Tipaimukh will not harm Bangladesh .
বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না ॥ মনমোহন
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশকে ফের আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় টিপাইমুখ প্রকল্পে এমন কোন পদক্ষেপ ভারত সরকার গ্রহণ করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু'জন উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভী শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে টিপাইমুখ প্রকল্পের বিষয়টি তুলে ধরলে মনমোহন সিং বাংলাদেশকে এভাবেই আশ্বসত্ম করেন। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রকাশ বলেছেন, বাংলাদেশে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এমন কোন কিছু ভারত করবে না বলে শেখ হাসিনার দুই উপদেষ্টাকে আশ্বসত্ম করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিষ্ণু প্রকাশ নয়াদিলস্নীতে সাংবাদিকদের বলেছেন, শুক্রবারের বৈঠকেও আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার টন। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৭৯ হাজার টন। চলতি অর্থবছরের সাড়ে চার মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৬ লাখ ৬০ হাজার টনের, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৭০ হাজার টনের।
আকস্মিক এই কম আমদানির নেপথ্যে ব্যবসায়ীরা কম মুনাফাকে দায়ী করছেন। বর্তমান বিশ্ববাজারে গমের দাম কমছে। সরকারও আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে। ফলে বেসরকারী খাতের ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে হাত-পা গুটিয়ে রেখেছে। এদিকে গম আমদানি কমে যাওয়ায় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারীভাবে গম মজুদের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১০ লাখ টন গম ও আট লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির লৰ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমান সরকারের হাতে প্রায় তিন লাখ টন মজুদ আছে। আমদানি পর্যায়ে রয়েছে আরও দুই লাখ ৩৫ হাজার টন। খাদ্য সহায়তা হিসেবে আসছে আরও এক লাখ টন। এছাড়া সরকার টু সরকার পর্যায়ে ইউক্রেন থেকে আরও এক লাখ টন আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর এই সময়ে সরকারের হাতে গমের মজুদ ছিল মাত্র এক লাখ ৯৯ হাজার টন। এ বছর অনেক বেশি রয়েছে। বেসরকারী আমদানিকারকগণ কারসাজি করে বাজারে আটার কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে যাতে না পারে সেজন্য ওএমএস কর্মসূচীতে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ময়দার দাম বাড়লেও আটার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার সাতটি বিভাগে আটার দর পর্যালোচনা করে দেখেছে প্রতিকেজি আটা ২৬ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধানত্ম জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আটা বিক্রির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সিদ্ধানত্ম রয়েছে।
শুক্রবার টিসিবির হিসেবে এককেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা এবং প্যাকেট আটার দাম হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। ময়দার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। প্রতিকেজি ময়দা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আটার দাম এক মাসে কমতির দিকে রয়েছে। এই হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওএমএস কর্মসূচীতে আটা দেয়ার কারণেই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গম নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এদিকে পহেলা ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে 'গম নিয়ে শঙ্কা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রধান সংবাদের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিয়েছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়, গম নিয়ে কোন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। খাদ্য বিভাগ প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছে এবং চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় পদৰেপ নিচ্ছে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। এ বছর সরকারীভাবে আট লাখ টন চাল ও দশ লাখ টন গম আমদানির লৰ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত চাল আছে। ফলে বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে। আনত্মর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশে চাল ও গমের সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই।
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গম উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদন কম হয়। ফলে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যায়। এ বছর সে পরিস্থিতি নেই। আনত্মর্জাতিক বাজারে গমের দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। এছাড়া ভারত সরকার গত তিন থেকে চার বছর চাল ও গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখেছিল। সম্প্রতি সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শর্তহীনভাবে ওই দেশের ব্যবসায়ীদের চাল ও গম রফতানির সুযোগ দিয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করে চাল ও গম দেশে আনতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে সার্বিক বিবেচনায় কোনভাবেই দেশে গমের সঙ্কটের কারণ নেই।
সরকারের হাতে প্রায় তিন লাখ টন গম মজুদ রয়েছে। আমদানি, খাদ্য সহায়তা মিলে খব শীঘ্রই এই মজুদের পরিমাণ প্রায় আট লাখ টনে দাঁড়াবে। প্রকাশিত সংবাদে জনমনে বিভ্রানত্মি ও অহেতুক আতঙ্কের কারণ নেই।
আকস্মিক এই কম আমদানির নেপথ্যে ব্যবসায়ীরা কম মুনাফাকে দায়ী করছেন। বর্তমান বিশ্ববাজারে গমের দাম কমছে। সরকারও আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে। ফলে বেসরকারী খাতের ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে হাত-পা গুটিয়ে রেখেছে। এদিকে গম আমদানি কমে যাওয়ায় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারীভাবে গম মজুদের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১০ লাখ টন গম ও আট লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির লৰ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমান সরকারের হাতে প্রায় তিন লাখ টন মজুদ আছে। আমদানি পর্যায়ে রয়েছে আরও দুই লাখ ৩৫ হাজার টন। খাদ্য সহায়তা হিসেবে আসছে আরও এক লাখ টন। এছাড়া সরকার টু সরকার পর্যায়ে ইউক্রেন থেকে আরও এক লাখ টন আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর এই সময়ে সরকারের হাতে গমের মজুদ ছিল মাত্র এক লাখ ৯৯ হাজার টন। এ বছর অনেক বেশি রয়েছে। বেসরকারী আমদানিকারকগণ কারসাজি করে বাজারে আটার কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে যাতে না পারে সেজন্য ওএমএস কর্মসূচীতে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ময়দার দাম বাড়লেও আটার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার সাতটি বিভাগে আটার দর পর্যালোচনা করে দেখেছে প্রতিকেজি আটা ২৬ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধানত্ম জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আটা বিক্রির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সিদ্ধানত্ম রয়েছে।
শুক্রবার টিসিবির হিসেবে এককেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা এবং প্যাকেট আটার দাম হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। ময়দার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। প্রতিকেজি ময়দা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আটার দাম এক মাসে কমতির দিকে রয়েছে। এই হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওএমএস কর্মসূচীতে আটা দেয়ার কারণেই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গম নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এদিকে পহেলা ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে 'গম নিয়ে শঙ্কা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রধান সংবাদের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিয়েছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়, গম নিয়ে কোন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। খাদ্য বিভাগ প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছে এবং চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় পদৰেপ নিচ্ছে। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। এ বছর সরকারীভাবে আট লাখ টন চাল ও দশ লাখ টন গম আমদানির লৰ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত চাল আছে। ফলে বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে। আনত্মর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশে চাল ও গমের সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই।
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গম উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদন কম হয়। ফলে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যায়। এ বছর সে পরিস্থিতি নেই। আনত্মর্জাতিক বাজারে গমের দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। এছাড়া ভারত সরকার গত তিন থেকে চার বছর চাল ও গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখেছিল। সম্প্রতি সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শর্তহীনভাবে ওই দেশের ব্যবসায়ীদের চাল ও গম রফতানির সুযোগ দিয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করে চাল ও গম দেশে আনতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে সার্বিক বিবেচনায় কোনভাবেই দেশে গমের সঙ্কটের কারণ নেই।
সরকারের হাতে প্রায় তিন লাখ টন গম মজুদ রয়েছে। আমদানি, খাদ্য সহায়তা মিলে খব শীঘ্রই এই মজুদের পরিমাণ প্রায় আট লাখ টনে দাঁড়াবে। প্রকাশিত সংবাদে জনমনে বিভ্রানত্মি ও অহেতুক আতঙ্কের কারণ নেই।
__._,_.___