Banner Advertiser

Saturday, February 11, 2012

[mukto-mona] ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ও গণতন্ত্রের যাত্রাপথ !!!!!!!!!!!!!



ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ও গণতন্ত্রের যাত্রাপথ
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ড. এ.কে.এম. রিয়াজুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন মুসা
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ত্রিশটির অধিক সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়েছে। এসব অভ্যুত্থান ঠেকাতে সেনা অফিসাররা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে সক্ষম হননি। তবে সম্প্রতি একটি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র অঙ্কুুরেই নস্যাৎ করে সেনাবাহিনী সেই দুর্নাম ঘোচাতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনী ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ও জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। এখন আমাদের সবার প্রয়োজন, গণতন্ত্রের যাত্রাপথকে নিষ্কণ্টক ও নিরবছিন্ন রাখা। তাহলে স্বার্থাম্বেষী মহলের পক্ষে সেনাবাহিনীকে বারবার ব্যবহার করার রাস্তাটি ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে।

দুই.
গত ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মধ্যম সারির কিছু অফিসার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুরুতেই তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ষড়যন্ত্রটি নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, মেজর জিয়াউল হক নামে একজন কর্মরত অফিসার সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে ই-মেইল ও লিফলেট ছড়িয়ে অভ্যুত্থান সৃষ্টির চেষ্টা চালান। আরও কয়েকজন সেনা অফিসার ও বেসামরিক ব্যক্তি এ অভ্যুত্থান-ষড়যন্ত্রে ইন্ধন যুগিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাথমিকভাবে জড়িত সেনা অফিসারদের নাম ও ঘটনার বিবরণ দেয়া হয়েছে, যাকে সবাই অভূতপূর্ব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দেশের ছয়টি সেনানিবাস থেকে অংশগ্রহণকারী ডজন দুয়েক ব্যক্তির বিচারের জন্য তদন্ত আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রে যেসব ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা সবাই ইসলামী বিপ্লবে বিশ্বাসী এবং একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল অর্থাৎ হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত। দলটি ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য গোপন কর্মসূচী চালু রেখেছে। বর্তমান সরকার যুদ্বাপরাধীদের বিচারের জন্য আরেকটি ইসলামী দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করেছে এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার কাজ চলছে। ওই দলটিও ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় এবং এদেশে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। ওই দলটির ভেতর মিলিশিয়া নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে গোপন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে বলে রাখা ভাল, একটি মুসলিম রাষ্ট্র আর একটি ইসলামী রাষ্ট্র এক নয়।

তিন.
আমরা জানি, সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে বলে তাদের সর্বক্ষণ রেজিমেন্টেড অবস্থায় থাকতে হয়। আতঙ্কের বিষয় হলো, একটি রেজিমেন্টেড বাহিনীর সঙ্গে মিলিশিয়া চেতনায় বিশ্বাসী কোন রাজনৈতিক দলের ঐক্য হলে সেটি কোন দেশে ভয়ঙ্কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। আমরা পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে যা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করছি। এখন কোন পদ্ধতি গৃহীত হলে আমাদের দেশ ও সেনাবাহিনী উভয়ই রক্ষা পাবে তা নিয়ে সরকার ও বুদ্ধিজীবী মহলে চিন্তা-ভাবনা চলছে। একটি মহল থেকে বলা শুরু হয়েছে, সেনা অভ্যুত্থান ঠেকাতে নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা প্রয়োজন। যদিও একটি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র দলের একজন তাত্তি¡ক নেতা বহু আগে থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতার অংশীদার করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বলা প্রয়োজন, নিরাপত্তা শব্দটি শুধু দেশের ভৌগোলিক ¯^ার্থেই ব্যবহৃত হয় না, এর আরও দিক রয়েছে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা ইত্যাদি। এজন্য নিরাপত্তা কাউন্সিলে শুধু জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নন, সমাজের অন্যান্য বর্গের লোকের অংশগ্রহণও জরুরী। এ কারণে নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবটি আসার পর পরই বুদ্ধিজীবী সমাজ থেকে বিষয়টির বিরোধিতা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শুধু সেনাবাহিনীর জন্য নয়, দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা হতে পারে জাতীয় সংসদের নেতৃত্বে।

চার.
আধুনিক সরকার ব্যবস্থায় সাধারণত সরকারের তিনটি বিভাগ অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ থাকে। সংকীর্ণ অর্থে এই তিন বিভাগের সমš^য়ে সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ব্যাপক অর্থে রাষ্ট্রের অন্তর্গত সব নাগরিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারের অংশ। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এদেশের জনগণের ক্ষমতায়ন সেভাবে না ঘটায় সংকীর্ণ অর্থেই সরকার ব্যবস্থাকে দেখা হয়। একইভাবে এক শ্রেণীর রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকারী বলে বার বার প্রচার করে জনগণের সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেন। আমরা বহুবার দেখেছি, কখনও গণতন্ত্র রক্ষার নামে, আবার কখনও দেশ রক্ষার নামে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে। এসব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কতিপয় রাজনীতিক ও সুশীল ব্যক্তিকে জড়িত থাকতে দেখা যায়। আরও দেখা যায়, সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষী অফিসাররা একটি দিবসকে নির্দিষ্ট করে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করে থাকেন। সেই তারিখটি কোন জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। যেমন১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস। আমরা জানি, সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণ করে। অন্যদিকে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাত্রীতে পাকিস্তানী সেনারা এদেশের নিরীহ জনতার ওপর অপারেশন সার্চ লাইট নামের নিষ্ঠুর আক্রমণ চালায়। আর ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। সে কারণে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। অনুরূপ বিবেচনায়, এবার ষড়যন্ত্রকারীরা ১০ জানুয়ারিকে বেছে নিয়েছে সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে সামনে রেখে। এদিক থেকে এটিকে একটি অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী অভ্যুত্থান পরিকল্পনা বলা চলে।

পাঁচ
আমাদের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠেছে। বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে ভূখণ্ডগত স্বার্থ নিয়ে আমাদের কোন দ্ব›দ্ব নেই, যা রয়েছে ভারতের সঙ্গে। ভারতের সঙ্গে নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বিরোধ বিদ্যমান থাকায় দেশে ভারতবিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি ধারা বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণত প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রতিপক্ষ ধরে সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধকৌশল শেখানো হয়। সেক্ষেত্রে ভৌগোলিক দিক দিয়ে ভারত আমাদের বিশাল প্রতিবেশী। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও পাকিস্তানের বেলায়ও একই উদাহরণ প্রযোজ্য। অনুরূপ কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে ভারতবিরোধী রাজনীতির প্রতি জনসমর্থন লক্ষ্য করা যায়। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শ্রীলঙ্কায় গিয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণকালে সেদেশের একজন সাধারণ সৈনিকের রাইফেলের বাঁট দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে ভারতবিরোধিতা অন্যান্য দেশের মতো নয়। সেখানে ভূখণ্ডগত দ্বন্দে¦র সঙ্গে ধর্মীয় পার্থক্যজনিত দ্বন্দ¦ও যোগ হয়েছে। পাকিস্তানে জঙ্গীবাদীরা সুকৌশলে সেনাবাহিনীতে ধর্মান্ধতার অনুপ্রবেশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রশক্তি সেখানকার সেনাবাহিনী ও জঙ্গীবাদকে প্রায় সমার্থক হিসেবে দেখে থাকে। তাই সময় এসেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ধর্মান্ধতার বিষবাষ্পের অনুপ্রবেশ থেকে মুক্ত রাখা।

ছয়.
আমরা সিডিএলজির পক্ষ থেকে বহু আগে থেকেই বলে আসছি রাষ্ট্রের ২৫টি ক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রায়ন সম্ভব হলে ধর্মান্ধতাসহ যাবতীর পশ্চাৎপদতা আপনাআপনি দূর হয়ে যাবে। আমরা মনে করি, দুই প্রকারের সরকার পদ্ধতি অর্থাৎ একটি কেন্দ্রীয় সরকার ও অনেকগুলো স্থানীয় সরকার বাস্তবায়ন করে জনগণের ক্ষমতায়নের পথটি উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব। সেজন্য প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, মুদ্রা, বাণিজ্যসহ গোটা জাতীয়ভিত্তিক কাজগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য নির্দিষ্ট করে অন্যান্য কাজের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। লক্ষণীয়, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় 'ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড' নামে স্থানীয় সরকারের একটি ইউনিট রয়েছে। এটি সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া, সেনাবাহিনীতে বহু অগণতান্ত্রিক ও ঔপনিবেশিক আমলের আইনকানুন রয়েছে। সেগুলোকে গণতান্ত্রিক ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। সে সঙ্গে স্থানীয় সরকারের সমম্বিত স্তরবিন্যাস করে গ্রামীণ স্থানীয় সরকার, নগরীয় স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ-নগরীয় স্থানীয় সরকারের কাজ পৃথক ও নির্দিষ্ট করে দেয়া জরুরী। এসব ব্যবস্থা গৃহীত হলে আশা করা যায়, কোন স্বার্থাম্বেষী মহলের পক্ষে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা লাভের স্বপ্ন দেখা সম্ভবপর হবে না।

janipop1995@gmail.com



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___