles and constitution was a historic revolutionary event.
I also believe in strategic alliance with less progressive or reactionary political parties. But I would be cautious and try to make sure that the reactionary party does not use me as a stepping stone as eventually they will eliminate me. This happened in Iran.            
From: Sushanta Kar <karsushanta40@gmail.com>
Sent: Sunday, August 12, 2012 1:10 PM
Subject: Re: Assam Crisis

ঘোটটো সব্বাই পাকায়। তার রূপ এবং  মাত্রাভেদ আলাদা। আপনি নাস্তিক জানি। আপনার লেখা আমি এখানে ওখানে পড়েছি। মুক্তমনা নিয়েও আমার খানিক ধারণা আছে। মাঝে মধ্যে পড়ি।
কিন্তু সত্যি বলতে কি 'যুক্তিবাদী'দের নিয়ে আমার কিছু রিজার্ভেশন আছে। আমার বলবার মানে এই নয় যে মুক্তমনাতে সব্বাই যুক্তিবাদী। হ্যা, এটাও ঠিক যে যুক্তিবাদীদেরও ওই সব গালি খেতে হয়, যা সাধারণত ধর্মদ্বেষীরা প্রতিপক্ষকে দিতে ভালোবাসে।
এবারে যুক্তিবাদীদের সঙ্গে তফাৎ আমার ভাবনার অনেক কিছুই। এখানে যেটি প্রাসঙ্গিক সেটি বলি।
আমি মনে করিনা, ধর্মবিশ্বাসী মানেই সাম্প্রদায়িক বা ধর্মদ্বেষী হয়, বা নাস্তিক মানেই অসাম্প্রদায়িক হয়। নাস্তিকদের সম্প্রদায় বিদ্বেষের বড় প্রমাণ এই মূহুর্তে চীন। যার  উগ্র-হান জাতীয়তাবাদী শাসনে
 তিব্বতের বৌদ্ধ এবং পশ্চিম চিনের উইঘুরেরা মোটেও ভালো নেই।
আমার ভাবনাতে খুব এক সরল অঙ্ক আছে। যদিও বাস্তবে ঘটনাগুলো এতো সরল নয়। কিন্তু সরল করে না বললে তো অন্যের অনুধাবনে পৌঁছুনো যাবে না, তাই বলা।


আধুনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র তলোয়ার বাদ দিয়ে আনবিক বোমাকে হাতিয়ার করেছে। তেমনি ধর্ম শাস্ত্রকে ছেড়ে সাম্প্রদায়িকতাকে আশ্রয় করেছে। জাতি রাষ্ট্র বলে একটা ধারণার কথা শুনি। আমরা যারা নাস্তিক কিম্বা বামপন্থার কথা বলেছি, তারাও অনেক সময় জাতি রাষ্ট্রের নাম শুনলেই জয় ধ্বনীও দিয়েছি। 'জয় বাংলা' কিম্বা 'সোনর অসম' বলেছি তো বটেই। কিন্তু সত্যি কি জাতি রাষ্ট্রগুলো ধর্মীয় আবহ থেকে মুক্ত? আছে কোনো রাষ্ট্র গোটা পৃথিবীতে? বডোদের কথাই ধরিনা, কেন? তারাই কি আর বিশুদ্ধ হিন্দু স্বার্থের রক্ষাতে মাঠে নেমেছে? তারা কি সাঁওতালদের মেরে কেটে তাড়ায় নি? তারা কি কোচেদের বিরুদ্ধে লড়ছে না? তারা কি অসমিয়া আধিপত্যের থেকে মুক্তির জন্যেই বডোল্যাণ্ড রাজ্যের দাবিতে লড়ছে না? তারপরেও কেমন এদের ভাষ্য গিয়ে মিলে যায় হিন্দুত্বের স্রোতে। আমি মনে করি না, চট্টগ্রামে আদিবাসীদের জমি দখল করছে শুধু জামাত-বিএনপি। আর লীগেরা আদিবাসিদের খুব মামার বাড়ির  আদরে রেখেছে। আদিবাসীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। ২১শে ফেব্রুয়ারীর দেশে বাংলা ছাড়া আর কোনো ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেনে নেয় না। এগুলো কি কোনো ভাবেই অমুসলমান নিপীড়ন নয়? শুধুই কি যত দোষ নন্দ ঘোষ জামাতেরাই! অসমে কি কংগ্রেস শাসনে নেই! ধর্মনিরপেক্ষ! জাতীয়তাবাদী!

তো, আমার ভাবনা অন্য রকম। আধুনিক পুঁজিবাদের সঙ্গে সামন্তীয় বিশ্বাসের বিরোধ বাঁধে স্বাভাবিক ভাবেই, কিন্তু তাই বলে সে ধর্মকে বাদ দেয় না। তাকে নতুন চেহারা দেয়, যেমন দিচ্ছেলেন আমাদের দেশে রামমোহন থেকে বঙ্কিম বিবেকানন্দ। বিশ্বাসের থেকে প্রবল হয় পরিচিতির প্রশ্ন। শাস্ত্রের থেকে বড় হয় সম্প্রদায়। যেকোনো হিন্দুকে বলুন, বেদ উপনিষদ নিয়ে কথা বলতে , হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে। কিন্তু বলুন মুসলমানের বিরুদ্ধে দুটো কথা বলতে, সেই সবই গড় গড় করে আউড়ে যাবে, যা তাদের শিখিয়েছেন বঙ্কিম, অরবিন্দ, শরৎচন্দ্র থেকে শুরু করে শ্যামাপ্রসাদ হয়ে, আজকের তামাম প্রচার মাধ্যম। মুসলমানের জনসংখ্যা, ধর্মান্ধতা, ক্রুরতা, বিচ্ছিন্নতাবোধ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে  এরা বিশেষজ্ঞ। এগুলোই আজকের ধর্ম। প্রচারগুলোকে একটা সম্প্রদায়ের সঙ্গে জুড়ে দেয়। কিন্তু এটা কি সে করে শুধু ধর্মের প্রসঙ্গেই? সংখ্যালঘু জাতি সত্বাগুলো সম্পর্কেও সে ওমন কিন্তু আধুনিক 'ধারাভাষ্য' বা শাস্ত্র গড়ে তোলে। এই যেমন বাংলাদেশ 'বাঙালি' দেশ, ( বহু প্রগতিশীল ভারতীয় হিন্দুও ভাবেন কথাটা খুবই প্রগতিশীল। জামাত বিরোধী! কথাটা যে চাকমা বিদ্বেষী, বিহারি মুসলমান বিদ্বেষী --এই ভাবনা তাদের চিন্তাতে দূর দূর অব্দিও আসেই না! ) অসম 'অসমিয়া'র প্রদেশ। (কিম্বা খিলঞ্জিয়ার। খিলঞ্জিয়া মানে স্থানীয়। আর হাজার বছরের প্রাচীন বাঙালি এখানে খিলঞ্জিয়া নয়, কিন্তু আটশ বছর আগে আসা আহোম খিলঞ্জিয়া। দেড়শ বছরা আগে আসা সাওতাল আদিবাসী খিলঞ্জিয়া, কিন্তু একই সময়ে আসা মুসলমান নয়। )
এই সব মিথ্যে প্রচারের উপর ভিত্তি করেই 'আধুনিক জাতিরাষ্ট্র' নিজের গড়ে উঠাকে কিম্বা গড়ে উঠার সম্ভাবনাকে সামাজিক বৈধতা দেয়, তথা স্বীকৃতি আদায় করে। এই নতুন 'শাস্ত্র'কে হাতিয়ার করেই সে ভোট তন্ত্রের উপর নিজের আধিপত্য কায়েম রাখে।
ভোট যারা দেয়, এবং ভোট যারা কেনে--তারা দুটো পৃথক শ্রেণি। সে আমরা সব্বাই জানি।
যারা দেয় তারা লুণ্ঠিত হয়, যারা কেনে তারা লুঠ করে। এই লুঠকে আড়াল করবার কোনো দরকার পড়েনি রাজা রাম থেকে শুরু করে সিরাজদ্দোউলা কারোরই। কারণ, তাদের ভোটের বাহানা করতে হয় নি।
এবারে 'ভোটবেঙ্ক' বলে একটা শব্দজোড় আমরা ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে খুব শুনি। কথাটা রাজনীতির লোকেরা কম বলে , খবরের কাগজ আর পানের দোকানি বলে বেশি। কাদের সম্পর্কে? সংখ্যালঘুদের আর দলিতদের সম্পর্কে। আসল ভোটবেঙ্কটি কিন্তু সংখ্যাগুরু এবং উচ্চবর্ণের ।
লুণ্ঠনের পক্ষে তাদের নিপীড়িত শ্রেণিটিরও সমর্থণ আদায় করে নিয়ে সঙ্গী করে নিতে কাজে আসে এই জাতীয়তাবাদের যুগের 'শাস্ত্র'। যে কাজ ঔরঙজেব থাকলে তলোয়ারের জোরে করতেন, সেই কাজ এখনো বন্দুকের জোরে রাষ্ট্র করে, কিন্তু প্রাথমিক কাজগুলো করে রাখে এই সমর্থণ ভিত্তির লোকজনেরা। বডোল্যান্ডে তাই হয়েছে, গুজরাটেও তাই হয়েছিল। লালগড়েও তাই হয়েছিল । ছত্রিশগড়েও তাই হচ্ছে।  আমারতো অসম পুলিশকে তত ভয় করে না, যত ভয় করে আমার কলেজের আসু নামের ছাত্র সংগঠনটির বাচ্চা সদস্যদের। এরাই হলো, আধুনিক যুগের সম্প্রসারিত রাষ্ট্র। পশ্চিম বাংলার সিপিএম ক্যাডাররাও তাই ছিল। বাংলাদেশের লীগ সমর্থকেরাও কম যায় না। এরা পুলিশেরও আল্লাহতালা!  (হ্যা, আমার পেশা অধ্যাপনা। আপনি জানতে চাইছিলেন।)

এমতাবস্থাতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাণীকে আমার স্পষ্টতই ভণ্ডামো বলে মনে হয়। যেমন ভণ্ডামো ছিল ঠাণ্ডা যুদ্ধের যুগের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি।

বডো শাসকেরা সসস্ত্র সামাজিক ভাবে বৈধ উগ্রপন্থীদের সঙ্গে নিয়ে, পুলিশ সঙ্গে নিয়ে হাঙ্গামা করল বলেই অধিকাংশ বিপন্ন মানুষ হলো মুসলমান। কোথাও কোথাও মুসলমান গুণ্ডারা প্রতিরোধ করল বলে কিছু বডো মানুষও বিপন্ন হলেন। কিন্তু সংখ্যাতে তারা কম, কেন না, মুসলমান পক্ষে রাষ্ট্র ছিল না। বিদেশি শক্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু থাকেও যদি,  কে বেশি ক্ষতি করতে পারে দেশি না বিদেশি সেতো অঙ্কেই প্রমাণ। ভাবুনতো, নব্বুই দশকের মুম্বাই দাঙ্গা এবং  বোমাবাজি দুটোর কোনটিতে লোক বেশি মরেছিল এবং বিপন্ন হয়েছিল? অথচ, সংবিধান, আইন, প্রচার মাধ্যম কাদের জন্যে কাঁদল বেশি, কাদের ধরে শাস্তি দিল। কাদের জন্যে করল না কিছুই!  আফজল গুরুকে ফাঁসি দিয়ে হবে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এবারে ধরুন, তারপরেও, আপনি আমি বললাম শান্তি শান্তি! ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো?
যে বডোরা বিপন্ন হলেন, তাদের বলা গেল যা হয়েছে হয়েছে ভুলে যাও। মানে নিরন্ন হয়েছো, তাই থেকে যাও। কিন্তু যে মুসলমান বিপন্ন হলো তাদের বলা হলো, বাপুহে তুমি যে নিজের বাড়িতে ফিরবে, আগে স্বদেশী হবার প্রমাণ দেখাও দেখি। না দেখাতে পারো, শিবিরে পচো। কিন্তু বিদ্রোহ করো না। ওটা মৌলবাদ! কোনোদিন কোনো কমিউনিষ্ট দল আসে তবে ওদের সঙ্গে মিছিল করো, এরা কল্কি অবতার, শহর থেজে আসবেন বিশ্বাস রেখো। সাবধান, গাঁয়ের মোল্লার কথায় মুসলমান সংগঠনে যেও না। ওসব মৌলবাদ! শান্তি শান্তি! 
কথাগুলো আমি একাধারে, আধুনিক রাষ্ট্র এবং পরিচিতির রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বললাম। একই কথা, মায়ান্মারের রোহিঙ্গিয়া, ( লোগ তো জাতীয়তাবাদী! ঐ ভন্ডরা চাকমাদের বাঙালি বলে চালিয়ে দিতে চায়, রোহিঙ্গিয়াদের 'বাঙালি' বলে জয় করে নিল না কেন? বললেই পারত, মায়ান্মারে 'বাঙালি' নিধন চলবে না! জামাত জুজুতো জুজুই!  )  কিম্বা বাংলাদেশের হিন্দু কিম্বা, আদিবাসীদের সম্পর্কে । বাংলাদেশের কোনো হিন্দু মনু-র পক্ষে বললেন কিনা তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না, আমি জানি তিনি ভারতীয় ভাজপা, বা আর এস এস-এর মতো বিপজ্জনক হতেই পারেন না। বরং ভাজপার মতাদর্শ তাকে ওখানে নিষ্ক্রিয় এবং হতাশ করে রাখতে পারে, সফলতার সঙ্গেই। কী করে! কারণ, তিনি যে জানেন, তার নরেন্দ্রমোদীও নেই, সুতরাং মুক্তিও নেই। মার খাওয়াটাই ভবিতব্য।
তিনি যে খুব ধর্ম বোঝেন বা মানেন-- তা নাও হতে পারে। কিন্তু মারটা যেহেতু তার ধর্মীয় পরিচয়কে ঘিরেই খেতে হয়, তার পক্ষে ধর্ম নিয়ে এক প্রবল গৌরব বোধ তা মিথ্যে  হলেও থাকতেই পারে। কিন্তু সেই গৌরব বোধও ভারতীয় নাস্তিক ভাজপা সদস্যের থেকে নিরাপদ!
সংখ্যালঘু কোনো দেশেই সাধারণত আক্রামক হয় না, আর হলেও তার সঙ্গে রাষ্ট্র থাকে না। থাকার ভান করে মাত্র। এই যেমন অসম সরকার বলছে হাঙ্গামাতে বাংলাদেশি নেই, কিন্তু হাঙ্গামা আটকায় নি, বা এখন শরণার্থীদের পরিচয় পত্রের প্রশ্নে ভাজপা শিবিরের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
যদিবা, বিশুদ্ধ শ্রেণি ঐক্য কিম্বা বিদ্রোহও চাই একটা দেশে ---তবে, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নিপীড়িত শ্রেণিটির ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে  না বেরুলেও চলবে, তার মাতৃভাষাকে ছাড়বারও দরকার নেই। কিন্ত এই দুটোকে কেন্দ্র করে যে আধুনিক 'শাস্ত্র' বা 'বয়ান কেন্দ্র' শাসকেরা গড়ে তোলে তার থেকে বেরিয়ে এসে, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে দ্বিধা করা উচিত নয়। সেই সংখ্যালঘু কোথাও মুসলমান, কোথাও , হিন্দু, কোথাও বাঙালি, কোথাও বডো। স্থান-কাল ভেদতো করাই চাই। দুনিয়া জোড়া হিন্দু -মুসলমান সাম্প্রদায়িকতাকে এক করে ফেলা আসলে অতিব্যাপ্তি দোষে দুষ্ট হয়। মালয়েশিয়াতে যখন হিন্দু মার খায়, কিম্বা শ্রীলঙ্কাতে তখন সে যদি বা 'জয় শ্রীরাম' বল;এ সমবেত হয়, আমি যদি বা নাস্তিকও হই কিম্বা মার্ক্সবাদী আমার পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা হবে না। কারণ, ওদেশে হিন্দুকে মার দিয়েই শাসক শ্রেণি নিজের লুণ্ঠনকে বৈধতা দেয়। ঠিক একই রকম, বাংলাদেশের বাঙালি উগ্রজাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আমি এদেশে থেকেই সোচ্চার, তেমনি সোচ্চার পশ্চিম বাংলার প্রশ্নে। কিন্তু অসমে, মাঝে মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদীর সঙ্গে এক টেবিলে বসতে আমার লজ্জা হবে না। যতক্ষণ কথাগুলো রাজনৈতিক আত্মরক্ষার এবং আত্মমর্যাদার জন্যে নিবেদিত হয়।
তেমনি লজ্জা হবে না, সেই মুসলমানের সঙ্গে এক সঙ্গে পথ হাঁটতে দুনিয়ে জুড়ে যে মার্কিনিদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। (এক 'আন্তর্জাতিক স্থান-কালে'ও কি আমরা বাস করছি না, যেখানে হিন্দুত্ব আর ইহুদীবাদ সাম্রায্যবাদের সঙ্গে জোট বেধেছে! এবং বিভাজিত হয়েছে ইসলাম এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় শিবির!  )

প্রশ্ন উঠতে পারে, অসমে তো বডোরও সংখ্যালঘু, নিপীড়িত। তবে, আমি এই মুহূর্তে ওদের পক্ষে বলছি না কেন? বলছিলাম, যখন আশির দশকে এরা আলাদা রাজ্যের দাবিতে লড়াই শুরু করেছিলেন, এবং শয়ে শয়ে পুলিশের গুলিতে মরছিলেন। মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছিলেন। কিন্তু ক্রমে শাসক শ্রেণি তাদের শাসনের ছোট সহযোগী করে ফেলল।  বিটিসি দিয়ে দিল, যেখানে ওরা একক বড় জনগোষ্ঠী তাই। সেই বিটিসি এখন বিটিএডি। এবং বিটিএডি-তে বডোরা শাসক জনগোষ্ঠী।





--
Sushanta Kar
সুশান্ত কর
তিনসুকিয়া, আসাম

আমার ব্লগগুলি:
http://sushantakar40.blogspot.com
http://ishankonerkahini.blogspot.com
http://ishankonerkotha.blogspot.com

পূর্বোত্তরের বাংলা প্রকাশনার সংগ্রহঃ
http://kathernouko.blogspot.com/
http://ishanerpunjomegh.blogspot.com/

আমি পূর্বোত্তরের গৌরব এই অভিধানেও কাজ করি:
http://www.xobdo.org/

"স্বাজাত্যের অহমিকার থেকে মুক্তি দানের শিক্ষাই, আজকের দিনের প্রধান শিক্ষা" রবীন্দ্রনাথ




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Hijab can be a harbinger of crimes!!!!



"wearing hijab is not

a guarantee that wearer is a dignified & honest woman !!!"

It is not uncommon that men also use Hijab to hide their identity.  Recently, the BNP leaders sneaked into the High Court of Bangladesh under 'hijab'.



On Tue, Aug 14, 2012 at 6:46 PM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 

Dr. Mohammad Khan

Obviously, you have twisted the spirit of Ms Farida Majid's  
statement.

She didn't say "hijab is a harbinger of crime.
She has said "hijab can be a harbinger of crime." 
clearly shows that ....
You seem to be a highly educated professional ... you must 
know the difference between  can beand is a  ...
Undoubtedly, you have jumped into conclusion revealing  your
own bias .... 

As can be seen from the news report , wearing hijab is not
a guarantee that wearer is a dignified & honest woman !!!

First impressions do not always paint a true picture.

No wonder,  "ঘোমটায় নীচে খেমটা নাচ" is an 
age-old proverb  !!!!!

Syed Aslam




From: MOHAMMAD KHAN <
mak_285@yahoo.com>
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Cc: 
Date: Sat, 11 Aug 2012 23:12:29 -0700 (PDT)
Subject: Re: [mukto-mona] FW: Burqa-clad female pickpockets in Idd shopping areas ...
Mrs Farida Majid,
You seems very highly educated female. But I could not understand how could 
you blame Hijab for this crime. It is really sad to see how a highly educated person 
like you can be biased about some thing you hate from your heart.
Mohammad Khan, M.D., F.A.B.I.P.M., F.R.C.S.

From: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Saturday, 11 August 2012, 19:15
Subject: [mukto-mona] FW: Burqa-clad female pickpockets in Idd shopping areas ...
 
           Hijab can be a harbinger of crimes!
Date: Fri, 10 Aug 2012 21:36:48 -0400Subject: Burqa-clad female pickpockets in Idd shopping areas ...
Burqa-clad female pickpockets in Idd shopping areas ...


Peshawar terrorised: Burqa-clad female suicide bomber kills five ...

Aug 11, 2011 – Incidents of female suicide bombings are rare in Pakistan. In the last such attack in December, a burqa-cladbomber killed more than 40 people ...

Burka-clad female suicide bomber detonates in Pakistan - Telegraph

Rob Crilly Aug 11, 2011 – woman enveloped in a burka detonated a suicide vest in North-West Pakistan on Thursday morning as police guarded the scene of an earlier ...

Burqa-clad suicide bomber kills 45 in Pakistan - Asia - World - The ...

www.independent.co.uk/.../burqaclad-suicide-bomber-kills-45-in-pa...
Dec 25, 2010 – burqa-clad female suicide bomber in Pakistan lobbed hand grenades, then detonated her explosive belt among a crowd at an aid center ...




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Condemning Mumbai Violence



I agree mostly.
 

Religion is like a jungle; one can find delicious as well poisonous fruits there. The problem is - there is no guarantee that everyone will always pick the delicious fruits. This is what's going on with the religion. Some people are picking poisonous fruits either advertently or inadvertently. The deliberate use of poisonous fruits (of religion) is causing havoc around the world, and it is not decreasing; it's being used increasingly to settle religious group rivalries across religious boundaries or even within the same religious boundary.

I am convinced that – most of the evils that are happening around the world are somehow or other due to the religious divisions among us, irrespective of how good religious principles are. It's because – where there is division, there is competition and rivalry. This is one of our instinctive characteristics. You may keep it dormant for a while through proper education and training, but can't eliminate it. I criticize religion for its very existence in this day and age, not because it has nothing good to offer anymore.

After the scientific renaissance, science took over our lives and religion lost its utility.  Morality in our lives comes from societal demands and environment. The populace in Bangladesh is devoutly religious, yet Bangladesh is one of the most corrupt countries in the world.

Jiten Roy


--- On Tue, 8/14/12, qar <qrahman@netscape.net> wrote:

From: qar <qrahman@netscape.net>
Subject: Re: [mukto-mona] Condemning Mumbai Violence
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Tuesday, August 14, 2012, 10:03 AM

 
Some people are just reacting to what religion is feeding to them. Obviously, not everybody will react to the same extent, but - some will. Don't blame them for reacting.


>>>>>>>>>> I think sometime religion looks "Bad" because we "Selectively" follow some ideas and don't follow others. For example, Bangladeshi Muslims are pretty big on "Showing" they are Muslims, when it benefits them. However you check on most of them if they paid, obligatory charity (Zakat) or made sacrifices to make an honest living (Halal income), you will see plenty of hypocrites.

I have seen plenty of Muslims, foaming their mouth about their "Rights" but not so eager to worry about their "Responsibilities". Which is the very reason why "Religion" looks bad to many of us (Muslims and non-Muslims alike). When I look back to teachings of prophet Muhammad (PBUH), he was more worried about his responsibilities and often "forgave" others when it came to his rights over them (Muslims and non-Muslim alike). Most Muslims don't follow it and those who do, they don't make headlines.

This is the "Root cause" of problems we see when it comes to religion. So in one word, we are greedy and often we prefer money/power over God.

Shalom!


-----Original Message-----
From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sun, Aug 12, 2012 9:56 pm
Subject: Re: [mukto-mona] Condemning Mumbai Violence

 

Most religious people are either unwise or fake. They are unwise because they can't visualize the evil done on earth by what religion. All they need to do is - look around the world with open eyes and minds, but – they can't.
I know – people will still say – religion is not to blame; it's the people, the so called misguided religious fundamentalists, to blame.  That's hogwash; I don't blame anybody, but religion, for this. Some people are just reacting to what religion is feeding to them. Obviously, not everybody will react to the same extent, but - some will. Don't blame them for reacting. 
So, please - no more blame, excuses, and double talks; try to analyze the root cause, if you can, and try to expose all evils of religion on humanity. Also, please don't tell me that some big-shot said - religion is the 'shuva-sanskar,' on earth, because I have seen enough of those shuvo-sanskars by now already. Don't show me anymore.
 
Jiten Roy
 

--- On Sun, 8/12/12, ram puniyani <jhang45@yahoo.com> wrote:

From: ram puniyani <jhang45@yahoo.com>
Subject: [mukto-mona] Condemning Mumbai Violence
To: "Ram Puniyani" <ram.puniyani@gmail.com>
Date: Sunday, August 12, 2012, 1:24 AM

 
Condemnation of Attack on Media in Mumbai
 
 
We strongly and unequivocally condemn the attack on media in Mumbai by a section of people gathered at the Azad maidan to protest the violence in Assam and Burma. Using violence in a protest against violence is an insult to the suffering victims in whose support the protest was purportedly organised.
 
There are many non violent and democratic ways to communicate and protest any grievances, including against the media.  This mindless and shameful action by a few misguided individuals discredits protest and becomes a disservice to a cause.
 
We offer our solidarity with media; sympathy with all those injured and wish for their quick recovery. We urge the government to take immediate and exemplary action against the guilty. We also appeal to all citizens not to get swayed by this isolated and dastardly incidence and allow the situation to become a cause of conflict.  Any communalisation of the situation will be harmful for everyone and totally against the interests of the nation.
 
 
Lalita Ramdas- Ali Bagh
Mazher Hussain – Hyderabad
Admiral L. Ramdas- Ali Bagh
Mahesh Bhatt- Mumbai
Ram Punyani- Mumbai
Kamla Bhasin- Delhi
Sandeep Panday- Lucknow
Jatin Desai- Mumbai


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] http://hello-today.com/ht/55440#comment-3075





HELLO TODAY

National Daily Online  Newspaper

Please visit the links :

http://hello-today.com/ht/55440#comment-3075

 

Nokshibangla News

Please visit the links :

http://www.nokshibangla.com/component/content/article/34-2011-07-30-15-14-00/62-2012-07-28-16-48-09.html


GNN24 News

Please visit the links :

http://www.gnn24.com/?app=news&action=view&id=4625&cid=10


Binodon News

Please visit the links :

http://www.binodonbd.com/more_feature_detls.php?ID=10



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] EXECUTION OF KILLERS OF BANGABANDHU -- VIDEO CLIP !!!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Tuesday, August 14, 2012 4:12 PM
Subject: [Pro-Muslim] EXECUTION OF KILLERS OF BANGABANDHU -- VIDEO CLIP !!!!

 
Justice was done , souls of Bangladesh got relieved with the execution of Bangabandhu killers.
Sharing a memorable VIDEO CLIP of EXECUTION with you :

http://www.youtube.com/watch?v=hG2SnU6isqk&playnext=1&list=PLF9228B856EF48F34&feature=results_video




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Bangladesh-Zindabad] EXECUTION OF KILLERS OF BANGABANDHU -- VIDEO CLIP !!!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Tuesday, August 14, 2012 4:12 PM
Subject: [Bangladesh-Zindabad] EXECUTION OF KILLERS OF BANGABANDHU -- VIDEO CLIP !!!!

 
Justice was done , souls of Bangladesh got relieved with the execution of Bangabandhu killers.
Sharing a memorable VIDEO CLIP of EXECUTION with you :

http://www.youtube.com/watch?v=hG2SnU6isqk&playnext=1&list=PLF9228B856EF48F34&feature=results_video




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায় !!!!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Tuesday, August 14, 2012 3:33 PM
Subject: [Pro-Muslim] কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায় !!!!!

 
Enter your message here.
কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো... এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায়
আজ ভয়াল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
উত্তম চক্রবর্তী ॥ "কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো/ যদি বাঙালি হও নিঃশব্দে কাছে এসো, আরো কাছে/... এখানেই শুয়ে আছেন অনন্ত আলোয় নক্ষত্রলোকে/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান/ মৌমাছির গুঞ্জনের পাখির কাকলিতে করুণ সুর বাজে/ গভীর অরণ্যে পুষ্পের সুগন্ধে/...অনেক রক্তের মূল্যে পাওয়া এ স্বাধীনতা/ এখানে ঘুমিয়ে আছে, এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায়...।" কবি রবীন্দ্র গোপ তাঁর 'কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো' কবিতায় এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
"কী বীভৎসতা! রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল প্রতি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে। রীতিমত রক্তগঙ্গা বইছে যেন ওই বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে আছেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর লাশ। তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই তাঁর ভাঙ্গা চশমা ও অতিপ্রিয় তামাকের পাইপটি। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবির ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্টশিশু শেখ রাসেলের লাশ।"
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ তিনটি বাড়িতে খুনীদের এমন নারকীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের এমন ভয়াল বীভৎসতার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর আলাউদ্দিন আহমেদ পিএসসি।
আজ সেই ভয়াল ১৫ আগস্ট। সত্যিই আজ যে কাঁদারই দিন। কাঁদো, বাঙালী কাঁদো। সেদিন বাতাস কেঁদেছিল। শ্রাবণের বৃষ্টি নয়, আকাশের চোখে ছিল জল। গাছের পাতারা শোকে সেদিন ঝরেছে অবিরল। এসেছিল সেই ভয়াবহ দিন! চারদিকে ঘাতকের উদ্ধত সঙ্গিন। মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জনকের লাশ। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস...সেই শোক জেগে আছে রক্তরাঙ্গা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনও বাংলায়। নদীর স্রোতের মতো চির বহমান কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন।
আজ সেই অন্তিম শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন। আজ রক্তঝরা ১৫ আগস্ট। বেদনাবিধূর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। বিভিন্ন কবির অসংখ্য কবিতার পঙক্তিতে উঠে আসা সেই ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী। বাংলাদেশ ও বাঙালীর জন্য গভীর মর্মস্পর্শী শোকের দিন, জাতীয় শোক দিবস। কলঙ্কমুক্ত বাঙালী জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করবে।
বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম সেই পুরুষ তিনি, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে (১৯২০-১৯৭৫) স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন গভীর ভালবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যে বন্ধন কোনোদিন ছিন্ন হবার নয়। আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব গুণ নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। যাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুবর্ণিল, যাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু। যিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস।
এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে ঘাতকের হাতে। ৩৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালিমাময় দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানকে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয় ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতে তো এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে একটি জাতির হৃদয় থেকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন প্রতিটি উৎসবে, আনন্দ-বেদনায়। তিনি যে মৃত্যুঞ্জয়ী।
রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এই ঘাতকচক্রের হাত থেকে। বিদেশে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে যান কেবল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দিনটি তাই বাঙালীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত। আজ সেই শোকের দিন, কান্নার দিন। জাতীয় শোক দিবসে আজ বাঙালী গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ নামক ভূখ-ের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী।
বাংলাদেশের স্থপতির নির্মম-নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার পেতে বাঙালী জাতিকে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রতি পদে পদে খুনীদের দোসর ও মদদদানকারী সরকারের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজালে আটকে থেকেছে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাযজ্ঞের বিচার। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে ২০১০ সালের শুরুতেই ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে মানবতার শত্রু নরপিশাচ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হলেও বাঙালী জাতি পিতৃহত্যার কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়। যারা এক সময় নিজেদের বিচারের উর্ধে ভেবেছিল এবং তাদের কেউ কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না বলে দম্ভ করেছিল এই বিচার ও দ-াদেশ কার্যকর করার ভেতর দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে বাংলার মাটিতে কেউই আইনের উর্ধে নয়। আর বিচারের দীর্ঘতম প্রক্রিয়া শেষে রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের অত্যন্ত মর্মস্পর্শী করুণ এক অধ্যায়ের। কিন্তু এখনও বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনী বিদেশে পলাতক। ওই পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর এবং যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে কলঙ্কমুক্ত বাঙালী জাতি আজ শোক দিবস পালন করবে।
এ বছর অন্যরকম পরিবেশে শোক দিবস পালনে এবারের প্রস্তুতিও ব্যাপক। হাজার হাজার শোকের তোরণ, কালো ব্যানার, পতাকা, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেশের পথ-প্রান্তর। পঁচাত্তরপরবর্তী রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশেই প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, গ্রাম-মহল্লায়, হাটে-বাজারে কৃতজ্ঞ বাঙালীর শোক পালনের এত ব্যাপক আয়োজন এবারই প্রথম। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, সারাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ, সংগঠন এবার বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে স্মরণ করছেন স্বাধীনতার এই মহান স্থপতিকে।
কি ঘটেছিল সেই সর্বনাশা কালদিনে
হাজার বছরের নিপীড়িত, নিগৃহীত, বঞ্চিত বাঙালী জাতির জন্য জীবনজয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে কৈশোর, যৌবন ও পৌঢ়ত্বকালকে উৎসর্গ করেছিলেন ইতিহাসের মহিমান্বিত মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাঁর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে এই ভূখ-ের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। আমরা পেয়েছিলাম নিজস্ব জাতি রাষ্ট্র, গর্বিত আত্মপরিচয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাস কারাগারে বন্দী রেখেও পাকিস্তানী জল্লাদরা বঙ্গবন্ধুর কেশাগ্র পর্যন্ত স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল স্বাধীন দেশে কোন বাঙালী তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু বঙ্গভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানম-ির অপরিসর নিজ বাসভবনেই। বাঙালীর স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই বঙ্গবন্ধু সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে।
কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা বাঙালীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর অসীম ও গভীর ভালবাসা ও বিশ্বাসকেই সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় স্বাধীনতার স্থপতির বাসভবনে। কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালীকে পিছিয়ে দেয় প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রমিছিল থেকে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নরপিশাচ ঘাতকের দল শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নির্মমভাবে হত্যা করেনি, মেতে উঠেছিল অদম্য রক্তপিপাসায়। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত, পরাজিত পাকিস্তানী দোসরদের পরিকল্পনা এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সদস্য পৈশাচিক কায়দায় গুলি করে সেদিন বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, একসঙ্গে তিন বাড়িতে হামলা করে মেতে উঠেছিল ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে।
নিষ্ঠুর কায়দায় একে একে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর অনুজ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসের, ভগ্নিপতি পানি সম্পদমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, সেরনিয়াবাতের কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত, আবদুর নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলসহ কয়েক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনীদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা পায় না মানবতাবাদী বিশ্বের কোন মানুষ।
রাজনৈতিক হত্যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়েছে বিভিন্ন কাল পরিসরে। কিন্তু প্রতিটি হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে? এখানে ইতিহাস যেন উল্টো পথযাত্রী! এখানে বিচার বিঘিœত। বিশ্বের ইতিহাসে একসঙ্গে এত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকা-ের নজির নেই বললেই চলে। তবুও কি আশ্চর্য, এই ভয়ঙ্কর হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত আত্মস্বীকৃত খুনীদের চূড়ান্ত শাস্তি পেতে কেটে যায় একে একে ৩৪ বছর। বিচারের পথে সৃষ্ট দীর্ঘ বাধার প্রাচীর বিতর্কিত করে দেশের সুপ্রীমকোর্ট এবং বিচারপতিদেরও। জাতি দেখেছে এই দীর্ঘ সময়ে নিষ্ঠুর এই ঘাতকদের প্রকাশ্য পুরস্কৃত করার ঘৃণ্য চিত্র।
সেই বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে অবশেষে বিচারের বাণীর নিভৃত কান্নার অবসান ঘটল ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতের পর। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর হয় পাঁচ আত্মস্বীকৃত খুনীর। কলঙ্কমুক্তির আনন্দে উদ্বেল হয় গোটাদেশ। তবুও জাতির খুনীদের প্রতি ঘৃণা এতটুকুও কমেনি। অনেকেরই জিজ্ঞাসা- ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হলেও এসব ঘৃণ্য নরপশুর প্রতি বাঙালীর ঘৃণা-ধিক্কার এতটুকুও কমবে না। বরং দেশ যতদিন থাকবে, ততদিন এসব ঘাতকের কবরে প্রজন্মের পর প্রজন্মের সন্তানরা তাদের হৃদয়ের ঘৃণা জানাতে এতটুকুও ভুলবে না।
শোকের দিবসে আজ সারাদেশের পথে-প্রান্তরে লাখো-কোটি কৃতজ্ঞ বাঙালীর কণ্ঠে ধ্বনিত হবে অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত সেই পঙ্তিমালা- "যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/ গৌরী মেঘনা বহমান,/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।"
পলাতক খুনীরা কে কোথায়
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ আত্মস্বীকৃত ঘৃণ্য খুনীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হলেও এখনও বিদেশের মাটিতে পলাতক রয়েছে আরও ছয় খুনী। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে এই ছয় খুনী প্রায় এক যুগ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পিতৃ হন্তারক এসব খুনী হলো- লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব) এএম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান। পলাতক অবস্থায় মারা গেছে আরেক আসামি আজিজ পাশা।
পলাতক এসব আত্মস্বীকৃত খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে সরকার থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লিবিয়ার কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছে। খুনীদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব খুনী যুক্তরাষ্ট্র, লিবিয়া ও কানাডায় পলাতক রয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের কাছে দু'জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রের লস এ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করলেও কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টার করছেন। বেশ কিছুদিন জার্মানিতে লুকিয়ে থাকার পর লে. কর্নেল এইচএমবি নূর চৌধুরী এখন কানাডায়।
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ মূলত অবস্থান করেন লিবিয়ার বেনগাজী শহর ও পাকিস্তানে। লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকা- কেনিয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হলেও তিনি মাঝে মধ্যে লিবিয়া ও পাকিস্তানে আসা-যাওয়া করেন। আবদুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিনও বর্তমানে পাকিস্তান ও লিবিয়ায় লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব পলাতক খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, কার্যকর করা হবে মৃত্যুদ-াদেশ এই প্রত্যয় আর অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই এবার এলো শোকাবহ ১৫ আগস্ট। আজ যখন জাতীয় শোক দিবসে মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছে জাতি, তখন সঙ্গত কারণেই নবীন প্রজন্মকেও স্মরণ করিয়ে দিতে হবে- নিজের জীবনের চেয়েও দেশ আর দেশের মানুষকে যিনি ভালবেসেছিলেন ফাঁসি নিশ্চিত জেনেও যিনি পাকিস্তানী কারাগারে বসে আপোস করেননি স্বাধীনতার প্রশ্নে, যিনি বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়েছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা আর জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি, এ জাতি তাঁরই উত্তরসূরি। যিনি ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের মেশিনগানের মুখেও ছিলেন অকুতোভয়, প্রশ্ন করেছিলেন, 'তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?'- সেই অনির্বাণ সূর্যের প্রখর ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুর দৈহিক বিনাশ ঘটলেও তাঁর আদর্শের মৃত্যু হতে পারে না। মানুষ মরে যায়, আদর্শ মরে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও একাধিক বক্তৃতায় এ কথা বলেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তিমাত্র নন, অবিনশ্বর এক আদর্শ ও প্রেরণার নাম। সেই প্রেরণাতেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধানম-ি ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। তাঁরই নেতৃত্বে বাঙালী জাতি অর্জন করে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এদেশ ও জনগণ যতদিন থাকবে, ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালীর অন্তরে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ৩৫ বছর পরে হলেও জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত। যেসব মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ঘাতক আজও বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে এ ভূখ-ের মানুষ হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালী পেয়েছে নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি। কিন্তু একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এসব বিচার প্রক্রিয়া স্তব্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এদের সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও জনগণের কাছ থেকে তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। পনেরো কোটি বাঙালীর অন্তরে প্রোথিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ। আসুন, জাতির জনককে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সংগ্রামে এগিয়ে যাই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক শান্তিকামী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবেই।
কর্মসূচী
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। আজ সরকারী ছুটির দিন। আজ সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। দিনের শুরুতে ধানম-ির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়ে ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফাতেহা পাঠ এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দু'টি স্থানেই তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল বঙ্গবন্ধুর প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়ার আয়োজন করবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সারাদেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল, দেশের সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় মিলাদ মাহফিল ও ইফতার, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশব্যাপী অজস্র রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে শ্রদ্ধা জানাবে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ সংখ্যা। রেডিও-টেলিভিশনসহ নানা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচারিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে সর্বধর্ম প্রার্থণনা সভা।

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের কর্মসূচী
চট্টগ্রাম অফিস থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে আজ বুধবার ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর একমঞ্চে আসছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান নেতারা। নগরীর মুসলিম হলে বিকেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় যোগ দেবেন সকলেই। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সরকারী, আধা সরকারী প্রতিষ্ঠানেও দিনটি পালিত হবে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানানো হয়, দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, খতমে কোরান ও দোয়া মাহফিল। বিকেল ৩টায় মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে সকল নেতার একমঞ্চে আসাকে ঐক্যের সুর হিসেবে দেখছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগেও জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, খতমে কোরান, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মেয়র এম মঞ্জুর আলম।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___