From: gti82@hotmail.com
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Subject: Alarming News!!!! A Coup Attempt Foild by Bangladesh Army..
Date: Thu, 19 Jan 2012 19:59:11 +0000
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-19/news/217827
ছবি: প্রথম আলো
সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। সেনা সদর দপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক এই তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা সফল হতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা গত ১৩ ডিসেম্বর মেজর পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তাকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন। তবে ওই মেজর বিষয়টি তাঁর চেইন অব কমান্ডকে জানালে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার আরেক অংশীদার মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর কর্মরত অন্য এক সেনা কর্মকর্তাকে একই ধরনের কার্যক্রম চালানোর প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর জিয়াউলের ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করা হয়। তাঁকে ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর ছুটিতে থাকার সময় মেজর জিয়াউল পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক (সাবভারসিভ) কার্যক্রম চালানোর পাঁয়তারা করেন এবং তিনি এখনো তা করে চলেছেন।
এ ছাড়া, সুনিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তাকে সরকারের আনুগত্য থেকে বিরত থাকার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মেজর পদবির এক কর্মকর্তাকে গত ৩১ ডিসেম্বর সেনা আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউল তথাকথিত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-সংক্রান্ত অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে একটি উসকানিমূলক ই-মেইল তাঁর পরিচিতদের পাঠান। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে সোলজারস ফোরাম নামের একটি পেইজে আবু সাঈদ নামক এক ব্যক্তি আপলোড করে দেন। পরে ওই কর্মকর্তা 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মধ্যম সারির কর্মকর্তারা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন' শিরোনামে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। ৩ জানুয়ারি মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেট বার্তাটি 'আমার দেশ' পত্রিকা প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেটে পাঠানো ওই বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উসকানিমূলক প্রচারপত্র ছড়ায়। ৯ জানুয়ারি এর ওপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীতে গুমের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক দুজন কর্মকর্তা ও চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে উত্খাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়, যার কার্যক্রম এখনো চলছে।
সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৯ ও ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়াউল তাঁর অপারেশনের পরিকল্পনার কপি ই-মেইলে চাকরিরত কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর ১০ ও ১১ জানুয়ারি সেনা-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতির বিষয়ে মুঠোফোনে কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে মেজর জিয়াউল জানতে চান এবং তাঁদের বারবার এ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। একই রাতে মেজর জিয়াউল সম্ভবত হংকংয়ে বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেনা-অভ্যুত্থানের বিষয়টি প্রচার করার জন্য বলেন।
মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, এরই মধ্যে এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত কিছু সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা তাঁদের সম্পৃক্ততার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সমৃদ্ধির পথকে সুগম করতে এ ধরনের ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
মেজর জিয়াউলের আইনগত নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার স্বার্থে সেনাবাহিনীতে তাঁর আত্মসমর্পণ করা খুবই জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ।
__._,_.___