Banner Advertiser

Friday, January 20, 2012

[mukto-mona] অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাত এবং জনসমুখে প্রকাশ ॥ নতুন ধারা শুরু !!!!!!!!!!



Except BNP and JAMAT , all other parties payed gratitudes to our patriotic armed forces for their heroic role to foil the unscrupulous coup .

অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাত এবং জনসমুখে প্রকাশ ॥ নতুন ধারা শুরু
সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় র্ভমিকা অভিমত বিশ্লেষকদের
ফিরোজ মান্না ॥ ধর্মান্ধ জঙ্গীগোষ্ঠী বাংলাদেশে আরেক পাকিস্তান সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের সেই পরিকল্পনা সেনাসদস্যরা প্রতিহত করেছেন। কিছু অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত সেনাসদস্যের অভ্যুত্থান চেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি কাজ শুরু করেছে। সামরিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাত করে দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। শুরু হয়েছে এক নতুন গণতান্ত্রিক ধারা। তা না হলে জাতি মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারত। অতীতে সেনাবাহিনীতে বহুবার ক্যু হয়েছে। কোন ক্যুর খবর দেশবাসী জানতে পারেনি। এবার সেনাবাহিনী প্রেসব্রিফিং করে অভ্যুত্থানের খবরটি দেশবাসীকে অবহিত করেছে। এই পদক্ষেপকে সব মহল থেকেই অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে কতিপয় সেনার সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার তথ্যটি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় জামায়াতে ইসলামী জড়িত থাকার কথা লিখেছে।
সরকার উৎখাতের চক্রান্তে হিযবুত তাহ্্রীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এক সেনাকর্মকর্তার কথা সেনাবাহিনী প্রকাশ করার পরদিনই মাঠে নেমেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর। তারা চট্টগ্রামে মিছিলের চেষ্টা চালিয়েছে। ঢাকায় র্যাবের অভিযানে পাঁচ হিযবুত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর মেজর জেনারেল জিয়া শাসন ক্ষমতায় আসার পরে বহু বার সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে। এ সব অভ্যুত্থানের খবর দেশবাসী কোন দিনই জানতে পারেনি। জিয়ার শাসনের সময় মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যসহ সশস্ত্র বাহিনীর কয়েক শ' সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডগুলো গোপনই থেকে গেছে। এবারই প্রথম সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টার খবরটি দেশবাসী জানতে পেরেছে। ইতোপূর্বে অভ্যুত্থান সফল না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসী জানতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জনকণ্ঠকে বলেন, সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা জনসম্মুখে প্রকাশ করার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এ দেশে ক্যু কিংবা এ ধরনের পরিকল্পনা বহুবার হয়েছে। কিন্তু কখনই জনগণের সামনে তা প্রকাশিত হয়নি। এই প্রথম সামরিক বাহিনী জনগণের সামনে তা প্রকাশ করল। এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সামরিক বাহিনী এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়া গুম, হত্যাসহ নানা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। জামায়াতকর্মীরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। গ্যাসগ্রেনেড ছুড়ছে- এগুলো কোন ধরনের গণতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্যে পড়ে? বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ, সাংবিধানিক স্বাধিকার এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় আস্থাশীল। আর এর মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে, গণতান্ত্রিক সরকারের মূল শক্তি হলো জনগণ।
চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, তদন্ত কাজ চলছে। ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি সেনাবাহিনীর ভেতরে এবং বাইরে কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও চাকরিরত সেনাসদস্যদের বিচার সেনাআইনে হবে। অন্যদের বিচার রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে আদালতে হবে। সেনাসদর থেকে হংকংয়ে অবস্থানরত ইশরাক আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। একই সঙ্গে টেলিফোন কল রেকর্ড এবং ইন্টারনেট বার্তাটি কারা আপলোড করেছে তা খুঁজে বের করার জন্য বিটিআরসির কাছেও চিঠি দেয়া হবে। মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের (মেজর জিয়া) গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারে খোঁজ নেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ধর্মান্ধ করে গড়ে তোলার জন্য দেশী বিদেশী অনেক ব্যক্তি বিরাট অংকের টাকা ঢালছে। এর সঙ্গে দেশী বিদেশী কয়েকটি রাজনৈতিক দলও জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এখান থেকে সেনাবাহিনীকে উদ্ধার করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভ‚মিকা জাতির কাছে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আজ সেই সেনাবাহিনীর ওপর উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গীগোষ্ঠীর থাবা পড়েছে। এই থাবা থেকে মুক্ত করতে না পারলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। এখন আশা করা যাচ্ছে উগ্রবাদীদের বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম বলেন, ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীর অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের কোন তথ্য গোপন রাখা হবে না। তদন্ত শেষে আবার প্রেসব্রিফিং করে দেশবাসীকে জানানো হবে।
দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অভ্যুত্থান প্রতিহত করার ঘটনাকে গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা বলছেন, এই ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাত করে দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। তা না হলে জাতি মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যেত।
এ প্রসঙ্গে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান জনকণ্ঠকে বলেন, একটি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ঘৃণ্য চেষ্টাকে সেনাবাহিনী প্রতিহত করে বড় দায়িত্ব পালন করেছে। বাইরের হস্তক্ষেপ কোন অবস্থায় কাম্য নয়। সাংবিধানিক সরকারকে কাজ করার জন্য সকলের সহযোগিতা করা উচিত। সেনাবাহিনী সেই কাজটিই করেছে।
সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি লে. জেনারেল হারুন অর রশীদ বীরপ্রতীক জনকণ্ঠকে জানান, ধর্মান্ধ জঙ্গীগোষ্ঠীর অপচেষ্টা সেনাবাহিনী সময় মতো প্রতিহত করেছে। এ জন্য আমি সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। উগ্র জঙ্গীগোষ্ঠী যারা '৭৫ পরবর্তী ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছে-তারাই সেনাবাহিনীতে এমন একটি ঘৃণ্য অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিল। এটা যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার জন্য সেনাবাহিনীতে এমন একটি ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল। সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শুরু করায় উগ্রবাদীরা মরণকামড় দিচ্ছে। তারা সর্বোতভাবে বিচার কাজ প্রতিহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কয়েক সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করি এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, সেই সেনাবাহিনী দেশবিরোধী হতে পারে না। ১৯৭৫ সালে একদল উচ্ছৃক্সখল সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এতে লাভবান হয়েছে কতিপয় সেনাসদস্য। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর আমি বলেছিলাম এটাই শেষ না, এ ধরনের আরও অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। এবারও বলছি, সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা প্রতিহত হলেও ভবিষ্যতে আরও ঘটনা ঘটতে পারে। উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী আরও ঘটনা ঘটাতে একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এই উগ্র মৌলবাদী, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোকে সমূলে উৎখাত না করতে পারলে ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সদস্য শাহাব উদ্দীন আহমেদ বীরোত্তম জনকণ্ঠকে জানান, সেনাবাহিনীর সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে জাতি এক মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। অতীতে বহুবার সেনাবাহিনীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এতে দেশ অনেক পিছিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। সেনাবাহিনীর ভেতরে এ ধরনের ধর্মান্ধ উগ্রপন্থীদের খুঁজে বের করে তাদেরও বিচারের আওতায় নেয়া উচিত। বাইরে থেকে যারা সেনা অভ্যুত্থানের ইন্ধন দিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিতে হবে। আমি আশা করব, সেনাবাহিনীর ভেতরে থাকা ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রেসব্রিফিং করে তথ্য প্রবাহে ¯^চ্ছতা এনেছে। ফলে জাতি এ কারণে শঙ্কামুক্ত হয়েছে। তা না হলে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টার বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যে থেকে যেত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট সেনাবাহিনী সব সময় দেশের জন্য নিবেদিত। দেশের যে কোন দুর্যোগে-বিপদে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকেছে।

অভ্যুত্থান চেষ্টার পক্ষে মাঠে হিযবুত তাহ্রীর
সরকার উৎখাতের চক্রান্তে হিযবুত তাহ্রীর সম্পৃক্ত এক সেনা কর্মকর্তার কথা সেনাবাহিনী প্রকাশ করার পরদিনই চট্টগ্রামে মিছিলের চেষ্টা চালিয়েছে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বন্দরনগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে হিযবুত সদস্যদের মিছিলের চেষ্টা মুসল্লিরা প্রতিহত করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। জুমার নামাজের মোনজাত শেষ হওয়ামাত্র প্রচারপত্র বিলি শুরু করে হিযবুত সদস্যরা। প্রচারপত্রে লেখা আছে, 'হে সেনা অফিসারগণ! আপনাদের ভাইদের হত্যাকারী হাসিনাকে অপসারণ করুন এবং আপনাদের ও এদেশের মুসলিমদের মার্কিন-ভারতের নিয়ন্ত্রণ থেকে র¶া করতে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করুন।' প্রচারপত্রে সেনা কর্মকর্তাদের 'এই মুহ‚র্তে বর্তমান শাসনব্যবস্থা ও হাসিনাকে ¶মতা থেকে অপসারণ' করার আহŸানও জানানো হয়।
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের পক্ষে মাঠে নামছে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর। ওই সংগঠনে অভিযান চালাতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ছে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার ঢাকার উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের পাঁচ সদস্যকে আটক করতে গিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
জঙ্গী তৎপরতার অভিযোগে হিযবুত তাহ্রীরকে আড়াই বছর আগে নিষিদ্ধ করা হলেও প্রচারপত্র বিলি এবং পোস্টার সাঁটানোর মাধ্যমে সংগঠনটির তৎপরতা দৃশ্যমান।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যর্থ অভ্যুত্থানের খবর
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে কতিপয় সেনার সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার তথ্যটি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় জামায়াতে ইসলামী জড়িত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, এপি, এএফপি, ট্রিবিউন, ইকোনমিক টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, ডন, ফার্স্ট পোস্ট, চ্যানেল নিউজ এশিয়া, এবিসি নিউজসহ অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমও ইন্টারনেট সংস্করণে গুরুত্বসহ প্রচার করে খবরটি।
সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক, টুইটার এবং ব্লগসহ বিকল্প গণমাধ্যমেও বাংলাদেশের সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেÑ সেনা অভ্যুত্থানের চক্রান্ত ফাঁস বাংলাদেশে। প্রতিবেদনে আনন্দবাজার দাবি করেÑ 'মুখে না বললেও সেনাকর্তাদের সন্দেহ, এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের মদদপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী এবং হিযবুত তাহ্রীর জড়িত।'
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, 'গোটা ঘটনায় পাক মদদপ্রাপ্ত জামায়াতের পরো¶ হাত রয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের কথা টানেননি। তিনি বিরোধী দল বিএনপির দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। হাসিনা বলেছেন, 'বিএনপি আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।' হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের খবরে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লীও। সীমান্তর¶ী বাহিনীকে (বিএসফ) সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আনন্দবাজারের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই ষড়যন্ত্রে জামায়াতের পরো¶ মদদে প্রত্য¶ ভূমিকা নিয়েছে হিযবুত তাহ্রীর। নিষিদ্ধঘোষিত এ জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার সম্পৃক্ততা তুলে ধরে বলা হয়, 'বিরোধী দলনেত্রী বেগম জিয়ার ছেলে তারেকও এর পেছনে অন্যতম মস্তিষ্ক বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।' আনন্দবাজার লিখেছে, প্রাথমিক তদন্তে বাংলাদেশ সরকার জানতে পেরেছে, এই ষড়যন্ত্রে জামায়াতের পরো¶ মদদ থাকলেও প্রত্য¶ ভূমিকা নিয়েছে হিযবুর তাহ্রীর। ২০০৩ সালে গড়ে ওঠা এই হিযবুর তাহ্রীরকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের একাধিক শীর্ষকর্তা এখনও জেলে। তা সত্তে¡ও এই সংগঠনের বিস্তার আটকানো যায়নি। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে এই সংগঠনটির প্রভাব যথেষ্ট। একই সঙ্গে সংগঠনটি তীব্র ভারতবিরোধী প্রচার চালায়। হিযবুত তাহ্রীর সম্পর্কে পত্রিকাটি আরও লিখেছে, 'এদের পেছনে সেনা, শি¶কমহল, নাগরিক সমাজ ও আমলাদের একাংশের মদদ রয়েছে। সে কারণেই নিষিদ্ধ করার পরেও বাংলাভাইয়ের সংগঠনের মতো এদের বিরুদ্ধে একই রকম কার্যকর পদ¶েপ করা সম্ভব হয়নি। হিযবুতের পেছনে মদদ রয়েছে জামায়াতেরও।'
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, 'সেনার আরও একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান গোলাম আযমকে। তাঁর কাছ থেকেও এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তথ্য মিলেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।'
প্রতিক্রিয়া
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া এক বিবৃতিতে সেনাসদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশ্য সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈধ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা বিপথগামী কতিপয় সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালি


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___