Banner Advertiser

Wednesday, October 5, 2011

[mukto-mona] ফাঁদ পাতার ø 0;াজনীতি ও কৌ 486;লী খেলা(Noya Diganta Editorial ,( please read)

২০১১-১০-০৬
ফাঁদ পাতার রাজনীতি ও কৌশলী খেলা

বিবিধ প্রসঙ্গ
মাসুদ মজুমদার

আবার তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু জাতীয় রাজনীতির প্রধান প্রসঙ্গ হয়ে উঠল। তত্ত্বাবধায়কব্যবস'া সম্পর্কে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় পাঁচ মাসেও প্রকাশিত হলো না। রায়ের যতটুকু প্রকাশিত হয়েছে- তাতে আরো দুই মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়কব্যবস'া বহাল রাখার একটা সুযোগ অবারিত ছিল। সেই সুযোগ গ্রহণ করা হলে এই ইস্যুতে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠত না। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে যে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা সেটাও থাকার কথা ছিল না। সরকার অনেকটা ঠাণ্ডা মাথায় তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটিকে বিতর্কে টেনে এনেছে। এ বিষয়ে রায় এবং সরকারের ইচ্ছা মিলে যাওয়ার বিষয়টিকে অনেকেই কাকতালীয় ভাবতে চান না। সরকারের চাওয়া-পাওয়ার অনেক হিসাব উচ্চ আদালত মিলিয়ে দিয়েছেন। এই মিলিয়ে দেয়ার বিষয়টি সাধারণ চোখে দেখার সুযোগ কম। তারপরও সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করেছে গোলমাল কিছু একটা আছে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার পাহাড় সৃষ্টি করেছে, বিরোধী দলকে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোণঠাসা করে প্রায় দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে- তারপরও সরকার কেন এতটা কঠোর অবস'ান নিতে উৎসাহিত হচ্ছে! এটা কি শুধু বিরোধী দলভীতি না অন্য কোনো রাজনৈতিক কৌশল এর নেপথ্যে রয়েছে সেটা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। সরকার ভিন্নমত ও বিরোধী দলকে প্রথমে সহ্য করতে কিংবা পাত্তা দিতে চায়নি; বরং এতটা বেপরোয়া ভাব প্রদর্শন করেছে- ভেবেছে ক্ষমতা চরম ও পরম পাওয়া। এটার শুরু আছে শেষ নেই। এটা উপভোগ করা যায়, ঝুঁকি নেই। তাই দলীয় অ্যাজেন্ডা নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত থেকে বেপরোয়া ভঙ্গিতে সব কিছু দুমড়ে-মুচড়ে সরকার প্রথম বছর পার করেছে। দ্বিতীয় বছর পার করেছে মাত্রাহীন দমন-পীড়ন চালিয়ে। দুই বছর পূর্তির পর সরকার মরণ কামড় বসিয়ে পথ চলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। বিগত আড়াই বছরে সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণে কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি। নির্বাচনী ওয়াদাগুলো এখন ঘুরিয়ে বলাটাই যেন কৌশল। একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে না পারলেও গতানুগতিক সরকার পরিচালনা ও রুটিন কাজে পারদর্শিতা প্রদর্শন করে উৎরে যেতে পারে। দুর্ভাগ্য বর্তমান সরকার রুটিন কাজ করে একটি গতানুগতিক সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো পারদর্শিতা দেখাতে পারছে না, বরং সব কিছু লেজেগোবরে করে ফেলেছে। বেসামাল অঙ্গসংগঠন নিয়ে সরকারি দল আস্ফালন প্রদর্শন করছে। হুমকি দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগই বিরোধী দল দমনে যথেষ্ট। এখন সরকারের শক্তি যেন পুলিশ। পুলিশই সরকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের তথ্য নিষ্ঠুর সত্য হচ্ছে- মামলা ঠুকে, শত শত রাজনৈতিক কর্মীকে জেলে পুরে, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে অথবা ভিন্ন মতকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না; বরং বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিপরীতে সেই রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্ন মতকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে উসকে দেয়া হয়। দেশের অজস্র মৌলিক সমস্যার সমাধান নেই। অর্থনীতি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। সরকারপ্রধান বলছেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে- অথচ অর্থনীতির সূচক তা বলে না। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বেতনভাতা বাড়ানোর পরও দ্রব্যমূল্য, পরিবহন, জ্বালানিসহ সব ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক চাপ পড়েছে। বেতনভাতা বাড়ানোর সাথে তুলনা করলে সেটা হবে নেশাখোরের নাকে নস্যি দেয়ার মতো। সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং অর্থশাস্ত্রের কোনো পণ্ডিত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মিল খুঁজে পাবেন না। সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে তাদের সরকার সত্য কথা বলছে না। তাই সরকারি মুখপাত্ররা এখন অবিশ্বস্তও। জনগণ বুঝে নিয়েছে, সরকার তাদের টানাপড়েন, অর্থনৈতিক সামর্থ্য ও ক্রয়ক্ষমতা নিয়েও বিদ্রূপ করছে। তা ছাড়া সরকার কোনো ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাফল্য দেখাতে পারছে না। যে দিকে পা রাখছে পাটাতন সরে যাচ্ছে। তাহলে জনগণের সমস্যা উপেক্ষা করে, জাতীয় সমস্যার দিকে মনোযোগী না হয়ে, সুশাসন ও আইনের শাসনের প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে সরকার তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুকে সামনে ছুড়ে দিলো কেন। এটা কি সব ভুলে গিয়ে বিরোধী দল যাতে এই ইস্যুর মধ্যে আটকা পড়ে থাকে তার ব্যবস'া করা? মৌলিক সমস্যা, অসংখ্য ব্যর্থতা, সাংবিধানিক বিষয়-আশয়সহ অপরাপর দাবিদাওয়াকে ধাপাচাপা দেয়ার ব্যবস'া এটি! সাধারণত কোনো তর্কিত ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক বাধা অতিক্রম করতে সরকার দুটো পাতানো খেলার ব্যবস'া করে। প্রথমত, প্রতিবাদ-প্রতিরোধকে বিনা কারণে কঠোরহস্তে দমন করে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেল-জুলুম বাড়িয়ে তোলে, তখন বিরোধী দল মূল ইস্যু স'গিত রেখে নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম, হুলিয়ার দিকে নজর দিতে বাধ্য হয়। সমস্যাকেন্দ্রিক স্লোগান- 'মুক্তি চাই, মুক্তি দাও' ইস্যুতে রূপান্তরিত হয়। সরকার তখন জেল-জুলুম মুক্তির শর্ত পূরণে ধীরে ধীরে ছাড় দেয়- বার্গেনিং করে। তত দিনে মূল ইস্যুর অপমৃত্যু ঘটে। সরকার সময় পায়। বিরোধী দল সময়ক্ষেপণের গর্তে পড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, সরকার দৃষ্টি ফেরানোর জন্য কোনো তর্কিত ইস্যুকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে বাছাই করে- এটাও করে সময় পার করে বিরোধী দলকে উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে ব্যস্ত রাখার কৌশল হিসেবে। সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিলে বিরোধী দল সরকারের বড় বড় ব্যর্থতা এবং দুর্বলতার দিকে নজর দিতে সুযোগ পায় না। জনগণের সামনে প্রকৃত অবস'া তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়। সময় যখন একটা পরিণতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সরকার দাবি মেনে নেয়ার মাধ্যমেও কৃতিত্ব দাবি করার চেষ্টা করে। জনগণকে বোঝাতে চায় তারা শুধু মহৎই নয়, জনগণের প্রতি বিগলিত প্রাণ। আর বিরোধী দলের প্রতি তাদের দরদও অন্তহীন। যার কারণে তাদের দাবির প্রতিও তারা শুধু শ্রদ্ধাশীলই নয়, নিষ্ঠাবানও। তাই না মানার মতো দাবিও 'বৃহত্তর' স্বার্থে মেনে নিয়ে রাজনৈতিক 'ঔদার্য' প্রদর্শন করেছে। আমাদের ধারণা, সরকার তত্ত্বাবধায়ক বিতর্কটা একেবারেই অযৌক্তিক কারণে সামনে এনেছে ট্রাম্প কার্ড খেলার বদ নিয়তে। সাধারণ জনমত, জাতীয় দৈনিকগুলোর অনলাইন জরিপের ফলাফল, দেশের প্রায় সব বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, কলামিস্ট এমনকি এরশাদ ও শেখ হাসিনা ছাড়া অবশিষ্ট রাজনীতিবিদেরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরো অন্তত দুই মেয়াদ রাখার পক্ষপাতী। সবাই একমত যে, যেসব কারণে রাজনৈতিক অবিশ্বাস তত্ত্বাবধায়ক ধারণাকে পুষ্ট করেছে, আওয়ামী লীগেরও জামায়াতের মাঠ তাতানো আন্দোলন পরিণতি পেয়েছে- অবস'া তারচেয়ে ভালো হয়নি; বরং কয়েকটি কারণে পরিসি'তির আরো অবনতি ঘটেছে। যেমন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ, তৎপরতা কোনোটিই নিরপেক্ষ ভাবমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত নেই। যদিও জাতীয় নির্বাচনের অনেক আগেই, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই- এই সরকারের প্রায় দুই বছর সময় থাকতেই বর্তমান কমিশন সদস্যদের বিদায় নিতে হবে। সঙ্গত কারণেই সরকার চাইবে অনুগত আরেকটি নির্বাচন কমিশন। সেটাও বিতর্কের ইস্যু বানিয়ে সরকার ফায়দা তুলতে চাইবে। বিরোধী দলকে এই ইস্যুতেও সরকার জড়িয়ে রাখার কৌশলী ফাঁদ পেতেছে। সরকার চায় বিরোধী দল সংসদের ভেতরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়কব্যবস'া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সাংবিধানিক বিষয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য হোক। সরকার মনে করে বিরোধী দল বিশেষত বিএনপিকে সংসদে গিয়ে আলোচনার মহড়া দিতে পারাও তাদের কৌশল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। সরকার নিজেই জানে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস'ান কোনো অবস'াতেই অনড় থাকতে পারবে না। সরকার চাইবে বিরোধী দলকে অন্যান্য ব্যাপারে মাঠ গরম করার সুযোগ না দিয়ে এসব বিষয়ে ব্যস্ত রাখতে। তাতে জনগণ মেরুবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে কম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বিরোধীদলীয় নেতার চেয়েও নিশ্চিত আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কব্যবস'ার অধীনেই হতে হবে। এখন বিরোধী দল সরকারের পাতা ফাঁদের মধ্যে রয়েছে। সরকার রয়েছে জনগণের সার্ভেল্যান্স ও পাতা ফাঁদে। শেষ পর্যন্ত জনগণই রাজনীতি ও সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। অনৈতিকভাবে যারা ফাঁদ পেতেছেন তাদের জন্য পুরো বিষয়টি বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কারণ রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে আর কোনো বিকল্প ও সোজা রাস্তা খোলা নেই। সরকার গা বাঁচাতে হলেও তত্ত্বাবধায়কব্যবস'া পুনর্বহাল করতে হবে। এর বিকল্প বর্তমান সরকার চাইবে ক্ষমতা কোনোভাবেই চারদলীয় জোট সরকারের হাতে না যাক। প্রয়োজনে আরেকটি এক-এগারোর মতো সরকার আসুক। অনেকেই আরেকটি এক-এগারোর আলামত এখনই দেখতে পাচ্ছেন। ফলে পরিসি'তি আভাস দিচ্ছে- নিজের নাক কেটে হলেও বর্তমান সরকার বিরোধী দলের যাত্রাভঙ্গ করবে। বিরোধী দলকে আওয়ামী লীগের পরপরই ভালো অবস'ান তৈরির সুযোগ দিতে চাইবে না বর্তমান সরকার। বেশুমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার ভয় ও নিরাপদ অবতরণভীতির কারণে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মতো পরিবেশ বর্তমান সরকার রাখতে চায় না। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার ইচ্ছাও সরকারের নেই। সরকার এখনো বিশ্বাস করতে রাজি নয়, ক্ষমতার বরফ গলে গেছে। জনমত বিগড়ে গেছে। আশাবাদী জনতার মোহভঙ্গ ঘটেছে। সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি, বরং প্রধানমন্ত্রীর 'স্মার্ট মন্ত্রী'রা খাবি খাচ্ছেন। উপদেষ্টারা চোখে অন্ধকার দেখছেন। সরকারের চার পাশে মোসাহেব-চাটার দল, সুবিধাভোগীরা এমন বেষ্টনী তৈরি করেছে- যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর নেতানেত্রীরা ক্ষমতার খোয়াব ছাড়া আর কিছুই দেখতে না পান, বাস্তবে পরিসি'তি একেবারেই উল্টো। এই বাস্তবতা যত তাড়াতাড়ি বোঝা সম্ভব হবে ততই মঙ্গল। digantaeditorial@gmail.com


------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://docs.yahoo.com/info/terms/