Banner Advertiser

Sunday, May 27, 2012

[mukto-mona] ] মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণ: ইতিহাস লুকিয়ে রাখা যায় না

If any member's residence not being looted, neither any of their relatives being victimised or killed, how he can remember 1971. They will always have sympathy to keep War Criminals alive !

From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Sunday, May 27, 2012 3:34:58 PM
Subject: [KHABOR] মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণ: ইতিহাস লুকিয়ে রাখা যায় না

 

আনুশে হোসাইন

মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণ: ইতিহাস লুকিয়ে রাখা যায় না



মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মই ১৯৭১ সালের ঘটনা সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে। বাংলাদেশের অন্যসব পরিবারের মতো যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পরিবারও আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠনে এই ভূখন্ডের কোন পরিবারটি শোক, অনাহার, মৃত্যু বা রক্তক্ষরণের মুখোমুখি হয়নি? স্বাধীনতালাভের জন্য বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনটি ছিল বিশ্বের সব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম। আর মুক্তিবাহিনীই আমাদের সেই জাগরণের গান শুনিয়েছিল।
১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর চলমান হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন সম্পর্কে আমার মা বলতেন, "বাতাসে আত্মবিশ্বাসের আভাস ছিল, আমরা জানতাম আমরা পারব। আর সবাই তখন জানতাম স্বাধীনতা সময়ের ব্যাপার মাত্র।"
কিন্তু যুদ্ধ সম্পর্কে আমরা যতটা শুনেছিলাম, তেমনটা শুনিনি ধর্ষণের কাহিনীগুলো। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালেই প্রথম ধর্ষণকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
নতুন প্রজন্মকে যে যুদ্ধের গল্প শোনানো হচ্ছে তা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে নারী নির্যাতনের কাহিনীগুলো। যুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ ও তাদের আত্মত্যাগের গল্পে ঠিকই আলোকপাত করা হচ্ছে কিন্তু ধর্ষণ, ক্যাম্পের কাহিনী বা যুদ্ধশিশুর গল্প চাপা পড়ে যাচ্ছে সচেতনভাবে।
কিন্তু আমরা সবাই জানি, যত চেষ্টাই করি না কেন ইতিহাস নতুন করে লিখতে পারব না। সত্য টিকে থাকবেই এবং কোনও না কোনও সময় তা প্রকাশিত হবেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক বিশেষজ্ঞই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ও নারীবাদীরা সঠিক তথ্যের দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশে যখন গেলাম, আমার এক চাচা আমার আগ্রহ দেখে আড়ালে নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে যুদ্ধকালীন ধর্ষণের কিছু গল্প বললেন। তার গল্প শুনতে শুনতে আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্তূপীকৃত ধর্ষিতা নারীর লাশ, যারা শুয়ে আছে হয়তো কোনও সেতুর নিচে, কোনও এক গণকবরে। তাকে প্রশ্ন করি "কতজন নারী পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধর্ষিতা ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন?" চাচা গলার স্বর নিচু করে বললেন, "তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, মা।"
কিন্ত এখন বাংলাদেশেরই একজন বিশেষজ্ঞ আমাদের সেই অজানা তথ্য জানাতে চান, তার নাম বিনা ডি'কস্তা। তিনি ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন (আইপিপিএফ) ও জাতিসংঘের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক জিওফ্রে ডেভিসকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে গর্ভপাত ও যুদ্ধশিশু জন্মদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সাময়িকীতে ডা. ডেভিসের সঙ্গে ডি কস্তার কথোপকথনটি প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এটি সবচেয়ে মূল্যবান প্রকাশনা বলা যায়। তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে লোমহর্ষক সব নির্যাতনের কাহিনী- গাছের সঙ্গে বেঁধে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা, নারীর দেহে অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা, ধর্ষণের পর গণকবরে পুঁতে ফেলা, পাকিস্তানের ধর্ষণ ক্যাম্পে আটকে রাখা ইত্যাদি নানা খুঁটিনাটি বিষয়।
ডেভিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাধারণত বলা হয় ২ থেকে ৪ লাখ নারী ধর্ষিত হয়েছিল, এই সংখ্যাটি কি ঠিক? জবাবে ডা. ডেভিস বলেন, সঠিক সংখ্যাটি অজানা।
… যে বিপুল সংখ্যক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সম্ভবত সে তুলনায় এ সংখ্যা খুবই নগণ্য। তারা শহর দখল করত এভাবে। প্রথমে পাক সেনারা পদাতিক বাহিনীকে পেছনে রেখে অস্ত্রসজ্জিত বাহিনীকে সামনে পাঠাত। তারা শহরের স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে গোলা নিক্ষেপ করত যেন সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আর সেই সুযোগে পাক পদাতিক বাহিনী শহরে ঢুকে নারীদের ওপর হামলে পড়ত। শিশু ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সব নারীই নির্যাতনের শিকার হতেন। এরপর তাদের ধরে সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হত সাধারণ সেনাদের সম্ভোগের জন্য। তারা এমন কিছু গল্প শুনিয়েছেন যা মর্মবিদারক; কোনও কোনও নারী বারবার ধর্ষিত হয়েছেন, বারবার। অনেকেই ওইসব ক্যাম্পে প্রাণ হারিয়েছেন। এ ব্যাপারগুলো সম্পর্কে তখন একটা ধোঁয়াশা ছিল। কেউ বিশ্বাস করতে পারত না এমন কিছু ঘটছে। কিন্তু প্রমাণ বলছে, হ্যাঁ, তাই ঘটেছে।
যুদ্ধশেষে শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ষিতা নারীদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য কীভাবে তাদের 'বীরাঙ্গনা' উপাধিতে ভূষিত করেন সে কথা শুনিয়েছেন ডা. ডেভিস। কিন্তু সেই দৃষ্টিভঙ্গি সেভাবে কাজে লাগেনি। পকিস্তানি সেনাদের দ্বারা নির্যাতন ও গর্ভধারণের পর বাংলাদেশি ওই নারীরা সমাজের চোখে পুরোপুরি অস্পৃশ্য হয়ে যান। অনেকেই তাদের স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন, আত্মহত্যা করেছেন অথবা তারা নিজেরাই তাদের আধা-পাকিস্তানি শিশুদের হত্যা করেছেন। কেউ কেউ পাকিস্তানি ক্যাম্পে থাকার পর এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন যে তারা আর ঘরে ফিরতে চাননি, পাক সেনাদের অনুরোধ করেছেন যেন তাদের সঙ্গে করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমি প্রবন্ধটি পড়ার সময় এর অনলাইন সূত্রেও চোখ বুলিয়েছি। অনলাইনে এনবিসির একটি ভিডিওতে দেখলাম একটি আশ্রয় কেন্দ্রের দৃশ্য, পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনে গর্ভধারণ করা অনেক নারী প্রসবের আগ পর্যন্ত যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে পাক সেনাদের হাতে ব্যাপকভাবে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ উঠলেই আমরা সাধারণত যুবতীদের কথা বুঝি, অনেক সময় মাত্র ১৩ বছরের কিশোরীও নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু ওই ভিডিও চিত্রটি আমাদের ভিন্ন প্রেক্ষাপটের কথা মনে করিয়ে দেয়।
আবেগের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রবন্ধটি পড়তে পড়তে হঠাৎ থেমে যাই, চেয়ারে হেলান দিয়ে ভাবতে থাকি, 'আমি কী করছি?' নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি, 'হৃদয় খুঁড়ে এই বীভৎস ব্যাপারগুলো অনুভবের মানে কী?'
তখন বুঝতে পারি মনের ব্যথাটাই হৃদয় খোঁড়ার অর্থ। নির্যাতিত ওই নারীদের সহজভাবে আমাদের সমাজের অংশ করে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা কেন নিভৃতে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকবেন? যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বীভৎসতা সম্ভবত তারাই বহন করছেন। আমাদের উচিত তাদের খুঁজে বের করা, তাদের অভিজ্ঞতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।
হ্যাঁ, আমরা একটি রক্ষণশীল দেশ। হ্যাঁ, আমরা মুসলিমপ্রধান দেশ। হ্যাঁ, ১৯৭১ সালের সেই বেদনাদায়ক ও মর্মভেদী ঘটনাগুলোর দিকে ফিরে না তাকানোর জন্য আমাদের কাছে হাজারো অজুহাত আছে। কিন্তু এভাবে আমরা আমাদের ইতিহাসের এক বিস্তর অধ্যায় হারিয়ে ফেলছি। যেমনটি ডি'কস্তা বলেছেন, আমার সচেতনভাবে এক 'ঐতিহাসিক ভ্রান্তি'তে ভুগছি।
যেহেতু এখনও বাংলাদেশে ওই নির্যাতিত নারীরা বেঁচে আছেন, তাই তাদের আত্মত্যাগের প্রতি আমাদের সঠিক সম্মান দেখানো উচিত। অবশ্য স্বাধীনতার ৪০ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই ইস্যুটি উঠে এসেছে।
মনে প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের নারী আন্দোলন কি পারবে আমাদের এই ঐতিহাসিক দায় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে? আমরা যদি সত্যিই সামনে এগিয়ে যেতে চাই, তবে পেছন ফিরে তাকানো উচিত। ১৯৭১ সালে যারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এখনও যারা বেঁচে আছেন তাদের সবার প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আমরা এই দায় থেকে মুক্ত হতে পারব।
(যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ইন্টারনেট নিউজপেপার হাফিংটন পোস্টে আনুশে হোসাইনের ব্লগে ২১ মে প্রকাশিত '১৯৭১ রেপস: বাংলাদেশ কান্ট হাইড স্টোরি' শীর্ষক লেখাটির ভাষান্তর করেছেন বিধান চন্দ্র সাহা)


 ------------------------------------------------------------------------- 
http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/05/26/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9/ 

1971 Rapes: Bangladesh Cannot Hide History:



Bangladesh Genocide: Rape Victims



NBC News reports on 2/20/1972 on genocidal rapes of Bangladeshi women and girls during the Bangladesh Liberation War. The report interviews pregnant girls held at Pakistani army barracks and repeatedly raped. Some of the girls are as young as 13.
1  2  3  4  5  6  7  Next » 

 
Worth a Thousand Words: Bina D'Costa Tracked Down the Australian Doctor Who Performed Late-Term Abortions on 1971 Rape Survivors. Image Credit: BDNews 
-------------------------------------------------------------------------


১২ প্রতিক্রিয়া - " মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণ: ইতিহাস লুকিয়ে রাখা যায় না "

  1. দেবাশীস দাস on মে ২৭, ২০১২ at ১:২৮ অপরাহ্ণ
    প্রথমেই আমি আনুষে কে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি বিষয়ে লিখবার জন্য,প্রচন্ড রাগ আর ক্ষোভ মনে আসে ঐ সময়ে যারা আমাদের মায়েদের,বোনেদের উপর নিরবিচারে অন্যায় করেছিলো,পাকিস্তানিদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এবং তা সম্পুর্ন ভাবে নিঃশর্ত ভাবে,আমার মনে হয় এবং বিশ্বাস করি সুধু এই যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আরো ব্যাপকভাবে গবেষণা হওয়া উচিত।
  2. জামান on মে ২৭, ২০১২ at ১:০৬ অপরাহ্ণ
    আপনার এ অনুভবের সাথে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা যারা '৭১ পরবর্তী প্রজন্ম তারা সত্যই অভাগা। দেশের ইতিহাস ভাগ হয়ে গেছে-একদল গৌরবের সেই ইতিহাসের একচ্ছত্র অধিপতি আরেক পক্ষ দেশবিরোধী শক্তির একান্ত সহযোগী। একপক্ষ ইতিহাস ফেরি করে বেড়ায় আর অপরপক্ষ ইতিহাস-ই মানেনা-প্রয়োজনের সময় বলে আমার নেতাই স্বাধীনতার ঘোষক আর অপ্রয়োজনে বলে ধুর কীসের স্বাধীনতা! যুদ্ধ তো হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এমনও একজন বলে যে জিয়া তো বিশ্বাসঘাতক!! শপথ ভংগ করে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। জামাতের সঙ্গে থাকার মজাটা তারা পেতে শুরু করেছে মাত্র। এই অবস্থায় দেশের সেই বীরাঙ্গনাদের নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অহংকারের জায়গাটা সত্যই খুঁজে পাইনা।
  3. কেশব কুমার শীল on মে ২৭, ২০১২ at ১০:৫৪ পুর্বাহ্ন
    যে সব মা বোন আমাদের দেশের জন্য এত বড় আত্ম ত্যাগ করেছেন তাঁদের প্রতি প্রথমেই জানাই স্বনম্র শ্রদ্ধা। আমরা অনেকেই জানি পাকিস্তানিরা বাংলাদেশি রাজাকারদের সাহায্য নিয়েই এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি চাই সে সব রাজাকারদের খুজেঁ বের করে তাদের প্রাপ্ত শাস্তি যেন তাদের দেয়া হয়। তা হলেই আমাদের সেই সব বীরাঙ্গনা মা বোনের আত্মা শান্তি পাবে। এত বড় একটি বিষয়কে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জানাই আনুশে হোসাইন-কে।
  4. আহমেদ তেপান্তর on মে ২৭, ২০১২ at ৯:৫১ পুর্বাহ্ন
    বিষয়টি আমার লেখালেখির ভাবনায় থাকলেও গুছিয়ে উঠতে পারিনি। দেশের সচেতন দাবি করা নাগরিক হিসেবে দোষ আমার। দায় সবার মতো আমারও। আনুশেকে ধন্যবাদ। সহজ বিষয় অমুল্য সম্পদের মতোই তুলে ধরেছেন। ভাবনাকে উসকে দিয়েছেন। আশা করছি এবার পারবো।
  5. পথিক on মে ২৭, ২০১২ at ৯:৪৫ পুর্বাহ্ন
    অথচ এই বর্বরদের সহযোগীদের বাঁচানোর জন্যে আমাদের প্রানপ্রিয় নেতারা নির্লজ্জ ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন।
  6. Himu on মে ২৭, ২০১২ at ৯:৩৫ পুর্বাহ্ন
    ম্যাম,
    একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে সাহসী কিছু লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদশের নারীদের যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তার জন্য আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু দায় মুক্তির জন্য ন্যায়বচিার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ঐ সময়ে নির্যাতিতা মা-বোনদের সংশ্লষ্টিতা প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে এই দায়মুক্তির প্রচেষ্টা যে আরও একটা দায়বদ্ধতার জন্ম দেবেনা সে বিষয়ে আমরা নিঃসন্দেহ নই বলেই আমার ধারণা।
    বাংলাদেশে বসবাসরত কেউ এই লিখাটা লিখলে আরও ভাল লাগত।
  7. Zabid on মে ২৭, ২০১২ at ৯:০৯ পুর্বাহ্ন
    তাইত চিৎকার করে বলতে চাই এই বাংলার প্রতিটি মানুষকে … আমাদের ৭১ এর যুদ্ধটা ছিল মুক্তির যুদ্ধ, কিণ্ড প্রতিশোধের যুদ্ধটা এখনো বাকি…!!
  8. আপন on মে ২৭, ২০১২ at ৮:০৩ পুর্বাহ্ন
    আমরা আসলে অনেক বদলে গেছি। যারা আমাদের উপর এত অত্যাচার করল আমরা তাদেরকে এখনও বুকে জড়িয়ে ধরতে যাই, ভুলে যাই আমাদের অতীত, আমাদের ইতিহাস।
  9. সৌমিত্র on মে ২৭, ২০১২ at ৩:২৪ পুর্বাহ্ন
    এই ঘটনাগুলোকে স্রেফ 'দুঃখজনক' আখ্যা দিয়ে পার পাওয়ার চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে!
  10. শফিকুল ইসলাম কাজল on মে ২৭, ২০১২ at ৩:০৮ পুর্বাহ্ন
    আপনার লেখাটা পড়লাম। আপনি পরবাসে থাকেন, তাই দেশ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বীরাঙ্গণাদের যন্ত্রণা, কষ্ট, অবহেলা, স্বামী সংসার সন্তান এবং সমাজচ্যুত নারীদের সুবিচার প্রাপ্তির কথা বলছেন। কিন্তু আমরা এদেশের সচেতন সুনাগরিকরা কি করলাম আমার এ মায়েদের জন্য ?
    ধন্যবাদ আপনাকে লেখক ।
  11. মোঃ শহিদুল হক on মে ২৭, ২০১২ at ২:৪২ পুর্বাহ্ন
    আমি মনে করি ‌যোদ্ধাপরাধীদের বানংলার মাটিতে অবশ্যই বিচার হতে হবে। যদি বিচার না হয় তবে এটা বলবো যোদ্ধাপরাধীরাই বাংলার মাটিতে স্বাধীণ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা নয়। আমার মা ও বোনেরাও নয়।
  12. wasim on মে ২৭, ২০১২ at ১:০৮ পুর্বাহ্ন
    আমরা সারাজীবন শুধু শুনেই গেলাম ধর্ষিত নারীদের কথা কিন্তু শুনিনি তাদের কিভাবে আর কতটা পুনর্বাসন করা হয়েছে…এই কষ্ট তারাই জানে যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।